The Outsider Bangla Summary – বাংলায়

The Outsider Bangla

সংক্ষিপ্ত জীবনী: অ্যালবার্ট কাম্যু (Albert Camus, 1913-1960)

অ্যালবার্ট কাম্যু ১৯১৩ সালের ৭ নভেম্বর ফরাসি উপনিবেশ আলজেরিয়ার মন্ডোভি শহরে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পুরো নাম ছিল Albert Camus। তিনি ছিলেন একজন খ্যাতিমান দার্শনিক, ঔপন্যাসিক, নাট্যকার এবং সাংবাদিক। কাম্যু ২০শ শতাব্দীর আধুনিক সাহিত্যের অন্যতম প্রধান লেখক হিসেবে বিবেচিত হন। তাঁর পরিবার ছিল দরিদ্র ফরাসি-আলজেরিয়ান। ছোটবেলায় পিতাকে হারান এবং মায়ের কাছে বড় হন। শৈশব থেকেই তিনি ছিলেন মেধাবী, সংবেদনশীল এবং সত্যের অনুসন্ধানী। আলজিয়ার্স বিশ্ববিদ্যালয়ে দর্শন ও সাহিত্য নিয়ে পড়াশোনা করেন। যৌবনে তিনি রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে সক্রিয় ছিলেন এবং দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় প্রতিরোধ আন্দোলনে যোগ দেন। সাংবাদিক হিসেবেও তিনি কলম ধরেন এবং মানবতার পক্ষে সোচ্চার ছিলেন। কাম্যু ব্যক্তিজীবন ছিল চিন্তা ও প্রশ্নে ভরা। তিনি জীবনে কয়েকটি প্রেমের সম্পর্কে জড়ান, কিন্তু মূলত তিনি ছিলেন অস্তিত্ববাদী ভাবনায় প্রভাবিত। তবে তিনি প্রচলিত অস্তিত্ববাদী দর্শনের সীমারেখা অতিক্রম করে নিজস্ব এক দার্শনিক অবস্থান “Absurdism” বা “অর্থহীনতার দর্শন” তুলে ধরেন। কাম্যুর রচনায় মানুষের নিঃসঙ্গতা, জীবনের অর্থহীনতা, বিদ্রোহ এবং মানবিক মূল্যবোধের প্রশ্ন উঠে এসেছে। তিনি বিশ্বাস করতেন, পৃথিবী মূলত অর্থহীন বা “Absurd”, তবে মানুষকে নিজের অর্থ তৈরি করতে হবে এবং ন্যায় ও মানবিকতার জন্য সংগ্রাম করতে হবে। তাঁর বিখ্যাত রচনাগুলোর মধ্যে রয়েছে:

  • The Stranger / The Outsider (১৯৪২) – নায়ক ম্যুরসো (Meursault)-এর জীবনের নিরাবেগতা ও সমাজের চোখে অপরাধবোধহীন অস্তিত্বকে কেন্দ্র করে রচিত। এটি মানব জীবনের অর্থহীনতা ও সমাজের বিচার নিয়ে প্রশ্ন তোলে।
  • The Myth of Sisyphus (১৯৪২) – দর্শনমূলক প্রবন্ধ, যেখানে তিনি “Absurdism”-এর ধারণা ব্যাখ্যা করেন। সিসিফাসের অনন্ত শাস্তির মাধ্যমে তিনি মানুষের অস্তিত্বের অর্থহীন সংগ্রামকে চিত্রিত করেছেন।
  • The Plague (১৯৪৭) – একটি শহরে প্লেগ রোগের মহামারীকে কেন্দ্র করে লেখা। এটি মানুষের কষ্ট, মৃত্যু এবং একসঙ্গে দাঁড়ানোর প্রতীক।
  • The Rebel (১৯৫১) – মানুষের বিদ্রোহী সত্তা ও স্বাধীনতার দর্শন নিয়ে লেখা একটি প্রবন্ধ।
  • The Fall (১৯৫৬) – নৈতিক দ্বন্দ্ব ও মানুষের ভণ্ডামি নিয়ে লেখা দার্শনিক উপন্যাস।

অ্যালবার্ট কাম্যু জীবদ্দশায়ই খ্যাতি অর্জন করেন। তিনি ১৯৫৭ সালে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন। তবে মাত্র ৪৬ বছর বয়সে, ১৯৬০ সালের ৪ জানুয়ারি, ফ্রান্সে এক সড়ক দুর্ঘটনায় তাঁর মৃত্যু হয়। আজও কাম্যু আধুনিকতাবাদী ও দার্শনিক সাহিত্যের অন্যতম মহান প্রতিভা হিসেবে স্বীকৃত। তাঁকে “Prophet of Absurd” এবং মানব স্বাধীনতার কণ্ঠস্বর হিসেবে অভিহিত করা হয়।

আরো পড়ুনঃ A Doll’s House Bangla Summary

Key Facts

  • Full Title: The Outsider (British English) / The Stranger (American English)
  • Original Title: L’Étranger (French)
  • Author: Albert Camus (1913–1960)
  • Title of the Author: French-Algerian Novelist, Essayist, Philosopher of Absurdism
  • Source: Inspired by Camus’ philosophy of the Absurd, his experience of growing up in colonial Algeria, and reflections on alienation, morality, and the indifference of the universe.
  • Written Time: 1940–1941 (During World War II, in France)
  • First Published: 1942 (by Éditions Gallimard, Paris, France)
  • Publisher: Éditions Gallimard (First edition in French)
  • Genre: Philosophical Novel / Modernist Fiction / Absurdist Literature / Existentialist Novel
  • Form: Novel, divided into 2 Parts (Part I – Meursault’s life before the murder; Part II – trial and execution).
  • Structure: Linear narrative with simple, direct prose; blends realism with philosophical symbolism; divided between events of life and events of judgment.
  • Tone: Detached, matter-of-fact, ironic, existential, bleak yet lucid.
  • Point of View: First-person (narrated by Meursault, the protagonist).
  • Significance: Landmark of modern philosophy and literature. It dramatizes Camus’ theory of the Absurd, the tension between humanity’s search for meaning and the silent indifference of the universe.
  • Language: French
  • Famous Line: “Mother died today. Or, maybe, yesterday; I can’t be sure.” (One of the most famous opening lines in world literature)
  • Setting:
  • Time Setting: Early 1940s (colonial French Algeria, contemporary to Camus’ own life).
  • Place Setting: Algiers, Algeria. Mainly Meursault’s apartment, the seashore, and the courthouse.

