Question: Why did Tagore reject his Knighthood?
পাঞ্জাবে ব্রিটিশ সরকারের কঠোর পদক্ষেপের প্রেক্ষিতে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর (1861-1941) 31 মে, 1919 তারিখে লর্ড চেমসফোর্ডরের নিকট চিঠি প্রেরণ করে দৃঢ়ভাবে প্রতিবাদ জানান। তাঁর নাইটহুড প্রত্যাখ্যানের এই চিঠিটি ১৩ এপ্রিলে সংঘটিত জালিয়ানওয়ালাবাগে গণহত্যার ফল। এই চিঠিতে রবীন্দ্রনাথ ব্যাখ্যা করেন কেন তিনি নাইটহুড প্রত্যাখ্যান করেছেন।
অসম শাস্তি এবং শাস্তির পদ্ধতি: পাঞ্জাবের জনগণের উপর প্রদত্ত শাস্তির তীব্রতায় ঠাকুর মর্মাহত হয়েছিলেন। তিনি জোর দিয়ে বলেন যে কোনো সভ্য সরকারের ইতিহাসে এরকম অন্যায় হত্যার নজির নেই।
আরো পড়ুনঃ Write a Note on the Jallianwala Bagh Massacre (বাংলায়)
ভারতীয় প্রজাদের অসহায়ত্ব: ঠাকুর ব্রিটিশ সরকারের অপ্রতিরোধ্য ক্ষমতার মুখে ভারতীয়দের নিরস্ত্র এবং অসহায়ত্ব তুলে ধরেন। তিনি চিঠিতে লিখেন,
“পাঞ্জাবে সরকার কর্তৃক গৃহীত ব্যবস্থার ব্যাপকতা… ভারতে ব্রিটিশ প্রজা হিসাবে আমাদের অবস্থানের অসহায়ত্ব প্রকাশ করেছে।”
রাজনৈতিক অবিচার এবং নৈতিক উদ্বেগ: কবি দৃঢ়ভাবে দাবি করেছেন যে, ব্রিটিশদের কঠোর আচরণের মধ্যে নৈতিকতা ছিল না। তিনি শাসকদের নির্মমতার সমালোচনা করেন এবং ভারতীয় জনগণের দুঃখ দুর্দশায় ব্রিটিশদের সহমরমিতার অভাব তুলে ধরেন।
আরো পড়ুনঃ Write a Short Note on Eppie’s Character (বাংলায়)
উপেক্ষা ও কণ্ঠ রোধ করা: ঠাকুর হতাশা প্রকাশ করেছেন যে জনগণের আবেদন নিরর্থক হয়েছে কারণ সরকার অনবরত জনগণের কণ্ঠস্বর দমন করেছে। তিনি ভারতীয়দের কষ্টের প্রতি সরকারের উদাসীনতার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন। তিনি লেখেন,
“আমাদের আবেদন নিষ্ফল হয়েছে এবং প্রতিশোধের আবেগ আমাদের সরকারের রাষ্ট্রনায়কত্বের উন্নত দৃষ্টিকে অন্ধ করে দিচ্ছে…”
অন্যায়ের বিরুদ্ধে দাঁড়ানো: ঠাকুর তার দেশের মানুষের সাথে একাত্মতা প্রকাশ করেছেন। নাইটহুড সম্মানের প্রতীক হলেও জালিয়ানওয়ালাবাগের ঘটনার পর তা রবীন্দ্রনাথের জন্য লজ্জাজনক, তাই তিনি প্রত্যাখ্যান করেছিলেন। তিনি জনগনের পাশে দাঁড়ানোর ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন যারা চরম অন্যায়ের মুখোমুখি হয়েছিল। তিনি লেখেন,
“সময় এসেছে যখন সম্মানের ব্যাজগুলি আমাদের লজ্জাকে উজ্জ্বল করে তোলে…”
উপসংহারে, পাঞ্জাবের অন্যায় পদক্ষেপের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার জন্য রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তার নাইটহুড প্রত্যাখ্যান করেছিলেন। এটি ভারতীয় জনগণের মর্যাদা ও অধিকারের পক্ষে কথা বলে।