সামাজিক নিরাপত্তা বা মূল্যবোধ বলতে কী বোঝ?
ভুমিকা: সামাজিক নিরাপত্তা বিশ্বব্যাপী সামাজিক কল্যাণ ব্যবস্থায় একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হিসাবে দাঁড়িয়েছে। এটি মূলত জীবনের গুরুত্বপূর্ণ পর্যায়ে আর্থিক সহায়তা প্রদানের মাধ্যমে অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তাকে নির্দেশ করে। সামাজিক নিরাপত্তা ১৯০০-এর দশকে অর্থ সমস্যার কারণে শুরু হয়েছিল৷ এখন, অবসর গ্রহণ, অক্ষমতা, এবং চাকরি না থাকা ইত্যাদি বিষয়ে সাহায্য করার জন্য সরকার পরিচালিত অনেক পদক্ষেপ অন্তর্ভুক্ত হয়েছে৷ এই সম্মিলিত পদ্ধতির মাধ্যমে, সামাজিক নিরাপত্তা এবং স্থিতিশীলতা বৃদ্ধি করে।
সামাজিক নিরাপত্তার বলতে যা বুঝায়: নিম্নে সামাজিক নিরাপত্তা বিষয়ে কতিপয় মনীষীদের এবং সংস্থার মন্তব্য দেয়া হলো:
ILO বা আন্তর্জাতিক শ্রমসংস্থা: “সামাজিক নিরাপত্তা হল এমন একটি নিরাপত্তা যা যথোপযুক্ত প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে সমাজকর্তৃক প্রদান করা হয় যখন মানুষ বিশেষ বিপদাপদের সম্মুখীন হয়। এসব বিপদাপদ এমনকি আকস্মিক দুর্ঘটনা যে স্বল্প আয়ের ব্যক্তিবর্গ স্বীয় সামর্থ্য ও উদ্যোগের দ্বারা মোকাবিলা করতে অপরাগ।”
স্যার উইলিয়াম বিভারেজ: “বেকারত্ব, অসুস্থতা বা দুর্ঘটনা, বৃদ্ধ বয়সে চাকরি থেকে অবসর গ্রহণ, পরিবারের উপার্জনশীল ব্যক্তির মৃত্যু অথবা জন্ম, মৃত্যু ও বিয়ের সময় অস্বাভাবিক ব্যয় নির্বাহের জন্য কোন পরিবারের উপার্জন বা আয়ের পথ বন্ধ হলে যে কর্মসূচির মাধ্যমে তাদের উপার্জন বা আয়ের নিশ্চয়তা দান করা হয় তাই সামাজিক নিরাপত্তা।”
W. A. Friedlander: “অসুস্থতা, বেকারত্ব, উপার্জনকারীর মৃত্যু, বার্ধক্য কিংবা নির্ভরশীলদের অক্ষমতা এবং দুর্ঘটনা ইত্যাদি যখন ব্যক্তি তার নিজের চেষ্টায় মোকাবিলা করতে পারে না তখন সামাজিক আইনের মাধ্যমে যেসব প্রতিরক্ষামূলক কর্মসূচি গ্রহণ করা হয় তাকেই সামাজিক নিরাপত্তা বলে।”
উপসংহার: সামাজিক নিরাপত্তা হলো একটি নিরাপত্তা চাদরের বা সাহায্যকারী হাতের মতো যখন মানুষেরা কাজ করতে পারে না বৃদ্ধ বা অসুস্থ হওয়ার কারনে তখন এটি তাদের সাহায্য করে। এটি প্রত্যেকের একে অপরকে সাহায্য করার একটি উত্তম উপায়। সুতরাং,এটি আমাদের সুরক্ষিত রাখে এবং আমাদের একে অপরের যত্ন নিতে সাহায্য করে।
