Doctor Faustus Bangla Summary – বাংলা সামারি

Doctor Faustus by Christopher Marlowe

ক্রিস্টোফার মার্লো জন্মগ্রহণ করেন ১৫৬৪ সালে, উইলিয়াম শেক্সপিয়ারও একই বছরে জন্মগ্রহণ করেন। মার্লোর বাবা ছিলেন একজন জুতার মিস্ত্রি (মুচি)। মার্লো স্কলারশিপ পেয়ে কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেন। কিছু লোক অভিযোগ করে যে তিনি গোপনে ক্যাথলিক ধর্ম অনুসরণ করতেন, যা তখনকার সময়ে নিষিদ্ধ ছিল। মার্লোর প্রথম বিখ্যাত নাটক “Tamburlaine” (1590), ছিল ব্ল্যাঙ্ক ভার্সে লেখা এবং এটি খুব জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। তাঁর নাটকগুলো অনেকেই ভালোবাসে, কিন্তু তাঁর জীবন ছিল খুবই সংক্ষিপ্ত। ১৫৯৩ সালে তিনি এক হামলায় মারা যান—কেউ কেউ বলে এটি ছিল সাধারণ এক বার ফাইট, আবার কেউ কেউ মনে করে এটি ছিল গোপন বা রাজনৈতিক কোনো হত্যাকাণ্ড। বর্তমানে মার্লোকে বিবেচনা করা হয় উইলিয়াম শেক্সপিয়ারের পরেই সেই সময়ের সবচেয়ে বিখ্যাত নাট্যকার হিসেবে

আরো পড়ুনঃ Macbeth Bangla Summary – বাংলা সামারি

Doctor Faustus

  • Title: Doctor Faustus.
  • Full Title: The Tragical History of the Life and Death of Doctor Faustus.
  • Playwright: Christopher Marlowe (1564-1593)
  • When Written: Probably in 1592 or 1593
  • Published: 1604
  • Genre: Elizabethan Tragedy
  • Act: 5
  • Time Setting: Late 1500s
  • Place Setting: a) Wittenberg, Germany; b) Rome, at the Pope’s court; c) The court of Emperor Charles V
  • Literary Age: Renaissance Period (1550-1660)/Elizabethan Age (1558-1603)

Key Notes

University Wits

The University Wits were a group of young and talented English writers in the late 16th century. They all went to famous universities like Oxford or Cambridge. They wrote plays and poems. They helped make English drama more exciting and powerful. The most famous University Wits were Christopher Marlowe, Robert Greene, Thomas Nashe, Thomas Lodge, George Peele, and Thomas Kyd. They came before Shakespeare and helped prepare the way for him and other great writers.

ইউনিভার্সিটি উইটস-রা ছিলেন ১৬শ শতকের শেষ দিকের কিছু তরুণ এবং মেধাবী ইংরেজ লেখকের একটি দল। তারা সবাই অক্সফোর্ড বা কেমব্রিজের মতো বিখ্যাত বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করছিলেন। তারা নাটক ও কবিতা লিখতেন। তারা ইংরেজি ভাষার নাট্যকলা আরও রোমাঞ্চকর ও শক্তিশালী করে তুলতে সাহায্য করেন। এই দলের সবচেয়ে পরিচিত সদস্য ছিলেন ক্রিস্টোফার মার্লো, রবার্ট গ্রীন, থমাস ন্যাশ, থমাস লজ, জর্জ পিল এবং থমাস কিড। তারা শেক্সপিয়ারের আগেই লিখতে শুরু করেছিলেন এবং তাঁর ও অন্যান্য বিখ্যাত লেখকদের জন্য পথ প্রদর্শক হিসেবে ভূমিকা রাখেন।

Characters

Doctor Faustus – Doctor Faustus is a brilliant scholar. But he wants more knowledge and power. He wants to be powerful like God. He is not happy with normal learning, so he uses magic to become great. But Faustus makes a big mistake by selling his soul to the devil,  in exchange for 24 years of unlimited power and knowledge. Even when he gets chances to repent, he does not. In the end, his pride and wrong choices led to his tragic death.

ডক্টর ফস্টাস একজন অসাধারণ মেধাবী পণ্ডিত। কিন্তু সে আরও জ্ঞান ও শক্তি চায়। সে ঈশ্বরের মতো শক্তিশালী হতে চায়। সাধারণ শিক্ষায় সে সন্তুষ্ট নয়, তাই সে জাদুবিদ্যার মাধ্যমে শক্তিশালী হতে চায়। কিন্তু ফস্টাস একটি বড় ভুল করে—সে ২৪ বছরের সীমাহীন শক্তি ও জ্ঞানের বিনিময়ে শয়তানের কাছে নিজের আত্মা বিক্রি করে দেয়। সে অনেকবার অনুতপ্ত হওয়ার অর্থাৎ ঈশ্বরের কাছে ক্ষমা চাওয়ার সুযোগ পেলেও তা করে না। শেষ পর্যন্ত তাঁর অহংকার ও ভুল সিদ্ধান্তই তাঁর করুণ মৃত্যুর কারণ হয়ে দাঁড়ায়।

Mephistophilis/Mephistopheles – A devil who serves Lucifer and becomes Faustus’s servant after the deal.

মেফিস্টোফিলিস হল শয়তান। সে শয়তানদের প্রধান লুসিফারের সেবক। ফস্টাসের সঙ্গে চুক্তি করার পর সে ফস্টাসের চাকর হয়ে যায়।

Lucifer – The leader of the devils (Satan), who accepts Faustus’s soul. He ensures Faustus never repents.

লুসিফার শয়তানের প্রধান। যে ফস্টাসের আত্মা গ্রহণ করে। সে নিশ্চিত করে যে ফস্টাস কখনোই অনুতাপ না করে।

Wagner – Faustus’s loyal servant. He tries to copy his master’s magic and bullies a clown into serving him.

ওয়াগনার ফস্টাসের বিশ্বস্ত চাকর। সে তার মালিকের মতো জাদুবিদ্যা শেখার চেষ্টা করে এবং এক ক্লাউনের উপর জোর খাটিয়ে তাকে নিজের চাকর বানায়।

The Good Angel – The Good Angel is a spirit who appears on stage. The Good Angel tells Faustus to stop practising magic and return to God. The Good Angel is the symbol of Faustus’s conscience, which tells him to stay away from sin.

গুড এঞ্জেল হলো এক পবিত্র আত্মা। সে মঞ্চে এসে ফস্টাসকে বলে জাদুবিদ্যা ছেড়ে ঈশ্বরের পথে ফিরে যেতে। গুড এঞ্জেল হলো মূলত ফস্টাসের বিবেকের প্রতীক, যেটি তাকে বার বার পাপ থেকে দূরে থাকতে বলে।

The Evil Angel – The Evil Angel is a spirit who appears on stage.  The Evil Angel tells Faustus to continue with black magic and enjoy honour and wealth. The Evil Angel stands for Faustus’s pride, greed, and temptation.

আরো পড়ুনঃ Volpone Bangla Summary – বাংলা সামারি

ইভিল এঞ্জেল হলো শয়তানী আত্মা। সে ফস্টাসকে কালো জাদু চালিয়ে যেতে ও খ্যাতি ও সম্পদ উপভোগ করতে উৎসাহ দেয়। ইভিল এঞ্জেল মূলত ফস্টাসের অহংকার, লোভ, ও প্রলোভনের প্রতীক।

Valdes and Cornelius – Two magicians who introduce Faustus to black magic and encourage him to pursue it.

ভালডেস ও কর্নেলিয়াস হলো দুইজন জাদুকর, যারা ফস্টাসকে কালো জাদুর সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেয়। তারা ফস্টাসকে জাদুবিদ্যা শেখার জন্য উৎসাহ দেয়।

The Old Man – A wise and religious man tells Faustus to repent. But Faustus does not listen.

বৃদ্ধ ব্যাক্তি হলেন জ্ঞানী ও ধার্মিক ব্যক্তি। তিনি ফস্টাসকে অনুতপ্ত হতে বলেন, তথা ঈশ্বরের কাছে ক্ষমা চাইতে বলেন। কিন্তু ফস্টাস তাঁর কথা শোনে না।

The Chorus – A narrator who introduces and concludes the play. He explains the moral lesson of Faustus’s story.

