Waiting for Godot Bangla summary

Waiting for Godot

সংক্ষিপ্ত জীবনী: স্যামুয়েল বেকেট (Samuel Beckett)

স্যামুয়েল বেকেট ১৯০৬ সালের ১৩ এপ্রিল আয়ারল্যান্ডের ডাবলিন শহরে জন্মগ্রহণ করেন। তার পুরো নাম ছিল Samuel Barclay Beckett। তিনি ছিলেন একজন বিশিষ্ট নাট্যকার, ঔপন্যাসিক, কবি এবং অনুবাদক। তার পরিবার ছিল শিক্ষিত এবং প্রোটেস্টান্ট ধর্মবিশ্বাসী। ছোটবেলা থেকেই বেকেট ছিলেন মেধাবী এবং ক্রীড়াপ্রেমী। তিনি Trinity College, Dublin-এ ফরাসি ও ইতালীয় ভাষা নিয়ে পড়াশোনা করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়াশোনা শেষে তিনি কিছুদিন ফ্রান্সে অধ্যাপনা করেন এবং লেখালেখি শুরু করেন। তিনি বিখ্যাত লেখক জেমস জয়েস-এর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তোলেন, যার সাহিত্যিক প্রভাব বেকেটের লেখায় পড়ে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় বেকেট ফ্রান্সে নাৎসিবিরোধী প্রতিরোধ আন্দোলনে যোগ দেন এবং পরবর্তীতে তিনি “Croix de Guerre” পুরস্কারে ভূষিত হন।

স্যামুয়েল বেকেট ছিলেন Absurd Literature-এর অন্যতম প্রধান প্রতিনিধি। তার লেখা নাটক ও উপন্যাসে মানব জীবনের অর্থহীনতা, একাকিত্ব, হতাশা এবং অপেক্ষার অসারতা তুলে ধরা হয়েছে। তার বিখ্যাত নাটক “Waiting for Godot” (1952) বিশ্বসাহিত্যে একটি মাইলফলক হয়ে উঠেছে, যেখানে দুটি চরিত্র সারাক্ষণ অপেক্ষা করেও কাউকে পায় না, যা মানুষের অস্তিত্ব সংকটকে প্রতীকীভাবে তুলে ধরে। তার অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ রচনার মধ্যে রয়েছে,

  • Endgame (1957)
  • Krapp’s Last Tape (1958)
  • Happy Days (1961)
  • উপন্যাস: Molloy, Malone Dies, The Unnamable

তিনি ইংরেজি ও ফরাসি- দুই ভাষাতেই সাহিত্য রচনা করতেন। পরবর্তীকালে অনেক সময় নিজের ইংরেজি লেখাকে নিজেই ফরাসিতে অনুবাদ করেছেন। ১৯৬৯ সালে সাহিত্যে অসামান্য অবদানের জন্য স্যামুয়েল বেকেট নোবেল পুরস্কারে ভূষিত হন। তবে তিনি ছিলেন প্রচারবিমুখ এবং নোবেল পুরস্কার গ্রহণ করলেও কোনো জনসভায় বক্তৃতা দেননি। তার লেখায় দেখা যায় একধরনের শুষ্ক রসবোধ, গা-ছাড়া মনোভাব ও গভীর জীবনদর্শন। স্যামুয়েল বেকেট ১৯৮৯ সালের ২২ ডিসেম্বর ফ্রান্সের প্যারিসে মৃত্যুবরণ করেন। তাকে সেখানে Montparnasse কবরস্থানে সমাহিত করা হয়। আজও স্যামুয়েল বেকেটকে আধুনিক নাটকের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও প্রভাবশালী লেখকদের একজন হিসেবে বিবেচনা করা হয়। তাকে “The master of minimalism” এবং অস্তিত্ববাদী নাটকের পথিকৃৎ বলা হয়।

আরো পড়ুনঃ The Importance of Being Earnest Bangla Summary

Key Facts

  • Full Title: Waiting for Godot: A Tragicomedy in Two Acts
  • Original Title: En attendant Godot (French Name)
  • Author: Samuel Beckett (1906–1989)
  • Title of the Author: Master of Absurd Drama
  • Prize: Nobel Prize in Literature (1969)
  • Source: Influenced by the Theatre of the Absurd, existential philosophy, and Beckett’s own experiences during World War II
  • Written Time: Written between 1948–1949 (originally in French as En attendant Godot)
  • First Published: 1952 (in French); English version in 1954, translated by Beckett himself
  • Publisher: Les Éditions de Minuit (French edition), Faber and Faber (English edition)
  • Genre: Absurdist Drama / Tragicomedy
  • Form: Two-act play
  • Structure: Minimalist stage setting, repetitive dialogue, and circular structure
  • Tone: Bleak, comic, philosophical, ironic, and contemplative
  • Point of View: Third-person stage directions; Dialogue-driven drama with no narrator
  • Significance: A landmark in 20th-century drama; it explores existential themes such as the meaninglessness of life, waiting, hope, and human suffering
  • Language: Originally written in French (En attendant Godot); later translated into English by Beckett
  • Famous Line: “Nothing to be done.”- (Estragon, Act 1)
  • Setting:
  • Time Setting: Post-World War II.
  • Place Setting: A country road, near a leafless tree.

Key Notes- বাংলায়

  • Absurd Drama: এই ধরনের ড্রামা গুলোতে মূলত ক্যারেক্টার কম থাকে। এখানে জীবনের অর্থহীনতা তুলে ধরা হয়। অর্থাৎ জীবনের কোন নির্দিষ্ট অর্থ নেই। যেটা কিনা সেকুলারিজমের প্রতি ইঙ্গিত দেয়। আর এই ড্রামা গুলো ট্রাজি-কমেডি কোয়ালিটির হয়ে থাকে।
  • Symbolic Waiting – Godot: “Godot” কে কখনও দেখা যায় না, এবং তার পরিচয় স্পষ্ট নয়। সে হচ্ছে আশা, মুক্তি, ঈশ্বর, ভবিষ্যৎ বা জীবনের অর্থের প্রতীক। এই অপেক্ষা মানব জীবনের সেই চিরন্তন অপেক্ষাকেই বোঝায়, যেখানে মানুষ কিছু একটার আশায় দিন কাটায়, কিন্তু সেটি কখনোই আসে না।
  • Absurdism and Existentialism: এই নাটকটি Theatre of the Absurd এর প্রধান নিদর্শন। এখানে জীবনের কোনও নির্দিষ্ট উদ্দেশ্য নেই, সংলাপগুলি পুনরাবৃত্তিমূলক, এবং ঘটনাগুলো অর্থহীন মনে হয়। এটি existential philosophy দ্বারা প্রভাবিত, যেখানে মানুষের অস্তিত্ব এবং বেঁচে থাকার উদ্দেশ্য নিয়েই প্রশ্ন তোলা হয়েছে।
  • Cyclical Time – Eternal Repetition: নাটকের দুটি পর্বে প্রায় একই ঘটনা ঘটে, দেখায় যে সময় যেন ঘুরে ফিরে আসে, এবং কোনো অগ্রগতি নেই। এটি জীবনের সেই চক্রকে বোঝায়, যেখানে মানুষ একই অবস্থায় আটকে থাকে, যেমন অপেক্ষা, হতাশা ও আশা।
  • Minimal Setting – Symbolic World: মঞ্চে শুধু একটি গাছ, একটি রাস্তা এবং দুই ব্যক্তি, এই মিনিমাল সেটিং মানব অস্তিত্বের শূন্যতা, বিরক্তিকর একঘেয়েমি এবং জীবনের অনিশ্চয়তাকে তুলে ধরে। গাছটি পরিবর্তনের সম্ভাবনার (একটি পাতা গজানো) ইঙ্গিত দেয়, কিন্তু তাও অচল।
  • Autobiographical Elements: যদিও এটি সরাসরি আত্মজৈবনিক নয়, তবুও বেকেটের নিজস্ব অভিজ্ঞতা, যেমন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় পালিয়ে বেড়ানো, অপেক্ষা, ক্ষুধা, অস্থিরতা, এই নাটকে প্রতিফলিত হয়েছে। Beckett নিজেও “Godot”-কে ব্যাখ্যা করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছিলেন। তিনি বলেন, অর্থহীনতাই এর প্রকৃত অর্থ।

Human Condition – Helpless Companionship: Vladimir ও Estragon একে অপরকে ছেড়ে যেতে চায়, কিন্তু যেতে পারে না। তারা একে অপরের উপর নির্ভর করে, আবার বিরক্তও হয়। এটি মানুষের একাকিত্ব ও সহজে পরিত্রাণ না পাওয়া সম্পর্কের জটিলতা প্রকাশ করে

Background- বাংলা: Samuel Beckett-এর “Waiting for Godot” নাটকটি লেখা হয়েছিল দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পরের সময়ে, এক অস্থির ও অনিশ্চিত বিশ্বপ্রেক্ষাপটে। এই সময় ইউরোপের মানুষ যুদ্ধ, ধ্বংস ও হতাশার অভিজ্ঞতা নিয়ে বেঁচে ছিল। সমাজে ছড়িয়ে পড়েছিল নিরাশা, অসহায়ত্ব ও ভবিষ্যৎ সম্পর্কে অনিশ্চয়তা। মানুষ তার জীবনের অর্থ ও উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করে। বেকেট এই নাটকটি লেখেন ফ্রান্সে, ১৯৪৮ সালে। তখন তিনি নিজে ছিলেন নাৎসিবিরোধী প্রতিরোধ আন্দোলনের সদস্য। তার জীবনেও ছিল দুঃখ, অনিশ্চয়তা এবং অনেক সময় ধরে অপেক্ষা। এই অভিজ্ঞতাগুলো তার নাটকে উঠে আসে গভীরভাবে।

বাংলা সামারি

তো এই সম্পূর্ণ ড্রামা আমরা মাত্র ৬টা পয়েন্টের মাধ্যমে খুব সহজেই আমরা জানতে পারবো।

১ম দিন এবং প্রথম পর্ব

১. Estragon ও Vladimir এর গডোর/Godo জন্য অপেক্ষা 

২. Lucky ও Pozzo এর আগমন

৩. গডোর খবর নিয়ে ছোট একটা ছেলের আগমন

২য় দিন এবং দ্বিতীয় পর্ব

৪. দ্বিতীয় দিনেও গডোর আগমনের জন্য অপেক্ষা 

৫. দ্বিতীয় দিনেও Pozzo ও Lucky এর আগমন 

৬. দ্বিতীয় দিনেও গডোর খবর নিয়ে ছোট একটা ছেলের আগমন

১ম দিন এবং প্রথম পর্ব

১. Estragon ও Vladimir এর গডোর/Godo জন্য অপেক্ষা: নাটকের শুরুতে আমরা দেখি একটি একাকী গ্রামের রাস্তা। যেখানে একটা গাছ আছে। সন্ধ্যার সময় Estragon নামের এক ব্যক্তি সেখানে বসে তার জুতো খুলতে চেষ্টা করছে। বারবার চেষ্টা করেও সে জুতো খুলতে পারেনা। ক্লান্ত হয়ে সে বসে পড়ে, তারপর আবার চেষ্টা করে। এসময় তার বন্ধু Vladimir এসে হাজির হয়। সে Estragonকে দেখে খুশি হয়। তারা দুজন একে অপরকে মিস করছিল, ভাবছিল হয়তো তাদের আর কখনো দেখা হবে না।

Vladimir Estragonকে বলে, সে মনে করে জীবন খুব কঠিন এবং সে জীবনের বিষয়ে হার মানতে চেয়েছিল। Estragon তার পা থেকে জুতো খুলতে চেষ্টা করে। Vladimir তাকে সাহায্য করার কথা বলে। তবে Estragon অনেক সময় অসহায়, দুঃখজনক এবং বিরক্ত। তারা একসঙ্গে জীবনের কঠিন সময়ের কথা আলোচনা করে। Vladimir Estragonকে কিছু দিন আগের ঘটনাগুলো মনে করায়, যেটা Estragon ভুলে যায়। তারা দুজনের কথোপকথনে জীবনের অর্থহীনতা, দুঃখ, আশা ও হতাশার মিশ্রণ পাওয়া যায়।

Vladimir Estragonকে বাইবেলের দুই চোরের গল্প বলে, যাদের যিশুর সাথে ক্রুশে টাঙ্গানো হয়েছিল। এক চোর মৃত্যুর পর স্বর্গে যায়। আর অপর চোর নরকগামী হয়। তারা এই গল্প নিয়ে বিতর্ক করে, কিন্তু Estragon ঠিকমতো কথা শুনে না। তারা প্রায়শই হাসে, বিরক্ত হয়, আবার কিছুক্ষণ পর আবার একসাথে সময় কাটায়। Estragon কখনো নিজেকে কবি বলেও পরিচয় দেয়, যদিও এখন সে ছেঁড়াফাটা জামা পরে।

তারা একসাথে বসে ভাবতে থাকে তারা কার জন্য অপেক্ষা করছে। তারা বলছে, তারা গডো নামে এক ব্যক্তির জন্য অপেক্ষা করছে। কিন্তু তারা জানে না গডো কখনো আসবে কি না, অথবা কীভাবে আসবে। Estragon ও Vladimir নিজেদের মধ্যে তর্ক করে, কখনো আশাবাদী, কখনো হতাশ। তারা ভাবছে, যদি গডো না আসে তাহলে কি হবে? তবে তারা সিদ্ধান্ত নেয় অপেক্ষা চালিয়ে যাবে যতদিন না গডো আসে।

Estragon গাছ থেকে ফাঁস নেওয়ার কথা বলে, যেন তারা ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করতে পারে। Vladimir প্রথমে এটা পছন্দ করে, কিন্তু পরে তারা চিন্তা করে, যদি একজন মারা যায় তাহলে অন্যজন একা হয়ে পড়বে। তাই তারা ফাঁস নেয়ার সিদ্ধান্ত বাতিল করে দেয়। তারা ভাবছে জীবনটা কতটা কঠিন ও অর্থহীন। তারা পরস্পরের প্রতি নির্ভরশীল, একে অপরকে ছেড়ে যাওয়ার কথাও চিন্তা করে। Estragon মাঝে মাঝে ঘুমিয়ে পড়ে, Vladimir তাকে জাগিয়ে রাখে। তাদের কথাবার্তায় দুঃখ, একাকীত্ব, আশাবাদ ও হতাশা মিশে আছে। Estragon অনেক সময় হতাশা প্রকাশ করে, Vladimir তাকে বোঝানোর চেষ্টা করে।

Estragon জিজ্ঞেস করে তাদের কি সত্যিই এখানে থাকার কোনো অধিকার আছে? Vladimir বলে, তাদের মানবিক অধিকার অনেক আগেই শেষ হয়ে গেছে। তারা একে অপরের উপর নির্ভরশীল, একসাথে আছে। তারা গাছের নিচে বসে অপেক্ষা করে। হঠাৎ Estragon একটি শব্দ শুনতে পায়, কিন্তু সত্যি বলতে কিছুই শুনতে পায় না। Vladimir ভেবে নেয় সেটা হয়তো গডোর আগমনের সংকেত। তবে Estragon মনে করে এটা শুধু বাতাসের শব্দ। Estragon ক্ষুধার্ত হয়। Vladimir তাকে গাজর খেতে দেয়। তবে গাজর শেষ হয়ে গেলে সে একটা শসা দেয়। Estragon গাজর খেতে খেতে তার আগের কথাগুলো ভুলে যায় এবং আবার নতুন করে আলোচনা শুরু করে। 

(নাটকের এই অংশে Estragon এবং Vladimir একে অপরের সঙ্গেই জীবন কাটায়। তারা জীবনের মানে খোঁজে, একে অপরকে বোঝার চেষ্টা করে। গডো নামের একজন ব্যক্তির জন্য তারা অপেক্ষা করে, কিন্তু গডো আসবে কি না তা তারা নিশ্চিত নয়। তারা একে অপরের সঙ্গ নিয়ে বেঁচে থাকার চেষ্টা করে, সময় কাটায়, হাসে, এবং জীবনের অর্থহীনতায় পঙ্গু হয়। নাটকের শুরু থেকেই প্রতিফলিত হয় মানুষের একাকীত্ব, জীবনের অর্থহীনতা ও অপেক্ষার ভার। Estragon ও Vladimir জীবন থেকে কিছু আশা করে, কিন্তু সেই আশা প্রায়শই ভেঙে যায়। তারা একে অপরকে সঙ্গ দেয়, কিন্তু গভীরভাবে তারা হতাশ এবং একাকী।)

২. Lucky ও Pozzo-এর আগমন: হঠাৎ Estragon আর Vladimir দূরে কারো আসার শব্দ শুনলো। তারা তাকিয়ে দেখলো, একজন লোক এগিয়ে আসছে, আরেকজন তার পেছনে। পিছনের লোকটির গলায় দড়ি বাঁধা, আর দড়ির অপর প্রান্ত সামনের লোকটির হাতে। সামনের লোকটির হাতে চাবুক। পিছনের লোকটির পিঠে ভারী বোঝা, একটা ফোল্ডিং টুল, একটি বড় ব্যাগ এবং একটি পিকনিক বাস্কেট। সবকিছু সে কাঁধে বহন করছে। Estragon প্রথমে ভেবেছিল, এটাই হয়তো গডো। Vladimir-ও তাকিয়ে রইলো, কিন্তু কাছে আসার পর তারা বুঝলো, না, এদের মধ্যে কেউ গডো নয়। এরা Pozzo এবং Lucky। Pozzo দাঁড়িয়ে Lucky-কে থামতে বললো। Lucky চুপচাপ দাঁড়িয়ে রইলো। এরপর Pozzo ফোল্ডিং টুল নামাতে বললো। Lucky নামালো, আর Pozzo তাতে বসে পড়লো।

Pozzo পিকনিক বাস্কেট হাতে নিলো এবং মুরগির মাংস খেতে শুরু করলো। খাওয়া শেষে হাড়গুলো মাটিতে ফেলে দিলো। Lucky বাস্কেট হাতে দাঁড়িয়ে থাকলো, কোনো কথা বললো না। Estragon আর Vladimir অবাক হলো, Lucky যেন সম্পূর্ণ প্রাণহীন। Pozzo যা বলছে, সে কোনো প্রতিবাদ ছাড়াই করে যাচ্ছে। খাওয়া শেষে Lucky-এর চোখে ঘুম ঘুম ভাব দেখা দিলো। সে দাঁড়িয়েই ঘুমিয়ে পড়লো। Estragon আর Vladimir কৌতূহলী হয়ে Pozzo-কে জিজ্ঞেস করলো, Lucky ব্যাগটা নামাচ্ছে না কেন? Pozzo প্রথমে কোনো উত্তর দিলো না। Estragon মাটিতে পড়ে থাকা মুরগির হাড় তুলতে গেলো। Pozzo বললো, এগুলো Lucky-এর জন্য। Estragon Lucky-কে জিজ্ঞেস করলো, তুমি কি হাড়গুলো খাবে? Lucky কোনো উত্তর দিলো না, তাই Estragon হাড়গুলো তুলে নিলো।

Estragon আবার ব্যাগের প্রসঙ্গ তুললো। এবার Pozzo বললো, Lucky ভয় পায়, যদি সে আমার কথা না শোনে, আমি তাকে অন্য কারো কাছে দিয়ে দেবো। এই কথা শুনে Lucky কেঁদে ফেললো। Estragon তার চোখের পানি মুছতে গেলো, কিন্তু Lucky হঠাৎ তাকে লাথি মেরে ফেলে দিলো। Pozzo জানালো, Lucky ৬০ বছর ধরে তার সঙ্গে আছে। এই দীর্ঘ সময়ের কথা শুনে Vladimir বিস্মিত হলো। Pozzo বললো, এখন Lucky তার কাছে বোঝা হয়ে গেছে। Vladimir বললো, তাহলে ও এমন খারাপ ব্যবহার করছে কেন? Pozzo কোনো জবাব দিলো না। বরং সে আকাশের দিকে তাকিয়ে রাতের সৌন্দর্যের বর্ণনা দিতে শুরু করলো। সে বললো, তারকারা ঝিলমিল করছে, চাঁদের আলো চারদিকে ছড়িয়ে আছে।

Pozzo-র বর্ণনা শুনে Estragon আর Vladimir মুগ্ধ হলো। তারা তার প্রশংসা করলো। প্রশংসায় খুশি হয়ে Pozzo বললো, তোমাদের জন্য কিছু করতে চাই। Estragon সুযোগ পেয়ে বললো, আমাকে দশ ফ্রাঙ্ক দাও। Vladimir তাকে চুপ করিয়ে দিলো। এরপর Pozzo বললো, Lucky তোমাদের বিনোদনের জন্য নাচবে। Lucky নাচলো। Estragon তার নাচ নকল করার চেষ্টা করলো, কিন্তু পারলো না। এরপর তারা Lucky-এর অদ্ভুত স্বভাব নিয়ে আলোচনা করলো। হঠাৎ তারা সবাই মিলে Lucky-এর উপর ঝাঁপিয়ে পড়লো। Lucky কিছু বললো না, শুধু শেষ দিকে একবার বললো, “Unfinished”। তার হাতে ব্যাগ দিলেই সে আবার জেগে উঠলো। Pozzo বললো, এখন আমাদের যেতে হবে। Lucky দড়ি টেনে ধরলো, আর Pozzo সামনে এগিয়ে গেলো। তারা দুজনেই চলে গেলো। Estragon আর Vladimir আবার একা হয়ে গেলো।

(এই অংশে Pozzo ও Lucky-এর সম্পর্ক দেখায় মানুষের শোষণ ও নিপীড়ন। Lucky দাসের মতো, তার কোনো স্বাধীনতা নেই। সে শুধু Pozzo’র আদেশ মানে। Lucky-এর নীরবতা ও ক্লান্তি মানুষের দুর্বলতা বোঝায়। Pozzo তার ক্ষমতা দেখাতে চায়, কিন্তু তার নিয়ন্ত্রণও দুর্বল। Lucky-এর মুক্তির কোনো সুযোগ নেই। এটি মানুষের স্বাধীনতা ও মর্যাদাহীনতার কষ্ট দেখায়। এই অংশে শক্তির ভারসাম্যহীনতা ও দাসত্বের যন্ত্রণাও স্পষ্ট।)

৩. গডোর খবর নিয়ে ছোট ছেলের আগমন: Estragon আর Vladimir এখনো গাছের নিচে দাঁড়িয়ে আছে। তারা গডোর জন্য অপেক্ষা করছে। সময় ধীরে ধীরে কেটে যাচ্ছে। হঠাৎ তারা দেখে, একটা ছোট ছেলে আসছে। ছেলেটি লাজুকভাবে এগিয়ে আসে। ছেলেটি এসে বলে, গডো তাকে পাঠিয়েছে। কথা শুনে Estragon সঙ্গে সঙ্গে বিরক্ত হয়ে যায়। সে জিজ্ঞেস করে, এত দেরি করে কেন এলে? ছেলেটি চুপচাপ দাঁড়িয়ে থাকে। Estragon তাকে বকা দেয়। ভয়ও দেখায়।

তারপর ছেলেটি বলে, গডো আজ আসবেন না। কিন্তু কাল অবশ্যই আসবেন। Vladimir মনোযোগ দিয়ে শুনে। Estragon কিছুটা হতাশ হয়। Vladimir ছেলেটিকে বলে, তুমি ফিরে গিয়ে গডোকে জানিয়ো, আমরা এখানে অপেক্ষা করছি। Estragon-ও একই কথা বলে। ছেলেটি মাথা নেড়ে রাজি হয়। তারপর ছেলেটি ধীরে ধীরে চলে যায়। ছেলেটি চলে যাওয়ার পর Estragon আর Vladimir নিজেদের মধ্যে কথা বলতে থাকে। তারা পুরনো দিনের কিছু গল্প বলে। মাঝে মাঝে হাসে, মাঝে মাঝে চুপ থাকে। শেষে তারা বলে, চল, এখান থেকে যাই। কিন্তু কিছুক্ষণ পরে দেখা গেল, দুজনেই দাঁড়িয়েই আছে। কেউ নড়ছে না। তারা গডোর অপেক্ষায় এখানেই রয়ে গেল।

(এই অংশে ছোট ছেলের আগমন গডোর আসা অনিশ্চিত করে তোলে। সে বলে গডো আজ আসবে না, কাল আসার কথা আছে। Estragon হতাশ হয়, Vladimir ছেলেকে গডোকে তাদের কথা জানাতে বলে। তারা যেতে চায়, কিন্তু শেষ পর্যন্ত থেকে যায়, যা জীবনের অসম্পূর্ণ আশা ও বন্ধনের প্রতীক।)

২য় দিন এবং দ্বিতীয় পর্ব

৪. দ্বিতীয় দিনেও গডোর আগমনের জন্য অপেক্ষা: পরের দিন। ঠিক একই সময়। নাটকের দ্বিতীয় অঙ্ক শুরু। আগের দিনের সেই গাছটা এখন কিছুটা বদলে গেছে। ডালে চার-পাঁচটা পাতা গজিয়েছে। গাছটা যেন একটু জীবন্ত হয়ে উঠেছে। প্রথমে মঞ্চে আসে Vladimir। সে ধীর ভঙ্গিতে হেঁটে আসে। তারপর গুনগুন করে গান গাইতে শুরু করে। গান গাওয়ার সময় তার মুখে আনন্দের ছাপ। যেন মনটা হালকা। Estragon তখনো আসেনি। সে যখন আসে, দেখে Vladimir একা বসে গান গাইছে। Estragon-এর মনে হালকা অভিমান। কারণ, তারা একা থাকলেই যেন ভালো থাকে। অথচ তারা সবসময় বোঝানোর চেষ্টা করে, দুজন মিলে থাকলেই নাকি ভালো লাগে। এই দ্বন্দ্ব তাদের মধ্যে চাপা পড়ে থাকে।

তারা আবারও গডোর জন্য অপেক্ষা শুরু করে। কিন্তু সময় কেটে যায় ধীরে। Vladimir হঠাৎ বলে, সে প্রকৃতির মধ্যে মৃত মানুষের আওয়াজ শুনতে পাচ্ছে। আওয়াজগুলো তাকে অস্থির করে তুলছে। সে Estragon-এর কাছে সাহায্য চায়। তারা ঠিক করে, এই অদ্ভুত নীরবতা আর অস্বস্তি ভাঙতে তারা একে অপরকে প্রশ্ন করবে। একে অপরের সঙ্গে আলাপ চালিয়ে যাবে, যাতে সময় কেটে যায়। Estragon-এর স্মৃতিশক্তি খুব দুর্বল। সে নিজের অতীতের অনেক কিছুই ভুলে গেছে। গতকালের ঘটনাও তার মনে নেই। এমনকি সে নিজের জুতোও চিনতে পারছে না। গতকাল গলায় ফাঁস নিয়ে খেলার ঘটনা, তা-ও ভুলে গেছে। Lucky আর Pozzo-এর সাথে দেখা হওয়ার কথাও ভুলে গেছে।

সে জুতো পরে দেখে, এবার ঠিকমতো ফিট হয়েছে। এই ছোট সুখে সে খুশি হয়। আর গাছে কয়েকটা পাতা দেখে ভাবে, হয়তো বসন্ত এসে গেছে। Vladimir লক্ষ্য করে, গতকাল Lucky Estragon-এর পায়ে লাথি মেরেছিল। সেই জায়গা এখনো রক্তাক্ত। এই ক্ষতটা যেন গত দিনের স্মৃতি টিকিয়ে রেখেছে। তারা কথা চালিয়ে যায়। হঠাৎ Vladimir Lucky-এর টুপি খুঁজে পায়। সে টুপিটা মাথায় দেয়। দুইজন কিছুক্ষণ টুপিগুলো নিয়ে খেলাধুলা করে। টুপি বদলায়, মজা করে। Vladimir নিজের টুপি ছুঁড়ে দেয় Estragon-এর দিকে। তারপর জিজ্ঞেস করে, এখন তাকে কেমন লাগছে? Estragon মজা করে উত্তর দেয়। তারা এভাবে হাসি-ঠাট্টা করে।

একসময় তারা ঠিক করে, Pozzo আর Lucky সেজে অভিনয় করবে। দুইজন তাদের মতো ভঙ্গি আর কথা বলার চেষ্টা করে। এতে সময় কাটে। Estragon একটু দূরে যায়। হাঁপাতে হাঁপাতে ফিরে আসে। সে বলে, তারা ফিরে আসছে। Vladimir ভাবে, হয়তো গডো এসেছে। হঠাৎ তাদের মধ্যে ভয় ঢুকে যায়। তারা গাছের পেছনে লুকাতে চায়। কিন্তু গাছটা ছোট, তাই লুকানো যায় না। অস্বস্তি আর বিব্রতভাব বাড়তে থাকে। অল্প সময় পরেই তারা একে অপরকে কটুক্তি করতে শুরু করে। কথা কাটাকাটি হয়। কিন্তু বেশিক্ষণ মনোমালিন্য টিকে না। অবশেষে তারা আবার কোলাকুলি করে। সম্পর্ক ঠিক করে নেয়। তাদের অপেক্ষা আবারও শুরু হয়। গাছের নিচে সময় যেন ধীরে ধীরে জমে থাকে।

(এই অংশে Estragon আর Vladimir একসঙ্গে থাকলেও তারা একটু দুঃখী এবং অসুবিধা অনুভব করে। তারা ভয়ে লুকানোর চেষ্টা করে। পরে আবার একসঙ্গে মিশে যায়। এখানে তাদের একাকীত্ব, ভয় আর বন্ধুত্ব দেখা যায়।)

৫. দ্বিতীয় দিনেও Pozzo ও Lucky এর আগমন: গডোর জন্য অপেক্ষার মধ্যেই হঠাৎ দূর থেকে দুইটি পরিচিত ছায়া দেখা যায়। তারা হলো Pozzo এবং Lucky। আগের দিন যেমন এসেছিল, সেরকমই এবারও তারা আসে। তবে এবার কিছু বড় পরিবর্তন ঘটেছে। Pozzo এখন অন্ধ। সে চোখে কিছুই দেখে না। Lucky-ও বদলে গেছে। সে এখন বোবা। কথা বলতে পারে না। Lucky সামনে হেঁটে আসছিল। Estragon ও Vladimir-কে দেখে তারা হঠাৎ থেমে যায়। কেন থেমেছে, সেটা সে বলতে পারছে না। Pozzo অন্ধ, তাই কিছুই বুঝতে পারে না। Lucky হঠাৎ থেমে যাওয়ায় তারা একে অপরের সঙ্গে ধাক্কা খায়। ধাক্কার ফলে দুজনেই মাটিতে পড়ে যায়।

Estragon ও Vladimir দূর থেকে সবকিছু দেখে। তারা ভাবতে থাকে, সাহায্য করবে কি না। কিছুক্ষণ দ্বিধা চলে। Vladimir তখন Estragon-কে প্রশ্ন করে, “আমরা কি একমাত্র লোক, যারা এখানে এভাবে অপেক্ষা করে সময় কাটাচ্ছে?” Estragon উত্তর দেয়, “না, কয়েক বিলিয়ন মানুষ অপেক্ষা করছে।” তার উত্তর যেন দুনিয়ার সব মানুষের নিঃসঙ্গতার ইঙ্গিত দেয়। Pozzo তখন মাটিতে শুয়ে শুয়ে সাহায্য চায়। সাহায্যের বিনিময়ে সে প্রতিশ্রুতি দেয়, তাদের ১০০ ফ্রাঙ্ক দেবে। Estragon সঙ্গে সঙ্গে বলে, এটা যথেষ্ট নয়।

আরো পড়ুনঃ Look Back in Anger Bangla Summary

Vladimir বলে, যদি তারা Pozzo-কে উঠিয়ে দেয়, তাহলে Pozzo ও Lucky চলে যাবে। তখন তারা আবার একা হয়ে যাবে। এই একাকীত্বই যেন তাদের সবচেয়ে বড় শত্রু। অবশেষে দুজন মিলে Pozzo-কে তুলতে যায়। কিন্তু চেষ্টা করতে গিয়ে নিজেরাও মাটিতে পড়ে যায়। একসময় Pozzo আবারও সাহায্য চায়। কিন্তু Vladimir রেগে গিয়ে তাকে লাথি মারে। Pozzo কষ্টে সেখানেই শুয়ে থাকে। কিছুক্ষণ পর Estragon ও Vladimir ধীরে ধীরে উঠে দাঁড়ায়। এবার তারা আবার Pozzo-কে টেনে তোলে। Pozzo উঠে দাঁড়িয়েই সময় জানতে চায়।

অদ্ভুত ব্যাপার হলো, Pozzo-ও কিছুই মনে রাখতে পারে না। Estragon যেমন গতকালের ঘটনা ভুলে গেছে, Pozzo-ও অতীতের কিছু মনে রাখতে পারছে না। এবার Estragon Lucky-এর দিকে যায়। সে Lucky-কে কটূক্তি করতে থাকে। ঘুমন্ত Lucky কিছুক্ষণ পর জেগে ওঠে। তারপর হঠাৎ Estragon-কে লাথি মারে। Estragon কষ্ট পায়। সে নিজের জুতো খুলে ফেলে এবং মাটিতে বসে পরে। Vladimir এদিকে Pozzo-কে বলে, Lucky-কে দিয়ে একটু নাচ করাতে। কিন্তু Pozzo জানায়, Lucky এখন বোবা। সে কথা বলতে বা কিছু প্রকাশ করতে পারবে না।

Vladimir কৌতূহলী হয়ে জিজ্ঞাসা করে, Lucky কবে থেকে বোবা হয়ে গেছে। এই প্রশ্নে Pozzo খুব রেগে যায়। সে চিৎকার করে বলে, সময়ের ব্যাপারে তাকে কিছু জিজ্ঞাসা করো না। সময় সম্পর্কে তার কোনো ধারণা নেই। তারপর Pozzo নিজেই Lucky-কে উঠিয়ে দেয়। দুইজন ধীরে ধীরে মঞ্চ থেকে সরে যায়। Estragon ও Vladimir আবার আগের মতো নিঃসঙ্গ হয়ে যায়। তারা আবারও গাছের নিচে দাঁড়িয়ে থাকে।

(এই অংশে Pozzo ও Lucky আবার আসে, কিন্তু এবার Pozzo অন্ধ আর Lucky বোবা হয়ে গেছে। তারা একে অন্যের সাথে ধাক্কা খেয়ে মাটিতে পড়ে যায়। Estragon ও Vladimir তাদের সাহায্য করার কথা ভাবলেও, তারা নিজেরাও পড়ে যায়। Pozzo সময় ভুলে গেছে, আর Lucky কথা বলতে পারে না। Estragon Luckyকে কটুক্তি করে, Lucky জেগে এসে Estragonকে লাথি মারে। শেষে Pozzo Luckyকে নিয়ে চলে যায়। Estragon আর Vladimir আবার একা হয়ে পড়ে। এখানে মানুষের দুর্বলতা, একাকীত্ব এবং সময়ের অস্পষ্টতা প্রকাশ পায়।)

৬. দ্বিতীয় দিনেও গডোর খবর নিয়ে ছোট একটা ছেলের আগমন: দ্বিতীয় দিনের অপেক্ষা প্রায় শেষের দিকে। Estragon ও Vladimir ক্লান্ত হয়ে গাছের পাশে বসে থাকে। ঠিক তখনই আগের দিনের সেই ছোট্ট ছেলেটি আবার আসে। ছেলেটি তাদের দিকে ভয়ে ভয়ে তাকায়। সে আগের দিনের মতোই এবারও গডোর বার্তা নিয়ে এসেছে।  সে নিজেও তাদের চিনতে পারে না। এমনকি সে যে গতকাল গডোর বার্তা নিয়ে এসেছিল, তাও ভুলে গেছে। Vladimir তাকে জিজ্ঞাসা করে, গডোর কি কোন বার্তা আছে? ছেলেটি বলে, গডো আজ আসতে পারবে না। তবে আগামীকাল অবশ্যই আসবে। এই কথা তারা আগেও শুনেছে।

Vladimir শান্তভাবে ছেলেটিকে বলে, গডো যেন তাদের কথা আর ভুলে না যায়। যেন মনে রাখে, তারা এখানে তার জন্য অপেক্ষা করছে। ছেলেটি মাথা নেড়ে সম্মতি জানায়। তারপর ছেলেটি ধীরে ধীরে চলে যায়। তার চলে যাওয়ার পর আবার চারপাশে নিস্তব্ধতা নেমে আসে। Estragon ও Vladimir কিছুক্ষণ চুপচাপ বসে থাকে। তারা ভাবে, এখনই এখান থেকে চলে যাবে। কিন্তু হঠাৎ তারা বুঝতে পারে, যদি গডো হঠাৎ এসে যায়, তবে তারা মিস করবে। তাই আর তাদের যাওয়া হয় না। তারা আবারও ফাঁস নিয়ে কথা বলতে শুরু করে। তারা ভাবে, যদি গডো আগামীকালও না আসে, তবে তারা আত্মহত্যা করবে।

Estragon তার কোমরের বেল্ট খুলে ফাঁস বানানোর চেষ্টা করে। দুজনে মিলে বেল্ট ধরে টানে। দেখে বেল্টটা কতটা শক্ত। কিন্তু টানাটানির একসময় বেল্ট ছিঁড়ে যায়। বেল্ট ছিঁড়ে যাওয়ার ধাক্কায় Estragon-এর প্যান্ট খুলে পড়ে যায়। সে তাড়াহুড়ো করে প্যান্ট পরে নেয়। Vladimir তখন বলে, আগামীকাল যদি গডো না আসে, তবে তারা সত্যিই ফাঁস নেবে। আর যদি সে আসে, তবে হয়তো সবকিছু বদলে যাবে। তারা আবারও “চলে যাওয়ার” সিদ্ধান্ত নেয়। কিন্তু দুজনেই স্থির দাঁড়িয়ে থাকে। কেউ নড়ে না। নাটকের শেষ দৃশ্যে দেখা যায়, দুজনের দৃষ্টি আবারও গাছের দিকে। তারা অপেক্ষা করছে। গডো আসবে কি আসবে না, তা অজানাই থেকে যায়। এখানেই নাটকের সমাপ্তি ঘটে।

(এই অংশে Estragon আর Vladimir আবারও গডোর জন্য অপেক্ষা করছে। ছোট ছেলেটি গডোর বার্তা নিয়ে আসে, কিন্তু বলে গডো আজ আসবে না, কাল আসবে। তারা আবারও চলে যাওয়ার কথা ভাবলেও গডোর জন্য অপেক্ষা চালিয়ে যায়। তারা ফাঁস বানানোর চেষ্টা করে, কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা করতে পারে না। নাটকের শেষ পর্যন্ত তারা একসাথে দাঁড়িয়ে থাকে, অপেক্ষা করে গডোর আগমনের। এই অংশ মানুষের আশা, হতাশা আর অনিশ্চয়তার প্রতীক।)

থিমসমূহ:

  • অপেক্ষা: নাটকের সবচেয়ে বড় থিম হলো অপেক্ষা। ভ্লাদিমির এবং এস্ট্রাগন গডো নামের কারো জন্য অপেক্ষা করে, কিন্তু সে কখনো আসে না। আমরা জানি না গডো আসলে কে। এটা দেখায় মানুষ জীবনে অর্থ বা উত্তর পাওয়ার জন্য অপেক্ষা করে, কিন্তু হয়তো তারা সেটা কখনো পায় না। নাটকটি বলছে, যখন আমরা শুধু অপেক্ষা করি আর কিছু করি না, তখন জীবন ফাঁকা মনে হতে পারে।
  • বন্ধুত্ব এবং একাকীত্বতা: ভ্লাদিমির এবং এস্ট্রাগন সব সময় একসঙ্গে থাকে। তারা একে অপরের সঙ্গে ঝগড়া করে, মজা করে, কিন্তু কখনো একে অপরকে ছাড়ে না। তাদের বন্ধুত্ব তাদের দীর্ঘ এবং বিরক্তিকর অপেক্ষা সহ্য করতে সাহায্য করে। নাটকটি দেখায় যে, বন্ধুত্ব জীবনের একাকীত্ব কমাতে পারে, যদিও কিছুই বদলায় না।
  • সময় এবং পুনরাবৃত্তি: নাটকে প্রতিদিন একই রকম মনে হয়। দু’জনে একই কথা বলে এবং একই কাজ করে বার বার। এটা সময়কে অদ্ভুত এবং ধীর করে তোলে। নাটকটি দেখায়, যখন নতুন কিছু ঘটে না, জীবন একটা চক্রের মতো মনে হতে পারে।
  • আশা এবং হতাশা: ভ্লাদিমির এবং এস্ট্রাগন গডো আসবে বলে আশাবাদী থাকে। কিন্তু সে কখনো আসে না। তারা ভাবতে থাকে চলে যাওয়ার বা জীবন শেষ করার কথা, তবুও অপেক্ষা চালিয়ে যায়। নাটকটি দেখায়, মানুষ কিভাবে স্পষ্ট কোনো কারণ না থাকা সত্ত্বেও আশা ধরে রাখতে পারে।

Quotes

“Nothing to be done.” (Estragon, Act 1)

Explanation: Estragon says this at the beginning of the play. It shows the feeling of helplessness and that nothing in their lives changes.

“কিছুই করার নেই।” 

ব্যাখ্যা: নাটকের শুরুতে এস্ট্রাগন এই কথা বলে। এটি অসহায়তা এবং জীবনে কোনো পরিবর্তন না আসার অনুভূতি প্রকাশ করে।

“We’re waiting for Godot.” (Vladimir, Act 1)

Explanation: Vladimir says this to explain why they are there. It shows the main action of the play, endless waiting for someone who never comes.

“আমরা গডোর জন্য অপেক্ষা করছি।”

ব্যাখ্যা: ভ্লাদিমির এই কথা বলে বোঝায় কেন তারা সেখানে আছে। এটি এমন একজনের জন্য অন্তহীন অপেক্ষা বোঝায়, যে কখনো আসে না।

Estragon: “Let’s go.” 

Vladimir: “We can’t.” 

Estragon: “Why not?”

Vladimir: “We’re waiting for Godot.” (Act 1)

Explanation: This short dialogue shows they want to leave but cannot. Waiting controls their lives.

Estragon: “চলো যাই।” 

Vladimir:“যেতে পারি না।” 

Estragon: “কেন না?” 

Vladimir:“আমরা গডোর জন্য অপেক্ষা করছি।”

ব্যাখ্যা: এই ছোট কথোপকথনে বোঝা যায় তারা যেতে চাইলেও পারে না। অপেক্ষা তাদের আটকায়।

“Nothing happens, nobody comes, nobody goes, it’s awful.” (Estragon, Act 1)

Explanation: Shows the boredom and emptiness of their lives. Time passes but nothing changes.

“কিছুই ঘটে না, কেউ আসে না, কেউ যায় না, এটা ভয়ঙ্কর।”

ব্যাখ্যা: এটি তাদের জীবনের বিরক্তি এবং শূন্যতা দেখায়। সময় চলে যায় কিন্তু কিছুই বদলায় না।

“We always find something, eh Didi, to give us the impression we exist?” (Estragon, Act 2)

Explanation: This line shows they try to fill time so they can feel alive.

“আমরা সবসময় কিছু না কিছু খুঁজে পাই, তাই না, ডিডি, যা আমাদের অস্তিত্বের অনুভূতি দেয়?”

ব্যাখ্যা: এই লাইন বোঝায় তারা সময় কাটানোর জন্য কিছু করে যাতে বেঁচে থাকার অনুভূতি হয়।

“They give birth astride of a grave, the light gleams an instant, then it’s night once more.” (Pozzo, Act 2)

Explanation: Life is very short and ends in death.

“তারা কবরে দাঁড়িয়ে জন্ম দেয়, আলো এক মুহূর্তের জন্য ঝলক দেয়, তারপর আবার অন্ধকার ফিরে আসে।”

ব্যাখ্যা: এতে জীবনের স্বল্পতা এবং মৃত্যুর নিশ্চিততা প্রকাশ পেয়েছে।

“Let us not waste our time in idle discourse!” (Vladimir, Act 2)

Explanation: Vladimir wants to do something useful instead of meaningless talk.

“চলো, আমরা ফাঁকা কথায় (অযথা) সময় নষ্ট না করি!”

ব্যাখ্যা: ভ্লাদিমির চায় কোনো কাজে সময় দিতে, শুধু কথায় নয়।

“People are bloody ignorant apes.” (Estragon, Act 1)

Explanation: Estragon says this to show his frustration with human nature. It reflects his belief that people are foolish and selfish.

“মানুষ রক্তাক্ত অজ্ঞ বানর।”

ব্যাখ্যা: এস্ট্রাগন এই কথা বলে মানুষের স্বভাব নিয়ে তার বিরক্তি প্রকাশ করে। এতে বোঝানো হয়েছে যে, মানুষের মধ্যে মূর্খতা ও স্বার্থপরতা আছে।

আরো পড়ুনঃ The Caretaker Bangla Summary

Figures of Speech

  • Irony: This happens when what is said is the opposite of what is meant or what happens. For example, Estragon says, “Nothing to be done,” but they keep waiting and trying to do something. It shows their helplessness, but also how they cannot stop living.
  • Paradox: A statement that seems impossible but tells the truth. For example, they say “Nothing to be done,” yet they keep waiting and doing things. It shows the conflict between action and meaninglessness.
  • Symbolism: Things or characters that stand for bigger ideas. For example,
  • Godot: Symbol of Hope and Meaning. Vladimir and Estragon wait for Godot, who never comes. Godot represents hope or help that people expect in life but may never get.
  • The Tree: Symbol of Life and Death. The tree is the only thing that changes between Act 1 and Act 2. It shows the passing of time and the closeness of life and death.
  • Waiting: Symbol of Life’s Uncertainty. Waiting for Godot means waiting for meaning or answers in life. It shows how people often wait without knowing what for, and this waiting fills their time.
  • Pozzo and Lucky: Symbol of Power and Servitude. Pozzo is the master, and Lucky is his servant. Their relationship shows control, dependence, and unfairness in life.

ভাষার অলংকার

  • বিরোধাত্মকতা (Irony): এটা হয় যখন যা বলা হয় তা ঠিক উল্টো অর্থ প্রকাশ করে বা যা ঘটার কথা ছিল তা হয় না। উদাহরণস্বরূপ, এস্ট্রাগন বলে, “কিছুই করার নেই,” কিন্তু তারা অপেক্ষা চালিয়ে যায় এবং কিছু করতে চায়। এটা তাদের অসহায়ত্ব দেখায়, কিন্তু এক সময়ের জন্যেও তারা থামতে পারে না।
  • বৈপরীত্য (Paradox): এমন একটি বাক্য যা শুনলে অসম্ভব মনে হয়, কিন্তু সত্য বলে। যেমন তারা বলে, “কিছুই করার নেই,” অথচ তারা অপেক্ষা করে ও কাজ করে থাকে। এটা দেখায় জীবনের কাজ এবং অর্থহীনতার মধ্যে দ্বন্দ্ব।
  • প্রতীক (Symbols): কিছু জিনিস বা চরিত্র বড় ভাবনার প্রতীক হয়। যেমন,
  • গডো (Godot): আশা এবং জীবনের অর্থের প্রতীক। ভ্লাদিমির এবং এস্ট্রাগন গডোর জন্য অপেক্ষা করে, যিনি কখনো আসেন না। গডো জীবনের সেই আশা বা সাহায্যের প্রতীক, যা মানুষ চায় কিন্তু পায় না।
  • গাছ (The Tree): জীবন এবং মৃত্যুর প্রতীক। গাছ একমাত্র জিনিস যা এক্ট ১ এবং এক্ট ২ এর মধ্যে বদলায়। এটা সময়ের চলমান এবং জীবনের মৃত্যু-নিকটতা দেখায়।
  • অপেক্ষা (Waiting): জীবনের অনিশ্চয়তার প্রতীক। গডোর জন্য অপেক্ষা করা মানে জীবনের অর্থ বা উত্তরের জন্য অপেক্ষা করা। এটা দেখায় মানুষ অনেক সময় জানে না কি জন্য অপেক্ষা করছে, তবুও সময় কাটাতে থাকে।
  • পোজ্জো এবং লাকি (Pozzo and Lucky): ক্ষমতা এবং দাসত্বের প্রতীক। পোজ্জো মালিক, আর লাকি তার দাস। তাদের সম্পর্ক দেখায় নিয়ন্ত্রণ, নির্ভরতা এবং জীবনের সাথে ঘটে যাওয়া অন্যায়।

Main Message:

  • Life is uncertain and full of waiting.
  • Friendship helps us face emptiness.
  • Meaning in life is unclear.
Share your love
Mottaleb Hossain
Mottaleb Hossain

This is Mottaleb Hossain, a researcher in English Language and Literature as well as Theology. I serve as an instructor at Literature Xpres, a global online educational institution.
Educational Qualifications:
B.A. (Honours) and M.A. in English from National University
BTIS under IAU (Islamic Arabic University)
Kamil in Tafsir and Hadith from IAU.

Articles: 48

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *