Basic Information
Writer: Edward Said (1935-2003)
Published date: 1993
Theme: Relationship between Culture and Imperialism.
তো এই সম্পূর্ণ প্রবন্ধের সামারি আমরা মাত্র ৫টি পয়েন্টের মাধ্যমে খুব সহজেই জানতে পারবো।
১. কালচার সম্পর্কে আইডিয়া
২. ইম্পেরিয়ালিজম সম্পর্কে আইডিয়া
৩. লেখক এর ব্যক্তিগত জীবনীতে আলোকপাত
৪. কালচার কিভাবে ইম্পেরিয়ালিজমকে সাহায্য করে?
৫. সাম্রাজ্যবাদ সমর্থনকারী বইগুলোর উদাহরণ
তো চলুন এবার শুরু করা যাক,
১. কালচার সম্পর্কে আইডিয়া
কালচার বলতে একটি নির্দিষ্ট জনগোষ্ঠীর বিশ্বাস, রীতিনীতি, আর্ট, প্রতিষ্ঠান এবং জীবন যাপনের উপায়কে বোঝায়। প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে এভাবেই কালচার চলে আসে। এটা মূলত একটা সমাজের জীবন যাপনের উপায়। এর উপাদানগুলো হচ্ছে পোশাক, খাবার, ভাষা, ধর্ম, রীতিনীতি ইত্যাদি।
২. ইম্পেরিয়ালিজম সম্পর্কে আইডিয়া
ইম্পেরিয়ালিজম শব্দের অর্থ হচ্ছে সাম্রাজ্যবাদ। তখন একটা রাষ্ট্র অন্য একটা রাষ্ট্রের রাজনীতি, অর্থনীতি ও সবকিছুই নিয়ন্ত্রণ করে এবং নিজের সবকিছু ওই রাষ্ট্রের উপরে চাপিয়ে দেয়, তখন তাকে ইম্পেরিয়ালিজম বলা হয়।
৩. লেখক এর ব্যক্তিগত জীবনীতে আলোকপাত
এই প্রবন্ধ লেখকের নিজের জীবনের সাথে খুবই সম্পৃক্ত। তাই সর্বপ্রথম আমাদেরকে লেখকের জীবনী সম্পর্কে একটু আইডিয়া নিতে হবে।
Edward Wadie Said হচ্ছেন একজন ফিলিস্তিনি খ্রীষ্টান। তিনি ১৯৩৫ সালে জেরুজালেমের তালবিয়ায় জন্মগ্রহন করেন। কিন্তু সেখানে তাঁর থাকা হয় নি। ইহুদিরা ফিলিস্তিনে ঢুকতে থাকলে তার পরিবার মিশরে যেতে বাধ্য হয়। ১৯৪৮ সালে দখলদার সন্ত্রাসি রাষ্ট্র ইজরায়েলের জন্ম হয় এবং ইজরায়েলের ঘোষণা অনুযায়ি – যুদ্ধ চলাকালীন সময়ে আরব দেশগুলোতে (যেসব দেশ আরব-ইসরাইল যুদ্ধে যুক্ত ছিল) আশ্রয় নেয়া ৭,৫০,০০০ ফিলিস্তিনিকে তাদের মাতৃভূমিতে ঢুকতে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়। এটি ১৯৫০ সালের ‘অ্যাবসেন্টি প্রপার্টি আইন’ নামে পরিচিত। যেহেতু Edward Said এর পরিবার মিশরে আশ্রয় নিয়েছিল, তাই তারা এর অন্তর্ভুক্ত হয় এবং চিরদিনের জন্য মাতৃভূমি হারায়। সাইদের পড়ালেখা মিশরে হয়, তারপর তিনি আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রে চলে যান এবং বাকি জীবন সেখানে কাটান। তিনি নিউ উয়র্কের ‘কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘ শিক্ষকতা করেন।
তিনি কাছে থেকে দেখেন, পশ্চিমা দুনিয়া কিভাবে আরবদের ও মুসলিমদের নেতিবাচকভাবে উপস্থাপন করে। তিনি পশ্চিমাদের প্রপাগাণ্ডাগুলোতে নিয়ে লিখা শুরু করেন। Orientalism নামে তিনি একটি বই প্রকাশ করেন, যেটার কারণে পশ্চিমা দুনিয়ায় তিনি সমালোচনার শিকার হন।
তারপর তিনি Culture and Imperialism প্রকাশ করেন। তিনি ১৯৯৯ সালে লেবাননের সীমান্ত থেকে দখলদার ইজরায়েলের দিকে পাথর ছুড়ে মারেন এবং এর ছবি তোলা হয়। এটি পশ্চিমা বিশ্বে ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি করে এবং ‘ফ্রয়েড ইনস্টিটিউট’ ২০০১ সালে তার বক্তৃতাদানের নিমন্ত্রণ প্রত্যাহার করে নেয়। এই ফিলিস্তিনি আমেরিকান মজলুম ফিলিস্তিনিদের পক্ষে একা লড়ে যান। ইয়াসির আরাফাত ‘অসলো চুক্তি’ করলে হোয়াইট হাউজে আমন্ত্রণ পেয়ে তিনি তা প্রত্যাখ্যান করেন।
৪. কালচার কিভাবে ইম্পেরিয়ালিজমকে সাহায্য করে?
এই প্রবন্ধে কালচার এবং ইম্পেরিয়ালিজম কিভাবে বেড়ে উঠেছে এবং সাহিত্য কিভাবে ইম্পেরিয়ালিজমকে সাহায্য করেছে, তা নিয়েই লিখেছেন এডওয়ার্ড সাইদ। সাম্রাজ্যবাদী দেশগুলোকে কিভাবে তাদের সাহিত্য পরোক্ষভাবে অন্য দেশে তাদের সাম্রাজ্যবাদ টিকিয়ে রাখতে সাহায্য করেছে সেই বিষয়েও আলোচনা করেছেন সাইদ।
- সাম্রাজ্যবাদের হাতিয়ার হিসেবে বই
সাম্রাজ্যবাদী রাষ্ট্রগুলো তাদের দেশের লেখকদের বইয়ের দ্বারা (বিশেষ করে নোভেলের মাধ্যমে) বিভিন্ন দেশের মানুষের কালচার সম্পর্কে ধারণা নেয়। এরপর সেই দেশে গিয়ে নিজেদের কালচারকে উক্ত দেশের কালচারের উপরে প্রতিষ্ঠিত করে। এখন প্রশ্ন হতে পারে, কিভাবে উক্ত দেশের কালচারের উপরে নিজেদের কালচার প্রতিষ্ঠিত করতে পারে? ইউরোপীয় দেশগুলো অন্যান্য দেশগুলোর কালচারকে ছোট করে দেখাতো। তাদের কালচারের দোষ গুলো বের করতো। আর এভাবে তারা সেই কালচারের মানুষদের পরোক্ষভাবে ছোট বলে অভিহিত করতো। আর নিজেদের কালচারকে গ্রহণ করতে বলতো। বিভিন্ন দেশের কালচার সম্পর্কে বিশদ আইডিয়া শুধুমাত্র নোবেল গুলো থেকেই পাওয়া যাচ্ছিল। আর এভাবেই বই বা বিভিন্ন নোভেল সাম্রাজ্যবাদী দেশগুলোকে তাদের সাম্রাজ্য বিস্তারে সাহায্য করেছে, বিশেষ করে ইউরোপীয় দেশগুলোকে। আর এভাবেই কালচার এবং ইম্পেরিয়ালিজম বেড়ে উঠেছে।
৫. সাম্রাজ্যবাদ সমর্থনকারী বইগুলোর উদাহরণ
সাইদ সাম্রাজ্যবাদী দেশগুলোর(ফ্রান্স, ব্রিটেন, আমেরিকা) সমালোচনা করেন, বিশেষ করে ২০ শতকে এসে গড়ে উঠা আমেরিকার পরোক্ষ সাম্রাজ্যবাদের। তিনি কয়েকটি সাহিত্যিক লেখার উদাহরণ দেন, যেগুলোতে সাম্রাজ্যবাদের চিত্র উঠে আসে। তিনি Joseph Conrad এর Heart of Darkness এর প্রসঙ্গ আনেন। এখানে Conrad বেলজিয়ামের সাম্রাজ্যবাদী চরিত্রকে চিত্রায়িত করেন। তবে এখানে কনরেড সাম্রাজ্যবাদী ও সাম্রাজ্যবাদবিরোধী দুটো দিকেই নিজেকে উপস্থাপন করেন। তিনি সম্রাজ্যবাদের নগ্ন দৃশ্য তুলে ধরেন আবার সাম্রাজ্যবাদ যে আবশ্যক, তাও প্রকাশ করেন। সাইদ কনরেডের প্রশংসা করেন। তারপর সাইদ সাম্রাজ্যবাদের শিকার হওয়াদের পক্ষের লিখা সাহিত্য হিসেবে EM Forster এর A Passage to India এর আলোচনা করেন। তিনি দেখান যে, সাম্রাজ্যবাদকে সমর্থন করে কিভাবে সাম্রজ্যবাদি সংস্কৃতিতে সাহিত্য লিখা হয়, আবার এর শিকার হওয়া মানুষদের দিক থেকে সাম্রজ্যবাদকে কিভাবে চিন্তা করা হয়। ১৯ শতকের উপন্যাসগুলো সম্রাজ্যবাদের ধারাকে অব্যাহত রাখার পক্ষে সমর্থন করে। লেখকরা কখনো সরাসরি বলে না কলোনি স্থাপনের জন্য, আবার কখনো কলোনি ছেড়ে যাওয়ার পক্ষেও কথা বলে না। তারপর তিনি সাম্রাজ্যবাদীদের লিখা Robinson Crusoe, The Great Expectations উপন্যাসগুলোর কথা বলেন। সেখানে সাম্রাজ্যবাদকে কিভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে, তা আলোচনা করেন। তারপর Jane Austen এর Mansfield Park কে সমালোচনা করেন এবং Mansfield Park এর মধ্যে যে সাম্রাজ্যবাদী চিত্র ফুটে উঠেছে, তা তুলে ধরেন।
Excellent