কোরাস হলো বক্তা বা ন্যারেটর। সে নাটকের শুরু ও শেষে এসে ফস্টাসের কাহিনির নৈতিক শিক্ষা ব্যাখ্যা করে।

Robin and Rafe – Two comic characters who steal Faustus’s magic book and try to use it for silly tricks.

রবিন ও রাফ হলো দুই জোকার চরিত্র, যারা ফস্টাসের জাদুর বই চুরি করে এবং মজা করার জন্য তা ব্যবহার করতে চায়।

The Scholars – Friends of Faustus, who respect his intelligence but later mourn his tragic fate.

স্কলারস বা পণ্ডিতেরা হলো ফস্টাসের বন্ধুরা। তারা ফস্টাসের জ্ঞানকে শ্রদ্ধা করে, কিন্তু শেষে তার মর্মান্তিক পরিণতিতে শোক প্রকাশ করে।

The Pope – The head of the Catholic Church. Faustus teases and slaps him by going invisible.

পোপ হলো রোমান ক্যাথলিক চার্চের প্রধান। ফস্টাস অদৃশ্য হয়ে তাকে উপহাস করে ও চড় মারে।

Emperor Carolus V (Charles V) – The Roman Emperor who invites Faustus to perform magic tricks at his court.

সম্রাট চার্লস পঞ্চম রোমান সম্রাট, যিনি ফস্টাসকে রাজদরবারে জাদু দেখাতে আমন্ত্রণ জানান।

Knight (Benvolio) – A rude knight at the Emperor’s court who mocks Faustus. Because of this, Faustus punishes him with horns on his head.

নাইট (বেনভোলিও) সম্রাটের দরবারের এক যোদ্ধা, যে ফস্টাসকে অপমান করে। এর ফলে ফস্টাস শাস্তিস্বরূপ তার মাথায় শিং গজিয়ে দেয়।

Duke and Duchess of Vanholt – A noble couple whom Faustus impresses by magically bringing grapes in winter.

ডিউক ও ডাচেস অব ভ্যানহোল্ট – ভ্যানহোল্টের শাসক ও তার স্ত্রী। শীতকালে যাদুর মাধ্যমে আঙুর ফল এনে ফস্টাস তাদের মুগ্ধ করে।

Helen of Troy – A spirit summoned by Faustus. Helen reminds us of Faustus’s obsession with worldly beauty and pleasure.

ট্রয়ের হেলেন হলো এক আত্মা। ফস্টাস যাদুর মাধ্যমে ট্রয়ের সেই বিখ্যাত সুন্দরী হেলেনকে হাজির করে। হেলেন হলো ফস্টাসের পাপ, ভোগ ও আসক্তির প্রতীক।

Horse-Courser – A foolish man who buys a magical horse from Faustus. The horse disappears when it goes into the water.

হর্স-কোর্সার এক বোকা ব্যাক্তি, যে ফস্টাসের কাছ থেকে এক জাদুকরী ঘোড়া কিনে। ঘোড়াটি পানিতে নামলে অদৃশ্য হয়ে যায়।

Bangla Detailed Summary

প্রোলগ/সূচনা—কোরাস: নাটকের শুরুতে Chorus নামে একটি চরিত্র মঞ্চে আসে। কোরাস নাটকের ঘটনার কোনো চরিত্র নয়, বরং সে একজন বক্তা হিসেবে দর্শকদের উদ্দেশে নাটকের ভূমিকা ব্যাখ্যা করে। সে জানায়, এই নাটক রাজা, বীর বা নাইটদের নিয়ে নয়, বরং এটি ডক্টর ফস্টাসের জীবন, তার সিদ্ধান্ত ও পরিণতির গল্প। নাটকের কেদ্রে রয়েছে তার উচ্চ আকাঙ্ক্ষা, সফলতা এবং চূড়ান্ত পতন। কোরাস বলে যে ফস্টাস এক সাধারণ, দরিদ্র পরিবারে জন্মগ্রহণ করেছিল। সে ছিল অত্যন্ত মেধাবী ও প্রতিভাবান এবং পড়াশোনায় অসাধারণ দক্ষতা অর্জন করেছিল। কিন্তু সে জ্ঞানের সঠিক ব্যবহার না করে জাদুবিদ্যা ও আত্মা আহ্বানের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে পড়ে। আর এটাই তার ধ্বংসের কারণ হয়।

কোরাস বলে:

“তার মোমের ডানা স্বাভাবিক সীমার ঊর্ধ্বে উঠে গিয়েছিল…

অশুভ চর্চায় লিপ্ত হয়ে সে পতিত হলো…

সে অভিশপ্ত জাদুবিদ্যার প্রতি আসক্ত হয়ে পড়েছিল।”

কোরাস ব্যাখ্যা করে যে ফস্টাস তার ধর্মতত্ত্বের শিক্ষায় সাফল্য অর্জন করেছিল, কিন্তু অহংকার ও অতিরিক্ত উচ্চাশা তাকে অন্ধ করে দেয়। তাকে গ্রিক পুরাণের ইকারাসের সাথে তুলনা করা হয়, যে সূর্যের খুব কাছাকাছি উড়ে গিয়েছিল, ফলে তার মোমের ডানা গলে গিয়ে সে পতিত হয়। ঠিক তেমনই, ফস্টাসও সীমার বাইরে চলে গিয়ে জাদুবিদ্যার প্রতি আসক্ত হয়ে ধ্বংস হয়ে যায়। কোরাস দর্শকদের সতর্ক করে দেয় যে মাত্রাতিরিক্ত উচ্চাকাঙ্ক্ষা যে কোনো ব্যক্তির পতন ডেকে আনতে পারে।

অঙ্ক ১, দৃশ্য ১ – ফস্টাস জাদুবিদ্যা বেছে নেয়

ডক্টর ফস্টাস তার পড়ার ঘরে একা বসে চিন্তা করছিল যে, কোন বিষয় নিয়ে সে গবেষণা করবে। সে বিভিন্ন বিষয়ে ভাবে:

  • যুক্তিবিদ্যা – সে ইতিমধ্যেই এটি আয়ত্ত করেছে। এটি কেবল বিতর্কের জন্য কাজে লাগে, তাই সে এতে আর আগ্রহী নয়।
  • চিকিৎসাবিজ্ঞান – এটি মানুষকে সুস্থ করতে পারে, কিন্তু মৃতদের ফিরিয়ে আনতে পারে না। তাই এতে তার তেমন উৎসাহ নেই।
  • আইন – এটি তার কাছে একঘেয়ে এবং সম্পূর্ণ অর্থ-কেন্দ্রিক মনে হয়।
  • ধর্মতত্ত্ব – বাইবেল বলে যে সকল মানুষ পাপী এবং সকলকে শাস্তি ভোগ করতে হবে। এটি শোনার পর তার মনে হয় যে ধর্মতত্ত্ব তার জন্য কোনো মুক্তির পথ দেখাবে না।

এই বিষয়গুলোর কোনোটি তাকে যথেষ্ট ক্ষমতা দিতে পারবে না বলে সে জাদুবিদ্যা শেখার সিদ্ধান্ত নেয়। ফস্টাস বলে:

“Che sara, sara

যা হওয়ার তা হবেই! ধর্মতত্ত্ব, বিদায়!

জাদুবিদ্যার এই গভীর তত্ত্ব,

এবং কালোজাদুর বই আমার কাছে স্বর্গীয়!”

ফস্টাস ধর্মকে বিদায় জানিয়ে দেয়। ফস্টাস বিশ্বাস করে যে জাদুবিদ্যা তাকে সর্বশক্তিমান, ধনী এবং বিখ্যাত করে তুলবে। সে তার চাকর ওয়াগনারকে ডেকে পাঠায় এবং জাদুবিদ্যা শেখার জন্য ভালডেস ও কর্নেলিয়াসকে নিয়ে আসতে বলে।

ওয়াগনার চলে যাওয়ার পর, দুটি আত্মা আসে।

The Good Angel/সত্‍ আত্মা:

“O ফস্টাস, ওই অভিশপ্ত বইটি দূরে সরিয়ে রাখো।

এটার দিকে তাকিও না, এটি তোমার আত্মাকে প্রলোভিত করবে,

এবং ঈশ্বরের ভয়ানক ক্রোধ তোমার উপর আসবে!

বাইবেল পড়ো, এই পথেই মুক্তি আছে।”

The Evil Angel/অসত্‍ আত্মা:

“ফস্টাস, সেই বিখ্যাত বিদ্যায় (জাদুবিদ্যায়) এগিয়ে যাও,

যেখানে প্রকৃতির সমস্ত সম্পদ নিহিত রয়েছে।

তুমি পৃথিবীতে হবে জোভের (জিউসের) মতো,

এই বিশ্বজগতের শাসক।”

সত্‍ আত্মা ফস্টাসকে সতর্ক করে, কিন্তু অসত্‍ আত্মা তাকে ক্ষমতা, সম্পদ এবং মহত্বের লোভ দেখায়। ফস্টাস সতর্কবাণী উপেক্ষা করে এবং জাদুবিদ্যার মাধ্যমে বিশ্ব শাসনের স্বপ্ন দেখে। সে বলে:

“আমি আত্মাদের দিয়ে যা চাই তা আনিয়ে নেব,

আমার সব প্রশ্নের উত্তর জানবো,

আমি তাদের দিয়ে সাগর চষিয়ে মুক্তা আনাবো,

বিশ্বের অজানা কোণে অনুসন্ধান করাবো।

আমি জার্মানির চারপাশে পিতলের প্রাচীর তুলবো,

এবং রাইন নদীর স্রোতকে ভের্টেনবার্গ (শহর) ঘিরে প্রবাহিত করাবো।”

অর্থাৎ ফস্টাস ভাবতে থাকে যে সে জাদুবিদ্যার মাধ্যমে কত আশ্চর্য কাজ করতে পারবে। সে চায় আত্মাদের ডাকতে, যারা তার চাওয়া মাত্রই যেকোনো কিছু এনে দেবে। তারা তার সব প্রশ্নের উত্তর দেবে, ভারতের সোনা খুঁজে বের করবে, সমুদ্র থেকে মুক্তো নিয়ে আসবে, আর সারা পৃথিবীর ফল এনে দেবে। ফস্টাস চায় তারা তাকে নতুন নতুন ধারণা শেখাক, রাজাদের গোপন তথ্য বলুক, এমনকি জার্মানির চারপাশে শক্ত প্রাচীরও তৈরি করে দিক।

ভালডেস ও কর্নেলিয়াস এসে খুশি হয় এবং ফস্টাসকে জাদুবিদ্যা শেখানোর প্রতিশ্রুতি দেয়। তারা একসঙ্গে রাতের খাবারের পরিকল্পনা করে, যেখানে ফস্টাস তার নতুন যাত্রা শুরু করবে।

আরো পড়ুনঃ The Merchant of Venice

অঙ্ক ১, দৃশ্য ২ – পণ্ডিতেরা ফস্টাস সম্পর্কে উদ্বিগ্ন

দুইজন পণ্ডিত ফস্টাসকে খুঁজতে আসে। তারা ওয়াগনারকে জিজ্ঞাসা করে, এবং ওয়াগনার তাদের সাথে কৌতুক করে কথা বলে। পরে সে জানায় যে ফস্টাস ভালডেস ও কর্নেলিয়াসের সাথে রাতের খাবার খাচ্ছে। পণ্ডিতেরা আতঙ্কিত হয়, কারণ তারা জানে যে ভালডেস ও কর্নেলিয়াস জাদুকর এবং ফস্টাস সম্ভবত কালোজাদুর চর্চা করছে। তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধানকে জানানোর সিদ্ধান্ত নেয়, যাতে কেউ ফস্টাসকে এই বিপজ্জনক পথ থেকে ফেরাতে পারে।

অঙ্ক ১, দৃশ্য ৩ – ফস্টাস শয়তানকে আহ্বান করে

এক শীতের রাতে, ফস্টাস তার পড়ার ঘরে একা বসে আছে। এখন সে তার জাদুবিদ্যায় আত্মবিশ্বাসী এবং একটি শয়তানকে আহ্বান করার জন্য প্রস্তুত। একটি মন্ত্রবই ব্যবহার করে ফস্টাস যাদুর বৃত্ত আঁকে, অদ্ভুত শব্দ লেখে এবং ল্যাটিন ভাষায় মন্ত্র পাঠ করে। কিছুক্ষণের মধ্যেই এক শয়তান আবির্ভূত হয়—তার নাম মেফিস্টোফিলিস। প্রথমে, ফস্টাস মেফিস্টোফিলিসের চেহারা পছন্দ করে না, তাই সে তাকে আরও সুন্দর আকৃতিতে ফিরে আসতে বলে। মেফিস্টোফিলিস একজন সন্ন্যাসীর রূপ নিয়ে ফিরে আসে, আর ফস্টাস খুশি হয়।

এরপর, ফস্টাস মেফিস্টোফিলিসকে তার অনুগত থাকার আদেশ দেয়, কিন্তু সে তা প্রত্যাখ্যান করে। সে ব্যাখ্যা করে যে সে কেবলমাত্র লুসিফার (শয়তান)-এর অনুগত:

“ফস্টাস: আমি আদেশ দিচ্ছি, তুমি আমার সেবা করবে,

যতদিন আমি জীবিত থাকবো,

আমার যা কিছু প্রয়োজন তা এনে দেবে,

যদি আমি চাঁদকে আকাশ থেকে নামাতে চাই,

অথবা সমুদ্রকে পৃথিবীর উপর ছড়িয়ে দিতে চাই।”

“মেফিস্টোফিলিস: আমি মহাশয়তান লুসিফারের অনুগত,

আমি তার অনুমতি ছাড়া তোমার অনুসারী হতে পারি না।

আমাদের কাজ শুধুমাত্র তার আদেশ পালন করা।”

মেফিস্টোফিলিস ফস্টাসকে সতর্ক করে দেয় যে নরক বাস্তব এবং এটি কষ্টে ভরা, কিন্তু ফস্টাস তা উপেক্ষা করে। বরং, সে মেফিস্টোফিলিসকে লুসিফারের কাছে গিয়ে জিজ্ঞাসা করতে বলে যে সে কি ক্ষমতার বিনিময়ে তার আত্মা বিক্রি করতে পারে কিনা:

“ফস্টাস: লুসিফারের কাছে এই বার্তা নিয়ে যাও,

কারণ ফস্টাস শাশ্বত মৃত্যুর পথে রয়েছে,

কারণ সে জোভ/জুপিটারের (ঈশ্বরের) বিরোধিতা করেছে।

বল, সে তার আত্মা লুসিফারের কাছে সমর্পণ করছে,

যাতে তাকে চব্বিশ বছর দেয়া হয়,

আর সে বিলাসিতায় জীবন কাটাতে পারে।

যাতে তুমি (মেফিস্টোফিলিস) সব সময় তার পাশে থাকো,

তার যা কিছু প্রয়োজন তা এনে দাও,

তার সব প্রশ্নের উত্তর দাও,

তার শত্রুদের হত্যা করো এবং তার বন্ধুদের সাহায্য করো,

এবং সবসময় তার আদেশ মেনে চলো।

এখন যাও এবং লুসিফারের কাছে ফিরে যাও,

আমার পড়ার ঘরে মধ্যরাতে ফিরে এসো,

আর আমাকে তোমার প্রভুর সিদ্ধান্ত জানাও।”

“মেফিস্টোফিলিস: আমি তাই করবো, ফস্টাস।

মেফিস্টোফিলিস চলে যাওয়ার পর, ফস্টাস স্বপ্ন দেখতে থাকে যে সে বিশ্ব শাসন করছে, পাহাড় সরিয়ে নিচ্ছে এবং প্রকৃতির উপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করছে।

