The Metamorphosis
সংক্ষিপ্ত জীবনী: ফ্রান্জ কাফকা (Franz Kafka)
ফ্রান্জ কাফকা ১৮৮৩ সালের ৩ জুলাই অস্ট্রিয়ান সাম্রাজ্যের (বর্তমান চেক প্রজাতন্ত্র) প্রাগ শহরে জন্মগ্রহণ করেন। তার পুরো নাম ছিল Franz Kafka। তিনি ছিলেন একজন বিশিষ্ট ঔপন্যাসিক ও ছোটগল্পকার। তিনি ২০শ শতাব্দীর আধুনিক সাহিত্যের অন্যতম প্রধান লেখক হিসেবে বিবেচিত হন। কাফকার পরিবার ছিল মধ্যবিত্ত ইহুদি এবং জার্মান ভাষাভাষী। ছোটবেলা থেকেই তিনি ছিলেন সংবেদনশীল, অন্তর্মুখী এবং কল্পনাশক্তিসম্পন্ন। তিনি প্রাগের জার্মান বিশ্ববিদ্যালয়ে আইন নিয়ে পড়াশোনা করেন এবং স্নাতক শেষে একটি বীমা কোম্পানিতে চাকরি শুরু করেন। তবে চাকরির পাশাপাশি তিনি সাহিত্য রচনায় নিজেকে নিয়োজিত রাখেন। কাফকার ব্যক্তিজীবন ছিল দুঃখ-দ্বন্দ্বে ভরা। পিতার সঙ্গে তার সম্পর্কে তীব্র টানাপোড়েন ছিল, যা তার বিখ্যাত রচনা Letter to His Father (1919)-এ প্রতিফলিত হয়েছে। তিনি বিয়ে করেননি, তবে জীবনে কয়েকটি প্রেমের সম্পর্ক ছিল। স্বাস্থ্যগত দিক থেকেও তিনি ভুগতেন; জীবনের শেষ ভাগে যক্ষ্মায় আক্রান্ত হন। ফ্রান্জ কাফকার লেখায় দেখা যায় এক ধরনের অদ্ভুত ও ভয়ঙ্কর বাস্তবতা, যা পরে “Kafkaesque” নামে পরিচিতি পায়। তার রচনায় মানুষের নিঃসঙ্গতা, অসহায়ত্ব, আমলাতন্ত্রের ভয়াল দমননীতি এবং জীবনের অর্থহীনতা ফুটে উঠেছে। তার বিখ্যাত উপন্যাস গুলোতে মানুষের অস্তিত্ব সংকট ও সমাজের নির্দয় রূপ ধরা পড়েছে। তাঁর বিখ্যাত রচনাগুলোর মধ্যে রয়েছে,
- The Metamorphosis (১৯১৫) – যেখানে প্রধান চরিত্র গ্রেগর সাম্সা হঠাৎ একদিন ভয়ঙ্কর পোকায় রূপান্তরিত হয়। এটি আধুনিক জীবনের বিচ্ছিন্নতা ও অমানবিকতার প্রতীক।
- The Trial (১৯২৫) – আমলাতান্ত্রিক অন্যায় ও মানুষের অসহায়ত্বকে কেন্দ্র করে রচিত। নায়ক জোসেফ কে. অপরাধ না করেও বিচার ব্যবস্থার ভয়াল জালে জড়িয়ে পড়ে।
- The Castle (১৯২৬) – এক অচেনা দুর্গে প্রবেশ করতে চাওয়া নায়কের মাধ্যমে মানুষের অস্তিত্ব সংকট, কর্তৃত্ব ও অজানার ভয় তুলে ধরা হয়েছে।
- Amerika (১৯২৭) – একজন তরুণ অভিবাসীর চোখে নতুন দুনিয়ার স্বপ্ন ও বিভ্রান্তি দেখানো হয়েছে।
- Letter to His Father (১৯১৯) – পিতার সঙ্গে তীব্র টানাপোড়েন ও মানসিক দ্বন্দ্বের আত্মকথামূলক চিঠি, যা কাফকার ব্যক্তিজীবনের গভীর যন্ত্রণা প্রকাশ করে।
The Metamorphosis Novella তে এক তরুণ হঠাৎ করেই পোকায় রূপান্তরিত হয়, যা আধুনিক জীবনের বিচ্ছিন্নতা ও অমানবিকতার প্রতীক। কাফকার রচনার একটি বৈশিষ্ট্য হলো তার অনন্য শৈলী, সরল অথচ গভীর, স্বপ্নময় অথচ ভয়ঙ্কর বাস্তবতায় ভরা। জীবদ্দশায় তিনি খুব বেশি খ্যাতি পাননি এবং মৃত্যুর আগে তার বন্ধু ম্যাক্স ব্রডকে (Max Brod) সমস্ত অপ্রকাশিত পাণ্ডুলিপি ধ্বংস করার অনুরোধ করেছিলেন। তবে ব্রড সেই নির্দেশ পালন না করে কাফকার অমর রচনাগুলো প্রকাশ করেন, যা বিশ্বসাহিত্যে অসাধারণ প্রভাব বিস্তার করে। ফ্রান্জ কাফকা ১৯২৪ সালের ৩ জুন অস্ট্রিয়ার কিয়ারলিং স্যানাটোরিয়ামে যক্ষ্মাজনিত জটিলতায় মৃত্যুবরণ করেন। তাকে প্রাগে সমাহিত করা হয়। আজও তিনি আধুনিকতাবাদী সাহিত্যের অন্যতম মহান প্রতিভা হিসেবে স্বীকৃত। তাকে “Prophet of the Absurd” এবং নিঃসঙ্গ আধুনিক মানুষের কণ্ঠস্বর হিসেবে অভিহিত করা হয়।
আরো পড়ুনঃ Crime and Punishment Bangla Summary
Key Facts
- Full Title: The Metamorphosis
- Original Title: Die Verwandlung (German)
- Author: Franz Kafka (1883–1924)
- Title of the Author: Modernist, Existentialist, Absurdist Novelist & Short Story Writer
- Source: Inspired by Kafka’s own feelings of alienation, strained family relationship (especially with his authoritarian father), and themes of modern bureaucratic dehumanization.
- Written Time: 1912 (in Prague, during Kafka’s early literary career)
- First Published: 1915 (by Kurt Wolff Verlag, Leipzig, Germany)
- Publisher: Kurt Wolff Verlag (first edition in German)
- Genre: Modernist Fiction / Absurdist Literature / Existentialist Novella / Allegory
- Form: Novella, divided into three parts (not formally titled, but narratively structured as transformation, alienation, and death).
- Structure: Linear narrative with symbolic and surreal elements; blends realism with the fantastic; focuses on psychological and social disintegration.
- Tone: Disturbing, tragicomic, ironic, surreal, and existential; mixes horror with dark humor.
- Point of View: Third-person limited (follows Gregor Samsa’s perspective closely, especially his consciousness, even after his transformation).
- Significance: A milestone of modernist and absurdist literature. It explores themes of alienation, family obligation, loss of humanity, and the absurd condition of modern life. “Kafkaesque” became a literary term from such works.
- Language: German
- Famous Line: “One morning, when Gregor Samsa woke from troubled dreams, he found himself transformed in his bed into a horrible vermin.” (One of the most iconic opening lines in world literature)
- Setting:
- Time Setting: Early 20th century (contemporary to Kafka’s Prague, pre–World War I atmosphere)
- Place Setting: Gregor Samsa’s family apartment (primarily his bedroom).
Key Notes- বাংলা
- মূল নাম (Original Title) – Die Verwandlung: উপন্যাসটির জার্মান মূল নাম হলো Die Verwandlung, যার অর্থ “The Transformation” বা “The Metamorphosis।” ফ্রান্জ কাফকা এটি ১৯১২ সালে লেখেন এবং ১৯১৫ সালে প্রথম প্রকাশিত হয়।
- The Metamorphosis – নামের তাৎপর্য: “Metamorphosis” মানে আকস্মিক রূপান্তর বা রূপবদল। এখানে গ্রেগর সাম্সার এক সকালে ভয়ঙ্কর পোকায় রূপান্তরিত হওয়া কেবল শারীরিক পরিবর্তন নয়, বরং আধুনিক জীবনের বিচ্ছিন্নতা, অসহায়ত্ব ও অমানবিকতার প্রতীক।
- Gregor Samsa–র রূপান্তর: গ্রেগরের পোকায় রূপান্তর মানুষের মানসিক যন্ত্রণা ও পরিবার–সমাজের চোখে তার অপ্রয়োজনীয় হয়ে পড়ার বাস্তবতা তুলে ধরে। সে পরিবারে একসময় ভরণপোষক হলেও পরবর্তীতে অচল হয়ে পড়ে।
The Metamorphosis – Background (বাংলায়)
ফ্রান্জ কাফকা ১৯১২ সালে The Metamorphosis (Die Verwandlung) লেখেন এবং এটি ১৯১৫ সালে প্রথম প্রকাশিত হয়। এই রচনার প্রেরণা আসে কাফকার ব্যক্তিগত জীবনের দুঃখ ও মানসিক দ্বন্দ্ব থেকে। বিশেষত তার পিতার সঙ্গে টানাপোড়েন এবং আধুনিক শহুরে জীবনে মানুষের বিচ্ছিন্নতার অভিজ্ঞতা উপন্যাসটির কেন্দ্রীয় ভিত্তি। তার বোন ওটলার সাথেই একমাত্র তার ভালো সম্পর্ক ছিলো। কাফকা নিজে প্রাগে একটি বীমা প্রতিষ্ঠানে চাকরি করতেন, যেখানে তিনি সবসময়ই দমবন্ধ অনুভব করতেন। জীবনের সেই চাপ, আত্ম-অবমূল্যায়ন এবং পরিবারে কর্তৃত্ববাদী পিতার দমননীতি তার লেখায় প্রতিফলিত হয়েছে। গ্রেগর সাম্সার আকস্মিক পোকায় রূপান্তর আসলে একটি প্রতীক, যা আধুনিক সমাজে মানুষের নিঃসঙ্গতা, অসহায়ত্ব ও অমানবিকতার প্রকাশ। উপন্যাসে গ্রেগরের পরিবার প্রথমে তাকে সহানুভূতি দেখালেও ধীরে ধীরে তাকে অবহেলা, ঘৃণা ও প্রত্যাখ্যান করে। এটি মানুষের পারিবারিক সম্পর্কের ভঙ্গুরতা এবং সমাজের নির্মম বাস্তবতার প্রতিফলন।
Kafka এই উপন্যাসে absurdist ও modernist সাহিত্যের বৈশিষ্ট্য ফুটিয়ে তুলেছেন। এখানে দৈনন্দিন জীবনের বাস্তবতার সঙ্গে অযৌক্তিক ঘটনার মিশ্রণ দেখা যায়। গ্রেগরের পোকায় রূপান্তর যেমন অবাস্তব, তেমনি তার পরিবার ও সমাজের প্রতিক্রিয়া ভয়াবহভাবে বাস্তব। The Metamorphosis মূলত তিন ভাগে বিভক্ত, (১) রূপান্তর ও প্রাথমিক প্রতিক্রিয়া, (২) পরিবারের বিচ্ছিন্নতা ও অবহেলা, (৩) মৃত্যু ও বিস্মরণ। প্রতিটি অংশ মানুষের অস্তিত্ব সংকট ও সামাজিক দমননীতিকে নতুনভাবে প্রকাশ করেছে। প্রকাশের পর থেকেই এটি ২০শ শতকের অন্যতম প্রভাবশালী রচনা হিসেবে স্বীকৃতি পায়। “Kafkaesque” শব্দটি সাহিত্য ও সংস্কৃতিতে এক বিশেষ ধারা নির্দেশ করে, যা জটিলতা, বিভ্রান্তি ও অসহায়তার প্রতীক। আজও The Metamorphosis শুধু একটি ভয়ঙ্কর কাহিনি নয়, বরং মানব অস্তিত্ব, পরিবার, সমাজ ও জীবনের প্রকৃত সত্যের এক গভীর অনুসন্ধান হিসেবে বিবেচিত হয়।
