Teaching Vocabulary
শব্দভান্ডার ভাষা শিক্ষার হৃদয়। যথেষ্ট শব্দ না থাকলে যোগাযোগ প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়ে। ভাষাবিজ্ঞানী উইলকিন্স (১৯৮৭) বলেছেন, “ব্যাকরণ ছাড়া অল্প কিছু বোঝানো সম্ভব, কিন্তু শব্দভান্ডার ছাড়া কিছুই বোঝানো সম্ভব নয়।” এটি শব্দভান্ডারের গুরুত্বকে প্রকাশ করে। শিক্ষার্থীদের ভালোভাবে শোনা, বলা, পড়া ও লেখা শেখার জন্য শক্তিশালী শব্দভান্ডার প্রয়োজন। শিক্ষকদের উচিত শিক্ষার্থীদের নতুন শব্দ শেখানো ও মনে রাখার জন্য যথাযথ পদ্ধতি ও কৌশল ব্যবহার করা। বিভিন্ন কৌশল শব্দ শেখাকে সহজ, স্বাভাবিক ও আনন্দদায়ক করে তোলে। আসুন এগুলো নিয়ে আলোচনা করি।
দৃশ্যপট ও বাস্তব বস্তু: কার্যকর একটি পদ্ধতি হলো ছবি ও বাস্তব জিনিস ব্যবহার করা। ছবি, ফ্ল্যাশকার্ড ও শ্রেণিকক্ষের জিনিসপত্র শব্দকে স্পষ্ট করে তোলে। যেমন, “apple” শেখাতে শিক্ষক একটি আসল আপেল দেখান। শব্দ ও বস্তুর এই সরাসরি সংযোগ স্মৃতিকে সাহায্য করে। এড্রিয়ান টেন্যান্ট পরামর্শ দেন যে দৃশ্যপট বিশেষভাবে concrete noun শেখানোর জন্য উপযুক্ত, যেমন chair, table বা book। বাস্তব বস্তু শিক্ষার্থীদের কৌতূহলী করে এবং উৎসাহ যোগায়। ভিজ্যুয়াল লার্নিং সহজ হলেও শক্তিশালীভাবে শব্দকে মনে স্থায়ী করে।
আরো পড়ুনঃ Group Work Vs. Whole Class Activities and Teaching Large Classes
অভিনয় ও গল্প: ক্রিয়া, ক্রিয়া বিশেষণ ও বিশেষণ শেখাতে মাইম খুব কার্যকর। শিক্ষক run, walk, jump এর মতো শব্দ অভিনয় করে দেখাতে পারেন। শিক্ষার্থীরা সহজেই এমন কাজগুলো মনে রাখতে পারে। slowly বা quickly এর মতো ক্রিয়া বিশেষণও মাইমের মাধ্যমে বোঝানো যায়। ছোট গল্প বা উপাখ্যানও একটি শক্তিশালী কৌশল। শিক্ষক নতুন শব্দ দিয়ে ছোট গল্প বলেন। গল্পে পুনরাবৃত্তি শিক্ষার্থীদের স্বাভাবিকভাবে অর্থ বুঝতে সাহায্য করে। শব্দগুলো তখন বাস্তব জীবনের অংশ হয়ে যায়, কেবল মুখস্থ তালিকা নয়। এটি শিক্ষার্থীদের সক্রিয় ও আগ্রহী রাখে।
সমার্থক, বিপরীতার্থক ও প্রেক্ষাপট: সমার্থক ও বিপরীতার্থক শব্দ শিক্ষার্থীদের শব্দ সম্পর্ক বুঝতে সাহায্য করে। যেমন, hot–warm–cold একটি স্কেলের মতো শেখানো যায়। আবার happy–unhappy বা old–young শেখানো যায়। তবে সতর্ক থাকতে হবে, কারণ সব শব্দের সরাসরি বিপরীত নেই। প্রেক্ষাপটও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। শব্দ আলাদা করে নয়, বাক্যের মধ্যে শেখানো উচিত। যেমন bank শব্দটি ভালোভাবে বোঝা যায় এই বাক্যগুলোতে: “I went to the bank” বা “The river bank was green”। এভাবে প্রেক্ষাপট গভীর বোঝাপড়া তৈরি করে।
অনুবাদ ও অভিধান ব্যবহার: অনুবাদকে অনেক সময় সমালোচনা করা হয়, কিন্তু একভাষিক শ্রেণিকক্ষে এটি সময় বাঁচানোর একটি কার্যকর উপায় হতে পারে। শিক্ষার্থীরা দ্রুত নিজেদের ভাষায় অর্থ বুঝতে পারে। তবে শিক্ষকদের এটির উপর বেশি নির্ভর করা উচিত নয়। অভিধান, বিশেষ করে একভাষিক অভিধান, অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। শিক্ষার্থীরা বানান, অর্থ, উচ্চারণ ও উদাহরণ শিখতে পারে। শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের অভিধান ব্যবহারে প্রশিক্ষণ দিতে পারেন। হ্যাচ এবং ব্রাউন (১৯৯৫) বলেন, অভিধান ব্যবহার শিক্ষার্থীর স্বাধীনতা তৈরি করে এবং আজীবন শব্দভান্ডার বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।
শব্দগঠন ও কলোকেশন: মূল শব্দ, উপসর্গ ও প্রত্যয় শেখা শিক্ষার্থীদের অর্থ অনুমান করতে সাহায্য করে। যেমন, “port” মূল থেকে transport, export, import শব্দগুলো আসে। এই কৌশলে দ্রুত শব্দভান্ডার বাড়ে। কলোকেশনও খুব গুরুত্বপূর্ণ। শিক্ষার্থীদের জানতে হবে আমরা বলি “make a mistake” কিন্তু “do homework”। নেশন (২০০১) বলেন, কলোকেশনই আসল ভাষার গঠনমূলক অংশ। শব্দকে chunk আকারে শেখালে বলা ও লেখা আরও স্বাভাবিক হয়। এটি একইসাথে সাবলীলতা ও সঠিকতা বৃদ্ধি করে।
আরো পড়ুনঃ History of Language Teaching Methodology
উপসংহার: শব্দভান্ডার উন্নয়ন ভাষা শিক্ষার কেন্দ্রবিন্দু। শিক্ষকদের উচিত বিভিন্ন পদ্ধতি যেমন ভিজ্যুয়াল, মাইম, প্রেক্ষাপট, অনুবাদ, অভিধান ব্যবহার, শব্দগঠন ও কলোকেশন প্রয়োগ করা। প্রতিটি কৌশল ভিন্ন ধরনের শব্দ ও ভিন্ন ধরনের শিক্ষার্থীর জন্য কার্যকর। একজন দক্ষ শিক্ষক সেগুলো বুদ্ধিমত্তার সাথে মিশিয়ে ব্যবহার করেন। শিক্ষার্থীদেরও শেখাতে হবে কীভাবে নিজেরাই শব্দভান্ডার লিপিবদ্ধ, পর্যালোচনা ও অনুশীলন করবে। উইলকিন্স ও নেশন আমাদের মনে করিয়ে দেন, শব্দই যোগাযোগের ভিত্তি। শক্তিশালী শব্দভান্ডার থাকলে শিক্ষার্থীরা ইংরেজি আত্মবিশ্বাসের সাথে সবক্ষেত্রে ব্যবহার করতে পারবে।
