Gulliver’s Travels Bangla Summary

Gulliver’s Travels এই বিখ্যাত উপন্যাসটি লিখেছেন Jonathan Swift.  তিনি ১৬৬৭  খ্রিস্টাব্দে জন্মগ্রহণ করেন এবং ১৭৪৫ খ্রিস্টাব্দে মারা যান। তিনি ছিলেন একজন বিখ্যাত গদ্যকার কবি রাজনীতিবিদ এবং অ্যাংলো আইরিশ সেটিয়ারিস্ট। তিনি মূলত তার সেটারিকাল সাহিত্যের জন্য বিখ্যাত হয়ে আছেন সবার মাঝে। তার প্রধান চারটি স্যাটারিকাল সাহিত্য হলঃ 

  • A Tale of a Tub (1704) (prose and tragedy) 
  • An Argument Against Abolishing Christianity (1712) (satirical essay)  
  • Gulliver’s Travels (1726) (satirical fiction)  
  • A Modest Proposal (1729) (satirical essay) 

Key Information about the novel: 

  • Full title: “Travels into Several Remote Nations of the World. In Four Parts. By Lemuel Gulliver, First a Surgeon, and then a Captain of several Ships.” 
  • Genre: Fiction of satire based on fantasy 
  • Type of work: Novel 
  • Time of composition: 1712-1726 
  • Published date:  28 October 1726 
  • Point of view for novel: First person point of view. 
  • Time setting: Early eighteenth century that means age of prose and reason. 
  • Place setting: England. But in the novel Swift uses some imaginary place such as Lilliput, Brobdingnag, laputa, Balnibarbi, Glubbdubdrib. 
  • Number of voyages/ parts: There are four parts of the Novel such as: 

Part I: A Voyage to Lilliput (4 May 1699 – 13 April 1702) 

earn money

Part II: A Voyage to Brobdingnag (20 June 1702 – 3 June 1706) 

Part III: A Voyage to Laputa, Balnibarbi, Luggnagg, Glubbdubdrib and Japan (5 August 1706 – 16 April 1710) 

Part IV: A Voyage to the Land of the Houyhnhnms (7 September 1710 – 5 December 1715) 

Major Characters of the Novel

Lumuel Gulliver: গালিভার এই উপন্যাস বর্ণনাকারী(Narrator)। তিনি প্রফেশনালি একজন মেডিকেল সার্জন। তার সমুদ্র যাত্রার অনেক স্বপ্ন যার কারণে তিনি 4 বার সমুদ্র যাত্রা করেন।

ইউটিউবে ভিডিও লেকচার দেখুনঃ


Mrs. Mary Burton Gulliver:  গালিভারের ওয়াইফ।

Lilliputians: লিলিপুট দ্বীপের নাগরিক যাদের উচ্চতা ৫ অথবা ৬ ইঞ্চি।

Blefuscudians: এরা হচ্ছে লিলিপুট দ্বীপের পার্শ্ববর্তী দ্বীপের নাগরিক। যারা গালিভারকে বাড়ি ফেরার জন্য সাহায্য করেছিল।

The Emperor: লিলিপুটিয়ানদের লিডার। গালিভার যখন লিলিপুট এই দ্বীপে আসে তখন Emperor তার সাথে খুবই বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক দেখায় কিন্তু গালিভার যখন লিলিপুট দ্বীপের পার্শ্ববর্তী দ্বীপের সাথে যুদ্ধের জন্য তাদের সাহায্য করেনা বরং যুদ্ধ বন্ধ করতে বলে তখন তিনি গালিভারের ওপর তার মন-মানসিকতা চেঞ্জ করে ফেলে এবং তাকে বড় ধরনের শাস্তির ব্যবস্থা করে।

Flimnap: লিলিপুট দ্বীপের গালিভারের একমাত্র শত্রু তিনি গালিভারের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেন যে গালিভার তার স্ত্রীর সাথে অবৈধ সম্পর্ক করেছে।

Reldresal: লিলিপুর দ্বীপে গালিভারের একমাত্র বন্ধু যে গালিভারকে অনেকভাবে সাহায্য করে তার মধ্যে একটি উল্লেখযোগ্য সাহায্য হচ্ছে যখন গালিভারকে দেশদ্রোহী বলে ঘোষণা করা হয়েছিল তখন তিনি সুপারিশ করে গালিফারের শাস্তি কমিয়ে দিয়েছিলেন।

Brobdingnagians: Brobdingnag দ্বীপের নাগরিক। যাদের উচ্চতা ছিল ৬০ ফিট। গালিভারের কাছে এরা হলো দৈত্য দানবের মতো।

The Farmer: Brobdingnag এর কৃষক। তিনি গালিভারকে সমুদ্র তীর থেকে কুড়িয়ে তার বাড়িতে নিয়ে গিয়েছিলেন এবং গালিভারকে দিয়ে পুতুল নাচ দেখাতেন। পুতুল নাচ দেখাতে গিয়ে গালিভারকে যখন রানীর পছন্দ হয়ে যায় তখন তিনি রানীর কাছে গালিভারকে বিক্রি করে দেন।

Glumdalclitch: কৃষকের মেয়ে। সে গালিভার কে নিয়ে পুতুল খেলে।

The King: Brobdingnag এর রাজা। তার সাথে গালিভার অনেক সময় কাটান এবং রাজনীতি নিয়ে অনেক গল্প করেন। 

Laputans: একটি ভাষ্যমান দ্বীপের নাগরিক। এই দ্বীপে গালিভার তৃতীয়বার সমুদ্র যাত্রা সময় পৌছান। 

Houyhnhnms: এক ধরনের ঘোড়া যাদের মধ্যে গালিভার ম্যানারিজম খুঁজে পেয়েছিলেন। গালিভার তাদের সাথে বেশ কয়েক বছর কাটান। তাদেরকে ছেড়ে গালিভারের ইংল্যান্ডের ফিরে যেতে কোনভাবেই মন চাচ্ছিল না।  

Munodi: Lord of Balnibarbi.  

Don Pedro: Portuguese জাহাজের নাবিক। তিনি গালিভারকে Houyhnhnms দ্বীপে নিয়ে আসেন।

Yohoos: Houyhnhnms এই দ্বীপের মানুষ। যারা খুবই দুষ্টু প্রকৃতির।

Themes of the novel “Gulliver’s Travels”: 

  • The body  
  • Literature and language 
  • Satire(politic, science, mathematics astronomy) 
  • Morality and Ethics 
  • Abuse of power 

Synopsis of the Novel: 

Gulliver Travels Jonathan Swift এর একটি বিখ্যাত সমালোচনা পূর্ণ উপন্যাস। এই উপন্যাসে তিনি ইংল্যান্ডের রাজনীতি যুদ্ধ বিজ্ঞান এবং মানুষদের নিয়ে সমালোচনা করার বিশাল সুযোগ পেয়েছেন। এই উপন্যাসটিতে দেখানো হয়েছে গালিভার চারটি আলাদা আলাদা দ্বীপে ভ্রমণ করেন এবং সেখানকার মানুষদের সংস্কৃতি আচার ব্যবহার সবকিছু তুলে ধরেন যেগুলোর মাধ্যমে তিনি মূলত সমালোচনা করেছেন যুদ্ধ মানুষের ব্যবহার বিজ্ঞান এ সকল বিষয়কে।

সর্বপ্রথম এই গালিভার ভমন করেন লিলিপুট নামের একটি দ্বীপে যেখানকার মানুষ পাঁচ থেকে ছয় ইঞ্চি লম্বা। এই পাঁচ থেকে ছয় ইঞ্চি লম্বা মানুষদের মধ্যে তিনি খুঁজে পেয়েছেন প্রতিশোধ পরানতা খুঁজে পেয়েছেন যুদ্ধ করার মানসিকতা। লিলিপুটসদের মধ্যে তিনি আরো খুঁজে পেয়েছেন দুর্নীতি ও মিথ্যা অভিযোগ। মূলত তিনি এগুলোর মাধ্যমে ইংল্যান্ডের মানুষদেরকে কি সমালোচনা করেছেন।

গালিভার দ্বিতীয়বার Brobdingnag নামের একটি আইল্যান্ড  ভ্রমণ করেন। সেখানে তিনি ৬০ ফিট লম্বা দত্ত দানবের মত মানুষের দেখা পান। এবং সেখানকার রাজার সাথে সে ইংল্যান্ডের পলিটিক্স নিয়ে অনেক সময় আলোচনা করেন।

তৃতীয়বার গালিভার Laputa নামের একটি আইল্যান্ড ভ্রমণ করেন। সেখানে তিনি বিশেষ কিছু অদ্ভুত মানুষের সাথে সাক্ষাৎ করেন এবং তাদের সাথে সাইন্স এবং ম্যাথমেটিক্স নিয়ে দীর্ঘ সময় আলোচনা করেন। চতুর্থবার গালিভার Houyhnhnms নামের একটি আইল্যান্ডের ভ্রমণ করেন যেখানে Houyhnhnms নামের এক জাতীয় ঘোড়ার মধ্যে তিনি ম্যানারিজম খুঁজে পান কিন্তু সেখানকার মানুষদের মধ্যে ম্যানারিজম বলতে কোন কিছুই ছিল না।

Gulliver’s Travels Bangla Summary (বাংলায়) 

সমুদ্র যাত্রার আগে গালিভারের কর্মজীবন

এই উপন্যাসটি শুরু হচ্ছে গালিভারের কর্মজীবনের মধ্য দিয়ে। গালিভার পেশায় একজন মেডিকেল ডক্টর। কিন্তু তিনি তার মেডিকেল ক্যারিয়ারে ভালো সফলতা অর্জন করতে পারেনি। তার ওয়াইফের নাম মিসেস ম্যারি বারটন। তিনি কোনভাবেই তার কাজে মনোনিবেশ করতে পারছিলেন না । তার স্বপ্ন ছিল সে সমুদ্র যাত্রা করবে এবং বিভিন্ন অ্যাডভানচারাস কাজকর্ম করবেন। যার কারণে সে সিদ্ধান্ত নেন সে তার ডাক্তারি পেশা ছেড়ে সমুদ্রে জাহাজে কাজ করবেন। তার পরিবারের সবাই এই বিষয়ে অমত পোষণ করে। তাকে সমুদ্রে যাওয়ার জন্য সবাই মানা করে কারণ সমুদ্রে যাত্রা অনেক ভয়াবহ এবং কষ্টসাধ্য। গালিভার তাদের পরিবারের অমতসত্বেই সিদ্ধান্ত নেয় সে সমুদ্র যাত্রা করবে যার কারণে সে তার পরিবারের কাছ থেকে বিদায় নিয়ে সমুদ্রে যাত্রা করে।

লিলিপুট দ্বীপে গালিভারের প্রথম সমুদ্র যাত্রা

গালিভার নতুন কিছু আবিষ্কার করার উদ্দেশ্যে সমুদ্রে যাত্রা করেন তার সমুদ্রযাত্রা টা অনেক ভালই হচ্ছিল। কিন্তু হঠাৎ করে যখন মাঝ সমুদ্রে তার জাহাজটি এসে পৌঁছায় তখন সমুদ্রের পানি উত্তাল ছিল এবং সমুদ্রে ঝড় উঠে, ঝড় ওঠার কারণে গালিভারের জাহাজটি ঝড়ের কবলে পড়ে পানিতে ডুবে যায় এবং গালিভার সমুদ্রের পানিতে ভাসতে ভাসতে সমুদ্রের কিনারায় এসে পৌঁছায়। সমুদ্রের কিনারায় গালিভার অবচেতন অবস্থায় পড়েছিল। সমুদ্রের ঢেউ গালিভার কে যেখানে নিয়ে গিয়েছিল সেই আইল্যান্ড টির নাম লিলিপুট।

এই লিলিপুর দ্বীপে লিলিপুটিয়ানসরা বাস করত। তাদের উচ্চতা ছিল ৫ থেকে ৬ ইঞ্চি। এত ছোট মানুষদের দ্বীপে সবকিছুই ছিল রাজা ছিল রাষ্ট্র ছিল শাসনব্যবস্থা ছিল প্রজা ছিল সবকিছুই। লিলিপুটিয়ানসরা গালিভারকে সমুদ্রের কিনারায় পড়ে থাকতে দেখে ভাবল এটি একটি বিশাল দৈত্য। তারা ভাবল এই দৈত্যটি তাদের জন্য অনেক ক্ষতিকর এর হতে পারে যার কারণে রাজার হুকুমে লিলিপুটিয়ানস সৈনিকরা গালিভারকে রশি দিয়ে বেঁধে ফেলল। মজার বিষয় হচ্ছে তারা যখন গালিভারকে রশি দিয়ে বাধতেছিল তখন গালিভারের পেটে ওঠার জন্য তারা মই বা সিঁড়ি ব্যবহার করে। গালিভার কে তারা পুরোপুরি রশি দিয়ে বেঁধে ফেলেন। গালিভারের চুলগুলো টেনে টেনে বেঁধে ফেলে। এই লিলিপুটিয়ানদের কাছে তীর ধনুক ছিল। তীর দিয়ে তারা গালিভার কে বারবার আঘাত করতেছিল।

গালিভারের যখন জ্ঞান ফিরে তখন সে ওঠার চেষ্টা করে কিন্তু সে উড়তে পারেনা কারণ তার পুরো শরীরটা রশি দিয়ে বেঁধে ফেলেছে এবং সে লক্ষ্য করে তার পেটের উপর দিয়ে ছোট ছোট কি যেন চলাচল করছে এবং এক জাতীয় ছোট ছোট তীর দ্বারা তাকে আঘাত করা হচ্ছে। গালিভার ভালো করে লক্ষ্য করলে দেখে যে তাকে দড়ি দিয়ে বেঁধে ফেলা হয়েছে এবং তার গায়ের উপর দিয়ে যে ছোট ছোট জিনিস চলাচল করছে তারা হলো লিলিপুটিয়ানস অর্থাৎ তারা মানুষ। এই লেলিপুটিয়ানদের হাত পা কান নাক সবকিছুই আছে। লিলিপুটিয়ানসরা গালিভারকে গ্রেফতার করেছে। 

গালিভারের জ্ঞান ফেরার পরে লিলিপুটিয়ানদের সম্রাট গালিভার এর সাথে সাক্ষাৎ করে এবং তার সৈনিকদের হুকুম করে গালিভারকে তার রাজ্যে নিয়ে যাওয়ার জন্য। গালিভার কে অনেকগুলো ঘোড়ায় টানা রথে করে নিয়ে যাওয়া হয়। লিলিপুট এই দ্বীপে গালিভারকে নিয়ে যাওয়া পরে গালিভারের পায়ে শিকল পরিয়ে মন্দিরের বারান্দার সাথে আটকে রাখা হয়। লিলিপুটিয়ানসদের সম্রাটের সাথে গালিভারের ভালো সম্পর্ক হয়ে যায়। গালিভার তাদেরকে আশ্বস্ত করে সে তাদের জন্য ক্ষতিকর নয়। সে বলে সমুদ্রযাত্রা করার সময় সমুদ্রে হঠাৎ করে ঝড় ওঠে এবং তার জাহাজটি সমুদ্রে ডুবে যায় এবং সে ভাসতে ভাসতে এই দ্বীপে এসে পৌঁছায়।

কোন লিলিপুটিয়ানসরা গালিভারের কথাগুলো বিশ্বাস করছিল না। কিন্তু সম্রাট গালিভারের কথাগুলো বিশ্বাস করে তাকে লিলিপুট এই রাজ্যে থাকার অনুমতি প্রদান করেন। গালিভার কে নিয়ে সবাই খুবই আতঙ্কে ছিল কারণ গালিভার চাইলে এক মুহূর্তের মধ্যে লিলিপুট এই রাজ্যটি ধ্বংস করে দিতে পারে। যাইহোক গালিভার এই রাজ্যে আসো পরে রেড রাসেল নামে একটি বন্ধু হয়। লিলিপুটিয়ান সম্রাট গালিভারের জন্য খাবারের ব্যবস্থা করে এবং তাকে মন্দিরের বারান্দায় থাকতে দেয়। এবং গালিভার এই লিপিটিয়ান্সদের বিভিন্নভাবে সাহায্য করতে থাকে।

লিলিপুটিয়ানস এই রাজ্যের পার্শ্ববর্তী রাজ্য Blefuscudians । Blefuscudians দের সাথে লিলিপুটিয়ানদের যুদ্ধ হচ্ছিল। Blefuscudians রা লিলিপুটিয়ানস দের আক্রমণ করার জন্য জাহাজ নিয়ে এই দ্বীপের কিনারায় পৌঁছায়। গালিভার লিলিপুটিয়ানদের সাহায্য করার জন্য তাদের সাথে সমুদ্রের কিনারা যায়। এবং গালিভার Blefuscudians দের সব জাহাজ গুলো পানিতে নেমে টেনে নিয়ে কিনারায় চলে আসে। গালিভার ব্লুফোস্কুদের বোঝানোর চেষ্টা করে যুদ্ধ যেন তারা না করে যুদ্ধ সবার জন্যই ক্ষতিকর। যাই হোক গালিভার তাদেরকে ইমপ্রেস করতে পারেন। এবং তারা গালিভারের কথা মেনে নেন। গালিভার কে সবগুলো জাহাজ একসাথে টেনে আনতে দেখে সম্রাট খুবই খুশি হন এবং তাকে একটি সম্মানী পদ উপহার দেন। সবাই গালিভারের প্রশংসা করতে থাকেন।

লিলিপুট রাজ্যে একদিন রানীর প্রাসাদে আগুন লেগে যায়। আগুনের বেগ অনেক বেশি থাকায় লিলিপুট রাজ্যের সবাই মিলে আগুন নিভানোর চেষ্টা করেও আগুনকে নিভাতে পারছিল না গালিভার কোন উপায় না দেখে প্রসাব করে রানীর প্রাসাদের আগুন নিভিয়ে দেন। এই ঘটনার পরে লিলিপুটের সম্রাট অনেক অপমান বোধ করে। এবং গালিভারকে শাস্তি দিতে চায়।

লিলিপুট রাজ্যে আরও একটি সমস্যা গালিভার সমাধান করে দেন। লিলিপুট রাজ্যের রাজপ্রাসাদে লোক নিয়োগ দেওয়ার জন্য রোফ ডেন্সিং নামের এক ধরনের পরীক্ষা দিতে হয় । একটা উঁচু দড়ি টাঙানো থাকে সেই দড়ির ওপর দিয়ে হেঁটে যে পার হয়ে যেতে পারবে সে চাকরি পাবে। আর যে দড়ি থেকে পড়ে যাবে সে চাকরি পাবে না। গালিভার এইখানে বড় একটা জালের ব্যবস্থা করে দেয় যেহেতু দড়ি থেকে পড়ে অনেকে মারা যায় আর যদি এই জাল নিচে রাখা হয় তাহলে জলের উপরে পড়ে আর কেউ মারা যাবে না।

উপন্যাসিক এই বিষয়টার মাধ্যমে ইংল্যান্ডের চাকরি দেবার সিস্টেমটাকে সমালোচনা করেছেন কারণ এখানে যোগ্যতার পরীক্ষা ভুল ভাবে নেওয়া হচ্ছে।

তো যাইহোক গালিভার যখন লিলিপুটিয়ানস সম্রাটের কাছে তাদের পার্শ্ববর্তী আইল্যান্ডের সাথে যে যুদ্ধ চলতেছে এই যুদ্ধ বন্ধ করতে বলে তখন সম্রাট গালিভারের উপর ক্ষেপে যায় এবং তাকে শাস্তি দিতে চায়। গালিভারকে সম্রাট বলে তুমি আমাদের সাহায্য কর আমরা যাতে boarding nangs রাজ্যটি ধ্বংস করতে পারি। কিন্তু গালিভার সেটা করেনা যার কারণে গালিভার কে রাষ্ট্রদ্রোহী মামলায় অপরাধী করা হয়। প্রথমে গালিভারকে সাজা শোনানো হয় গালিভারের দুই চোখ উঠিয়ে নেওয়া হবে কিন্তু লিলিপুটস এই রাজ্যে গালিভারের একজন বন্ধু ছিল যার নাম রেড রাসেল। রেড রাসেল গালিভারের সাজাটাকে কমিয়ে দেন এবং গালিভারকে পালিয়ে যেতে সাহায্য করেন। গালিভার লিলিপুট এই রাজ্য থেকে পালিয়ে পার্শ্ববর্তী রাজ্য Blefuscudians তে চলে যান। তারা গালিভারকে নৌকা বানানোর জন্য কাঠ যোগাড় করে দেন এবং গালিভার সমুদ্রের মধ্যে একটি নৌকা বানান এবং সেই নৌকাতে করেই সে বাড়ি ফিরেন।

Brobdingnag এ গালিভারের দ্বিতীয় সমুদ্র যাত্রা

গালিভার দ্বিতীয় সমুদ্রযাত্রা করেন প্রথম সমুদ্র যাত্রা থেকে ফিরার দুই মাস পরে। এইবার গালিভারকে খুঁজে পাওয়া যায় Brobdingnag নামের একটি দ্বীপে। যেখানে গালিভার ছিল লিলিপুট এবং সেই দ্বীপের মানুষ ছিল দৈত্য দানবের মতো বড়। গালিভারের উচ্চতা ছিল 6 ফিট কিন্তু এই দ্বীপের মানুষের উচ্চতা ছিল ৬০ ফিট। তাহলে ৬ ফিট মানুষের কাছে ৬০ ফিট মানুষ দত্ত দানব ছাড়া কিছুই নয়। গালিভার কে খুঁজে পাওয়া যায় এই দ্বীপের একটি জমিতে। একজন কৃষক তার জমিতে কাজ করতে গিয়ে গালিভার কে খুঁজে পায়। এবং সে গালিভারকে ধরে তার প্যান্টের পকেটের মধ্যে করে বাড়িতে নিয়ে আসে।

এই দ্বীপের সবকিছুই ছিল বড় বড়। এই দ্বীপের ইঁদুরগুলো ছিল অনেক বড় বড়। ইঁদুর গুলোর গালিভার কে খেতে আসছিল।এই কৃষকের একটি মেয়ে ছিল যার নাম Glumdalclitch । গালিভার কে নিয়ে কৃষকের মেয়ে পুতুল হিসেবে খেলা করত। সেই কৃষকটি গালিভারকে তার কাজে লাগাতে চাইলেন। কৃষক গালিভারকে দিয়ে বাজারে বাজারে পুতুল নাচ দেখাতে লাগলেন এবং নাচের বিনিময়ে মানুষের কাছ থেকে সে টাকা উঠাতে লাগলেন। গালিভারের পুতুল নাচ করতে গিয়ে অনেক কষ্ট হচ্ছিল তবুও গালিভারকে পুতুল নাচ করতেই হচ্ছিল। 

পুতুল নাচ দেখে সেই রাজ্যের রানীর অনেক পছন্দ হয়ে যায় গালিভার কে। রানি চাই কৃষকের কাছ থেকে গালিভারকে কিনে নিবে এবং অবশেষে রানী কৃষকের কাছ থেকে গালিভার কে কিনে নিয়ে তার রাজপ্রাসাদে নিয়ে যায়। এই রাজ্যের রাজা ছিল অনেক ভালো মনের মানুষ। রাজার সাথে গালিভারের দীর্ঘ সময় ধরে ইংল্যান্ডের রাজনীতি নিয়ে আলোচনা করে। এই আলোচনায় অনেক দিক ফুটে ওঠে তার মধ্যে একটি দিক হচ্ছে রাজা বলে তোমরা মানুষ একজন আরেকজনের উপরে অত্যাচার করো একজন আরেকজনের প্রাণ কেরে নাও তোমরা মানুষের উপরে জুলুম করো মানুষকে ধ্বংস করে দাও প্রকৃতিকে ধ্বংস করে দাও এই সকল বিষয় নিয়ে তাদের মধ্যে অনেক কথাবার্তা হয়। 

Laputa এই ভাসমান দ্বীপে গালিভারের তৃতীয় সমুদ্র যাত্রা

গালিভার এই দ্বীপে তার তৃতীয় সমুদ্র যাত্রা সফল করেন। লাপুটা একটি  ভাসমান দ্বীপ। এই দ্বীপে গালিভার অদ্ভুত প্রকৃতির কিছু মানুষ দেখতে পান। এই দ্বীপের নাগরিকরা বিভিন্ন ধরনের জিনিস নিয়ে অদ্ভুত এক্সপেরিমেন্ট করতে থাকে। তারা ম্যাথমেটিক্স এবং অ্যাস্ট্রোনমিক্যাল এক্সপেরিমেন্ট চালায় যার কোন ভিত্তি নেই এবং এইগুলোর প্রতি তারা সব সময় মনোযোগ প্রদান করেন। এই দ্বীপে আসার পর গালিভার আরও দুটি দ্বীপ ভ্রমণ করেন। 

গালিভার ভ্রমণ করেন একটি ব্যারেন্ট দ্বীপ Balnibarbi । এই দ্বীপে গালিভার আবিষ্কার করেন বিজ্ঞান সবসময় কাজ করছে এক্সপেরিমেন্ট ছাড়াই। বিজ্ঞানের কাজ করতে তাদের কোন এক্সপেরিমেন্টের প্রয়োজন হচ্ছে না। এরপর গালিভার Glubdubdrib নামের আরো একটি দ্বীপ ভ্রমণ করেন। এই দ্বীপের যে গভর্নর সে সব সময় চেষ্টা করে যাচ্ছে কিভাবে মৃত ব্যক্তির জীবন ফিরিয়ে আনা যায় বাস্তবিক অর্থে যার কোন ভিত্তি নাই। এরপর এখান থেকে গালিভার জাপানে চলে যান এবং সেখান থেকে সে তার ফ্যামিলির কাছে ফিরে আসেন।

Houyhnhnms দ্বীপে গালিভারের চতুর্থ ভ্রমণ

জাপান থেকে ফিরে আসার পাঁচ মাস পরে গালিভার আবার সমুদ্রযাত্রা শুরু করেন এবং তিনি Houyhnhnms নামে একটি দ্বীপে গিয়ে পৌঁছান। সেখানে তিনি লক্ষ্য করেন সেখানকার যে এনিমেল তাদের মধ্যে মানুষের মতো ম্যানারিজম বিদ্যামান অর্থাৎ সেখানকার ঘোরার মধ্যে তিনি অনেক ভালো দিক খুঁজে পান। ঘোড়ার মধ্যে তিনি মানবিকতা থেকে শুরু করে ভালো যতগুলো দিক আছে সবগুলো দিক গালিভার দেখতে পান গালিভার এই দ্বীপে ঘোড়াদের সাথে অনেক সময় কাটান। 

কিন্তু দুঃখজনক বিষয় হল এই দ্বীপের মানুষ যারা আছে তারা খুবই রুক্ষ প্রকৃতির। তাদের মধ্যে কোন ম্যানারিজম নেই। তারা সব সময় অন্যের ওপর নির্যাতন করতেই থাকে এবং একজন আরেকজনের সাথে দন্ডে লেগেই থাকে। এবং এই দ্বীপের মানুষরা গালিভারের ওপর আক্রমণ করেন কিন্তু এই দ্বীপের ঘোরারা গালিভার কে রক্ষা করেন। ঘোড়াদের সাথে গালিভারের খুবই বন্ধুত্ব হয়ে যায়। 

এই দ্বীপ থেকে গালিভারের মন কোনভাবেই বাড়ি ফিরে যেতে চাচ্ছিল না যাইহোক গালিভার এই ডিপি অনেক সময় অতিবাহিত করার পর অবশেষে তার বাড়িতে তার ফ্যামিলির কাছে আসেন। তার ফ্যামিলিতে আসার পরে গালিভার এর মধ্যে অনেক পরিবর্তন দেখা যায় সে মানুষের কাছ থেকে দূরে থাকতে শুরু করেন এবং পশুদের সাথে বিশেষ করে ঘোরার সাথে অনেক বেশি সময় কাটাতে থাকেন। আর এভাবেই এই উপন্যাসটি শেষ হয়।

The motif of the novel:  

  • Excrement 
  • Foreign language 
  • Clothing 

Moral lessons of the novel: 

  • Unnecessary conflict must be avoided by establishing peace. 
  • Nobody is superior that is why Gulliver is at the same big and small or Lilliput. 
  • Geographical advantage for domination does not mean power or eligibility. 
  • Even animals are organized because of their friendly nature. 

1 COMMENT

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

ফেসবুক পেইজ

কোর্স টপিক