চরিত্রসমূহ
প্রধান চরিত্রসমূহ (Major Characters)
- Gregor Samsa (গ্রেগর সাম্সা): উপন্যাসের কেন্দ্রীয় চরিত্র। একজন ভ্রমণকারী সেলসম্যান (Traveling Salesman / Commercial Traveler), যিনি হঠাৎ করেই এক সকালে ভয়ঙ্কর পোকায় রূপান্তরিত হন। পরিবারের প্রধান উপার্জনকারী হওয়া সত্ত্বেও রূপান্তরের পর তিনি পরিবার ও সমাজের চোখে অপ্রয়োজনীয় হয়ে পড়েন। তার চরিত্র আধুনিক মানুষের বিচ্ছিন্নতা, আত্মত্যাগ, অসহায়ত্ব এবং অমানবিক জীবনের প্রতীক।
- Grete Samsa (গ্রীট সাম্সা): গ্রেগরের ছোট বোন। প্রথমদিকে সে গ্রেগরের যত্ন নেয় এবং তাকে সহানুভূতি দেখায়। কিন্তু ধীরে ধীরে তার দায়িত্ববোধ বিরক্তি ও বিরূপতায় পরিণত হয়। শেষ পর্যন্ত গ্রেগরের মৃত্যুকে মুক্তি হিসেবে দেখে। তার চরিত্র মানবিক সহানুভূতির সীমাবদ্ধতা এবং আত্মকেন্দ্রিক বাস্তবতার প্রতিফলন।
- Mr. Samsa (মিস্টার সাম্সা): গ্রেগরের পিতা। তিনি একসময় দেউলিয়া হয়ে পড়েছিলেন এবং গ্রেগরের উপার্জনের উপর নির্ভরশীল ছিলেন। কিন্তু গ্রেগরের রূপান্তরের পর তিনি আবার কর্তৃত্ববাদী ও আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠেন। তার চরিত্র পরিবারে ক্ষমতার কাঠামো ও দমনমূলক কর্তৃত্বের প্রতীক।
- Mrs. Samsa (মিসেস সাম্সা): গ্রেগরের মা। তিনি আবেগপ্রবণ, স্নেহশীল হলেও ভীরু এবং স্বামীর প্রভাবে পরিচালিত। তিনি গ্রেগরের প্রতি সহানুভূতি প্রকাশ করতে চান, কিন্তু স্বামীর ভয়ে তা প্রায়শই দমন করেন। তার চরিত্র পারিবারিক দুর্বলতা ও নির্ভরশীলতার প্রতিফলন।
গৌণ চরিত্রসমূহ (Minor Characters)
- Chief Clerk (চীফ ক্লার্ক): গ্রেগরের অফিসের উচ্চপদস্থ কর্মচারী। গ্রেগর কাজে অনুপস্থিত হওয়ায় তিনি তার খোঁজ নিতে বাড়িতে আসেন। তার আচরণ শীতল ও কর্তৃত্বপূর্ণ। তিনি আমলাতান্ত্রিক দমননীতির প্রতীক, যা গ্রেগরের পেশাগত জীবনের চাপকে তুলে ধরে।
- The Charwoman (বৃদ্ধা গৃহপরিচারিকা): গৃহে কর্মরত সাহসী কিন্তু রূঢ় প্রকৃতির এক বৃদ্ধা চাকরানি। গ্রেগরের রূপান্তরের পর সে ভয় না পেয়ে বরং কৌতূহল নিয়ে তার প্রতি আচরণ করে। শেষ পর্যন্ত গ্রেগরের মৃতদেহ সরিয়ে ফেলার দায়িত্বও তিনিই নেন। তার চরিত্র জীবনের কঠিন বাস্তবতা ও নিরাবেগ মনোভাবের প্রতীক।
- The Former Maid (পুরোনো দাসী): গ্রেগরের রূপান্তরের ভয় সহ্য করতে না পেরে চাকরি ছেড়ে চলে যায়। তার উপস্থিতি সংক্ষিপ্ত হলেও এটি মানুষের ভয় এবং অক্ষমতার প্রতিফলন।
- The Three Lodgers (তিন ভাড়াটে ভদ্রলোক): সাম্সা পরিবার আর্থিক সমস্যায় পড়লে তারা ঘর ভাড়া দিয়ে এই তিনজনকে রাখে। তারা কঠোর, দাবি-দাওয়া সম্পন্ন এবং গ্রেগরের অস্তিত্বের প্রতি সম্পূর্ণ নির্দয়। ভাড়াটেদের প্রতিক্রিয়া সমাজের নির্মমতা ও স্বার্থপরতার প্রতীক।
পরিবার ও সম্পর্ক
- Samsa Family (সাম্সা পরিবার): গ্রেগর, গ্রীট, মিস্টার ও মিসেস সাম্সা, চারজন মিলে গল্পের মূল পরিবার। তাদের ভেতরকার টানাপোড়েন ও মানসিক পরিবর্তনই কাহিনির প্রধান চালিকা শক্তি।
আরো পড়ুনঃ The Metamorphosis Bangla Summary
বাংলা Plot সামারি
Part I – Transformation (রূপান্তর)
Gregor–এর অদ্ভুত রূপান্তর: এক সকালে Gregor Samsa (গ্রেগর সাম্সা) ভোরের ঘুম থেকে হঠাৎ জেগে উঠে এক অদ্ভুত ও ভয়ঙ্কর সত্য আবিষ্কার করে। সে আর মানুষ নেই। তার শরীর পুরোপুরি বদলে গেছে। সে রূপান্তরিত হয়েছে এক বিশাল কীট বা পোকায়। Gregor–এর শরীর শক্ত ও অস্বাভাবিক খোলসে ঢাকা। তার পেট গোলাকার এবং খণ্ডে খণ্ডে বিভক্ত। পেট এত ভারী যে সে উল্টে শোয়াতে কষ্ট পায়। তার পা অনেকগুলো, সরু, লোমশ এবং অদ্ভুতভাবে নড়াচড়া করছে। পাগুলো অসহায়ভাবে এদিক–ওদিক ছটফট করে, যেন নিজের শরীরের সঙ্গে কোনোভাবে খাপ খাওয়াতে পারছে না।
Gregor প্রথমে ভাবে হয়তো সে কোনো ভয়ঙ্কর স্বপ্ন দেখছে। সে নিজের চোখ ঘষে, আবার শোয়াতে চেষ্টা করে। কিন্তু শরীরের ভারে তা সম্ভব হয় না। দ্রুতই সে বুঝতে পারে এটি কোনো স্বপ্ন নয়, বরং এক নিষ্ঠুর বাস্তবতা। Gregor–এর পরিচয় ছিল একজন ভ্রমণকারী সেলসম্যান। প্রতিদিন ভোরবেলা তাকে ট্রেন ধরে বিভিন্ন শহরে যেতে হতো। সেখানে সে কাপড়ের নমুনা দেখিয়ে বিক্রি করত। এই কাজ ছিল একঘেয়ে, ক্লান্তিকর এবং তার জীবনের ওপর বিরাট চাপ সৃষ্টি করত। সে প্রায়ই নিজের ঘরে বসে চুক্তি কপি করত, আর তখন জানালা দিয়ে দেখত অন্য সেলসম্যানরা আরামে হোটেলে বসে নাশতা করছে। তাদের জীবন সহজ আর Gregor–এর জীবন ছিল অশেষ কষ্টের।
Gregor মনে মনে ভাবে, যদি তার বাবা–মায়ের জন্য এত দেনা শোধ করতে না হতো, তবে সে অনেক আগেই এই চাকরি ছেড়ে দিত। তার কাজ ছিল সম্পূর্ণ বিরক্তিকর, কিন্তু পরিবারকে টিকিয়ে রাখতে এবং তাদের দায় শোধ করতে সে নিজের জীবন বলি দিয়েছিল। এই মুহূর্তটি শুধু একটি শারীরিক রূপান্তর নয়, বরং প্রতীকী অর্থে Gregor–এর আত্মিক এবং সামাজিক অবস্থা প্রকাশ করে। সে ইতিমধ্যেই সমাজের চোখে এক যন্ত্র, এক শ্রমদাসে পরিণত হয়েছিল। Kafka এখানে দেখিয়েছেন, Gregor–এর পোকায় রূপান্তর আসলে তার জীবনের অমানবিক অবস্থা ও দাসত্বের চূড়ান্ত রূপ।
ঘড়ির অ্যালার্ম ও বিকৃত কণ্ঠস্বর: সকালের শুরুতেই Gregor Samsa (গ্রেগর সাম্সা) তার জীবনের সবচেয়ে অদ্ভুত সমস্যার মুখোমুখি হয়। প্রতিদিন ভোরে ঘুম থেকে উঠে সে ট্রেন ধরে কাজে যেত। কিন্তু সেই দিন সকালে তার অ্যালার্ম ক্লক বেজে উঠলেও Gregor জেগে উঠতে পারেনি। ঘড়ির দিকে তাকিয়ে সে ভয়ঙ্কর সত্য বুঝতে পারে, তার অনেক দেরি হয়ে গেছে, আর ট্রেন ছেড়ে চলে গেছে। Gregor সঙ্গে সঙ্গে ভাবে, অফিসের Chief Clerk (চীফ ক্লার্ক) শীঘ্রই তার বাড়িতে খবর নিতে আসবে। কারণ অফিসে নিয়ম খুব কড়া। পাঁচ বছরে Gregor কখনও ছুটি নেয়নি, এমনকি অসুস্থ হলেও কাজে গিয়েছে। তাই হঠাৎ দেরি হওয়াটা অবশ্যই সন্দেহজনক মনে হবে।
Gregor–এর মনে ভয় ও দুশ্চিন্তা কাজ করতে থাকে। সে ভাবে, যদি চীফ ক্লার্ক এসে দেখে সে কাজে যায়নি, তবে অফিসে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠবে। এমনকি চাকরিও চলে যেতে পারে। Gregor আতঙ্কিত হয়, কারণ সে জানে তার পরিবারের দেনা শোধ করার দায়িত্ব তার কাঁধেই। এসময় ঘরের বাইরে থেকে Mrs. Samsa (মিসেস সাম্সা), Gregor–এর মা, ছেলেকে ডাক দেন। তার কণ্ঠে স্নেহের ছাপ ছিল, সঙ্গে চিন্তাও মিশে ছিল। তিনি জিজ্ঞেস করেন, Gregor এত দেরি করছে কেন, সে অসুস্থ কিনা।
Gregor উত্তর দেয়, কিন্তু নিজের কণ্ঠ শুনে চমকে ওঠে। তার স্বাভাবিক মানুষের কণ্ঠস্বর নেই। বদলে গেছে এক কর্কশ, অদ্ভুত শব্দে। সেই শব্দ পোকামাকড়ের মতো শোনায়। Gregor ভয় পায়, সে বুঝতে পারে কিছু একটা ভয়ঙ্কর পরিবর্তন ঘটেছে। অদ্ভুত ব্যাপার হলো, তার মা কণ্ঠস্বরের অস্বাভাবিকতা পুরোপুরি টের পান না। তিনি তবুও সন্তুষ্ট হন যে Gregor উত্তর দিয়েছে। কিন্তু Gregor–এর মনে তখনই নিশ্চিত হয়ে যায়, সে আর আগের মতো নেই। তার ভেতরে, তার শরীরে এক অচেনা পরিবর্তন ঘটছে, যা থেকে সে আর পালাতে পারবে না।
পরিবারের উৎকণ্ঠা ও Chief Clerk–এর আগমন: Gregor–এর কোনো নড়াচড়া না শুনে পরিবারের মধ্যে উদ্বেগ বাড়তে থাকে। প্রথমে দরজার বাইরে এসে দাঁড়ান Mr. Samsa (মিস্টার সাম্সা)। তিনি একজন কঠোর স্বভাবের মানুষ। দৃঢ় কণ্ঠে ছেলেকে প্রশ্ন করেন, কেন এখনও ঘর থেকে বের হয়নি? তার কণ্ঠে উদ্বেগের চেয়ে রাগ বেশি ছিল। এরপর এগিয়ে আসে Grete (গ্রীট), Gregor–এর ছোট বোন। সে স্বভাবতই ভাইয়ের প্রতি সহানুভূতিশীল। তার কণ্ঠে উদ্বেগের ছাপ। সে নরম সুরে জিজ্ঞেস করে, Gregor–এর কিছু প্রয়োজন আছে কিনা, কিংবা সে অসুস্থ কি না। Grete সত্যিই বোঝার চেষ্টা করে কী ঘটছে, কিন্তু কিছুই বুঝতে পারে না।
এই সময় Gregor–এর বাবা–মা এবং বোন কেউই জানে না আসলে ঘরের ভেতরে কী ভয়াবহ পরিবর্তন ঘটেছে। তাদের ধারণা, Gregor হয়তো অসুস্থ বা দেরি করে উঠেছে। কিন্তু Gregor জানে, পরিস্থিতি তার কল্পনার বাইরে চলে গেছে। ঠিক তখনই বাড়িতে এসে হাজির হয় অফিসের Chief Clerk (চীফ ক্লার্ক)। সে একজন কর্তৃত্বপরায়ণ এবং সন্দেহপ্রবণ মানুষ। তার রাগ এবং শীতল আচরণ অফিসের কঠোর নিয়মের প্রতিফলন।
Chief Clerk Gregor–এর দেরি নিয়ে ভীষণ ক্ষুব্ধ। সে বলতে থাকে, এত বছর চাকরি করার পর হঠাৎ এরকম অবহেলা অগ্রহণযোগ্য। এমনকি সে ইঙ্গিত করে, Gregor হয়তো অফিসের টাকা সঠিকভাবে ব্যবহার করছে না, অথবা তার দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হচ্ছে। Gregor এই অভিযোগে আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। সে জানে তার কাজ কঠিন, কিন্তু এতদিন সে কখনও অবহেলা করেনি। পরিবারকে বাঁচাতে, দেনা শোধ করতে সে একনাগাড়ে পরিশ্রম করেছে। Chief Clerk–এর এমন অভিযোগ তার হৃদয় ভেঙে দেয়।
Gregor চায় Chief Clerk–কে বোঝাতে যে তার শরীরে ভয়ঙ্কর পরিবর্তন ঘটলেও তার মনের মধ্যে এখনও দায়িত্ববোধ আছে। সে চায় দরজা খুলে নিজের অবস্থার ব্যাখ্যা দিতে। কিন্তু তার কণ্ঠস্বর বিকৃত, শরীর অসহায়, আর দরজা খুলতে হবে মুখ দিয়ে। এই দৃশ্য পুরো পরিবারকে গভীর উৎকণ্ঠায় ভরিয়ে দেয়। তারা বুঝতে পারে, Gregor–এর দেরি শুধু সাধারণ কোনো ব্যাপার নয়, এর পেছনে রয়েছে এক ভয়াবহ সত্য। আর Chief Clerk–এর আগমন যেন Gregor–এর অমানবিক রূপান্তরকে সমাজের সামনে প্রকাশ করার এক ভয়ঙ্কর সংকেত।
দরজা খোলা ও ভয়াবহ সত্য উদ্ঘাটন: অবশেষে Gregor Samsa (গ্রেগর সাম্সা) দৃঢ় সংকল্প করে দরজা খুলতে চেষ্টা করে। তার হাত আর পা দিয়ে চাবি ঘোরানো সম্ভব নয়। তাই সে মুখ দিয়ে চাবি ঘোরাতে শুরু করে। তার চোয়াল শক্ত, কিন্তু দাঁত না থাকায় এটি ছিল এক কঠিন কাজ। প্রচণ্ড যন্ত্রণার মধ্য দিয়ে, একের পর এক ব্যর্থতার পর অবশেষে সে দরজাটি খুলতে সক্ষম হয়। দরজা খোলার সঙ্গে সঙ্গে ভেতরের গোপন ভয়াবহ সত্য প্রকাশিত হয়। Gregor–এর রূপান্তরিত শরীর দেখে প্রথমেই Chief Clerk আতঙ্কে চিৎকার করে ওঠেন। তিনি ভয়ে কয়েক কদম পিছিয়ে যান এবং প্রায় দরজা থেকে বেরিয়ে পালানোর প্রস্তুতি নেন। Gregor–এর মা, Mrs. Samsa, ছেলের এই অমানবিক চেহারা দেখে ভেঙে পড়েন। তিনি উচ্চস্বরে চেঁচিয়ে ওঠেন। তারপর অজ্ঞান হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। তার স্নেহময়ী মাতৃত্বের অনুভূতি মুহূর্তেই ভয়ে রূপ নেয়।
অন্যদিকে Mr. Samsa প্রথমে হতবুদ্ধি হয়ে যান। তিনি বিশ্বাসই করতে পারেন না যে তার ছেলে এই ভয়ঙ্কর পোকায় রূপান্তরিত হয়েছে। কিন্তু কিছুক্ষণের মধ্যেই তার হতভম্বতা রাগে পরিণত হয়। তিনি ছেলেকে বোঝার চেষ্টা না করে বরং তাকে পরিবার ও সমাজের জন্য এক লজ্জা বলে মনে করেন। Gregor–এর মন তখন দ্বিধায় ভরা। সে বুঝতে পারে, তার পরিবার আর তাকে স্বাভাবিকভাবে গ্রহণ করবে না। অফিসও তাকে চাকরিতে রাখবে না। তবুও তার ভিতরে দায়িত্ববোধ কাজ করতে থাকে। সে Chief Clerk–কে বোঝাতে চায় যে, শারীরিক অবস্থার পরিবর্তন হলেও সে এখনও দায়িত্ব পালন করতে চায়।
কিন্তু Gregor–এর কথা আর কেউ বুঝতে পারে না। তার মুখ দিয়ে বের হয় শুধু কর্কশ, অদ্ভুত শব্দ। সেই শব্দ আর মানুষের ভাষা নয়, পোকামাকড়ের মতো শব্দ। Chief Clerk ভয়ে আর কিছু না শুনে দৌড়ে পালিয়ে যায়। এই মুহূর্তটি Gregor–এর জীবনের এক গুরুত্বপূর্ণ বাঁক। এখানে তার পরিবার ও অফিস,দু’পক্ষই তাকে প্রত্যাখ্যান করে। পরিবারে মা অজ্ঞান, বাবা রাগান্বিত, বোন ভয়ে স্তব্ধ। অফিসের প্রতিনিধি Chief Clerk পালিয়ে গেছে। Gregor এখন পুরোপুরি একা, সমাজ থেকে বিচ্ছিন্ন।
বাবার আক্রমণ ও Gregor–এর বন্দিত্ব: এই সময়ে Mr. Samsa, Gregor–এর বাবা, পরিস্থিতির নিয়ন্ত্রণ নেন। কিন্তু নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পরিবর্তে তিনি প্রবল রাগে ফেটে পড়েন। তিনি মনে করেন, Gregor এখন পরিবারের জন্য এক লজ্জা, এক বিপদ। Chief Clerk সবকিছু অফিসে জানিয়ে দেবে, আর তাদের জীবন ভেঙে পড়বে। Mr. Samsa হাতে তুলে নেন Chief Clerk–এর ফেলে যাওয়া লাঠি এবং একখানা খবরের কাগজ। এ দুটোকে তিনি অস্ত্রের মতো ব্যবহার করেন। তিনি সজোরে Gregor–কে তাড়াতে শুরু করেন। তার চোখে রাগ, মুখে ঘৃণা।
Gregor, যে এখনও মায়ের অজ্ঞান শরীর আর বোন Grete–এর ভয়ের দৃষ্টি দেখছে, ধীরে ধীরে পিছিয়ে যেতে থাকে। কিন্তু তার শরীর ভারী, অদ্ভুতভাবে নড়তে থাকে। বাবা জোরে ধাক্কা দেন। Gregor দরজার ধারে গিয়ে গা ঠেকিয়ে দেয়। হঠাৎই তার শরীর দরজার ফাঁকে আটকে যায়। তার শক্ত খোলস দরজার ধারালো কাঠে চেঁচড়ে যায়। পিঠে ক্ষত তৈরি হয়। তার শরীর থেকে রক্ত গড়িয়ে পড়তে থাকে। Gregor কষ্টে কাঁপতে থাকে। তার চোখে জল আসে, কিন্তু মুখ দিয়ে আর কিছু বের হয় না। Mrs. Samsa মেঝেতে পড়ে কাঁদতে থাকেন। Grete দূর থেকে তাকিয়ে থাকে, ভয়ে কিছু করতে পারে না। Mr. Samsa নির্মমভাবে ধাক্কা দিতে থাকেন, যতক্ষণ না Gregor সম্পূর্ণভাবে ঘরে ফিরে যায়। অবশেষে তিনি দরজা বন্ধ করে দেন। দরজার বাইরে চারপাশে হঠাৎই নিস্তব্ধতা নেমে আসে।
Gregor রক্তাক্ত শরীর নিয়ে মেঝেতে পড়ে থাকে। সে বুঝতে পারে, তার পরিবার আর কখনও তাকে আগের মতো গ্রহণ করবে না। তার দায়িত্ব, তার ত্যাগ কেউ স্মরণ করছে না। বরং এখন সে পরিবারের চোখে এক বোঝা, এক আতঙ্ক। Kafka এখানে যে দৃশ্য আঁকেন তা শুধু Gregor–এর শারীরিক আঘাত নয়, তার মানসিক বন্দিত্বের প্রতীক। সে কেবল ঘরে আটকে যায়নি, বরং সমাজ ও পরিবারের স্বীকৃতি থেকেও সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়েছে। The Former Maid (পুরোনো দাসী) গ্রেগরের রূপান্তরের পরপরই চাকরি ছেড়ে চলে যায়। পুরোনো দাসী চলে যাওয়ার পর পরিবার নতুন একজনকে রাখে। তিনি ছিলেন একজন Charwoman (বৃদ্ধা গৃহপরিচারিকা। এই বৃদ্ধা দাসী আগের দাসীর মতো ভয় পায়নি। বরং কৌতূহলীভাবে Gregor–কে দেখত। কখনও এমনকি হাসি–ঠাট্টাও করতো।
(এই প্রথম অংশে দেখা যায়, Gregor Samsa–র রূপান্তর এক বিশাল প্রতীক। এটি তার মানসিক অবস্থা, একঘেয়েমি চাকরি, পরিবারকে রক্ষা করার দায়িত্ব এবং সমাজ থেকে বিচ্ছিন্নতার প্রতিচ্ছবি। Mr. Samsa–র চরিত্রে আছে কর্তৃত্ব ও রাগ। Mrs. Samsa দুঃখপ্রবণ কিন্তু অসহায়। Grete প্রথমে সহানুভূতিশীল। Chief Clerk হলো সমাজ ও অফিসের নির্মম ব্যবস্থার প্রতীক। এই অংশে Gregor–এর কষ্ট, পরিবার–সমাজের প্রতিক্রিয়া এবং এক ভয়ঙ্কর বাস্তবতার সূচনা ঘটে। Kafka এখানে দেখান যে একজন মানুষ যখন হঠাৎ পরিবর্তিত হয়, সমাজ তাকে বোঝে না বরং প্রত্যাখ্যান করে। Gregor–এর ঘরে ফিরে যাওয়াই হলো তার বিচ্ছিন্ন জীবনের শুরু।)
Part II – Alienation (বিচ্ছিন্নতা):
Part I–এর শেষে আমরা দেখি Gregor Samsa (গ্রেগর সাম্সা) ভয়ঙ্কর এক পোকায় রূপান্তরিত হয়েছে। তার পরিবার ভয়, দুঃখ এবং লজ্জার মধ্যে পড়েছে। এখন শুরু হয় বিচ্ছিন্নতার অধ্যায়।
পরিবারের নতুন জীবন: Gregor Samsa (গ্রেগর সাম্সা) তার রূপান্তরের পর এখন সম্পূর্ণভাবে ঘরে বন্দি। একসময় সে ছিল পরিবারের প্রধান উপার্জনকারী। প্রতিদিন ভোরে উঠে ট্রেন ধরে দূরের শহরে যেত, কাপড়ের নমুনা বিক্রি করত এবং তার কষ্টার্জিত টাকায় পুরো পরিবারকে চালাত। কিন্তু এখন সে অসহায়। তার শরীর পোকায় রূপান্তরিত হয়েছে, আর সে ঘরের বাইরে যেতে পারে না। দরজা সব সময় বন্ধ থাকে। ফলে পরিবারের আয়ের প্রধান উৎস বন্ধ হয়ে যায়। এই নতুন পরিস্থিতি পুরো পরিবারকে নাড়া দেয়। একসময় তারা Gregor–এর আয়ের উপর নির্ভরশীল ছিল। এখন তাদের নিজেদেরকে কাজ করতে বাধ্য হতে হয়।
- Mr. Samsa (মিস্টার সাম্সা): আগে তিনি কাজ করতেন না। Gregor–এর উপার্জনের উপর নির্ভর করে অলস জীবন কাটাতেন। কিন্তু Gregor অক্ষম হয়ে যাওয়ার পর তিনি আবার বাইরে কাজে যোগ দেন। ব্যাংকে চাকরি নেন। প্রতিদিন সকালে অফিসে যান, বিকেলে ক্লান্ত হয়ে ফেরেন। Gregor দেখে, তার বাবা আগের মতো নির্ভরশীল নন, বরং আবার পরিবার চালানোর দায়িত্ব নিচ্ছেন।
- Mrs. Samsa (মিসেস সাম্সা): তিনি একজন স্নেহশীল মা হলেও এখন তাকে গৃহিণীর সীমার বাইরে এসে কাজ ধরতে হয়। তিনি বাড়িতে বসে সেলাই করতে শুরু করেন। বিভিন্ন কাপড় সেলাই করে সামান্য আয় করেন। এতে তিনি শারীরিকভাবে ক্লান্ত হয়ে পড়েন, অসুস্থতাও বাড়ে, তবুও বাধ্য হয়ে এই কাজ চালিয়ে যান।
- Grete Samsa (গ্রীট): আগে সে ছিল কিশোরী, নিরুদ্বেগ জীবন যাপন করত। কিন্তু এখন পরিবার চালানোর জন্য তাকেও কাজ ধরতে হয়। সে সেলসগার্ল হিসেবে চাকরি নেয়। প্রতিদিন সকালে বের হয়, রাতে ক্লান্ত হয়ে ফিরে আসে। শুরুতে সে ভাই Gregor–এর প্রতি যত্নশীল ছিল, কিন্তু নিজের কাজের চাপে সে ধীরে ধীরে ক্লান্ত হয়ে ওঠে।
এই পরিবর্তনের ফলে পরিবারে এক ধরনের চাপ ও অস্থিরতা তৈরি হয়। সবাই আলাদা আলাদা কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়ে। তাদের দৈনন্দিন জীবন Gregor–এর অবস্থা ভুলে থাকার দিকে ঝুঁকে যায়। Gregor বুঝতে পারে, এখন তার অস্তিত্ব তাদের কাছে অপ্রয়োজনীয়, এমনকি বিরক্তিকরও। Kafka এখানে দেখিয়েছেন, কীভাবে একটি পরিবার যখন তাদের প্রধান উপার্জনকারীকে হারায়, তখন তারা নতুন জীবনযাত্রায় মানিয়ে নিতে বাধ্য হয়। আর Gregor–এর বন্দিত্ব শুধু তার শারীরিক নয়, বরং পরিবারের আবেগ ও সম্পর্ক থেকেও বিচ্ছিন্নতার প্রতীক।
Grete–এর যত্ন: Gregor Samsa (গ্রেগর সাম্সা) রূপান্তরের পর তার প্রতি পরিবারের সবার মনোভাব ভিন্ন হয়ে ওঠে। বাবা Mr. Samsa এবং মা Mrs. Samsa ভয় বা ঘৃণার কারণে তার ঘরে ঢুকতে সাহস পান না। তারা দূর থেকে খোঁজ নিলেও Gregor–এর কাছে সরাসরি যান না। কিন্তু এই সময়ে একমাত্র বোন Grete Samsa (গ্রীট) তার পাশে দাঁড়ায়। Grete ছিল একজন কিশোরী, সংবেদনশীল এবং Gregor–এর প্রতি সহানুভূতিশীল। সে নিজের দায়িত্ব হিসেবে ভাইয়ের যত্ন নিতে শুরু করে। Gregor–এর জন্য প্রতিদিন চুপিচুপি খাবার নিয়ে তার ঘরে ঢুকত। যাতে মা–বাবা কিছু বুঝতে না পারেন বা অস্বস্তি না বোধ করেন। এইভাবে Grete Gregor–এর সঙ্গে পরিবারের একমাত্র যোগাযোগের সেতু হয়ে ওঠে।
তবে Gregor–এর রূপান্তরের পর তার খাদ্যাভ্যাসও পুরোপুরি বদলে যায়। আগে তার প্রিয় খাবার ছিল দুধ। একসময় সে দুধ খুব আনন্দ নিয়ে খেত। Grete প্রথমদিকে তাই এক বাটি দুধ নিয়ে আসে, ভেবে যে ভাই খুশি হবে। কিন্তু Gregor যখন দুধ খাওয়ার চেষ্টা করে, তখনই সে ঘৃণাভরে তা ফেলে দেয়। কারণ তার শরীর বদলে গেছে, আর সে মানুষের খাবার সহ্য করতে পারে না। Gregor এখন অন্যরকম খাবার খেতে চায়। পচা, বাসি, ফেলে দেওয়া জিনিসপত্র তার কাছে সুস্বাদু মনে হয়। Grete–ই প্রথম লক্ষ্য করে যে Gregor আসলে আবর্জনা ও বাসি খাবার খেয়ে স্বস্তি পায়। এরপর থেকে সে নিয়মিত Gregor–এর ঘরে এসব খাবার রেখে আসে।
এই অংশে Grete–এর চরিত্রের দুটি দিক স্পষ্ট হয়:
- তার সহানুভূতি – কারণ সে একমাত্র পরিবারের সদস্য যে Gregor–এর অবস্থাকে বোঝার চেষ্টা করে।
- তার দায়িত্ববোধ – ভাইকে একা না রেখে প্রতিদিন তার যত্ন নেয়, খাবার দেয়, ঘর পরিষ্কার করার চেষ্টা করে।
Gregorও বুঝতে পারে, Grete–ই তাকে ভুলে যায়নি। তার যত্নশীলতা Gregor–এর কাছে এক ধরনের মানসিক সান্ত্বনা হয়ে ওঠে। যদিও ধীরে ধীরে ক্লান্তি ও চাপে Grete–এর এই সহানুভূতি কমতে শুরু করবে, তবুও প্রথমদিকে সে Gregor–এর জীবনের একমাত্র সমর্থন। Kafka এখানে দেখিয়েছেন, কীভাবে একটি পরিবারের মধ্যে কেউ কেউ প্রথমে ভালোবাসা ও দায়িত্ব নিয়ে এগিয়ে আসে, কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সেই সহানুভূতি টিকে থাকে না। Gregor–এর জন্য Grete–এর প্রথম যত্ন আসলে মানবিকতার ক্ষণস্থায়ী আলোকরশ্মি।
Gregor–এর একাকিত্ব: রূপান্তরের পর Gregor Samsa (গ্রেগর সাম্সা) ধীরে ধীরে বুঝতে পারে, তার জীবন আর আগের মতো নেই। সে ঘরের ভেতর বন্দি। প্রতিদিন সে জানালার পাশে বসে বাইরের পৃথিবীর দিকে তাকায়। বাইরের মানুষের চলাফেরা, আকাশের রঙ, রাস্তায় শব্দ, সবকিছু তার কাছে দূরের জগতের মতো মনে হয়। Gregor চায় অন্তত চোখ দিয়ে হলেও বাইরের জীবনের সঙ্গে কিছুটা সংযোগ রাখতে। কিন্তু সেই সংযোগও তার কাছে হাতের নাগালের বাইরে।
Gregor–এর শরীর ভারী ও অসুস্থ। তার আগের মতো হাঁটা বা চলাফেরা করা সম্ভব নয়। ছোট্ট একটু নড়াচড়া করতেও প্রচণ্ড কষ্ট হয়। ফলে তার ঘরে বন্দি জীবন আরও অসহনীয় হয়ে ওঠে। এদিকে পরিবারও তাকে লুকিয়ে রাখতে চায়। তারা দরজা বন্ধ করে রাখে যাতে বাইরের কেউ Gregor–কে দেখতে না পারে। এমনকি তারা নিজেরাও খুব কম তার ঘরে ঢোকে। এতে Gregor–এর ওপর মানসিক চাপ আরও বাড়ে।
তার ঘর, যা একসময় তার ব্যক্তিগত আশ্রয়স্থল ছিল, ধীরে ধীরে নোংরা হতে থাকে। ধুলো জমে যায়, ময়লা ছড়িয়ে পড়ে। পরিবারের কাছে Gregor–এর ঘর গুরুত্ব হারায়। তারা আর এটিকে মানুষের ঘর মনে করে না। বরং ঘরটি ধীরে ধীরে স্টোররুমে পরিণত হয়। ভাঙাচোরা জিনিস, পুরোনো আসবাব, অকেজো জিনিসপত্র Gregor–এর ঘরে জমতে থাকে। Gregor এই পরিবর্তন খুব স্পষ্টভাবে টের পায়। সে অনুভব করে, তার পরিবার ধীরে ধীরে তার ওপর বিরক্ত হয়ে উঠছে। তারা তাকে আর মানুষ হিসেবে দেখে না। বরং তাকে এক অদ্ভুত, ভয়ঙ্কর প্রাণী বলে মনে করে। Gregor–এর প্রতি তাদের সহানুভূতি কমে যাচ্ছে, আর এই আচরণ Gregor–এর হৃদয়ে গভীর আঘাত করে।
Kafka এই অংশে Gregor–এর নিঃসঙ্গতা ও বিচ্ছিন্নতার বেদনাকে ফুটিয়ে তুলেছেন। Gregor একসময় ছিল পরিবারের গর্ব, উপার্জনকারী এবং তাদের ভরসা। এখন সে অবহেলার শিকার, এক প্রকার অবাঞ্ছিত বোঝা। তার চারপাশের নোংরা ঘর, ধুলো, আর অন্ধকার, সবকিছুই তার একাকিত্বকে আরও গভীরভাবে প্রতিফলিত করে। Gregor বুঝতে পারে, আর কেউ তাকে বুঝতে চাইছে না। তার জীবনের মানে আর পরিবারের কাছে নেই। এই উপলব্ধিই তার মানসিক ভাঙনের শুরু।
মায়ের ভূমিকা: Gregor Samsa (গ্রেগর সাম্সা) তার ঘরে বন্দি জীবনে দিন কাটাচ্ছে। ধীরে ধীরে তার চলাফেরা পোকামাকড়ের মতো হয়ে যাচ্ছে। সে দেয়ালে উঠতে পারে, ছাদে ঝুলতে পারে। এই পরিবর্তন দেখে Mrs. Samsa (মিসেস সাম্সা) একদিন প্রস্তাব দেন, Gregor–এর ঘর থেকে আসবাবপত্র সরিয়ে নেওয়া উচিত। মায়ের যুক্তি ছিল, আসবাবপত্র সরিয়ে দিলে ঘর ফাঁকা হবে। এতে Gregor আরও স্বাধীনভাবে নড়াচড়া করতে পারবে। তার পক্ষে দেয়াল ও ছাদে ওঠা সহজ হবে। Gregor–এর নতুন শরীরের জন্য ঘরটা আরও উপযুক্ত হবে। Mrs. Samsa–এর কথায় মায়ের স্নেহ প্রকাশ পায়। তিনি চান Gregor কমপক্ষে স্বাচ্ছন্দ্যে চলাফেরা করতে পারুক, যদিও তিনি সরাসরি তার ছেলের এই ভয়ঙ্কর রূপের মুখোমুখি হতে ভয় পান।
Grete (গ্রীট) মায়ের প্রস্তাবে রাজি হয়। কারণ সেও মনে করে, Gregor–এর জন্য ঘর পরিষ্কার ও খালি করা দরকার। কিন্তু Grete–এর মনে আরেকটি দুশ্চিন্তাও ছিল। সে ভাবে, আসবাব সরালে Gregor–এর মনে হবে পরিবার তাকে আর মানুষ হিসেবে দেখছে না। বরং তারা তাকে স্থায়ীভাবে এক প্রাণী হিসেবে মেনে নিচ্ছে। অন্যদিকে Gregor নিজে খুব দ্বিধায় পড়ে যায়। তার মনে হয়, আসবাবপত্র থাকলে অন্তত তার পুরোনো জীবনের স্মৃতি বেঁচে থাকবে। লেখার টেবিল, চেয়ার, আলমারি, এসব জিনিস তাকে মনে করিয়ে দেবে যে একসময় সে মানুষ ছিল, কাজ করত, পরিবারের ভরসা ছিল। আসবাব হারিয়ে গেলে তার অতীত জীবনও মুছে যাবে। Gregor বিশেষ করে দেয়ালে ঝোলানো একটি ছবির প্রতি গভীর টান অনুভব করে। ছবিটি এক মহিলার, যিনি পশমের কোট পরে আছেন। Gregor ভাবে, এই ছবিটি তার মানুষের জীবনের শেষ চিহ্ন। সে চায় না, এটি তার কাছ থেকে কেড়ে নেওয়া হোক।
এই দৃশ্য Kafka–র প্রতীকময় লেখনীর এক চমৎকার উদাহরণ। এখানে দেখা যায়, মা স্নেহশীল হলেও ভীরু। তিনি ছেলেকে সাহায্য করতে চান, কিন্তু আসলে তাকে প্রাণী হিসেবেই মানতে শুরু করেন। Grete যত্নশীল হলেও দ্বিধাগ্রস্ত। তার ভেতরে সহানুভূতি ও বিরক্তি দুটোই কাজ করে। Gregor–এর আসবাবের প্রতি টান আসলে তার মানবজীবনের প্রতি শেষ আঁকড়ে ধরা।
বিখ্যাত ঘটনাটি – আসবাবপত্র সরানো: Gregor Samsa (গ্রেগর সাম্সা)–এর ঘর থেকে আসবাবপত্র সরানোর সিদ্ধান্ত নেয় পরিবার। Grete (গ্রীট) এবং Mrs. Samsa (মিসেস সাম্সা) এই কাজ করতে ঘরে ঢোকে। তারা প্রথমে ছোট জিনিস সরায়, চেয়ার, টেবিল, ছোট আলমারি। ঘরে আসবাব সরানোর শব্দে Gregor ভেতরে আতঙ্কিত বোধ করে। Gregor বিছানার নিচে লুকিয়ে যায়। তার মনে হয়, পরিবারের এই সিদ্ধান্ত তার বিরুদ্ধে। যদি সব আসবাব চলে যায়, তবে তার মানুষের সঙ্গে শেষ সংযোগটুকুও হারিয়ে যাবে। তার ঘর হবে শুধু এক খালি গুহা, যেন কোনো পশুর বাসা।
Gregor বিশেষ করে একটি জিনিস হারাতে চায় না, দেয়ালে ঝোলানো ছবিটি। ছবিটি এক মহিলার, যিনি পশমের কোট পরে আছেন। এই ছবি Gregor–এর কাছে প্রতীকী। এটি তার পুরোনো মানবজীবনের স্মৃতি, তার রুচি, তার অনুভূতির চিহ্ন। সে ভাবে, এই ছবি অন্তত তার কাছে থাকুক। তাই Gregor বিছানার নিচ থেকে বেরিয়ে আসে এবং ছবিটির কাছে গিয়ে সেটিকে বুক দিয়ে জড়িয়ে ধরে। যেন শেষ মানুষসুলভ অস্তিত্বকে আঁকড়ে ধরে রাখতে চাইছে। এই সময়ে ঘটে এক নাটকীয় দৃশ্য। Mrs. Samsa প্রথমবার স্পষ্টভাবে Gregor–এর বিকৃত চেহারা দেখতে পান। তিনি এতদিন ছেলেকে সরাসরি এভাবে কাছ থেকে এতোটা স্পষ্টভাবে দেখেননি। হঠাৎ তাকে এভাবে দেখে তিনি ভয়ে চমকে ওঠেন এবং জোরে চেঁচিয়ে ওঠেন। এরপর তিনি মাথা ঘুরে অজ্ঞান হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন।
