Definition and Characteristics of Language
ভাষা হলো মানব জাতির এক বিশেষ উপহার। এটি অনুভূতি, ধারণা, এবং জ্ঞান ভাগাভাগি করতে সাহায্য করে। Linguist-রা ভাষা নিয়ে গবেষণা করেন এর প্রকৃতি ও ব্যবহার বোঝার জন্য। Course in General Linguistics লেখক Ferdinand de Saussure/সস্যুর (১৮৫৭-১৯১৩) রচিত, যা ১৯১৬ সালে প্রকাশিত হয়, আধুনিক ভাষাবিজ্ঞানের ভিত্তি স্থাপন করে। ভাষা সার্বজনীন (Universal) এবং এটি সমাজের সঙ্গে সঙ্গে সবসময় পরিবর্তিত হয়।
Definition of Language:Language (ভাষা) হলো প্রচলিত, মৌখিক বা লিখিত প্রতীকসমূহের একটি ব্যবস্থা, যা মানুষ যোগাযোগের জন্য ব্যবহার করে। প্রতিটি গোষ্ঠী তাদের ভাব বিনিময়ের জন্য নিজস্ব এক ব্যবস্থা গড়ে তোলে। ভাষা মানুষকে কথা বলা, লেখা, পড়া এবং শোনা—এই কাজগুলো করতে সাহায্য করে। এটি নির্ধারিত নিয়ম ও ধরন অনুসরণ করে। মানুষ জন্ম থেকেই ভাষা শেখে এবং প্রতিদিন তা ব্যবহার করে।
আরো পড়ুনঃ Preface to Shakespeare Bangla Summary
Cambridge Dictionary অনুসারে, ভাষা হলো — “a system of communication consisting of sounds, words, and grammar.” বা “ধ্বনি, শব্দ এবং ব্যাকরণের সমন্বয়ে গঠিত যোগাযোগ ব্যবস্থা।”
Major Features/Aspects/Properties of Language:Language-এর (ভাষা) অনেক গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য আছে, যেমন Duality (দ্বিস্তর বৈশিষ্ট্য), Displacement (স্থানান্তর বৈশিষ্ট্য), Productivity (উৎপাদনশীলতা), এবং Arbitrariness (ইচ্ছাধীনতা//মনগড়া/স্বেচ্ছাচারিতা)।
ভাষা স্বেচ্ছাচারি/ইচ্ছাকৃত বা মনগড়া (Arbitrary): শব্দগুলোর সঙ্গে অর্থের সবসময় প্রকৃত কোনো যোগসূত্র থাকে না। শব্দের পেছনে কোনো স্থায়ী কারণ বা প্রকৃত যুক্তি নেই। যেমন, ‘নারী’ কথাটি বুঝাতে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে ভিন্ন শব্দ ব্যবহার হয়। ইংরেজিতে আমরা সাধারণত “woman” বলি। উর্দুতে বলা হয় “aurat”। ফরাসিতে তারা বলে “femme।” সব শব্দের মানে একই, কিন্তু উচ্চারণ ও শব্দ আলাদা। এই উদাহরণ থেকে বোঝা যায়, শব্দ প্রকৃত কোনো চিহ্ন নয়। সমাজের মানুষ নিজেরা শব্দ নির্বাচন করে। তাই, শব্দ ও অর্থের সংযোগ মানুষের পছন্দের ওপর নির্ভর করে, যুক্তির ওপর নয়।
ভাষা একটি সামাজিক ব্যাপার (Social Phenomenon): মানুষ ভাষা একসঙ্গে ব্যবহার করে। আমরা সমাজে বাস করি এবং কথা বলি। ভাষা মানুষকে একে অপরকে আরও ভালোভাবে বুঝতে সাহায্য করে। এটি প্রতিদিন আমাদের সম্পর্ক গড়ে তোলে। ভাষা ছাড়া শধুই নীরবতা থাকত। তাহলে মানুষ একসঙ্গে কাজ, বাস বা যোগাযোগ করতে পারত না। ভাষা সবসময় যোগাযোগের মাধ্যম। এটি আমাদের চিন্তা ও সংস্কৃতি প্রকাশে সহায়ক। প্রতিটি মানুষের একটি ভাষা আছে। Family (পরিবার) এবং community (সমাজ/সম্প্রদায়) মানুষের কথা বলার ধরণ গড়ে তোলে। Society’s (সমাজের) প্রয়োজন নতুন phrase (বাক্যাংশ) ও যোগাযোগের নতুন পদ্ধতি তৈরি করে। সুতরাং, language (ভাষা) এবং society (সমাজ) চিরকাল একসাথে বিকশিত হয়।
ভাষা প্রতীকি (Symbolic): শব্দগুলো আসল ব্যাপার নয়, এগুলো হলো প্রতীক। শব্দ কোনো বস্তুর, কাজের বা ধারণার প্রতীক। যেমন, “tree” শব্দটি গাছ নয়। এটি একটি চিহ্ন, যা শুনে আমরা গাছ ভেবে নিই। এই প্রতীকগুলো সব ভাষাভাষীর কাছে পরিচিত। শব্দগুলো স্বাভাবিক নয় বরং আমরা ছোটবেলা থেকেই (এগুলো) শিখি। (আমরা) পরিবার ও স্কুল থেকে এই প্রতীক শিখি। শব্দ বুঝি কারণ আমরা তা শিখে নিই। এই প্রতীকের মাধ্যমেই ভাষা অর্থবহ হয়।
আরো পড়ুনঃ Introduction to Linguistics Brief Suggestion
ভাষা নিয়মিত ও গঠনবদ্ধ (Systematic): ভাষা সবসময় স্পষ্ট নিয়ম ও ধারা অনুসরণ করে। এটা শুধু কিছু এলোমেলো শব্দ নয়। প্রতিটি ভাষার নিজের আলাদা গঠন ও নিয়ম আছে। ব্যাকরণ আমাদের সঠিকভাবে বলতে ও লিখতে সাহায্য করে। বাক্য গঠনেরও নিয়ম থাকে। যেমন: বহুবচন করার নিয়ম, প্রশ্ন করার নিয়ম, ক্রিয়ার কাল পরিবর্তনের নিয়মও আছে। ব্যাকরণ ছাড়া ভাষা অস্পষ্ট ও বুঝতে কঠিন হতো। প্রতি ভাষার নিয়ম আলাদা হলেও সব ভাষায় গঠনের নিয়ম থাকে।
ভাষা মৌখিক ও শব্দভিত্তিক (Vocal and Sound-Based): ভাষা প্রধানত মুখ দিয়ে উচ্চারিত হয়। আমরা জিহ্বা, ঠোঁট ও কণ্ঠ ব্যবহার করি। মানুষের ইতিহাসে আগে ভাষা বলা শুরু হয়, পরে লেখা আসে। আমরা প্রথমে বলতে শিখি, পরে লিখতে। বলা সবসময় লেখার চাইতে সহজ। লিখা হচ্ছে বলার রেকর্ড রাখার একটা পদ্ধতি। তাই, ভাষার শুরু হয় ধ্বনি বা আওয়াজ থেকে।
Spoken vs. Written Language: Spoken Language ধ্বনি, সুরের ওঠানামা এবং বিরতির মাধ্যমে প্রকাশিত হয়। মানুষ কথা বলার সময় দ্রুত কথা বলে এবং অনেক সময় শব্দ পুনরাবৃত্তি করে। তারা হাতের ইশারা ও মুখের অভিব্যক্তি ব্যবহার করে। Written Language চিহ্ন, অক্ষর এবং যতিচিহ্ন ব্যবহার করে। এটি তুলনামূলকভাবে বেশি গোছানো ও পরিকল্পিত হয়। Written Messages (লিখিত বার্তা) দীর্ঘ সময় ধরে টিকে থাকতে পারে।
কিছু গুরুত্বপূর্ণ পরিভাষার ব্যাখ্যা
Idiolect (আইডিওলেক্ট): Idiolect হলো কোনো একজন ব্যক্তির কথা বলার নিজস্ব ধরন। প্রত্যেক ব্যক্তির শব্দ ব্যবহার, সুর (Pitch), বা Grammar ব্যবহারের একটি নিজস্ব পদ্ধতি থাকে। কোনো দুইজন মানুষের ভাষণ একদম একই রকম হয় না।
Bilingualism (বাইলিঙ্গুয়ালিজম): Bilingualism অর্থ একজন ব্যক্তি দুইটি ভাষা ভালোভাবে বলতে পারে। সে উভয় ভাষায় সহজে পড়তে, লিখতে এবং কথা বলতে পারে।
Dialect (ডায়ালেক্ট): Dialect হলো ভাষার একটি বিশেষ ধরন। এটি সাধারণত একটি নির্দিষ্ট এলাকার মানুষ ব্যবহার করে। একটি Dialect-এ নিজস্ব শব্দ এবং নিয়ম থাকে। এর Grammar এবং উচ্চারণও কখনো কখনো নতুন ধরনের হয়।
Sociolect (সোশিওলেক্ট): Sociolect হলো একটি নির্দিষ্ট সামাজিক গোষ্ঠীর বৈশিষ্ট্যযুক্ত কথা বলার ধরন। বিভিন্ন শ্রেণি বা পেশার মানুষ ভিন্নভাবে কথা বলতে পারে।
আরো পড়ুনঃ Psycholinguistics Bangla Summary
অতএব, ভাষা খুব শক্তিশালী ও কাজে লাগে এমন এক উপায়। এটি আমাদের বাঁচতে, শিখতে এবং আরও ভালোভাবে ভাবতে সাহায্য করে। আমরা চিন্তা ও কথা বলতে ভাষা ব্যবহার করি। এটি আমাদের মনের ভাব ও ভাবনা গভীরভাবে ভাগাভাগি করতে সাহায্য করে। ভাষার বৈশিষ্ট্যগুলো দেখায়, এটা কতটা বিশেষ। ভাষা জীবনের প্রতিটি অংশে ব্যবহৃত হয়। এর বৈশিষ্ট্য জানলে ভাষা সম্পর্কে বেশি জানা যায়। মানবজীবনে ভাষা সবসময় গুরুত্বপূর্ণ।