“ফস্টাস: যদি আমার তারকার সমান আত্মা থাকতো,

আমি সব আত্মা মেফিস্টোফিলিসের জন্য উৎসর্গ করতাম।

তার সাহায্যে আমি বিশ্বের সর্বোচ্চ সম্রাট হবো,

আমি বাতাসের মধ্যে এক সেতু তৈরি করবো,

যাতে সৈন্যরা সমুদ্র পাড়ি দিতে পারে।”

অঙ্ক ১, দৃশ্য ৪ – ওয়াগনার এক ভাঁড়কে প্রতারিত করে: এটি একটি হাস্যরসাত্মক (কমিক) দৃশ্য। ফস্টাসের চাকর ওয়াগনার এক ভাঁড় (একজন দরিদ্র কৃষক)-এর সাথে দেখা করে। সে ভাঁড়টিকে “ছোকড়া” বলে ডেকে তাকে বিদ্রূপ ও উপহাস করে। ভাঁড় প্রতিবাদ করে এবং বলে যে সে একজন প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষ। ওয়াগনার তাকে চাকর হিসেবে নিয়োগ করতে চায়, কিন্তু ভাঁড় রাজি হয় না। তখন ওয়াগনার জাদুবিদ্যা ব্যবহার করে তাকে ভয় দেখায়, যাতে সে মনে করে যে শয়তানের আত্মারা তাকে আক্রমণ করবে। ভাঁড় ভয়ে আতঙ্কিত হয়ে পড়ে এবং বাধ্য হয়ে ওয়াগনারের চাকরি করতে রাজি হয়।

অঙ্ক ২, দৃশ্য ১ – ফস্টাস তার আত্মা বিক্রি করে: ফস্টাস মেফিস্টোফিলিসের জন্য অপেক্ষা করছে। এখন সে তার সিদ্ধান্ত নিয়ে সংশয়ে ভুগতে শুরু করে।

[সত্‍ আত্মা ও অসত্‍ আত্মা প্রবেশ করে।]

সত্‍ আত্মা: “প্রিয় ফস্টাস, এই অভিশপ্ত বিদ্যা ছেড়ে দাও।”

ফস্টাস: “অনুশোচনা, প্রার্থনা, ক্ষমা—এগুলো কি?”

সত্‍ আত্মা: “ওহ, এগুলোই তোমাকে স্বর্গের পথে নিয়ে যেতে পারে!”

অসত্‍ আত্মা: “এসব শুধুই বিভ্রান্তি, পাগলামির ফল,

যা বোকারা বিশ্বাস করে।”

সত্‍ আত্মা: “প্রিয় ফস্টাস, স্বর্গ ও পবিত্র জিনিসের কথা ভাবো।”

অসত্‍ আত্মা: “না, ফস্টাস; বরং সম্মান ও সম্পদের কথা ভাবো।”

সত্‍ আত্মা তাকে সতর্ক করে যে এখনো সময় আছে ফিরে আসার, কিন্তু অসত্‍ আত্মা তাকে ক্ষমতার লোভ দেখায়।

মেফিস্টোফিলিস ফিরে এসে জানায় যে লুসিফার ফস্টাসের প্রস্তাবে রাজি হয়েছে। ফস্টাস ২৪ বছর ক্ষমতা পাবে, তারপর তার আত্মা লুসিফারের সম্পত্তি হবে। কিন্তু লুসিফার একটি লিখিত চুক্তি চায়।ফস্টাস রক্ত দিয়ে চুক্তি স্বাক্ষর করে, কিন্তু তার রক্ত হঠাৎ করে জমে যায়, যেন তার শরীর তাকে সতর্ক করছে। মেফিস্টোফিলিস উত্তপ্ত কয়লা নিয়ে আসে, যাতে রক্ত আবার প্রবাহিত হয়, এবং ফস্টাস স্বাক্ষর সম্পন্ন করে। ঠিক সেই মুহূর্তে, তার হাতে একটি সতর্কবার্তা দেখা যায়: “Homo, fuge!” (“মানুষ, পালাও!”)। কিন্তু ফস্টাস এটিকে উপেক্ষা করে। লুসিফার তাকে কিছু উপহার ও এক জাদুবিদ্যার বই পাঠায়, যাতে সে আনন্দে মেতে থাকে। ফস্টাস খুশি হয় এবং তার সন্দেহ ভুলে যায়।

ফস্টাসও চুক্তিতে পাঁচটি শর্ত দেয়।

প্রথমত, ফস্টাস চাইলে আত্মায় রুপান্তর হয়ে যেতে পারবে।
দ্বিতীয়ত, সে চায় মেফিস্টোফিলিস যেন তার চাকর হয়ে তার আদেশ মেনে চলে।
তৃতীয়ত, মেফিস্টোফিলিস যেন তাকে সে যা কিছু চায় তা এনে দেয়।
চতুর্থত, ফস্টাস চায় মেফিস্টোফিলিস যেন তার বাড়িতে অদৃশ্য হয়ে থাকে।
শেষে, সে চায় মেফিস্টোফিলিস যেন যেকোনো সময়, ফস্টাস যেমন চায় তেমন রুপেই তার সামনে হাজির হয়

অঙ্ক ২, দৃশ্য ২ – ভাঁড় রবিন জাদুবিদ্যা শেখে: এটি আরেকটি হাস্যরসাত্মক (কমিক) দৃশ্য। এক আস্তাবল (ঘোড়ার দেখাশোনা করা) কর্মচারী রবিন, ফস্টাসের জাদুবিদ্যার একটি বই চুরি করে। সে নিজেই জাদুবিদ্যা শিখতে চায়। তার বন্ধু রাফ এসে বইটি দেখে। রবিন গর্ব করে বলে যে এই বইয়ের মাধ্যমে সে অনেক শক্তিশালী হবে। সে বলে, সে জাদুবিদ্যা ব্যবহার করে এক সুন্দরী মেয়েকে মুগ্ধ করবে। রাফ এতে আগ্রহী হয়ে ওঠে এবং জাদুবিদ্যা শিখতে চায়। দুজন মিলে মজার সব কৌশল শেখার পরিকল্পনা করে।

অঙ্ক ২, দৃশ্য ৩ – ফস্টাস অনুতপ্ত হতে চায়: ফস্টাস তার সিদ্ধান্ত নিয়ে অনুশোচনা করতে শুরু করে। সে ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করার কথা ভাবে এবং ক্ষমা চাইতে চায়।

“যখন আমি স্বর্গের দিকে তাকাই, তখন আমি অনুতপ্ত হই,

এবং তোমাকে অভিশাপ দিই, মেফিস্টোফিলিস,

কারণ তুমি আমাকে ঐ সুখ থেকে বঞ্চিত করেছো।”

ঠিক তখনই, সত্‍ আত্মা ও অসত্‍ আত্মা আবার আসে। সত্‍ আত্মা বলে যে ফস্টাস এখনও ক্ষমা পেতে পারে, কিন্তু অসত্‍ আত্মা বলে যে এখন আর ফিরে যাওয়ার সময় নেই।

অসত্‍ আত্মা: “এখন অনেক দেরি হয়ে গেছে।”

সত্‍ আত্মা: “ফস্টাস, এখনো সময় আছে, তুমি অনুতপ্ত হলে সব ঠিক হয়ে যাবে।”

অসত্‍ আত্মা: “যদি তুমি অনুতপ্ত হও, শয়তানের আত্মারা তোমাকে ছিঁড়ে ফেলবে।”

সত্‍ আত্মা: “অনুতপ্ত হও, তাহলে তারা তোমার গায়ে হাতও দিতে পারবে না।”

ফস্টাস: “ওহ, খ্রীষ্ট, আমার পরিত্রাতা,

আমার বিপর্যস্ত আত্মাকে রক্ষা করো!”

সাত ভয়ানক পাপ: ফস্টাস প্রার্থনা শুরু করতে গেলে, হঠাৎ লুসিফার, বেলজেবাব এবং মেফিস্টোফিলিস উপস্থিত হয়। লুসিফার ফস্টাসকে ভয় দেখিয়ে বলে, ঈশ্বরের কথা চিন্তা করা তার চুক্তির বিরুদ্ধে। ফস্টাসকে ভুলিয়ে রাখতে, লুসিফার তাকে সাতটি মারাত্মক পাপ: Pride (অহংকার), Covetousness (লোভ), Wrath (ক্রোধ), Envy (হিংসা), Gluttony (অতিভোজন), Sloth (আলস্য), ও Lust/Lechery (কামনা) এর একটি প্যারেড বা শো দেখায়।

প্রথমে প্রাইড (অহংকার) নিজেকে পরিচয় করিয়ে দেয়। সে এতটাই অহংকারী যে, সে নিজের বাবা-মা থাকার কথাও স্বীকার করে না। সে বলে, সে যা খুশি করতে পারে। পরে সে চারপাশের গন্ধ নিয়ে অভিযোগ করে এবং বলে, সে আর কিছুই বলবে না যদি না মাটি সুগন্ধি ও দামি কাপড় দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়।

এরপর কোভেটাসনেস (লোভ) আসে। সে বলে, সে চায় পুরো বাড়ি এবং তার মধ্যে থাকা সবাইকে সোনা বানিয়ে ফেলতে। সে সোনাকে খুব ভালোবাসে এবং বলে, “ওহ, আমার প্রিয় সোনা!”

র‍্যাথ (ক্রোধ) এসে বলে, তার কোনো বাবা-মা নেই। সে দাবি করে, সে এক সিংহের মুখ থেকে বের হয়েছে, যখন সে মাত্র আধা ঘণ্টা বয়সের ছিল। তখন থেকেই সে দুনিয়া ঘুরে বেড়াচ্ছে তলোয়ার হাতে, এবং কখনো কাউকে আঘাত করার জন্য না পেলে সে নিজেকেই আঘাত করে। সে বলে, সে নরকে জন্মেছে এবং ফস্টাসের ঘরের কেউ হয়ত তার পরবর্তী ভিক্টিম হতে পারে। অর্থাৎ তার এতই ক্রোধ যে সে যে কাউকেই আক্রমণ করে বসতে পারে।

এনভি (ঈর্ষা) নিজেকে পরিচয় করিয়ে দেয় এবং বলে, সে পড়তে পারে না, তাই সে চায় সব বই পুড়ে যাক। সে সবসময় অন্যদের খেতে দেখে ও হিংসা করে। ফলে সে চায় যে দুর্ভিক্ষ আসুক, সবাই মরে যাক, আর সে একা বেঁচে থেকে সব খাবার নিজেই খাক।

গ্লাটনি (অতিরিক্ত ভোজন) বলে, তার বাবা-মা মারা গেছে এবং তাকে কিছুই দেয়নি, শুধু প্রতিদিনের খাবার—প্রতিদিন মাত্র ত্রিশ বেলা খাবার আর প্রতিদিন দশবার হালকা নাস্তা দিয়েছে! সে বলে, এটা নাকি খুবই কম। সে ফস্টাসকে বলে তাকে ডিনারে ডাকতে। কিন্তু ফস্টাস রাজি হয় না, কারণ সে ভাবে গ্লাটনি তার সব খাবার শেষ করে ফেলবে। এতে গ্লাটনি রেগে গিয়ে তাকে গালি দেয়।

স্লথ (আলস্য) এসে বলে, সে রোদে শুয়ে শুয়ে জন্মেছে এবং তখন থেকেই সেখানেই আরামে শুয়ে আছে। কেউ তাকে বিরক্ত করায় সে রেগে যায়। সে গ্লাটনি ও লাস্টকে বলে তাকে তুলে নিয়ে নিজের জায়গায় পৌঁছে দিতে। অর্থাৎ সে এতই অলস যে সে নিজে কষ্ট করে ফেরত যেতে চায় না। সে বলে, বিশাল পুরস্কার দিলেও সে আর একটাও কথা বলবে না, কারণ কথা বলতেও তার আলসেমি লাগে।

সব শেষে ফস্টাস শেষ জনকে জিজ্ঞাসা করে, তুমি কে? তখন লাস্ট (কামনা) উত্তর দেয় যে, সে অনেক রান্না করা মাছের চেয়ে সামান্য কাঁচা মাংস পছন্দ করে—এই কথা দিয়ে বোঝানো হয়, সে ভোগ-সুখকে ভালোবাসে।

সাত ভয়ানক পাপের এই প্যারেড শো দেখে ফস্টাস অনুতপ্ত হওয়ার কথা ভুলে যায়। লুসিফার ফস্টাসকে আরেকটি জাদুবিদ্যার বই উপহার দেয় এবং তাকে শুধুমাত্র জাদুবিদ্যা ও শয়তানের কথা ভাবতে বলে।

অঙ্ক ৩, দৃশ্য ১ – ফস্টাস পোপের সঙ্গে ঠাট্টা করে: ফস্টাস ও মেফিস্টোফিলিস বিশ্ব ভ্রমণ করতে করতে রোমে পৌঁছে। ফস্টাস পোপের সাথে দেখা করতে চায়। মেফিস্টোফিলিস ফস্টাসকে অদৃশ্য করে দেয়, যাতে সে বিনা বাধায় দুষ্টুমি করতে পারে। ফস্টাস পোপের টেবিল থেকে খাবার ও পানীয় চুরি করে, ফলে পোপ মনে করে যে তাকে এক অশরীরী আত্মা ভয় দেখাচ্ছে। তারপর, যখন পোপ প্রার্থনা করতে যায়, ফস্টাস তাকে চড় মারে! পোপ ও তার পুরোহিতরা আতঙ্কিত হয়ে প্রার্থনা করা শুরু করে। ফস্টাস ও মেফিস্টোফিলিস এই ঘটনা দেখে হাসতে থাকে এবং দ্রুত পালিয়ে যায়।

অঙ্ক ৩, দৃশ্য ২ – রবিন ও রাফ মেফিস্টোফিলিসকে আহ্বান করে: রবিন ও রাফে ফস্টাসের চুরি করা জাদুবিদ্যার বই নিয়ে খেলছে। তারা একটি মন্ত্র উচ্চারণ করে জাদুবিদ্যা চালানোর চেষ্টা করে, কিন্তু ভুলবশত তারা মেফিস্টোফিলিসকে আহ্বান করে ফেলে! মেফিস্টোফিলিস ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে, কারণ তাকে এত দূর কনস্টান্টিনোপল (বর্তমান তুরস্ক) থেকে শুধু এই দুই নির্বোধ মানুষের খেলা দেখার জন্য আসতে হয়েছে। শাস্তিস্বরূপ, মেফিস্টোফিলিস রবিনকে একটি বানরে ও রাফকে একটি কুকুরে পরিণত করে।

অঙ্ক ৪, দৃশ্য ১, ২- সম্রাট চার্লস পঞ্চম এর রাজদরবার: ফস্টাস তার জাদুবিদ্যার জন্য বিখ্যাত হয়ে ওঠে। সম্রাট চার্লস পঞ্চম (Carolus V) তাকে রাজদরবারে আমন্ত্রণ জানান। সম্রাট ফস্টাসকে তার ক্ষমতার প্রমাণ দিতে বলেন। তিনি চান যে ফস্টাস গ্রিসের মহান শাসক আলেকজান্ডার দ্য গ্রেটকে ফিরিয়ে আনুক। ফস্টাস আলেকজান্ডারের আত্মাকে আহ্বান করে, এবং সম্রাট মুগ্ধ হন। তবে, এক নাইট (যোদ্ধা) ফস্টাসের জাদুবিদ্যায় বিশ্বাস করে না এবং তাকে উপহাস করে। প্রতিশোধ হিসেবে, ফস্টাস জাদু ব্যবহার করে সেই নাইটের মাথায় দুটি শিং তৈরি করে দেয়, যা তাকে অপমানিত করে। সম্রাট এতে হাসলেও, নাইট ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে। পরে, ফস্টাস শিং সরিয়ে দেয়।

ফস্টাস ও ঘোড়া ব্যবসায়ী: একজন ঘোড়া বিক্রেতা (Horse-Courser) ফস্টাসকে খুঁজতে আসে। সে একটি ঘোড়া কিনতে চায় এবং ৪০ ডলার দিতে চায়। ফস্টাস প্রথমে ৫০ ডলার দাম চায়। কিন্তু ঘোড়া বিক্রেতার অনেক অনুরোধ এবং মেফিস্টোফিলিসের সহায়তায়, ফস্টাস শেষ পর্যন্ত ৪০ ডলারেই ঘোড়াটি বিক্রি করতে রাজি হয়। ঘোড়া দেওয়ার আগে ফস্টাস তাকে সতর্ক করে দেয় যে ঘোড়াটি যেন পানিতে নামানো না হয়। ঘোড়া বিক্রেতা রাজি হয়ে খুশি মনে চলে যায়। কিছুক্ষণ পরে সেই লোকটি ফিরে আসে। সে একেবারে ভিজে গোসল হয়ে গেছে। ফস্টাসের কথা না শুনে সে ঘোড়াটিকে একটি পুকুরে নিয়ে যায়। ঘোড়াটি পানি স্পর্শ করতেই অদৃশ্য হয়ে খড়ের গাদায় পরিণত হয়ে যায়! লোকটি পুকুরে পড়ে যায় এবং প্রায় ডুবে যাচ্ছিল। এখন সে তার টাকা ফেরত চায়। সে ফস্টাসকে ঘুমন্ত অবস্থায় পায় এবং তাকে জাগানোর চেষ্টা করে। ফস্টাস না জাগায়, সে রাগ করে তার পা ধরে টানে—আর ফস্টাসের পা খুলে যায়! লোকটি ভয়ে হতভম্ব হয়ে যায়। সে ভাবে যে সে ফস্টাসকে মারাত্মকভাবে আহত করে ফেলেছে। ফস্টাস অভিনয় করে যেন সে ভীষণ যন্ত্রণা পাচ্ছে, সাহায্যের জন্য চিৎকার করে। মেফিস্টোফিলিস এসে হুমকি দেয় যে সে পুলিশ ডাকবে। ভীত ঘোড়া বিক্রেতা ক্ষমা চাইতে থাকে এবং বলে, তারা যেন তাকে ছেড়ে দেয়, বিনিময়ে সে আরও ৪০ ডলার দেবে। ভয়ে সে দৌড়ে পালিয়ে যায়। ফস্টাস তখন হেসে ওঠে—সবই ছিল এক অভিনয়! তার পা একদম ঠিক আছে, সে লোকটিকে পুরোপুরি বোকা বানিয়েছে। এখন ফস্টাসের কাছে টাকা আছে, আর ঘোড়া বিক্রেতার কাছে আছে শুধু একগাদা খড়।

ভ্যানহোল্টের ডিউক এবং ডাচেস: ভ্যানহোল্টের ডিউক এবং ডাচেস ফস্টাস ও মেফিস্টোফিলিসকে তাদের দরবারে আমন্ত্রণ জানান। ফস্টাস ডাচেসকে জিজ্ঞাসা করেন যে তিনি কি নিদর্শন দেখতে চান। ডাচেস এক থালা আঙুর হাজির করতে বলেন, যেহেতু তখন শীতকাল এবং আঙুর সাধারণত শুধু গ্রীষ্মকালে পাওয়া যায়। মেফিস্টোফিলিস কিছুক্ষণের জন্য অদৃশ্য হয়ে যায় এবং আঙুর নিয়ে ফিরে আসে। ডিউক এতে বিস্মিত হয়ে জানতে চান, ফস্টাস কীভাবে শীতকালে আঙুর আনলেন। ফস্টাস ব্যাখ্যা করেন যে যখন জার্মানিতে শীত, তখন পৃথিবীর বিপরীত দিকে গ্রীষ্ম থাকে। তাই তিনি এক আত্মাকে দ্রুত অন্য মহাদেশ থেকে আঙুর আনতে পাঠিয়েছিলেন। ফস্টাস ডাচেসকে আঙুর খেতে উৎসাহিত করেন, এবং ডাচেস বলেন যে এটি তার জীবনে খাওয়া সেরা আঙুর। ডিউক ও ডাচেস ফস্টাসের জাদুবিদ্যায় মুগ্ধ হন এবং তাকে পুরস্কার দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন।

অঙ্ক ৫, দৃশ্য ১ – ফস্টাস হেলেন অব ট্রয়কে আহ্বান করে: ফস্টাস বুঝতে পারে যে তার সময় শেষ হয়ে আসছে। তার বন্ধু পণ্ডিতরা তাকে দেখতে আসে এবং কিছু জাদু দেখানোর জন্য অনুরোধ করে। তারা হেলেন অব ট্রয়, ইতিহাসের সবচেয়ে সুন্দরী নারীকে দেখতে চায়। ফস্টাস হেলেনের আত্মাকে আহ্বান করে, এবং পণ্ডিতরা তার সৌন্দর্যে মুগ্ধ হয়। পণ্ডিতরা চলে যাওয়ার পর, এক বৃদ্ধ প্রবেশ করে এবং ফস্টাসকে অনুতপ্ত হওয়ার জন্য অনুরোধ করে। তিনি ফস্টাসকে বলেন যে ঈশ্বর দয়ালু এবং তাকে ক্ষমা করবেন। বৃদ্ধ বলেন:

“তবে দয়া প্রার্থনা করো, এবং হতাশা এড়িয়ে চলো।”

ফস্টাস প্রায় অনুতপ্ত হতে চায়, কিন্তু তখনই মেফিস্টোফিলিস তাকে ভয় দেখায় যে যদি সে লুসিফারকে প্রতারণা করে, তবে তাকে টুকরো টুকরো করে ফেলা হবে। ফস্টাস ভয়ে পিছিয়ে যায় এবং লুসিফারের প্রতি অনুগত থাকার সিদ্ধান্ত নেয়। নিজেকে সান্ত্বনা দিতে, সে মেফিস্টোফিলিসকে আবার হেলেনকে আনতে বলে এবং সে তাকে চুম্বন করে। এই মুহূর্তে, ফস্টাস সম্পূর্ণভাবে তার পরিত্রাণের আশা ত্যাগ করে।

আরো পড়ুনঃ The Duchess of Malfi Bangla Summary – বাংলা সামারি

ফস্টাস:

“একটি অনুরোধ, প্রিয় অনুগত, আমি তোমার কাছে চাই,

আমার হৃদয়ের আকাঙ্ক্ষা পূর্ণ করতে দাও।

আমি চাই আমার সঙ্গী হয়ে থাকুক,

সেই স্বর্গীয় হেলেন, যাকে আমি কিছুক্ষণ আগে দেখেছিলাম।

তার মিষ্টি আলিঙ্গন যেন আমার সমস্ত দ্বিধা দূর করে,

যাতে আমি লুসিফারের প্রতি আমার প্রতিজ্ঞা রক্ষা করতে পারি।”

ফস্টাস হেলেনের দিকে তাকিয়ে বলে:

“এটাই কি সেই মুখ, যা হাজারো যুদ্ধজাহাজ চালনা করেছিল

এবং ইলিয়ামের (ট্রয়ের) সুউচ্চ মিনার ধ্বংস করেছিল?”

অর্থাৎ, ফস্টাস মেফিস্টোফিলিসকে শেষ একটি অনুরোধ করে—সে চায় ট্রয়ের হেলেনের আত্মাকে ডেকে আনতে। ফস্টাস চায় হেলেনকে উপভোগ করতে, কারণ সে বিশ্বাস করে হেলেনের ভালোবাসা তার সব অপরাধবোধ মুছে দেবে। যখন ফস্টাস হেলেনকে দেখে, সে তার সৌন্দর্যে মুগ্ধ হয়ে যায় এবং বিখ্যাত সেই লাইনটি বলে: “Was this the face that launched a thousand ships…” এর অর্থ হলো—এই সৌন্দর্যই একসময় ট্রয় যুদ্ধ শুরু করেছিল। এই দৃশ্যটি দেখায়, ফস্টাস কীভাবে আত্মার মুক্তি না খুঁজে জাগতিক সৌন্দর্য ও ভোগে ডুবে যায়।

অঙ্ক ৫, দৃশ্য ২ – ফস্টাসের শেষ রাত: এটি ফস্টাসের জীবনের শেষ রাত। সে তার পণ্ডিত বন্ধুদের সাথে বসে থাকে, কিন্তু তার চেহারা উদ্বিগ্ন ও আতঙ্কিত দেখায়। পণ্ডিতেরা জিজ্ঞাসা করে কী হয়েছে, এবং ফস্টাস শেষ পর্যন্ত সত্যটি স্বীকার করে। সে বলে যে সে তার আত্মা শয়তানের কাছে বিক্রি করে দিয়েছে। পণ্ডিতেরা আতঙ্কিত হয়ে যায় এবং তাকে ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করতে বলে।

“তবুও ফস্টাস, স্বর্গের দিকে তাকাও; মনে রেখো, ঈশ্বরের করুণা অসীম।”

কিন্তু ফস্টাস বিশ্বাস করে যে এখন আর তার ক্ষমার কোনো সুযোগ নেই:

“কিন্তু ফস্টাসের অপরাধ কখনো ক্ষমা করা যাবে না!

ইভকে (হাওয়াকে) প্রলোভিত করা সর্প মুক্তি পেতে পারে, কিন্তু ফস্টাস নয়।”

অর্থাৎ, ফস্টাস বিশ্বাস করে, তার পাপ এত বড় যে তা কখনোই ক্ষমা করা যাবে না। সে বলে, এমনকি সেই সাপ (শয়তান), যে ইভকে নিষিদ্ধ ফল খেতে প্রলুব্ধ করেছিল—সেও হয়তো ক্ষমা পেতে পারে, কিন্তু ফস্টাস ক্ষমা পাবে না। এই কথাগুলো দেখায়, ফস্টাস একেবারেই হতাশ হয়ে পড়েছে এবং মনে করে সে ঈশ্বরের করুণার বাইরে চলে গেছে। ঘড়ির কাঁটায় যখন এগারোটা বাজে, সে ভয় পেতে শুরু করে। সে সময়কে থামতে অনুরোধ করে, যেন মধ্যরাত কখনো না আসে।

“পর্বত ও পাহাড়, এসো, এসো, আমার ওপর পড়ে যাও,

আর আমাকে ঈশ্বরের ভয়ানক ক্রোধ থেকে আড়াল করো!”

সে ঈশ্বরের কাছে করুণা প্রার্থনা করে, কিন্তু ইতোমধ্যে সে নরকের আকর্ষণ অনুভব করতে থাকে।

“ওহ, আমি আমার ঈশ্বরের কাছে লাফিয়ে উঠবো! কে আমাকে নিচে টানছে?

ক্রাইস্টের এক ফোঁটা রক্তই আমার আত্মাকে রক্ষা করতে পারতো, অর্ধেক ফোঁটাও যথেষ্ট হতো: আহ, খ্রীষ্ট!”

“ভয়ঙ্কর নরক, তুমি আমাকে গ্রাস কোরো না! লুসিফার, এসো না!

আমি আমার বই পুড়িয়ে ফেলবো—আহ, মেফিস্টোফিলিস!”

মধ্যরাতের ঘণ্টা বাজতেই, বজ্রপাত ও বিদ্যুৎ চমকায়। দানবেরা আবির্ভূত হয় এবং ফস্টাসকে ঘিরে ফেলে। ফস্টাস সাহায্যের জন্য চিৎকার করে, কিন্তু তখন আর কিছু করার থাকে না। সে আরও কয়েক বছর সময়ের জন্য অনুরোধ করে, কিন্তু শয়তানের আত্মারা তাকে ধরে ফেলে। ফস্টাস আতঙ্কে চিৎকার করতে থাকে, এবং তারা তাকে নরকে টেনে নিয়ে যায়। পণ্ডিতেরা ঘরে প্রবেশ করে, কিন্তু ফস্টাসের আর কোনো চিহ্ন খুঁজে পায় না—শুধু ছেঁড়া কাপড় ও শরীরের টুকরো পড়ে থাকে।

এপিলোগ – চূড়ান্ত সতর্কবাণী: কোরাস (বর্ণনাকারী) ফিরে আসে এবং শেষ বার্তা প্রদান করে। ফস্টাস ছিল বুদ্ধিমান, কিন্তু অত্যধিক উচ্চাভিলাষী। সে সকল সতর্কতা উপেক্ষা করেছিল এবং তার শক্তিকে অপব্যবহার করেছিল। শেষ পর্যন্ত, তার লোভই তাকে নরকে নিয়ে গেছে। কোরাস দর্শকদের সতর্ক করে দেয় যে অতিরিক্ত ক্ষমতার আকাঙ্ক্ষা ধ্বংসের দিকে নিয়ে যেতে পারে। নাটকটি ডক্টর ফস্টাসের করুণ পরিণতির মাধ্যমে শেষ হয়।

“কাটা হলো সেই শাখা, যা সোজা হয়ে বেড়ে উঠতে পারতো,

আর পোড়ানো হলো অ্যাপোলোর লরেল ফুলের মুকুট…

যারা ঈশ্বরের দেয়া সীমা অতিক্রম করতে চায়, তাদের পরিণতি এটাই।”

অর্থাৎ, কোরাস বলে, ফস্টাস ছিল একটি শাখার (ডালের) মতো, যা সোজা ও শক্তিশালী হয়ে বড় হতে পারত, কিন্তু তা আগেই কেটে ফেলা হয়েছে। তার মধ্যে ছিল বিশাল সম্ভাবনা, কিন্তু সে নিজেই ধ্বংস হয়ে গেছে। “অ্যাপোলো’র লরেল শাখা” (Apollo’s laurel bough) বলতে বোঝানো হয়েছে বিজয়ের মুকুট বা লরেল মুকুট। এই লরেল মুকুট হলো সম্মান, প্রতিভা ও সাফল্যের প্রতীক। কিন্তু এখন সেই লরেল মুকুট পুড়ে গেছে। এই দুর্ভাগ্য ঘটেছে কারণ ফস্টাস এমন এক শক্তি ব্যবহার করতে চেয়েছিল, যা শুধু ঈশ্বরের জন্য নির্দিষ্ট ছিল।

Themes

Pride and Ambition: Faustus is very proud of his knowledge and wants to know more than anyone else. He becomes unhappy with normal subjects and chooses to study magic, hoping it will make him as powerful as God. Like Lucifer, Faustus falls because of his pride. Instead of using his powers for good, he wastes them on silly tricks and showing off. This pride and ambition led him to his tragic death.

ফস্টাস তার জ্ঞান নিয়ে খুব অহংকারী এবং সে চায় অন্য সবার চেয়ে বেশি জানতে। অন্যান্য সাধারণ বিষয়ে বিশদ জ্ঞান তাকে অহংকারী করে তুলে এবং সে জাদুবিদ্যা অর্জনের সিদ্ধান্ত নেয়। সে জাদুবিদ্যার মাধ্যমে ঈশ্বরের মতো শক্তিশালী হতে চায়। লুসিফারের মতোই, ফস্টাসও তার অহংকারের কারণে পতনের দিকে যায়। সে তার জাদুবিদ্যাকে  ভালো কিছুর জন্য ব্যবহার না করে, বরং বাজে কৌশল আর লোক দেখানোর জন্য ব্যবহার করে, এবং তার সময় ফুরিয়ে আসে। এই অহংকার ও উচ্চাকাঙ্ক্ষাই তাকে নিয়ে যায় এক মর্মান্তিক মৃত্যুর দিকে।

Good vs. Evil: The theme of Good versus Evil is shown clearly in “Doctor Faustus.” Faustus is torn between choosing good (God) or evil (the devil). He was once a religious man, but leaves theology to study magic. Faustus often feels guilty and thinks of repenting. But he is tempted by the devil, with power, knowledge, or pleasure. The Good Angel tells him to return to God, but the Evil Angel pulls him toward sin. In the end, evil wins, and Faustus loses his soul.

“Doctor Faustus” নাটকে ভালোর সঙ্গে মন্দের দ্বন্দ্ব (Good vs. Evil) খুব স্পষ্টভাবে দেখানো হয়েছে। ফস্টাস ভালো (ঈশ্বর) আর মন্দ (শয়তান)-এর মধ্যে একটিকে বেছে নিতে সব সময় টানাপোড়েন অনুভব করে। এক সময় ফস্টাস একজন ধার্মিক মানুষ ছিল, কিন্তু সে ধর্মতত্ত্ব (theology) ছেড়ে জাদুবিদ্যা পড়তে শুরু করে। ফস্টাস অনেক সময় অপরাধবোধে ভোগে এবং ঈশ্বরের কাছে ক্ষমা চাওয়ার কথা ভাবে। কিন্তু শয়তান তাকে বারবার প্রলোভন দেখায়—শক্তি, জ্ঞান বা ভোগের মাধ্যমে। গুড এঞ্জেল তাকে ঈশ্বরের পথে ফেরার কথা বলে, কিন্তু ইভিল এঞ্জেল তাকে পাপের দিকে টেনে নিয়ে যায়। শেষ পর্যন্ত মন্দ জিতে যায়, আর ফস্টাস তার আত্মা হারায়, অর্থাৎ তার আত্মা নরকে চলে যায়।

Symbols
The Good Angel
– The Good Angel is a spirit who appears on stage. The Good Angel tells Faustus to stop practising magic and return to God. The Good Angel is the symbol of Faustus’s own conscience, which tells him to stay away from sin.

গুড এঞ্জেল হলো এক পবিত্র আত্মা। সে মঞ্চে এসে ফস্টাসকে বলে জাদুবিদ্যা ছেড়ে ঈশ্বরের পথে ফিরে যেতে। গুড এঞ্জেল হলো মূলত ফস্টাসের বিবেকের প্রতীক, যেটি তাকে বার বার পাপ থেকে দূরে থাকতে বলে।

The Evil Angel – The Evil Angel is a spirit who appears on stage.  The Evil Angel tells Faustus to continue with black magic and enjoy honour and wealth. The Evil Angel stands for Faustus’s pride, greed, and temptation.

ইভিল এঞ্জেল হলো শয়তানী আত্মা। সে ফস্টাসকে কালো জাদু চালিয়ে যেতে ও খ্যাতি ও সম্পদ উপভোগ করতে উৎসাহ দেয়। ইভিল এঞ্জেল মূলত ফস্টাসের অহংকার, লোভ, ও প্রলোভনের প্রতীক।

Seven Deadly Sins: Lucifer tries to impress Faustus by showing him the Seven Deadly Sins. These sins are Pride, Covetousness (greed), Wrath (anger), Envy (jealousy), Gluttony (overeating), Sloth (laziness), and Lechery (lust). Each sin appears like a person and talks about themselves. These sins are clearly the symbols of the habits they are named after. But Faustus does not realize the warning behind this show. He enjoys watching them like a fun performance. He does not understand that these same sins—especially his pride and his desire for Helen—are also inside him. And in the end, these sins led him to his death.

লুসিফার ফস্টাসকে প্রভাবিত করতে চায় সাতটি মারাত্মক পাপ দেখিয়ে। এই পাপগুলো হলো: অহংকার (Pride), লোভ (Covetousness), রাগ (Wrath), হিংসা (Envy), অতিভোজন (Gluttony), আলস্য (Sloth), এবং কামনা (Lechery)। প্রতিটি পাপ একজন মানুষের মতো মঞ্চে এসে নিজেকে পরিচয় করিয়ে দেয় এবং নিজেদের সম্পর্কে বলে। এই পাপগুলো খুব স্পষ্টভাবে সেই বদঅভ্যাসগুলোর প্রতীক, যেগুলোর নামে তারা পরিচিত। কিন্তু ফস্টাস এই শো-এর পেছনে থাকা সতর্কবার্তাটি বুঝতে পারে না। সে এগুলোকে একটি মজার নাটক বা বিনোদনের অংশ হিসেবে উপভোগ করে। সে বোঝে না, এই একই পাপ—বিশেষ করে তার অহংকার এবং হেলেনের প্রতি তার কামনা—তার মধ্যেও রয়েছে। আর শেষ পর্যন্ত এই পাপগুলিই তাকে ধ্বংস করে ফেলে।

Quotes

English Detailed Summary তে নাটকের অনেক অংশবিশেষ তুলে দেয়া হয়েছে। সেখান থেকে পছন্দ মত কোটেশান বাছাই করে নিতে পারবেন। প্রয়োজন মত প্রশ্নে ব্যবহার করতে পারেবন। এছাড়াও নিচে কিছু গুরুত্বপূর্ণ কোটেশান আলোচনা করা হলো।

“A sound magician is a mighty god.”

“একজন দক্ষ জাদুকর একজন মহাশক্তিধর দেবতা।”

Faustus says this. This line shows that Faustus wants to be powerful like God. He is not satisfied with his knowledge. He wants more knowledge and power. This is his pride and high ambition, his tragic flaw.

“O, Faustus, lay that damned book aside.”

“O ফস্টাস, ওই অভিশপ্ত বইটি দূরে সরিয়ে রাখো।”

The Good Angel tells Faustus to leave magic and pray to God. But Faustus ignores this warning and chooses necromancy.

“Repent, yet God will pity thee.”

“অনুতপ্ত হও, ঈশ্বর তোমার প্রতি দয়া দেখাবেন।”

This is another warning by the Good Angel. He tells Faustus to repent for his sin. But Faustus does not repent. He is too busy with power and pleasure.

“Sweet Helen, make me immortal with a kiss.”

“মধুর (প্রিয়) হেলেন, একটি চুম্বনে আমাকে অমর করে দাও।”

This line shows Faustus’s sin. When Faustus is worried about his damnation, he asks for fun. He asks Mephistophilis to bring Helen of Troy, the most beautiful woman in history. Instead of repenting, Faustus is busy with lust and power.

“Was this the face that launched a thousand ships

And burnt the topless towers of Ilium?”

“এটাই কি সেই মুখ, যা হাজারো যুদ্ধজাহাজ চালনা করেছিল

এবং ইলিয়ামের (ট্রয়ের) সুউচ্চ মিনার ধ্বংস করেছিল?”

This is a very famous line from this play. Here, Faustus is amazed by seeing the beauty of Helen. He expresses his wonder by saying that Helen’s beauty started the Trojan War.

“Then call for mercy, and avoid despair.”

“ঈশ্বরের কাছে ক্ষমা চাও, আর হতাশা ঝেড়ে ফেল।”

An Old Man comes and tells Faustus to repent and avoid despair. But Faustus thinks his sin cannot be pardoned. Moreover, he fears Lucifer will tear him into pieces if he repents to God. This is another mistake by Faustus.

“The serpent that tempted Eve may be saved, but not Faustus.”

“ইভকে (হাওয়াকে) প্রলোভিত করা সর্প মুক্তি পেতে পারে, কিন্তু ফস্টাস নয়।”

This line captures Faustus’s despair as well as his inner conflict. This is his mistake because he thinks that God will not forgive him.

“Mountains and hills, come, come, and fall on me

And hide me from the heavy wrath of God!”

“পর্বত ও পাহাড়, এসো, এসো, আমার ওপর পড়ে যাও,

আর আমাকে ঈশ্বরের ভয়ানক ক্রোধ থেকে আড়াল করো!”

This line reveals Faustus’s fear. As his time runs out, Faustus is terrified. He knows he has defied God and wasted his life. Now, he is bound to hell.

“I’ll burn my books—ah, Mephastophilis!”

“আমি আমার কালোজাদুর বইগুলো পুড়িয়ে ফেলবো—আহ, মেফিস্টোফিলিস!”

Here, Faustus is terrified and desperate with fear in his final moments. But it is too late for Faustus. He is doomed.

“Cut is the branch that might have grown full straight.”

“কাটা হলো সেই শাখা, যা সোজা হয়ে বেড়ে উঠতে পারতো.”

The Chorus says that Faustus was like a branch that could have grown straight and strong, but it was cut off early. Faustus had great potential. But his pride and high ambition destroyed him.

Share your love
Mr. Abdullah
Mr. Abdullah

This is Mr. Abdullah, a passionate lover and researcher of English Literature.

Articles: 65

14 Comments

  1. অসংখ্য ধন্যবাদ এতো সুন্দর করে গল্পটা বাংলায় অনুবাদ করার জন্য ❤️

  2. অসংখ্য ধন্যবাদ,, সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করার জন্য ❤️

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *