Situational Language Teaching (SLT) summary in Bangla
সিচুয়েশনাল ল্যাঙ্গুয়েজ টিচিং দ্বিতীয় ভাষা শেখার একটি অন্যতম মাধ্যম। এই মাধমকে সংক্ষেপে এস এল টি বলা হয়। ভাষা শেখার যেসকল মাধ্যমগুলো রয়েছে তার মধ্যে এই মাধ্যমটি খুবই জনপ্রিয়। এই মাধ্যমে মূলত ওরাল এপ্রোচ এর ওপর জোর প্রদান করে। তাহলে চলুন আমরা এই মাধ্যমের সম্পর্কে বিস্তারিত জেনেনি ।
Key concept:
১. সিচুয়েশনাল ল্যাঙ্গুয়েজ টিচিং কে ওরাল এপ্রোচ বলা হয়।
২. ওরাল প্র্যাকটিসের মাধ্যমে ভোকাবুলারি এবং গামারকে শেখানো হয়।
৩. এই মাধ্যম কি হচ্ছে ক্লিনিকাল মাধ্যম যা সরাসরি যোগাযোগের ওপর কম নির্ভর করে।
Brief history: এস এল টি কে ডেভলপ করা হয়েছিল ১৯৩০ সাল থেকে ১৯৫০ সালের মধ্যে কিন্তু এই মেথডকে ব্রিটিশ অ্যাপ্রচ হিসেবে গ্রহণ করা হয়েছিল 1950 সালে।
উদ্দেশ্য এবং অবজেক্টিভস:
এস এল টির চারটি মৌলিক অবজেক্টিভস অথবা উদ্দেশ্য রয়েছে।
১. ল্যাংগুয়েজ স্ট্রাকচার শেখার মাধ্যমে ভাষা শিক্ষার চারটি মৌলিক স্কিল কে সমানভাবে গুরুত্বপূর্ণ প্রদান করা।
২. গামার এবং উচ্চারণের ওপর জোর প্রদান করা।
৩. স্পিচ সিচুয়েশনে খুবই দ্রুত এবং সঠিকভাবে রেসপন্স করার এবিলিটি তৈরি করা।
৪. বেসিক স্ট্রাকচার কে অটোমেটিক কন্ট্রোল করা।
Principles:
১. ভাষা শিক্ষা বলতে বুঝায় হ্যাবিট ফর্মেশন অর্থাৎ আপনি যে ভাষাটা শিখতে চাচ্ছেন সেই ভাষাটাকে অভ্যাসে পরিণত করা।
২. মিসটেক কে অবশ্যই অ্যাভয়েড করতে হবে কারণ মিসটেক একসময় খারাপ অভ্যাসে পরিণত হবে।
৩. এস এল টি মূলত ইফেকটিভ ল্যাঙ্গুয়েজ স্কিল কে ফোকাস করে কারণ সর্বপ্রথমে এটি ওরাল স্কিল কে মেইনটেইন করে তারপরে রিটেন স্কিল এর দক্ষতা বাড়ায়।
৪. শব্দের ভাষাগত এবং সাংস্কৃতিক প্রাসঙ্গিক অর্থ প্রদান করা।
Syllabus:
১. বেসিক ওয়ার্ল্ড এবং phrase.
২. বেসিক সেন্টেন্স স্ট্রাকচার এন্ড প্যাটার্ন।
৩. পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে সব কিছু শেখাতে হয়।
উপকরণ:
১. বেশ কয়েকটি পরিস্থিতি-ভিত্তিক সংলাপ যার অর্থ বিভিন্ন পরিস্থিতিতে যেমন রেস্তোরাঁ বা বিমানবন্দর ইত্যাদিতে কীভাবে কথা বলতে হয়।
২. পাঠ্যপুস্তক বা ভিজ্যুয়াল উপকরণ, ছবি, শিক্ষাদানের জন্য ব্যবহার করা যেতে পারে।
শিক্ষকের ভূমিকা:
১. শিক্ষকরা পরিচালক।
২. শিক্ষকদের অবশ্যই দক্ষ ম্যানিপুলেটর হতে হবে যাতে তারা শিক্ষার্থীদের সমস্ত প্রশ্নের উত্তর দিতে পারে এবং শিক্ষার্থীদের দক্ষতা বিকাশ করতে পারে।
ছাত্রদের ভূমিকা:
এসএলটি-তে, শিক্ষার্থীদের ভূমিকা দুটি পর্যায়ে বিভক্ত যা নিম্নরূপ:
১. প্রাথমিক পর্যায় যেখানে শিক্ষার্থীরা কেবল তাদের শিক্ষক যা বলে তা শোনে এবং পুনরাবৃত্তি করে।
২. পরবর্তী পর্যায়ে, শিক্ষার্থীরা নিজেদের মধ্যে মিথস্ক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করে।
পদ্ধতি বা বৈশিষ্ট্য:
১. একদম শুরু থেকে স্পিকিং এবং লিসেনিং এর ওপরে জোর প্রদান করা হয়।
২. পড়াশোনার মাধ্যম হিসেবে শিক্ষক শ্রেণিকক্ষে টার্গেডেট ল্যাংগুয়েজ ব্যবহার করবে এবং স্টুডেন্টদেরকে বাধ্য করবে তাদের টার্গেটেড ল্যাঙ্গুয়েজে কমিউনিকেশন করার জন্য।
৩. পরিস্থিতির ভিত্তিতে নতুন চ্যাপ্টারের সাথে পরিচিত করে দেওয়া।
৪. শুধুমাত্র নির্দিষ্ট কিছু ভোকাবুলারি পড়ানো ।
৫. গামারকে শেখানো হয় ধাপে ধাপে যার অর্থ সিম্পল টু কমপ্লেক্স।
৬. ভাষা শিক্ষার চারটি মাধ্যম অনুসরণ করা হয় অর্থাৎ লিসেনিং এবং স্পিকিং স্কেল গড়ার পরে অটোমেটিক রাইটিং এবং রিডিং স্কিলে দক্ষতা গড়ে তোলা।
সীমাবদ্ধতা বা অসুবিধা:
১. শিক্ষকরা উপযুক্ত পরিস্থিতিতে সমস্ত আইটেম উপস্থাপন করা খুব কঠিন বলে মনে করেন এবং এটি শিক্ষকদের জন্য একটি অতিরিক্ত বোঝা তৈরি করে।
২. একজন বিরক্তিকর শিক্ষক যিনি তিনি কী পড়াচ্ছেন সে সম্পর্কে নিশ্চিত নন।
৩. শেখার বিষয়বস্তুর উপর শিক্ষার্থীর কোন নিয়ন্ত্রণ নেই।
৪. ভাষার মৌলিক বৈশিষ্ট্য যেমন স্বতন্ত্র বাক্যের সৃজনশীলতা এবং স্বতন্ত্রতার জন্য দায়ী নয়।
পরিশেষে বলা যায় যে SLT হল একটি আকর্ষণীয় দ্বিতীয় ভাষা শিক্ষার পদ্ধতি যা সারা বিশ্বে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়।
Study more: The sun also rises