এমার্শন বলেছেন যে আমেরিকান স্কলাররা শিখবে প্রকৃতি থেকে বই থেকে এবং তার লেখাগুলো থেকে। তার মতে বই থেকে শুধুমাত্র সে সকল বিষয়গুলো গ্রহণ করতে হবে যেগুলো চলমান সময়ের সাথে যথোপযুক্ত ভাবে যায় সেগুলো।
পৃথিবীতে সবচেয়ে মূল্যবান সম্পদ হচ্ছে একটি অ্যাক্টিভ সোল। লেখকের মতে তাই এই মূল্যবান সম্পদ আত্মাকে কখনো বইয়ের দাসে পরিণত করা উচিত নয়। বই মূলত অবসর সময়ে পড়ার জন্য। চষার মাররভেল এবং ড্রাইডেন তাদের লেখার মাধ্যমে আমাদের অনেক কিছুই দিয়ে গেছেন কিন্তু সেগুলোর মধ্যে থেকে শুধুমাত্র যুগের সাথে উপযোগী অংশগুলোয় গ্রহণ করতে হবে বাকিগুলো গ্রহণ করা উচিত নয়।
কোন যুগের লেখক এরাই একেবারে তার লেখার মাধ্যমে স্বয়ংসম্পূর্ণ তথ্য তুলে ধরতে পারে না। কোন লেখকের লেখায় তার সমসাময়িক সময়ের জন্য যতটা উপযুক্ত হবে ভবিষ্যতের জন্য ততটা উপযুক্ত হবে না। সুতরাং অতীতের লেখা বইগুলো ভবিষ্যতে খুব কম কাজে লাগে। কারণ এটা বুঝতে হবে যে অতীতের সময় এবং বর্তমান সময় এর মধ্যে অনেক বেশি পার্থক্য রয়েছে।
More: Content Style of American Scholar
স্কলারদের মধ্যে তারাই সবচেয়ে উত্তম পর্যায়ে রয়েছে যারা সামনের দিকে চিন্তাভাবনার মাধ্যমে অগ্রসর হয়।। কিন্তু পূর্বে লেখা বই গুলো সাধারণত অতীতের কথাই বলে থাকে যার দ্বারা জ্ঞান অর্জন করা সম্ভব কিন্তু ক্রিয়েটিভিটি দেখানো সম্ভব হয় না। উদাহরণ হিসেবে শেক্সপিয়ার যখন তার নাটকগুলো লিখেছেন তখন তার সময় থেকে আগামী ২০০ বছর শেক্সপিয়র এর গণ্ডি থেকে অন্যান্য লেখকেরা বের হতে পারেননি। এতে করে মানুষ নতুনত্বের স্বাদ থেকে বঞ্চিত হয়েছে। বই থেকে সংগৃহীত জ্ঞান তখনই সার্থক হবে যখন একজন ব্যক্তি সেই জ্ঞানকে কাজে লাগিয়ে বর্তমান সময়ের জন্য এবং তার নিজের জন্য নতুন কিছু করবে।
তো এখানে মূলত বই এর গুরুত্ব ও প্রভাব বোঝানো হয়েছে।
1.Books as a source of knowledge and inspiration
বই মানুষকে জ্ঞান এবং উৎসাহ দেয়। বইয়ের মাধ্যমে মানুষ অনেক জ্ঞান অর্জন করতে পারে। বিশেষ করে গভীরভাবে অধ্যায়ন করার মাধ্যমে মানুষ অনেক অজানা বিষয় আবিষ্কার করে এবং জ্ঞানের দিক থেকে সমৃদ্ধ হয়। বইয়ের জ্ঞানকে কাজে লাগিয়ে মানুষ নতুন কিছু করার উৎসাহ পায়।
2. Books as a means of communication
বই অতীত এবং বর্তমানের মধ্যে একটা কানেকশন দেখায়। অর্থাৎ বই পড়ার মাধ্যমে অতীতের এবং বর্তমানের অনেক বিষয় সম্পর্কে জানা সম্ভব হয়। আবার প্রত্যেকটা বই এর মধ্যে একটা সম্পর্ক রয়েছে। আর এই সম্পর্কটা দেখানো হয়েছে মোরাল সেন্স থেকে। তো এই জন্য প্রতিটা বই একে অন্যের সাথে সম্পৃক্ত।
3. Books as a way to cultivate the mind
বইয়ের মাধ্যমে মানুষ নিজের ব্রেইন কালটিভেট করে। আসলে মানুষ যত বই পড়ে সে তত বেশি সমৃদ্ধ হয়। অজানা অনেক কিছু জানতে পারে। এজন্য ব্রেইন এর কালটিভেট করতে এমারসন এর মতে বই পড়া প্রয়োজন।
4. Books as a way to develop individuality
বই পড়ার মাধ্যমে মানুষ নিজে অনেক সমৃদ্ধ হয়। এমারসন এখানে বেকন, সিসারো এর নাম উল্লেখ করেছেন। বই পড়ার একজন স্কলার অন্যের জ্ঞান আহরণ করে, তবে নিজে সমৃদ্ধ হয়।
5. Access to the wisdom of the past
বই পড়ার মাধ্যমে মানুষ অতীত সম্পর্কে জানতে পারে। জ্ঞান তখন কাজে লাগাতে পারে। এবং অতীত ও বর্তমানের মধ্যে একটা সাদৃশ্য ও বৈসাদৃশ্য দেখাতে পারে।