Read the Mother Courage and Her Children Bangla summary in this article.
Key Facts
- Full Title: Mother Courage and Her Children
- Written: 1939
- Published: 1941
- Genre: Epic theater, social drama
- Setting: Throughout Europe (Germany, Poland, Bavaria, and Saxony)
Characters
- Mother Courage: The protagonist of the drama who lost all of her children during the war.
- Eilif: The first child of Mother Courage. He joins the army and ravages the peasants. He is executed because of his crime.
- Swiss Cheese: The second child of Mother Courage. Swiss also joins the army and is killed at the hands of Catholics.
- Kattrin: Kattrin is the silent daughter of Mother Courage who is killed during war.
Themes: War as Businesses; Virtue in Wartime; Maternity; Capitulation.
Bangla Summary
Mother Courage and Her Children নাটকটি জার্মান কবি এবং নাট্যকার বার্টল্ট ব্রেচ (১৮৯৮-১৯৫৬) লিখেছেন। এটি তার একটি খুবই চমৎকার এবং বিখ্যাত নাটক যা ১৯৪১ সালে প্রকাশিত হয়। এই নাটকে সেন্ট্রাল ইউরোপে প্রোটেস্টেন্ট ও ক্যাথলিকদের মধ্যে ত্রিশ বছর ধরে যে যুদ্ধ চলছিলো তার ভয়াবহতা তুলে ধরা হয়েছে। এছাড়া সেই যুদ্ধচলাকালীন সময়ে মানুষের জীবন কেমন ছিলো সেটাও তুলে ধরা হয়েছে। নাটকের প্লটের মোট সময়কাল ছিলো ১২ বছর। আর এই সম্পূর্ণ সময়টাকে সুন্দরভাবে উপস্থাপন করার জন্য লেখক নাটকটি মোট ১২ টি সিনে ভাগ করেছেন
মাদার কারেজ ও তার তিন সন্তান
নাটকটি শুরু হয় ১৬২৪ সালে সুইডেনের একটি শহর ডালার্নাতে। সেই শহরে মাদার কারেজ একটি ভ্রাম্যমাণ রেস্টুরেন্ট চালান। তিনি তার রেস্টুরেন্টটিকে একটি ঠেলাগাড়ির মাধ্যমে একস্থান থেকে অন্যস্থানে নিয়ে যান। নাটকের শুরুতেই দেখা যায়, মাদার কারেজ তার দুই ছেলে এলিফ ও সুইচ চিজ এবং বোবা নেয়ে ক্যাটরিনকে নিয়ে ঠেলাগাড়িটি চালিয়ে নিয়ে আসছেন। এসময় তারা যুদ্ধে সৈন্য নিয়োগকারী এক অফিসারের কথা শুনতে পান। সেই অফিসার এক হাবিলদারের কাছে বিরক্তি প্রকাশ করতে থাকেন। যুদ্ধে সৈন্য নিয়োগ দেয়া, তারপর তাদের খুঁজে বের করা কতটা কঠিন এবং বিরক্তিকর সেটাই তিনি বলতে থাকেন। এসময় অফিসার মাদার কারেজ এবং তার সন্তানদের দেখতে পান। তিনি মাদার কারেজের বড় ছেলে এলিফকে যুদ্ধে যাওয়ার জন্য উৎসাহিত করেন। অফিসার এলিফকে বোঝানোর চেষ্টা করে যে যুদ্ধে গেলে সে সম্মান, ক্ষমতা, অর্থ অনেক কিছু পাবে। মাদার কারেজ এতে রাজি হন না। কিন্তু এলিফ তার মায়ের কথা না শুনে যুদ্ধে চলে যায়।
এরপরে প্লট ১৬২৬ সালের দেখানো হয়। কারেজ একজন সুইডিশ কমান্ডারের তাবুর সামনে দোকান স্থাপন করে জিনিস বিক্রি করছেন। এসময় তিনি সুইডিশ কমান্ডারের মুখে একজন সৈনিকের অনেক প্রশংসা শুনতে পান, আর সেই সৈনিকটা হচ্ছে এলিফ। সম্প্রতি এলিফ একটি গ্রামকে ধ্বংস করেছে। সে গ্রামের কৃষকদের হত্যা করে তাদের গবাদিপশু লুণ্ঠন করেছে। এসব শুনে কারেজ রেগে যান। তিনি কমান্ডারকে বলেন যে ভালো মানুষ কখনও এ ধরনের ধ্বংসযজ্ঞ করতে পারবে না।
চিজের হত্যা
এর তিন বছর পরে মাদার কারেজের ছোট ছেলে সুইচ চিজও পে মাস্টার হিসেবে আর্মিতে জয়েন দিয়েছে। তার কাজ হলো যুদ্ধের রেজিমেন্টগুলোতে টাকা পাঠানো। চিজ বেশ সৎ ও সাহসী, তবে খুব একটা বুদ্ধিমান না। একদিন ক্যাথলিক সৈন্যরা টাকা ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যে চিজকে গ্রেফতার করে ফেলে। এই খবর শোনার পর কারেজ তার ঠেলাগাড়ি বিক্রি করে অর্থ সংগ্রহের সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু কারেজ এই অর্থ সংগ্রহে ব্যর্থ হন। এদিকে টাকা না পেয়ে ক্যাথলিকরা চিজকে হত্যা করে। এই ঘটনায় কারেজ অনেক বেশি ভেঙে পড়েন। তিনি শোকে পাথর হয়ে যান। এরপর যুদ্ধে ক্যাথলিকরা জয় লাভ করে। প্রোটেস্টেন্টদের যে পাদ্রী ছিলো সেও নিজের পোশাক বদলে ক্যাথলিকদের পোশাক পরিধান করে এবং যীশু খ্রীষ্টের ক্রুসিফিকশনের গান গাইতে থাকে।
যুদ্ধের বর্বরতা
এরপরের ঘটনা দুই বছর পরে দেখা হয়েছে। মাদার কারেজ তার বোবা মেয়েকে সাথে নিয়ে একটি রেজিমেন্টে গিয়ে বিভিন্ন পণ্যদ্রব্য যেমন- ব্যান্ডেজ, ওষুধ ইত্যাদি বিক্রি করছেন। এমন সময় একজন প্রোটেস্টেন্ট পাদ্রী এসে কারেজকে জানায় যে যুদ্ধক্ষেত্রে এখনও অনেক মানুষ আহত অবস্থায় পড়ে আছে। সেই পাদ্রী কারেজের কাছে ব্যান্ডেজ এবং ওষুধ কিনতে চাইলে তিনি নাকচ করেন। তিনি সাফ জানিয়ে দেন যে তিনি সাহায্য করতে পারবেন না। বোবা ক্যাট্রিনও মাকে অনেক অনুরোধ করে, তবুও তিনি শোনেন না। পাশেই একটি আহত শিশুকে কাতরাতে দেখে ক্যাট্রিন দৌড়ে গিয়ে তাকে সাহায্য করে। এদিকে পাদ্রী কারেজকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয় এবং তার দোকান থেকে কিছু ব্যান্ডেজ আর ওষুধ ছিনিয়ে নিয়ে যুদ্ধক্ষেত্রে যায়।
এরপর এক বছর পরের ঘটনা তুলে ধরা হয়। সেই পাদ্রী আর মাদার কারেজ গল্প করছে। পাদ্রী বলে যে এই যুদ্ধ এত তাড়াতাড়ি শেষ হবে না। সৈনিকরা নিজেদের বীর প্রমাণ করতে গিয়ে যুদ্ধে আরও জোর দিচ্ছে। এই বীরত্ব প্রমাণের খেলা যতদিন না শেষ হবে ততদিন যুদ্ধ থামবে না। তাই পাদ্রী কারেজকে তার সাথে সংসার বাঁধার প্রস্তাব দেয়। কিন্তু কারেজ তাতে রাজি হন না। তিনি জানান যে তিনি তার বড় ছেলেকে নিয়ে বেশ চিন্তায় আছেন। তাছাড়া তার মেয়ের বিয়ের ব্যাপারটাও তাকে বেশ ভাবাচ্ছে।
এরপর সুইডেনের রাজার মৃত্যুর মাধ্যমে সেই দীর্ঘমেয়াদী যুদ্ধের অবসান ঘটে। যুদ্ধের সমাপ্তিতে মাদার কারেজ একদিকে খুশি আবার অন্যদিকে চিন্তিত। তিনি চিন্তিত কারণ সবেমাত্র যুদ্ধক্ষেত্রে বিক্রি করার জন্য নতুন নতুন পণ্য তিনি কিনেছেন। তার সেসব পণ্য আর বিক্রি করা হলো না। তবে তিনি খুশি কারণ এখন সন্তানরা যুদ্ধের ভয়াবহতা থেকে মুক্ত। পাদ্রী কারেজকে জানায় যে শীঘ্রই তার ছেলে এলিফ তার সাথে দেখা করতে আসবে। এটা শোনার পর কারেজ শহরের দিকে যান তার পণ্য বিক্রির জন্য। তবে এলিফকে সরকার দেশদ্রোহী হিসেবে গ্রেফতার করেছে। কারণ যে যুদ্ধের সময় কৃষকদের মালামাল লুটপাট করেছে। তাই তাকে মৃত্যুদন্ড দেয়া হয়েছে। দুজন সৈনিক এলিফকে তার মায়ের সাথে শেষ দেখা করানোর জন্য নিয়ে এসেছে। কিছুক্ষণ পরেই তার মৃত্যুদন্ড কার্যকর করা হবে। কারেজ বাসায় না থাকায় এই বিষয়টা তিনি জানতে পারেন না। এটা শুধুমাত্র পাদ্রী আর কারেজের কুক জানে। তারাও শপথ করে যে এই সত্যটা তারা কখনওই কারেজকে জানাবেন না। এটা জানলে কারেজ অনেক কষ্ট পাবেন।
এর কিছুদিন পর আবার যুদ্ধ লেগে যায়। কারেজ আবার তার দোকান নিয়ে যুদ্ধক্ষেত্রে যান এবং বেশ ভালোই ব্যবসা করেন। একদিন তিনি জার্মানিতে একজন কৃষকের বাড়ির সামনে তার ঠেলাগাড়ি রাখেন। গাড়িটির কাছে তার মেয়েক রেখে তিনি শহরে কিছু জিনিস কিনতে যান। এসময় দুজন ক্যাথলিক গুপ্তচর এসে কৌশলে প্রোটেস্টেন্ট গুপ্তচরদের খোঁজার চেষ্টা করে। বিষয়টি বুঝতে পারার পর সেই কৃষক বিভিন্ন শব্দ করে আশেপাশে থাকা প্রোটেস্টেন্ট গুপ্তচরদের বিপদ সংকেত দেয়ার চেষ্টা করেন, তবে তিনি ব্যর্থ হন। এসব দেখে ক্যাট্রিন তাদের ঠেলাগাড়ি থেকে একটি ঢোল বের করে বাজাতে থাকে যেন প্রোটেস্টেন্ট সৈন্যরা সজাগ হয়। সেই দুজন ক্যাথলিক গুপ্তচর আবার ফেরত আসে এবং ক্যাট্রিনকে ঢোল বাজাতে নিষেধ করে। ক্যাট্রিন তা না শুনলে তাকে তারা গুলি করে হত্যা করে। কারেজ ফিরে এসে তার মেয়ের মৃতদেহ দেখে হতবিহ্বল হয়ে যান। তিনি পাগলপ্রায় হয়ে রাস্তায় তার বড় ছেলেকে খুঁজতে থাকেন। আর এভাবেই নাটকের সমাপ্তি ঘটে।
Read Also: Crime and Punishment Bangla Summary