What according to Virginia Woolf are the barriers that woman faced to become a writer
তো এই প্রশ্নতে বলা হয়েছে ভার্জিনিয়া ওলফ এর মতে মেয়েরা লেখক হওয়ার পথে কোন কোন বাধার সম্মুখীন হয়। আসলে Shakespeare’s Sister এই সম্পূর্ণ প্রবন্ধের প্রায় সবগুলো প্রশ্নের উত্তর একই রকম পয়েন্ট এর ওপর নির্ভর করবে।
তো চলুন এই প্রশ্ন অনুসারে লেখক হওয়ার পথে মেয়েদের যেসব বাঁধার সম্মুখীন হতে হয়, সেসব দেখা যাক,
- Gender Discrimination
মেয়েদের সামাজিকভাবে ছেলেদের সমান মনে করা হয় না। তাই ছেলে মেয়ের বৈষম্য দেখা যায়। আর এই প্রভাবটা সাহিত্য লেখার ক্ষেত্রেও পড়ে। ভার্জিনিয়া ওলফ এমন কথা পর্যন্ত বলেছেন যে, যেই পুরুষ কোনো দিন সাহিত্য লেখেনি, সেও এলিজাবেথান পিরিয়ডে একটা হলেও কবিতা লিখেছে। কিন্তু মেয়েরা এক্ষেত্রে সাহিত্য চর্চা করতে পারেনি।
2. Male domination
এলিজাবেদান পিরিয়ড বা বর্তমানেও দেখা যায় যে মেয়েরা পুরুষদের দ্বারা শাসিত। পরিবারের প্রধান হচ্ছে পুরুষ। অর্থাৎ পুরুষতান্ত্রিক পরিবার সব জায়গায় দেখা যায়। সেই পরিবারে মেয়েদেরকে ডমিনেট করা হয়। আবার সমাজে, অর্থনৈতিকভাবে, রাজনৈতিকভাবে ও মনস্তাত্ত্বিকভাবেও মেয়েদের ডমিনেট করা হয়।
3.Lack of role models
এটা একটা গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট যে, মেয়েদের মধ্যে কোন রোল মডেল নেই, বা এলিজাবেথান পিরিয়ডে ছিল না। যদি এমন কোন সাকসেসফুল মহিলা লেখক থাকতো, তাহলে তখন তাকে অন্যান্য মহিলারা অনুসরণ করতো। এতে করে সাহিত্যে মেয়েদের অংশগ্রহণ বেড়ে যেত। কিন্তু এমন একটিও মহিলার অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যায় না।
4.Social expectations and restrictions
সামাজিকভাবে এটা আশা করা হয় যে, মেয়েরা ঘরে থাকবে এবং বাচ্চা উৎপাদন করবে। অর্থাৎ মেয়েদেরকে বাচ্চা উৎপাদনের মেশিন মনে করা হয়। সমাজ মেয়েদেরকে স্বাধীনতা দেয়নি। অনেক বিষয়ের প্রতি প্রতিবন্ধকতা লাগিয়ে রেখেছে। যেমন, পড়ালেখা করা যাবে না, টাকা উপার্জনের দরকার নেই, সাহিত্য চর্চার কোন প্রয়োজন নেই। এই প্রবন্ধে শেক্সপিয়ারের ইমাজিনারি বোন, জুদিথ এর ওপরে এমন নিষেধাজ্ঞা দেখা যাচ্ছিল।
5. Economic dependence
মেয়েদের সাহিত্য জগতে সমৃদ্ধি অর্জন করতে হলে অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধি অর্জন করতে হবে। কারণ সাহিত্য চর্চার জন্য তাদেরকে বিভিন্ন জায়গায় যাওয়ার প্রয়োজন হতে পারে। মন খারাপ হলে কোথাও ঘুরে আসার প্রয়োজন হতে পারে। কিন্তু সেজন্য প্রয়োজন অর্থ। যেইটা জোগাড় করা মেয়েদের পক্ষে কোনভাবেই সম্ভব ছিল না। কারণ মেয়েদের চাকরি বা ব্যবসার ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার দেওয়া হতো না। ঘরের মধ্যে বন্দি করে রাখা হতো।
6. Lack of individual freedom
মেয়েদের ব্যক্তিগত স্বাধীনতা ছিল না। বিয়ের আগে তারা বাবা ও ভাইয়ের অধীনে ছিল। আর বিয়ের পরে স্বামীর অধীনে। পড়ালেখার ক্ষেত্রে পরিবার থেকে বাধা দেওয়া হতো। এজন্য তারা সাহিত্যচর্চার সুযোগ পেতো না। কিন্তু সাহিত্যচর্চা এবং সাহিত্যে অবদান রাখার ক্ষেত্রে ব্যক্তিগত স্বাধীনতা সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
7. No opportunity for Education
একজন মানুষ শিক্ষিত হলে, সে সাহিত্য জগতে অনেক বেশি অগ্রসর হতে পারে। যদিও এক্ষেত্রে সাহিত্যের প্রতি আলাদা একটা অনুরাগ থাকতে হয়। তবে শিক্ষার প্রয়োজন সর্বজনীন। শিক্ষা গ্রহণ করার মাধ্যমে মেয়েরা অনেক বিষয়ে জানতে পারবে। আর এতেই তো তারা সাহিত্যচর্চা শুরু করতে পারবে। কিন্তু মেয়েদেরকে এলিজাবেথান পিরিয়ডে শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত করা হতো।
More: Civil Disobedience
8. Naked criticism
সবচেয়ে জঘন্যতম একটা সমস্যা হচ্ছে খারাপ ভাবে সমালোচনা করা। একটা মেয়ে এত বাধার পরেও যখন সাহিত্যচর্চা করতো ও সাহিত্য অবদান রাখার চেষ্টা করতো, তখন তার খুব খারাপ ভাবে সমালোচনা করা হতো। এমনকি সবচেয়ে জ্ঞানী মহিলাকেও সবচেয়ে কম জ্ঞানী পুরুষের চেয়েও নিকৃষ্ট হিসেবে দেখানো হয়েছে। এখানে অস্কার ব্রাউনিং এর একটা কোটেশন দেওয়া হয়েছে,
” The most intelligent of woman is inferior to the least intelligent of man”