Mother Courage and Her Children
সংক্ষিপ্ত জীবনী: বার্টোল্ট ব্রেখ্ট (Bertolt Brecht)
বার্টোল্ট ব্রেখ্ট ১৮৯৮ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি জার্মানির Augsburg শহরে জন্মগ্রহণ করেন। তার পুরো নাম Eugen Berthold Friedrich Brecht। তিনি ছিলেন বিখ্যাত নাট্যকার, কবি এবং থিয়েটার পরিচালক। আধুনিক ইউরোপীয় নাটকের ইতিহাসে তিনি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব। ব্রেখ্ট ছোটবেলা থেকেই কবিতা লিখতেন এবং থিয়েটারের প্রতি আগ্রহী ছিলেন। মিউনিখ বিশ্ববিদ্যালয়ে মেডিসিন পড়লেও তিনি শিগগিরই সাহিত্য ও নাটকের দিকে মনোযোগ দেন। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় তিনি স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে কাজ করেছিলেন, যা তাকে যুদ্ধ ও সমাজের ভণ্ডামির প্রতি গভীরভাবে সচেতন করে তোলে। তার নাটকের সবচেয়ে বড় অবদান হলো Epic Theatre (এপিক থিয়েটার) ধারণা। তিনি নাটককে শুধুমাত্র বিনোদনের মাধ্যম হিসেবে নয়, বরং সমাজের অসাম্য, ভণ্ডামি ও শ্রেণি-সংঘাত উন্মোচনের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করতে চেয়েছিলেন। এজন্য তিনি Verfremdungseffekt বা Alienation Effect (অপরিচিতি প্রভাব) ব্যবহার করেন, যাতে দর্শক নাটকের ভেতরে হারিয়ে না গিয়ে সবসময় সমালোচনামূলক দৃষ্টিতে সমাজকে বিচার করতে পারে। ব্রেখ্ট রাজনৈতিকভাবে মার্ক্সবাদ দ্বারা প্রভাবিত ছিলেন। তার নাটকে প্রায়ই শ্রমজীবী মানুষের সংগ্রাম, শোষণ এবং সমাজতান্ত্রিক দৃষ্টিভঙ্গি ফুটে ওঠে। নাৎসি শাসনের সময় তাকে জার্মানি ত্যাগ করতে হয় এবং তিনি আমেরিকায় কিছু বছর কাটান। পরে তিনি পূর্ব জার্মানিতে ফিরে আসেন এবং Berliner Ensemble নামে থিয়েটার দল প্রতিষ্ঠা করেন। তাঁর বিখ্যাত রচনা,
- Mother Courage and Her Children (১৯৪১): যুদ্ধের ভয়াবহতা ও ব্যবসায়ীক শোষণকে কেন্দ্র করে লেখা।
- The Life of Galileo (১৯৪০): বিজ্ঞান ও কর্তৃত্বের দ্বন্দ্বকে ফুটিয়ে তোলে।
- The Good Woman of Setzuan (১৯৪৩): ভালো মানুষ হওয়া আর সমাজের বাস্তবতার মধ্যে দ্বন্দ্ব।
- The Caucasian Chalk Circle (১৯৪৮): ন্যায়বিচার, মাতৃত্ব ও কর্তৃত্বের প্রতীকী নাটক।
- Threepenny Opera (১৯২৮): সমাজের লোভ ও পুঁজিবাদের ব্যঙ্গাত্মক চিত্র।
বার্টোল্ট ব্রেখ্ট শুধু নাট্যকার নন, তিনি নাট্যতত্ত্বের একজন বিপ্লবী। তার নাটক মানুষকে শুধু আবেগে ভাসায় না, বরং ভাবতে শেখায়। তিনি নাটককে সামাজিক পরিবর্তনের হাতিয়ার হিসেবে গড়ে তুলেছিলেন। ১৯৫৬ সালের ১৪ আগস্ট বার্লিনে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। আজও তাকে আধুনিক নাটকের জনক এবং সমাজসচেতন শিল্পের প্রতীক হিসেবে মনে করা হয়। তাকে বলা হয় “the father of epic theatre” এবং “the revolutionary dramatist of the 20th century”।
আরো পড়ুনঃ The Outsider Bangla Summary – বাংলায়
Key Facts
- Full Title: Mother Courage and Her Children
- Original Title: Mutter Courage und ihre Kinder (German)
- Author: Bertolt Brecht (1898–1956)
- Title of the Author: Modernist Playwright, Marxist Dramatist, Founder of Epic Theatre, Political Thinker
- Source: Inspired by the Thirty Years’ War (1618–1648), Brecht’s Marxist views, and his critique of capitalism, war, and profiteering. Also influenced by Hans Jakob Grimmelshausen’s 17th-century novel Simplicius Simplicissimus.
- Written Time: 1939 (in exile, shortly before World War II)
- First Published/Performed: First staged in 1941 in Zürich, Switzerland; published later in Germany.
- Publisher: Suhrkamp Verlag (in German editions after WWII)
- Genre: Epic Theatre / Political Drama / Anti-War Play
- Form: Play in 12 scenes (episodic structure rather than continuous action).
- Structure: Episodic narrative with songs, direct addresses to the audience, placards, and interruptions that break theatrical illusion (Verfremdungseffekt / Alienation Effect).
- Tone: Didactic, ironic, critical, tragic, satirical, politically charged.
- Point of View: Objective and detached, in keeping with Epic Theatre style; avoids emotional identification and instead provokes critical judgment.
- Significance: A milestone of modern political theatre. It critiques war and capitalism by showing how “Mother Courage” profits from war but loses all her children to it. Brecht wanted to show the futility of war and the dangers of profit-driven survival.
- Language: German (with later translations worldwide).
- Famous Line: “War is like love: it’ll always find a way.”
- Setting:
- Time Setting: The Thirty Years’ War (1618–1648).
- Place Setting: Various locations across Europe (battlefields, camps, towns, rural roads) during the war.
Key Notes – বাংলা
- মূল নাম (Original Title) – Mutter Courage und ihre Kinder: নাটকটির জার্মান মূল নাম হলো Mutter Courage und ihre Kinder, যার অর্থ “Mother Courage and Her Children।” বার্থোল্ট ব্রেখ্ট এটি ১৯৩৯ সালে লেখেন এবং প্রথম মঞ্চস্থ হয় ১৯৪১ সালে সুইজারল্যান্ডে।
- Mother Courage and Her Children – নামের তাৎপর্য: “Mother Courage” নামটি বিদ্রূপাত্মক। আন্না ফিয়ারলিং, যাকে Mother Courage বলা হয়, যুদ্ধের মধ্যে ব্যবসা করে বাঁচার চেষ্টা করে। কিন্তু যুদ্ধের কারণেই সে একে একে তার সব সন্তানকে হারায়। নামটি দেখায় যুদ্ধের ভয়াবহতা এবং টিকে থাকার জন্য মানুষের ভ্রান্ত সাহস।
- Mother Courage–এর চরিত্র: আন্না ফিয়ারলিং বা Mother Courage একজন ক্যান্টিন-মহিলা, যিনি যুদ্ধের মধ্যে গাড়ি টেনে সৈন্যদের কাছে খাবার-বস্তু বিক্রি করেন। তিনি টাকার জন্য যুদ্ধকে কাজে লাগান, কিন্তু যুদ্ধই তাকে নিঃস্ব করে দেয়। তার তিন সন্তান, এলিফ, সুইস চিজ, এবং ক্যাট্রিন, সবাই যুদ্ধে মারা যায়। তার চরিত্র যুদ্ধ-নির্ভর বেঁচে থাকার করুণ প্রতীক।
- যুদ্ধ ও পুঁজিবাদ: নাটকটি ত্রিশ বছরের যুদ্ধ (1618–1648)-এর পটভূমিতে লেখা। ব্রেখ্ট দেখিয়েছেন, যুদ্ধ আসলে ব্যবসার সুযোগ তৈরি করে। Mother Courage যুদ্ধ থেকে মুনাফা করতে চায়, কিন্তু শেষ পর্যন্ত যুদ্ধই তার সর্বনাশ ডেকে আনে।
- Brecht–এর Epic Theatre: নাটকে গান, দৃশ্য বিভাজন, দর্শকের উদ্দেশ্যে সরাসরি ভাষণ, ও নাটকীয় ভাঙন (Verfremdungseffekt বা Alienation Effect) ব্যবহার করা হয়েছে। এর মাধ্যমে ব্রেখ্ট দর্শকদের আবেগী না করে চিন্তাশীল করতে চেয়েছেন।
Mother Courage and Her Children – Background (বাংলায়)
বার্থোল্ট ব্রেখ্ট ১৯৩৮–১৯৩৯ সালে Mother Courage and Her Children (Mutter Courage und ihre Kinder) লেখেন এবং এটি প্রথম মঞ্চস্থ হয় ১৯৪১ সালে সুইজারল্যান্ডে। এই নাটকের প্রেরণা আসে ইউরোপে ত্রিশ বছরের যুদ্ধ (1618–1648) এবং ব্রেখ্টের নিজের সময়ের রাজনৈতিক পরিস্থিতি থেকে। বিশেষত ফ্যাসিবাদ, নাৎসি জার্মানির উত্থান এবং ইউরোপজুড়ে যুদ্ধের ছায়া নাটকের মূল প্রেক্ষাপটকে গভীরভাবে প্রভাবিত করে। নাটকের নায়িকা আন্না ফিয়ারলিং, যিনি “Mother Courage” নামে পরিচিত, যুদ্ধের সময় সৈন্যদের কাছে খাবার ও সামগ্রী বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করেন। কিন্তু যুদ্ধ থেকে মুনাফা করতে গিয়ে তিনি একে একে তার তিন সন্তান, এলিফ, সুইস চিজ এবং ক্যাট্রিন-কে হারান। তার চরিত্র যুদ্ধের ভয়াবহতা ও মানুষের অসহায়তার প্রতীক। যুদ্ধ তাকে আর্থিকভাবে টিকিয়ে রাখলেও শেষ পর্যন্ত সবকিছু কেড়ে নেয়।
Mother Courage and Her Children নাটকে ব্রেখ্ট তার Epic Theatre–এর বৈশিষ্ট্য ব্যবহার করেছেন। এখানে গান, দৃশ্য বিভাজন, সরাসরি দর্শকের উদ্দেশ্যে ভাষণ এবং Verfremdungseffekt (Alienation Effect) প্রয়োগ করা হয়েছে। এর ফলে দর্শক আবেগে ভেসে না গিয়ে চিন্তা করতে বাধ্য হয়। নাটকটি দেখায় কিভাবে যুদ্ধ পুঁজিবাদী সমাজে ব্যবসার সুযোগ তৈরি করে, অথচ সাধারণ মানুষের জীবনে নিয়ে আসে দুর্দশা ও মৃত্যু। এই নাটকটি মূলত ১২টি দৃশ্যে বিভক্ত। প্রতিটি দৃশ্যেই Mother Courage–এর জীবনে যুদ্ধের প্রভাব এবং তার সন্তানদের মৃত্যুর কাহিনি ফুটে ওঠে। নাটকের গঠন যুদ্ধ, লোভ, আত্মত্যাগ এবং মানবিকতার ভঙ্গুরতাকে নতুনভাবে তুলে ধরে। প্রকাশ ও মঞ্চস্থ হওয়ার পর থেকেই Mother Courage and Her Children ২০শ শতকের অন্যতম শক্তিশালী যুদ্ধবিরোধী নাটক হিসেবে স্বীকৃতি পায়। এটি শুধু একটি মায়ের গল্প নয়, বরং যুদ্ধ, পুঁজিবাদ, এবং মানবজীবনের ভয়াবহ বাস্তবতার প্রতীকী অনুসন্ধান। আজও এটি যুদ্ধবিরোধী সাহিত্যের এক অনন্য দলিল।
চরিত্রসমূহ
প্রধান চরিত্রসমূহ (Major Characters)
- Mother Courage (Anna Fierling / আন্না ফিয়ারলিং): নাটকের কেন্দ্রীয় চরিত্র। তাকে Mother Courage বলা হয় কারণ যুদ্ধের ভেতরেও তিনি সাহস করে ব্যবসা চালিয়ে যান। তিনি তার ওয়াগন নিয়ে সৈন্যদের কাছে খাবার ও সরঞ্জাম বিক্রি করেন। কিন্তু যুদ্ধ থেকে মুনাফা করতে গিয়ে তিনি একে একে তার তিন সন্তান, এলিফ, সুইস চিজ এবং ক্যাট্রিন-কে হারান। তার চরিত্র যুদ্ধ, লোভ, মাতৃত্ব ও অসহায়তার প্রতীক।
- Eilif (এলিফ): মাদার কারেজের জ্যেষ্ঠ পুত্র। সাহসী কিন্তু যুদ্ধপ্রিয়। তাকে সেনারা নিয়োগ করে কারণ সে নির্দয়ভাবে ডাকাতদের হত্যা করে। শুরুতে তাকে বীর বলা হলেও পরে শান্তির সময় একই কাজের জন্য মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। তার চরিত্র যুদ্ধের নৈতিক দ্বন্দ্বের প্রতীক।
- Swiss Cheese (সুইস চিজ): মাদার কারেজের দ্বিতীয় পুত্র। সে রেজিমেন্টের ক্যাশিয়ার হিসেবে কাজ করে। সৎ ও সরল। শত্রুদের হাতে ক্যাশবক্স লুকানোর কারণে ধরা পড়ে। মা দামাদর না করায় তাকে গুলি করে হত্যা করা হয়। তার চরিত্র সততা ও যুদ্ধের নিষ্ঠুরতার প্রতীক।
- Kattrin (ক্যাট্রিন): মাদার কারেজের কন্যা। সে বোবা (mute) এবং কথা বলতে পারে না। তবে সে সহানুভূতিশীল। শিশুদের জন্য তার গভীর মমতা রয়েছে। নাটকের শেষে যুদ্ধের সময় একটি শহরকে রক্ষা করতে গিয়ে সে ঢাক বাজায়, যাতে মানুষ জেগে ওঠে। শত্রুরা তাকে হত্যা করে। তার চরিত্র আত্মত্যাগ, নির্দোষিতা ও নীরব প্রতিবাদের প্রতীক।
গৌণ চরিত্রসমূহ (Minor Characters)
- The Cook (কুক / পাভেল): একজন রাঁধুনি। তিনি Mother Courage–এর সঙ্গে ব্যবসায় অংশ নিতে চান। এক পর্যায়ে তিনি তাকে প্রস্তাব দেন, কিন্তু ক্যাট্রিনের কারণে Mother Courage রাজি হন না। তিনি স্বার্থপরতা ও মানবিকতার দ্বন্দ্বের প্রতীক।
- The Chaplain (পাদ্রি): একজন প্রোটেস্ট্যান্ট ধর্মযাজক, যিনি Mother Courage–এর সঙ্গে অনেক পথ চলেন। তিনি যুদ্ধে নৈতিকতা ও ধর্মের ভণ্ডামি তুলে ধরেন। তার চরিত্র যুদ্ধকালীন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের অসহায়তা ও দ্বিচারিতার প্রতীক।
- The Sergeant and the Recruiting Officer (সার্জেন্ট ও নিয়োগকারী অফিসার): নাটকের শুরুতে উপস্থিত। তারা সৈন্য নিয়োগ করতে আসে এবং মানুষকে যুদ্ধে টেনে নেয়। তাদের চরিত্র যুদ্ধযন্ত্রের প্রতীক।
- The Peasant Family (কৃষক পরিবার): শেষের দিকে উপস্থিত হয়। তারা যুদ্ধের ধ্বংসে আক্রান্ত। ক্যাট্রিন তাদের শিশুদের বাঁচানোর জন্য আত্মত্যাগ করে। তাদের চরিত্র সাধারণ মানুষের দুর্দশার প্রতীক।
- Yvette Pottier (ইভেট পোটিয়ার): এক যৌনকর্মী (camp prostitute) যিনি সৈন্যদের সঙ্গে ব্যবসা করে বেঁচে থাকেন। একসময় তিনি সুইস চিজের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি করার চেষ্টা করেন। পরে এক বৃদ্ধ কর্মকর্তাকে বিয়ে করে ধনী হলেও তার জীবনে সুখ আসে না। তার চরিত্র যুদ্ধকালীন নারীর শোষণ ও বেঁচে থাকার সংগ্রামের প্রতীক।
- The Sergeant and One Eye (সার্জেন্ট এবং ওয়ান আই): নাটকের শুরুতে উপস্থিত দুটি চরিত্র। তারা গ্রাম থেকে যুবক সংগ্রহ করে সেনাবাহিনীতে যোগ করায়। One Eye মানে একচোখো সৈন্য। তারা দেখায় কীভাবে যুদ্ধ সাধারণ মানুষকে টেনে নিয়ে যায়।
- The Young Soldier (তরুণ সৈন্য): সে একজন সাধারণ যুবক, যাকে যুদ্ধ টেনে আনে। সে বেতন এবং অন্যায়ের কারণে হতাশা প্রকাশ করে। তার চরিত্র সাধারণ সৈনিকদের কণ্ঠস্বর, যারা যুদ্ধের ভয়ঙ্কর চক্রে আটকে যায়।
- The Captain (ক্যাপ্টেন): তিনি সেনাবাহিনীর একজন অফিসার। প্রায়শই সৈন্যদের নেতৃত্ব দেন এবং Mother Courage–এর সঙ্গে লেনদেন করেন। তার চরিত্র যুদ্ধের শৃঙ্খলা ও কঠোর বাস্তবতার প্রতীক।
- The Parson (প্যারসন): তিনি একজন ধর্মীয় চরিত্র। নাটকে তাকে অনেক সময় “Chaplain” হিসেবেও উল্লেখ করা হয়। তিনি যুদ্ধে ঈশ্বর ও ধর্মের ভূমিকা দেখান। কিন্তু তার ভণ্ডামি ও অসহায়তা প্রকাশ পায়।
- The Lieutenant (লেফটেন্যান্ট): একজন সামরিক কর্মকর্তা, যিনি আদেশ পালন ও ক্ষমতার প্রতীক। তার চরিত্র যুদ্ধযন্ত্রের অংশ, যেখানে মানবিকতার স্থান নেই।
পরিবার ও সম্পর্ক
- Mother Courage’s Family (মাদার কারেজের পরিবার): আন্না ফিয়ারলিং এবং তার তিন সন্তান, এলিফ, সুইস চিজ, ক্যাট্রিন। নাটক জুড়ে তাদের মৃত্যু Mother Courage এর ব্যবসা ও যুদ্ধের প্রভাবকে তুলে ধরে।
বাংলা প্লট সামারি
নাটকের সূচনা ও প্রধান চরিত্রদের প্রবেশ: নাটক Mother Courage and Her Children শুরু হয় ১৬২৪ সালের আশেপাশে, যখন ইউরোপে ভয়াবহ ত্রিশ বছরের যুদ্ধ চলছে। ঘটনাস্থল সুইডেনের ডালার্না প্রদেশ। প্রথমে মঞ্চে আসে এক রিক্রুটিং অফিসার এবং এক সার্জেন্ট। তারা নতুন সৈন্য ভর্তির চেষ্টা করে। ঠিক তখনই প্রবেশ করেন নাটকের নায়িকা মাদার কারেজ (Anna Fierling) তার বিখ্যাত ঠেলাগাড়ি নিয়ে। এই ঠেলাগাড়িই তার ভ্রাম্যমাণ ব্যবসা। এখানে তিনি সৈন্যদের জন্য খাবার, পানীয়, কাপড়চোপড় এবং প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র বিক্রি করেন। যুদ্ধের ভেতর দিয়েই তিনি জীবিকা নির্বাহ করেন। তার সঙ্গে আছে তার তিন সন্তান,
- এলিফ (Eilif Nojocki), শক্তিশালী ছেলে, যাকে কিছুক্ষণের মধ্যেই সৈন্যরা যুদ্ধের জন্য নিয়ে যায়।
- সুইস চিজ (Swiss Cheese), সাদাসিধে ছেলে, যে পরে সেনাদের রেজিমেন্টের ক্যাশিয়ার হয়।
- ক্যাটরিন (Kattrin Haupt), বোবা এবং দুর্বল মেয়ে, যিনি পুরো নাটকে সবচেয়ে মর্মস্পর্শী চরিত্র হয়ে ওঠেন।
নাটকে এবার প্রবেশ করে এক রিক্রুটিং অফিসার (Recruiting Officer) এবং এক সার্জেন্ট (Sergeant)। তারা দুজন মিলে আলোচনা করে যে নতুন সৈন্য খুঁজে পাওয়া এখন কতটা কঠিন। অফিসার সার্জেন্টকে অভিযোগ করে যে যুদ্ধ দীর্ঘায়িত হচ্ছে, কিন্তু মানুষ আর সহজে যুদ্ধে নামতে চায় না। তাই তাদের লোক টানার জন্য নানা কৌশল করতে হয়। এই কথোপকথনের মাঝেই মঞ্চে আসে মাদার কারেজ (Mother Courage – Anna Fierling) তার তিন সন্তান এলিফ (Eilif Nojocki), সুইস চিজ (Swiss Cheese) এবং ক্যাটরিন (Kattrin Haupt)–কে নিয়ে। তারা ঠেলাগাড়ি টেনে ডালার্না (Dalarna) প্রদেশের মধ্য দিয়ে প্রবেশ করছে।
এলিফের প্রলোভন ও যুদ্ধে যোগদান: অফিসারের দৃষ্টি পড়ে বড় ছেলে এলিফের উপর। অফিসার তাকে যুদ্ধে যাওয়ার জন্য প্রলুব্ধ করতে শুরু করে। সে বোঝায়, যুদ্ধ শুধু লড়াই নয়, এতে রয়েছে সম্মান, বীরত্ব, আর্থিক লাভ এবং সমাজে নাম কাড়ার সুযোগ। অফিসার যুদ্ধকে মহৎ একটি কাজ হিসেবে দেখাতে চায়। সার্জেন্টও তার সঙ্গে সায় দেয়, যুদ্ধকে প্রয়োজনীয় এবং লাভজনক বলে ব্যাখ্যা করে। মাদার কারেজ প্রথমে সতর্ক থাকলেও, অফিসারের তাগিদ আর এলিফের কৌতূহল মিলিয়ে ধীরে ধীরে বোঝা যায়, এলিফ যুদ্ধের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে পড়ছে। এই দৃশ্যেই নাটক যুদ্ধের ভয়াবহতা ও প্রলোভনের দিকটি স্পষ্ট করে। মাদার কারেজ (Mother Courage – Anna Fierling) ঠেলাগাড়ি নিয়ে দরাদরিতে ব্যস্ত থাকেন। তিনি সৈন্যদের কাছে খাবার ও জিনিসপত্র বিক্রি করতে চান। কিন্তু মনের ভেতর একটি ভয় কাজ করে। তিনি চান না তার সন্তানরা যুদ্ধে যাক। তার কাছে যুদ্ধ শুধু জীবিকা অর্জনের উপায়। তবে যুদ্ধের বলি হতে দিতে তিনি রাজি নন।
অফিসার তখন এলিফ (Eilif Nojocki)-কে বোঝাতে থাকে। সে বলে যুদ্ধে গেলে খ্যাতি, সম্মান আর অর্থ পাওয়া যায়। সার্জেন্টও অফিসারকে সমর্থন করে। যুদ্ধকে তারা এক মহৎ কাজ হিসেবে তুলে ধরে। এলিফ এই কথায় প্রভাবিত হয়। ক্ষমতা ও বীরত্বের স্বপ্ন তাকে আকৃষ্ট করে। মায়ের সতর্কবাণী উপেক্ষা করে সে অফিসারের সঙ্গে যায়। এই দৃশ্যে নাটকটি দেখায় যে যুদ্ধ শুধু ব্যবসা নয়। যুদ্ধ তরুণদের লোভ দেখিয়ে আকৃষ্ট করে। তাদেরকে টেনে নেয় মৃত্যুর পথে। এটি যুদ্ধের ভয়ংকর বাস্তবতাকে প্রকাশ করে।
আরো পড়ুনঃ The Metamorphosis Bangla Summary
যুদ্ধে এলিফের নৃশংসতা ও কারেজের বেদনা: ১৬২৬ সালের সময়কাল। যুদ্ধ তখনও চলছে। মাদার কারেজ (Mother Courage – Anna Fierling) তার বিখ্যাত ঠেলাগাড়ি নিয়ে উপস্থিত হন এক সুইডিশ কমান্ডারের তাবুর সামনে। তিনি সৈন্যদের কাছে খাবার, পানীয়, কাপড়চোপড় বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করছেন। যুদ্ধ তার কাছে ব্যবসার সুযোগ হলেও, ভেতরে ভেতরে তিনি জানেন যুদ্ধ কতটা ভয়ংকর। এসময় সুইডিশ কমান্ডার একজন সৈনিকের সাহসিকতার প্রশংসা করতে থাকেন। তিনি বলেন, সেই সৈনিক একটি গ্রামে প্রবেশ করে সেখানে ভয়ানক ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে। সে নিরীহ কৃষকদের হত্যা করেছে, তাদের ঘরবাড়ি পুড়িয়ে দিয়েছে এবং গবাদি পশু লুণ্ঠন করেছে। কমান্ডারের চোখে এটি ছিল এক ধরণের বীরত্ব। কিন্তু মাদার কারেজ তখনই বুঝতে পারেন, এই সৈনিক আর কেউ নয়, তার নিজের ছেলে এলিফ (Eilif Nojocki)।
এই খবর শুনে কারেজ ভেতরে ভেতরে রাগান্বিত হয়ে ওঠেন। তিনি কমান্ডারকে বলেন, কোনো ভালো মানুষ কখনো এ ধরনের কাজ করতে পারে না। মানুষের ঘর পুড়িয়ে দেওয়া, গরিব কৃষকদের হত্যা করা বীরত্ব নয়, এটি নিষ্ঠুরতা। তবুও যুদ্ধের নিয়মে এই হত্যাযজ্ঞকে প্রশংসা করা হয়। কারেজ অসহায়ভাবে উপলব্ধি করেন, যুদ্ধ তার ছেলেকে নিষ্ঠুর ও অমানবিক করে তুলেছে।
সুইস চিজের সততা ও করুণ মৃত্যুর ঘটনা: সময় গড়িয়ে যায়। তিন বছর পরে কাহিনি এক ভয়াবহ বাঁকে পৌঁছায়। এবার মাদার কারেজ (Mother Courage – Anna Fierling)-এর ছোট ছেলে সুইস চিজ (Swiss Cheese) আর্মিতে যোগ দিয়েছে। সে রেজিমেন্টের পে মাস্টার বা ক্যাশিয়ার হিসেবে কাজ করছে। তার দায়িত্ব হলো সৈন্যদের জন্য টাকা-পয়সা সংগ্রহ এবং সঠিক জায়গায় পাঠানো। সুইস চিজ ছিল সৎ এবং সাহসী, তবে বুদ্ধিতে খুব একটা তীক্ষ্ণ ছিল না। একদিন দুর্ভাগ্যজনকভাবে ক্যাথলিক সৈন্যরা তাকে গ্রেফতার করে। তাদের উদ্দেশ্য ছিল রেজিমেন্টের টাকা দখল করা। কিন্তু সুইস চিজ সেই টাকা লুকিয়ে রাখে এবং কিছুতেই শত্রুদের হাতে তুলে দিতে চায় না। তার এই সততা তার প্রাণঘাতী ভুল হয়ে দাঁড়ায়। খবরটি ছড়িয়ে পড়লে মাদার কারেজ তা শুনে ভেঙে পড়েন।
কারেজ তখন মরিয়া হয়ে সিদ্ধান্ত নেন যে তিনি তার প্রিয় ছেলেকে মুক্ত করার জন্য কিছু করবেন। তিনি তার ঠেলাগাড়ি বিক্রি করার কথা ভাবেন। যুদ্ধের ভেতরে এই ঠেলাগাড়িই ছিল তার ব্যবসার জীবনরেখা। কিন্তু মায়ের মমতায় তিনি সেটি ত্যাগ করতেও প্রস্তুত হন। তিনি অর্থ সংগ্রহের চেষ্টা করেন। দরাদরি করেন, সাহায্য চান, কিন্তু শেষ পর্যন্ত ব্যর্থ হন। পর্যাপ্ত অর্থ তিনি জোগাড় করতে পারেন না। অন্যদিকে সময় শেষ হয়ে আসে। টাকা না পেয়ে ক্যাথলিক সৈন্যরা সুইস চিজকে হত্যা করে। এই দৃশ্য নাটকের অন্যতম মর্মান্তিক মুহূর্ত। মাদার কারেজ ছেলের মৃত্যু সংবাদ শুনে স্তব্ধ হয়ে যান। তিনি শোকে পাথরের মতো নিস্তব্ধ হয়ে দাঁড়িয়ে থাকেন। চোখে জল আসে না, তবে তার ভেতরের কষ্ট ভাষায় প্রকাশ করা যায় না।
পাদ্রীর অনুরোধ, কারেজের অস্বীকার ও ক্যাট্রিনের মানবিকতা: এই ঘটনার কিছু পরেই যুদ্ধে ক্যাথলিকরা সাময়িকভাবে জয়লাভ করে। পরিস্থিতি আমূল বদলে যায়। যে প্রোটেস্ট্যান্ট পাদ্রী (The Chaplain) আগে প্রোটেস্ট্যান্টদের হয়ে কাজ করছিল, তাকেও দেখা যায় ক্যাথলিকদের পোশাক পরে যীশু খ্রীষ্টের ক্রুসিফিকশনের গান গাইতে। যুদ্ধ শুধু জীবন কেড়ে নেয় না, বরং মানুষের বিশ্বাস, নীতি, এমনকি ধর্মীয় অবস্থানকেও পরিবর্তন করে দেয়। এরপর প্লট এগিয়ে যায় দুই বছর পরের এক সময়কে। যুদ্ধ এখনও চলছে, আর মাদার কারেজ (Mother Courage – Anna Fierling) তার ঠেলাগাড়ি নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। এবার তিনি তার বোবা মেয়ে ক্যাট্রিন (Kattrin Haupt)-কে সাথে নিয়ে একটি প্রোটেস্ট্যান্ট রেজিমেন্টের কাছে হাজির হন। যুদ্ধক্ষেত্রে আহত সৈন্যদের সংখ্যা প্রচুর। রক্ত, ধুলো আর চিৎকারে চারপাশ ভারী হয়ে আছে। এমন পরিস্থিতিতেও কারেজ নিজের ব্যবসা চালাচ্ছেন। তিনি ব্যান্ডেজ, ওষুধ, খাবার ও অন্যান্য জিনিস বিক্রি করে মুনাফা করার চেষ্টা করছেন।
এসময় একজন প্রোটেস্ট্যান্ট পাদ্রী (The Chaplain) মঞ্চে প্রবেশ করেন। তিনি যুদ্ধক্ষেত্রের ভয়াবহ অবস্থা দেখে কারেজের কাছে সাহায্য চান। তিনি অনুরোধ করেন কিছু ব্যান্ডেজ ও ওষুধ দিতে, যাতে আহত সৈন্যদের চিকিৎসা করা যায়। কিন্তু মাদার কারেজ একেবারে দৃঢ়ভাবে অস্বীকার করেন। তিনি জানান যে তিনি দান করতে পারবেন না, কারণ তার ব্যবসা নষ্ট হয়ে যাবে। যুদ্ধে বাঁচা-মরার চেয়েও তার কাছে ব্যবসার স্বার্থ বড় হয়ে ওঠে। বোবা ক্যাট্রিন মায়ের এই সিদ্ধান্তে ব্যথিত হয়। সে বারবার মাকে অনুরোধ করে অন্তত আহতদের জন্য কিছু দিতে। কিন্তু মায়ের হৃদয় অনড় থেকে যায়। ঠিক তখনই তারা দেখে পাশেই এক আহত শিশু যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছে। ক্যাট্রিন আর সহ্য করতে পারে না। সে দৌড়ে গিয়ে শিশুটিকে সাহায্য করে। তার এই কাজ তার চরিত্রের মানবিক দিকটি স্পষ্ট করে তোলে।
অন্যদিকে প্রোটেস্ট্যান্ট পাদ্রী মাদার কারেজের এই নির্মম আচরণে ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। তিনি রাগে তাকে ধাক্কা দেন এবং তার ঠেলাগাড়ি থেকে কিছু ব্যান্ডেজ ও ওষুধ নিয়ে নেন। তারপর তিনি আহতদের দিকে ছুটে যান। এই দৃশ্য নাটকে গভীর বার্তা দেয়। এখানে যুদ্ধ শুধু মৃত্যু আর ধ্বংস ডেকে আনে না, বরং মানুষকে অর্থলোভী ও নির্দয় করে তোলে। মাদার কারেজ ব্যবসার লোভে অমানবিক হয়ে ওঠেন, কিন্তু ক্যাট্রিন মানবতার আলো দেখায়।
কারেজের মাতৃত্বের উদ্বেগ: এরপর কাহিনি এগিয়ে যায় এক বছর পরের ঘটনায়। যুদ্ধ চলছেই, আর মাদার কারেজ (Mother Courage – Anna Fierling) তার ঠেলাগাড়ি নিয়ে এখনও সৈন্যদের পেছনে ঘুরছেন। এবার দেখা যায় প্রোটেস্ট্যান্ট পাদ্রী (The Chaplain) এবং কারেজ একসাথে কথা বলছে। তারা যুদ্ধের বর্তমান অবস্থা নিয়ে আলোচনা করে। পাদ্রী স্পষ্ট করে জানায় যে যুদ্ধ এত সহজে শেষ হবে না। সৈন্যরা একে অপরের কাছে নিজেদের বীরত্ব প্রমাণ করতে চায়। এই বীরত্ব দেখানোর প্রতিযোগিতা যতদিন চলবে, যুদ্ধ ততদিন থামবে না।
একদিন কুক মাদার কারেজকে ব্যক্তিগত প্রস্তাব দেয়। সে বলে, তারা চাইলে সংসার করতে পারে। যুদ্ধের মধ্যে তারা একে অপরের ভরসা হতে পারে। কিন্তু মাদার কারেজ এই প্রস্তাবে রাজি হন না। তিনি জানান, তার মন এখন অন্যদিকে ব্যস্ত। তার বড় ছেলে এলিফ (Eilif Nojocki)-এর খোঁজ তাকে খুব ভাবাচ্ছে। তাছাড়া তার মেয়ে ক্যাট্রিন (Kattrin Haupt)-এর ভবিষ্যৎ, বিশেষ করে বিয়ের সম্ভাবনা, তাকে উদ্বিগ্ন করছে। এই দৃশ্য কারেজের চরিত্রকে স্পষ্ট করে। তিনি যুদ্ধের ভেতর বেঁচে থাকার জন্য কৌশলী হলেও, তার সন্তানদের জীবন নিয়েই তার প্রধান চিন্তা। অন্যদিকে কুকের প্রস্তাব যুদ্ধের বিভীষিকায় মানবিক সম্পর্ক খোঁজার এক চেষ্টা।
যুদ্ধবিরতির সুখ-দুঃখ ও কারেজের দ্বন্দ্ব: এরপর নাটকে দেখানো হয় একটি বড় পরিবর্তন। সুইডেনের রাজা গুস্তাভাস অ্যাডলফাসের (King Gustavus Adolphus) মৃত্যুর ফলে যুদ্ধ কিছু সময়ের জন্য থেমে যায়। এই হঠাৎ শান্তি মাদার কারেজ (Mother Courage – Anna Fierling)-এর জীবনে দ্বিমুখী প্রভাব ফেলে। একদিকে তিনি খুশি, কারণ যুদ্ধ বন্ধ হলে অন্তত তার সন্তানরা আর মৃত্যুর ভয়াবহতার মুখে পড়বে না। বিশেষ করে তিনি আশা করেন তার ছেলে এলিফ (Eilif Nojocki) ও কন্যা ক্যাট্রিন (Kattrin Haupt) নিরাপদ থাকবে।
কিন্তু অন্যদিকে তিনি গভীর চিন্তায় পড়েন। কারণ শান্তি মানে আর যুদ্ধক্ষেত্র নেই, সৈন্য নেই, আর সেই সঙ্গে ব্যবসার বাজারও নেই। মাদার কারেজ সম্প্রতি অনেক নতুন পণ্য কিনেছিলেন যুদ্ধক্ষেত্রে বিক্রির উদ্দেশ্যে। কিন্তু হঠাৎ শান্তির কারণে সেই সব জিনিস অচল হয়ে পড়ে। এতে তার জীবিকার ভবিষ্যৎ অন্ধকার হয়ে ওঠে। এই সময় প্রোটেস্ট্যান্ট পাদ্রী (The Chaplain) মাদার কারেজকে আশা জাগান। তিনি বলেন, খুব শিগগিরই তার ছেলে এলিফ দেখা করতে আসবে। এই খবর কারেজকে কিছুটা স্বস্তি দেয়। তবে ব্যবসার চিন্তা তাকে আবার শহরের দিকে ঠেলে নেয়, যেখানে তিনি তার নতুন পণ্য বিক্রির চেষ্টা করবেন।
এলিফের মৃত্যুদণ্ড ও মায়ের অজানা বেদনা: এরপর নাটকে করুণ দৃশ্য আসে। এলিফ (Eilif Nojocki) যাকে একসময় বীর সৈনিক বলে প্রশংসা করা হয়েছিল, এখন শান্তির সময় তাকে অপরাধী বলা হয়। যুদ্ধ চলাকালে সে কৃষকদের হত্যা করে তাদের গবাদিপশু লুটপাট করেছিল। তখন তার এই কাজকে বীরত্ব বলা হয়েছিল। কিন্তু যুদ্ধ থেমে গেলে একই কাজ দেশদ্রোহিতা হিসেবে ধরা হয়। এজন্য তাকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। দুজন সৈনিক তাকে নিয়ে আসে তার মায়ের সঙ্গে শেষবার দেখা করানোর জন্য। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত, তখন মাদার কারেজ (Mother Courage – Anna Fierling) ব্যবসার কাজে বাইরে ছিলেন। ফলে মা-ছেলের সেই শেষ সাক্ষাৎ আর সম্ভব হয়নি।
এই সত্য জানে শুধু প্রোটেস্ট্যান্ট পাদ্রী (The Chaplain) আর কারেজের রাঁধুনি (The Cook)। তারা দুজনেই বোঝেন যে মাদার কারেজ যদি এই সত্য জানতে পারেন, তবে তিনি ভেঙে পড়বেন। তাই তারা প্রতিজ্ঞা করেন, এ বিষয়টি তিনি কখনওই জানতে পারবেন না। এই দৃশ্য নাটকের একটি শক্তিশালী বার্তা দেয়। যুদ্ধ যাদেরকে একসময় বীর বানায়, শান্তির সময় তাদেরকেই অপরাধী বানিয়ে ফেলে। আর এতে সবচেয়ে বড় ক্ষতি হয় একজন মায়ের হৃদয়ে।
যুদ্ধক্ষেত্রে প্রতারণা ও কৃষকের ব্যর্থ সতর্কবার্তা: এরপর আবার যুদ্ধ শুরু হয়। মাদার কারেজ (Mother Courage – Anna Fierling) নতুন করে তার দোকান নিয়ে যুদ্ধক্ষেত্রে ফিরে আসেন। যুদ্ধ মানে তার জন্য ব্যবসার সুযোগ। সৈন্যদের কাছে খাবার, মদ আর অন্যান্য জিনিস বিক্রি করে তিনি ভালোই লাভ করেন। একদিন তিনি তার ঠেলাগাড়ি নিয়ে জার্মানির এক কৃষকের বাড়ির সামনে এসে দাঁড়ান। গাড়িটি রেখে তিনি শহরে কিছু জিনিস কিনতে যান। গাড়ির কাছে থেকে যায় তার বোবা মেয়ে ক্যাট্রিন (Kattrin Haupt)।
ঠিক তখনই আসে দুজন ক্যাথলিক সৈন্য। তারা নিজেদেরকে সাধারণ মানুষ হিসেবে দেখালেও আসলে গুপ্তচর। তারা সেই কৃষককে কৌশলে জিজ্ঞেস করতে থাকে প্রোটেস্ট্যান্ট গুপ্তচরদের খবর। কৃষক বিষয়টা টের পান। তিনি চান আশেপাশে থাকা প্রোটেস্ট্যান্ট সৈন্যদের সতর্ক করতে। তাই নানা শব্দ করে বিপদের সংকেত দেওয়ার চেষ্টা করেন। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত, তার চেষ্টা ব্যর্থ হয়। প্রোটেস্ট্যান্টরা কোনো সতর্কবার্তা পায় না। এই দৃশ্যে নাটক যুদ্ধের ভেতরের প্রতারণা ও ষড়যন্ত্রকে সামনে আনে। সাধারণ মানুষও এখানে ভয় আর ধোঁকার শিকার হয়।
ক্যাট্রিনের আত্মত্যাগ ও নাটকের করুণ সমাপ্তি: এসব দেখে ক্যাট্রিন (Kattrin Haupt) আর চুপ থাকতে পারে না। সে মায়ের ঠেলাগাড়ি থেকে একটি ঢোল বের করে বাজাতে শুরু করে। তার উদ্দেশ্য ছিল একটাই, প্রোটেস্ট্যান্ট সৈন্যদের সতর্ক করা, যেন তারা আক্রমণ থেকে বাঁচতে পারে। সে প্রাণের ভয় না করেই জোরে জোরে ঢোল বাজাতে থাকে। এই শব্দে দুজন ক্যাথলিক সৈন্য আবার ফিরে আসে। তারা ক্যাট্রিনকে ঢোল বাজানো বন্ধ করতে বলে। কিন্তু ক্যাট্রিন একেবারেই অটল। সে ঢোল বাজানো থামায় না। প্রোটেস্ট্যান্টদের রক্ষা করার জন্য নিজের প্রাণকেও সে তুচ্ছ করে। অবশেষে ক্যাথলিক সৈন্যরা তাকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। ক্যাট্রিন সেখানেই নিহত হয়।
কিছুক্ষণ পর মাদার কারেজ (Mother Courage – Anna Fierling) ফিরে আসে। তিনি তার প্রিয় কন্যার মৃতদেহ দেখে ভেঙে পড়েন। শোক তাকে স্তব্ধ করে দেয়। তবু যুদ্ধ থামে না। কারেজ কাঁদতে কাঁদতে তার ঠেলাগাড়ি নিয়ে আবার রওনা দেন যুদ্ধক্ষেত্রের দিকে। নাটক এখানেই সমাপ্ত হয়। শেষ দৃশ্য দেখায় যে যুদ্ধ মায়ের কাছ থেকে একে একে সব সন্তান কেড়ে নিয়েছে। তবু যুদ্ধের চাকা থেমে যায় না, আর জীবিকা নির্বাহের জন্য কারেজকে চলতে হয়।
থিমসমূহ:
যুদ্ধ ও ব্যবসা: যুদ্ধকে সাধারণত ধ্বংস ও মৃত্যুর প্রতীক বলা হয়। কিন্তু এই নাটকে দেখানো হয়েছে যুদ্ধ এক ধরনের ব্যবসার সুযোগও বটে। মাদার কারেজ (Anna Fierling) সৈন্যদের কাছে খাবার, মদ, কাপড়, ব্যান্ডেজ বিক্রি করে জীবিকা নির্বাহ করেন। তার জীবনের একমাত্র ভরসা হলো তার ঠেলাগাড়ি। যুদ্ধ মানেই তার কাছে লাভের বাজার। কিন্তু এই ব্যবসার জন্যই তাকে ভয়াবহ মূল্য দিতে হয়। সন্তানদের হারিয়ে তিনি বুঝতে পারেন, যুদ্ধ কেবল ধ্বংসই আনে, টেকসই লাভ আনে না। এখানে ব্রেখট দেখিয়েছেন যে যুদ্ধের পেছনে লুকিয়ে থাকে অর্থনীতি, ব্যবসা আর মুনাফার খেলা।
মাতৃত্ব ও ত্যাগ: মাদার কারেজের চরিত্রে মাতৃত্ব ও ত্যাগের দ্বন্দ্ব স্পষ্ট। তিনি সন্তানদের ভালোবাসেন, কিন্তু অনেক সময় ব্যবসাকে অগ্রাধিকার দেন। উদাহরণস্বরূপ, সুইস চিজকে মুক্ত করার জন্য পর্যাপ্ত অর্থ জোগাড় করতে না পেরে তিনি ব্যর্থ হন। আহত সৈন্যদের জন্য বিনা মূল্যে ওষুধ দিতে অস্বীকার করেন। কিন্তু তার মেয়ে ক্যাট্রিন নিজের প্রাণ দিয়ে অন্যদের রক্ষা করে মায়ের ব্যর্থতার বিপরীতে সত্যিকারের ত্যাগের দৃষ্টান্ত রাখে। নাটকটি দেখায়, মায়ের ভালোবাসা গভীর হলেও যুদ্ধ সেই ভালোবাসাকে সীমাবদ্ধ করে দেয়।
মানবিকতা বনাম নিষ্ঠুরতা: যুদ্ধের মধ্যে মানুষ ধীরে ধীরে মানবিকতা হারিয়ে নিষ্ঠুর হয়ে ওঠে। সৈন্যরা গ্রামে আগুন লাগানো, কৃষক হত্যা ও গবাদি পশু লুণ্ঠনকেই বীরত্ব বলে প্রশংসা করে। অথচ এগুলো আসলে নির্মম অপরাধ। মাদার কারেজও ব্যবসার স্বার্থে আহতদের সাহায্য করতে রাজি হন না। তবে তার বোবা মেয়ে ক্যাট্রিন দেখায় সত্যিকারের মানবিকতা। সে ঢোল বাজিয়ে প্রোটেস্ট্যান্ট সৈন্যদের সতর্ক করতে নিজের প্রাণ বিসর্জন দেয়। এই থিম দেখায়, নিষ্ঠুরতার অন্ধকারেও মানবিকতার আলো জ্বলে উঠতে পারে।
ভাগ্য ও নিয়তি: নাটকজুড়ে মাদার কারেজ চেষ্টা করেন সন্তানদের বাঁচাতে। কিন্তু ভাগ্যের কাছে তিনি একেবারেই অসহায়। এলিফ যুদ্ধে নিষ্ঠুরতার জন্য মৃত্যুদণ্ড পায়, সুইস চিজ সততার কারণে নিহত হয়, আর ক্যাট্রিন আত্মত্যাগে প্রাণ হারায়। মাদার কারেজ তাদের রক্ষা করতে চাইলেও প্রতিবারই ব্যর্থ হন। শেষে দেখা যায়, সন্তানহারা মা আবারও তার ঠেলাগাড়ি নিয়ে যুদ্ধক্ষেত্রে চলতে থাকেন। এটি বোঝায়, যুদ্ধ মানুষের ভাগ্যকে বদলে দেয়, আর নিয়তির কাছে মানুষ সম্পূর্ণ অসহায়।
আরো পড়ুনঃ Crime and Punishment Bangla Summary
Quotes
- “Here’s Mother Courage and her wagon!
Hey, Captain, Let them come and buy!” – (Mother Courage and Her Children – Prologue)
Explanation (English): This is Mother Courage’s cheerful sales-call as she pulls her wagon. It shows how she treats war as business and tries to survive by selling goods even in danger.
বাংলা: “এখানে মাদার কারেজ আর তার ঠেলাগাড়ি!
হে ক্যাপ্টেন, তাদের আসতে দাও আর কিনতে দাও!”
ব্যাখ্যা (বাংলা): এখানে মাদার কারেজ তার ঠেলাগারির দিকে আসার জন্য ডাক দিচ্ছেন। যুদ্ধের ভেতরেও সে পণ্য বিক্রি করে বাঁচতে চায়। যুদ্ধ তার কাছে বেঁচে থাকার ব্যবসা।
- “A mighty fortress is our God.” – (Mother Courage and Her Children – Scene III)
Explanation (English): The Chaplain and the Cook sing this hymn during a Catholic attack. Brecht uses it ironically — holy words are sung while soldiers kill, showing religion’s failure to stop violence.
বাংলা: “আমাদের ঈশ্বরই শক্তিশালী দুর্গ।”
ব্যাখ্যা (বাংলা): ক্যাথলিক আক্রমণের সময় পাদ্রি ও কুক এই স্তোত্র গায়। এখানে বিদ্রূপ আছে—পবিত্র গান গাওয়া হচ্ছে, অথচ মানুষ মারা যাচ্ছে। ধর্ম রক্ষা করতে ব্যর্থ।
- “The trouble with Poland is the Poles.” – (Mother Courage and Her Children – Mother Courage, Scene III)
Explanation (English): Mother Courage speaks this bitter line to blame the people themselves for their troubles. It shows her harsh, practical attitude and cynicism about war and survival.
বাংলা: “পোল্যান্ডের সমস্যা হলো পোলিশ মানুষরা।”
ব্যাখ্যা (বাংলা): মাদার কারেজ এখানে সাধারণ মানুষকেই দোষ দেয়। তার দৃষ্টিভঙ্গি কঠোর ও বাস্তববাদী। সে জীবনের বাঁচা আর ব্যবসাকেই গুরুত্ব দেয়।
- “Don’t forget they made you paymaster because you’re honest.” – (Mother Courage and Her Children – Mother Courage, Scene III)
Explanation (English): Mother Courage proudly praises Swiss Cheese’s honesty when he becomes paymaster. Later this honesty turns tragic, as it leads to his capture and death.
বাংলা: “ভুলো না, তারা তোমাকে পেমাস্টার করেছে কারণ তুমি সৎ।”
ব্যাখ্যা (বাংলা): মাদার কারেজ তার ছেলে সুইস চিজকে সততার জন্য প্রশংসা করে। কিন্তু পরে এই সততাই তার মৃত্যুর কারণ হয়। সততা এখানে বিদ্রূপে পরিণত হয়।
- “Scarce seventeen was I when
The foe came to our land.” – (Mother Courage and Her Children – Yvette, Scene III)
Explanation (English): Yvette sings this song recalling how war entered her life at a very young age. It shows how innocent girls are ruined by war and forced into survival through painful choices.
বাংলা: “আমি তখন সবে সতেরো বছর বয়সী,
শত্রুরা তখন আমাদের দেশে এসেছিল।”
ব্যাখ্যা (বাংলা): ইভেট গান গেয়ে তার কিশোরী জীবনের স্মৃতি স্মরণ করে। যুদ্ধ তার যৌবনকে ধ্বংস করেছে। নির্দোষ জীবনকে যুদ্ধ বেচে দিলো কষ্ট ও পতনের মধ্যে।
- “The soldier laughs and loads his gun.” – (Mother Courage and Her Children – Eilif, Scene II)
Explanation (English): Eilif sings this with pride after showing his bravery. It captures the cruelty of war where killing is celebrated as heroism.
বাংলা: “সৈনিক হাসে আর বন্দুকে গুলি লোড করে।”
ব্যাখ্যা (বাংলা): এলিফ গর্ব করে গান গায়। এখানে দেখা যায় যুদ্ধ মানুষকে কীভাবে নিষ্ঠুর করে তোলে, মৃত্যুকেও হাসি দিয়ে স্বাভাবিক মনে হয়।
- “Didn’t I teach you to take care of yourself, you Finnish devil, you?” – (Mother Courage and Her Children – Mother Courage, Scene II)
Explanation (English): Mother Courage scolds Eilif for being careless in his excitement for war. Her words mix anger and motherly love, showing the conflict between maternity and war.
বাংলা: “আমি কি তোকে শেখাইনি নিজের খেয়াল রাখতে, তুই ফিনিশ (ফিনল্যান্ডি) শয়তান?”
ব্যাখ্যা (বাংলা): মাদার কারেজ ছেলেকে ধমক দিয়ে বোঝায় সে যেন নিজের জীবন রক্ষা করে। তার এই কথায় মা–এর ভালোবাসা আর যুদ্ধের ঝুঁকি একসাথে ফুটে ওঠে।
- “So shall we all be torn asunder if we let ourselves get too deep into this war!” – (Mother Courage and Her Children – Mother Courage, Scene I)
Explanation (English): The Chaplain warns that too much involvement in war will destroy everyone. The line is a reminder of Brecht’s anti-war message.
বাংলা: “আমরাও সবাই ছিন্নভিন্ন হয়ে যাব, যদি আমরা নিজেদেরকে এই যুদ্ধে খুব গভীরভাবে জড়িয়ে ফেলি।”
ব্যাখ্যা (বাংলা): পাদ্রি এই সতর্কবার্তা দেয়। যুদ্ধের ভেতরে বেশিদিন থাকলে মানুষ, পরিবার আর সমাজ সবকিছু ভেঙে যাবে—এই শিক্ষাই এখানে আছে।
ভাষার অলংকার
- বিদ্রূপ (Irony): নাটক জুড়ে বিদ্রূপ স্পষ্ট। মাদার কারেজ যুদ্ধ থেকে লাভ করতে চান। তিনি মনে করেন যুদ্ধই তার ব্যবসার মূল ভরসা। কিন্তু সেই যুদ্ধই তার তিনটি সন্তানকে একে একে কেড়ে নেয়। বিদ্রূপ হলো—যুদ্ধ তাকে বাঁচতে সাহায্য করে আবার ধ্বংসও করে দেয়। প্রভাব: এই বিদ্রূপ দেখায় যে যুদ্ধ আসলে কোনো মা–এর রক্ষক নয়, বরং তার সর্বনাশের মূল কারণ।
- রূপক (Metaphor): মাদার কারেজের ঠেলাগাড়ি (Cart) পুরো নাটকে একটি রূপক। এটি শুধু তার ব্যবসার প্রতীক নয়, বরং তার বেঁচে থাকার সংগ্রামের প্রতীক। সন্তান হারানোর পরও তিনি ঠেলাগাড়ি নিয়ে এগিয়ে যান। প্রভাব: এই রূপক যুদ্ধ–নির্ভর জীবনের দুঃসহ চক্র এবং বেঁচে থাকার নিরন্তর সংগ্রামকে প্রকাশ করে।
- প্রতীকবাদ (Symbolism):
- ঠেলাগাড়ি (The Cart): ঠেলাগাড়ি হলো কারেজের জীবিকা ও যুদ্ধনির্ভর জীবনের প্রতীক। সন্তান হারিয়েও তিনি এটি ছাড়েন না। প্রভাব: প্রতীকটি দেখায়, যুদ্ধ মায়ের সবকিছু কেড়ে নিলেও তাকে ব্যবসার বোঝা টেনে নিতে হয়।
- সুইস চিজের সততা (Swiss Cheese’s Honesty): সুইস চিজের টাকাগোপন করা সততার প্রতীক। কিন্তু এই সততাই তাকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেয়। প্রভাব: এটি বোঝায় যে যুদ্ধক্ষেত্রে সততা কোনো মূল্য রাখে না।
- এলিফের বীরত্ব (Eilif’s Bravery): যুদ্ধকালে কৃষক হত্যা ও লুণ্ঠনকে বীরত্ব বলা হয়েছিল। কিন্তু শান্তির সময় একই কাজ অপরাধ হিসেবে গণ্য হয়। প্রভাব: প্রতীকটি দেখায় যুদ্ধের দ্বিচারিতা, যেখানে নৈতিকতার মানদণ্ড সবসময় বদলে যায়।
- ক্যাট্রিনের ঢোল (Kattrin’s Drum): ক্যাট্রিনের ঢোল মানবতার প্রতীক। সে নিজের প্রাণ দিয়ে অন্য সৈন্যদের সতর্ক করে। প্রভাব: প্রতীকটি বোঝায় যে মানবিকতা যুদ্ধের অন্ধকারেও আলো ছড়ায়।
- পাদ্রী (The Chaplain): পাদ্রী ধর্মের দ্বিচারিতার প্রতীক। যুদ্ধের পরিস্থিতি বদলালে সে নিজের ধর্মীয় পরিচয়ও বদলে নেয়। প্রভাব: এটি দেখায়, যুদ্ধ ধর্মকেও কেবল সুবিধার হাতিয়ার বানায়।
আরো পড়ুনঃ A Doll’s House Bangla Summary
Figures of Speech
- Irony: Irony is evident throughout the play. Mother Courage wants to profit from war. She believes war is the foundation of her business. But that same war takes away her three children one by one. The irony lies in the fact that war both helps her survive and destroys her at the same time. Effect: This irony shows that war is not a protector of a mother, but rather the root cause of her ruin.
- Metaphor: Mother Courage’s cart is a metaphor throughout the play. It is not only a symbol of her business but also of her struggle for survival. Even after losing her children, she continues with the cart. Effect: This metaphor expresses the harsh cycle of war-dependent life and the relentless struggle for survival.
- Symbolism:
- The Cart: The cart symbolizes Courage’s livelihood and war-dependent life. Even after losing her children, she does not let go of it. Effect: This symbol shows that even when war takes everything from a mother, she must still drag the burden of business.
- Swiss Cheese’s Honesty: Hiding the cashbox represents honesty. But this very honesty leads him to his death. Effect: This shows that honesty holds no value on the battlefield.
- Eilif’s Bravery: Killing peasants and looting cattle were praised as bravery during wartime. But in peacetime, the same acts are judged as crimes. Effect: This symbol highlights the hypocrisy of war, where moral standards are always shifting.
- Kattrin’s Drum: Kattrin’s drum symbolizes humanity. She sacrifices her own life to warn the soldiers. Effect: This shows that humanity can still shine even in the darkness of war.
- The Chaplain: The Chaplain symbolizes the duplicity of religion. When the situation in war changes, he changes his religious identity as well. Effect: This shows that war turns religion into nothing more than a tool for convenience.
Moral Lessons from Mother Courage and Her Children
- War only brings loss.
- Greed leads to ruin.
- Innocence dies in war.
- Sacrifice reveals humanity.
