The Wife of Bath’s Tale বাংলা সামারি
বাথ শহরের স্ত্রী
বাথ শহরের স্ত্রী তার গল্প শুরু করার আগে তার ব্যক্তিগত জীবনের কথা বলেন। তিনি পাঁচবার বিবাহ করেছেন এবং তার এই সিদ্ধান্তকে তিনি সমর্থন করেন। তিনি বলেন যে ঈশ্বর চান মানুষ বংশবৃদ্ধি করুক, এমনকি রাজা সলোমনেরও অনেক স্ত্রী ছিল। তিনি মনে করেন না যে কুমারীত্বই শ্রেষ্ঠ। তিনি যুক্তি দেন যে, যদি নারীরা সন্তান ধারণ না করতেন, তবে কোনো কুমারীর জন্মই হত না। তিনি বিশ্বাস করেন, ঈশ্বর তাকে কিছু উপহার দিয়েছেন, যেমন তার যৌনতা, যা তিনি ইচ্ছামত ব্যবহার করতে পারেন। যেহেতু তাকে নান হওয়ার জন্য বিশেষ কোনো ক্ষমতা দেওয়া হয়নি, তিনি তার “উপহারগুলো” ব্যবহার করে তার স্বামীদের ওপর কর্তৃত্ব বজায় রাখেন।
এই পর্যায়ে, পার্ডনার তাকে বাধা দেন। পার্ডনার চিন্তিত যে তার ভবিষ্যৎ স্ত্রী হয়তো বাথের স্ত্রীর মতোই তাকে নিয়ন্ত্রণ করবেন। বাথের স্ত্রী তাকে থামতে বলেন এবং তার গল্প শোনার পর সিদ্ধান্ত নিতে বলেন।
বাথের স্ত্রী তার বিবাহগুলোর বর্ণনা দেন: তার তিনজন “ভালো” স্বামী ছিল—যারা ছিল ধনী, বয়স্ক, এবং সহজেই নিয়ন্ত্রণযোগ্য। তিনি তাদের প্রতি মিথ্যা অভিযোগ করতেন এবং তাদের সাথে অন্তরঙ্গতা/শারীরিক সম্পর্ক না করার হুমকি দিয়ে নানান কার্য সিদ্ধি করতেন। তবে তার চতুর্থ স্বামী ছিল অবিশ্বস্ত এবং তার একটি রক্ষিতাও ছিল। তাই তিনি তাকে ঈর্ষান্বিত করার চেষ্টা করেন। বাথ শহরের স্ত্রীর পঞ্চম স্বামী ছিল তার চেয়ে অনেক ছোট, মাত্র ২০ বছর বয়স, যখন তার নিজের বয়স ছিল ৪০। বয়সের এই পার্থক্য সত্ত্বেও, তিনি তার চতুর্থ স্বামীর অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া অনুষ্ঠানে তার পঞ্চম স্বামীর প্রেমে পড়ে যান। তাদের বিবাহজীবন ছিল ঝগড়া ও মারামারিতে পূর্ণ।
এরপর ফ্রায়ার অভিযোগ করেন যে তিনি তার গল্প শুরু করতে অনেক দেরি করছেন। অবশেষে, তিনি তার কাহিনি শুরু করেন।
গল্প
রাজা আর্থারের দরবারে, এক তরুণ নাইট (যোদ্ধা) এক ভয়ঙ্কর অপরাধ করে—এক তরুণীকে ধর্ষণ করে। তাকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়, কিন্তু রানী গুয়েনিভিয়ার অনুরোধে তাকে দ্বিতীয় সুযোগ দেওয়া হয়। রানী ও রাজদরবার সিদ্ধান্ত নেন যে যদি নাইট এক বছরের মধ্যে আবিষ্কার করতে পারে যে নারীরা আসলে কী চায়, তবে তার প্রাণ ভিক্ষা দেয়া হবে।
নাইট এক বছর ধরে ভ্রমণ করে, বিভিন্ন নারীদের জিজ্ঞেস করে যে কী তাদের সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন। কিন্তু সে বিভিন্ন ধরনের উত্তর পায়। সময়সীমা প্রায় শেষ হয়ে আসে। সে একটি জঙ্গলে নারীদের একটি দলের দেখা পায়। সে তাদের দিকে এগিয়ে গেলে সবাই অদৃশ্য হয়ে যায়, শুধু একজন বয়স্ক ও কদাকার বৃদ্ধা থেকে যায়। বৃদ্ধা বলে যে সে উত্তরটি দিবে তবে নাইট যদি তার একটি ইচ্ছা পূরণ করে তবেই। উপায় না পেয়ে নাইট রাজি হয়।
রাজদরবারে, নাইট বৃদ্ধার দেওয়া উত্তর প্রকাশ করে: নারীরা তাদের স্বামী এবং প্রেমিকদের ওপর ক্ষমতা এবং নিয়ন্ত্রণ চায়। এই উত্তরটি সঠিক হয়। এই উত্তরই নাইটের জীবন রক্ষা করে। তবে, বৃদ্ধা তার পুরস্কার দাবি করে: নাইটকে তাকে বিয়ে করতে হবে। অনিচ্ছা সত্ত্বেও বৃদ্ধার ঋণ শোধ করার জন্য নাইট বৃদ্ধাকে বিয়ে করতে রাজি হয়ে যায়।
বিয়ের রাতে নাইট বিষণ্ণ হয় এবং তার নতুন স্ত্রীর চেহারা নিয়ে হতাশা প্রকাশ করে। বৃদ্ধা তাকে দুটি বিকল্প দেয়: সে কদাকার কিন্তু বিশ্বস্ত ও ভালো স্ত্রী হয়ে থাকবে, অথবা সে সুন্দরী ও যুবতী হয়ে যাবে কিন্তু পরকীয়ায় লিপ্ত হতে পারে। নাইট বুদ্ধিমানের মতো বলে, সে যা সঠিক মনে করে তা-ই করুক। নাইট বৃদ্ধার উপরে ছেড়ে দেয়, অর্থাৎ সে বৃদ্ধাকে নারীদের সবচেয়ে কাঙ্ক্ষিত জিনিস—নিয়ন্ত্রণ—প্রদান করে। বৃদ্ধা খুশি হয়ে তাকে পুরস্কৃত করে। বৃদ্ধা সুন্দরী ও বিশ্বস্ত হয়ে যায়। তারা সুখে বসবাস করতে শুরু করে।
গল্পের শেষে, বাথের স্ত্রী প্রার্থনা করেন যেন স্বামীরা তরুণ হয়, বাধ্যগত হয়, এবং শয্যাসঙ্গী হিসবে ভাল পারফর্ম করতে পারে।
Key Info
- Poet: Geoffrey Chaucer (1343 – 1400)
- Title of the Poet: Father of English Literature, Father of English Poetry, Father of English Language, Grandfather of the English Novel
- Written Date: Between 1387 and 1400
- Published Date: 1476
- Original Title: “The Canterbury Tales” (“The Wife of Bath’s Tale” is a part of it.)