Tithonus Bangla Summary
Basic Information:
- Writer: Alfred Lord Tennyson (1809-92)
- Published date: 1860
- Genre: Dramatic Monologue
কবিতা সম্পর্কে বেসিক ধারণা: Tithonus এই কবিতাটি লিখেছেন বিখ্যাত ভিক্টোরিয়ান কবি আলফ্রেড লড টেনিসন। আলফেট লর্ড টেনিসন ১৮০৯ সালে জন্মগ্রহণ করেছিলেন এবং ১৮৯২ সালে মৃত্যুবরণ করেছিলেন। টেনিসন এই কবিতাটি ১৮৩৩ সালে “Tithon” নামে লিখেছিলেন কিন্তু এটি ততটা জনপ্রিয়তা না পাওয়ায় তিনি ১৮৫৯ সালে এই কবিতাটি নাম পরিবর্তন করে Tithonus এই নামে প্রকাশ করেন। কবিতাটি প্রকাশ পাওয়ার সাথে সাথে খুবই জনপ্রিয়তা লাভ করে।
আরো পড়ুনঃ Felix Randal Bangla Summary
তিনি মূলত গ্রিক মিথলজির একটি কাহিনী কে অবলম্বন করে এই কবিতাটি রচনা করেছেন। এই কবিতাটি একটি ড্রামাটিক মনোলগ। ড্রামাটিক মনোলগ বলতে বোঝায় একজন স্পিকার তার মনের কথাগুলো একজন সাইলেন্ট শ্রোতার সামনে উপস্থাপন করবেন। এই কবিতাতে Tihonus তার মনের সব দুঃখগুলো নীরব শ্রোতা তার প্রেমিকা অরোরার সামনে বলে যাচ্ছেন।
Tithonus এর পরিচয়: টিথোনাস ছিলেন ট্রয় নগরীর একজন সুদর্শন পুরুষ। তিনি ট্রয় নগরীর রাজা লাওমেডনের সন্তান এবং রাজা প্রয়াম ভাই। তাঁর মা ছিলেন স্ক্যামান্ডার নদীর কন্যা স্ট্রিমো। তিনি অনেক সুদর্শন হওয়ার কারণে গ্রীক মিথলজির ঊষার দেবী অরোরা তার প্রেমে পড়েন। এবং তাকে বিয়ে করার উদ্দেশ্যে তাকে উঠিয়ে নিয়ে ইথিওপিয়াতে চলে যান। সেখানে গিয়ে অরোরা তাকে বিয়ে করেন এবং ইম্যাথিওন এবং মেমনন নামের দুজন সন্তানের জন্ম দেন।
তিনি অরোরার কাছ থেকে অমরত্ব চেয়ে নেন কিন্তু যৌবন চেয়ে নিতে ভুলে যান। যার কারণে বয়স বাড়ার সাথে সাথে সে খুবই বৃদ্ধ হয়ে যায় এবং তার জীবনের উপর বিরক্তি চলে আসে। পরবর্তীতে তিনি দেব দেবীর আশীর্বাদে সাইকাডা নামক পোকায় পরিণত হয়। সে কখনো মারা যাবে না শুধুমাত্র সে তার খোলস পাল্টাবে।
আরো পড়ুনঃ Spring and Fall Bangla Summary
কবিতার সারমর্ম: টিথোনাস গ্রিক মিথলজির একজন বিখ্যাত ব্যক্তি কারন সূর্যের দেবী অরোরা তার প্রেমে পড়েছিলেন এবং তাকে অমরত্ব দান করেছিলেন। কিন্তু একটি দুঃখজনক বিষয় হচ্ছে টিথোনাস তার প্রেমিকার কাছ থেকে অমরত্ব চেয়ে নিয়েছিল ঠিকই কিন্তু সে যৌবন চেয়ে নিতে ভুলেগিয়েছিল অর্থাৎ বয়স বাড়ার সাথে সাথে তার শরীর বৃদ্ধ হয়ে যাচ্ছিল কিন্তু সে তো দেবীর কাছ থেকে অমরত্ব নিয়েছে যার কারণে সে মারা যাচ্ছিল না।
টিথোনাস যতই বৃদ্ধ হচ্ছিল ততই তার অমরত্বের উপর বিরক্ত চলে আসছিল কিন্তু অন্যদিকে তার প্রিয়তমার সেই যৌবন এখনো সেই রকমই রয়েছিয়েছে। প্রতিদিন সকালে যখন সূর্য উঠে তখন মনে হয় যেন তার সৌন্দর্য আরো বৃদ্ধি পেয়েছে। অমর হওয়ার পর থেকে তিনি নিজেকে আর মানুষ মনে করেন নিনি, তিনি নিজেকে একটি নিসক ছায়া মনে করেন। তিনি স্বাভাবিকভাবে মারা যাওয়ার জন্য অরোরাকে অনুরোধ।
Bangla Summary:
টিথোনাস ও অরোরার বিয়ে: গ্রীক মিথলজিতে, ঊষার দেবী অরোরা অনেক ভালোবেসে বিয়ে করেছিলেন টিথোনাসকে। টিথোনাস দেবতা জিউস এর কাছে প্রার্থনা করেছিলেন অমরত্বের জন্য। দেবতা জিউস টিথোনাসকে অমরত্ব দিয়েছিলেন কিন্তু টিথোনাস শুধুমাত্র অমরত্বই চেয়ে নিয়েছিলেন, চির যৌবন চেয়ে নিতে ভুলে গিয়েছিলেন।
যার কারনে বিবাহের পর প্রকৃতির নিয়মেই টিথোনাস আস্তে আস্তে বৃদ্ধ হয়ে যেতে লাগে। তার যতই বয়স বাড়তে থাকে, ততই সে বৃদ্ধ হয়ে যায়। কিন্তু অন্যদিকে তার স্ত্রী অরোরার সৌন্দর্য বিন্দুমাত্র কমেনা তার সৌন্দর্য যেন প্রতিদিন বৃদ্ধি পেতেই থাকে। দিন যত যায়, টিথোনাসের মনের দুঃখ কষ্ট ততটাই বাড়তে থাকে।
টিথোনাসের ভুল বুঝতে পারা: অরোরা টিথোনাসকে ভালোবেসে ট্রয় নগরী থেকে চুরি করে বিয়ে করে সংসার করছিলেন। কিন্তু টিথোনাসের সৌন্দর্য নষ্ট হয়ে যাওয়ার কারণে অরোরা আগের মত আর তাকে কাছে টানে না। টিথোনাস যেন অরোরার কাছে বোঝায় পরিণত হয়ে গেছে। অরোরার সৌন্দর্যে চারিদিক মনমুগ্ধকর হয়ে গিয়েছে।
আরো পড়ুনঃ Pied Beauty Bangla Summary
এদিকে টিথোনাস তার বয়স্ক অকেজো জীবন নিয়ে হতাশায় দিন কাটাচ্ছে। আর এখন তিনি এই অমরত্বের অভিশাপ থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য আকুল মিনতি জানাচ্ছে। এই কবিতাতে তার মর্মবিদারী সেই কামনার প্রকাশ ঘটেছে। যার মাধ্যমে তিনি বুঝাতে চেয়েছেন যৌবন ছাড়া অমরত্ব একটি বোঝা।
এই কবিতাতে টিথোনাস দুঃখ প্রকাশ করে বলছে প্রকৃতির প্রতিটি জিনিসের ক্ষয় হয়। প্রকৃতির প্রতিটি জিনিস নষ্ট হয়ে যায়, মৃত্যু হয় কিন্তু তার মৃত্যু হয় না। অমর হওয়ার কারণে সে দিন দিন বৃদ্ধই হচ্ছিল কিন্তু কোনভাবেই মারা যাচ্ছিল না। পৃথিবীর অন্যান্য বস্তুর মত মৃত্যুবরণ করতে সে সক্ষম নয়, কারণ তার যৌবনকাল অতিবাহিত হয়ে যাওয়ার পর ধীরে ধীরে বৃদ্ধ অবস্থায় পার করছিল।
কিন্তু এই অবস্থার আর যেন কোনোভাবেই শেষ হচ্ছে না। তিনি পৃথিবীর অন্যান্য প্রানি ও মানুষদের মানুষের কথা স্মরণ করেন। যারা যৌবনের কাজ করেন আর যৌবন শেষে মৃত্যুবরণ করেন। আর তিনি এই সকল জিনিস দেখে খুবই আফসোস করেন এবং প্রকাশ করেন আমিও তাদের মতো মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করতে চাই।
এরপর সে তার এই দুর অবস্থার জন্য অরোরার কথা স্মরণ করে। সে নিজেকে তখন আর মানুষ বলে পরিচয় দেয় না তখন সে নিজেকে প্রকাশ করে একটি ছায়া আত্মা হিসেবে। যার কাজ হচ্ছে প্রতিদিন সকালে উঠে তার স্ত্রীর পূর্ণ যৌবন দেখা। কিন্তু সেই যৌবনের কোন ব্যবহার করার ক্ষমতা তার নেই। কারণ তার মধ্যে যৌবনের কোন চিহ্নই নেই। সে বৃদ্ধ হয়ে গিয়েছে। তার শরীরের সব অঙ্গ-পতঙ্গ গুলো অকেজ হয়ে পড়েছে।
আরো পড়ুনঃ The Rape of the Lock Bangla Summary
এরপরে সে তার সেই পুরনো স্মৃতিগুলো মনে করেন এবং কষ্ট পেতে থাকেন। তখন সে মনে করেন যখন দেবতার কাছে অমরত্ব চেয়েছিল তখন সে একটি ভুল করেছিলন। চিরজৈবন না চাওয়ার ফলে আজ তাকে এই অভিশপ্ত অবস্থায় দিন যাপন করতে হচ্ছে। দিন যতই যায় তার শরীর যেন ততই অকেজো হয়ে যায়।
আর অন্যদিকে তার প্রিয়তমা স্ত্রীর যৌবনের সৌন্দর্য চারদিক আলোকিত করতে থাকে। এর জন্য সে প্রতিদিন তার স্ত্রীকে বলতে থাকে তুমি আমাকে যে অমরত্ব দিয়েছো তুমি সেই অমরত্ব ফিরিয়ে নাও, ফিরিয়ে নাও। আমি স্বাভাবিক ভাবে মৃত্যুর স্বাদ গ্রহণ করতে চাই। কিন্তু তার সেই প্রিয়তমা স্ত্রী কোন কথাই বলে না নিশ্চুপ থেকে যায়।