Direct method Bangla Summary
ডিএম বা ডিরেক্ট মেথড বলতে বুঝতেই পারছেন সরাসরি যে সকল পদ্ধতি অবলম্বন করা হয় সেটিকে বোঝানো হচ্ছে। এখন ইংলিশ ল্যাঙ্গুয়েজ টিচিং এর ক্ষেত্রে ডিরেক্ট মেথড বলতে মূলত সেকেন্ড ল্যাংগুয়েজ বা টার্গেট ল্যাঙ্গুয়েজ শেখার ক্ষেত্রে সরাসরি সেই ল্যাঙ্গুয়েজ ব্যবহার করার পদ্ধতিকে বোঝানো হয়। এখানে সেকেন্ড ল্যাংগুয়েজ বলতে মাতৃভাষা ব্যতীত আপনি দ্বিতীয় যে ভাষাটি জানেন সেটা এবং টার্গেট ল্যাঙ্গুয়েজ বলতে আপনি আসলে যে ভাষাটি শিখতে চাচ্ছেন সেই ভাষাকে বোঝানো হচ্ছে। ডিরেক্ট মেথড জনপ্রিয়তা লাভ করে মূলত 20 শতকের শুরুর দিকে। এই সময় ইউরোপের বিভিন্ন প্রাইভেট ল্যাঙ্গুয়েজ স্কুলগুলোতে নতুন ভাষা শেখার জন্য মোটিভেট করা হতো এবং এই পদ্ধতিতে তাদেরকে ভাষা শেখানো হতো।
অবজেক্টিভ: ডিরেক্ট মেথড ব্যবহার করা হয় সাধারণত শিক্ষার্থীদের কে নতুন কোন ভাষা শেখানোর জন্য নিজের মাতৃভাষা ব্যবহার করা ছাড়াই। এক্ষেত্রে শিক্ষার্থীরা যেন বাস্তবিক চিত্র এবং পরিস্থিতির উপর ভিত্তি করে তারা স্বতঃস্ফূর্তভাবে সেকেন্ড ল্যাঙ্গুয়েজে কথা বলতে পারে সেই ব্যাপারে মনোযোগ দেওয়া হয়। এই পদ্ধতিতে যেকোন ভাষা শেখার ক্ষেত্রে মূলত সরাসরি সেই ভাষাকেই শুধু ব্যবহার করা হয়। অর্থাৎ যিনি সেকেন্ড ল্যাংগুয়েজ আয়ত্ত করবেন তিনি তার মাতৃভাষার ব্যবহার না করে সরাসরি সেই সেকেন্ড ল্যাঙ্গুয়েজ ব্যবহার করে থাকেন কথা বলার জন্য।
অক্সফোর্ড অ্যাডভান্স লার্নার্স ডিকশনারি এর সংজ্ঞা অনুযায়ী ডিরেক্ট মেথড হল ভাষা শিক্ষার এমন একটি পদ্ধতি যেখানে মূলত ওই ভাষাটাকেই প্রাধান্য দেওয়া হয়। কোন গ্রামারটিকাল নিয়মাবলী কে নয়। অর্থাৎ এখান থেকে বোঝা যাচ্ছে যে ডিএম এর ক্ষেত্রে যে কোন ভাষা শেখার সময় গ্রামারটিকাল রুলস মুখ্য বিষয় হিসেবে কাজ করে না । এখানে মেইন টার্গেট থাকে ওই নির্দিষ্ট ভাষাকে সরাসরি ব্যবহার করার মাধ্যমে সেই ভাষা আয়ত্ত করা। এক্ষেত্রে গ্রামার সঠিক হলো নাকি ভুল হল সেটা কখনো ম্যাটার করে না।
ডিরেক্ট মেথড এর কিছু বৈশিষ্ট্য রয়েছে। চলুন উদাহরণসহ এই বৈশিষ্ট্য গুলো জেনে নেই:
- ডিরেক্ট মেথড ব্যবহার করা হয় সাধারণত শিক্ষার্থীদের কমিউনিকেশন স্কিলস ডেভলপ করার জন্য।
- এই পদ্ধতির মূল লক্ষ্য হলো স্পিকিং এবং লিসেনিং স্কিলস যেন উন্নত হয়।
- এ পদ্ধতিতে ভাষা শেখার সময় শিক্ষকেরা শিক্ষার্থীদের পার্টনার হিসেবে গণ্য হয়ে থাকে।
- আর শিক্ষার্থীরা শিক্ষকদের সাথে সরাসরি অংশগ্রহণের মাধ্যমে এই পদ্ধতিতে সেকেন্ড ল্যাংগুয়েজ এক্যুয়ার করে থাকে। অর্থাৎ এই পদ্ধতিতে শিক্ষার্থীরা শিক্ষকদের সাথে সরাসরি সেকেন্ড ল্যাঙ্গুয়েজ ব্যবহার করার মাধ্যমে কথোপকথন করে থাকে।
- ডিরেক্ট মিথড কে ইন্ডাক্টিভ মেথড হিসেবে গণ্য করা হয়। কারণ এই পদ্ধতি ব্যবহার করার মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা তাদের টার্গেট ল্যাঙ্গুয়েজ এ কথা বলতে পারে ঠিক নেটিভদের মতো। এক্ষেত্রে তাদেরকে গ্রামারটিকাল নিয়মাবলী তোয়াক্কা না করে ভোকাবুলারি শেখানো হয় সিনুনাইম এবং এন্টোনাইম এর মাধ্যমে।
- এই মেথডে শিক্ষার্থীদের মাতৃভাষা ব্যবহার করা হয় না বললেই চলে। বলা যায় এ সময় মাতৃভাষা সেকেন্ড ল্যাংগুয়েজ হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
- এই পদ্ধতিতে ভাষা শেখার সময় শিক্ষার্থীদের যে ভুলগুলো হয় সেগুলো শিক্ষকেরা কারেকশন করে দেয় না বরং সেগুলো শিক্ষার্থীরা নিজে নিজে কারেকশন করে নেয়।
- ডিরেক্ট মেথড সাধারণ শিক্ষার্থীরা এডপ্ট করতে পারেনা। এই পদ্ধতিতে ভাষা শিখতে পারে শুধুমাত্র হাই লেভেলের শিক্ষার্থীরাই।
ডিরেক্ট মেথড এর টেকনিক
যে সকল টেকনিক অবলম্বন করে ডিরেক্ট মেথডে সেকেন্ড ল্যাংগুয়েজ শেখা হয় সেগুলো নিচে আলোচনা করা হলো। এই টেকনিক গুলো নেওয়া হয়েছে Larsen Freeman এর টেকনিকগুলো থেকে।
- এ পদ্ধতিতে ভাষা শিখার সময় শিক্ষার্থীরা জোরে উচ্চারণ করে কথা বলবে এবং পড়াশোনা করবে।
- এছাড়াও শিক্ষকদেরকে সরাসরি টার্গেট ল্যাঙ্গুয়েজে প্রশ্ন করা এবং শিক্ষকদের প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার মাধ্যমে ভাষা শিখে থাকে।
- সে ক্ষেত্রে যখন ভুল করে তখন সেগুলো শিক্ষকেরা সমাধান করে দেয় না বরং তাদের জন্যই রেখে দেওয়া হয়। এতে করে নিজেরা নিজেদের ভুল সংশোধনের মাধ্যমে ভালোভাবে ভাষা শিক্ষা গ্রহণ করতে পারে।
- ডিরেক্ট মেথড এ শিক্ষকরা সরাসরি টার্গেট ল্যাঙ্গুয়েজ ব্যবহার করে শিক্ষার্থীদের প্রশ্ন করে থাকে এবং টার্গেট ল্যাঙ্গুয়েজ এই শিক্ষার্থীরা উত্তর দিয়ে থাকে।
- এই পদ্ধতিতে ভাষা শেখার সময় শিক্ষকেরা সাধারণত একটা নির্দিষ্ট অনুচ্ছেদ বিভিন্ন গতিতে জোরে শব্দ করে পড়ে থাকে এবং শিক্ষার্থীরা তাদের লিসেনিং স্কিলস ব্যবহার করে শিক্ষকদের পড়া টেক্সট থেকে খাতায় নোট করে থাকে।
- সাধারণত শিক্ষকেরা ভাষা শেখানোর সময় শিক্ষার্থীদের কে মুখে মুখেই বিভিন্ন নির্দেশনা দিয়ে থাকে এবং সেই নির্দেশনা গুলো শিক্ষার্থীরা অনুসরণ করে নিজেদের মতো করে এগোতে থাকে।
- অনেক সময় শিক্ষার্থীদের কে বিভিন্ন প্যারাগ্রাফ লিখতে বলা হয় যা মুখস্ত বিদ্যার সম্পূর্ণ বাহিরে। প্যারাগ্রাফ লেখার সময় শিক্ষার্থীরা তাদের নিজেদের ভোকাবুলারি ব্যবহার করে এবং তাদের ইচ্ছা মতো প্যারাগ্রাফ লিখে থাকে।
ডিরেক্ট মেথডের কিছু অসুবিধা:
- বিশ শতকের শুরুর দিকে ইউরোপের প্রাইভেট স্কুল গুলোতে হাইলি মোটিভেটেড শিক্ষার্থীদের এই পদ্ধতিতে বিভিন্ন ভাষা শেখানো হতো। কিন্তু সে সময় পাবলিক স্কুল গুলোর শিক্ষার্থীরা এই পদ্ধতি তে তেমন একটা ভালো ফলাফল বয়ে আনতে পারেনি।
- এছাড়াও এই পদ্ধতিতে যেহেতু শিক্ষার্থীদের ভুল সেভাবে ধরা হয় না এবং গ্রামারের কোন বাধ্যবাধকতা নেই তাই অনেক সময় প্রাথমিক পর্যায়ে শিক্ষার্থীরা তাদের মনের ভাব মাতৃভাষার মতো করে পূর্ণাঙ্গ রূপে প্রকাশ করতে পারে না। কারণ মাতৃভাষাকে ট্রান্সলেট করার মাধ্যমে যত পরিষ্কার মনোভাব প্রকাশ পাবে মুখে বলার মাধ্যমে ততটা পাবে না।
- তাছাড়া এই ভাষা শেখার সময় ক্লাসের সাইজ ছোট হতে হবে এবং শুধুমাত্র হাইলি মোটিভেটেড শিক্ষার্থীরাই এই পদ্ধতি এডপ্ট করতে সক্ষম হবে। সাধারণ শিক্ষার্থীরা কখনো এই এই পদ্ধতিতে ভাষা শিখতে পারবেনা।
- এই পদ্ধতিতে শিক্ষার্থীরা পরিষ্কারভাবে তাদের মনের ভাব চিন্তাভাবনা ভয় মটিভেশন কোন কিছুই একেবারে পরিপূর্ণভাবে প্রকাশ করতে পারেনা।
আশা করি ডিরেক্ট মেথড কি এবং এটি কিভাবে ব্যবহার করা হয় সে সম্পর্কে আপনারা একটা বিস্তারিত ধারণা পেয়েছেন। ডিরেক্ট মেথড এবং গ্রামার ট্রান্সলেশন মেথড অনেকটা একই সুতোয় গাথা বিপরীত দুটি বিষয়। ডিরেক্ট মেথড এর সুবিধাগুলো হলো গ্রামার ট্রান্সলেশন মেথড এর অসুবিধা। এই দুইটা মেথড একসাথে পড়লে আপনার টপিক দুইটি বুঝতে অনেকটা সুবিধা হবে।
Study more: SLT SUMMARY