Theory of Language

Theory of Language

ভাষা হলো মানবজীবনের প্রধান হাতিয়ার। এটি মানুষকে চিন্তা ভাগ করতে, অনুভূতি প্রকাশ করতে এবং সমাজ গড়তে সাহায্য করে। ভাষা শিক্ষাকে ভিন্ন ভিন্ন দৃষ্টিকোণ থেকে দেখেন ভাষাবিদেরা। তাদের মধ্যে তিনটি গুরুত্বপূর্ণ দৃষ্টিভঙ্গি হলো কাঠামোগত দৃষ্টিভঙ্গি, কার্যকরী দৃষ্টিভঙ্গি এবং আন্তঃক্রিয়ামূলক দৃষ্টিভঙ্গি। Brewington, Halliday, এবং Vygotsky এর মতো ভাষাবিদেরা এসব দৃষ্টিভঙ্গি ব্যাখ্যা করার জন্য ধারণা প্রদান করেছেন। একসাথে, তারা আধুনিক ভাষা শিক্ষার পদ্ধতিগুলো গড়ে তুলেছেন।

কাঠামোগত দৃষ্টিভঙ্গি: কাঠামোগত দৃষ্টিভঙ্গি ভাষাকে একগুচ্ছ রূপ হিসেবে দেখে। এটি ব্যাকরণের নিয়ম এবং বাক্য গঠনের ধরনগুলোর উপর জোর দেয়। Brewington বলেছেন এটি ইংরেজি ভাষার কাঠামো এবং তাদের ক্রম অধ্যয়ন। Menon এবং Patel উল্লেখ করেছেন যে কাঠামোর উপর দক্ষতা অর্জন শুধুমাত্র শব্দ জানার চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। এর লক্ষ্য হলো শিক্ষার্থীদের সঠিক বাক্য বলা এবং লেখা শেখানো। উদাহরণস্বরূপ, শিক্ষক কিছু ধরণ দিতে পারেন: This is a book / Is this a book? শিক্ষার্থীরা এসব ড্রিল বারবার করে।

এই দৃষ্টিভঙ্গিতে, কথা বলা আসে পড়া ও লেখার আগে। শিক্ষার্থীরা আগে শোনে ও বলে, পরে পড়ে ও লেখে। এ কারণেই একে শ্রবণ-মৌখিক পদ্ধতি বলা হয়। এ পদ্ধতিতে নির্বাচন এবং স্তরক্রম অনুসরণ করা হয়। প্রথমে কেবল সহজ ও প্রয়োজনীয় কাঠামো শেখানো হয়। কঠিনগুলো পরে আসে। এই দৃষ্টিভঙ্গির গুণ হলো অভ্যাস তৈরি। শিক্ষার্থীরা ইংরেজি বাক্যের মানক ক্রম শিখে। এটি অনুশীলন এবং শুদ্ধতার উপরও জোর দেয়। তবে এর সীমাবদ্ধতাও আছে। এটি গদ্য, কবিতা বা উচ্চতর দক্ষতা শেখাতে সাহায্য করে না। পুনরাবৃত্তির কারণে এটি বিরক্তিকরও হতে পারে।

কার্যকরী দৃষ্টিভঙ্গি: কার্যকরী দৃষ্টিভঙ্গি ভাষাকে ব্যবহারিক হাতিয়ার হিসেবে দেখে। এখানে প্রধান গুরুত্ব থাকে কথোপকথনের উদ্দেশ্যে। Halliday এবং অন্যান্য ভাষাবিদ দেখিয়েছেন যে মানুষ ভাষা ব্যবহার করে কাজ সম্পন্ন করতে। এর মধ্যে রয়েছে শুভেচ্ছা জানানো, নিমন্ত্রণ করা, ক্ষমা চাওয়া, অর্ডার করা বা ধন্যবাদ জানানো। উদাহরণস্বরূপ, যখন কোনো শিক্ষার্থী বলে, Good morning বা Can you help me?, তখন সে একটি কার্য সম্পাদনের জন্য ভাষা ব্যবহার করছে।

আরো পড়ুনঃ  History of Language Teaching Methodology

এই দৃষ্টিভঙ্গি “notion” ধারণা যোগ করে। “Notion” মানে হলো সময়, স্থান বা আকারের মতো ধারণা। উদাহরণস্বরূপ, “last week” শব্দগুচ্ছ সময়ের ধারণা প্রকাশ করে। তাই কার্য (function) এবং ধারণা (notion) একসাথে কাজ করে এই দৃষ্টিভঙ্গিতে। এভাবে শেখানোকে কার্যকরী-ধারণাভিত্তিক পদ্ধতি বলা হয়। এটি ব্যাকরণ ও বাস্তব জীবনের কথোপকথনের মধ্যে একটি যোগসূত্র তৈরি করে। পাঠগুলো সাজানো হয় বাস্তব জীবনের উদ্দেশ্য ঘিরে, যেমন টিকিট কেনা বা দিকনির্দেশ জিজ্ঞাসা করা। এই দৃষ্টিভঙ্গির গুণ হলো এটি শেখাকে প্রাকৃতিক ও মূল্যবান অভিজ্ঞতা বানায়। এটি সামাজিক ভূমিকা ও পরিস্থিতির উপর জোর দেয়। তবে স্তর বিন্যাস করা কঠিন হতে পারে, আর কখনও কখনও ব্যাকরণের নিয়ম উপেক্ষিত হয়।

আন্তঃক্রিয়ামূলক দৃষ্টিভঙ্গি: আন্তঃক্রিয়ামূলক দৃষ্টিভঙ্গি ভাষাকে সামাজিক জীবন গড়ার উপায় হিসেবে দেখে। ভাষা শুধু ব্যাকরণ বা কাজের জন্য নয়। এটি সম্পর্ক ও সংস্কৃতির জন্যও ব্যবহৃত হয়। Vygotsky এটি ব্যাখ্যা করেছেন নিকটবর্তী বিকাশ অঞ্চল ধারণার (Zone of Proximal Development) মাধ্যমে। তিনি বলেছেন শিক্ষার্থীরা সামাজিক আন্তঃক্রিয়ার মাধ্যমে অন্যদের সাহায্যে বেড়ে ওঠে। Bruner “scaffolding” ধারণা যোগ করেছেন। এখানে শিক্ষক বা সহপাঠীরা ধাপে ধাপে কাজ করার জন্য সহায়তা দেয়।

এই দৃষ্টিভঙ্গি ভাষা শিক্ষার কেন্দ্রে আন্তঃক্রিয়াকে রাখে। শিক্ষার্থীরা কথা বলে, ভাগ করে, এবং একসাথে কাজ করে। উদাহরণস্বরূপ, তারা যুগল কাজ, ভূমিকাভিনয় এবং দলগত আলোচনায় অংশ নেয়। শিক্ষক একটি বাস্তব পরিস্থিতি দেন। শিক্ষার্থীরা মতবিনিময় করে এবং অর্থ নিয়ে আলোচনা করে। এই দৃষ্টিভঙ্গির গুণ হলো এটি শিক্ষার্থীদের সক্রিয় ও অনুপ্রাণিত করে। এটি ভাষাকে সংস্কৃতি ও প্রেক্ষাপটের সাথে যুক্ত করে। তবে এ দৃষ্টিভঙ্গি পরীক্ষা করা বা মাপা কঠিন।

আরো পড়ুনঃ Group Work Vs. Whole Class Activities and Teaching Large Classes

সংক্ষেপে, ভাষাকে কেবল এক দিক থেকে ব্যাখ্যা করা যায় না। কাঠামোগত, কার্যকরী এবং আন্তঃক্রিয়ামূলক দৃষ্টিভঙ্গি সবই গুরুত্বপূর্ণ দিক দেয়। কাঠামোগত দৃষ্টিভঙ্গি দেয় রূপ ও নিয়ম। কার্যকরী দৃষ্টিভঙ্গি দেয় উদ্দেশ্য ও অর্থ। আন্তঃক্রিয়ামূলক দৃষ্টিভঙ্গি দেয় সামাজিক যোগসূত্র ও বিকাশ। আধুনিক যোগাযোগমূলক ভাষা শিক্ষা এই তিনটি দৃষ্টিভঙ্গিকে একত্র করে।

Share your love
Riya Akter
Riya Akter

Hey, This is Riya Akter Setu, B.A (Hons) & M.A in English from National University.

Articles: 747