বাংলা সামারি: “The Second Coming” আইরিশ কবি W. B. Yeats-এর একটি কবিতা। এটি তার প্রথম বিশ্বযুদ্ধ এবং আয়ারল্যান্ডে Easter Rising এর পরে ১৯১৯ সালে লেখা একটি কবিতা। কবিতাটিকে ইয়েটসের সবচেয়ে বিখ্যাত এবং প্রভাবশালী রচনাগুলির মধ্যে একটি হিসাবে বিবেচনা করা হয়। এটি তার গভীর বিশ্বাসকে প্রতিফলিত করে। কারণ তিনি মনে করেন পৃথিবী বিশৃঙ্খলা এবং অনিশ্চয়তায় ভরপুর একটি নতুন এবং অশান্ত যুগে প্রবেশ করছে। কবিতাটি দুইটি স্তবকে বিভক্ত এবং ১২টি লাইন রয়েছে।
প্রথম স্তবকটিতে, নিয়ন্ত্রণের বাইরে ঘুরতে থাকা একটি বাজপাখির image/চিত্র আধুনিক বিশ্বের বিশৃঙ্খলার রূপক যেখানে ঐতিহ্যগত মূল্যবোধ এবং কাঠামো ভেঙে পড়েছে। তিনি বঝাতে চেয়েছেন যে, শাসিতরা আর শাসকদের মানতে চাচ্ছেনা। সরকার তার কনট্রোলিং পাওয়ার হারিয়ে ফেলেছে। ধর্মীয় রীতিনীতি হারিয়ে গেছে এবং খারাপ কাজগুলোকে বাহবা দেয়া হচ্ছে। চারিদিকে রক্তের খেলা শুরু হয়েছে। পৃথিবী একদম সুবিধাজনক স্থানে নেই।
study more: Heart of darkness summary
দ্বিতীয় স্তবকটিতে, ইয়েটস একটি “rough beast”-এর চিত্র উপস্থাপন করেছেন যেটি বেথলেহেমের দিকে ঝুঁকছে যা সহিংসতা এবং অভ্যুত্থান মাধ্যমে গঠিত একটি নতুন যুগের আগমনকে প্রতিনিধিত্ব করে। স্পিরিটাস মুন্ডি একটি দানবীয় প্রাণী (“rough beast”) যেটি খুবই শক্তিশালী এবং ভয়ঙ্কর। এর শরীর সিংহের মতো কিন্তু মাথা মানুষের মতো।
অনেক পাঠক বিংশ শতাব্দীতে ইউরোপে সর্বগ্রাসীবাদ ও ফ্যাসিবাদের উত্থানের প্রতীক হিসেবে “rough beast” কে ব্যাখ্যা করেছেন। কবি বলতে চাচ্ছেন, পৃথিবীর অবস্থা এমন হয়েছে যে খুব নিশ্চয় এই সভ্যতার পরিবর্তন বা বিপর্যয় শুরু হবে। তবে এই পরিবর্তন আগের পরিবর্তনের মতো হবেনা। ফার্স্ট কামিং ছিল মানুষের কল্যাণের জন্য যীশু খ্রিস্টের আগমন। কিন্তু সেকেন্ড কামিং হবে ভয়ঙ্কর যা চারিদিকে শুধু ফিতনা ছড়াবে। অর্থাৎ তিনি মানুষদেরকে সতর্ক করছেন।
ওভারঅল, “The Second Coming” শক্তিশালী এবং মানুষের মনে কিয়ামতের ভাবনা আনতে সক্ষম একটি কবিতা যা বিংশ শতাব্দীর প্রথম দিকের অনিশ্চয়তা এবং উদ্বেগের অনুভূতিকে ধারণ করে। এটি ইয়েটসের বিশ্বাসকে প্রতিফলিত করে যে বিশ্ব একটি নতুন এবং অশান্ত যুগে প্রবেশ করছে এবং এটি আজও পাঠকদের কাছে মানব অবস্থার একটি শক্তিশালী ভাষ্য হিসাবে বিবেচিত হচ্ছে।