Crime and Punishment Bangla Summary

Crime and Punishment

সংক্ষিপ্ত জীবনী: ফিওডর ডস্তয়েভস্কি (Fyodor Dostoevsky)

ফিওডর মিখাইলোভিচ ডস্তয়েভস্কি ১৮২১ সালের ১১ নভেম্বর রাশিয়ার মস্কো শহরে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ছিলেন ১৯শ শতাব্দীর অন্যতম শ্রেষ্ঠ ঔপন্যাসিক এবং দার্শনিক চিন্তাধারার লেখক। তাঁর বাবা ছিলেন একজন চিকিৎসক এবং পরিবার ছিল মধ্যবিত্ত। শৈশব থেকেই তিনি সাহিত্য ও দর্শনের প্রতি আকৃষ্ট হন। তিনি সেন্ট পিটার্সবার্গ ইঞ্জিনিয়ারিং একাডেমিতে পড়াশোনা করেন। তবে অল্প বয়সেই সাহিত্যজগতে প্রবেশ করেন। তাঁর প্রথম উপন্যাস Poor Folk (১৮৪৬) প্রকাশিত হলে সমালোচকেরা তাকে “গগলের উত্তরসূরি” হিসেবে প্রশংসা করেন। তবে তাঁর জীবন ছিল কঠিন ও দুঃখময়। তিনি রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে যুক্ত থাকার জন্য গ্রেপ্তার হন এবং মৃত্যুদণ্ডাদেশ পান। শেষ মুহূর্তে সেই শাস্তি বাতিল করে তাঁকে সাইবেরিয়ার শ্রমশিবিরে পাঠানো হয়। এই অভিজ্ঞতা তাঁর জীবনে ও রচনায় গভীর প্রভাব ফেলে। দস্তয়েভস্কির উপন্যাসগুলোতে মানুষের আত্মার গভীর অন্ধকার দিক, বিশ্বাস, নৈতিক সংকট এবং অপরাধ–শাস্তির জটিলতা ফুটে ওঠে। তাঁর বিখ্যাত রচনাগুলোর মধ্যে রয়েছে:

  • Crime and Punishment (১৮৬৬) – দরিদ্র ছাত্র রাস্কলনিকভ হত্যাকাণ্ড করে এবং পরে অপরাধবোধ ও নৈতিক সংকটে ভোগে।
  • The Idiot (১৮৬৯) – সরল ও নিষ্পাপ প্রিন্স মিশকিনের মাধ্যমে দেখানো হয়েছে এক নিষ্ঠুর সমাজ।
  • Demons / The Possessed (১৮৭২) – রাশিয়ার রাজনৈতিক উন্মাদনা ও নৈরাজ্যকে কেন্দ্র করে লেখা।
  • The Brothers Karamazov (১৮৮০) – আধ্যাত্মিক প্রশ্ন, পিতৃহত্যা এবং নৈতিক সংকটকে কেন্দ্র করে তাঁর শ্রেষ্ঠ রচনা।

তিনি জীবনে দারিদ্র্য, জুয়া খেলার আসক্তি এবং অসুস্থতায় ভুগেছেন। কিন্তু এসব কষ্টই তাঁর লেখাকে করেছে আরও বাস্তব ও দার্শনিক। ফিওডর ডস্তয়েভস্কি ১৮৮১ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি সেন্ট পিটার্সবার্গে মৃত্যুবরণ করেন। তাঁকে আজও “মনস্তাত্ত্বিক উপন্যাসের জনক” বলা হয়। তিনি মানুষের মনের জটিলতা এবং ঈশ্বর, নৈতিকতা ও স্বাধীনতার গভীর প্রশ্নকে সাহিত্যিক উচ্চতায় নিয়ে গেছেন।

আরো পড়ুনঃ Mother Courage and Her Children Bangla Summary

Key Facts

  • Full Title: Crime and Punishment
  • Original Title: Преступление и наказание (Prestupleniye i nakazaniye, Russian)
  • Author: Fyodor Dostoevsky (1821–1881)
  • Title of the Author: Russian Novelist, Short Story Writer, Essayist, Philosopher, “Psychologist of the Human Soul”
  • Source: Inspired by Dostoevsky’s own poverty, moral struggles, religious faith, and his observations of crime, punishment, and social injustice in St. Petersburg.
  • Written Time: 1865 (conceived during Dostoevsky’s financial crisis and personal hardships)
  • First Published: 1866 (serially in The Russian Messenger)
  • Publisher: The Russian Messenger (Mikhail Katkov, editor)
  • Genre: Psychological Realism / Philosophical Novel / Moral & Social Tragedy
  • Form: Novel, divided into six parts and an epilogue (structured as crime, mental torment, confession, and redemption).
  • Structure: Linear narrative with deep psychological monologues; explores conscience, guilt, morality, and redemption through intense inner dialogues.
  • Tone: Dark, tense, psychological, philosophical, and redemptive; blends realism with moral and religious symbolism.
  • Point of View: Third-person omniscient, but heavily focused on the inner consciousness of Raskolnikov (stream of consciousness style).
  • Significance: A cornerstone of Russian and world literature; pioneer of the psychological novel; examines alienation, morality, justice, and the possibility of redemption through suffering.
  • Language: Russian
  • Famous Line: “Pain and suffering are always inevitable for a large intelligence and a deep heart.”
  • Setting:
  • Time Setting: Mid-19th century (contemporary St. Petersburg society before major Russian reforms).
  • Place Setting: St. Petersburg, Russia, mainly in cramped apartments, streets, taverns, and prisons, symbolizing poverty and moral decay.

Key Notes – বাংলা (Crime and Punishment)

  • মূল নাম (Original Title) – Преступление и наказание: উপন্যাসটির রুশ মূল নাম হলো Prestupleniye i nakazaniye, যার অর্থ “অপরাধ ও শাস্তি।” দস্তয়েভস্কি এটি ১৮৬৫ সালে লেখা শুরু করেন এবং ১৮৬৬ সালে প্রথমে The Russian Messenger পত্রিকায় ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত হয়।
  • Crime and Punishment – নামের তাৎপর্য: “অপরাধ” মানে রাস্কলনিকভের (Raskolnikov) খুন করা এবং “শাস্তি” মানে তার মানসিক যন্ত্রণা, অপরাধবোধ, এবং অবশেষে আইনগত ও আধ্যাত্মিক দণ্ড। নামটি শুধু বাহ্যিক আইনগত শাস্তিকে নয়, বরং মানসিক, নৈতিক ও ধর্মীয় শাস্তিকেও প্রতীকীভাবে বোঝায়।
  • রাস্কলনিকভের দ্বন্দ্ব: নায়ক রাস্কলনিকভ একজন দরিদ্র ছাত্র, যে বিশ্বাস করে অসাধারণ মানুষ অপরাধ করলেও সমাজের মঙ্গলের জন্য তা গ্রহণযোগ্য হতে পারে। কিন্তু বৃদ্ধ সুদখোর মহিলাকে হত্যা করার পর সে ভীষণ অপরাধবোধে ভোগে। এই দ্বন্দ্ব মানব-মনস্তত্ত্ব, নৈতিকতা ও ঈশ্বরবিশ্বাসের গভীর প্রশ্ন তুলে ধরে।

Crime and Punishment – Background (বাংলায়)

ফিওডর ডস্তয়েভস্কি ১৮৬৫ সালে “Crime and Punishment” লেখা শুরু করেন এবং ১৮৬৬ সালে এটি প্রথমে রাশিয়ার বিখ্যাত সাহিত্যপত্রিকা The Russian Messenger–এ ধারাবাহিকভাবে প্রকাশিত হয়। পরে এটি বই আকারে বের হয়। এই উপন্যাসের পেছনে ছিল ডস্তয়েভস্কির ব্যক্তিগত দুঃখ, ঋণগ্রস্ততা, জুয়ার আসক্তি এবং মানসিক দ্বন্দ্বের অভিজ্ঞতা। সাইবেরিয়ায় চার বছর কারাদণ্ড ও কঠিন শ্রমে কাটানো সময় এবং সেখানে দেখা অপরাধীদের জীবন তার চিন্তাধারায় গভীর ছাপ ফেলে। সেই অভিজ্ঞতাই তিনি এই উপন্যাসে শিল্পরূপে প্রকাশ করেন। Crime and Punishment–এর নায়ক রাস্কলনিকভ আসলে ডস্তয়েভস্কির দার্শনিক অনুসন্ধানের প্রতীক। রাস্কলনিকভ বিশ্বাস করে যে “অসাধারণ মানুষ” সাধারণ নৈতিক নিয়ম ভাঙলেও তা সমাজের মঙ্গলের জন্য ন্যায্য হতে পারে। এই ধারণার মধ্যেই ফুটে ওঠে ডস্তয়েভস্কির সময়কার রাশিয়ার রাজনৈতিক নৈরাজ্যবাদ, সামাজিক বৈষম্য এবং ধর্মীয় বিশ্বাসের দ্বন্দ্ব।

পিটার্সবার্গ শহরকে উপন্যাসের মূল পটভূমি হিসেবে নেওয়া হয়েছে। শহরের অন্ধকার গলি, ভিড়ভাট্টা, দারিদ্র্য ও অপরাধের পরিবেশ রাস্কলনিকভের মানসিক সংকট ও অপরাধবোধকে আরও তীব্র করে তোলে। এটি কেবল একটি খুনের কাহিনি নয়, বরং মানুষের অন্তরের নৈতিক লড়াই এবং ঈশ্বরবিশ্বাসের পরীক্ষার কাহিনি। উপন্যাসটি মূলত ছয়টি অংশ এবং একটি উপসংহারে বিভক্ত। প্রতিটি অংশে দেখা যায় অপরাধ করার পর রাস্কলনিকভ ধীরে ধীরে ভেঙে পড়ে, সমাজ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়, এবং অবশেষে নিজের অপরাধ স্বীকার করে শাস্তি গ্রহণ করে। এখানে “অপরাধ” শুধু খুন নয়, বরং মানুষের নৈতিক ভুল; আর “শাস্তি” শুধু কারাদণ্ড নয়, বরং অন্তরের অপরাধবোধ এবং কষ্টের মধ্য দিয়ে আধ্যাত্মিক মুক্তি লাভ। প্রকাশের পর থেকেই Crime and Punishment রুশ সাহিত্য এবং বিশ্বসাহিত্যে আলোড়ন তোলে। এটি পাঠকদের সামনে প্রথমবারের মতো এক গভীর মনস্তাত্ত্বিক উপন্যাস উপহার দেয়, যেখানে মানুষের অন্তর্জগৎ, অপরাধবোধ, নৈতিকতা ও মুক্তি নিয়ে অসাধারণ বিশ্লেষণ করা হয়েছে। আজও এই উপন্যাস শুধু একটি অপরাধকাহিনি নয়, বরং মানবজীবনের সত্য, সমাজের নির্মম বাস্তবতা এবং মুক্তির সম্ভাবনার এক দার্শনিক অনুসন্ধান হিসেবে বিবেচিত হয়।

চরিত্রসমূহ – Crime and Punishment

প্রধান চরিত্রসমূহ (Major Characters)

  • Rodion Romanovich Raskolnikov (রাস্কলনিকভ): উপন্যাসের কেন্দ্রীয় নায়ক। একজন দরিদ্র প্রাক্তন আইন শিক্ষার্থী, যে সেন্ট পিটার্সবার্গে বাস করে। সে বিশ্বাস করে “অসাধারণ মানুষ” নৈতিক নিয়ম ভাঙতে পারে। এই দর্শন প্রমাণ করতে গিয়ে সে বৃদ্ধ সুদখোর নারীকে হত্যা করে। কিন্তু অপরাধবোধ, মানসিক যন্ত্রণা ও দ্বন্দ্বে ভুগতে থাকে। শেষে সে অপরাধ স্বীকার করে এবং শাস্তি গ্রহণের মাধ্যমে মুক্তি খোঁজে। রাস্কলনিকভ মানুষের নৈতিক সংকট, অপরাধবোধ ও মুক্তির প্রতীক।
  • Sofya Semyonovna Marmeladov (সোফিয়া মর্মেলাদভ): ডাকনাম হিসেবে পরিবার ও অন্যরা তাকে সোনিয়া (Sonia) বলে ডাকে। এক দরিদ্র মেয়ের কন্যা, যাকে পরিবার চালাতে বাধ্য হয়ে দেহব্যবসায় নামতে হয়। রাস্কলনিকভের কাছে সে করুণা, ভালোবাসা ও ঈশ্বরবিশ্বাসের প্রতীক। তার সহানুভূতি ও আত্মত্যাগ রাস্কলনিকভকে আত্মসমর্পণে অনুপ্রাণিত করে।
  • Avdotya Romanovna Raskolnikova (ডানিয়া): রাস্কলনিকভের বোন। উপন্যাসে তাকে সাধারণত ডানিয়া (Dunya) নামেই ডাকা হয়। শক্ত চরিত্রের ও আত্মমর্যাদাবোধসম্পন্ন নারী। সে পারিবারিক দায়িত্ব নিতে চায় এবং প্রয়োজনে ত্যাগ স্বীকার করে। কিন্তু নিজের স্বাধীনতাকেও মূল্য দেয়। তার চরিত্রে নারীর সংগ্রাম, আত্মসম্মান ও দৃঢ়তার প্রকাশ আছে।
  • Arkady Ivanovich Svidrigailov (স্ভিদ্রিগাইলভ): ডানিয়ার প্রাক্তন নিয়োগকর্তা ও প্রলোভনসন্ধানী ধনী ব্যক্তি। তার চরিত্র জটিল। একদিকে ভোগবাদী ও পাপী, অন্যদিকে করুণার দিকও আছে। শেষ পর্যন্ত সে আত্মহত্যা করে। সে মানব চরিত্রের দ্বৈততা ও নৈতিক অস্পষ্টতার প্রতীক।
  • Dmitri Prokofych Razumikhin (রাযুমিখিন): রাস্কলনিকভের বন্ধু। সৎ, প্রাণবন্ত ও সহানুভূতিশীল যুবক। সে ডানিয়াকে ভালোবাসে এবং শেষ পর্যন্ত তার স্বামী হয়। তার চরিত্র মানবিকতা, বন্ধুত্ব ও ইতিবাচক শক্তির প্রতীক।

গৌণ চরিত্রসমূহ (Minor Characters)

  • Porfiry Petrovich (পোরফিরি পেত্রোভিচ): হত্যাকাণ্ড তদন্তকারী বুদ্ধিমান তদন্ত কর্মকর্তা। সে সরাসরি প্রমাণের বদলে মানসিক বিশ্লেষণ করে সত্য উদঘাটন করার চেষ্টা করে। তার চরিত্র ন্যায়বিচার, মনস্তত্ত্ব ও আইনের প্রতীক।
  • Pulcheria Alexandrovna (পুলখেরিয়া আলেকজান্দ্রভনা): রাস্কলনিকভের মা। স্নেহশীল ও আবেগপ্রবণ নারী, যিনি ছেলের ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তিত। তার চরিত্র মায়ের আত্মত্যাগ ও ভরসার প্রতীক।
  • Katerina Ivanovna Marmeladova (ক্যাটেরিনা ইভানোভনা): সোফিয়ার সৎমা। রোগাক্রান্ত, গর্বিত এবং কষ্টে ভরা এক নারী। দারিদ্র্যের মধ্যেও মর্যাদা বজায় রাখতে চায়। শেষ পর্যন্ত দারিদ্র্য ও অসুস্থতায় ভেঙে পড়ে।
  • Semyon Zakharovich Marmeladov (মর্মেলাদভ): সোফিয়ার পিতা। একজন মদ্যপ প্রাক্তন সরকারি কর্মচারী। দরিদ্রতা ও দুর্বলতা তাকে ধ্বংস করেছে। তার চরিত্র মানব দুর্বলতা, ব্যর্থতা ও করুণ বাস্তবতার প্রতীক।
  • Pyotr Petrovich Luzhin (লুজিন): একজন স্বার্থপর আইনজীবী, যে ডানিয়াকে বিয়ে করতে চায় তার উপর কর্তৃত্ব বিস্তার করার জন্য। তার চরিত্র ভণ্ডামি, স্বার্থপরতা ও সমাজের লোভী দিকের প্রতিফলন।
  • Andrei Semyonovich Lebezyatnikov (লেবেজিয়াতিকভ): লুজিনের ভাড়াটে ও সমাজ সংস্কারক। তার চরিত্রে সেই সময়কার রাশিয়ার প্রগতিশীল চিন্তার অগভীরতা ও হাস্যকর দিক প্রকাশ পায়।

পরিবার ও সম্পর্ক

  • Raskolnikov Family (রাস্কলনিকভ পরিবার): রাস্কলনিকভ, ডানিয়া এবং তাদের মা পুলখেরিয়া, এই পরিবার কাহিনির আবেগময় কেন্দ্র। পরিবারের টানাপোড়েন, আত্মত্যাগ এবং ভবিষ্যতের আশাই কাহিনিকে এগিয়ে নিয়ে যায়।
  • Marmeladov Family (মর্মেলাদভ পরিবার): সোফিয়া, তার পিতা মর্মেলাদভ, সৎমা ক্যাটেরিনা এবং ছোট ভাইবোনেরা দারিদ্র্য ও কষ্টের প্রতীক। তাদের জীবন রাস্কলনিকভের অপরাধবোধ ও পরিশেষে আত্মসমর্পণের প্রেরণা তৈরি করে।

বাংলা Plot সামারি

শুরু ও থিওরি: Rodion Romanovich Raskolnikov (রাস্কলনিকভ) উপন্যাস Crime and Punishment এর প্রধান চরিত্র। সে একজন তরুণ। সে শিক্ষিত, বুদ্ধিমান এবং সুদর্শন। একসময় আইন নিয়ে পড়াশোনা করেছিল। কিন্তু দরিদ্রতার কারণে পড়াশোনা ছেড়ে দেয়। তার চাকরি নেই। সে হতাশা আর দারিদ্র্যে ভুগছে। রাস্কলনিকভ সেন্ট পিটার্সবার্গ শহরে থাকে। শহরের ভিড়ভাট্টা, মলিন রাস্তা, এবং দারিদ্র্যতা তাকে আরও বিষণ্ন করে তোলে। সে একটি পুরনো বিল্ডিংয়ের চিলেকোঠায় থাকে। ঘরটি ছোট, অন্ধকার এবং অস্বস্তিকর। সেই ঘর তার একাকীত্ব আর সমাজ থেকে বিচ্ছিন্নতাকে প্রকাশ করে। সে সবসময় ভাবনায় ডুবে থাকে।

তার ভেতরে একটি অদ্ভুত দর্শন জন্ম নেয়। সে মনে করে সব মানুষ দুই ভাগে বিভক্ত। একদল সাধারণ মানুষ। আরেক দল অসাধারণ মানুষ। সাধারণ মানুষরা নিয়ম মানে। তারা সবসময় ভয় পায়। তারা সমাজের দেওয়া সীমার ভেতরেই থাকে। তারা ইতিহাসে কোনো চিহ্ন রেখে যেতে পারে না। অন্যদিকে অসাধারণ মানুষদের কাজ ভিন্ন। তারা নিয়ম ভাঙতে পারে। তারা প্রয়োজনে অপরাধও করতে পারে। তাদের কাজের উদ্দেশ্য বড়। যদি অপরাধের মাধ্যমে সমাজে উপকার হয়, তবে তা গ্রহণযোগ্য। রাস্কলনিকভ ভাবে এই ধরণের মানুষই ইতিহাস বদলে দেয়। যেমন নেপোলিয়ন।

রাস্কলনিকভ ভাবে সেও এমন একজন। তারও অধিকার আছে নিয়ম ভাঙার। তার অধিকার আছে খুন করার। কারণ সে বিশ্বাস করে এতে মানুষের মঙ্গল হতে পারে। এই চিন্তাই তাকে বিভ্রান্ত করে। তার অহংকার ও হতাশা মিলিয়ে এক অদ্ভুত দ্বন্দ্ব তৈরি হয়। সে নিজেকে সাধারণ মানুষের কাতারে ফেলতে চায় না। সে ভাবে তার জ্ঞান, তার শক্তি, তার সাহস সবই অন্যদের থেকে আলাদা। এই ভ্রান্ত ধারণাই ধীরে ধীরে তাকে অপরাধের দিকে ঠেলে দেয়। এখান থেকেই উপন্যাসের প্রধান কাহিনি শুরু হয়।

আরো পড়ুনঃ The Outsider Bangla Summary

অ্যালিওনা ও হত্যাকাণ্ড: Alyona Ivanovna (অ্যালিওনা ইভানোভনা) ছিলেন এক বৃদ্ধা pawnbroker। তিনি মানুষের জিনিসপত্র বন্ধক রেখে সামান্য টাকা দিতেন। কিন্তু সুদের হার ছিল অনেক বেশি। দরিদ্র মানুষ তার কাছে টাকা নিতে বাধ্য হতো। কিন্তু ঋণ শোধ করতে না পারলে তারা সর্বস্ব হারাতো। এ কারণে মানুষ তাকে ঘৃণা করত। Lizaveta Ivanovna (লিজাভেতা) ছিল অ্যালিওনার সৎবোন। সে ছিল লম্বা, ভীরু এবং শ্রমজীবী নারী। সে নিজের উপার্জন বোনের হাতে তুলে দিত। অ্যালিওনা তাকে প্রায়ই মারধর করত এবং অপমান করত। Lizaveta ছিল একেবারে নিরুপায়।

Raskolnikov (রাস্কলনিকভ) প্রথম দিন ঘড়ি বন্ধক রেখে অ্যালিওনার কাছে টাকা ধার করে। সেই দিন থেকেই তার মনে হত্যার বীজ জন্মায়। সে ভাবে অ্যালিওনা সমাজের জন্য ক্ষতিকর। তার মৃত্যু হলে অনেক দরিদ্র মানুষের মুক্তি ঘটবে। সে বিশ্বাস করে, যদি সে অ্যালিওনাকে হত্যা করে, তবে তার থিওরি সত্য প্রমাণিত হবে। একদিন রাস্কলনিকভ হঠাৎ রাস্তায় শুনে ফেলে Lizaveta পরের দিন সন্ধ্যা সাতটায় বাইরে থাকবে। তখন অ্যালিওনা একা থাকবে। এই খবর শুনে রাস্কলনিকভ উত্তেজিত হয়ে ওঠে। সে মনে করে এটাই তার সুযোগ।

পরদিন সন্ধ্যায় সে সাবধানে অ্যালিওনার ফ্ল্যাটে প্রবেশ করে। দরজার কাছে গিয়ে কুঠার বের করে। অ্যালিওনা কিছু বুঝে ওঠার আগেই সে তাকে কুপিয়ে হত্যা করে। হত্যার পর ঘরে খোঁজাখুঁজি করতে গিয়ে হঠাৎ Lizaveta ঢুকে পড়ে। সে চোখের সামনে সব দেখে ফেলে। Lizaveta আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। তখন রাস্কলনিকভ ভয় পেয়ে যায়। তার পরিকল্পনায় Lizaveta ছিল না। কিন্তু নিজের গোপনীয়তা রক্ষার জন্য তাকেও হত্যা করে। এই দ্বিগুণ হত্যাকাণ্ডের পর রাস্কলনিকভ কাঁপতে কাঁপতে ঘর ছেড়ে বেরিয়ে আসে। তার মাথা ভরে যায় ভয়, বিভ্রান্তি এবং অপরাধবোধে। এখান থেকেই শুরু হয় তার মানসিক যন্ত্রণা।

মর্মেলাদভ পরিবার ও সোফিয়া: Raskolnikov (রাস্কলনিকভ) একদিন মদের দোকানে দেখা পায় Semyon Zakharovich Marmeladov (মর্মেলাদভ)-এর। মর্মেলাদভ একজন প্রাক্তন সরকারি কর্মচারী। কিন্তু সে একেবারে ভেঙে পড়েছে। এখন সে মদে আসক্ত। সব টাকা নষ্ট করে ফেলে। নিজের পরিবারকে অভুক্ত রাখে। সে নিজের দুঃখ রাস্কলনিকভকে খুলে বলে। সে বলে তার স্ত্রী, সন্তান, আর সৎকন্যা কীভাবে কষ্টে আছে। রাস্তা পার হতে গিয়ে মর্মেলাদভ একদিন দুর্ঘটনার শিকার হয়। তখন রাস্কলনিকভ তাকে ধরে তার বাসায় পৌঁছে দেয়। এই সময় তার দেখা হয় Katerina Ivanovna Marmeladova (ক্যাটেরিনা ইভানোভনা)-এর সাথে। তিনি মর্মেলাদভের স্ত্রী। তিনি রোগাক্রান্ত, দুর্বল এবং দারিদ্র্যে জর্জরিত। তবু তিনি নিজের মর্যাদা রক্ষা করার চেষ্টা করেন। কিন্তু স্বামীর আসক্তি আর দারিদ্র্যতার চাপে তিনি অসহায়।

সেখানেই রাস্কলনিকভ পরিচিত হয় Sofya Semyonovna Marmeladov (সোফিয়া মর্মেলাদভ)-এর সাথে। সোফিয়া ছিল মর্মেলাদভের মেয়ে। দারিদ্র্যের চাপে সে পতিতাবৃত্তি শুরু করেছে। পরিবারের ছোট বাচ্চাদের খাবার জোগাতে সে নিজের জীবন উৎসর্গ করেছে। যদিও তার জীবন কষ্টে ভরা, তবু তার হৃদয় ভরা বিশ্বাস, করুণা আর ঈশ্বরভক্তিতে। সোফিয়ার চরিত্র অন্যদের থেকে আলাদা। সে দারিদ্র্যের মধ্যেও ভেঙে পড়ে না। তার ভেতরে আত্মত্যাগ, ধৈর্য আর নিখাদ ভালোবাসা আছে। রাস্কলনিকভ প্রথমে তাকে কেবল করুণার চোখে দেখে। কিন্তু ধীরে ধীরে তার মধ্যে মুক্তির আলো খুঁজে পায়।

মর্মেলাদভ কিছুদিন পর আবার দুর্ঘটনায় মারা যায়। পরিবার তখন একেবারে ভেঙে পড়ে। এই সময় সোফিয়া আরও শক্ত হয়। সে পরিবারের জন্য দাঁড়ায়। রাস্কলনিকভ তার জীবনে সোফিয়ার বিশ্বাস ও সহানুভূতি থেকে নতুন দিশা পেতে শুরু করে। সোফিয়া পরবর্তীতে রাস্কলনিকভের অপরাধ স্বীকার ও মুক্তির জন্য সবচেয়ে বড় প্রেরণা হয়ে ওঠে। সে তার কাছে করুণা, ক্ষমা এবং ভালোবাসার প্রতীক।

তদন্ত, পোরফিরি ও অপরাধবোধ: অ্যালিওনা ও লিজাভেতাকে হত্যার পর Raskolnikov (রাস্কলনিকভ) ভয়ংকর মানসিক চাপে পড়ে। সে ভাবে তার পরিকল্পনা নিখুঁত ছিল। কিন্তু খুনের পর থেকেই তার শরীর ও মন ভেঙে পড়ে। সে জ্বরে ভুগতে শুরু করে। বারবার হ্যালুসিনেশন দেখে। অকারণে অজ্ঞান হয়ে যায়। তার আচরণ অস্বাভাবিক হয়ে ওঠে। পুলিশ প্রথমে কয়েকজনকে সন্দেহ করে। কিন্তু শিগগিরই তদন্তের দায়িত্ব আসে Porfiry Petrovich (পোরফিরি পেত্রোভিচ)-এর হাতে। তিনি অত্যন্ত বুদ্ধিমান এক তদন্তকারী। তিনি সরাসরি প্রমাণ দিয়ে নয়, বরং সন্দেহভাজনের মানসিক অবস্থা যাচাই করে সত্য বের করেন। তিনি জানেন রাস্কলনিকভ মেধাবী। তাই তিনি কৌশল করে তার সাথে কথোপকথন শুরু করেন।

পোরফিরি রাস্কলনিকভকে তার নিজের থিওরি নিয়ে প্রশ্ন করতে থাকে। সে জানতে চায়, অসাধারণ মানুষ কি সত্যিই অপরাধ করার অধিকার রাখে। এসব প্রশ্নে রাস্কলনিকভ অস্থির হয়ে পড়ে। তার উত্তরে দোটানা আর রাগ প্রকাশ পায়। এতে পোরফিরির সন্দেহ আরও গাঢ় হয়। এই সময় রাস্কলনিকভ কিছুটা আশ্রয় পায় তার বন্ধু Dmitri Prokofych Razumikhin (রাযুমিখিন)-এর কাছে। রাযুমিখিন সৎ, প্রাণবন্ত এবং সদয় মানুষ। সে রাস্কলনিকভের অসুস্থতা ও বিভ্রান্তি দেখে তাকে সান্ত্বনা দেয়। সে তার পরিবারকেও আশ্বস্ত করার চেষ্টা করে।

এদিকে রাস্কলনিকভের মা Pulcheria Alexandrovna (পুলখেরিয়া আলেকজান্দ্রভনা) এবং বোন Avdotya Romanovna Raskolnikova (ডানিয়া) সেন্ট পিটার্সবার্গে আসে। তারা রাস্কলনিকভের এই অবস্থা দেখে ভয় পায়। রাস্কলনিকভের অস্থির আচরণ তাদের আতঙ্কিত করে। মা ভাবে তার ছেলে হয়তো পাগল হয়ে যাচ্ছে। ডানিয়াও তার মধ্যে এক অজানা পরিবর্তন অনুভব করে। রাস্কলনিকভ বুঝতে শুরু করে যে খুন করার পরে শান্তি আসেনি। বরং অপরাধবোধ তাকে কুরে কুরে খাচ্ছে। পোরফিরির চতুর জিজ্ঞাসাবাদ এবং নিজের ভেতরের যন্ত্রণা তাকে আরও ভেঙে ফেলে। এখান থেকেই শুরু হয় তার আত্মদ্বন্দ্ব ও অনুশোচনার গভীর যাত্রা।

ভিদ্রিগাইলভ ও লুজিন: Avdotya Romanovna Raskolnikova (ডানিয়া) গল্পে একটি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র। তাকে ঘিরে দুটি পুরুষের আগমন ঘটে। তারা হলো Arkady Ivanovich Svidrigailov (স্ভিদ্রিগাইলভ) এবং Pyotr Petrovich Luzhin (লুজিন)। Svidrigailov ছিল ডানিয়ার আগের নিয়োগকর্তা। ধনী হলেও তিনি নষ্ট  চরিত্রের। সে ভোগবিলাসী এবং অনৈতিক কাজে ব্যস্ত। সে ডানিয়াকে প্রলুব্ধ করার চেষ্টা করেছিল। এই কারণে ডানিয়াকে চাকরি ছাড়তে হয়। পরে স্ভিদ্রিগাইলভ সেন্ট পিটার্সবার্গে আসে। সে রাস্কলনিকভের খুনের রহস্য জেনে যায়। সে এই গোপন কথাকে নিজের স্বার্থে ব্যবহার করতে চায়। ডানিয়াকে চাপ দেয়। বলে, যদি সে তাকে প্রত্যাখ্যান করে তবে সে পুলিশের কাছে সব বলে দেবে। ডানিয়া ভয় পেলেও শেষ পর্যন্ত দৃঢ়ভাবে তাকে অস্বীকার করে। স্ভিদ্রিগাইলভ বুঝতে পারে তার জন্য কোনো মুক্তি নেই। জীবনের শূন্যতা আর হতাশা তাকে গ্রাস করে। শেষ পর্যন্ত সে আত্মহত্যা করে।

অন্যদিকে Pyotr Petrovich Luzhin (লুজিন) এক স্বার্থপর আইনজীবী। সে চায় ডানিয়াকে বিয়ে করতে। কিন্তু তার উদ্দেশ্য ভালোবাসা নয়। সে চায় ডানিয়ার উপর কর্তৃত্ব করতে। সে মনে করে, দরিদ্র পরিবারের মেয়েকে বিয়ে করলে মেয়ে সবসময় কৃতজ্ঞ থাকবে এবং তাকে মান্য করবে। ডানিয়া ও রাস্কলনিকভ লুজিনের এই আসল স্বভাব বুঝতে পারে লুজিন পরে সোফিয়াকে অপমান করার চেষ্টা করে। সে চায় সোফিয়ার উপর মিথ্যা দোষ চাপিয়ে তাকে সমাজে হেয় করতে। এতে তার নিজের ইজ্জত বাঁচবে এবং রাস্কলনিকভের পরিবার ভেঙে পড়বে। কিন্তু সত্য প্রকাশ হয়ে যায়। রাযুমিখিন এবং অন্যরা লুজিনের ভণ্ডামি ধরে ফেলে। লুজিন অপমানিত হয় এবং ব্যর্থ হয়ে যায়। এই দুটি চরিত্র উপন্যাসে স্বার্থপরতা, ভোগবিলাস এবং অনৈতিকতার প্রতীক। ডানিয়ার দৃঢ়তা, সোফিয়ার সততা এবং রাস্কলনিকভের মানসিক যন্ত্রণা তাদের বিপরীতে আরও উজ্জ্বলভাবে ফুটে ওঠে।

স্বীকারোক্তি ও শাস্তি: Raskolnikov (রাস্কলনিকভ) হত্যার পর থেকেই অপরাধবোধে ভুগছিল। তার মনে হচ্ছিল সে শান্তি পাবে যদি সত্যিটা স্বীকার করে। কিন্তু ভয় তাকে আটকে রাখে। তার ভেতরে প্রতিনিয়ত দ্বন্দ্ব চলতে থাকে। একদিকে অহংকার, অন্যদিকে অপরাধবোধ। অবশেষে সে Sofya Semyonovna Marmeladov (সোফিয়া মর্মেলাদভ)-এর কাছে গিয়ে সব বলে ফেলে। সোফিয়া তার গল্প শোনে। সে ভেঙে পড়লেও রাস্কলনিকভকে ভালোবাসা আর সহানুভূতি দেয়। সে তাকে বোঝায় যে সত্য স্বীকার করলে তবেই মুক্তি আসবে। সোফিয়ার বিশ্বাস ও অনুপ্রেরণায় রাস্কলনিকভ সাহস পায়।

একদিন সে পুলিশের কাছে যায়। Porfiry Petrovich (পোরফিরি পেত্রোভিচ) তখনও তার উপর সন্দেহ করছিল। রাস্কলনিকভ সামনে গিয়ে অপরাধ স্বীকার করে। সে জানায় Alyona Ivanovna (অ্যালিওনা ইভানোভনা) এবং Lizaveta Ivanovna (লিজাভেতা)-কে সে-ই হত্যা করেছে। আদালত তার স্বীকারোক্তি গ্রহণ করে। তাকে সাইবেরিয়ায় আট বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেয়। জেলে গিয়েও রাস্কলনিকভ ভেতরে ভেতরে ভেঙে পড়ে। তার মা Pulcheria Alexandrovna (পুলখেরিয়া আলেকজান্দ্রভনা) দুঃখে মারা যান। তার বোন Avdotya Romanovna Raskolnikova (ডানিয়া) Dmitri Prokofych Razumikhin (রাযুমিখিন)-কে বিয়ে করে নতুন জীবন শুরু করে। সোফিয়া রাস্কলনিকভকে ছেড়ে যায় না। সে সাইবেরিয়ার কঠিন জায়গায় মাঝেমাঝে গিয়ে তাকে দেখতে থাকে। সে তাকে আশা আর ভালোবাসা দেয়। ধীরে ধীরে রাস্কলনিকভ বুঝতে পারে তার অহংকারই তাকে ভ্রান্ত করেছিল। সে উপলব্ধি করে যে সে অপরাধ করে ভুল করেছে।

শেষ পর্যন্ত তার মধ্যে অনুশোচনা জন্ম নেয়। সোফিয়ার ভালোবাসা তাকে বদলে দেয়। কারাগারের ভেতরেই সে নতুনভাবে বাঁচতে শেখে। সে শাস্তির মধ্য দিয়ে আত্মিক মুক্তির পথে এগোয়। উপন্যাসের একেবারে শেষে রাস্কলনিকভ অসুস্থ হয়ে পড়ে। সেই সময় সোফিয়া তাকে ভালোবাসা দিয়ে সেবা করে। তখন রাস্কলনিকভ প্রথমবার খাঁটি ভাবে অনুভব করে যে সোফিয়াই তার জীবনের প্রকৃত আলো। এই ভালোবাসাই তাকে আত্মিক মুক্তির পথে নিয়ে যায়। শেষে লেখক ফিওডর ডস্তয়েভস্কি (Fyodor Dostoevsky) ইঙ্গিত দেন যে রাস্কলনিকভের শাস্তি শেষ হলেও তার আত্মিক পুনর্জন্ম তখনই শুরু হয়েছে। উপন্যাস শেষ হয় আশার আলো নিয়ে। এখানে বোঝানো হয়, সত্যিকার মুক্তি আসে অনুশোচনা, ভালোবাসা এবং বিশ্বাস থেকে।

থিমসমূহ 

অপরাধ ও অপরাধবোধ: উপন্যাসের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ থিম হলো অপরাধ এবং অপরাধবোধ। Raskolnikov (রাস্কলনিকভ) Alyona Ivanovna (অ্যালিওনা) ও Lizaveta Ivanovna (লিজাভেতা)-কে হত্যা করে। সে ভাবে এই হত্যা সমাজের উপকারে আসবে। তার থিওরি ছিল অসাধারণ মানুষ নিয়ম ভাঙতে পারে। কিন্তু খুন করার পর সে বুঝতে পারে অপরাধ শুধু বাইরের ঘটনা নয়। অপরাধের পরে ভেতরের যন্ত্রণা আরও ভয়ংকর। সে জ্বরে ভোগে, অজ্ঞান হয়, হ্যালুসিনেশন দেখে। মানসিক চাপ তাকে কুরে কুরে খায়। আদালত শাস্তি দিলেও, আসল শাস্তি আসে তার বিবেক থেকে।

বিচ্ছিন্নতা ও একাকিত্ব: রাস্কলনিকভ শুরু থেকেই একাকী চরিত্র। সে সেন্ট পিটার্সবার্গের একটি অন্ধকার চিলেকোঠায় থাকে। দারিদ্র্য তাকে অন্যদের থেকে আলাদা করে। খুনের পর তার একাকিত্ব আরও বাড়ে। বন্ধু Razumikhin (রাযুমিখিন) পাশে থাকে, বোন ডানিয়া তাকে ভালোবাসে, তবুও সে মানসিকভাবে সমাজ থেকে বিচ্ছিন্ন। সে মনে করে কেউ তাকে বুঝতে পারছে না। এই একাকিত্ব তার অপরাধবোধকে আরও গভীর করে তোলে।

মুক্তি ও আত্মিক পুনর্জন্ম: শেষে উপন্যাসের আলো আসে মুক্তি ও পুনর্জন্মে। Raskolnikov নিজের অপরাধ স্বীকার করে। তাকে সাইবেরিয়ায় পাঠানো হয়। Sofya Semyonovna Marmeladov (সোফিয়া)-এর ভালোবাসা ও সহানুভূতি তার জীবনে আলো আনে। প্রথমে সে ঠান্ডা ও অনুতপ্ত নয়। কিন্তু ধীরে ধীরে সে অনুভব করে আসল মুক্তি আসে অনুশোচনা থেকে। কারাগারে থেকেই সে নতুন জীবন শুরু করে। এই থিম প্রমাণ করে, মানুষ অপরাধ করলেও ভালোবাসা ও বিশ্বাস তাকে নতুন পথে ফিরিয়ে আনতে পারে।

আরো পড়ুনঃ A Doll’s House Bangla Summary

Quotes

  1. “I shall strike her on the head, split her skull open.” – (Crime and Punishment – Raskolnikov, Part I, Chapter V)

Explanation (English): Raskolnikov imagines the violent act against the old pawnbroker. This thought shows his disturbed mind and his growing obsession with murder. It marks the turning point from fantasy to a real plan.

বাংলা: “আমি তার মাথায় আঘাত করব, খুলি ফাটিয়ে দেব।”

ব্যাখ্যা: এখানে রাস্কলনিকভ বুড়ি বন্ধকী মহিলাকে হত্যার কল্পনা করছে। তার মানসিক অস্থিরতা ও অপরাধ প্রবণতা প্রকাশ পাচ্ছে। এটি তার কল্পনা থেকে বাস্তব হত্যার পরিকল্পনায় যাওয়ার মুহূর্ত।

  1. “He killed them with an axe he brought with him.” – (Crime and Punishment – Narrator about Raskolnikov, Part I, Chapter V)

Explanation (English): The narrator reports the brutal murder of the pawnbroker and Lizaveta. The axe is a symbol of premeditation. This moment makes Raskolnikov truly guilty and changes the course of the novel.

বাংলা: “সে নিজের সঙ্গে আনা কুঠার দিয়ে তাদের হত্যা করে।”

ব্যাখ্যা: এখানে কথক রাস্কলনিকভের হত্যার বর্ণনা করছে। কুঠার পরিকল্পিত হত্যার প্রতীক। এই ঘটনাই তাকে অপরাধী করে তোলে এবং কাহিনির মোড় ঘুরিয়ে দেয়।

  1. “He looked at Sonia and felt how great was her love for him.” – (Crime and Punishment – Narrator about Raskolnikov, Part V, Chapter IV)

Explanation (English): In this moment, Raskolnikov realizes Sonia’s unconditional love. Her compassion contrasts with his guilt. It begins his path to spiritual awakening and confession.

বাংলা: “সে সোনিয়াকে দেখে বুঝল তার প্রতি সোনিয়ার ভালোবাসা কত গভীর।”

ব্যাখ্যা: এখানে রাস্কলনিকভ সোনিয়ার অগাধ ভালোবাসা উপলব্ধি করে। সোনিয়ার সহানুভূতি তার অপরাধবোধের বিপরীতে দাঁড়ায়। এই মুহূর্তই তাকে আত্মিক জাগরণ ও স্বীকারোক্তির পথে নিয়ে যায়।

  1. “No, it was you, you Rodion Romanovitch, and no one else.” – (Crime and Punishment – Porfiry Petrovitch, Part VI, Chapter II)

Explanation (English): Porfiry directly accuses Raskolnikov. This moment shows Porfiry’s psychological skill. He corners Raskolnikov, making denial impossible.

বাংলা: “না, সেটি ছিল তোমিই, তুমি রোডিয়ন রোমানোভিচ (রাস্কলনিকভ), আর আর কেউ না।”

ব্যাখ্যা: এখানে তদন্তকারী পোরফিরি সরাসরি রাস্কলনিকভকে অভিযুক্ত করছে। তার মানসিক দক্ষতা ও চাপের মাধ্যমে সে রাস্কলনিকভকে কোন অজুহাতের সুযোগ দেয় না।

  1. “Say to all men aloud, ‘I am a murderer!’” – (Crime and Punishment – Sonia, Part V, Chapter IV, Sonia urging Raskolnikov to confess).

Explanation (English): Sonia urges Raskolnikov to publicly confess his crime at the crossroads as an act of repentance and spiritual cleansing. She believes confession and suffering will bring him moral and spiritual rebirth. 

বাংলা: “সব মানুষের সামনে জোরে বলো, ‘আমি একজন খুনি!’”

ব্যাখ্যা: সোনিয়া রাস্কলনিকভকে মানুষের সামনে পাপ স্বীকার করতে বলে। তার মতে, আত্মত্যাগ ও ত্যাগেই মুক্তি ও পুনর্জন্ম মেলে। 

  1. “I have come for your cross, Sonia.” – (Crime and Punishment – Raskolnikov, Part VI, Chapter VIII: Raskolnikov to Sonia when he brings/asks about crosses).

Explanation (English): Raskolnikov says he has come to take the cross Sonia offered — a symbol that he accepts suffering. The line is spoken with a mask of irony but indicates his move toward accepting suffering/expia­tion. 

বাংলা: “আমি তোমার ক্রসের জন্য এসেছি, সোনিয়া।”

ব্যাখ্যা: এখানে রাস্কলনিকভ সোনিয়ার দেওয়া ক্রস নেওয়ার কথা বলে, ক্রস কাঁধে ওপর নেওয়া মানে ত্যাগ ও দণ্ড স্বীকার করা। তার কণ্ঠে রসবোধ থাকলেও বাক্যের অর্থ হচ্ছে সে কষ্ট মানতে প্রস্তুত হতে যাচ্ছে। 

  1. “My daughter Sofya Semyonovna has been forced to take a yellow ticket.” – (Crime and Punishment – Marmeladov telling Raskolnikov, Part I, Chapter II: Marmeladov’s confession about Sonia).

Explanation (English): Marmeladov explains that his daughter Sonia was driven by poverty and circumstances to prostitution (the “yellow ticket”). This shows the family’s extreme misery and Sonia’s sacrifice for them. 

বাংলা: “আমার মেয়ে সোফিয়া সেমিওনভনা দারিদ্র্যের কারণে পতিতার অনুমতিপত্র নিতে বাধ্য হয়েছে।”

ব্যাখ্যা: মার্মেলাদভ বলছেন, দারিদ্র্য এবং সমাজের কষ্টের ফলে তার মেয়ে সোনিয়াকে ‘হলুদ টিকিট’ নিতে হয়েছে। এটি পরিবারের দুর্দশা এবং সোনিয়ার ত্যাগকে বোঝায়। 

  1. “Extraordinary men have a right to commit any crime.” – (Crime and Punishment – Raskolnikov, Part III, Chapter V).

Explanation (English): This is the controversial theory (ascribed to Raskolnikov’s article) that “extraordinary” people may overstep moral law for a higher purpose. Porfiry (and others) quote or summarize it during the psychological probing of Raskolnikov. It’s the intellectual justification Raskolnikov wrestles with. 

বাংলা: “অসাধারণ মানুষের অপরাধ করার অধিকার আছে।”

ব্যাখ্যা: এখানে বইয়ের তত্ত্বটি তুলে ধরা হচ্ছে, যারা অসাধারণ, তারা যদি মনে করে তাদের কাজ মানবজাতির উপকারে আসবে, তবে তারা আইন ভাঙার অধিকার পেতে পারে। পোরফিরি ও অন্যরা এই ধারণা উত্থাপন/আলোচনা করে, যা রাস্কলনিকভের ব্যক্তিগত ন্যায়-ব্যাখ্যার মূল। 

  1. “There is no one—no one in the whole world now so unhappy as you.” – (Crime and Punishment – Part V, Chapter IV, Sonia, comforting Raskolnikov during his confession/anguish).

Explanation (English): Sonia, in intense sympathy, tells Raskolnikov she thinks he is the most unhappy person she has seen — expressing both pity and deep compassion. This emphasizes Sonia’s selfless empathy. 

বাংলা: “এই পৃথিবীতে তোমার মতো এতটা অখুশি আর কেউ নেই।”

ব্যাখ্যা: সোনিয়া কষ্টে কাতর হয়ে বলে, রাস্কলনিকভের মতো এতটা দুঃখী আর কেউ দেখা যায় না। এখানে তার করুণাময় অনুভূতি ও সহানুভূতি প্রকাশ পায়। 

  1. “Who has made me a judge to decide who is to live and who is not to live?” – (Crime and Punishment –  Part V, Chapter IV, Sonya).

Explanation (English): Sonya asks rhetorically who made him the judge of life and death, a moment when he confronts the moral limits of his theory and his conscience. 

বাংলা: “কে আমাকে বিচারক বানালো যে আমি ঠিক করব কে বাঁচবে আর কে মরবে?”

ব্যাখ্যা: Sonya প্রশ্ন করছেন, কে তাকে জীবনের এবং মৃত্যুর সিদ্ধান্ত দেওয়ার ক্ষমতা দিয়েছে? এটা তার তাত্ত্বিক ধারণা ও নৈতিক দ্বন্দ্বের মুখোমুখি হওয়ার মুহূর্ত। 

ভাষার অলংকার 

  • বিদ্রূপ (Irony): বিদ্রূপের বড় উদাহরণ হলো Raskolnikov (রাস্কলনিকভ)-এর থিওরি। সে ভাবে অসাধারণ মানুষ আইন ভাঙতে পারে। তাই সে Alyona Ivanovna (অ্যালিওনা)–কে হত্যা করে। তার আশা ছিল শান্তি ও আত্মবিশ্বাস। কিন্তু বাস্তবে সে ভেঙে পড়ে অপরাধবোধে। আদালতের শাস্তির আগেই সে মানসিক শাস্তি পেতে থাকে। প্রভাব: এই বিদ্রূপ দেখায় মানুষ যতই বুদ্ধিমান হোক, অপরাধ কখনও মুক্তি আনে না। বরং অনুশোচনাই সত্যিকারের শাস্তি।
  • রূপক (Metaphor): পুরো উপন্যাসেই খুন একটি রূপক। Alyona ও Lizaveta–র হত্যা শুধু দুজনের মৃত্যু নয়। এটি মানুষের অহংকার, দারিদ্র্য, এবং ভুল দর্শনের ধ্বংসাত্মক শক্তির রূপক। Raskolnikov–এর মানসিক যন্ত্রণা আসলে মানব আত্মার অপরাধবোধের রূপক। প্রভাব: এই রূপক পাঠককে বুঝতে শেখায়, অপরাধ মানেই আত্মার পতন।
  • প্রতীকবাদ (Symbolism):
  • সেন্ট পিটার্সবার্গ শহর: শহরটি শুধু একটি পটভূমি নয়। এটি দারিদ্র্য, অপরাধ, ভিড়ভাট্টা আর হতাশার প্রতীক। অন্ধকার গলি আর মলিন রাস্তা রাস্কলনিকভের মানসিক অস্থিরতাকে প্রতিফলিত করে।
  • চিলেকোঠা ঘর: রাস্কলনিকভের ছোট, গুমোট ঘর তার একাকীত্ব আর বন্দিত্বের প্রতীক। ঘরের অন্ধকারই তার মানসিক অন্ধকারকে প্রকাশ করে।
  • সোফিয়া (Sonia): সোনিয়া মানবিকতা, বিশ্বাস এবং মুক্তির প্রতীক। তার পতিতাবৃত্তি কষ্টের প্রতীক হলেও, তার ভালোবাসা ও ঈশ্বরভক্তি রাস্কলনিকভের আত্মার মুক্তির প্রতীক।
  • সাইবেরিয়ার কারাগার: কারাগার শুধু শাস্তির স্থান নয়। এটি পুনর্জন্মের প্রতীক। রাস্কলনিকভ সেখানে গিয়ে সত্যিকারের অনুশোচনা শিখে।
  • রাযুমিখিন (Razumikhin): সে মানবিক বন্ধুত্ব ও আশার প্রতীক। তার উপস্থিতি দেখায় মানুষ কষ্টের মধ্যেও আলো খুঁজে পেতে পারে।
  • স্ভিদ্রিগাইলভ (Svidrigailov): সে ভোগবাদ, অন্ধকার আর নৈতিক পতনের প্রতীক। তার আত্মহত্যা এই পতনের চূড়ান্ত পরিণতি।
  • লুজিন (Luzhin): লুজিন ভণ্ডামি ও স্বার্থপরতার প্রতীক। তার চরিত্র সমাজের সেই দিককে প্রকাশ করে যেখানে সম্পর্ক শুধু স্বার্থের জন্য ব্যবহার হয়।

Figures of Speech – Crime and Punishment

  • Irony: A major example of irony is Raskolnikov’s theory. He believes that extraordinary people can break the law. So, he kills Alyona Ivanovna. His expectation was peace and self-confidence. But in reality, he collapses under guilt. Even before the court’s punishment, he suffers mental torment. Effect: This irony shows that no matter how intelligent a person is, crime never brings freedom. True punishment comes through remorse.
  • Metaphor: The entire novel uses murder as a metaphor. The killing of Alyona and Lizaveta is not just the death of two women. It is a metaphor for the destructive power of human pride, poverty, and false philosophy. Raskolnikov’s mental agony is a metaphor for the guilt of the human soul. Effect: This metaphor teaches the reader that crime ultimately means the downfall of the soul.
  • Symbolism:
  • The city of St. Petersburg: The city is not just a background. It symbolizes poverty, crime, crowds, and despair. Its dark alleys and grim streets reflect Raskolnikov’s inner turmoil.
  • The attic room: Raskolnikov’s small, suffocating room symbolizes his loneliness and confinement. Its darkness mirrors his mental darkness.
  • Sonia (Sofya Semyonovna Marmeladov): Sonia symbolizes humanity, faith, and redemption. Her prostitution represents suffering, but her love and devotion to God symbolize Raskolnikov’s spiritual salvation.
  • The Siberian prison: The prison is not only a place of punishment. It symbolizes rebirth. There, Raskolnikov learns true repentance.
  • Razumikhin: He symbolizes human friendship and hope. His presence shows that even in hardship, people can find light.
  • Svidrigailov: He represents hedonism, darkness, and moral corruption. His suicide is the ultimate consequence of this downfall.
  • Luzhin: Luzhin symbolizes hypocrisy and selfishness. His character reflects that part of society where relationships are used only for self-interest.

আরো পড়ুনঃ The Metamorphosis Bangla Summary

Moral Lessons from Crime and Punishment

  • Crime never brings peace.

অপরাধ কোনোদিনই শান্তি আনতে পারে না। রাস্কলনিকভ খুন করে মুক্তি পায়নি, বরং অপরাধবোধে ভুগেছে।

  • Conscience is the true judge.

আসল বিচারক হলো বিবেক। আদালতের শাস্তির আগেই রাস্কলনিকভ নিজের অপরাধবোধে কষ্ট পেতে থাকে।

  • Pride leads to downfall.

অহংকার মানুষকে ধ্বংস করে। রাস্কলনিকভ ভাবে সে অসাধারণ, তাই খুন ন্যায্য। কিন্তু এই অহংকারই তাকে ভেঙে দেয়।

  • Love and compassion can redeem.

ভালোবাসা ও সহানুভূতি মানুষকে বদলে দিতে পারে। সোনিয়ার সহানুভূতি রাস্কলনিকভকে নতুন জীবনের পথে আনে।

  • Isolation destroys, but faith heals.

একাকিত্ব মানুষকে ভেতরে ভেতরে মেরে ফেলে। কিন্তু বিশ্বাস ও মানবিক সম্পর্ক আবার তাকে বাঁচাতে পারে।

Share your love
Mr. Abdullah
Mr. Abdullah

This is Mr. Abdullah, a passionate lover and researcher of English Literature.

Articles: 65

2 Comments

  1. finally douniya and luzhin er biye hoy na but apndr eta ,mistake korchen tader biye hoy

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *