Question: Write a note on the Jallianwala Bagh Massacre.
অমৃতসারে ১৯১৯ সালে খুব দুঃখজনক এবং মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে। একে জালিয়ানওয়ালাবাগ ম্যাসাকার বলা হয়। সেখানে একটি শান্তিপূর্ণ উদ্যানে মানুষেরা একটি উত্সব উদযাপন করতে গিয়েছিল। যাইহোক, ১৯১৯ সালের ১৩ এপ্রিল উদ্যানটি একটি বড় দুঃখের জায়গায় পরিণত হয়েছিল।
পটভূমি: ততকালিন ব্রিটিশ সরকার তখন রাওলাট আইন পাস করেছিল। এই আইনটি করা হয়েছিল যাতে বিনা বিচারে মানুষকে গ্রেফতার করা যায়। ভারতের মানুষ এই আইন পছন্দ করেনি এবং তারা তাদের ভিন্নমত দেখাতে চেয়েছিল। রাওলাট আইনের বিরুদ্ধে শান্তিপূর্ণভাবে প্রতিবাদ জানাতে তারা জালিয়ানওয়ালাবাগে জড়ো হয়েছিল।
আরো পড়ুনঃ Write a Short Note on Eppie’s Character (বাংলায়)
ভয়ঙ্কর ঘটনা: শান্তিপূর্ণ সমাবেশের সময় জেনারেল ডায়ার নামে একজন ব্রিটিশ অফিসার তার সৈন্যদের মানুষের উপর গুলি চালানোর নির্দেশ দেন। সৈন্যরা গুলি শুরু করে এবং তারা দীর্ঘ সময় থামেনি। নারী ও শিশুসহ বহু নিরীহ মানুষ আহত হয়েছে এমনকি প্রাণ হারিয়েছে।
জেনারেল ডায়ারের ব্যাখ্যা: তিনি একটি চিঠিতে তার বক্তব্য দিয়েছেন, তিনি বলেছেন,
“আমি গুলি চালিয়েছিলাম এবং গুলি চালিয়েছিলাম যতক্ষণ না ভিড় ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়, এবং আমি মনে করি এটি গুলি চালানোর সর্বনিম্ন পরিমাণ যা প্রয়োজনীয় নৈতিক এবং ব্যাপক প্রভাব তৈরি করবে।”
পরের ঘটনা: গণহত্যার পর মানুষ খুবই ক্ষুব্ধ ও দুঃখিত ছিল। এই ঘটনা তাদের ব্রিটিশ শাসন থেকে মুক্তি পেতে আরও দৃঢ়প্রতিজ্ঞ করে তোলে। এটি ভারতের স্বাধীনতার লড়াইয়ে একটি টার্নিং পয়েন্ট হয়ে ওঠে।
বীরদের স্মরণ করা: আজও জালিয়ানওয়ালাবাগ হত্যাকাণ্ডকে বীরত্ব ও আত্মত্যাগের প্রতীক হিসেবে স্মরণ করা হয়। যারা প্রাণ হারিয়েছেন তাদের সম্মান জানাতে এবং স্বাধীনতা ও শান্তির গুরুত্ব স্মরণ করতে লোকেরা জালিয়ানওয়ালাবাগের স্মৃতিসৌধ পরিদর্শন করে।
আরো পড়ুনঃ Write a Note on the Jallianwala Bagh Massacre (বাংলায়)
উপসংহারে, জালিয়ানওয়ালাবাগ গণহত্যা ছিল ইতিহাসের একটি দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা। এটা আমাদের মনে করিয়ে দেয় যে অন্যায়ের মুখেও মানুষ একটি উন্নত ও সুন্দর বিশ্বের জন্য একত্রিত হতে পারে।