প্রশ্নঃ স্বাধীন বাংলাদেশের অভভুদয়ে বাংলা ভাষার অবদান আলোচনা করো।
ভূমিকা: বাংলা বাঙালির প্রাণের ভাষা। বাঙালি জাতীয়তাবাদ বিকাশে ও স্বাধীনতা অর্জনে বাংলা ভাষার তাৎপর্য ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বাঙালি তাদের প্রথম সংগ্রাম ভাষা আন্দোলনের মাধ্যমে শুরু করে। মূলত ভাষাকে কেন্দ্র করেই বাঙালি পরবর্তী স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করে। বাংলা ভাষার গৌরব এতই মহৎ যে পৃথিবীর কোনো জাতি ভাষার জন্য প্রাণ দেয়নি কিন্তু বাঙালিরাই প্রথম ভাষার জন্য প্রাণ দেয়। এই ভাষা আন্দোলনের প্রেরণা নিয়ে বাংলার বীর সন্তানেরা পরবর্তীতে স্বাধীনকারের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে স্বাধীনতা সংগ্রামে লিপ্ত হয়। দীর্ঘ রক্তক্ষয়ের পর বাঙালি জাতি স্বাধীনতা যুদ্ধে জয়ী হয়। আর এটা অনস্বীকার্য যে এই ভাষা জনগণের ঐক্য ও সংহতির ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি অবদান রেখেছে। আর এই ঐক্য ও সংহতির সামগ্রিক রূপই স্বাধীনতা।
স্বাধীন বাংলার অভ্যুদয়ে বাংলা ভাষার অবদান: স্বাধীন বাংলাদেশ অভ্যুদয়ের পেছনে ভাষা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। একই ভাষায় ও বাঙালি জাতীয়তাবাদের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে যুদ্ধে অংশগ্রহণ করে বাঙালি স্বাধীনতা ছিনিয়ে আনে। স্বাধীন বাংলাদেশ অভ্যুদয়ের পেছনে ভাষার অবদান আলোচনা করা হলোঃ
১. বাংলা ভাষার বিস্তৃতি: বাংলা ভাষাকে কেন্দ্র করেই মূলত বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত হয়। আর তাই ভাষার নাম বাংলা, দেশের নাম বাংলাদেশ। বাংলা ভাষা যখন জন্ম লাভ করে তখন এ ভাষা আধুনিক বাংলাদেশের সীমানা প্রেরিয়েও অনেক দূর সীমানা বিস্তার করে । বাংলা ভাষার বিস্তৃতি সম্পর্কে প্রত্নতাত্ত্বিকভাবে জানা যায় যে প্রত্ন বাংলা আসামিয়া প্রত্ন-মৈথিল। ও প্রত্ন উড়িষ্যাও আরও বিস্তৃতি ছিল । তাই ভাষা বিজ্ঞানের মতে, নীতি প্রাকৃত জনসাধারণের আদিম প্রাকৃত ভাষা থেকেও বাংলা। ভাষার জন্ম। গৌড় প্রকৃতির পরবর্তী স্তর গৌড় অপভ্রংশ হতেই বাংলাভাষার উৎপত্তি ।
আরো পড়ুনঃ মুক্তিযুদ্ধে নারীদের অবদান আলোচনা কর
২. জাতীয় চেতনা সৃষ্টি: পাকিস্তানের মোট জনসংখ্যার ৫৬ ভাগ লোক বাংলায় কথা বলত। কিন্তু পশ্চিম পাকিস্তানের শাসকবর্গ বাংলা ভাষাকে অবহেলা করে উর্দুকে পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা করার ষড়যন্ত্র করে। এরই বিরুদ্ধে বাংলার মানুষ প্রলয়ংকারী গর্জনে ও প্রতিবাদে এ হীনষড়যন্ত্র প্রতিরোধ করে। ভাষাকে কেন্দ্র করে নতুন জাতীয় চেতনার উন্মেষ ঘটে। বাংলা ভাষা বাঙালিদের সাংস্কৃতিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক মুক্তির আকাঙ্ক্ষাকে তীব্রভাবে জাগ্রত করে।
৩. জাতীয়তাবোধ সৃষ্টি: ভাষাকে কেন্দ্র করেই জাতীয়তাবোধ সৃষ্টি হয়। সমগ্র বাংলাদেশিরা ভাষাকে কেন্দ্র করে আত্মসচেতন হয়ে উঠে। অধিকার ও দাবি আদায়ে তারা একতাবদ্ধ হয় এবং তীব্র আন্দোলন গড়ে তোলে। বাংলা ভাষাকে কেন্দ্র করে জাতীয়তাবোধ সুদৃঢ় হয়।
আরো পড়ুনঃ বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে ভারতের ভূমিকা আলোচনা কর
৪. ভাষা ভিত্তিক রাষ্ট্রীয় চেতনা: বাঙালিরা ভাষার মর্যাদা প্রতিষ্ঠার জন্য ভাষা আন্দোলন করে রক্ত ঝরায়। এরই পরিক্রমায় বাঙালি জাতি উদ্বুদ্ধ হয় স্বাধীনতা সংগ্রামে আর জন্ম হয় বাংলাদেশ নামক একটি স্বাধীন রাষ্ট্রের। ভাষাভিত্তিক জাতীয়তাবাদের মৃত্তিকার উপর স্বাধীন সার্বভৌম, বাংলা ভাষাভাষী রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা এক অবিস্মরণীয় দৃষ্টান্ত। ভাষা আন্দোলনে উদ্বুদ্ধ হয়ে একাত্তরে রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে ভাষা ভিত্তিক জাতি রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠা করে বাঙালি প্রমাণ দেয় ভাষাই তার জীবন, ভাষাই তার বল ভাষাই তার অস্তিত্ব ও জীবনবাতি। বাংলা ভাষার জন্মের মাধ্যমেই মূলত ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের ভিত্তিস্থাপন করা হয় যা স্বাধীনতা অর্জনে উৎসাহ যুগিয়েছে।
৫. অধিকার সচেতনতা: বাংলা ভাষা বাংলাদেশিদের অধিকার আদায়ে সচেতন করে তোলে। ভাষা আন্দোলনকে কেন্দ্র করে যে চেতনাবোধ জাগ্রত হয় তা সমগ্র বাঙালি জাতিকে অধিকার সচেতন করে তোলে। ভাষা আন্দোলন আজও জাতিকে অনুপ্রাণিত করছে, উজ্জীবিত করছে অধিকার আদায়ের সর্বাত্মক সংগ্রামে ঝাঁপিড়ে পড়তে, যা স্বাধীনতা অর্জনে গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক হিসেবে পরিগণিত হয়।
আরো পড়ুনঃ যুদ্ধ-বিদ্ধস্ত দেশ পুনর্গঠনে বঙ্গবন্ধু সরকারের গৃহীত পদক্ষেপসমূহ বর্ণনা কর
৬. বাংলা ভাষা থেকে শিক্ষালাভ: বাংলা ভাষায় পরিবর্তন, পরিবর্ধন ও সংস্কারের ইতিহাস রয়েছে প্রায় ১৩ শত বছরের বাংলা ভাষা প্রতিষ্ঠা ও বিকাশিত হয় পাল রাজবংশের শাসনামলে। বাংলা ভাষায় আদি পরিচয় পাওয়া যায় নেপালের রাজদরবারে বাংলা ভাষায় আদি নিদর্শন চর্যাপদ আবিষ্কারের মাধ্যমে। চর্যাপদের অনেক কবি ছিলেন তারাও বাংলা ভাষায় অনেক কবিতা, বর্ণনা, মাহাত্ম্য ও গান গেয়েছেন। আবার বাংলা ভাষার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র ছিল সেই আদিকাল থেকেই। আর বাংলা ভাষা তার মর্যাদা প্রতিষ্ঠা করেছে যুগে যুগে বিভিন্ন ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে লড়াই করে । এ লড়াই থেকে বাঙালি শিক্ষা নিয়ে সকল ষড়যন্ত্রের মূলোৎপাটন করে স্বাধীনতা ছিনিয়ে আনে ।
৭. সুদীর্ঘ পথ অতিক্রমের শিক্ষা: বাংলা ভাষা গৌরবের ভাষা যে ভাষার গৌরব ও স্বীকৃতি প্রতিষ্ঠার জন্য দীর্ঘ সংগ্রাম করতে হয়েছে। আর এটি সম্ভব হয়েছে একটি রক্তাক্ত সংগ্রামের মধ্য দিয়ে, মাতৃভাষা থেকে রাষ্ট্রভাষা। বাঙালি মাতৃভাষার প্রেমে মুগ্ধ হয়ে এদেশের বাঙালি সম্যকরাষ্ট্রভাষার প্রশ্নে আন্দোলন গড়ে তোলেন। এ আন্দোলনের দীর্ঘ পথ পাড়ি দেওয়ার পর ভাষা তার নিজের ভাষা অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হয়। আর বাঙালিরা এ ভাষা থেকে প্রেরণা নিয়েই ১৯৭১ সালে দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে দীর্ঘ ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হয় ।
আরো পড়ুনঃ পূর্ব ও পশ্চিম পাকিস্তানের মধ্যে বৈষম্যমূলক নীতিসমূহ আলোচনা কর
৮. ঐক্যের সৃষ্টি: ভাষা একটি অঞ্চলের মানুষের মাঝে ঐক্য সৃষ্টিতে সাহায্য করে। জাতীয়তাবাদ প্রতিষ্ঠায় সর্বপ্রথম শর্ত হলো ভাষাগত ঐক্য। বাংলাভাষা আমাদের মাতৃভাষা আমাদের রাষ্ট্রীয় ভাষা বাংলাদেশের জাতি গঠনের অন্যতম সংগঠক ছিল ভাষা। জাতির পরিচয় ও সংজ্ঞা নিয়ে মত পার্থক্য ও মতভিন্নতা গড়েও শেষ পর্যন্ত আমাদের জাতিসত্তা নির্মাণে ভাষাই প্রধান ভূমিকা পালন করেছে। ভাষা ঐক্য সৃষ্টিতে মূল হাতিয়ার। আর এ ভাষা বাঙালিদের ১৯৭১ সালে যুদ্ধের সময় কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে হিন্দু-মুসলিম খ্রিস্টানসহ সকল ধর্মের লোকদের যুদ্ধ করতে বাধ্য করেছিল। যার ফলশ্রুতিতে আমরা পেয়েছি স্বাধীন দেশ।
৯. শোষণ ও বৈষম্যের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ: পাকিস্তানি শাঁসকগোষ্ঠী শুরু থেকে পূর্ব পাকিস্তানকে নানাভাবে দমন ও নির্যাতন চালিয়ে দুর্বল করে রাখার কৌশল অবলম্বন করে। কিন্তু প্রতিবাদী বাঙালি জাতি জুলুম, শোষণ ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলে। স্বাধীনতা অর্জনে বলীয়ান হয় এবং মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে।
১০. একাগ্রতা সৃষ্টি: বাংলাদেশের জনগণের মধ্যে জাতীয় ঐক্য সৃষ্টিতে ভাষা আন্দোলনের গুরুত্ব অপরিসীম। মাতৃভাষার অধিকার আদায়ের জন্য তারা জাতীয় ঐক্য সৃষ্টি করে, যা বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনে প্রেরণা হিসেবে কাজ করে।
আরো পড়ুনঃ ১৯৫৪ সালে যুক্তফ্রন্ট গঠনের পটভূমি আলোচনা কর
১১. আত্মবিশ্বাস সৃষ্টি: বাংলা ভাষাকে কেন্দ্র করে যে রক্তাক্ত ঘটনা ঘটে তা সারাদেশে তীব্র গতিতে ছড়িয়ে পড়ে। অন্যায় অবিচারের বিরুদ্ধে এর সত্য প্রতিষ্ঠায় বাঙালি জাতির আত্মবিশ্বাস সুদৃঢ় হয়। ব্যক্তি স্থান ও গোষ্ঠী স্বার্থের বিরুদ্ধে তীব্র গতিতে আন্দোলন দানা বাঁধতে থাকে, যার পরিণতিতে বাংলা স্বাধীনতা অর্জন সম্ভব হয়।
১২. ছাত্রসমাজের দুর্বার আন্দোলন: বাংলা ভাষা আন্দোলন মূলত ছাত্রসমাজ কর্তৃক পরিচালিত হয়। বাংলার স্বাধীনতা ও দাবি প্রতিষ্ঠায় প্রতিটি আন্দোলনে ছাত্রসমাজের ভূমিকা ছিল অগ্রগণ্য।
১৩. মধ্যবিত্ত এলিট শ্রেণির প্রভাব: বাংলা ভাষাকে কেন্দ্র করে পূর্ব বাংলায় একটি রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠায় মধ্যবিত্ত এলিট শ্রেণির গুরুত্ব বৃদ্ধি পায়। ভাষা আন্দোলনে বাঙালি শিক্ষিত মধ্যবৃত্ত শ্রেণি গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা পালন করে। এ কারণে বাঙালি মধ্যবিত্ত শ্রেণি পূর্ব বাংলার রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।
১৪. অন্যান্য আন্দোলনে মূল প্রেরণা: ভাষা আন্দোলন স্বাধীনতা অর্জনে এবং অন্যান্য আন্দোলনকে গভীরভাবে প্রভাবিত করে এবং মূল অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করে। ১৯৫৪ সালের যুক্তফ্রন্ট নির্বাচন, রাষ্ট্রটির শিক্ষা আন্দোলন, ১৯৬৬ সালের ছয় দফা আন্দোলন, ‘৬৯ এর গণঅভ্যুত্থান, ‘৭০ এর নির্বাচনে ভাষা আন্দোলন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে যা স্বাধীনতা অর্জনে মূল উদ্দীপক হিসেবে কাজ করেছিল ।
আরো পড়ুনঃ পূর্ব ও পশ্চিম পাকিস্তানের মধ্যে বৈষম্যমূলক নীতিসমূহ আলোচনা কর
১৫. স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষায় প্রেরণা: বাংলা ভাষা আন্দোলন তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানকে স্বাধীনতা অর্জন ও সার্বভৌমত্ব সৃষ্টিতে অনুপ্রেরণা যোগায়। ভাষা আন্দোলন প্রথম বারের মতো বাংলাদেশিদের স্বাধিকার আন্দোলনের অগ্নি শপথে দীক্ষিত করে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করার জন্য সশস্ত্র সংগ্রামে লিপ্ত হতে অনুপ্রেরণা যোগায়।
১৬. অভিন্ন জাতিসত্তা গঠন: আঠারো শতকের শেষের দিকে উনিশ শতকে বাঙালির নবজাগরণ শুরু হয় হিন্দু ও ব্রাহ্মণধর্মের অনুসরণকারীদের কেন্দ্র করে। বেনেস ধর্মাশ্রিত হওয়ায় সাধারণ হিন্দু জনগোষ্ঠী তো বটেই অনেক অসাম্প্রদায়িক ও উদার দৃষ্টিভঙ্গি সম্পন্ন হিন্দু মনীষীও হিন্দুত্ব ও বাঙালিত্বকে সমার্থক মনে করেছেন।
মনীষীদের অভিমত: বাংলা ভাষা কেন্দ্রীয় বাংলাদেশ রাষ্ট্রের জন্ম প্রসঙ্গে বিভিন্ন মনীষী বিভিন্ন মতামত ব্যক্ত করেছেন। এ প্রসঙ্গে আলোচনা করা হলো :
ড. মুহাম্মদ শহিদুল্লাহ ১৯৪৮ সালের ৩১ ডিসেম্বর পূর্ব পাকিস্তান সাহিত্য সম্মেলনে আত্মপরিচয় দিতে গিয়ে বলেন, “আমরা হিন্দু বা মুসলমান যেমন সত্য, তার চেয়ে বেশি সত্য আমরা বাঙালি । তিনি যে বাঙালি জাতি নিয়ে গর্ববোধ করতেন আর যে ভাষাকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছিল সেই বাঙালিই স্বাধীনতা যুদ্ধে স্বাধীনতা ছিনিয়ে নিয়ে আসেন।”
ড. অতুল সুর তার লিখিত গ্রন্থ “বাংলা ও বাঙালির বিবর্তন” -এ বলেন, “বাঙালি বলতে আমরা মাত্র তাদেরই বুঝি যাদের মাতৃভাষা বাংলা এবং যারা বিশেষ সংস্কৃতির বাহক। আর তার বর্ণিত ও সংস্কৃতিই পরবর্তীতে বাংলাদেশ নামক রাষ্ট্রের ধারক।”
অধ্যাপক ড. জীনাত ইমতিয়াজ আলী বলেন, “ভাষাভিত্তিক জাতীয়তাবাদ ও অর্থনৈতিক মুক্তি চেতনার প্রেরণা থেকেই বাংলাদেশের অভ্যুদয়।”
উপসংহার: পরিশেষে বলা যায় যে, স্বাধীন বাংলাদেশের অভভুদয়ে বাংলা ভাষার অবদান অপরিহার্য। ভাষা আন্দোলন প্রথমে একটি সাংস্কৃতিক আন্দোলনে রূপ লাভ করে এবং পূর্ব বাংলা স্বাধীন করার চিন্তা চেতনা শুরু হয় ভাষা আন্দোলনকে কেন্দ্র করেই। ভাষাভিত্তিক জাতীয়তাবাদীর চেতনায় অবশেষে দীর্ঘ নয় বছর যুদ্ধের পর স্বাধীনতা অর্জন করে। কাজেই স্বাধীনতা ও স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় বাংলা ভাষা মূল প্রেরণা হিসেবে কাজ করেছিল।
একটু ভুল আছে নয় মাস এর জায়গায় নয় বছর লিখছেন। ধন্যবাদ