এমারসন এর মতে প্রকৃতি এবং মানব জীবন একই সূত্র থেকে বেড়ে ওঠা দুইটি প্রশাখা। প্রকৃতি এমন একটি উৎস যেখানে কোন লিমিটেশন নাই যার কোন শেষ নাই যার কোন শুরু নাই। আপনি প্রকৃতি থেকে যতই গ্রহণ করতে পারবেন ততই প্রকৃতি আপনাকে দিতে থাকবে। অনভিজ্ঞ আত্মা প্রকৃতির এই গুন সম্পর্কে কখনোই জানতে পারবে না।
আমরা খেয়াল করলে দেখতে পাবো যে প্রতিদিন একই সময়ে সূর্য ওঠে এবং সূর্য অস্ত যায়।। আবার রাতের আকাশে প্রতিনিয়ত জ্বলজ্বল করে তারা। সীমাহীন বাতাস বয় এবং রাস্তার আশেপাশে সবুজ ঘাস জন্ম নেয় মরে যায় এবং আবার জন্ম নেয়।। প্রকৃতির এই কার্য সম্পাদন হয় নির্দিষ্ট একটি নিয়মের মধ্যে থেকে যা মূলত মানুষের মাঝেও বিদ্যমান। এই নিয়মগুলো মানুষের মনের ভেতর থেকেই উঠে এসেছে। যেগুলো প্রকৃতিতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকলেও একটি নির্দিষ্ট নিয়ম দ্বারা নিয়ন্ত্রিত।
আরোঃ Books are the Best of Things, Well Used; Abused, Among the worst
তার মতে প্রকৃতির ওপরে পড়াশোনার মাধ্যমে মানুষ গভীরভাবে চিন্তা করার শক্তি লাভ করতে পারে এবং তার ভেতরে স্বাধীনভাবে চিন্তা করার সৃজনশীল সৃষ্টি করার এবং নিজের ইন্টেলেকচুয়াল স্বাধীনতা বৃদ্ধি করার ক্ষমতা সৃষ্টি হয়।
যখন আমেরিকান স্কলাররা প্রকৃতির সংস্পর্শে আসবে তখন তাদের ভেতরে নৈতিক চিন্তা চেতনার উন্নতি ঘটবে এবং তারা সৌন্দর্য এবং মরালিটির প্রতি উচ্চমাত্রার চিন্তাভাবনা করার শক্তি খুঁজে পাবে।
মোটকথা এমারসন বলতে চেয়েছেন যে প্রভৃতির প্রভাবে প্রভাবিত হয়ে আমেরিকান স্কলাররা তাদের ইন্টেলেকচুয়াল পাওয়ার বৃদ্ধির মাধ্যমে চিরাগত এবং গভীর থেকে গভীর তম চিন্তাভাবনা করতে পারবেন যার মাধ্যমে তারা এমন কিছু অর্জন করবেন যেগুলো তাদেরকে সারা পৃথিবীর বুকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ লিডার এবং ফিলোসফার হিসেবে পরিচয় করিয়ে দেবে।
এই প্রশ্ন মূলত একজন আমেরিকান স্কলারের উপরে প্রকৃতির কি প্রভাব রয়েছে সে সম্পর্কে।
1.Nature as a source of inspiration:
আমেরিকান স্কলারের উপরে প্রকৃতির প্রভাব সবচেয়ে বেশি। এমারসন বিশ্বাস করেন যে , প্রকৃতি হচ্ছে জ্ঞানের প্রধান উৎস। প্রকৃতি আমাদের অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে শিক্ষা দেয়। মোরাল লেসন দেয়। এমারসন এর মতে প্রকৃত আমেরিকান স্কলার প্রকৃতি থেকে শিক্ষা নেয়। সে জীবনের প্রকৃত অর্থ প্রকৃতির কাছ থেকে জানতে পারে।
2. Nature as a teacher:
প্রকৃতি মানুষের সবচেয়ে বড় শিক্ষক। প্রকৃতির কাছ থেকে মানুষ সকল ধরনের শিক্ষা পায়। হতে পারে এটা মোরাল অথবা স্পিরিচুয়াল।
3. The importance of solitude in nature:
এমারসন বলেছেন মানুষ শহরের কোলাহল ছেড়ে প্রকৃতির কাছে গিয়ে আত্মার শান্তি পায় ও অনুভব করে। এতে করে সে আরো গভীর ভাবে জীবনকে উপলব্ধি করতে পারে ও জীবনের তাৎপর্য বুঝতে পারে।
4.Nature as a Means of Self-Discovery:
প্রকৃতির সান্নিধ্যে মানুষ নিজেকে খুঁজে পায়। নিজের হৃদয়ের প্রশান্তি খুঁজে পায়। আর জীবনের প্রকৃত অর্থ বুঝতে পারে। এতে করে নতুন করে নিজেকে মানুষ চিনতে শুরু করে। বুঝতে পারে তার আসল পরিচয়।
5. Nature as a healer of Heart
প্রকৃতি অসুস্থ হৃদয়ে আরোগ্য দেয়। প্রকৃতি হচ্ছে মায়ের স্বরূপ। কর্ম মানুষের জীবনকে একদম ম্যাটারিয়ালিস্টিক করে তোলে। সেই হৃদয়ের আরোগ্য দেয় প্রকৃতি।