Question: Evaluate Riders to the Sea as a modern one-act tragedy with a classical setting.
১৯০৩ সালে প্রকাশিত “রাইডার্স টু দ্যা সি” জন মিলিংটন সিনের একটি এক অঙ্কের ট্র্যাজিক নাটক। এটি আধুনিক যুগের একটি শ্রেষ্ঠ ট্র্যাজেডি। ট্র্যাজেডি হলো এমন ধরণের নাটক যেখানে মানুষের দুঃখ-কষ্টে ভরা জীবনের গল্প বলা হয়, এই মর্মে “রাইডার্স টু দ্যা সি” একটি সার্থক সৃষ্টি, যা আমাদের মধ্যে ভয় ও চরিত্রদের প্রতি মায়ার জন্ম দেয়।
এই নাটকটি আধুনিক প্রেক্ষাপটের প্রাচীন গ্রীক ক্লাসিক ট্রাজেডিগুলোর মতই। নিচে তা আলোচনা করা হলো।
Tragic Theme: Aristotle এর মতে গ্রীক সাহিত্য থেকেই ট্র্যাজেডির জন্ম। দুঃখ-কষ্টই হচ্ছে এই ধরনের নাটকের মূল বিষয়বস্তু। এই নাটকে একজন মা চরিত্র মারিয়ার দুঃখ-কষ্ট দেখানো হয়েছে। নাটকটি সাদাসিধা হলেও এর ট্র্যাজেডি গভীর ও বিশ্বজনীন, যেটি আমাদের গ্রীক ট্র্যাজেডির মতই বার্তা দেয়,
“কেউই চিরকাল বাঁচবে না, আর আমাদের এতেই সন্তুষ্টি খুঁজতে হবে।”
Attainment of Unique Tragic Grandeur: এই নাটক গ্রীক ট্র্যাজেডির মতই অনন্য দুঃখ, কষ্ট, অসহায়ত্ব ধারণ করতে পেরেছে। যদিও মারিয়া একজন কুসংস্কারাচ্ছন্ন বৃদ্ধা, তবুও তার ট্র্যাজেডি মনে দাগ কেটে যায়। মারিয়া লেডি ম্যাকবেথ বা ক্লিওপেট্রার মত নয়, কিন্তু তার জন্য আমাদের কষ্টে বুক ভরে যায়, তার স্বামী ও ৬ সন্তান সমুদ্রে মারা যায়।
আরো পড়ুনঃ Would You Consider Oedipus Rex as a Tragedy of Fate? (বাংলায়)
Technical Standpoint: কৌশলগত দিক থেকেও “রাইডার্স টু দ্যা সি” গ্রীক ক্লাসিকাল ট্র্যাজেডির মত। এই নাটকে সময়, স্থান, ও ঘটনার ইউনিটি রাখা হয়েছে। নাটকে শুধু একটি প্লটই রয়েছে। নাটকের সময়কাল এক ঘন্টার বেশি নয়। নাটকের সব দৃশ্য সাগরপারের একটি বাড়িতেই ঘটে।
Role of Chorus: গ্রীক ট্র্যাজেডির মত এই নাটকে কোরাস (গায়কদল যারা স্টেজে উঠে গান গেয়ে নাটকের বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে দর্শকদের অবগত করে) নেই। তবে ক্যাথলিন ও নোরা দুই বোনের কথোপকথন কোরাসের ভূমিকা পালন করে। তারা তাদের মা মারিয়া সম্পর্কে বলে,
“সে শুয়ে আছে, ঈশ্বর তাকে সাহায্য করুক ও চোখে ঘুম দিক”
Role of Fate: গ্রীক ট্র্যাজেড এডিপাস রেক্সের মতই এই নাটকেও ভাগ্যের ভূমিকা প্রবল। নাটকের সকল চরিত্রই ভাগ্যের কাছে অসহায় ও আত্মসমর্পণ করে। পর্যায়ক্রমে মারিয়ার শ্বশুর, স্বামী ও ছয় পুত্র সমুদ্রে মারা যায়, কিন্তু তার কিছুই করার থাকে না ভাগ্যকে মেনে নেয়া ছাড়া। নাটকে সমুদ্র হচ্ছে অকাট্য ভাগ্যের সিম্বল বা প্রতীকি রুপ।
Dramatic or Tragic Irony: ড্রামাটিক আইরনি হচ্ছে সেই পরিস্থিতি যখন নাটকের কোনো চরিত্র একটি বিষয় সম্পর্কে জানে না কিন্তু দর্শক বা পাঠকেরা তা জানে। ট্রাজেডির ভীতি তৈরি করতে ড্রামাটিক আইরনি ব্যবহার করা হয়েছে। নাটকে যা ঘটবে বলে দর্শকরা ধারণা করে, বার্টলি তা থেকে সম্পূর্ণ ভিন্ন কথা বলে। সে বলে যে সে গলওয়ে ফেয়ার থেকে ২ থেকে ৪ দিনের মধ্যেই ফিরে আসবে। এছাড়া নাটকে আরো কিছু কথোপকথন রয়েছে যা আসন্ন দুর্ঘটনা ও ভয়ের ইঙ্গিত দেয়। যেমন মারিয়া তার ছেলে বার্টলিকে বলে,
“আমি ও আমার মেয়েরা কিভাবে বাঁচবো,
আমার মত একজন বৃদ্ধা”
বার্টলি যখন বেরিয়ে পড়ে, তখন মারিয়া আরেকটি কথা বলে যা থেকে বোঝা যায় ভাগ্য তাদের সহায় নয় ও বার্টলিও সমুদ্রে গিয়ে প্রাণ হারাবে।
আরো পড়ুনঃ Comment on the Significance of the Encounter Between Oedipus and Tiresias. (বাংলায়)
“সে চলে গেছে, ঈশ্বর মাফ করুন, আমরা আর তাকে দেখতে পাবো না, সে চলে গেছে
রাতের আধার নামছে, আর আমার কোনো পুত্রই জীবিত থাকবে না”
উপরের আলোচনা থেকে বোঝা যায় জন মিলিংটন সিন সুনিপুণভাবে এক অঙ্কের মধ্যেই আধুনিক প্রেক্ষাপটে গ্রীক ট্র্যাজেডির মত ট্র্যাজেডি সৃষ্টি করতে পেরেছে। এই মর্মান্তিক ঘটনাটি শুধু বৃদ্ধা মারিয়ার জীবনের ট্র্যাজেডি নয়, বরং সাগরতীরের সকল দূর্ভাগাদের সংগ্রামের গল্প।