Key Notes – বাংলা

  • মূল নাম (Original Title) – L’Étranger: উপন্যাসটির ফরাসি মূল নাম হলো L’Étranger, যার অর্থ “The Stranger” বা “The Outsider।” এটি অ্যালবার্ট কাম্যু ১৯৪০–১৯৪১ সালে লেখেন এবং ১৯৪২ সালে ফ্রান্সের Éditions Gallimard থেকে প্রথম প্রকাশিত হয়।
  • The Outsider / The Stranger – নামের তাৎপর্য: “Stranger” বা “Outsider” মানে বহিরাগত বা সমাজ থেকে বিচ্ছিন্ন মানুষ। নায়ক ম্যুরসো (Meursault) সমাজের নিয়ম, মূল্যবোধ ও আবেগ থেকে আলাদা। তার মা–এর মৃত্যুতেও সে কোনো আবেগ দেখায় না। সে যেন সমাজের কাছে এক বহিরাগত।
  • Meursault–এর চরিত্র: ম্যুরসো একজন সাধারণ কর্মচারী, কিন্তু তার জীবনযাত্রা অত্যন্ত নিরাবেগ। সে প্রেমিকা ম্যারি (Marie), বন্ধু রেমন্ড (Raymond), এমনকি নিজের মায়ের মৃত্যুর প্রতিও উদাসীন। সমাজের চোখে তার এই নির্লিপ্ততা তাকে অপরাধীর চেয়েও বেশি দোষী করে তোলে।
  • Absurd দর্শন: এই উপন্যাসে কাম্যুর দর্শন “Absurdism” প্রতিফলিত হয়েছে। জীবনের কোনো চূড়ান্ত অর্থ নেই, কিন্তু মানুষকে তবুও বাঁচতে হবে এবং নিজের অর্থ খুঁজে নিতে হবে। ম্যুরসো মৃত্যুকে মেনে নিয়ে জীবনের অর্থহীনতাকে উপলব্ধি করে এক ধরনের শান্তি খুঁজে পায়।

Key Notes – English

  • Original Title – L’Étranger: The original French title of the novel is L’Étranger, which means “The Stranger” or “The Outsider.” Albert Camus wrote it during 1940–1941, and it was first published in 1942 by Éditions Gallimard in France.
  • The Outsider / The Stranger – Significance of the Title: “Stranger” or “Outsider” refers to a person who is detached or alienated from society. The protagonist Meursault is cut off from social norms, values, and emotions. He shows no grief even at his mother’s death. To society, he appears as an outsider.
  • Character of Meursault: Meursault is an ordinary office worker, but his lifestyle is strikingly detached. He is indifferent toward his lover Marie, his friend Raymond, and even his own mother’s death. In the eyes of society, this indifference makes him more guilty than his actual crime.
  • Absurd Philosophy: This novel reflects Camus’s philosophy of “Absurdism.” Life has no ultimate meaning, yet man must continue to live and create his own meaning. By accepting death and realizing life’s meaninglessness, Meursault discovers a kind of peace.

The Outsider – Background (বাংলায়)

অ্যালবার্ট কাম্যু ১৯৪০–৪১ সালে The Outsider (L’Étranger) লেখেন। এটি ১৯৪২ সালে ফ্রান্সে প্রথম প্রকাশিত হয়।

এই রচনার প্রেরণা আসে কাম্যুর দর্শন Absurdism থেকে। তিনি বিশ্বাস করতেন, পৃথিবী অর্থহীন, কিন্তু মানুষ অর্থ খুঁজে নিতে চায়। কাম্যুর আলজেরিয়ান জীবনের অভিজ্ঞতা, উপনিবেশিক বাস্তবতা, ও ফরাসি সমাজের কপটতা এই উপন্যাসে প্রতিফলিত হয়েছে। নায়ক ম্যুরসো সমাজ থেকে বিচ্ছিন্ন এবং আবেগহীন। তার মা–এর মৃত্যুর সময় কান্না না করায়, সমাজ তাকে অপরাধী মনে করে। উপন্যাসে হত্যাকাণ্ড ঘটলেও মূল বিচার চলে ম্যুরসোর চরিত্র ও আচরণ নিয়ে। এটি দেখায়, সমাজ আবেগ ও ভণ্ড নৈতিকতাকে আইন থেকেও বেশি মূল্য দেয়। কাম্যুর “Absurd” দর্শন এখানে স্পষ্ট – জীবনের কোনো চূড়ান্ত অর্থ নেই। তবু মৃত্যুর মুখোমুখি হয়ে ম্যুরসো এক ধরনের শান্তি ও স্বাধীনতা অনুভব করে। The Outsider প্রকাশের পর থেকেই আধুনিক সাহিত্য ও দর্শনে এটি এক মাইলফলক।

চরিত্রসমূহ

প্রধান চরিত্রসমূহ (Major Characters)

  • Meursault (ম্যুরসো): উপন্যাসের নায়ক ও বর্ণনাকারী। একজন সাধারণ অফিসকর্মী। সে আবেগহীন এবং সমাজের চোখে বিচ্ছিন্ন মানুষ। মায়ের মৃত্যুতে কোনো শোক প্রকাশ করে না। সমুদ্রতটে এক আরব যুবককে হত্যা করে। বিচারালয়ে তার অপরাধের চেয়ে তার উদাসীনতাই বড় হয়ে ওঠে। তার চরিত্র “Absurd” দর্শনের প্রতীক।
  • Marie Cardona (ম্যারি কার্ডনা): ম্যুরসোর প্রেমিকা। সে আনন্দপ্রিয় ও ভালোবাসায় ভরা। মায়ের মৃত্যুর পরদিনই ম্যুরসোর সঙ্গে সিনেমায় যায় এবং সাঁতার কাটে। সে ম্যুরসোকে বিয়ের প্রস্তাব দেয়। কিন্তু ম্যুরসো তার প্রতি গভীর আবেগ দেখায় না। তার চরিত্র মানবিক চাহিদা ও সাধারণ জীবনের প্রতীক।
  • Raymond Sintès (রেমন্ড সান্তেস): ম্যুরসোর প্রতিবেশী ও বন্ধু। সন্দেহজনক চরিত্র, অনেকের মতে সে একজন দালাল। সে তার প্রাক্তন প্রেমিকাকে নির্যাতন করে। আরব যুবকটি তার প্রেমিকার ভাই। ম্যুরসো তার সঙ্গেই সমুদ্রতটে যায় এবং শেষে হত্যাকাণ্ড ঘটে। তার চরিত্র সমাজের হিংস্রতা ও কপটতার প্রতীক।
  • The Arab (আরব যুবক): রেমন্ড–এর প্রাক্তন প্রেমিকার ভাই। রেমন্ডকে আঘাত করতে চেয়েছিল। সমুদ্রতটে ম্যুরসোর হাতে নিহত হয়। তার উপস্থিতি কাহিনির মোড় ঘুরিয়ে দেয়।

গৌণ চরিত্রসমূহ (Minor Characters)

  • Meursault’s Mother (ম্যুরসোর মা): উপন্যাসের শুরুতেই মারা যান। তার মৃত্যু ও অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় ম্যুরসোর আচরণ উপন্যাসের মূল বিচারবিষয়।
  • থমাস পেরেজ (Thomas Pérez): ম্যুরসোর মায়ের ঘনিষ্ঠ বন্ধু। তিনি শেষকৃত্যে অংশ নেন এবং শোকে ভেঙে পড়েন। তাঁর চরিত্র আবেগ ও মানবিকতার প্রতীক, যা ম্যুরসোর নিরাবেগতার বিপরীত।
  • এমানুয়েল (Emmanuel): ম্যুরসোর অফিস–সহকর্মী। মাঝে মাঝে তার সঙ্গে সময় কাটায় (যেমন সিনেমায় যাওয়া)। তবে কাহিনিতে তার ভূমিকা ছোট।
  • The Magistrate (বিচারক): ম্যুরসোর মামলার বিচারক। সে ধর্মীয় প্রশ্ন করে এবং ম্যুরসোর নাস্তিক মানসিকতাকে অগ্রহণযোগ্য মনে করে।
  • The Prosecutor (অভিযোগপক্ষের আইনজীবী): ম্যুরসোর বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নেয়। মায়ের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় ম্যুরসোর নির্লিপ্ত আচরণকে তার অপরাধ প্রমাণের যুক্তি হিসেবে ব্যবহার করে।
  • The Defense Lawyer (পক্ষের আইনজীবী): ম্যুরসোর পক্ষ নিয়ে কথা বলে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তাকে মৃত্যুদণ্ড থেকে রক্ষা করতে পারে না।
  • The Chaplain (পাদ্রি): ম্যুরসোর কাছে ধর্মে ফিরে আসার আবেদন করে। কিন্তু ম্যুরসো ধর্ম প্রত্যাখ্যান করে এবং জীবনের অর্থহীনতাকে মেনে নেয়।
  • সেলেস্ট (Céleste): রেস্তোরাঁ–মালিক, যেখানে ম্যুরসো প্রায়ই খেতে যায়। সে মায়ের মৃত্যুর সময় ম্যুরসোকে সান্ত্বনা দেয়। তার চরিত্র মানবিক দৃষ্টিভঙ্গির ছোট্ট প্রতীক।
  • Salamano (সালামানো): ম্যুরসোর বৃদ্ধ প্রতিবেশী। সবসময় তার অসুস্থ ও কুৎসিত কুকুর নিয়ে দেখা যায়। কুকুরের ওপর সে অত্যাচার করলেও কুকুর হারিয়ে গেলে ভীষণ কষ্ট পায়। তার চরিত্র মানব–প্রকৃতির দ্বন্দ্ব, একাকিত্ব ও নির্ভরশীলতার প্রতীক।
  • Masson (মাসোঁ): রেমন্ড সান্তেস এর বন্ধু। সমুদ্রতটে তার বাড়িতেই ম্যুরসো ও রেমন্ড সান্তেস বেড়াতে যায়। মাসোঁ খোলামেলা ও অতিথিপরায়ণ মানুষ। কিন্তু সমুদ্রতটেই সংঘাত ঘটে এবং আরব যুবক নিহত হয়।

বাংলা সামারি

Meursault এর মায়ের মৃত্যু: গল্পের প্রধান চরিত্র Meursault (ম্যুরসো) একজন ত্রিশ বছরের যুবক। সে এই উপন্যাসের নায়ক এবং গল্পের বর্ণনাকারী। সে Algiers (অ্যালজিয়ার্স) শহরে থাকে। একদিন সে একটি টেলিগ্রাম পায়। টেলিগ্রামে লেখা ছিল, তার মা মারা গেছেন। খবরটি পেয়ে সে যাত্রার প্রস্তুতি নেয়। তার মা অনেকদিন ধরে Marengo (মারেঙ্গো) নামক বৃদ্ধাশ্রমে থাকতেন। ম্যুরসো সেখানে যাওয়ার জন্য বাসে ওঠে। বাসে তার বারবার ঘুম পেয়ে যায়। রাস্তায় ক্লান্তি তাকে গ্রাস করে।

বৃদ্ধাশ্রমে পৌঁছে সে ডিরেক্টরের সঙ্গে দেখা করে। ডিরেক্টর জানায়, তার মায়ের লাশ ইতিমধ্যেই কফিনে রাখা হয়েছে। কফিন সিল করে দেওয়া হয়েছে। কেয়ারটেকার কফিন খুলতে চাইলে Meursault (ম্যুরসো) রাজি হয় না। সেই রাতটি সে কফিনের পাশে কাটায়। কেয়ারটেকারও সেখানে ছিল। কেয়ারটেকার অনেক কথা বলছিল। এতে ম্যুরসো বিরক্ত হয়। তবে সে কোনো আবেগ দেখায় না। সারারাত সে কফি খায়, সিগারেট টানে।

রাত ভোর হয়। পরদিন সকালে ম্যুরসোর আবার ডিরেক্টরের সঙ্গে কথা হয়। ডিরেক্টর জানায়, মায়ের ঘনিষ্ঠ বন্ধু Thomas Pérez (থমাস পেরেজ) শবযাত্রায় যোগ দেবেন। এই বৃদ্ধ একসময় মায়ের সঙ্গী ছিলেন। শবযাত্রা শুরু হয়। ছোট্ট গ্রামীণ এলাকায় ফিউনারেল অনুষ্ঠিত হয়। প্রচণ্ড রোদ ও তাপে যাত্রাটি কষ্টকর হয়ে ওঠে। Thomas Pérez (থমাস পেরেজ) হাঁটতে হাঁটতে হাঁপিয়ে ওঠেন। তিনি প্রায় অজ্ঞান হয়ে পড়েন। রোদের তাপ যেন সবকিছু গ্রাস করেছিল।

Meursault (ম্যুরসো) নিজেও ক্লান্ত বোধ করে। তার কাছে দিনটি দীর্ঘ ও অস্পষ্ট মনে হয়। পরে সে জানায়, ফিউনারেলের খুব অল্প কিছু ঘটনাই তার মনে আছে। সূর্যের আলো ও তাপই তার স্মৃতিতে বেশি জায়গা করে নেয়। পুরো ঘটনায় ম্যুরসো কোনো আবেগ প্রকাশ করে না। মায়ের মৃত্যু তাকে দুঃখ দেয় না। শবযাত্রা শেষে, রাতেই সে ফিরে আসে। শান্ত ও উদাসীন মনে সে আবার Algiers (অ্যালজিয়ার্স) শহরে নিজের বাসায় ফিরে যায়।

(এই ঘটনাটি উপন্যাসের শুরুতেই ম্যুরসোর চরিত্রকে স্পষ্ট করে তোলে। সে অন্যদের মতো শোক প্রকাশ করে না। তার আচরণ নিরাবেগ, স্বাভাবিক এবং উদাসীন। মায়ের মৃত্যু তার কাছে জীবনের আরেকটি ঘটনা মাত্র। এই মনোভাবই সমাজের চোখে তাকে আলাদা করে। এখান থেকেই “Outsider” পরিচয়ের সূত্রপাত।)

Meursault এর দৈনন্দিন জীবন: মায়ের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ার পরদিনই Meursault (ম্যুরসো) সমুদ্র সৈকতে যায়। সে জলে সাঁতার কাটে। প্রকৃতির সান্নিধ্যে কিছুটা আনন্দ খুঁজে পায়। সেখানে তার দেখা হয় এক পুরনো সহকর্মীর সঙ্গে। এই সহকর্মীর নাম Marie Cardona (ম্যারি কার্ডনা)। তারা একসাথে সময় কাটায়। ম্যারি প্রাণবন্ত ও হাসিখুশি মেয়ে। সে ম্যুরসোকে পছন্দ করে। তারা দুজনেই সাগরের জলে সাঁতার কাটে, খেলাধুলা করে, হাসাহাসি করে। দিনটি তাদের জন্য আনন্দময় হয়ে ওঠে।

সন্ধ্যায় তারা একসাথে থিয়েটারে যায়। সেখানে একটি কমেডি মুভি দেখে। ছবির হালকা হাস্যরস তাদের মন ভরে দেয়। তবে আশ্চর্যের বিষয়, ম্যুরসোর আচরণ একেবারেই নিরাবেগ। সে যেন সবকিছু যান্ত্রিকভাবে করছে। মুভি শেষে তারা একসাথে রাত কাটায়। ম্যারি স্নেহ ও ভালোবাসায় ভরা। কিন্তু ম্যুরসো তেমন কোনো আবেগ দেখায় না। সকালে ঘুম থেকে উঠে সে দেখে, ম্যারি চলে গেছে। সেদিন দুপুর পর্যন্ত সে বিছানায় শুয়ে থাকে। কোনো কাজ করে না। বিকেলে সে নিজের বারান্দায় বসে। সারাদিন অলসভাবে রাস্তার মানুষদের দিকে তাকিয়ে থাকে। গাড়ি চলাচল, মানুষের হাঁটা, বাজারের ভিড়, এসবই তার কাছে নিছক দৃশ্যমাত্র। তার মনোযোগে কোনো গভীরতা নেই।

এরপরের দিন সোমবার। ম্যুরসো আবার কাজে যোগ দেয়। অফিসে তার সহকর্মী Emmanuel (এমানুয়েল) এর সঙ্গে লাঞ্চ করে। বিকেলটা কাটে একেবারে স্বাভাবিক রুটিনে। রাতে বাসায় ফেরার সময় সিঁড়িতে তার দুই প্রতিবেশীর সঙ্গে দেখা হয়। প্রথমজন Salamano (সালামানো)। তিনি একজন বৃদ্ধ মানুষ। সালামানোর জীবন তার অসুস্থ ও কুৎসিত কুকুরটিকে ঘিরেই আবর্তিত। তিনি কুকুরটির প্রতি প্রায়ই রূঢ় ব্যবহার করেন। কিন্তু কুকুর ছাড়া তার জীবন অসম্পূর্ণ মনে হয়। অন্য প্রতিবেশী হল Raymond Sintès (রেমন্ড সান্তেস)। তাকে নিয়ে নানা গুজব রয়েছে। অনেকে বলে সে একজন দালাল, পতিতাবৃত্তির সঙ্গে জড়িত। কিন্তু সে নিজেকে সাধারণ ব্যবসায়ী হিসেবে দাবি করে।

সেদিন রাতে রেমন্ড ম্যুরসোকে নিজের বাসায় ডিনারে দাওয়াত দেয়। খাওয়ার সময় রেমন্ড তার ব্যক্তিগত জীবনের কথা খুলে বলে। সে জানায়, তার এক মিস্ট্রেস ছিল। সে মেয়েটিকে অবিশ্বাসের অভিযোগে মারধর করেছে। রেমন্ড স্পষ্ট জানায়, সে মেয়েটিকে শায়েস্তা করেছে এবং প্রতিশোধ নিতে চায়। এখানেই কাহিনি গুরুত্বপূর্ণ দিকে মোড় নেয়। রেমন্ড পরিকল্পনা করে তার মিস্ট্রেসকে আবার নিজের কাছে টানতে। সে একটি ফাঁদ তৈরি করতে চায়। এজন্য সে ম্যুরসোর সাহায্য চায়। রেমন্ড চায়, ম্যুরসো যেন তার হয়ে একটি চিঠি লেখে। সেই চিঠিতে প্রেম ও ভালোবাসার ভান থাকবে। মেয়েটি যদি ফাঁদে পা দেয় এবং আবার রেমন্ডের কাছে ফিরে আসে, তবে তাকে আরও কষ্ট দেয়া যাবে।

Meursault (ম্যুরসো) নির্লিপ্তভাবে রাজি হয়। আবেগ ছাড়াই সে চিঠি লিখে দেয়। এতে বোঝা যায়, তার কাছে নৈতিকতা বা অন্যের অনুভূতি খুব একটা গুরুত্ব পায় না। কয়েকদিন পরের শনিবারে Marie Cardona (ম্যারি কার্ডনা) আবার ম্যুরসোর ফ্ল্যাটে আসে। সে তাকে সরাসরি জিজ্ঞেস করে, “তুমি কি আমাকে ভালোবাসো?” ম্যুরসো উত্তর দেয়, “আমি জানি না।” তার কাছে ভালোবাসা অর্থহীন। তবে সে বলে, যদি ম্যারি বিয়ে করতে চায়, তবে সে রাজি। এই উত্তর ম্যারিকে বিভ্রান্ত করলেও, সে সম্পর্ক চালিয়ে যেতে চায়।

ঠিক তখনই তারা রেমন্ডের বাসা থেকে চিৎকার শুনতে পায়। দৌড়ে গিয়ে দেখে, রেমন্ড তার মিস্ট্রেসকে মারছে। পুলিশ এসে তাকে আটকায়। একজন পুলিশ অফিসার রেমন্ডকে চড় মারে এবং তাকে থানায় নিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেয়। এই ঘটনায় রেমন্ড ম্যুরসোর কাছে সাহায্য চায়। সে চায় ম্যুরসো যেন সাক্ষ্য দেয় যে মিস্ট্রেসই দোষী ছিল। ম্যুরসো নির্দ্বিধায় রাজি হয়। সেই রাতেই আরেক দৃশ্য সামনে আসে। Salamano (সালামানো) তার কুকুর হারিয়ে কাঁদতে থাকে। যদিও সবসময় কুকুরটিকে গালি দিত, তবুও সে একেবারে ভেঙে পড়ে। এই দৃশ্য মানবপ্রকৃতির জটিলতা ও একাকিত্বকে স্পষ্ট করে।

আরো পড়ুনঃ Crime and Punishment Bangla Summary

(এই অংশে আমরা দেখি, Meursault (ম্যুরসো) ধীরে ধীরে নানা ঘটনার ভেতরে জড়িয়ে পড়ছে। সে প্রকৃতি, নারী, প্রতিবেশী, সবকিছুর সঙ্গেই মিশছে, কিন্তু কোনো গভীর আবেগ বা নৈতিক বোধ নেই। তার প্রতিক্রিয়া সবকিছুর প্রতি একই, শীতল, নির্লিপ্ত, উদাসীন। মায়ের মৃত্যুর মতোই প্রেম, সহিংসতা কিংবা সম্পর্ক তার কাছে নিছক দৈনন্দিন ঘটনা। এখানেই তার “Outsider” পরিচয় আরও স্পষ্ট হয়।)

Arab (আরব যুবক) কে হত্যা: রেমন্ড আদালতে হাজিরা দেয়, এবং পরে জামিনে মুক্তি পায়। তাই খুব বেশি সময় সে জেলে কাটায়নি। Marie Cardona (ম্যারি কার্ডনা) আবার Meursault (ম্যুরসো)-কে বিয়ের প্রস্তাব দেয়। সে জিজ্ঞেস করে, “তুমি কি আমাকে ভালোবাসো?” ম্যুরসো নিরাবেগভাবে উত্তর দেয়, ভালোবাসার কোনো মানে নেই। তবে যদি ম্যারি চায়, তবে তারা বিয়ে করতে পারে। আবেগহীন এই উত্তরও সম্পর্ক ভাঙে না। তারা বিয়ের সিদ্ধান্ত নেয়। পরের রবিবারে Meursault (ম্যুরসো), Marie Cardona (ম্যারি কার্ডনা) এবং Raymond Sintès (রেমন্ড সান্তেস) মিলে তাদের বন্ধু Masson (মাসোঁ)-এর সমুদ্রতীরবর্তী বাড়িতে যায়। সেখানে তারা সাঁতার কাটে, আনন্দ করে এবং দুপুরে একসাথে খায়। দিনটি আনন্দময় হয়ে ওঠে।

কিন্তু বিকেলে পরিস্থিতি পাল্টে যায়। সৈকতে হাঁটতে গিয়ে তারা দুইজন আরব যুবকের মুখোমুখি হয়। তাদের একজন ছিল রেমন্ডের মিস্ট্রেসের ভাই। হঠাৎ সংঘর্ষ বাঁধে। মারামারিতে রেমন্ড আহত হয়। তাকে টেনে মাসোঁর বাড়িতে আনা হয়। প্রাথমিক চিকিৎসার পর তার অবস্থা কিছুটা ভালো হয়। পরে রেমন্ড এবং ম্যুরসো আবার সৈকতে যায়। তারা আবারও আরব যুবকদের মুখোমুখি হয়। রেমন্ড উত্তেজিত হয়ে বন্দুক বের করে। গুলি করার জন্য প্রস্তুত হয়। ঠিক তখন ম্যুরসো বন্দুক কেড়ে নেয়। সে চায় না রেমন্ড অযথা হত্যা করুক। 

কিন্তু অল্প কিছু সময় পর ম্যুরসো একাই সৈকতে ফিরে যায়। প্রচণ্ড রোদে তার চোখ ঝলসে ওঠে। গরমে দম বন্ধ হয়ে আসে। সূর্যের আলো তাকে অস্থির করে তোলে। তখনই তার সামনে দাঁড়ায় আরব যুবক। হাতে ছিল ছুরি। হঠাৎ অদ্ভুত উত্তেজনায় ম্যুরসো গুলি ছোড়ে। প্রথম গুলিতেই আরব যুবক মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। এরপর ম্যুরসো আরও চারবার গুলি চালায়। যুবক মারা যায়। এই হত্যাকাণ্ডে কোনো যৌক্তিক কারণ ছিল না। পরে ম্যুরসো নিজেই স্বীকার করে, সে গুলি করেছে “because of the sun।”

Meursault এর অদ্ভুত আচরণ: Meursault (ম্যুরসো) আরব যুবককে হত্যার পর পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। তাকে জেলে পাঠানো হয়। সেখানে তার প্রথম প্রতিক্রিয়া অন্যদের থেকে আলাদা। সে অপরাধের কোনো অনুশোচনা প্রকাশ করে না। এই উদাসীন মনোভাব তার আইনজীবীকে বিস্মিত করে। আইনজীবী আশা করেছিল, সে অন্তত দুঃখ দেখাবে। কিন্তু ম্যুরসো একেবারেই শান্ত ও নির্লিপ্ত। এমনকি তার মায়ের মৃত্যুর সময়ও সে কান্নাকাটি করেনি। আইনজীবী এই বিষয়টি নিয়েও অস্বস্তি বোধ করে।

একদিন আদালতের Magistrate (বিচারক) তার সঙ্গে কথা বলতে আসে। বিচারক তাকে ধর্মে ফিরিয়ে আনতে চেষ্টা করে। হাতে একটি ক্রস দেখিয়ে বলে, গডের প্রতি বিশ্বাস রাখো। এতে হয়তো মুক্তির পথ সহজ হবে। কিন্তু ম্যুরসো দৃঢ়ভাবে বলে, সে গডে বিশ্বাস করে না। মৃত্যুর পরের জীবনের প্রতিও তার কোনো আস্থা নেই। বিচারক এই উত্তর শুনে চমকে যায়। পরে ক্রুদ্ধ ও বিভ্রান্ত হয়ে কক্ষ ছেড়ে চলে যায়। এই সময়ে Marie Cardona (ম্যারি কার্ডনা) একদিন জেলে ম্যুরসোর সঙ্গে দেখা করে। সে তাকে সাহস দেয়। বলে, নিশ্চয়ই সব ঠিক হবে, তারা বিয়ে করবে। ম্যুরসো তার কথায় কোনো বিশেষ প্রতিক্রিয়া দেখায় না। সে আবারও নিরাবেগ।

শুনানির অপেক্ষায় থাকতে থাকতে ম্যুরসো জেলের জীবনের সঙ্গে মানিয়ে নেয়। প্রথমে তার জন্য কঠিন ছিল। সে প্রকৃতির সৌন্দর্য, নারীর সান্নিধ্য এবং সিগারেটকে ভীষণভাবে মিস করে। এসব থেকে দূরে থাকা তাকে পীড়িত করে। তবে ধীরে ধীরে সে অভ্যস্ত হয়ে যায়। সিগারেট ছাড়া থাকতে শেখে। নারীর অনুপস্থিতি বা প্রকৃতির দৃশ্য না দেখেও বেঁচে থাকতে পারে। একসময় তার দিনের বেশিরভাগ অংশ কাটে ঘুমিয়ে। জেলের একঘেয়ে জীবনও তার কাছে স্বাভাবিক হয়ে ওঠে। এভাবেই দেখা যায়, প্রতিটি অবস্থায় ম্যুরসোর প্রতিক্রিয়া অস্বাভাবিক এবং আলাদা। অপরাধ, ভালোবাসা বা বিশ্বাস, কোনোটির প্রতিই তার মধ্যে আবেগ নেই। তার নিরাবেগতা সমাজের চোখে তাকে অদ্ভুত ও অগ্রহণযোগ্য করে তোলে।

অস্তিত্বহীনতা: Meursault (ম্যুরসো) হত্যার পর থেকে বিচার পর্যন্ত এক দীর্ঘ সময় জেলে কাটায়। অবশেষে এক সকালে তাকে আদালতে আনা হয়। কোর্টরুম ছিল দর্শক, সাক্ষী, সাংবাদিক এবং নানা মানুষের ভিড়ে ঠাসা। সবাই তার মুখ দেখতে চায়, সবাই কৌতূহলী। শুরুতেই বোঝা যায়, মামলাটি কেবল খুনের মামলা নয়। আসলে এটি ম্যুরসোর চরিত্রের বিচার। প্রসিকিউটর যুক্তি দেন, ম্যুরসোর আসল অপরাধ তার আবেগহীনতা। তার মা মারা গেলেও সে কান্না করেনি। অন্ত্যেষ্টিক্রিয়ায় ঠান্ডা মনোভাব দেখিয়েছে। এর মধ্য দিয়েই তার অমানবিকতা প্রকাশ পায়।

সাক্ষীদের ডাকা হয়। বৃদ্ধাশ্রমের পরিচালক বলেন, ফিউনারেলের দিন ম্যুরসো কোনো শোক প্রকাশ করেনি। Thomas Pérez (থমাস পেরেজ)-এর চোখে জল ছিল, কিন্তু ছেলে হিসেবে ম্যুরসোর চোখ শুকনো ছিল। কেয়ারটেকারও একই কথা বলে, ম্যুরসো কফি খেয়েছে, সিগারেট টেনেছে, অথচ শোকে ভেঙে পড়েনি। এরপর ডাকা হয় Marie Cardona (ম্যারি কার্ডনা)-কে। সে ইতস্তত করে জানায়, মায়ের মৃত্যুর পরের দিনই সে এবং ম্যুরসো সিনেমায় গিয়েছিল, একসাথে সাঁতার কেটেছিল। আদালতের চোখে এটি ছিল নৈতিক অধঃপতনের প্রমাণ।

প্রসিকিউটর ম্যুরসোকে ‘দানব’ এবং ‘অসামাজিক মানুষ’ বলে আখ্যা দেয়। তার যুক্তি, এমন একজন মানুষ, যে মায়ের মৃত্যুতে কাঁদতে পারে না, সমাজে বাস করার যোগ্য নয়। খুন ছিল কেবল ফল, আসল সমস্যা তার নৈতিকতা ও চরিত্র। যখন ম্যুরসোকে জিজ্ঞাসা করা হয় কেন সে গুলি চালিয়েছিল, তখন সে বলে, “because of the sun”। অর্থাৎ, সূর্যের ঝলক ও তাপ তাকে বিভ্রান্ত করেছিল। এই উত্তর আদালতে হাস্যকর মনে হয়। কেউই এটি গ্রহণ করে না। শেষ পর্যন্ত বিচারক রায় দেন। তিনি বলেন, ম্যুরসোর মধ্যে কোনো নৈতিক বোধ নেই। তার আবেগহীনতা সমাজের জন্য বিপজ্জনক। তাই তাকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হলো।

ম্যুরসো আবার জেলে ফিরে আসে। এখন সে মৃত্যুর জন্য অপেক্ষা করে। প্রথমে সে বিষয়টি মানতে পারে না। মৃত্যুদণ্ড শুনে তার মনে হয়, জীবন শেষ হয়ে গেল। সে পালানোর কথা ভাবে। আপিল করার স্বপ্নও দেখে। মনে করে, হয়তো কোনো আইনি ফাঁক দিয়ে মুক্তি মিলবে। তার মনে মাঝে মাঝে ক্ষীণ আশা জাগে। কিন্তু দিন যত এগোয়, আশা ম্লান হয়ে আসে। সে বুঝতে পারে, আপিলও কোনোদিন কাজে আসবে না। শেষ পর্যন্ত মৃত্যু অনিবার্য। এই উপলব্ধি তাকে ধীরে ধীরে শান্ত করে। একদিন হঠাৎ এক chaplain (পাদ্রি) আসে। সে ম্যুরসোকে ধর্মে ফিরিয়ে আনতে চায়। বলে, মৃত্যুর আগে ঈশ্বরকে স্মরণ করলে মুক্তি মিলবে। পরকাল রয়েছে, সেখানে শান্তি পাবে।

কিন্তু ম্যুরসো সব প্রত্যাখ্যান করে। সে বলে, সে গডে বিশ্বাস করে না। মৃত্যুর পর কোনো জীবন নেই। এই উত্তর শুনে পাদ্রি বিস্মিত হয়। সে চেষ্টা চালিয়ে যায়, কিন্তু কোনো ফল হয় না। অবশেষে একসময় ম্যুরসো রেগে যায়। সে পাদ্রির কলার চেপে ধরে। চিৎকার করে বলে, পৃথিবী অর্থহীন। কোনো ঈশ্বর নেই, কোনো চিরন্তন সত্য নেই। কেবল বর্তমান আছে, আর সেটি শেষ হবে মৃত্যুর মধ্য দিয়ে। 

এই বিস্ফোরক মন্তব্যের পর ম্যুরসো প্রথমবার জীবনের সত্যিটা গ্রহণ করে। সে বুঝতে পারে, মৃত্যু অনিবার্য এবং জীবন অর্থহীন। মানুষ সবসময়ই মরবে। তাই কোনো আশা, কোনো আকাঙ্ক্ষা, কোনো পরিকল্পনার মানে নেই। কিন্তু আশ্চর্যের বিষয়, এই উপলব্ধি তাকে মুক্তি দেয়। সে অনুভব করে, জীবন যেমন আছে, তেমন করেই সুন্দর। মৃত্যুকে গ্রহণ করে সে বেঁচে থাকার নতুন অর্থ খুঁজে পায়। শেষ দৃশ্যে ম্যুরসো আকাশের দিকে তাকায়। তার মনে হয়, বিশ্বটা বিশাল, উদাসীন এবং অদ্ভুত। এই উদাসীন বিশ্বেই মানুষকে বাঁচতে হয়। এই সত্য মেনে নিয়ে সে অদ্ভুতভাবে খুশি হয়। মৃত্যুর আগে সে শান্তি খুঁজে পায়।

থিমসমূহ:

বিচ্ছিন্নতা এবং একাকিত্ব: Meursault (ম্যুরসো) সমাজ থেকে আলাদা। সে মায়ের মৃত্যুতেও কোনো শোক দেখায় না। এতে সবাই অবাক হয়। প্রেমিকা Marie Cardona (ম্যারি কার্ডনা) তাকে ভালোবাসলেও, তার উদাসীনতা সম্পর্ককে দুর্বল করে। প্রতিবেশী Raymond Sintès (রেমন্ড সান্তেস) এর সঙ্গে সময় কাটালেও, তার বন্ধুত্বে গভীরতা নেই। আদালতে তাকে বিচার করা হয় কেবল খুনের জন্য নয়, বরং তার নির্লিপ্ততার জন্যও। মানুষ তাকে বোঝে না। মায়ের অন্ত্যেষ্টিতে তার শান্ত মুখ সবাইকে বিরক্ত করে। জেলে বন্দি হয়ে তার একাকিত্ব আরও স্পষ্ট হয়। সে ধীরে ধীরে প্রকৃতি, নারী, এবং স্বাধীনতা থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। তার জীবন হয়ে ওঠে সীমিত ও শূন্য। এই থিমে লেখক দেখিয়েছেন, আধুনিক মানুষ সমাজে থেকেও একা হয়ে যায়। অন্যরা তার আবেগ বুঝতে না পারায় সে আরও দূরে সরে যায়। বিচ্ছিন্নতা তাই মানুষের অস্তিত্বের কেন্দ্রীয় অভিজ্ঞতা।

জীবনের অর্থহীনতা: উপন্যাসের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ থিম হলো জীবনের অর্থহীনতা। Meursault (ম্যুরসো) জীবনে কোনো লক্ষ্য খোঁজে না। সে প্রেম, পরিবার বা কাজ, কোনোটিকেই বিশেষ গুরুত্ব দেয় না। মায়ের মৃত্যুতে শোক দেখায় না। Marie Cardona (ম্যারি কার্ডনা) বিয়ের কথা বললেও, সে বলে এতে তার কিছু যায় আসে না। খুনও সে করে অযৌক্তিকভাবে। আদালতে তার উত্তর ছিল, “because of the sun।” এই অদ্ভুত কারণ তার নির্লিপ্ত মনোভাব প্রকাশ করে। শেষে জেলে বসে সে বুঝতে পারে, মানুষ মরবেই। মৃত্যু অনিবার্য। তাই সবকিছু শেষ পর্যন্ত অর্থহীন। কাম্যু এই থিমে দেখিয়েছেন, জীবনের কোনো স্থায়ী মানে নেই। অর্থ আমরা নিজেরাই তৈরি করি। ম্যুরসো যখন অর্থহীনতাকে মেনে নেয়, তখনই সে শান্তি খুঁজে পায়। এই উপলব্ধিই “Absurd philosophy”–এর মূল কথা।

প্রকৃতির প্রভাব: উপন্যাসে প্রকৃতি একটি শক্তিশালী প্রতীক। সূর্য, সমুদ্র, আলো, সবই ম্যুরসোর জীবনে ভূমিকা রাখে। Marie Cardona (ম্যারি কার্ডনা)-র সঙ্গে সমুদ্রতটে সাঁতার কাটতে গিয়ে সে আনন্দ পায়। প্রকৃতি তখন মুক্তির প্রতীক। কিন্তু হত্যার সময় সূর্যের আলো ভিন্ন অর্থ নেয়। সৈকতে দাঁড়িয়ে থাকা Meursault (ম্যুরসো)-র চোখে সূর্যের ঝলক লাগে। প্রচণ্ড গরম তাকে বিভ্রান্ত করে। তার হাত কাঁপে, ঘাম ঝরে। ঠিক তখনই সে গুলি করে ফেলে। পরে সে বলে, খুনের কারণ সূর্য। আদালত এটি অগ্রহণযোগ্য মনে করে। কিন্তু প্রকৃতিই তার সিদ্ধান্তকে প্রভাবিত করেছিল। প্রকৃতি তাকে আনন্দও দেয়, আবার ধ্বংসও আনে। কাম্যু দেখিয়েছেন, মানুষ প্রকৃতির কাছে দুর্বল। সূর্য আর সমুদ্র আসলে জীবনের উদাসীন শক্তির প্রতীক।

সমাজ বনাম ব্যক্তি: উপন্যাসে দেখা যায়, সমাজ সবসময় মানুষের আচরণকে বিচার করে। Meursault (ম্যুরসো) সমাজের নিয়ম মানে না। মায়ের মৃত্যুর পর কান্না করেনি। Marie Cardona (ম্যারি কার্ডনা)-র সঙ্গে সিনেমা দেখেছে, সম্পর্ক করেছে। এসবই আদালতে তার বিরুদ্ধে ব্যবহৃত হয়। খুনের চেয়ে তার চরিত্রকে বড় অপরাধ বলা হয়। প্রসিকিউটর তাকে ‘দানব’ বলে আখ্যা দেয়। সমাজ মনে করে, যে মানুষ আবেগ দেখায় না, সে বিপজ্জনক। ম্যুরসো আসলে অপরাধী নয়, বরং এক ভিন্ন মানুষ। কিন্তু সমাজ তাকে মেনে নেয় না। তাই মৃত্যুদণ্ড দিয়ে তাকে সরিয়ে ফেলে। এই থিম দেখায়, ব্যক্তি যদি সমাজের নিয়ম থেকে আলাদা হয়, তবে তাকে অগ্রহণযোগ্য ধরা হয়। সমাজ সবসময় নিজের নিয়ম চাপায়। ম্যুরসোর ট্র্যাজেডি হলো, সে ভিন্ন ছিল বলে শাস্তি পেল।

Quotes

  1. “It was because of the sun.” – (The Outsider, Meursault, Part I)

বাংলা: “এটা সূর্যের জন্যই হয়েছিল।”

Explanation (English): Meursault explains why he shot the Arab. The sun’s heat and glare blinded him. This reason shocks the court. It shows his detachment and the absurdity of life.

ব্যাখ্যা (বাংলা): ম্যুরসো বলে, সে আরব যুবককে গুলি করেছে সূর্যের জন্য। রোদ আর ঝলক তাকে অস্থির করে তোলে। আদালতে এই কারণ সবাইকে বিস্মিত করে। এতে তার নির্লিপ্ততা ও জীবনের অযৌক্তিকতা প্রকাশ পায়।

  1. “Mother died today. Or, maybe, yesterday; I can’t be sure.” – (The Outsider, Opening line, Meursault, Part I)

বাংলা: “আজ মা মারা গেছেন। অথবা, হয়তো, গতকাল; আমি নিশ্চিত নই।”

Explanation (English): The novel begins with this line. It shows Meursault’s coldness. He cannot feel grief for his mother’s death. His indifference shocks society and makes him an outsider.

ব্যাখ্যা (বাংলা): উপন্যাসের শুরুতেই এই লাইন। এতে ম্যুরসোর উদাসীনতা প্রকাশ পায়। মায়ের মৃত্যুর জন্য সে কোনো দুঃখ দেখায় না। এই নির্লিপ্ততা সমাজকে বিস্মিত করে এবং তাকে এক বহিরাগত বানায়।

  1. “Marie came that evening and asked me if I’d marry her. I said I didn’t mind; if she was keen on it, we’d get married.”- (The Outsider, Meursault, Part I)

বাংলা: “সেদিন সন্ধ্যায় মেরি এসে আমাকে জিজ্ঞেস করল আমি কি তাকে বিয়ে করব। আমি বললাম আমার কিছু যায় আসে না; যদি সে খুব চায়, আমরা বিয়ে করব।”

Explanation (English): Marie loves Meursault deeply. But he is indifferent. His answer shows he does not care about love or marriage. It shocks Marie but she still stays. This shows his cold attitude.

ব্যাখ্যা (বাংলা): মেরি ম্যুরসোকে গভীরভাবে ভালোবাসে। কিন্তু সে উদাসীন। তার উত্তরে বোঝা যায় প্রেম বা বিয়ে তার কাছে গুরুত্বপূর্ণ নয়। মেরি অবাক হলেও সম্পর্ক চালিয়ে যায়। এতে তার শীতল মনোভাব প্রকাশ পায়।

  1. “It was because of the sun.” – (The Outsider, Meursault, Part II)

বাংলা: “এটা সূর্যের জন্যই হয়েছিল।”

Explanation (English): Meursault explains why he killed the Arab. He blames the burning sun and blinding light. The court finds this absurd. It shows how nature, not reason, pushed him to murder.

ব্যাখ্যা (বাংলা): আরব যুবককে হত্যার কারণ হিসেবে ম্যুরসো সূর্যকে দায়ী করে। প্রচণ্ড রোদ ও ঝলক তাকে অস্থির করেছিল। আদালত এটিকে অযৌক্তিক মনে করে। এতে বোঝা যায় যুক্তি নয়, প্রকৃতিই তাকে হত্যায় ঠেলে দেয়।

  1. “I didn’t believe in God.”– (The Outsider, Meursault, Part II)

বাংলা: “আমি ঈশ্বরে বিশ্বাস করতাম না।”

Explanation (English): Meursault rejects the Magistrate and the Chaplain. He does not believe in God or the afterlife. This makes him a true existential anti-hero. He accepts only death as truth.

ব্যাখ্যা (বাংলা): বিচারক ও পাদ্রির অনুরোধ সে প্রত্যাখ্যান করে। ঈশ্বর বা পরকালে তার বিশ্বাস নেই। এতে বোঝা যায় সে অস্তিত্ববাদী অ্যান্টি-হিরো। সে শুধু মৃত্যুকেই সত্য বলে মেনে নেয়।

  1.  “Her question meant nothing or next to nothing.”– (The Outsider, Meursault, Part II)

বাংলা: “তার প্রশ্নের কোনো মানে ছিল না, বা প্রায় কোনো মানেই ছিল না।”

Explanation (English): Marie asks if he loves her. Meursault answers coldly. For him, love has no meaning. This shows his alienation and indifference to emotions.

ব্যাখ্যা (বাংলা): মেরি জানতে চায় সে কি তাকে ভালোবাসে। ম্যুরসো নির্লিপ্তভাবে উত্তর দেয়। তার কাছে প্রেমের কোনো মানে নেই। এতে তার বিচ্ছিন্নতা ও আবেগহীনতা প্রকাশ পায়।

  1. “The day on which my trial started was one of brilliant sunshine.”– (The Outsider, Meursault, Part II)

বাংলা: “যেদিন আমার বিচার শুরু হয়েছিল, সেদিন ছিল উজ্জ্বল রোদেলা দিন।”

Explanation (English): Meursault describes the trial like a natural event. He notices the sunshine, not the fear of judgment. This shows his focus on nature instead of society.

ব্যাখ্যা (বাংলা): বিচার শুরু হওয়ার দিনটিকে সে প্রকৃতির আলোয় বর্ণনা করে। বিচার নয়, সূর্যকেই সে দেখে। এতে বোঝা যায় সমাজ নয়, প্রকৃতিই তার মনোযোগে ছিল।

  1. “And, gazing up at the dark sky spangled with its signs and stars, for the first time, I laid my heart open to the benign indifference of the universe.”– (The Outsider, Meursault, Part II)

বাংলা: “অন্ধকার আকাশের দিকে তাকিয়ে, যেখানে নক্ষত্র আর আলো ঝলমল করছিল, প্রথমবার আমি আমার হৃদয় খুলে দিলাম মহাবিশ্বের মমতাহীন উদাসীনতার সামনে।”

Explanation (English): At the end, Meursault accepts life’s absurdity. The universe is indifferent, yet he feels peace. He finds freedom in accepting death.

ব্যাখ্যা (বাংলা): শেষে এসে ম্যুরসো জীবনের অযৌক্তিকতাকে মেনে নেয়। মহাবিশ্ব উদাসীন, তবু সে শান্তি অনুভব করে। মৃত্যু মেনে নিয়েই সে স্বাধীনতা খুঁজে পায়।

  1. “For all to be accomplished, for me to feel less lonely, all that remained to hope was that on the day of my execution there should be a huge crowd of spectators and that they should greet me with howls of execration.” – (The Outsider, Meursault, Part II)

বাংলা: “সবকিছু সম্পন্ন হওয়ার জন্য, এবং আমার একাকিত্ব কিছুটা কমানোর জন্য, আমার একমাত্র আশা ছিল মৃত্যুদণ্ডের দিনে বিপুল ভিড় থাকবে, আর তারা আমাকে অভিশাপের হাহাকারে অভ্যর্থনা জানাবে।”

Explanation (English): Before death, Meursault hopes for a hostile crowd. He wants people’s hatred, not pity. This shows his acceptance of alienation and his courage to face the end.

ব্যাখ্যা (বাংলা): মৃত্যুর আগে ম্যুরসো আশা করে ভিড় তাকে ঘৃণায় অভ্যর্থনা দেবে। সে করুণা নয়, ঘৃণাই চায়। এতে বোঝা যায় সে তার বিচ্ছিন্নতা মেনে নেয় এবং মৃত্যুর মুখোমুখি হয় সাহসের সঙ্গে।

আরো পড়ুনঃ The Metamorphosis Bangla Summary

ভাষার অলংকার

  • বিদ্রূপ (Irony): সংজ্ঞা: প্রত্যাশিত আর বাস্তবে যা ঘটে তার মধ্যে অমিল হলে বিদ্রূপ হয়। উদাহরণ: Meursault (ম্যুরসো) হত্যার বিচার হলেও আদালত বেশি গুরুত্ব দেয় তার মায়ের অন্ত্যেষ্টিতে তার উদাসীনতাকে। খুন নয়, কান্না না করাই বড় অপরাধ হয়ে দাঁড়ায়। প্রভাব: বিদ্রূপ দেখায়, সমাজ আবেগকে অপরাধের চেয়ে বেশি গুরুত্ব দেয়।
  • রূপক (Metaphor): সংজ্ঞা: কোনো কিছুকে অন্য কিছুর প্রতীক হিসেবে ব্যবহার করলে রূপক হয়। উদাহরণ: সূর্য এখানে রূপক। রোদ ও গরম মানুষের অসহায়তার প্রতীক। সূর্যের চাপেই ম্যুরসো গুলি চালায়। প্রভাব: রূপক দেখায়, মানুষ প্রকৃতির কাছে দুর্বল ও নিয়ন্ত্রিত।
  • রূপকথা ধাঁচের অতিরঞ্জন (Hyperbole-like exaggeration): সংজ্ঞা: কোনো বিষয়কে বাড়িয়ে বলা। উদাহরণ: প্রসিকিউটর ম্যুরসোকে ‘দানব’ আখ্যা দেয়। এটা বাস্তবের চেয়ে বাড়িয়ে বলা। প্রভাব: দেখায় সমাজ কেমন করে ভিন্ন মানুষকে দমন করে।
  • পুনরাবৃত্তি (Repetition): সংজ্ঞা: একই শব্দ বা ধারণা বারবার ব্যবহার। উদাহরণ: ম্যুরসো বারবার বলে, “এতে আমার কিছু যায় আসে না।” প্রভাব: তার নির্লিপ্ততা ও জীবনের প্রতি অযৌক্তিক দৃষ্টিভঙ্গি স্পষ্ট হয়।
  • বৈপরীত্য (Paradox): সংজ্ঞা: যেখানে আপাতদৃষ্টিতে বিরোধ, কিন্তু ভেতরে সত্য আছে। উদাহরণ: মৃত্যুর অনিবার্যতা মেনে নিয়েই ম্যুরসো শান্তি পায়। জীবন অর্থহীন হলেও তাতেই অর্থ খুঁজে নেয়। প্রভাব: কাম্যুর “Absurd philosophy” ফুটে ওঠে।
  • প্রতীকবাদ (Symbolism):
  • সূর্য (The Sun): সূর্যের আলো ও গরম হত্যা ও অস্থিরতার প্রতীক। এটি জীবনের অযৌক্তিক চাপকে বোঝায়।
  • সমুদ্র (The Sea): Marie Cardona (ম্যারি কার্ডনা)-র সঙ্গে সাঁতার কাটার সময় সমুদ্র আনন্দ ও মুক্তির প্রতীক।
  • আদালত (The Court): আদালত কেবল আইন নয়, বরং সমাজের রায় ও নৈতিক বিচারকের প্রতীক।
  • জেল (The Prison): জেল মানুষের সীমাবদ্ধতা ও জীবনের বাধ্যবাধকতার প্রতীক।
  • পাদ্রি (The Chaplain): ধর্মীয় বিশ্বাস ও সমাজের চাপের প্রতীক। ম্যুরসো ধর্ম অস্বীকার করে তার স্বাধীনতা দেখায়।

Figures of Speech

  • Irony: Definition: Irony occurs when there is a gap between what is expected and what actually happens. Example: Although Meursault is tried for murder, the court gives more importance to his indifference at his mother’s funeral. Not the murder, but not crying becomes the greater crime. Effect: Irony shows that society values emotions more than the crime itself.
  • Metaphor: Definition: When something is used as a symbol of another thing, it is a metaphor. Example: The sun is a metaphor here. The heat and glare symbolize human helplessness. It is under the pressure of the sun that Meursault fires the gun. Effect: The metaphor shows man’s weakness and submission to nature.
  • Hyperbole-like Exaggeration: Definition: Stating something in an exaggerated way. Example: The prosecutor calls Meursault a “monster.” This is an exaggeration beyond reality. Effect: Shows how society oppresses those who are different.
  • Repetition: Definition: Repeating the same words or ideas again and again. Example: Meursault repeatedly says, “It doesn’t matter to me.” Effect: His detachment and absurd view of life become clear.
  • Paradox: Definition: A statement that seems contradictory but reveals truth inside. Example: By accepting the inevitability of death, Meursault finds peace. Life is meaningless, yet he discovers meaning in that very meaninglessness. Effect: Reveals Camus’s philosophy of the “Absurd.”
  • Symbolism:
  • The Sun: The heat and glare symbolize murder and restlessness. It reflects the absurd pressures of life.
  • The Sea: While swimming with Marie Cardona, the sea symbolizes joy and freedom.
  • The Court: Represents not just law but society’s judgment and moral authority.
  • The Prison: Symbolizes human limitations and life’s constraints.
  • The Chaplain: Represents religious faith and social pressure. By rejecting religion, Meursault shows his independence.

Moral Lessons from The Outsider

  • Indifference is isolation.
  • Death gives life meaning.
  • Society fears the outsider.
  • Nature overpowers man.
  • Freedom is accepting absurdity.
Share your love
Mr. Abdullah
Mr. Abdullah

This is Mr. Abdullah, a passionate lover and researcher of English Literature.

Articles: 65

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *