The Seafarer বাংলা সামারি
কবিতাটি শুরু হয় একজন সমুদ্রযাত্রীর নিজের সমুদ্রযাত্রার কষ্টের স্মৃতিচারণের মাধ্যমে। তিনি বর্ণনা করেন, একজন নাবিক হিসেবে তিনি অনেক কঠিন পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছেন, যেমন—শীতের তীব্র ঠাণ্ডা রাত, ক্ষুধা, এবং একাকীত্ব। তিনি স্মরণ করেন, কীভাবে তিনি জাহাজের প্রান্তে রাতের প্রহরী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন, যেখানে উত্তাল সমুদ্র ও তরঙ্গের সাথে লড়াই করেছে এবং উচু পর্বত দেখে অভিভূত হয়েছিলেন। তার পা শীতলতার কারণে জমে গিয়েছিল, আর ক্ষুধা তাকে নিঃশেষ করে ফেলেছিল। তিনি বলেন, শুধু যারা সমুদ্রে ভ্রমণ করেছেন, তারাই তার এই কষ্টের গভীরতা বুঝতে পারবেন।
সমুদ্রযাত্রী তার জীবনকে স্থলবাসীদের জীবনের সাথে তুলনা করেন। তিনি ব্যাখ্যা করেন যে, যারা স্থলে বাস করেন এবং স্বজনদের সান্নিধ্যে আরামদায়ক জীবনযাপন করেন, তারা তীব্র শীতের মত কঠিন সময় সমুদ্রে নির্বাসনের যন্ত্রণা বুঝতে পারেন না। তিনি তার একাকীত্বের জীবন বর্ণনা করেন, যেখানে তিনি শুধু উত্তাল ঢেউয়ের শব্দ শুনতে পেতেন। একাকীত্বের কারণে তিনি কখনও কখনও সমুদ্রপাখিদের ডাককে মনে করতেন তার সহযাত্রী নাবিকদের কণ্ঠস্বর যারা মদ পান করে গান গাইছেন। তবে তিনি দ্রুতই বুঝতে পারেন যে তার কোনো সঙ্গী নেই এবং তার কোনো পার্থিব রক্ষকও নেই।
তিনি সহজ জীবনের উপভোক্তাদের সমালোচনা করেন, যেমন—শহরের মানুষ, যারা মদ ও উষ্ণতার আনন্দ উপভোগ করে। তিনি বলেন এই শহুরেরা কখনো বুঝবে না যে কেন কেউ সমুদ্রের কঠোরতাকে সহ্য করে সমুদ্রকে নিজের বাড়ি হিসেবে ভাববে। সমুদ্রযাত্রী সমুদ্রের অন্ধকার রাত, তুষারপাতের সময় ঠাণ্ডা ও শিলার আক্রমণ বর্ণনা করেন। এই শীতল ও অন্ধকার পরিবেশ তার হৃদয়ের ভারাক্রান্ত অবস্থার প্রতিফলন। প্রতিকুল অবস্থা সত্ত্বেও তিনি সমুদ্রে নিজেকে প্রমাণ করার জন্য বদ্ধপরিকর। তিনি বিপজ্জনক যাত্রায় অচেনা ভূমিতে যান। তিনি স্বীকার করেন যে সাহস, শক্তি বা সদগুণ যতই থাকুক না কেন, এমন প্রতিকূল যাত্রায় কোনো মানুষ পুরোপুরি নির্ভীক থাকতে পারে না।
সমুদ্রযাত্রী তার আকাঙ্ক্ষার আধ্যাত্মিক প্রকৃতি নিয়েও চিন্তা করেন। তিনি উল্লেখ করেন, সমুদ্রযাত্রায় একজন মানুষ পার্থিব আনন্দ, যেমন—নারী বা ধনসম্পদ, এসবের প্রতি আকৃষ্ট হন না। বরং, তিনি তরঙ্গের প্রতি আকর্ষণ অনুভব করেন, যা তাকে স্বাধীনতা ও চ্যালেঞ্জের দিকে টানে। বসন্তকালে, সুন্দর প্রকৃতি, কোকিলের গান, এবং গ্রীষ্মের আগমনী বার্তা তার হৃদয়ে বেদনার সৃষ্টি করে, কারণ সেগুলো তাকে সমুদ্রে আসন্ন কষ্টের কথা স্মরণ করিয়ে দেয়।
সমুদ্রযাত্রী তার আত্মার অস্থিরতার কথা বলেন। তিনি বলেন, তার আত্মা সবসময় সমুদ্রপথ ধরে ঘুরে বেড়ায়। এমনকি তিনি স্থলে থাকলেও তার মন তরঙ্গের উপর ঘোরাফেরা করে এবং তাকে সমুদ্রের কাছে ফিরে যাওয়ার আহ্বান জানায়। একাকী পাখির ডাক তাকে সমুদ্রের কথা মনে করিয়ে দেয়, এবং সমুদ্রে সে শত সংগ্রামের মাঝেও জীবন্ত বোধ করে।
এরপর কবিতাটি একটি নতুন সুরে পরিবর্তিত হয়। সমুদ্রযাত্রী পার্থিব জীবনের অস্থায়িত্ব নিয়ে চিন্তা করেন। তিনি ঘোষণা করেন যে, ঈশ্বরের প্রতি আনুগত্যের আনন্দ পার্থিব জীবনের ক্ষণস্থায়ী আনন্দের চেয়ে অনেক বেশি। তিনি সতর্ক করেন যে সম্পদ ও বস্তুগত সম্পত্তি অর্থহীন, কারণ সেগুলো চিরস্থায়ী নয়। সব মানুষই একদিন মৃত্যুর মুখোমুখি হবে—অসুস্থতা, বার্ধক্য বা যুদ্ধের কারণে, তাদের পদমর্যাদা যাই হোক না কেন।
সমুদ্রযাত্রী পাঠকদের ভালো কাজ করতে এবং পাপ থেকে দূরে থাকতে উৎসাহিত করেন, যাতে তারা স্বর্গে চিরন্তন সুখ অর্জন করতে পারেন। তিনি ধার্মিক জীবনের গুরুত্বের উপর জোর দেন। তিনি বলেন, পার্থিব গৌরব সাময়িক এবং এটি পরকালে কাউকে রক্ষা করতে পারবে না। তিনি সোনালী অতীতের কথা স্মরণ করেন এবং দুঃখ প্রকাশ করেন যে মহান রাজারা ও উদার প্রভুরা আর নেই। তিনি বলেন, বর্তমান প্রজন্মের নেতাদের মধ্যে তাদের পূর্বসূরিদের মতো মর্যাদা ও শক্তি নেই।
সমুদ্রযাত্রী বার্ধক্যের একটি বিষণ্ণ চিত্র আঁকেন, যেখানে বার্ধক্য শরীরকে দুর্বল করে তোলে, মনের ধার কমিয়ে দেয় এবং জীবনের আনন্দ কেড়ে নেয়। তিনি বস্তুগত সম্পদকে তুচ্ছ করেন। তিনি বলেন, কেউ যদি কবর সোনা দিয়ে ভরাট করেও, তাতে কোনো লাভ হবে না, কারণ মৃত ব্যক্তি তা সঙ্গে নিতে পারবেন না। একজন পাপীর আত্মা সোনার নিচে লুকাতে পারে না, কারণ ঈশ্বর সত্য দেখতে পাবেন।
শেষ অংশে, সমুদ্রযাত্রী ঈশ্বরের শক্তি ও ক্রোধের কথা বলেন। তিনি স্বর্গ, পৃথিবী এবং সমুদ্রের সৃষ্টিকর্তাকে প্রশংসা করেন। তিনি ঘোষণা করেন যে, যারা ঈশ্বরকে ভয় করে না, তারা নির্বোধ। ঈশ্বরের শক্তি মানুষের চেয়ে অনেক বেশি এবং তাঁর শক্তি অপ্রত্যাশিতভাবেও কাউকে ধরতে পারে। সমুদ্রযাত্রী জোর দিয়ে বলেন যারা ঈশ্বরের অনুগত্য করে তারাই প্রকৃত সুখ খুঁজে পায়।
তিনি একটি সতর্কতা দিয়ে শেষ করেন: একজন মানুষ যতই তার পার্থিব জীবনের উপর নিয়ন্ত্রণ রাখুক না কেন, তার চূড়ান্ত পরিণতি ঈশ্বরের হাতে নির্ভর করে। তিনি সবাইকে বিশ্বাসী, বিনীত এবং প্রভুর প্রতি অনুগত থাকার পরামর্শ দেন, কারণ এটাই চিরন্তন আনন্দ ও মুক্তি লাভের একমাত্র উপায়।
Key Info
- Title: The Seafarer
- Author: Anonymous
- [The Seafarer is an Old English poem giving a first-person account of a man alone on the sea.]
- Manuscript Source: Preserved in the Exeter Book, a 10th-century anthology of Old English poetry
- Lines: 124 lines, followed by a single word “Amen”
- Rhyme: Alliterative rhyme scheme
- Genre: Anglo-Saxon Elegy