Grete মাকে সামলাতে পারে না। ভয়ে কাঁদতে কাঁদতে চিৎকার করে বাবাকে ডাকতে থাকে। তার চিৎকারে পুরো বাড়ি কেঁপে ওঠে। Kafka এই দৃশ্যকে বিশেষভাবে শক্তিশালী করেছেন। এখানে দেখা যায়, Gregor–এর মানবজীবনের শেষ আঁকড়ে ধরা। মায়ের স্নেহশীলতা ভয়ে পরিণত হওয়া। বোন Grete–এর অসহায়তা। এই ঘটনাটি Gregor–এর পরিবারের সঙ্গে শেষ আবেগীয় সংযোগ ছিন্ন হওয়ার এক প্রতীক। আসবাব সরানোর মাধ্যমে পরিবার তাকে প্রাণী হিসেবে মেনে নিচ্ছে, আর Gregor ছবিটি আঁকড়ে ধরে শেষবার মানুষের মতো থাকার চেষ্টা করছে।
বাবার আক্রমণ: আসবাব সরানোর ঘটনার পরপরই বাড়ির পরিবেশ উত্তেজনায় ভরে ওঠে। Mrs. Samsa (মিসেস সাম্সা) ভয়ে অজ্ঞান হয়ে পড়েছেন, Grete (গ্রীট) আতঙ্কে বাবাকে ডাকছে। সেই ডাকে সাড়া দিয়ে দ্রুত ঘরে প্রবেশ করেন Mr. Samsa (মিস্টার সাম্সা)। তার চোখে ভয়, হতাশা, এবং সবচেয়ে বড়, রাগ। তিনি মনে করেন, Gregor এখন আর ছেলে নয়, বরং পরিবারে বিপদ ও লজ্জার কারণ।
Mr. Samsa হাতের কাছে যা পান, তাই অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করেন। টেবিলে রাখা কিছু আপেল তিনি একের পর এক তুলে নিয়ে Gregor–এর দিকে ছুঁড়তে থাকেন। প্রথম কয়েকটি আপেল Gregor–এর শরীরের গায়ে লেগে মাটিতে গড়িয়ে পড়ে। কিন্তু হঠাৎই একটি আপেল সরাসরি Gregor–এর পিঠে গিয়ে গভীরভাবে গেঁথে যায়। Gregor প্রচণ্ড যন্ত্রণায় চিৎকার করে ওঠে। তার শক্ত খোলসের ভেতরে আপেলটি ঢুকে থেকে যায়। সে যন্ত্রণায় কাতরাতে কাতরাতে দেয়ালের দিকে সরে যায় এবং সেখানেই লুকিয়ে পড়তে চেষ্টা করে। কিন্তু শরীর ভারী, ক্ষত রক্তাক্ত। সে নিজেকে সামলাতে পারছিল না।
এ দৃশ্য দেখে Mrs. Samsa কাঁদতে কাঁদতে স্বামীকে অনুরোধ করেন, আর আঘাত না করতে। তার কণ্ঠে স্নেহ মিশ্রিত ভয় ছিল। কিন্তু Mr. Samsa থামেন না। তিনি নিজের রাগ, হতাশা, আর অসহায়তাকে Gregor-এর ওপর প্রকাশ করতে থাকেন। Grete–ও বাবাকে থামানোর চেষ্টা করে। সে কাঁদতে কাঁদতে বলে, ভাই তো তাদের ক্ষতি করছে না, কেন তাকে এভাবে আঘাত করা হচ্ছে? কিন্তু তার কণ্ঠও বাবার রাগ শান্ত করতে পারে না। Mr. Samsa যেন পুরো পরিবার ও সমাজের চাপে ভেঙে পড়ে সব রাগ Gregor–এর দিকে ছুঁড়ে দিচ্ছেন।
এই দৃশ্য Kafka–র প্রতীকময় লেখায় এক ভয়ঙ্কর মুহূর্ত। এখানে স্পষ্ট হয়ে ওঠে, পরিবারের চোখে Gregor এখন কেবল বোঝা। বাবা ছেলের প্রতি মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি হারিয়ে ফেলেছেন। Gregor–এর শরীরে গেঁথে থাকা আপেল তার স্থায়ী আঘাত ও অপমানের প্রতীক। এই আক্রমণের ফলে Gregor–এর শারীরিক অবস্থার দ্রুত অবনতি ঘটে। পিঠের ক্ষত আর কখনও পুরোপুরি সারে না। প্রতিদিন সেই ব্যথা তাকে স্মরণ করিয়ে দেয়, পরিবার তাকে আর আগের মতো ভালোবাসে না। বরং তারা চায়, সে যেন অদৃশ্য হয়ে যায়।
বিচ্ছিন্নতার গভীরতা: বাবার আক্রমণের পর Gregor Samsa (গ্রেগর সাম্সা) গুরুতর আহত অবস্থায় দিন কাটাতে থাকে। তার পিঠে গেঁথে থাকা আপেল আর কখনও সরানো হয় না। এটি ধীরে ধীরে পচে যায় এবং চারপাশে পচা গন্ধ ছড়ায়। তবুও পরিবার সেটি বের করার জন্য কোনো চেষ্টা করে না। Gregor প্রতিদিন সেই ব্যথা নিয়ে বেঁচে থাকে। শরীর দুর্বল হয়, চলাফেরার ক্ষমতা কমে যায়। প্রথমদিকে বোন Grete Samsa (গ্রীট) তার যত্ন নিত। সে খাবার দিত, ঘর পরিষ্কার করত। কিন্তু ধীরে ধীরে Grete–এর ধৈর্য ফুরিয়ে যায়। তার নিজের কাজের চাপ বাড়ে, বাড়ির দায়িত্বও বেড়ে যায়। ফলে সে মনে করতে শুরু করে, Gregor এখন শুধু তাদের জন্য একটি বোঝা।
Grete আগে ভাইকে মানুষ মনে করত, তার অবস্থার প্রতি সহানুভূতি দেখাত। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সে Gregor–কে শুধু এক ভয়ঙ্কর পোকা হিসেবে দেখতে শুরু করে। Gregor–এর সঙ্গে কথা বলার ইচ্ছাও তার আর থাকে না। সে Gregor–এর ঘরে ঢুকলেও তাড়াহুড়ো করে বেরিয়ে যায়। Gregor–এর ঘরের অবস্থাও পাল্টে যায়। আগে ঘর ছিল পরিষ্কার–পরিচ্ছন্ন, আসবাবপত্রে ভরা। এখন ঘরটি পুরোপুরি অগোছালো। ভাঙা আসবাব, ফেলে দেওয়া জিনিসপত্র, নোংরা কাপড়–চোপড় একে একে সেখানে জমতে থাকে। পরিবারের কাছে ঘরটি ধীরে ধীরে স্টোররুমে পরিণত হয়।
Gregor একা বসে থাকে। কেউ তার সঙ্গে কথা বলে না। কারও চোখে সে আর পরিবারের সদস্য নয়। তার একমাত্র সঙ্গী হলো জানালার বাইরের পৃথিবী। সে জানালার পাশে গিয়ে বসে থাকে, বাইরের মানুষদের চলাফেরা দেখে। আকাশের রঙ, বাতাসের হালকা স্পর্শ, এসবের মাধ্যমে সে জীবনের সঙ্গে শেষ যোগসূত্র টিকিয়ে রাখতে চায়। কিন্তু Gregor ভালোভাবেই বোঝে, তার পরিবার তাকে সম্পূর্ণভাবে এড়িয়ে চলছে। তারা তাকে ভালোবাসে না, যত্ন নেয় না, বরং তাকে লজ্জার কারণ মনে করে। এই উপলব্ধি তার একাকিত্বকে আরও গভীর করে তোলে। Kafka এই অংশে দেখিয়েছেন, Gregor–এর রূপান্তর শুধু শারীরিক নয়, বরং এক মানসিক মৃত্যু। পরিবার থেকে, সমাজ থেকে, এমনকি প্রিয় বোন Grete–এর থেকেও বিচ্ছিন্ন হয়ে সে চরম নিঃসঙ্গতায় ডুবে যায়।
(Part II – Alienation (বিচ্ছিন্নতা)–তে আমরা দেখি, Gregor পরিবার ও সমাজ থেকে সম্পূর্ণভাবে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। Grete প্রথমে সহানুভূতিশীল, কিন্তু ধীরে ধীরে বিরক্ত হয়ে ওঠে। Mrs. Samsa স্নেহশীল হলেও ভীরু এবং অসহায়। Mr. Samsa রাগী, আক্রমণাত্মক এবং Gregor–কে শত্রুর মতো দেখে। Chief Clerk আর আসে না, কিন্তু তার উপস্থিতি Gregor–এর অফিস জীবনের দমননীতি মনে করিয়ে দেয়। Kafka এখানে দেখিয়েছেন, একজন মানুষ যখন পরিবার ও সমাজের জন্য আর লাভজনক নয়, তখন সবাই ধীরে ধীরে তাকে উপেক্ষা করে, এমনকি আক্রমণ করে। Gregor–এর রূপান্তর আসলে আধুনিক জীবনের অমানবিকতা ও নিঃসঙ্গতার প্রতীক।)
Part III – Decline and Death (অবক্ষয় ও মৃত্যু)
Part II–এর শেষে আমরা দেখেছি Gregor Samsa (গ্রেগর সাম্সা) তার বাবার ছোড়া আপেল আঘাতে গুরুতর আহত হয়। এই আঘাত তার শরীরে থেকে যায়। এখন শুরু হয় তার জীবনের শেষ অধ্যায়, অবক্ষয় ও মৃত্যু।
পরিবারের নতুন অবস্থা: বাবার আক্রমণের পর থেকে Gregor Samsa (গ্রেগর সাম্সা) ভীষণ দুর্বল হয়ে পড়ে। তার পিঠে গেঁথে থাকা আপেল একসময় পচে যেতে শুরু করে। ক্ষত শুকায় না, বরং ক্রমে আরও জটিল হয়ে ওঠে। প্রতিদিন সে সেই ব্যথা নিয়ে বেঁচে থাকে। তার শরীর ক্ষীণ হয়, চলাফেরার ক্ষমতা প্রায় হারিয়ে ফেলে। Gregor ধীরে ধীরে একেবারে অসহায় হয়ে যায়। এদিকে বাইরের পৃথিবীতে তার পরিবার নতুনভাবে নিজেদের গুছিয়ে নিতে থাকে। Gregor একসময় পরিবারের প্রধান উপার্জনকারী ছিল, কিন্তু এখন সে সম্পূর্ণ অক্ষম। তাই সংসার চালানোর জন্য প্রত্যেককে কাজ ধরতে হয়।
- Mr. Samsa (মিস্টার সাম্সা): আগে তিনি কাজ করতেন না। Gregor–এর আয়ের উপর নির্ভর করতেন। কিন্তু এখন তিনি আবার কাজে যোগ দেন। তিনি ব্যাংকে চাকরি নেন। প্রতিদিন ভোরে অফিসে যান এবং রাতে ক্লান্ত শরীরে বাড়ি ফেরেন। তার চেহারায় এক ধরনের কঠোরতা এবং শৃঙ্খলা দেখা দেয়। Gregor–এর বাবার এই পরিবর্তন দেখায়, কীভাবে পারিবারিক দায়িত্ব মানুষকে নতুনভাবে গড়ে তোলে।
- Mrs. Samsa (মিসেস সাম্সা): তিনি গৃহিণীর সীমা ছেড়ে অর্থ উপার্জনের কাজে যুক্ত হন। ঘরে বসেই তিনি সেলাই করতে শুরু করেন। কাপড় মেরামত ও সেলাই করে সামান্য টাকা রোজগার করেন। কিন্তু এতে তিনি শারীরিকভাবে ভীষণ ক্লান্ত হয়ে পড়েন। তার দুর্বল দেহ এই কাজের জন্য উপযুক্ত ছিল না, তবুও সংসারের জন্য তিনি শ্রম দিতে বাধ্য হন।
- Grete Samsa (গ্রীট): আগে সে ছিল কিশোরী, চিন্তামুক্ত জীবন যাপন করত। এখন তাকে সেলসগার্ল হিসেবে কাজ করতে হয়। প্রতিদিন সকালে বের হয়, রাতে ক্লান্ত হয়ে বাড়ি ফেরে। শুরুতে সে ভাই Gregor–এর যত্ন নিত, কিন্তু কাজের চাপ এবং নিজের জীবনের ক্লান্তি তাকে বদলে দেয়। ধীরে ধীরে তার সহানুভূতি কমে আসে। Gregor–কে সে আর মানুষ হিসেবে ভাবে না, বরং বোঝা হিসেবে দেখতে শুরু করে। এভাবে পরিবার ধীরে ধীরে নতুন জীবনে মানিয়ে নিতে থাকে। তারা বাইরে থেকে স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে শুরু করলেও Gregor–এর ঘর ভেতরে ভরে থাকে নিস্তব্ধতা, যন্ত্রণা এবং বিচ্ছিন্নতায়।
Gregor বুঝতে পারে, তার পরিবার এখন আর তাকে প্রয়োজন মনে করে না। তারা নিজেদের কাজে ব্যস্ত। সংসারের হিসাব–নিকাশ, আয়–ব্যয়ের চাপ, কাজের ক্লান্তি, সব মিলিয়ে Gregor–এর প্রতি তাদের মনোযোগ কমে আসে। সে পরিবারের কাছে এখন কেবল একটি অপ্রয়োজনীয় বোঝা। Kafka এখানে দেখিয়েছেন, কীভাবে একসময় পরিবারের ভরসা হয়ে ওঠা Gregor–কে তারা ধীরে ধীরে এড়িয়ে চলে। অর্থনৈতিক প্রয়োজনে সবাই নতুন দায়িত্ব নিলেও আবেগীয়ভাবে তারা Gregor–কে ত্যাগ করে। এটি আধুনিক সমাজে অসহায়, অক্ষম মানুষকে অবহেলার নির্মম বাস্তবতা প্রতিফলিত করে।
আরো পড়ুনঃ The Outsider Bangla Summary – বাংলায়
ভাড়াটে ভদ্রলোকেরা: Gregor Samsa (গ্রেগর সাম্সা)–এর অক্ষমতা পরিবারকে অর্থনৈতিক সংকটে ফেলে দেয়। একসময় যে পরিবার Gregor–এর উপার্জনের উপর নির্ভর করত, এখন তাকে সামলাতে গিয়ে আরও সমস্যায় পড়ে। সংসারের খরচ চালানোর জন্য বাবা Mr. Samsa, মা Mrs. Samsa, আর বোন Grete Samsa (গ্রীট) সবাইকে কাজ ধরতে হয়। তবুও তাদের আয় যথেষ্ট হয় না। অর্থনৈতিক চাপ সামলাতে পরিবার সিদ্ধান্ত নেয় বাড়ির একটি অংশ তিনজন ভাড়াটে ভদ্রলোক (lodgers)–এর কাছে ভাড়া দেওয়ার। এরা গম্ভীর, রূঢ়, এবং খুঁতখুঁতে মানুষ। তাদের চলাফেরা, খাওয়া–দাওয়া, এমনকি পরিবারের আচরণেও কঠোর নিয়ন্ত্রণ থাকে।
ভাড়াটেরা বাড়িতে আসার পর পরিবারের পরিবেশ একেবারে বদলে যায়। এখন বাড়ির প্রতিটি কোণে ভাড়াটেদের আধিপত্য দেখা যায়। তারা খাওয়ার সময় টেবিলে নিয়মকানুন চাপিয়ে দেয়। ছোটখাটো বিষয়ে অভিযোগ তোলে। তাদের উপস্থিতি পুরো পরিবারকে সব সময় সজাগ ও ভীত করে রাখে। Gregor–এর ঘর এখন পরিবারের কাছে এক বিশাল লজ্জার কারণ। ভাড়াটেরা যদি কোনোভাবে Gregor–কে দেখে ফেলে, তবে তারা ভয় পাবে, ক্ষুব্ধ হবে এবং হয়তো ভাড়া দেবে না। তাই পরিবার চেষ্টা করে Gregor–কে আড়াল করে রাখতে। তার ঘর বন্ধ রাখা হয়, দরজায় কেউ ঢোকে না, যেন Gregor নেইই। এখানে Gregor–এর অস্তিত্বকে তারা পুরোপুরি গোপন করতে চায়। তার জীবন আর পরিবারের কাছে মূল্যবান নয়, বরং এক ধরনের বোঝা। পরিবারের চোখে Gregor এখন শুধু এক ভয়ঙ্কর প্রাণী, যাকে লুকিয়ে রাখলেই তারা বাঁচবে।
Kafka এই অংশে সমাজের ভণ্ডামি ও স্বার্থপরতার প্রতিচ্ছবি তুলে ধরেছেন। ভাড়াটেরা হলো বাইরের দুনিয়ার প্রতীক, যারা শুধু অর্থ ও সুবিধা দেখে। পরিবার তাদের সামনে সুন্দর, শৃঙ্খল জীবন দেখাতে চায়, আর Gregor–এর মতো অক্ষম সদস্যকে গোপন করে রাখে। Gregor–এর জন্য লজ্জা, অপরাধবোধ ও ঘৃণাই এখন পরিবারের মূল মনোভাব। এইভাবে ভাড়াটে ভদ্রলোকেরা Gregor–এর সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্নতা ও অপ্রয়োজনীয়তা আরও স্পষ্ট করে তোলে।
Gregor–এর অবস্থার অবনতি: সময়ের সঙ্গে সঙ্গে Gregor Samsa (গ্রেগর সাম্সা)–এর শরীর ও মন দুই–ই ভেঙে পড়ে। আগে অন্তত কিছুটা নড়াচড়া করতে পারত, দেয়ালে উঠত, ছাদে ঝুলত। এতে তার ভেতরে জীবনের প্রতি সামান্য টানটুকু বজায় থাকত। কিন্তু এখন সে আর কোনো শক্তি পায় না। Gregor প্রায় সারাক্ষণই বিছানায় পড়ে থাকে। তার পা দুর্বল হয়ে গেছে, খোলস শুকিয়ে গেছে। শরীরে যে ক্ষত লেগেছিল, তা আর সারে না। ফলে প্রতিদিন সে যন্ত্রণার মধ্যে কাতরাতে থাকে।
খাবারের প্রতিও Gregor–এর আগ্রহ হারিয়ে যায়। একসময় বাসি আর পচা খাবার খেয়ে স্বস্তি পেত, কিন্তু এখন সেগুলিও তার কাছে অর্থহীন মনে হয়। সে ক্ষুধার্ত হলেও খেতে চায় না। ফলে তার শরীর আরও শুকিয়ে যায়, কঙ্কালসার হয়ে ওঠে। Gregor–এর জীবনে এখন একমাত্র সঙ্গ হলো শব্দ। সে দরজা ভেদ করে পরিবারের কথা শোনে। মা–বাবা আর বোন একসঙ্গে খায়, গল্প করে, হাসাহাসি করে। কখনও ভাড়াটে ভদ্রলোকদের সঙ্গে কথা বলে। বাইরে থেকে সব শব্দ Gregor–এর কানে আসে, কিন্তু সেই আনন্দের জগতে তার কোনো স্থান নেই।
Gregor ভালোভাবেই বুঝতে পারে, সে আর পরিবারের অংশ নয়। তারা তাকে সম্পূর্ণভাবে এড়িয়ে চলেছে। সে শুধু ঘরের অন্ধকার কোণে পড়ে থেকে বাইরের জীবন কল্পনা করে। তার অস্তিত্ব এখন একেবারেই বিচ্ছিন্ন। Kafka এই অবনতিকে প্রতীকী করে তুলেছেন। Gregor–এর শরীরের ধীরে ধীরে শুকিয়ে যাওয়া আসলে তার মানসিক ভাঙন এবং পরিবার–সমাজ থেকে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ার প্রতীক।
বোনের সঙ্গীত: একদিন রাতে পরিবারের সবাই খাওয়া শেষ করার পর Grete Samsa (গ্রীট) তার প্রিয় বাদ্যযন্ত্র ভায়োলিন বাজাতে শুরু করে। ঘরে বসে থাকা তিনজন ভাড়াটে ভদ্রলোক খাওয়া শেষ করে টেবিলে বসে সঙ্গীত শোনে। তারা বেশ গম্ভীরভাবে বসে থাকে, যেন কোনো কনসার্টে এসেছে। Gregor Samsa (গ্রেগর সাম্সা) ঘরের ভেতর শুয়ে ছিল। দরজা ভেদ করে ভায়োলিনের সুর তার কানে আসে। সেই সুর Gregor–এর অন্তরে গভীর আবেগ জাগিয়ে তোলে। বহুদিন পর তার প্রাণে এক ধরনের শান্তি আসে।
Gregor ভাবে, এই পৃথিবীতে যদি কেউ তার পাশে থেকেছে তবে সেটা Grete। সে মনে করে, বোনের সঙ্গীত শুধু শব্দ নয়, বরং তার আত্মার জন্য সান্ত্বনা। সে ভাবে, যদি Grete বাজাতে থাকে, তবে সে আরও শান্তি পাবে। তার মনে হয়, Grete–এর ভায়োলিন বাজানোই তাকে জীবনের শেষ সময়ে মানুষের সঙ্গে এক অদ্ভুত সংযোগ দিচ্ছে। এই আবেগে ভেসে Gregor ধীরে ধীরে দরজা ঠেলে ঘরে প্রবেশ করে। সে বোনের কাছে যেতে চায়, যেন বলতে পারে, “তুমিই আমার আশা, তুমিই আমার সান্ত্বনা।” কিন্তু Gregor ভুলে যায় যে তার চেহারা আর মানুষসুলভ নয়।
ভাড়াটেরা হঠাৎ Gregor–কে দেখে আতঙ্কিত হয়ে চিৎকার করে ওঠে। তারা ভয়ে চেয়ার ঠেলে উঠে দাঁড়ায়। কারও চোখে ঘৃণা, কারও মুখে ভয়। তাদের কাছে Gregor এক ভয়ঙ্কর পোকা ছাড়া কিছু নয়। তারা তৎক্ষণাৎ ঘোষণা করে, তারা আর এই বাড়িতে থাকবে না। তারা ভাড়া দেবে না। এতে পরিবার আরও বড় আর্থিক সমস্যায় পড়ে। পরিবার যেভাবে কষ্ট করে ভাড়াটেদের খুশি রেখেছিল, সবই মুহূর্তে ভেঙে যায়।
Gregor এই দৃশ্য দেখে হতবাক হয়। তার কাছে Grete–এর সঙ্গীত ছিল জীবনের শেষ আলো, কিন্তু ভাড়াটেদের প্রতিক্রিয়ায় সেই আলোও ম্লান হয়ে যায়। তার মনে হয়, এখন সে পুরোপুরি বোঝা, যার কারণে পরিবার বিপদে পড়ছে। Kafka এখানে দেখিয়েছেন, সঙ্গীত Gregor–এর মানবিক আবেগ ও আত্মার প্রতীক। Grete–এর ভায়োলিন বাজানো Gregor–এর কাছে আশা হয়ে আসে। কিন্তু ভাড়াটেদের প্রতিক্রিয়া সমাজের নির্মমতা ও অমানবিকতা প্রকাশ করে। তারা শিল্প উপভোগ করে, কিন্তু শিল্পীর প্রতি সহানুভূতি দেখায় না। এই দৃশ্যে Gregor–এর একাকিত্ব আরও গভীর হয়। তার শেষ আশ্রয়ও ভেঙে পড়ে।
Grete–এর সিদ্ধান্ত: ভায়োলিন বাজানোর ঘটনার পর Gregor Samsa (গ্রেগর সাম্সা) ভেবেছিল, অন্তত বোন Grete Samsa (গ্রীট) তাকে বুঝবে। কিন্তু ঘটনা ঘটে তার উল্টো। Grete এখন আর আগের মতো Gregor–এর যত্ন নিতে চায় না। কাজের ক্লান্তি, সংসারের চাপ এবং ভাইকে ঘিরে ক্রমাগত লজ্জা ও অসুবিধা তাকে বদলে দিয়েছে। Gregor ভায়োলিনের সুর শুনে আবেগে ভেসে ঘরে ঢুকলেও Grete বিরক্তি ও রাগে ফেটে পড়ে। সে মনে করে, Gregor–এর উপস্থিতি শুধু পরিবারের জন্য নয়, তাদের ভবিষ্যতের জন্যও বিপদ। ভাড়াটেদের সামনে Gregor আসায় তারা ভয়ে বাড়ি ছেড়ে দেওয়ার ঘোষণা করে। এতে পরিবার আরও সমস্যায় পড়ে। এই অবস্থায় Grete আর চুপ থাকে না।
সে সবার সামনে ঘোষণা করে, এটা আর তাদের Gregor নয়। যদি এটা সত্যিই Gregor হতো, তবে এতদিনে সে তাদের জন্য বোঝা হয়ে থাকত না। সে নিজে থেকেই চলে যেত। এই কথাগুলো ছিল নির্মম। Gregor শুনতে পাচ্ছিল প্রতিটি শব্দ। একসময় যে বোন তার একমাত্র যত্নশীল ছিল, সেই বোন এখন তাকে অস্বীকার করছে। Grete–এর ঘোষণার পর Mrs. Samsa (মিসেস সাম্সা) কেঁদে ফেলেন। তার মা–সুলভ হৃদয় Gregor–কে এখনও ছেলে হিসেবেই দেখে, কিন্তু তার অসহায় অবস্থায় কিছুই করতে পারেন না। তিনি শুধু কান্নায় ভেঙে পড়েন।
অন্যদিকে Mr. Samsa (মিস্টার সাম্সা) নীরব থাকেন। তার চোখে Gregor অনেক আগেই অপ্রয়োজনীয় হয়ে গেছে। তিনি কিছু বলেন না, কিন্তু নীরব সম্মতিই প্রমাণ করে যে তিনি মেয়ের কথাই সমর্থন করছেন। এই মুহূর্তে পরিবার স্পষ্ট করে দেয় যে তারা Gregor–কে সম্পূর্ণভাবে অগ্রাহ্য করেছে। তার প্রতি দায়িত্ব, ভালোবাসা বা সহানুভূতি আর নেই। এখন তাদের চোখে Gregor কেবল এক পোকা, এক বোঝা, যাকে সরিয়ে দেওয়া প্রয়োজন। Kafka এই দৃশ্যের মাধ্যমে দেখিয়েছেন, Gregor–এর প্রতি পরিবারের শেষ সেতুটিও ভেঙে গেল। একসময় যে বোন তার জন্য আশ্রয় ছিল, সেই বোনই এখন তার মৃত্যুর সিদ্ধান্তে নেতৃত্ব দিল। এটি Gregor–এর মানসিক ভাঙন ও নিঃসঙ্গতার চূড়ান্ত রূপ।
Gregor–এর মৃত্যু: Grete–এর কঠোর ঘোষণা শোনার পর Gregor Samsa (গ্রেগর সাম্সা) বুঝতে পারে, সে আর পরিবারের কাছে কোনো মূল্য রাখে না। যে বোন একসময় তার একমাত্র আশ্রয় ছিল, সেও এখন তাকে অস্বীকার করেছে। Gregor–এর মনে দৃঢ়ভাবে বসে যায় এই বোধ, সে আর মানুষ নয়, আর পরিবারের জন্য কোনো উপকারে আসছে না। বরং সে তাদের জীবনে বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছে। এই উপলব্ধি Gregor–এর অন্তরকে ভেঙে দেয়। সে আর কোনো প্রতিরোধ করার চেষ্টা করে না। পরিবারের কাছে নিজের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার জন্য আর সংগ্রাম করে না।
Gregor গভীর দুঃখ, ক্লান্তি এবং নিঃসঙ্গতার মধ্যে ধীরে ধীরে নিজের ঘরে ফিরে যায়। সে জানে, এটাই তার শেষ যাত্রা। তার শরীর আর শক্তি পায় না, পা কাঁপতে থাকে, শরীর ভারী মনে হয়। ঘরের অন্ধকার কোণে পৌঁছে সে নিঃশব্দে বিছানায় শুয়ে পড়ে। রাত কেটে যায়। পরিবারের কেউ Gregor–এর খোঁজ নিতে আসে না। চারপাশে শুধু নীরবতা। ভোরবেলা, ৩ মার্চের এক দিনে, Gregor–এর জীবন শেষ হয়ে যায়। কোনো হাহাকার নেই, কোনো শব্দ নেই, শুধু নিস্তব্ধ মৃত্যু। তার শরীর শুকিয়ে যায়, কঙ্কালসার হয়ে শূন্য ও নির্জীব দেহে পরিণত হয়।
Kafka এই মৃত্যু–দৃশ্যকে ভীষণ নিঃশব্দ এবং করুণভাবে উপস্থাপন করেছেন। Gregor–এর মৃত্যুতে পরিবারে শোক নয়, বরং স্বস্তি আসে। Gregor নিজে মৃত্যুকে বেছে নেয়নি, কিন্তু তার দুঃখ ও একাকিত্বই তাকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেয়। এখানে Gregor–এর মৃত্যু প্রতীক করে, পরিবারের জন্য তার চূড়ান্ত অপ্রয়োজনীয়তা। আধুনিক সমাজে এক মানুষ যখন আর কাজ করতে পারে না, তখন সে কত সহজেই অবহেলিত ও প্রত্যাখ্যাত হয়। মৃত্যুই তার নিঃসঙ্গ জীবনের একমাত্র মুক্তি।
পরিবারের মুক্তি: ভোরবেলা, যখন চারপাশে নিস্তব্ধতা, তখন Charwoman (বৃদ্ধা গৃহপরিচারিকা) Gregor–এর ঘরে ঢোকে। সে প্রতিদিনের মতো ঘর পরিষ্কার করার দায়িত্বে এসেছিল। কিন্তু ঘরে ঢুকে সে এক অদ্ভুত দৃশ্য দেখে হতবাক হয়ে যায়। Gregor বিছানায় নিস্তব্ধ পড়ে আছে। তার দেহ শুকিয়ে কঙ্কালসার, চোখ নিস্তেজ, প্রাণহীন। Gregor–এর মৃত্যু ঘটেছে। Charwoman তৎক্ষণাৎ পরিবারকে খবর দেয়। Mr. Samsa, Mrs. Samsa, আর Grete Samsa (গ্রীট) খবর শুনে ভিন্ন প্রতিক্রিয়া দেখালেও মূলত সবাই এক ধরনের স্বস্তি অনুভব করে। তারা শোক প্রকাশ করে না, কাঁদে না। বরং দীর্ঘদিনের এক ভয়ঙ্কর চাপ থেকে মুক্তির মতো তাদের চোখে শান্তি ফুটে ওঠে।
তারা ভাবে, এখন অবশেষে তাদের জীবন আবার নতুনভাবে শুরু করা যাবে। Gregor–এর যত্ন নেওয়ার ঝামেলা, লজ্জা আর আর্থিক বোঝা থেকে তারা মুক্ত হলো। অল্প সময়ের মধ্যেই খবর ছড়িয়ে পড়ে। তিনজন ভাড়াটে ভদ্রলোক, যারা আগের দিন Gregor–কে দেখে আতঙ্কে বাড়ি ছেড়ে দেওয়ার কথা বলেছিল, তারাও আর দেরি না করে বাড়ি ছেড়ে চলে যায়। পরিবার তাদের নিয়ে আর চিন্তা করে না। যেন Gregor–এর মৃত্যু সেই সমস্যারও সমাধান করে দিয়েছে। এরপর পরিবার ঠিক করে, তারা মুক্ত হাওয়া নিতে বাইরে যাবে। সবাই মিলে ট্রামে চড়ে শহরের বাইরে বেড়াতে যায়। অনেকদিন পর তারা একসঙ্গে আরাম করে বসে। চারপাশের দৃশ্য তাদের মনে নতুন প্রাণ জাগায়।
Mr. এবং Mrs. Samsa–র চোখে আবার আশা ফিরে আসে। তারা ভাবে, মেয়ে Grete এখন আর শিশু নেই। সে বড় হয়েছে, সুন্দরী ও পরিণত হয়েছে। তার ভবিষ্যৎ নিয়ে তারা নতুন করে পরিকল্পনা করতে শুরু করে। তারা সিদ্ধান্ত নেয়, Grete–এর জন্য শিগগিরই একটি উপযুক্ত বিয়ে খুঁজে বের করবে। এই মুহূর্তে Gregor–এর মৃত্যু পরিবারের কাছে শোক নয়, বরং নতুন জীবনের দ্বার। তার ত্যাগ, যন্ত্রণা, এবং নিঃসঙ্গ মৃত্যুর কোনো গুরুত্ব তারা আর দেয় না। বরং তারা তাকে ভুলে গিয়ে নিজেদের ভবিষ্যৎ সাজাতে শুরু করে। Kafka এখানে পরিবারের স্বস্তি ও উদাসীনতাকে নির্মমভাবে তুলে ধরেছেন।
- Gregor–এর মৃত্যু = পরিবারের বোঝা শেষ।
- ভাড়াটেদের চলে যাওয়া = বাইরের চাপ শেষ।
- ট্রামে যাত্রা = নতুন জীবনের প্রতীক।
- Grete–এর ভবিষ্যৎ = পরিবারের আশার প্রতীক।
(Part III – Decline and Death (অবক্ষয় ও মৃত্যু)–তে দেখা যায়, Gregor আঘাত, ক্ষুধা ও দুঃখে ধীরে ধীরে মৃত্যুর দিকে এগোয়। পরিবার তাকে সম্পূর্ণভাবে প্রত্যাখ্যান করে। ভাড়াটে ভদ্রলোকেরা সমাজের নির্মমতা ও স্বার্থপরতার প্রতীক। Grete Gregor–এর বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে তাকে আর ভাই হিসেবে স্বীকার করে না। অবশেষে Gregor মারা যায়। তার মৃত্যু পরিবারকে মুক্তি দেয় এবং তারা নতুন জীবনের স্বপ্ন দেখে। Kafka এখানে দেখিয়েছেন, যখন একজন মানুষ পরিবার বা সমাজের কাজে আসে না, তখন সবাই তাকে প্রত্যাখ্যান করে। Gregor–এর মৃত্যু করুণ, কিন্তু পরিবার সেটিকে মুক্তি হিসেবে দেখে। এটি আধুনিক জীবনের নির্মমতা, একাকিত্ব ও অমানবিকতার এক প্রতীকী কাহিনি।)
থিমসমূহ:
বিচ্ছিন্নতা এবং একাকিত্ব: উপন্যাসের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ থিম হলো বিচ্ছিন্নতা। Gregor Samsa পোকায় রূপান্তরিত হওয়ার পর শুধু পরিবার নয়, সমাজ থেকেও আলাদা হয়ে যায়। একসময় সে পরিবারের প্রধান উপার্জনকারী ছিল, সবাই তাকে প্রয়োজন মনে করত। কিন্তু রূপান্তরের পর তাকে লুকিয়ে রাখা হয়, ঘরে বন্দি রাখা হয়। কেউ তার সঙ্গে কথা বলে না। এমনকি প্রিয় বোন Grete–ও ধীরে ধীরে তাকে বোঝা হিসেবে দেখতে শুরু করে। Gregor–এর জানালার পাশে বসে বাইরের পৃথিবী দেখা তার একাকিত্বের গভীর প্রতীক।
পারিবারিক দায়িত্ব এবং ত্যাগ: Gregor তার পরিবারের দেনা শোধ করতে নিজের স্বপ্ন ও ইচ্ছাকে বিসর্জন দেয়। সে কঠোর পরিশ্রম করে, প্রতিদিন ভ্রমণ করে টাকা উপার্জন করে। কিন্তু যখন সে অক্ষম হয়ে যায়, পরিবার তার এই ত্যাগ ভুলে গিয়ে তাকে অবহেলা করে। Mr. Samsa আবার কাজ ধরেন, Mrs. Samsa সেলাই করতে শুরু করেন, Grete চাকরি নেয়। তারা নতুন করে জীবন গড়তে থাকে, কিন্তু Gregor–এর প্রতি কোনো কৃতজ্ঞতা রাখে না। এই থিম দেখায়, পরিবার প্রয়োজনে যতটা ভালোবাসা দেখায়, অপ্রয়োজনীয় হলে ততটাই অবহেলা করে।
মানবতার ক্ষয় এবং অমানবিকতা: Gregor–এর রূপান্তর শুধু তার শারীরিক অবস্থা নয়, মানুষের চোখে তার মানবীয় মর্যাদা হারানোর প্রতীক। পরিবার ধীরে ধীরে তাকে আর মানুষ হিসেবে দেখে না, বরং ঘৃণ্য এক পোকা হিসেবে গণ্য করে। বাবার আপেল নিক্ষেপ, মায়ের অজ্ঞান হওয়া, বোনের ঘোষণা, সবই Gregor–এর প্রতি অমানবিক আচরণের দৃষ্টান্ত। তার মৃত্যুতে পরিবার শোক প্রকাশ না করে বরং স্বস্তি পায়। এখানে Kafka দেখিয়েছেন, আধুনিক সমাজে মানুষ অক্ষম হলে তার প্রতি মানবিকতা হারিয়ে যায়।
পরিচয় সংকট: Gregor শুরুতে ভাবে, সে এখনও পরিবারের উপার্জনকারী এবং দায়িত্বশীল মানুষ। সে Chief Clerk–কে বোঝাতে চায় যে সে কাজে ফিরতে পারবে। কিন্তু শারীরিক রূপান্তর ও পরিবারের প্রতিক্রিয়ায় সে ধীরে ধীরে বুঝতে পারে, তার পরিচয় বদলে গেছে। সে আর ভাই, ছেলে বা কর্মচারী নয়, সে এখন কেবল একটি প্রাণী। তার ঘর স্টোররুমে পরিণত হয়, খাবার তাকে আবর্জনার মতো দেওয়া হয়। Gregor–এর সংগ্রাম আসলে মানুষের পরিচয় হারানোর যন্ত্রণা–র প্রতীক।
Quotes
- “Oh, God… what a strenuous career it is that I’ve chosen!” – (The Metamorphosis – Gregor Samsa, Part I)
Explanation (English): Gregor feels trapped in his job as a salesman. His work is full of stress, pressure, and no joy. It shows his early suffering even before his transformation.
বাংলা: “হায় ঈশ্বর, আমি যে পেশা বেছে নিয়েছি তা ভীষণ কষ্টকর আর কঠিন।”
ব্যাখ্যা: গ্রেগর তার চাকরিকে বোঝা মনে করে। তার কাজ কষ্ট ও চাপে ভরা, আনন্দহীন। রূপান্তরের আগেই তার দুঃখ শুরু হয়।
- “We have to try and get rid of it.” – (The Metamorphosis – Grete Samsa, Part II)
Explanation (English): Grete, once caring, rejects Gregor. She no longer calls him brother. Her words show cruelty and the family’s complete loss of love for Gregor.
বাংলা: “আমাদের ওটাকে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করতে হবে।”
ব্যাখ্যা: গ্রীট, যে একসময় যত্নশীল ছিল, এখন গ্রেগরকে ভাই হিসেবে মানে না। তার কথায় পরিবারের নিষ্ঠুরতা ও ভালোবাসার অভাব প্রকাশ পায়।
- “Gregor was shocked when he heard his own voice.” – (The Metamorphosis – Narrator, Part I)
Explanation (English): Gregor’s human voice turns into insect-like sounds. His family cannot understand him. It shows his loss of communication and human connection.
বাংলা: “Gregor নিজের কণ্ঠস্বর শুনে ভয় আর বিস্ময়ে হতবাক হয়ে যায়।”
ব্যাখ্যা: গ্রেগরের কণ্ঠস্বর কীটপতঙ্গের মতো হয়ে যায়। তার পরিবার তাকে বুঝতে পারে না। এতে তার মানবিক যোগসূত্র ও যোগাযোগ হারিয়ে যায়।
- “She brought him a whole selection of things, all spread out on an old newspaper.” – (The Metamorphosis – Narrator about Grete Samsa, Part II)
Explanation (English): Grete tries to care for Gregor by offering food. She tests his new tastes. This shows her initial kindness before her later rejection.
বাংলা: “সে পুরনো খবরের কাগজে নানা ধরনের খাবার সাজিয়ে Gregor-এর সামনে রাখে।”
ব্যাখ্যা: গ্রীট গ্রেগরের জন্য খাবার এনে তার নতুন রুচি বোঝার চেষ্টা করে। এতে তার প্রথম দিকের যত্নশীলতা প্রকাশ পায়, যা পরে হারিয়ে যায়।
- “It’s dead, just lying there, stone dead!” – (The Metamorphosis – The Charwoman, Part III)
Explanation (English): The cleaner finds Gregor’s dead body. Her cold words show how little value Gregor has at the end. His death brings no grief, only relief.
বাংলা: “ওটা মরে গেছে, স্রেফ পড়ে আছে, পুরোপুরি মৃত।”
ব্যাখ্যা: বৃদ্ধা গৃহপরিচারিকা গ্রেগরের মৃতদেহ খুঁজে পায়। তার ঠান্ডা ভাষা দেখায়, গ্রেগরের মৃত্যুতে কোনো শোক নেই, কেবল স্বস্তি।
- “One morning, when Gregor Samsa woke from troubled dreams, he found himself transformed in his bed into a horrible vermin.” – (The Metamorphosis – Narrator, Part I)
Explanation (English): The story opens with Gregor’s shocking change. The strange and sudden transformation sets the tragic and absurd tone of the novella.
বাংলা: “এক সকালে Gregor Samsa (গ্রেগর সাম্সা) দুঃস্বপ্ন দেখে ঘুম থেকে উঠে বুঝতে পারল, সে নিজের বিছানায় এক ভয়ংকর কীটপতঙ্গে রূপান্তরিত হয়েছে।”
ব্যাখ্যা: গল্পের শুরুতেই গ্রেগরের ভয়ংকর পরিবর্তন প্রকাশিত হয়। এই হঠাৎ রূপান্তর পুরো উপন্যাসের ট্র্যাজিক ও অদ্ভুত আবহ তৈরি করে।
- “I’ll open up immediately, just a moment. I’m slightly unwell.” – (The Metamorphosis – Gregor Samsa, Part I)
Explanation (English): Gregor, despite his insect body, tries to sound responsible. He wants to keep his job. His words show his sense of duty and denial of reality.
বাংলা: “আমি এখনই দরজা খুলছি, একটু সময় দিন। আমি সামান্য অসুস্থ।”
ব্যাখ্যা: কীটপতঙ্গে পরিণত হওয়ার পরও গ্রেগর দায়িত্বশীল শোনাতে চায়। সে চাকরি রক্ষা করতে চায়। তার কথা তার দায়িত্ববোধ আর বাস্তব অস্বীকারকে বোঝায়।
- “He was especially fond of hanging from the ceiling.” – (The Metamorphosis – Narrator, Part II)
Explanation (English): Gregor learns to enjoy his insect body. Hanging from the ceiling gives him freedom in his confined room. It is both comic and tragic.
বাংলা: “সে ছাদের সাথে ঝুলে থাকতে অনেক আনন্দ পেত।”
ব্যাখ্যা: গ্রেগর ধীরে ধীরে তার কীটপতঙ্গ শরীরে আনন্দ খুঁজে নেয়। ঘরের ভেতরে ছাদের সাথে ঝুলে থাকা তার কাছে মুক্তির অনুভূতি আনে। এটি একই সাথে হাস্যকর ও দুঃখজনক।
- “Had been left totally untouched.” – (The Metamorphosis – Narrator, Part III)
Explanation (English): Gregor’s room becomes dirty and neglected. No one cleans it anymore. This neglect shows his family’s rejection and his dehumanization.
বাংলা: “পুরো জায়গাটা একেবারেই অপরিষ্কার ও অবহেলিত অবস্থায় ফেলে রাখা হয়েছিল।”
ব্যাখ্যা: গ্রেগরের ঘর অবহেলিত ও অপরিষ্কার হয়ে যায়। কেউ আর যত্ন নেয় না। এতে তার পরিবারের অবহেলা ও তার মানবিক মর্যাদাহানি প্রকাশ পায়।
- “His sister, who had taken a sales job, learned shorthand and French.” – (The Metamorphosis – Narrator about Grete Samsa, Part III)
Explanation (English): Grete becomes independent after Gregor’s change. She takes a sales job and studies languages and shorthand. This shows her growth and transformation into adulthood.
বাংলা: “তার বোন পণ্য বিক্রয়ের একটি কাজ নিয়েছিল এবং শর্টহ্যান্ড ও ফরাসি ভাষা শিখেছিল।”
ব্যাখ্যা: গ্রীট গ্রেগরের পরিবর্তনের পর স্বাধীন হয়ে ওঠে। সে বিক্রির কাজ নেয় এবং শর্টহ্যান্ড ও ফরাসি শেখে। এতে তার প্রাপ্তবয়স্কতায় রূপান্তর বোঝা যায়।
- “What’s happened to me?” he thought. It wasn’t a dream.” – (The Metamorphosis – Gregor Samsa, Part I)
Explanation (English): Gregor realizes his shocking change into an insect. At first, he thinks it might be a dream. Soon, he understands it is real. This is the beginning of his tragedy.
বাংলা: “আমার কী হয়েছে, সে ভাবল। এটা কোনো স্বপ্ন নয়।”
ব্যাখ্যা: গ্রেগর বুঝতে পারে তার ভয়ংকর পরিবর্তন সত্যি। প্রথমে সে মনে করেছিল এটা স্বপ্ন। কিন্তু দ্রুতই সে বাস্তব মেনে নেয়। এটি তার ট্র্যাজেডির সূচনা।
আরো পড়ুনঃ A Doll’s House Bangla Summary
ভাষার অলংকার
- বিদ্রূপ (Irony): বিদ্রূপ ঘটে তখনই যখন প্রত্যাশিত ঘটনা আর বাস্তবে যা ঘটে, তার মধ্যে বিরাট অমিল থাকে। Gregor Samsa–এর ক্ষেত্রে বিদ্রূপ হলো, সে এত বছর পরিবারের জন্য নিজের স্বপ্ন ত্যাগ করে কঠোর পরিশ্রম করেছে। সবাইকে বাঁচানোর জন্য দিন–রাত চাকরি করেছে। কিন্তু যখন সে অসহায় হয়ে পড়ে, তখন পরিবারই তাকে অস্বীকার করে। তার মৃত্যুতেও পরিবার শোক পায় না, বরং স্বস্তি অনুভব করে। প্রভাব: এই বিদ্রূপ সমাজ ও পরিবারের স্বার্থপরতা তুলে ধরে এবং দেখায় মানুষকে তখনই মূল্য দেওয়া হয় যখন সে কার্যকর।
- রূপক (Metaphor): Kafka Gregor–এর পোকায় রূপান্তরকে সরাসরি রূপক হিসেবে ব্যবহার করেছেন। Gregor আসলে শারীরিকভাবে নয়, আগেই মানসিকভাবে পোকায় পরিণত হয়েছিল। একঘেয়ে চাকরির দাসত্ব, ব্যক্তিগত জীবনের অভাব, আর পরিবারের প্রতি অতিরিক্ত দায়িত্ব তাকে ধীরে ধীরে অমানবিক করে তুলেছিল। প্রভাব: এই রূপক শ্রমিক জীবনের দাসত্ব, আধুনিক মানুষের পরিচয়হীনতা এবং অস্তিত্ব সংকটকে গভীরভাবে ফুটিয়ে তোলে।
- প্রতীকবাদ (Symbolism)
- Gregor–এর রূপান্তর (The Transformation): Gregor–এর পোকায় পরিণত হওয়া শুধু শারীরিক পরিবর্তন নয়, বরং আধুনিক মানুষের দাসত্ব, কাজের চাপ, এবং পরিচয়হীনতার প্রতীক। সে পরিবার ও সমাজের চোখে মানুষ নয়, বরং কেবল শ্রম দেওয়ার যন্ত্র। যখন সে আর কাজে আসে না, তখন তাকে ত্যাগ করা হয়।
- দরজা (The Door): Gregor–এর ঘরের দরজা সর্বদা বন্ধ থাকে। এটি তার বন্দিত্ব, বিচ্ছিন্নতা এবং পরিবার–সমাজ থেকে আলাদা হয়ে যাওয়ার প্রতীক। দরজার ওপারে থাকে জীবনের কোলাহল, আর ভেতরে Gregor–এর নিঃসঙ্গতা।
- আপেল (The Apple): Mr. Samsa–র ছোড়া আপেল Gregor–এর শরীরে গেঁথে থাকে। এটি পরিবারের আঘাত, ঘৃণা ও অমোচনীয় প্রত্যাখ্যানের প্রতীক। ক্ষত শুকায় না, বরং Gregor–এর যন্ত্রণা ও মৃত্যু ত্বরান্বিত করে।
- আসবাবপত্র ও ছবি (Furniture and Picture): Gregor–এর ঘরে থাকা আসবাবপত্র এবং দেয়ালে ঝোলানো পশম–পরা মহিলার ছবি তার অতীত মানবজীবনের প্রতীক। যখন পরিবার আসবাব সরিয়ে দেয়, তখন বোঝা যায় তারা Gregor–কে আর মানুষ হিসেবে স্বীকৃতি দিচ্ছে না। ছবিটি আঁকড়ে ধরা ছিল Gregor–এর মানবিক পরিচয় আঁকড়ে রাখার শেষ চেষ্টা।
- ভায়োলিন (The Violin): Grete–এর ভায়োলিন বাজানো Gregor–এর জন্য সান্ত্বনা ও আশার প্রতীক। সে ভাবে, সঙ্গীত তাকে জীবনের সঙ্গে যুক্ত রাখবে। কিন্তু পরিবারের চোখে এটি হয়ে ওঠে Gregor–এর বিচ্ছিন্নতার প্রমাণ, কারণ ভাড়াটেরা তাকে দেখে আতঙ্কিত হয়ে বাড়ি ছাড়ে।
- Charwoman (বৃদ্ধা গৃহপরিচারিকা): Charwoman–এর চরিত্রও প্রতীকী। সে Gregor–কে মানুষ নয়, প্রাণী হিসেবেই দেখে, কিন্তু ভয় পায় না। সে সমাজের সেই দিককে প্রতিনিধিত্ব করে, যারা অদ্ভুত বা ভয়ঙ্কর জিনিসের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নেয়, কিন্তু সহানুভূতি দেখায় না।
Figures of Speech in The Metamorphosis
- Irony: Irony occurs when the expected outcome and the actual situation are completely opposite. In the case of Gregor Samsa, the irony lies in the fact that he sacrificed his own dreams for years and worked tirelessly for his family. He labored day and night to support everyone. But when he became helpless, it was his family who rejected him. Even in his death, they did not mourn, but rather felt relieved. Effect: This irony exposes the selfishness of family and society. It shows that people are valued only as long as they are useful.
- Metaphor: Kafka directly uses Gregor’s transformation into an insect as a metaphor. Gregor had already become insect-like mentally, even before his physical change. The boring slavery of his job, the lack of personal life, and the excessive burden of family responsibilities gradually dehumanized him. Effect: This metaphor highlights the slavery of labor, the loss of modern human identity, and the depth of existential crisis.
- Symbolism:
- The Transformation: Gregor’s change into an insect is not just a physical alteration. It is a symbol of modern man’s enslavement, work pressure, and loss of identity. In the eyes of family and society, he is no longer a man, but merely a machine for labor. When he can no longer work, he is discarded.
- The Door: The door of Gregor’s room is always shut. It symbolizes his imprisonment, isolation, and separation from family and society. On the other side of the door lies the noise of life, while inside is Gregor’s solitude.
- The Apple: The apple thrown by Mr. Samsa that embeds in Gregor’s body symbolizes the family’s aggression, hatred, and irreversible rejection. The wound never heals, accelerating Gregor’s suffering and death.
- Furniture and Picture: The furniture in Gregor’s room and the picture of the fur-clad woman on the wall represent his past human life. When the family removes the furniture, it shows they no longer acknowledge Gregor as human. Hugging the picture was Gregor’s final attempt to hold on to his human identity.
- The Violin: Grete’s violin music symbolizes hope and comfort for Gregor. He believes music will connect him to life again. But in the family’s eyes, it becomes proof of his alienation, since the lodgers flee the house in fear after seeing him.
- The Charwoman: The old charwoman’s character is also symbolic. She does not see Gregor as a man but as a mere creature, and yet she does not fear him. She represents that side of society that adapts to strange or terrifying things but shows no compassion.
Moral Lessons from The Metamorphosis
- Family should not abandon their own.
- Isolation kills the soul.
- Work without joy is slavery.
