Othello is the greatest tale of a man who loved excessively but loved not wisely.” – Elucidate.
William Shakespeare এর (১৫৬৪ – ১৬১৬) “Othello” (১৬২২) ভালোবাসা, বিশ্বাস, ঈর্ষা এবং বিশ্বাসঘাতকতার আকর্ষনীয় কাহিনী গড়ে তুলেছে। নাটকের মূলে রয়েছে ওথেলোর ট্রাজিক ফিগার যিনি একজন মুরিশ (মরোক্কোর বাসিন্দা) জেনারেল যার ডেসডেমোনার প্রতি ভালবাসার শেষ নেই। প্রতারণা থেকে সত্যকে আলাদা করতে না পারা এবং অন্যের প্রতি অন্ধ বিশ্বাস ওথেলোকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যায়। আমরা যখন ওথেলোর দিকে গভীরভাবে লক্ষ্য করি তখন বুদ্ধিমত্তাহীন অত্যধিক ভালবাসার পরিণতি প্রত্যক্ষ করি।
ওথেলোর ব্লাইন্ড ট্রাস্ট: ওথেলো একজন মুরিশ জেনারেল যিনি ডেসডেমোনার সাথে গভীরভাবে সম্পর্কে আছেন (ডেসডেমোনা) একজন ভেনিসীয় সম্ভ্রান্ত মহিলা। তিনি তাকে সম্পূর্ণরূপে বিশ্বাস করেন এবং তার আনুগত্যে বিশ্বাস করেন। যাইহোক, তার বিশ্বাস ছিল অন্ধ কারণ তিনি দ্রুতই তার পতাকা বহনকারী ইয়াগোর কারসাজির শিকার হন। ডেসডেমোনা এবং ক্যাসিও সম্পর্কে ওথেলোর হৃদয়ে ইয়াগো সন্দেহর বীজ বপন করে। সে বলে যে
আরো পড়ুন: Write About Hamlet’s Procrastination in Taking Revenge in Hamlet
“আপনার স্ত্রীর দিকে খেয়াল করেন; ক্যাসিওর সাথে তাকে ভালভাবে পর্যবেক্ষণ করেন (তাদের ভাব কিন্তু ভালো না)।”
ডেসডেমোনার সন্দেহাতীত ভালবাসা এবং আনুগত্য সত্ত্বেও, ওথেলো ইয়াগোর প্রতারণামূলক কথার দ্বারা প্রভাবিত হয়।
ইয়াগোর কারসাজি: ইয়াগো-ই হচ্ছে এই নাটকের মর্মান্তিক ঘটনার পেছনের মাস্টারমাইন্ড। মাইকেল ক্যাসিওকে তার পরিবর্তে লেফটেন্যান্ট পদে উন্নীত করার জন্য সে ওথেলোকে ঘৃণা করে। ইয়াগো ওথেলোর আত্ম-সন্দেহকে কাজে লাগায় এবং ডেসডেমোনার পতনের ব্যবস্থা করার জন্য ওথেলোর বিশ্বাসের উপর টার্গেট করে। সে রদ্রিগোকে ওথেলো সম্পর্কে বলে,
“আমি তোমাকে প্রায়ই বলেছি এবং আমি তোমাকে বারবার বলি আমি মুরকে (ওথেলোকে) ঘৃণা করি।”
ইয়াগোর ধূর্ততা এবং প্রতারণা তাকে শেক্সপিয়ারের সবচেয়ে কুখ্যাত ভিলেনদের একজন করে তোলে। তার কারসাজি শেষ পর্যন্ত বেশ কয়েকটি চরিত্রের জীবন ধ্বংসের দিকে নিয়ে যায়। সে বলে যে
“আমাকে যেমন দেখায় আসলে আমি তেমন নই।”
এই মন্তব্য দ্বারা আমরা ইয়াগোর খারাপ দিক বুঝতে পারি।
ওথেলোর মারাত্মক ভুল: ওথেলোর মারাত্মক ভুল হল ডেসডেমোনার বিশ্বাসঘাতকতা সম্পর্কে ইয়াগোর মিথ্যা কথাকে বিশ্বাস করা। সুনির্দিষ্ট প্রমাণের অভাব সত্ত্বেও ওথেলো হিংসাযর মধ্যে নিজেকে নিমজ্জিত করে। এর জন্য তিনি তার নিরপরাধ স্ত্রীকে ক্ষোভে মেরে ফেলে। এই মারাত্মক ভুলটি শেষ পর্যন্ত ওথেলোর করুণ পরিণতিকে সীলগালা করে এর ফলে তার ফলে তার পতন ঘটে।
ডেসডেমোনার ভক্তি: ওথেলোর প্রতি ডেসডেমোনার ভালবাসা খাঁটি এবং বিশ্বস্ত। তাদের আন্তঃজাতিগত বিবাহের কারণে সামাজিক চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হওয়া সত্ত্বেও তিনি তার প্রতি অনুগত থাকেন। ওথেলো তাকে মেরে ফেললে এমেলিয়া ঘরে ঢুকে আর চিৎকার দেয় –
আরো পড়ুন: Comment on the Character and Role of the Fool in King Lear.
“ওহ, এই কাজটি কে করেছে?”
ডেসডেমোনা উত্তর দেয়,
“কেউ না-আমি নিজেই। বিদায়।”
ওথেলোর প্রতি ডেসডেমোনার আনুগত্য এবং উৎসর্গ পুরো নাটক জুড়েই স্পষ্ট। দুঃখজনকভাবে, ওথেলোর কর্মের পরিণতি থেকে তাদের বাঁচানোর জন্য তার ভালবাসা যথেষ্ট নয়।
এমিলিয়ার প্রকাশ: এমিলিয়া হচ্ছে ডেসডেমোনার দাসী এবং ইয়াগোর স্ত্রী, সে অবশেষে ইয়াগোর কারসাজি এবং ডেসডেমোনার নির্দোষতা সম্পর্কে সত্য প্রকাশ করে। যাইহোক, তার এই সত্য উদ্ঘাটন ট্র্যাজেডি হওয়া থেকে বাঁচাতে খুব দেরি করে ফেলে। তার স্বামীর প্রতারণার বিরুদ্ধে কথা বলার ক্ষেত্রে এমিলিয়ার সাহস নাটকের একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। কিন্তু এতে যে ক্ষতি হয়েছে তা আর পূরণ করা যাবে না।
ওথেলোর ট্র্যাজিক শেষ: ওথেলোর যাত্রা ট্র্যাজেডির মাধ্যমে শেষ হয় কারণ তিনি বুঝতে পারেন যে তার ভুল হয়েছে এবং তিনি অপূরণীয় ক্ষতি করেছেন। অপরাধবোধ এবং অনুশোচনায় ভোগে আর ওথেলো তার কাজের ভার সহ্য করতে না পেরে আত্মহত্যা করে। তিনি বলেন,
“আমি এমন একজন যে খুব বেশি ভালোবাসি কিন্তু বুদ্ধিমত্তার সাথে নয়।”
তার মৃত্যু ঈর্ষার ধ্বংসাত্মক শক্তির প্রমাণ এবং (তার মৃত্যু) বুদ্ধিমত্তাহীন অত্যধিক ভালোবাসার প্রভাব (প্রকাশ করে)।
ওথেলোর যাত্রার প্রতিফলন: ওথেলোর যাত্রা অনিয়ন্ত্রিত ঈর্ষার বিপদ এবং অন্যদের দ্বারা নিয়ন্ত্রণ হওয়ার পরিণতি সম্পর্কে একটি সতর্কতামূলক গল্প। তার দুঃখজনক মৃত্যু সম্পর্কের মধ্যে বিশ্বাস, যোগাযোগ এবং বিচক্ষণতার গুরুত্ব তুলে ধরে। ওথেলোর গল্প আমাদের মনে করিয়ে দেয় যে ভালোবাসা বিধ্বংসী ফলাফলের দিকে নিয়ে যেতে পারে যদি জ্ঞানের সাথে কাজ না করা হয়।
আরো পড়ুন: Discuss the Element of Fate in Othello.
উপসংহারে, “Othello” একটি নিরবধি মাস্টারপিস (নাটক)। নাটকটি মানুষের আবেগের গভীরতা এবং সম্পর্কের জটিলতার মধ্যে প্রবেশ করে। ওথেলোর মর্মান্তিক যাত্রা আমাদের অনিয়ন্ত্রিত ঈর্ষার বিপদ এবং বিশ্বাস ও ভালবাসার ক্ষেত্রে জ্ঞানের গুরুত্বের কথা মনে করিয়ে দেয়। ওথেলোর শেষ কথার দ্বারা আমরা বুদ্ধিমত্তাহীন খুব বেশি ভালোবাসার পরিণতি সম্পর্কে একটি বিষণ্ণ প্রতিফলন পাই।