The Wife’s Lament বাংলা সামারি
The Wife’s Lament কবিতায় একজন স্ত্রী তার নির্বাসিত জীবন ও স্বামী থেকে বিচ্ছেদের বেদনাদায়ক কাহিনি তুলে ধরেন। কবিতার শুরুতে তিনি তার গভীর দুঃখ ও কষ্ট প্রকাশ করেন। একাকীত্ব থেকে যে যন্ত্রণা তিনি অনুভব করছেন, তা তার জীবনের অন্য যেকোনো অভিজ্ঞতার চেয়ে আলাদা ও বেশি তীব্র।
স্ত্রী জানান, তার দুঃখের সূচনা হয়েছিল তখন, যখন তার প্রভু (স্বামী) তাদের ঘর ও পরিবার ছেড়ে দূর দেশে পাড়ি দেন। তার স্বামী তাকে ফেলে রেখে যান। স্ত্রী একজন নিঃসঙ্গ ভ্রমণকারী হিসেবে তার স্বামীকে খুঁজে পাওয়ার দৃঢ় সংকল্প নিয়ে যাত্রা শুরু করেন। তার পাশে সাহায্য করার মতো কেউ ছিল না। এমনকি তার স্বামীর আত্মীয়স্বজন তাদের পুনর্মিলন রোধ করার জন্য নানা ষড়যন্ত্র করে। তারা এমন ফন্দি আঁটে যাতে এই দম্পতি পৃথিবীর দুই প্রান্তে বিচ্ছিন্ন অবস্থায় থাকে। এই দীর্ঘ বিচ্ছেদ তার হৃদয়ভঙ্গ করে এবং স্বামীর জন্য তার আকুলতা আরও গভীর করে তোলে।
অবশেষে, তার স্বামী তাকে একটি দূরবর্তী দেশে মিলিত হওয়ার আমন্ত্রণ জানান। তিনি নিজের প্রিয় বাড়ি ছেড়ে সেই অপরিচিত দেশে যান, যেখানে তার কোনো বন্ধু বা পরিচিত মুখ ছিল না। সেই নতুন স্থানে একাকীত্ব তাকে ভীষণভাবে গ্রাস করে। তার চরম দুর্ভাগ্য যে তিনি আবিষ্কার করেন তার স্বামী তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছেন। তার মিষ্টি কথার ও হাসিমুখের আড়ালে তিনি ভয়ানক অপরাধের পরিকল্পনা করছেন। এই বিশ্বাসঘাতকতা তার স্বামীর প্রতি তার সমস্ত বিশ্বাস ভেঙে দেয়। তিনি তাদের অতীতের প্রতিশ্রুতিগুলোর কথা স্মরণ করেন—কারণ তার স্বামী মৃত্যু পর্যন্ত একসঙ্গে থাকার অঙ্গীকার করেছিল। কিন্তু এখন সেই প্রতিশ্রুতিগুলো অর্থহীন বলে মনে হয়। তাদের বন্ধুত্ব এবং ভালোবাসা এমনভাবে হারিয়ে গেছে যে এখন মনে হয় তাদের মধ্যে কখনো বন্ধুত্ব ও ভালবাসা ছিলই না।
স্ত্রীর কষ্ট এখানেই শেষ হয় না। তার স্বামীর ষড়যন্ত্রের কারণে তিনি একটি নির্জন স্থানে আশ্রয় নিতে বাধ্য হন। নিজের সুরক্ষার জন্য তিনি একটি গভীর বনে চলে যান এবং একটি পুরনো গুহায় বসবাস শুরু করেন, যা একটি ওক গাছের নিচে অবস্থিত। এই বিচ্ছিন্ন এবং অন্ধকারাচ্ছন্ন স্থান থেকেই তিনি তার শোকগাথা লিখছেন। গুহাটি প্রাচীন এবং তার চারপাশের পরিবেশ প্রাণহীন। উপত্যকাগুলো অন্ধকার, পাহাড়গুলো উঁচু, এবং ঘন ঝোপঝাড়ে ঢাকা স্থানটি তাকে সম্পূর্ণ প্রাণহীন এবং শূন্য অনুভূতি দেয়। এই পুরো পরিবেশটি তার মনোবেদনার প্রতিচ্ছবি।
স্ত্রীর তার স্বামীর প্রতি আকুলতা অব্যাহত থাকে। তিনি কল্পনা করেন, সুখী প্রেমিক যুগল গ্রীষ্মের উষ্ণ দিনে একসঙ্গে শুয়ে আছে, এবং তাদের সুখকে তিনি তার নিজের গুহার নিঃসঙ্গ জীবনের সঙ্গে তুলনা করেন। তিনি তার দুঃখে আটকে রয়েছেন। তার মানসিক যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পাওয়ার কোনো উপায় তিনি খুঁজে পান না। তিনি এই ভেবে হতাশ হন যে সমাজ চায় যুবতী নারীরা তাদের দুঃখকে লুকিয়ে রাখুক এবং মনে দুঃখ থাকা সত্ত্বেও মুখে হাসি রাখুক। এই সামাজিক চাপ তার হতাশা এবং দুঃখকে আরও বাড়িয়ে তোলে।
তার শোকগাথার শেষ অংশে তিনি আবার তার স্বামীর কথা ভাবতে শুরু করেন। তিনি কল্পনা করেন, তার স্বামী পর্বতের নিচে একটি উত্তাল সমুদ্রের ধারে বসে আছেন, ঠাণ্ডায় জমে যাচ্ছেন। স্ত্রী মনে করেন তার স্বামী ক্লান্ত এবং তার মন দুঃখের স্মৃতিতে ভারাক্রান্ত। তিনি মনে করেন তার স্বামীও তাদের সুখের দিনগুলোর কথা মনে করে কষ্ট পাচ্ছেন। স্ত্রী এই বলে শেষ করেন যে, যেসব মানুষ তাদের প্রিয়জনদের থেকে বিচ্ছিন্ন, তাদের জন্য শোক সবসময় একটি অবিচ্ছেদ্য সঙ্গী।
Key Info
- Title: The Wife’s Lament
- Poet: Anonymous
- [The poem The Wife’s Lament is a first-person monologue by a wife who shares her sorrowful story of exile and separation from her husband.]
- Manuscript Source: Preserved in the Exeter Book, a 10th-century anthology of Old English poetry
- Lines: 53 lines
- Genre: Elegy in the manner of the German frauenlied, or “women’s song”