The General Prologue To The Canterbury Tales Bangla Summary (বাংলায়)

The General Prologue To The Canterbury Tales

সংক্ষিপ্ত জীবনী: জিওফ্রে চসার (Geoffrey Chaucer)

জিওফ্রি চসার ১৩৪০ সালের দিকে ইংল্যান্ডের লন্ডনে জন্মগ্রহণ করেন। তাকে “ইংরেজি কবিতার জনক” (Father of English Poetry) ও “ইংরেজি সাহিত্যের জনক” (Father of English Literature) বলা হয়। তার পরিবার মধ্যবিত্ত হলেও, সমাজে সম্মানিত ছিল। তার পিতা ছিলেন একজন মদ ব্যবসায়ী। ছোটবেলা থেকেই চসার রাজদরবারের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন এবং রাজা এডওয়ার্ড তৃতীয়, রিচার্ড দ্বিতীয় এবং হেনরি চতুর্থের সময়ে বিভিন্ন সরকারি পদে কাজ করেছেন। তিনি একাধারে ছিলেন রাজদরবারের কর্মকর্তা, কূটনীতিক, কবি ও পণ্ডিত। চসার ফ্রান্স, ইতালি ও অন্যান্য ইউরোপীয় দেশে কূটনৈতিক কাজে গিয়েছিলেন, যেখানে তিনি ইতালিয়ান কবি দান্তে, পেত্রার্ক ও বোকাচ্চিওর রচনার সঙ্গে পরিচিত হন। এসব প্রভাব তার কবিতায় গভীরভাবে প্রতিফলিত হয়। তিনি প্রথম ইংরেজি ভাষাকে উচ্চ সাহিত্য হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেন, কারণ তার আগে ল্যাটিন ও ফরাসি ভাষাই সাহিত্য ও রাজদরবারে প্রধান ছিল।

তার রচনায় মধ্যযুগের ইংল্যান্ডের সমাজ, ধর্ম, শ্রেণি-বৈষম্য ও মানবজীবনের বাস্তব চিত্র ফুটে ওঠে। তিনি মানুষের জীবনের হাসি-কান্না, প্রেম-প্রতারণা, ধর্ম-ভণ্ডামি সবকিছু বাস্তবভাবে চিত্রিত করেছেন। এজন্য তাকে বলা হয় “The first great realist in English literature।” তার সর্বাধিক বিখ্যাত রচনা ‘The Canterbury Tales’ (1476) (ক্যান্টারবারি টেলস)। এটি একটি অসমাপ্ত কাহিনি সংকলন, যেখানে ত্রিশজন তীর্থযাত্রী লন্ডনের Tabard Inn থেকে ক্যান্টারবারি যাত্রা করে। যাত্রাপথে তারা গল্প বলে, এবং এসব গল্পের মধ্য দিয়ে চসার পুরো ইংরেজ সমাজকে জীবন্তভাবে উপস্থাপন করেন। এতে হাস্যরস, ব্যঙ্গ, নৈতিকতা ও মানবতার মিশ্রণ দেখা যায়। চসারের আরও উল্লেখযোগ্য রচনাগুলোর মধ্যে রয়েছে,

  • ‘The Book of the Duchess’ (১৩৬৮): ডিউক অফ ল্যাঙ্কাস্টারের স্ত্রীর মৃত্যুশোক নিয়ে লেখা একটি স্বপ্নদৃশ্য কবিতা।
  • ‘Troilus and Criseyde’ (১৩৮৫): ভালোবাসা ও বিশ্বাসঘাতকতার কাব্য, যা মধ্যযুগের অন্যতম শ্রেষ্ঠ রোমান্স।
  • ‘The House of Fame’ (১৩৭৯): কবির খ্যাতি ও স্বপ্নজগতের রূপক কাহিনি।
  • ‘The Parliament of Fowls’ (১৩৮১): প্রেমের প্রতীকী আলোচনা, যা ভালোবাসার দিবসের (Valentine’s Day) সঙ্গে সম্পর্কিত।
  • ‘The Legend of Good Women’ (১৩৮৭): বিশ্বস্ত নারীদের কাহিনির সংকলন।

চসার ১৩৮৯ সালে রাজকর্মে উচ্চ পদে নিযুক্ত হন এবং জীবনের শেষ ভাগে শান্তিপূর্ণভাবে সাহিত্যচর্চা চালিয়ে যান। তিনি ১৪০০ সালের ২৫ অক্টোবর মৃত্যুবরণ করেন এবং লন্ডনের ওয়েস্টমিনস্টার অ্যাবেতে কবিদের কর্ণারে (Poets’ Corner) সমাহিত হন। চসার ছিলেন ইংরেজি কবিতার প্রথম মহান শিল্পী। তার ভাষা ছিল সহজ, ছন্দ ছিল সুরেলা, আর ভাব ছিল মানবিক। তিনি মধ্যযুগ থেকে আধুনিক ইংরেজি সাহিত্যের পথে সেতুবন্ধন তৈরি করেন। এজন্য তাকে বলা হয়, “The morning star of the Renaissance.” 

Key Facts

  • Poet: Geoffrey Chaucer (c. 1340 – 1400)
  • Titles of the Poet: Father of English Literature, Father of English Poetry, Father of English Language, Grandfather of the English Novel, “The first great realist in English literature” & “The morning star of the Renaissance.”.
  • Written Time: Around 1387–1400 (late 14th century, during the Middle Ages)
  • First Published: Posthumously (after Chaucer’s death) around 1400
  • Full Title: The General Prologue to The Canterbury Tales
  • Original Title (Middle English): The Prologe of the Canterbury Tales
  • Part: “The Canterbury Tales” (“The General Prologue” is the beginning part of it.)
  • Language: Middle English (East Midland dialect — the base of Modern English)
  • Genre: Frame story, satire, estates satire (A medieval genre common among French poets.)
  • Form: Narrative verse written in rhyming couplets (iambic pentameter — heroic couplets)
  • Source: Inspired by real medieval pilgrimage traditions to the shrine of Saint Thomas Becket at Canterbury. Chaucer may have been influenced by Giovanni Boccaccio’s Decameron, which also uses the frame-story technique of storytelling among travelers.
  • Tone: Lively, humorous, ironic, realistic, and humanistic. Chaucer mixes gentle satire with sympathy, exposing both virtues and vices of medieval English society.
  • Point of View: First-person narrative (Chaucer as one of the pilgrims). The narrator observes and describes each character with a mix of admiration and irony.
  • Style: Narrative
  • Narrator: Geoffrey Chaucer
  • Total Lines: 858
  • Rhyme Scheme: Rhymed couplets (AA, BB, CC, etc.)
  • Famous Lines:

Whan that Aprill with his shoures soote

The droghte of March hath perced to the roote,

(When April with his sweet showers has pierced the drought of March to the root.)

  • Settings:
  • Time Setting: Late 14th century. Springtime – the month of April (symbol of rebirth and renewal).
  • Place Setting: Begins at The Tabard Inn in Southwark, London, and continues on the road to Canterbury Cathedral, the shrine of Saint Thomas Becket.

Key Notes

Saint Thomas Becket: সেন্ট থমাস বেকেট ছিলেন ইংল্যান্ডের এক খ্রিস্টান ধর্মযাজক ও শহিদ। তিনি ১১১৮ সালে লন্ডনে জন্মগ্রহণ করেন। রাজা হেনরি দ্বিতীয় তাকে ক্যান্টারবারির আর্চবিশপ হিসেবে নিয়োগ দেন। শুরুতে তিনি রাজার ঘনিষ্ঠ ছিলেন, কিন্তু পরে চার্চের স্বাধীনতা নিয়ে রাজার সঙ্গে বিরোধে জড়িয়ে পড়েন। বেকেট চার্চের ন্যায় ও ধর্মীয় স্বাধীনতার পক্ষে দাঁড়ান। এতে রাজা ক্ষুব্ধ হন। ১১৭০ সালে রাজপক্ষের চারজন সৈনিক ক্যান্টারবারি ক্যাথেড্রালে গিয়ে তাকে হত্যা করে। পরে তাকে শহিদ ঘোষণা করা হয়। তার সমাধি ইংল্যান্ডের বিখ্যাত তীর্থস্থান (Canterbury) হয়ে ওঠে, যেখানে অসংখ্য মানুষ প্রার্থনা করতে যায়।

আরো পড়ুনঃ The Nun’s Priest’s Tale Bangla Summary (বাংলায়)

ক্যান্টারবারি (Canterbury): ক্যান্টারবারি ইংল্যান্ডের দক্ষিণ-পূর্বের কেন্ট (Kent) প্রদেশে অবস্থিত একটি ঐতিহাসিক শহর। এটি খ্রিস্টধর্মের একটি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র। এখানেই অবস্থিত বিখ্যাত Canterbury Cathedral, যা ইংল্যান্ডের সবচেয়ে প্রাচীন ও সম্মানিত গির্জাগুলির একটি। এই শহরটি বিশেষভাবে পরিচিত সেন্ট থমাস বেকেট-এর শহিদস্থল হিসেবে। ১১৭০ সালে এখানকার গির্জায় তাকে হত্যা করা হয়। পরবর্তীতে তার সমাধি তীর্থস্থান হয়ে ওঠে। ইংল্যান্ডের বিভিন্ন স্থান থেকে মানুষ তার শ্রদ্ধায় ক্যান্টারবারি যাত্রা করতো। জিওফ্রে চসারের The Canterbury Tales এই তীর্থযাত্রাকে কেন্দ্র করেই লেখা। তাই ক্যান্টারবারি ইংরেজি সাহিত্য ও ধর্মীয় ইতিহাসে এক অমর স্থান দখল করে আছে।

গির্জা (Church), অ্যাবে (Abbey) & মঠ (Monastery):

  • গির্জা (Church): গির্জা হলো খ্রিস্টানদের প্রার্থনার স্থান। এখানে সাধারণ মানুষ উপাসনা করতে আসে। গির্জায় পাদ্রি (Priest) বা ফাদার ধর্মীয় অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন। উদাহরণ: Canterbury Cathedral একটি বিখ্যাত গির্জা। সহজভাবে: গির্জা মানে প্রার্থনার ঘর।
  • অ্যাবে (Abbey): অ্যাবে হলো বড় ধরনের ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান যেখানে সন্ন্যাসী (Monk) বা সন্ন্যাসিনী (Nun) থাকে। এটি গির্জার চেয়ে বড় এবং এর সঙ্গে বসবাসের ঘর, বাগান ও বিদ্যালয়ও থাকতে পারে। এটি পরিচালনা করেন একজন Abbott (পুরুষ) বা Abbess (নারী)। উদাহরণ: Westminster Abbey (লন্ডন), যেখানে রাজাদের মুকুট পরানো ও সমাধি দেওয়া হয়। সহজভাবে: অ্যাবে হলো গির্জাসহ সন্ন্যাসীদের বড় ধর্মীয় কেন্দ্র।
  • মঠ (Monastery): মঠ হলো এমন জায়গা যেখানে সন্ন্যাসীরা ঈশ্বর ও প্রার্থনার জন্য বিচ্ছিন্নভাবে বসবাস করে। এখানে তারা নীরব জীবন, কাজ ও ধ্যানচর্চায় সময় কাটায়। সাধারণ মানুষ সেখানে উপাসনা করতে যায় না। সহজভাবে: মঠ মানে সন্ন্যাসীদের বাসস্থান।

সংক্ষেপে পার্থক্য:

নামকার জন্যকাজউদাহরণ
গির্জা (Church)সাধারণ মানুষউপাসনাCanterbury Cathedral
অ্যাবে (Abbey)সন্ন্যাসী ও সন্ন্যাসিনীউপাসনা + বাসস্থানWestminster Abbey
মঠ (Monastery)শুধুমাত্র সন্ন্যাসীধ্যান ও প্রার্থনাSaint Benedict’s Monastery

The Canterbury Tales: এটি জিওফ্রে চসার (Geoffrey Chaucer)-এর লেখা একটি বৃহৎ কাহিনি-সংকলন (collection of stories)। পুরো বইটিতে ৩০ জন তীর্থযাত্রী (pilgrims) ক্যান্টারবারি যাওয়ার পথে গল্প বলে। তারা লন্ডনের Tabard Inn থেকে যাত্রা শুরু করে। প্রতিটি চরিত্রের গল্প ভিন্ন; কারওটি মজার, কারওটি নৈতিক, কারওটি ধর্মীয়, কারওটি ব্যঙ্গাত্মক। পুরো রচনাটি মানুষের জীবনের বৈচিত্র্য, রসিকতা, এবং বাস্তব জীবনচিত্র তুলে ধরে। The Canterbury Tales হলো মূল বই, যেখানে সব গল্প (tales) আছে।

The General Prologue: এটি The Canterbury Tales-এর ভূমিকা বা সূচনা অংশ (Introduction)। এখানে চসার সব তীর্থযাত্রীদের চরিত্র পরিচয় ও চেহারার বর্ণনা দেন। আমরা জানি কে ধনী, কে গরিব, কে ভণ্ড, কে সৎ। এখানে সমাজের সব শ্রেণির মানুষকে দেখা যায়; নাইট, প্রিস্ট, ডাক্তার, ব্যবসায়ী, স্ত্রী, কৃষক ইত্যাদি। এটি আসলে ইংরেজ সমাজের এক জীবন্ত ছবি। সহজভাবে: The General Prologue হলো The Canterbury Tales-এর দরজা (মুখবন্ধ- প্রথম অংশ), এখান থেকেই গল্পগুলি শুরু হয়।

Tabard Inn (ট্যাবার্ড ইন): Tabard Inn ছিল লন্ডনের Southwark অঞ্চলে অবস্থিত এক বিখ্যাত সরাইখানা (inn)। এটি ছিল তীর্থযাত্রীদের বিশ্রামের ও যাত্রা শুরু করার স্থান। The Canterbury Tales-এর সূচনায় চসার বর্ণনা দেন যে এখানেই সব তীর্থযাত্রী একত্রিত হয়েছিল ক্যান্টারবারি যাওয়ার জন্য। সরাইখানার মালিক ছিলেন Harry Bailey, যিনি পরবর্তীতে “The Host” নামে পরিচিত। তিনি ছিলেন হাসিখুশি, বুদ্ধিমান ও কথা বলতে ভালোবাসতেন। তিনিই প্রস্তাব দেন যে, সবাই যাত্রাপথে গল্প বলবে; প্রতিজন দুইটা করে গল্প যাবে পথে, আর দুইটা করে ফেরার পথে। যার গল্প সবচেয়ে ভালো হবে, তাকে ফেরার পর ট্যাবার্ড ইনে একবেলা ভোজ খাওয়ানো হবে। ট্যাবার্ড ইন তাই কেবল এক সরাইখানা নয়; এটি পুরো The Canterbury Tales-এর শুরু এবং কাঠামোগত ভিত্তি। এখানেই গল্প বলার প্রতিযোগিতা শুরু হয় এবং চসারের সমাজচিত্রের দরজা খুলে যায়।

  • অবস্থান: Southwark, London
  • মালিক: Harry Bailey (The Host)
  • গুরুত্ব: তীর্থযাত্রীদের মিলনস্থল ও গল্প বলার পরিকল্পনার সূচনা
  • প্রতীক: মানবসমাজের মিলন, আনন্দ, ও যাত্রার শুরু

সহজভাবে বললে, Tabard Inn হলো সেই স্থান, যেখান থেকে চসারের জীবন-যাত্রা ও গল্পের জগৎ একসাথে শুরু হয়।

Background – পটভূমি

চতুর্দশ শতকের শেষভাগ ছিল ইংল্যান্ডে পরিবর্তনের যুগ। ব্ল্যাক ডেথ (১৩৪৮–১৩৫০) এ বহু মানুষ মারা যায়। ফলে শ্রমিকের অভাব দেখা দেয়। কৃষকরা ভালো মজুরি দাবি করে। পুরনো ফিউডাল ব্যবস্থা ভেঙে পড়ে। ১৩৮১ সালে জ্যাক স্ট্রো ও ওয়াট টাইলার কৃষক বিদ্রোহের নেতৃত্ব দেন। এতে বোঝা যায় নিচু শ্রেণির মানুষ আর অন্যায় সহ্য করছে না। এ সময় ক্যাথলিক চার্চের ক্ষমতা প্রশ্নবিদ্ধ হয়। জন উইক্লিফ ও তার অনুসারী ললার্ডরা চার্চের ভণ্ডামি ও নিয়ন্ত্রণের বিরুদ্ধে কথা বলে। মানুষ স্বাধীনতা ও ধর্মীয় সংস্কার চায়। নতুন মধ্যবিত্ত শ্রেণি গড়ে ওঠে; ব্যবসায়ী, কারিগর, লেখক ও শিক্ষিত মানুষদের নিয়ে। জিওফ্রি চসার এই শ্রেণিরই একজন। তিনি রাজদরবারে কর্মকর্তা ও কূটনীতিক ছিলেন। তাই সমাজের সব শ্রেণির মানুষকে কাছ থেকে চিনতেন।

চসারের The Canterbury Tales এই পরিবর্তনের প্রতিচ্ছবি। এতে ত্রিশজন তীর্থযাত্রী লন্ডন থেকে ক্যান্টারবারি যাত্রা করে এবং গল্প বলে। এতে সমাজের সব স্তরের জীবন, হাস্যরস ও ভণ্ডামি ফুটে ওঠে। চসার পরিকল্পনা করেছিলেন ১২০টি গল্প লিখবেন। কিন্তু তিনি ২৩টি সম্পূর্ণ এবং ১টি অসমাপ্ত গল্প লিখে মৃত্যুবরণ করেন। এর মধ্যে ২২টি পদ্যে এবং ২টি গদ্যে লেখা। যদি The Canterbury Tales একটি বই হয়, তবে The General Prologue তার প্রথম অধ্যায়। এখানে চসার কাঠামো তৈরি করেন; তীর্থযাত্রীদের পরিচয় দেন, Tabard Inn–এর পরিবেশ দেখান, এবং Host–এর গল্প বলার প্রস্তাব রাখেন। এই প্রোলোগ তাই শুধু ভূমিকা নয়, বরং চতুর্দশ শতকের ইংরেজ সমাজের জীবন্ত প্রতিচ্ছবি।

মোট চরিত্রের তালিকা – ৩৪ জন

  • মূল মধ্যযুগীয় ও আধুনিক ইংরেজি বানানসহ:  The General Prologue to The Canterbury Tales এ মূলত সকল তীর্থযাত্রীদের বর্ণনা করা হয়েছে। 
  • চসার এর মতে তীর্থযাত্রী- ৩০ জন: চসার এর মতে মোট তীর্থযাত্রী চসার সহ ৩০ জন। এটা চসার নিজেই বলেছেন, ২৩ ও ২৪ নম্বর লাইনে। 

23. At nyght was come into that hostelrye

                 At night had come into that hostelry

24. Wel nyne and twenty in a compaignye

                 Well nine and twenty in a company

  • The Canon ও The Canon’s Yeoman: The Canon ছিলেন এক ধর্মযাজক, যিনি আলকেমি (ধাতু পরিবর্তনের বিদ্যা) নিয়ে কাজ করতেন। The Canon’s Yeoman ছিলেন তার সহকারী বা চাকর। The Canon এবং The Canon’s Yeoman শুরুতে ছিল না। অর্থাৎ তারা The General Prologue-এ উপস্থিত ছিল না। তারা মূল তীর্থযাত্রী নয়; মাঝপথে যোগ দেয়। তারা মাঝপথে দেখা করে এবং অল্প সময়ের জন্য যোগ দেয়। তারা আসে পরে, যখন তীর্থযাত্রীরা ক্যান্টারবারি যাওয়ার পথে ছিল। তাদের আগমন ঘটে “The Canon’s Yeoman’s Tale”–এ। এই গল্পটি শুরু হয় যখন The Canon এবং তার Yeoman রাস্তায় দৌড়ে এসে দলের সঙ্গে যোগ দেয়। Host (Harry Bailey) তাদের স্বাগত জানায়, এবং Canon’s Yeoman কথা বলতে শুরু করে। Canon’s Yeoman স্বীকার করে যে Canon আসলে এক প্রতারক ও ভণ্ড ধর্মযাজক। যখন Canon বুঝতে পারে Yeoman তার গোপনীয়তা ফাঁস করছে, সে লজ্জায় ও রাগে সাথে সাথে দল ছেড়ে পালিয়ে যায়। পরে শুধু Canon’s Yeoman তীর্থযাত্রীদের সঙ্গে থেকে নিজের “Canon’s Yeoman’s Tale” বলেন।
  • নানের সাথে The Three Priest: চসার তিনজন প্রিস্টের কথা বলেছেন, কিন্তু মাত্র একজন প্রিস্টই তীর্থযাত্রী হিসেবে উল্লেখযোগ্য। কারণ তিনিই The Nun’s Priest’s Tale বলেন। অন্য দুইজন কেবল নানের সঙ্গী হিসেবে ছিল, তীর্থযাত্রীদের মূল দলে নয়।
  • অর্থাৎ The Canterbury Tales অনুযায়ী, The Nun’s Priest’s-দের মধ্যে থেকে ২ জন Priest’s, Canon, ও The Host (Hoost)- Harry Bailey, এই ৪ জন প্রকৃত তীর্থযাত্রী নন। (নিচের লিস্ট থেকে ৭, ৮, ৩১ ও ৩৩ নম্বর- এরা তীর্থযাত্রী নন।) অবশিষ্ট ৩০ জন প্রকৃত তীর্থযাত্রী। 
  • এখানে একটা বিষয় ক্লিয়ার হওয়া দরকার। The General Prologue – এ কিন্তু চসার The Canon ও The Canon’s Yeoman এর নাম উল্লেখ করেন নি। অর্থাৎ The General Prologue – এ The Nun’s Priest’s দের মধ্যে থেকে ২ জন Priest’s কেই তীর্থযাত্রী ধরলে, মোট তীর্থযাত্রী হয় চসার সহ ৩১ জন (Host বাদ)। এক্ষেত্রে, নিচের লিস্টের ৩৪ জনের লিস্ট থেকে বাদ যাবে, The Canon ও The Canon’s Yeoman ও The Host (Hoost)- Harry Bailey. তাহলে The General Prologue অনুযায়ী প্রকৃত তীর্থযাত্রী চসার সহ ৩১ জন। এদের মধ্যে চসার ২ জন Priest’s সম্পর্কে কিছুই বলেন নি। 
List of Total Characters
1. The Knight (A Knyght)10. A Friar (A Frere)21. The Shipman28. The Reeve
2. Young Squier (A Yong Squier)11. A Merchant (A Marchant)22. A Doctor of Medicine (Doctor of Phisik):29. The Summoner
3. A Yeoman (A Yeman)12. A Clerk – Oxford Clerk23. The Wife of Bath30. The Pardoner
4. A Prioress (A Prioresse) 13. A Sergeant of the Law (A Sergeant of the Lawe)24. The Parson (Person of a Toun)31. The Host (Hoost): Harry Bailey or Harry Bailly (By companionship, not by religion)
5. Nun (NONNE) – The Second Nun14. A Franklin (A Frankeleyn)25. The Plowman32. Chaucer Himself
6-8. Three Priests (Preestes Thre)One of them is John- said by The HostThe Guildsmen- Group of Five: 15. A Haberdasher, 16. a Carpenter, 17. a Weaver (Webbe), 18. a Dyer, and 19. a Tapestry-Maker (Tapicer)26. The Miller33. The Canon
9. A Monk20. The Cook27. The Manciple34. The Canon’s Yeoman

Existing Class – ৫ টি

The Military Class – (সামরিক শ্রেণী) : ৩ জন

  1. The Knight – সাহসী যোদ্ধা (Admired)
  2. The Squire – নাইটের ছেলে, তরুণ প্রেমিক (Both Admired & Satirize)
  3. The Yeoman- নাইটের সেবক। (Admired)

The Clergy, The Religious, The Ecclesiastical or Church Class – (ধর্মীয় শ্রেণি) : ১১ জন

  1. The Prioress (Madame Eglantine) – নান (Satirized)
  2. Second Nun – Prioress এর সঙ্গী (Admired)
  3. Chaplain – (3 priests) – তিনজন ধর্মযাজক (Neutral)
  4. The Monk – সন্ন্যাসী (Satirized)
  5. The Friar (Huberd) – ভিক্ষু (Satirized)
  6. The Parson – সৎ পুরোহিত (Admired)
  7. The Pardoner – ভুয়া ক্ষমাপত্র বিক্রেতা (Satirized)
  8. The Summoner – আদালতের তলবি ডাকবাহক (Satirized)
  9. The Clerk (of Oxford) – ছাত্র ও দার্শনিক (Admired)

The Merchant class (বণিক বা ব্যবসায়ি শ্রেণী) : ১৫ জন 

  1. The Merchant – ব্যবসায়ী (Satirized)
  2. The Miller – চাষাভূমির ধান-চাল পেষণকারী (Satirized)
  3. The Manciple – আইন বিদ্যালয়ের ক্রয়-বিক্রয় কর্মকর্তা (Both Admired & Satirized)
  4. The Reeve – এস্টেট ম্যানেজার (Both Admired & Satirized)
  5. The Host – The Host (Harry Bailey) – যিনি তীর্থযাত্রার দলনেতা (Admired)
  6. The Wife of Bath – স্ত্রী/ব্যবসায়ী মহিলা (Both Admired & Satirized)
  7. Five guildsman – The weaver-সে একজন তাঁতি, The Dyre-সে রংমিস্ত্রি, The Carpenter- তিনি কাঠ দিয়ে আসবাবপত্র তৈরি করেন, The tapestry maker-সে জানালার পর্দা তৈরি করে,  and The Haberdasher -তিনি কাপড় তৈরীর যন্ত্রপাতি বিক্রি করেন। (Satirized)
  8. The Sergeant at Law – আইনজীবী (Both Admired & Satirized)
  9. The Shipman – জাহাজের মালিক/নাবিক (Satirized)
  10. The Doctor – চিকিৎসক (Satirized)
  11. The Cook – রাঁধুনি (Both Admired & Satirized)

Working Class or Lower Class  – শ্রমিক শ্রেণী বা নিচু শ্রেণী : ১ জন

  1. The Plowman – কৃষক (Admired)

Royal Class + Merchant Class- ১ জন 

  1. The Franklin – ধনী জমিদার (Satirized)

তাহলে দেখা যাচ্ছে The General Prologue অনুযায়ী এই ৩১ জন আর চসার নিজে ১ জন। তাহলে হলো মোট ৩২ জন। তবে চসার বলেছেন মোট ২৯ জন, সে নিজে ১জন। তাই আমরা ৩০ জন বলবো ও উত্তর করবো। 

List of Stories in The Canterbury Tales

  • যদিও সিলেবাসে শুধুমাত্র The General Prologue আছে। তবে নিচের লিস্ট দেখলে বুঝতে পারবেন, কে কে গল্প বলেছে, কে কে বলেনি, কে কয়টা গল্প বলেছে, কোনটা Verse Tale কোনটা Prose Tale. কোন গল্পগুলো সম্পূর্ণ বলা হয়েছে, কোনগুলো অসমাপ্ত। 
  • তো দেখা যায়, মোট ২৪ টি গল্প আছে, The Canterbury Tales-এ। অর্থাৎ চসার বেঁচে থাকাকালীন সময়ে মাত্র ২৪টি গল্প লিখতে পেরেছিলেন, যদিও চেয়েছিলেন ১২০টি গল্প লিখতে। তার তীর্থযাত্রীদের মধ্যে ৯ জন কোন গল্প বলেনি। গল্পগুলোর মধ্যে ২টা Verse Tale কোনটা ২২টা Prose Tale. আবার ২০টা গল্প সম্পূর্ণ লিখা হয়েছে ও ৪টি রয়েছে অসমাপ্ত। 
List of Total Stories in The Canterbury Tales
1. The Knight’s Tale – Verse Tale (Complete)7. The Friar’s Tale – Verse Tale (Complete)13. The Doctor’s Tale – Verse Tale (Complete)19. The Monk’s Tale – Verse Tale (Incomplete)
2. The Miller’s Tale – Verse Tale (Complete)8. The Sompnour’s Tale – Verse Tale (Complete)14. The Pardoner’s Tale – Verse Tale (Complete)20. The Nun’s Priest’s Tale – Verse Tale (Complete)
3. The Reeve’s Tale – Verse Tale (Complete)9. The Clerk’s Tale – Verse Tale (Complete)15. The Shipman’s Tale – Verse Tale (Complete)21. The Second Nun’s Tale – Verse Tale (Complete)
4. The Cook’s Tale – Verse Tale (Incomplete)10. The Merchant’s Tale – Verse Tale (Complete)16. The Prioress’s Tale – Verse Tale (Complete)22. The Canon’s Yeoman’s Tale – Verse Tale (Complete)
5. The Man of Law’s Tale – Verse Tale (Complete)11. The Squire’s Tale – Verse Tale (Incomplete)17. Chaucer’s Tale of Sir Thopas – Verse Tale (Incomplete – Stopped by the Host)23. The Manciple’s Tale – Verse Tale (Complete)
6. The Wife of Bath’s Tale – Verse Tale (Complete)12. The Franklin’s Tale – Verse Tale (Complete)18. Chaucer’s Tale of Melibœus – Prose Tale (Complete)24. The Parson’s Tale – Prose Tale (Complete)

বাংলা সামারি

এপ্রিল মাসে যখন মিষ্টি বৃষ্টি পড়ে, তখন প্রকৃতি নতুন জীবন ফিরে পায়। মার্চের খরা কেটে যায়, আর পশ্চিমের বাতাস (Zephirus) তার কোমল শ্বাসে গাছপালা ও ফুলকে জাগিয়ে তোলে। সূর্য মেষ রাশির অর্ধেক পথ অতিক্রম করে, ছোট পাখিরা আনন্দে গান গায়, প্রকৃতি ভরে ওঠে প্রাণের সুরে। এই সময়ে মানুষের মনেও নতুন উদ্দীপনা জাগে, তারা ভ্রমণ ও তীর্থযাত্রার ইচ্ছে অনুভব করে। ইংল্যান্ডের নানা প্রান্ত থেকে মানুষ ক্যান্টারবারি (Canterbury) যায়, সেখানে তারা পবিত্র Saint Thomas Becket–এর মাজারে প্রার্থনা করতে চায়, যিনি অসুস্থদের আরোগ্য দান করেছিলেন।

এই ঋতুতেই একদিন কবি সাউথওয়ার্ক (Southwark) শহরের Tabard Inn–এ অবস্থান করছিলেন। তিনি নিজেও তীর্থযাত্রায় যোগ দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। সেখানে রাতে আরও উনত্রিশজন তীর্থযাত্রী এসে একত্রিত হয়। তারা বিভিন্ন শ্রেণি ও পেশার মানুষ, কিন্তু সবার লক্ষ্য এক, ক্যান্টারবারিতে যাত্রা। সরাইখানার ঘর ও আস্তাবল প্রশস্ত ছিল, সবাই আরাম করে রাত কাটায়। কবি সবার সঙ্গে কথা বলেন, এবং দ্রুতই তাদের দলে যুক্ত হন। সকালে একসঙ্গে যাত্রা করার পরিকল্পনা হয়। চসার বলেন, তিনি গল্প শুরু করার আগে প্রতিটি তীর্থযাত্রীর পরিচয় দেবেন; কে কেমন ধরনের মানুষ, কোন শ্রেণির, এবং কী পোশাকে সজ্জিত। এরপর তিনি প্রথমে নাইট (The Knight)–এর চরিত্র দিয়ে তাঁর বর্ণনা শুরু করবেন।

The Knight (A Knyght)

  • যোগ্য ও মহৎ ব্যক্তি: চসার প্রথমে বর্ণনা করেন একজন নাইট-কে (Knight)। যিনি সত্যিই একজন যোগ্য ও মহৎ মানুষ। তিনি তরুণ বয়স থেকেই বীরত্ব, সততা, সম্মান, উদারতা ও সৌজন্যবোধ ভালোবাসতেন। 
  • অভিজ্ঞ যোদ্ধা: তিনি ছিলেন একজন অভিজ্ঞ যোদ্ধা। তিনি বহু যুদ্ধে অংশ নিয়েছেন। খ্রিস্টান দেশ ও অখ্রিস্টান দেশ উভয় জায়গায় যুদ্ধ করেছেন। আলেকজান্দ্রিয়া, প্রুশিয়া, লিথুয়ানিয়া, রাশিয়া, গ্রানাডা, মরক্কো, আয়াশ, আতালিয়া, এমন বহু স্থানে তিনি যুদ্ধ করেছেন। মোট ১৫টি ভয়ংকর যুদ্ধ এবং ৩টি একক দ্বন্দ্বযুদ্ধে অংশ নিয়ে সর্বদা জয়ী হয়েছেন। 
  • বিনয়ী ও সদয় স্বভাব: নাইট সর্বদা বিশ্বস্ত, সাহসী ও বিনয়ী ছিলেন। তিনি কখনও কাউকে অপমান করেননি বা অশালীন কথা বলেননি। তার আচরণ ছিল কোনো কুমারী নারীর মতোই কোমল। তিনি যেমন বীর, তেমনি জ্ঞানী ও শান্ত স্বভাবের। সমাজে তার ছিল মহান খ্যাতি ও শ্রদ্ধা।
  • সরল জীবন ও পোশাক: বাহ্যিক পোশাকের দিক থেকে তিনি কখনও জাঁকজমকতা পছন্দ করতেন না। তার পোশাক ছিল সাধারণ। তিনি পরিধান করতেন একটি মলিন ফুস্তিয়ান জ্যাকেট, যাতে তার বর্মের দাগ ছিল। তিনি সদ্য যুদ্ধ থেকে ফিরে এসেছেন, তবুও কোনো বিশ্রাম না নিয়ে সরাসরি তীর্থযাত্রায় যোগ দিয়েছেন। 
  • চসারের মূল্যায়ন: চসার তাকে বর্ণনা করেছেন “a verray, parfit gentil knyght”, অর্থাৎ, একজন সত্যিকার, পরিপূর্ণ, মহৎ নাইট, যিনি বীরত্বের পাশাপাশি বিনয় ও নৈতিকতার মূর্ত প্রতীক।

Young Squier (A Yong Squier)

  • যুবক ও রোমান্টিক স্বভাবের: নাইটের সঙ্গে ছিলেন তার পুত্র, এক তরুণ স্কয়ার (Squire)। তিনি ছিলেন এক রোমান্টিক ও প্রাণবন্ত যুবক। তার বয়স ২০ বছর বয়স। তার চুল ছিল ঘন ও কোঁকড়ানো, দেখতে আকর্ষণীয় ও প্রাণচঞ্চল।
  • সাহসী ও শক্তিশালী: তিনি ছিলেন মাঝারি উচ্চতার, কিন্তু খুবই চটপটে ও বলবান। তিনি ফ্ল্যান্ডার্স, আরতোয়া ও পিকার্ডির যুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন। তিনি অল্প সময়ের মধ্যেই সাহস ও যোগ্যতার পরিচয় দিয়েছিলেন। তার নিজের প্রিয়ার অনুগ্রহ অর্জনের আশায় যুদ্ধ করেছিলেন।
  • আকর্ষণীয় ও রঙিন পোশাক: তার পোশাক ছিল ফুলে ফুলে সাজানো, লাল ও সাদা রঙে এমব্রয়ডারি করা। তিনি যেন তাকে একটি ফুলে ভরা বাগানের মতো দেখাত, “as fresh as is the month of May.”
  • শিল্প ও সঙ্গীতপ্রিয়: তিনি গান গাইতে, বাঁশি বাজাতে, কবিতা লিখতে, চিত্র আঁকতে ও নাচতে পারতেন। তিনি ছিলেন এক রোমান্টিক শিল্পীসুলভ তরুণ, যিনি সর্বদা গান ও আনন্দে ভরপুর থাকতেন।
  • ভালোবাসায় নিমগ্ন: তিনি এত গভীরভাবে ভালোবাসতেন যে রাতেও খুব কম ঘুমাতেন, যেমন নাইটিঙ্গেল পাখি সারারাত জেগে গান গায়। তার প্রেম ছিল উষ্ণ ও কবিতাময়।
  • বিনয়ী ও ভদ্র: তিনি ছিলেন বিনয়ী, বিনম্র ও সেবাপরায়ণ। টেবিলে বসে নিজেই পিতার জন্য খাবার কেটে দিতেন। এতে বোঝা যায়, তিনি যেমন রোমান্টিক ও প্রাণবন্ত, তেমনি সম্মানপ্রবণ ও পরিবারের প্রতি শ্রদ্ধাশীল।

A Yeoman (A Yeman)

  • নাইটের সহচর: নাইটের সঙ্গে ছিলেন একমাত্র দাস বা সহকারী, একজন ইয়োম্যান (Yeoman)। নাইটের আর কোনো চাকর ছিল না। তিনি নিজেই এই বিশ্বস্ত সহচরকে সঙ্গে নিয়ে তীর্থযাত্রায় বেরিয়েছিলেন।
  • পোশাক ও সাজসজ্জা: ইয়োম্যানের পোশাক ছিল সম্পূর্ণ সবুজ, সবুজ কোট ও টুপি। এতে বোঝা যায়, তিনি বনের মানুষের মতো প্রকৃতিপ্রেমী ছিলেন। তার কোমরে বাঁধা ছিল ময়ূরের পালকযুক্ত তীক্ষ্ণ তীরের ঝুলি, যা খুবই যত্নে সাজানো।
  • অস্ত্রধারী ও দক্ষ ধনুর্ধর: তার হাতে ছিল এক শক্তিশালী ধনুক। তিনি ছিলেন একজন নিখুঁত তীরন্দাজ। তার তীরের পালক কখনও নিচু হয়ে ঝুলত না, সব সময় প্রস্তুত অবস্থায় থাকত। তিনি অস্ত্রের যত্ন নিতে জানতেন এবং ধনুক, তলোয়ার, ঢাল ও ছুরি সঙ্গে রাখতেন।
  • চেহারা ও চরিত্র: তার মাথার চুল ছিল ছোট করে কাটা। তার মুখ ছিল বাদামী রঙের, যা তার কর্মঠ জীবন ও সূর্যের নিচে কাজ করার প্রমাণ দেয়। তিনি বনের কাজ ও শিকারবিদ্যায় পারদর্শী ছিলেন।
  • ধর্মীয় প্রতীক: তার গলায় ঝুলছিল সেন্ট ক্রিস্টোফারের রূপার মেডেল, যা ভ্রমণকারীদের রক্ষার প্রতীক। তার কাঁধে ঝোলানো ছিল সবুজ রঙের শিঙ্গা (horn)।
  • পেশা ও স্বভাব: চসার বলেন, তিনি সম্ভবত একজন বনের রক্ষক বা ফরেস্টার (Forester) ছিলেন। তিনি ছিলেন কর্তব্যনিষ্ঠ, সাহসী, এবং সর্বদা প্রস্তুত এক সেবক, তার প্রভুর মতোই মর্যাদাবান।

A Prioress (A Prioresse) – (Real Name – Madame Eglantine)

  • ভদ্র ও মার্জিত স্বভাবের: নান ছিলেন অত্যন্ত মার্জিত, কোমল ও লজ্জাশীলা। তিনি হাসতেন বিনয়ের সঙ্গে। তিনি কখনও বড় শপথ করতেন না। শুধু “Saint Loy”–এর নামে বড় শপথ করতেন। তিনি সুন্দরভাবে গির্জার গান গাইতেন। তিনি ফরাসি ভাষায় কথা বলতেন, যদিও তা ছিল “Stratford-at-Bow” স্কুলের উচ্চারণ, প্যারিসের মতো নয়।
  • ভদ্র আচরণ ও সভ্য রুচি: খাওয়া-দাওয়ার সময় তিনি ছিলেন অত্যন্ত শালীন। কখনও খাবার ফেলতেন না। আঙুল ভিজিয়ে খেতেন না, কিংবা কাপ নোংরা করতেন না। তিনি খাওয়ার পর ঠোঁট পরিষ্কার করতেন নিখুঁতভাবে। তিনি রাজদরবারের আচরণ অনুকরণ করার চেষ্টা করতেন।
  • দয়ালু ও কোমল হৃদয়: নানের হৃদয় ছিল অত্যন্ত সংবেদনশীল। তিনি একটি ইঁদুর মারা দেখলেও কেঁদে ফেলতেন। তার ছোট ছোট কুকুর ছিল, যাদের তিনি দুধ, রুটি ও মাংস খাওয়াতেন। তারা আহত বা মারা গেলে তিনি গভীরভাবে কাঁদতেন। অথচ তিনি গরীবদের পছন্দ করতেন না। 
  • দেহবর্ণনা: তার নাক ছিল সুন্দর ও সোজা। চোখ ছিল ধূসর কাচের মতো, মুখ ছোট ও লালচে, কপাল প্রশস্ত ও উজ্জ্বল। তার পোশাক ছিল পরিপাটি এবং হাতে ছিল লাল প্রবালের দানা (rosary)।
  • প্রতীক ও মোটো: তার হাতের রোসারিতে ঝুলছিল সোনার একটি ব্রোচ, তাতে খোদাই ছিল, “A” with a crown এবং নিচে লেখা ছিল “Amor vincit omnia” (Love conquers all)। এটি তার কোমল হৃদয় ও প্রেমময় স্বভাবের প্রতীক।

Nun (NONNE)- The Second Nun 

  • সহচর হিসেবে উপস্থিত: প্রায়োরেস (Madame Eglantine)-এর সঙ্গে আরও একজন নান ছিলেন। তাকে বলা হয়েছে “The Second Nun”। তিনি ছিলেন প্রায়োরেসের সহচর বা সহযোগী। এই দ্বিতীয় নান ছিলেন প্রায়োরেসের চ্যাপলেন (chapel attendant), অর্থাৎ প্রার্থনা বা ধর্মীয় কাজ পরিচালনায় সাহায্য করতেন।

The Three Priests (Preestes Thre)

  • সহচর হিসেবে উপস্থিত: প্রায়োরেসের সঙ্গে ছিল তিনজন প্রিস্ট (priests)। তারা তার ধর্মীয় সহচর ও সহায়ক ছিলেন। তারা প্রার্থনা, ধর্মীয় সেবা ও যাত্রার কাজে সাহায্য করত।
  • The Nun’s Priest: চসার এই তিনজনের মধ্যে শুধু একজন প্রিস্টের কথা বিস্তারিতভাবে বলেছেন, যিনি পরে গল্প বলেন। তিনি পরিচিত “The Nun’s Priest” নামে। এই গল্পের Host Harry Bailey তাকে Sir John (John) নামে সন্মোধন করেন। এই প্রিস্ট ছিলেন জ্ঞানী, হাস্যরসপ্রিয় ও প্রাণবন্ত। তিনি বলেছেন বিখ্যাত “The Nun’s Priest’s Tale”, যা “Chauntecleer and the Fox” নামে পরিচিত একটি হাস্যরসাত্মক প্রাণীকাহিনি (beast fable)।
  • অন্য দুইজন প্রিস্ট: বাকি দুইজনের কোনো নাম বা কাজ চসার উল্লেখ করেননি। তারা নানের সঙ্গে যাত্রায় ছিল, কিন্তু গল্পে সক্রিয় ভূমিকা নেই।

The Monk (A Monk)

  • আনন্দপ্রিয় ও শক্তিশালী মানুষ: এই মঙ্ক ছিলেন চমৎকার চেহারার এবং বলিষ্ঠ মানুষ। তিনি ছিলেন একজন আউটরাইডার (Outrider) অর্থাৎ, মঠের বাইরে কাজ করতেন। তিনি বই পড়া বা শ্রমে বিশ্বাস করতেন না; বরং বাইরে ঘোড়া চালানো ও শিকার করতে ভালোবাসতেন।
  • পুরোনো নিয়ম মানতেন না: তিনি Saint Benedict ও Saint Maurus–এর কঠোর নিয়ম পছন্দ করতেন না। তিনি বলতেন, এসব পুরোনো নিয়ম এখন আর প্রয়োজন নেই। তাই তিনি মঠের পুরোনো জীবনধারা বাদ দিয়ে আধুনিক জীবন অনুসরণ করতেন।
  • শিকারপ্রিয় ও বিলাসী: তার অনেক দামি ঘোড়া ছিল। তার গ্রেহাউন্ড (greyhound) কুকুর শিকারের জন্য সবসময় প্রস্তুত থাকত। তিনি খরগোশ শিকার করতে ভালোবাসতেন।  তিনি শিকারের জন্য যত খরচই হোক, থামতেন না। 
  • বাহ্যিক রূপ ও পোশাক: তার হাতার কিনারা ছিল দামি পশমে মোড়ানো, চিবুকের নিচে সোনার পিন, মাথা চকচকে টাক, মুখ তেলতেলে ও মোটা শরীর। তিনি বিলাসী খাবার পছন্দ করতেন, বিশেষ করে মোটা রাজহাঁসের মাংস।
  • চসারের দৃষ্টিতে: তিনি যতটা ধর্মযাজক ছিলেন, তার থেকে বেশি ভোগবিলাসী মানুষ ছিলেন। তার জীবনধারা ধর্মীয় নিয়মের বিরোধী, কিন্তু চসার তাকে হাস্যরসের সঙ্গে বর্ণনা করেছেন, যা মঠজীবনের ভণ্ডামি প্রকাশ করে।

A Friar (A Frere) – Huberd

  • আনন্দপ্রিয় ও মিশুক: ফ্রায়ার ছিলেন হাসিখুশি, চঞ্চল ও আনন্দপ্রিয় মানুষ। তার নাম ছিল Huberd। তিনি ছিলেন এক limiter, অর্থাৎ নির্দিষ্ট এলাকায় ধর্মীয় দান সংগ্রহের অনুমতিপ্রাপ্ত ভিক্ষু। তিনি সুন্দরভাবে কথা বলতে পারতেন এবং ধনী লোকদের সঙ্গে মিশতে ভালোবাসতেন।
  • স্বার্থপর ও ভণ্ড ধর্মযাজক: তিনি গরিব ও অসুস্থ মানুষদের এড়িয়ে চলতেন। বরং ধনী, জমিদার ও শহরের মহিলাদের সঙ্গে বন্ধুত্ব করতেন। তিনি স্বীকারোক্তি (confession) শুনতেন মিষ্টি কথায়, কিন্তু ক্ষমা দিতেন তখনই, যখন কেউ টাকা বা উপহার দিত।
  • চতুর ভিক্ষুক: তিনি ছিলেন তার দলের সেরা ভিক্ষুক। একজন বিধবার যদি এক পয়সাও না থাকে, তবু তিনি তার কাছ থেকে কিছু না কিছু নিয়ে যেতেন। এতে তার উপার্জন তার প্রকৃত আয়ের চেয়েও বেশি ছিল।
  • বিলাসী ও রসিক: তিনি গান গাইতে, বীণা বাজাতে এবং কবিতা বলতে পারতেন। তিনি সুন্দর গলা নরম করে উচ্চারণ করতেন, যাতে কথা আরও মিষ্টি শোনায়। তার চোখ ঝিকমিক করত, যেন ঠান্ডা রাতে তারা জ্বলে।
  • বাহ্যিক চেহারা ও পোশাক: তিনি ধনী ব্যক্তির মতো পোশাক পরতেন; মোটা, দামি কাপড়ের কোট, নতুন জুতো, পরিষ্কার চাদর। তিনি দেখতে ছিলেন একজন মাষ্টার বা পোপের মতো, কোনো দরিদ্র ভিক্ষুর মতো নয়।

A Merchant (A Marchant)

  • ধনী ও গর্বিত ব্যবসায়ী: এই ব্যবসায়ী ছিলেন ধনী এবং গর্বিত মানুষ। তার দ্বিখণ্ডিত দাড়ি ছিল এবং তিনি উজ্জ্বল রঙের পোশাক পরতেন। মাথায় ছিল ফ্ল্যান্ডার্সের বীভার টুপি এবং পায়ে সুন্দর জুতো। তিনি ঘোড়ায় চড়ে চলতেন খুব গর্বের সঙ্গে।
  • চতুর ও লাভপ্রিয়: তিনি সবসময় লাভ নিয়ে কথা বলতেন। সমুদ্রপথের নিরাপত্তা চেয়েছিলেন, যাতে বিদেশি বাণিজ্য ভালোভাবে চলে। তিনি বিদেশি মুদ্রা (exchange money) ও বাণিজ্যে খুব দক্ষ ছিলেন।
  • চতুর কিন্তু গোপন ঋণগ্রস্ত: তিনি ছিলেন বুদ্ধিমান ব্যবসায়ী, কিন্তু চসার বলেন, কেউ জানত না তিনি ঋণে জর্জরিত ছিলেন। তিনি নিজের মর্যাদা ও গরিমা বজায় রাখতেন যাতে কেউ তা বুঝতে না পারে।
  • আচরণে মর্যাদাবান: তার কথাবার্তা ছিল গম্ভীর ও আত্মবিশ্বাসী। তিনি সবসময় নিজেকে সফল ও সম্মানিত হিসেবে উপস্থাপন করতেন।
  • চসারের দৃষ্টি: চসার বলেন, তিনি নিশ্চয়ই একজন যোগ্য ব্যবসায়ী ছিলেন, কিন্তু কবি নিজেও স্বীকার করেন যে, তিনি তার নাম জানেন না।

A Clerk (The Oxford Clerk)

  • দরিদ্র কিন্তু শিক্ষাপ্রেমী ছাত্র: তিনি ছিলেন অক্সফোর্ডের এক দরিদ্র ছাত্র। লজিক ও দর্শন (philosophy) পড়তেন বহুদিন ধরে। তার ঘোড়া ছিল শুকনো, এবং তিনিও ছিলেন খুবই রোগা। তার পোশাক ছিল পুরনো ও ছেঁড়া।
  • অর্থের প্রতি অনাগ্রহ: তিনি কখনও সরকারি চাকরি নেননি, বা গির্জার কোনো পদ পাননি। তার কাছে ধনসম্পদের চেয়ে বেশি মূল্যবান ছিল বই। বিছানার পাশে তিনি বিশটি বই রাখতেন, যেগুলো ছিল অ্যারিস্টটল ও দর্শনের বই।
  • শিক্ষা ও আত্মত্যাগ: বন্ধুদের কাছ থেকে যে টাকা পেতেন, তা খরচ করতেন শুধু বই কেনা ও পড়াশোনার জন্য। তিনি সেই বন্ধুদের আত্মার শান্তির জন্য প্রার্থনা করতেন।
  • সংযমী ও চিন্তাশীল: তিনি কম কথা বলতেন, কিন্তু তার প্রতিটি কথা ছিল গভীর অর্থবোধক ও ভদ্র। তার কথায় ছিল নৈতিক শিক্ষা ও প্রজ্ঞা।
  • চসারের মূল্যায়ন: চসার বলেন, “Gladly wolde he lerne and gladly teche.” এর অর্থ হলো, তিনি আনন্দের সঙ্গে শিখতেন এবং আনন্দের সঙ্গেই অন্যকে শেখাতেন। তিনি ছিলেন জ্ঞানপ্রেমী, সৎ ও নিঃস্বার্থ শিক্ষার্থী।

A Sergeant of the Law (A Sergeant of the Lawe) – Lawyer

  • বুদ্ধিমান ও অভিজ্ঞ: তিনি ছিলেন এক উচ্চপদস্থ আইনজীবী, যিনি জ্ঞানী ও বিচক্ষণ। তিনি প্রায়ই St. Paul’s Churchyard (Parvys)–এ থাকতেন, যেখানে নামী আইনজীবীরা মিলিত হতেন। তার কথা ছিল গভীর ও পরিমিত, যা তাকে সম্মানীয় করে তুলেছিল।
  • রাজকীয় অনুমোদিত বিচারক: তিনি বহুবার রাজকীয় আদালতের বিচারক (Justice in Assize) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। রাজা নিজেই তাকে পত্র ও অনুমতিপত্র (patent and commission) দিয়েছিলেন। তার জ্ঞান ও সুনামের কারণে তিনি বহু ফি ও পোশাক পেতেন।
  • ধনী ও চতুর ক্রেতা: তিনি ছিলেন একজন বড় জমি ক্রেতা (land-buyer)। তার কেনা সম্পত্তিতে কেউ আপত্তি করতে পারত না। তিনি ছিলেন ধনী ও অত্যন্ত বুদ্ধিমান। সব আইন তার মুখস্থ ছিল।
  • বাহ্যিক চেহারা: তিনি পরতেন একটি সাধারণ মিশ্র রঙের কোট ও কোমরে ছিল সিল্কের বেল্ট। তার পোশাক সাধারণ হলেও তিনি ছিলেন গম্ভীর ও মর্যাদাবান।
  • চসারের দৃষ্টিতে: চসার বলেন, “He semed bisier than he was.” অর্থাৎ, তিনি নিজেকে অনেক ব্যস্ত দেখাতেন, যদিও বাস্তবে এতটা ব্যস্ত ছিলেন না। এটি তার অহংকার ও আত্মপ্রদর্শনের সূক্ষ্ম ব্যঙ্গচিত্র।

A Franklin (A Frankeleyn)

  • ধনী ও সুখপ্রিয় মানুষ: ফ্র্যাঙ্কলিন ছিলেন এক ধনী ও আনন্দপ্রিয় ভূমির মালিক। তার দাড়ি ছিল সাদা ফুলের মতো। তিনি সকালে রুটিকে মদে ডুবিয়ে খেতে ভালোবাসতেন। তার জীবন ছিল আনন্দ ও বিলাসে ভরা।
  • আতিথেয় ও উদার: তিনি ছিলেন অতিথিপরায়ণ, যেন Saint Julian, যিনি অতিথিসেবার পৃষ্ঠপোষক। তার ঘরে সবসময় খাবার ও পানীয়ে ভরা টেবিল থাকত। মাছ, মাংস, পিঠা ও মদের অভাব ছিল না। তার বাড়িতে যেন “খাবারের তুষারপাত” হতো।
  • ভোজনরসিক ও পরিপূর্ণ গৃহস্থ: ঋতু অনুযায়ী তিনি খাবারের ধরন পরিবর্তন করতেন। তার বাড়িতে সব সময় মোটা হাঁস, মাছ, পাখি, মিষ্টি ও মদ মজুত থাকত। তার রাঁধুনি যদি খাবার বা সস খারাপ করত, তাহলে তিনি রেগে যেতেন।
  • সম্মানিত নাগরিক: তিনি আদালতে বিচারক (Lord and Sire) ছিলেন এবং প্রায়ই সংসদের সদস্য (Knight of the Shire) নির্বাচিত হতেন। এছাড়া তিনি শেরিফ ও ট্যাক্স অফিসার (Auditor) হিসেবেও কাজ করেছেন।
  • চসারের দৃষ্টিতে: চসার তাকে বলেন, “Was nowher swich a worthy vavasour.” অর্থাৎ, তিনি ছিলেন এক উদার, ধনী ও সম্মানিত নাগরিক, যার জীবন ছিল সুখ, উদারতা ও ভোজনবিলাসে ভরা।

The Five Guildsmen (Haberdasher, Carpenter, Weaver, Dyer, and Tapestry-Maker)

  • সম্মানিত কারিগরদের দল: এই পাঁচজন ছিলেন শহরের দক্ষ কারিগর। একজন Haberdasher (টুপি ও পোশাক বিক্রেতা), একজন Carpenter (ছুতার), একজন Weaver (বয়নকারী), একজন Dyer (রঙকার) এবং একজন Tapestry-maker (তাঁতশিল্পী)। তারা একই গিল্ড (guild)–এর সদস্য ছিলেন।
  • সমান পোশাক ও পরিচ্ছন্নতা: তারা সবাই একরঙা পোশাক পরতেন এবং খুব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ছিলেন। তাদের ছুরি, বেল্ট ও থলি ছিল রূপা দিয়ে সাজানো, যা তাদের সম্পদ ও মর্যাদা বোঝাত।
  • সম্মানিত নাগরিক হিসেবে গর্ব: তারা নিজেদের শহরের সম্মানিত নাগরিক (burgesses) বলে মনে করতেন। সবাই জ্ঞানী ও অভিজ্ঞ ছিল। তাই নিজেদের Alderman (শহরের নেতা) মনে করতেন।
  • ধন-সম্পদ ও উচ্চাকাঙ্ক্ষা: তাদের প্রচুর অর্থ ও আয় ছিল। তাদের স্ত্রীরা চাইত তারা শহরের নেতা হোক, কারণ এতে তারা “Madame” নামে সম্মান পাবে এবং রাজকীয় পোশাকে উৎসবে অংশ নিতে পারবে।
  • চসারের দৃষ্টিতে: চসার তাদের দেখিয়েছেন মধ্যবিত্ত শ্রেণির উন্নতি ও গর্বের প্রতীক হিসেবে। তারা পরিশ্রমী, ধনী, কিন্তু সমাজে মর্যাদা পাওয়ার আকাঙ্ক্ষায় পরিচালিত।

The Cook (The Cook of the Guildsmen)

  • দক্ষ রাঁধুনি: তিনি ছিলেন এক অভিজ্ঞ ও দক্ষ রাঁধুনি, যিনি নানা রকম খাবার রান্না করতে পারতেন। মুরগি সিদ্ধ করা, ভাজা, ঝোল বা পাই তৈরি করা, সবই তার হাতে নিখুঁত হতো।
  • খাবারের রসিক: তিনি লন্ডনের এল (London ale) ভালোভাবে চিনতেন। মশলা হিসেবে poudre-marchant আর galingale ব্যবহার করতেন, যা খাবারে বিশেষ স্বাদ যোগ করত।
  • রোগাক্রান্ত দেহ: তবে তার এক দুঃখজনক ত্রুটি ছিল। তার পায়ের পাতা বা পিন্ডলিতে একটি পুঁজভরা ঘা (mormal) ছিল। এটি তার পেশাদার পরিচ্ছন্নতার বিপরীতে এক ব্যঙ্গচিত্র তৈরি করে।
  • রন্ধনশিল্পে পারদর্শী: তবুও তিনি ছিলেন অত্যন্ত পারদর্শী। বিশেষ করে “blankmanger” নামের এক ধরনের সাদা খাবার (চিকেন ও চাল দিয়ে তৈরি) তিনি খুব ভালো বানাতেন।
  • চসারের দৃষ্টিতে: চসার Cook-কে দেখিয়েছেন একজন দক্ষ কিন্তু অপূর্ণ মানুষ হিসেবে। তার প্রতিভা যেমন চমৎকার, তেমনি তার দেহের ঘা তার অসম্পূর্ণতা ও মানবিক দুর্বলতার প্রতীক।

The Shipman (The Sailor or Seaman)

  • উৎপত্তি ও চেহারা: তিনি ছিলেন ডার্টমাউথ (Dartmouth) শহরের একজন নাবিক, যিনি সমুদ্রের পশ্চিম দিকের মানুষ। সূর্যের তাপে তার গায়ের রঙ হয়ে গিয়েছিল পাকা বাদামি। তিনি হাঁটু পর্যন্ত মোটা উলের পোশাক পরতেন এবং গলায় দড়ি দিয়ে ঝোলানো এক ড্যাগার (dagger) রাখতেন।
  • চরিত্র ও আচরণ: তিনি ছিলেন এক মজার ও সাহসী মানুষ, কিন্তু তার বিবেক ছিল কিছুটা শিথিল। যখন বণিক ঘুমাত, তিনি বোর্দো (Bordeaux) থেকে আনা মদের পাত্র থেকে চুপিচুপি মদ খেতেন। তিনি যুদ্ধে জিতলে শত্রুকে জাহাজ থেকে ফেলে সমুদ্রে ডুবিয়ে দিতেন, অর্থাৎ নিষ্ঠুর ও বাস্তববাদী ছিলেন।
  • দক্ষ নাবিক: তিনি ছিলেন একজন অত্যন্ত অভিজ্ঞ ও দক্ষ সমুদ্রযাত্রী। তিনি জানতেন কীভাবে জোয়ার-ভাটা, স্রোত, বন্দর, চাঁদের অবস্থা ও দিকনির্দেশনা হিসাব করতে হয়।
  • বিশাল অভিজ্ঞতা: তার সমুদ্রজীবনের অভিজ্ঞতা ছিল বিশাল। তিনি Gotland থেকে Finisterre পর্যন্ত এবং Britain ও Spain–এর প্রতিটি ছোট খাঁড়ি ও বন্দরের নাম জানতেন।
  • চসারের দৃষ্টিতে: চসার তাকে দেখিয়েছেন এক বাস্তববাদী, শক্ত, ও দক্ষ নাবিক হিসেবে। তার জাহাজের নাম ছিল “The Maudelayne”, যা তার অভিজ্ঞতা ও পেশাদারিত্বের প্রতীক।

আরো পড়ুনঃ Troilus and Criseyde Bangla Summary (বাংলা)

A Doctor of Medicine (Doctor of Phisik – The Physician)

  • অভিজ্ঞ ও জ্ঞানী চিকিৎসক: এই চিকিৎসক ছিলেন সবার মধ্যে অনন্য। তিনি চিকিৎসা ও সার্জারিতে অত্যন্ত দক্ষ ছিলেন। তিনি জ্যোতির্বিদ্যা (astronomy)–এর সাহায্যে রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসা করতেন, কারণ তিনি বিশ্বাস করতেন রোগ ও গ্রহ-নক্ষত্রের সম্পর্ক আছে।
  • রোগ নির্ণয়ে দক্ষ: তিনি জানতেন প্রতিটি রোগের কারণ; গরম, ঠান্ডা, ভেজা বা শুকনো স্বভাব থেকে কোনটি এসেছে, কোন রস (humour) দ্বারা সৃষ্টি হয়েছে। তিনি দ্রুত রোগের কারণ খুঁজে চিকিৎসা দিতেন।
  • ওষুধ ব্যবসায়ীদের সঙ্গে সম্পর্ক: তার apothecary (ওষুধ বিক্রেতা) বন্ধুদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল। তারা একে অপরের মাধ্যমে লাভ করত। এতে বোঝা যায়, চিকিৎসায় তার ব্যবসায়িক দিকেও মনোযোগ ছিল।
  • বিদ্বান কিন্তু ধর্মে অনাগ্রহী: তিনি Hippocrates, Galen, Avicenna, Aesculapius প্রমুখ প্রাচীন চিকিৎসকদের লেখা ভালোভাবে জানতেন, কিন্তু বাইবেল অধ্যয়নে আগ্রহী ছিলেন না।
  • সংযমী ও ধনলোভী: তিনি খাওয়াদাওয়ায় সংযমী ছিলেন, কিন্তু অর্থ ভালোবাসতেন। তিনি প্লেগের সময় প্রচুর অর্থ উপার্জন করেছিলেন এবং সেগুলো সঞ্চয় করতেন। চসার বলেন, “For gold in phisik is a cordial,” অর্থাৎ চিকিৎসা বিজ্ঞানে সোনা হলো হৃদয়ের শক্তিবর্ধক ওষুধ। তাই তিনি বিশেষভাবে সোনা ভালোবাসতেন। আসলে, মধ্যযুগে মানুষ বিশ্বাস করত, সোনা শরীর ও মনে শক্তি দেয়, তাই চিকিৎসায় এটি “cordial” বা টনিক হিসেবে ব্যবহৃত হত।
  • চসারের দৃষ্টিতে: চসার এই চিকিৎসককে দেখিয়েছেন একজন বুদ্ধিমান কিন্তু কিছুটা লোভী মানুষ হিসেবে। তার জ্ঞান প্রশংসনীয়, কিন্তু তার মানবিকতা সীমিত।

The Wife of Bath (Alisoun of Bath)

  • অভিজ্ঞ ও আত্মবিশ্বাসী নারী: তিনি ছিলেন বাথ শহরের (Bath) এক নারী, যিনি সারা জীবন আত্মবিশ্বাস ও আনন্দে ভরপুর ছিলেন। তিনি কিছুটা বধির ছিলেন, কিন্তু অত্যন্ত শক্তিশালী চরিত্রের ছিলেন। তিনি পাঁচবার বিবাহ করেছিলেন এবং তরুণ বয়সে আরও প্রেমের অভিজ্ঞতা ছিল।
  • দক্ষ ও সমৃদ্ধশালী: তিনি ছিলেন চমৎকার কাপড় প্রস্তুতকারক, যিনি Ypres ও Ghent–এর কারিগরদেরও ছাড়িয়ে গিয়েছিলেন। তিনি সুন্দর পোশাক পরতেন; মাথার ভারী কাপড়, লাল মোজা, নতুন জুতো, এবং প্রশস্ত টুপি। তার মুখ ছিল গোলাপি ও চেহারা ছিল সাহসী।
  • ধর্মপ্রাণ কিন্তু গর্বিত: তিনি অনেক তীর্থযাত্রা করেছেন। জেরুজালেমে গিয়েছেন তিনবার, রোম, বোলোন, সেন্ট জেমস (স্পেন), ও কোলোন (জার্মানি) পর্যন্ত গিয়েছিলেন। তিনি ঈশ্বরপ্রেমী হলেও, চার্চে দান করতে কেউ আগে গেলে রেগে যেতেন।
  • প্রেমে জ্ঞানী ও মিশুক: তিনি ছিলেন চঞ্চল ও প্রাণবন্ত স্বভাবের। হাসতে, কথা বলতে ও আড্ডা দিতে ভালোবাসতেন। তিনি প্রেম ও সম্পর্কের বিষয়ে বিশেষ অভিজ্ঞ (Remedies of love) ছিলেনচ, অর্থাৎ পুরুষ-নারীর সম্পর্কের সব খেলা তিনি জানতেন।
  • চসারের দৃষ্টিতে: চসার তাকে দেখিয়েছেন এক আধুনিক, অভিজ্ঞ ও আত্মনির্ভর নারী হিসেবে, যিনি সমাজের সীমাবদ্ধতা ভেঙে নিজের আনন্দ ও স্বাধীনতা খুঁজে নিয়েছেন।

The Parson (The Poor Priest)

  • পবিত্র ও শিক্ষিত পুরোহিত: তিনি ছিলেন এক গরিব কিন্তু সৎ পুরোহিত, যিনি খ্রিস্টের সত্য বাণী আন্তরিকভাবে প্রচার করতেন। তিনি শিক্ষিত ও ধার্মিক, এবং নিজের জীবনে যা শিখিয়েছেন, তা আগে নিজে পালন করতেন।
  • দয়ালু ও নিঃস্বার্থ: তিনি দরিদ্র প্যারিশবাসীদের প্রতি সহানুভূতিশীল ছিলেন। তারা যদি গরিব হয় বা দান দিতে না পারে, তবুও তিনি কখনও অভিশাপ দিতেন না। বরং নিজের আয়ের মধ্য থেকে তাদের সাহায্য করতেন।
  • নিষ্ঠাবান ও পরিশ্রমী: তার দায়িত্বের এলাকা ছিল বিস্তৃত, এবং মানুষরা দূরে দূরে বাস করত, তবুও তিনি সবাইকে পরিদর্শন করতেন। বৃষ্টি, ঝড় বা অসুস্থতা কিছুই তাকে থামাতে পারত না। তিনি হাঁটতে হাঁটতে প্রত্যেকের বাড়িতে যেতেন এবং সান্ত্বনা দিতেন।
  • নৈতিকতার আদর্শ: তিনি বলতেন, “if gold ruste, what shal iren do?” অর্থাৎ, যদি পুরোহিত (সোনার মতো মানুষ) নষ্ট হয়, তাহলে সাধারণ মানুষ (লোহার মতো) কেমন হবে? তাই তিনি নিজের জীবন দিয়ে উদাহরণ স্থাপন করতেন।
  • চসারের দৃষ্টিতে: চসার তাকে দেখিয়েছেন এক আদর্শ খ্রিস্টীয় পুরোহিত হিসেবে; যিনি ক্ষমাশীল, বিনয়ী, এবং নিজের বিশ্বাসে অটল। তিনি ছিলেন সত্যিকার অর্থে একজন রাখাল, ভাড়াটে নয় (a shepherd, not a hireling)।

The Plowman (Brother of the Parson)

  • সৎ ও পরিশ্রমী কৃষক: তিনি ছিলেন Parson-এর ভাই, একজন সত্যবাদী ও পরিশ্রমী কৃষক। তিনি সারাজীবন কঠোর পরিশ্রম করতেন; মাটি খনন, খেত চাষ, ও গোবর টানার কাজ করতেন নিষ্ঠার সঙ্গে।
  • ধর্মপ্রাণ ও দয়ালু: তিনি সবসময় ঈশ্বরকে ভালোবাসতেন। সুখে-দুঃখে সবসময় তাঁর প্রতি অনুগত ছিলেন। তিনি প্রতিবেশীকেও নিজের মতো ভালোবাসতেন।
  • নিঃস্বার্থ সেবক: তিনি দরিদ্রদের জন্য বিনা মজুরিতে কাজ করতেন, যদি তার সামর্থ্য থাকত। তিনি সবসময় শান্তি ও ভালোবাসায় জীবন যাপন করতেন।
  • ধর্মনিষ্ঠ ও সৎ: তিনি নিয়মিত দশমাংশ (tithe) কর পরিশোধ করতেন। নিজের উপার্জন ও সম্পত্তি উভয় থেকেই।
  • সরল জীবন: তার পোশাক ছিল সাধারণ tabard (একটি সাদামাটা জামা), এবং তিনি একটি ঘোড়ায় (mare) চড়ে যাত্রা করতেন। চসারের দৃষ্টিতে, তিনি ছিলেন একজন আদর্শ খ্রিস্টান শ্রমিক, যিনি পরিশ্রম, সততা ও বিশ্বাসের মাধ্যমে জীবনযাপন করতেন।

The Miller (The Stout Man)

  • শক্তিশালী ও দাপুটে মানুষ: তিনি ছিলেন অত্যন্ত বলবান ও মোটা-সোটা এক ব্যক্তি, পেশিতে ও হাড়ে ভরপুর। কুস্তিতে সব সময় প্রথম পুরস্কার (the ram) জিততেন। তিনি দরজা কাঁধ দিয়ে ভেঙে ফেলতে পারতেন, যা তার অদ্ভুত শক্তির প্রমাণ।
  • অসৌন্দর্যপূর্ণ কিন্তু চোখে পড়ার মতো চেহারা: তার দাড়ি ছিল শূকর বা শিয়ালের মতো লাল, এবং নাকের ওপর একটি আঁশযুক্ত ফোঁড়া ছিল, যার ওপর কিছু লাল চুল গজিয়েছিল। তার নাক ছিল বড় ও কালচে, আর মুখ ছিল চুল্লির মতো বড়।
  • চতুর ও অসৎ ব্যবসায়ী: তিনি ছিলেন চালাক ও প্রতারণাপূর্ণ মিলার, যিনি চাল চুরি করতেন এবং মাপে প্রতারণা করতেন। চসার বলেন, “Wel koude he stelen corn.” এর অর্থ হচ্ছে, সে খুব ভালো করেই জানতো কিভাবে শস্য চুরি করতে হয়। আবার তিনি মানুষ ঠকাতেও পারতেন হাসতে হাসতে।
  • অসভ্য রসিক: তিনি জোরে কথা বলতেন, অশালীন মজায় আনন্দ পেতেন, এবং কথায় অশালীনতা ছিল।
  • আনন্দপ্রিয় ও প্রাণবন্ত: তিনি বাঁশি (bagpipe) বাজাতে জানতেন, এবং তার বাজনা বাজিয়েই দলটি শহর ছাড়ে। চসার তাকে দেখিয়েছেন একজন বলিষ্ঠ কিন্তু নীতিহীন, অশিক্ষিত কিন্তু প্রাণবন্ত মানুষ হিসেবে। তিনি সমাজের নিচু শ্রেণির হাস্যকর ও বাস্তব প্রতিচ্ছবি।

The Manciple (The Clever Servant)

  • চতুর ও দক্ষ ক্রেতা: তিনি ছিলেন এক মন্দির (Temple of Law)-এর ম্যন্সিপল, অর্থাৎ খাদ্য ও সরঞ্জাম কেনার দায়িত্বে থাকা কর্মচারী। তিনি এতটাই বুদ্ধিমান ও বিচক্ষণ ছিলেন যে, খাবার বা জিনিস কিনতে গিয়ে সব সময় লাভ করতেন। অশিক্ষিত কিন্তু বুদ্ধিমান: তিনি অল্পশিক্ষিত হলেও, তার চাতুর্যে ৩০ জন শিক্ষিত আইনজ্ঞ (lawyers)-এর চেয়েও বেশি জ্ঞান ছিল। এমনকি তিনি তাদের সবাইকে ঠকাতে পারতেন।
  • সতর্ক ও বুদ্ধিদীপ্ত ব্যবস্থাপক: তিনি নগদ বা বাকিতে যেভাবেই লেনদেন করুন না কেন, সব সময় নিজের লাভ নিশ্চিত করতেন। তার হিসাবের ভুল ধরার মতো কেউ ছিল না।
  • চসারের দৃষ্টিতে: চসার তাকে দেখিয়েছেন অল্পশিক্ষিত কিন্তু বাস্তবজ্ঞানসম্পন্ন মানুষ হিসেবে। তিনি প্রমাণ করেন যে বুদ্ধি সবসময় শিক্ষার চেয়ে বড়।

The Reeve (The Estate Manager)

  • চতুর ও রাগী মানুষ: তিনি ছিলেন একজন রিভ (estate manager)। তিনি পাতলা, লম্বা, এবং কিছুটা রাগী (choleric) স্বভাবের মানুষ। তার দাড়ি ছিল ছোট করে কামানো, আর চুল কাটা ছিল পুরোহিতদের মতো।
  • অভিজ্ঞ তত্ত্বাবধায়ক: তিনি তার প্রভুর খামার ও পশুপালনের সমস্ত দায়িত্বে ছিলেন। গুদাম, ধান, গরু, ভেড়া, ঘোড়া; সবকিছুই তার নিয়ন্ত্রণে ছিল। তিনি হিসাব রাখতেন নিখুঁতভাবে, এমনকি কোনও অডিটরও তার ভুল ধরতে পারত না।
  • চালাক ও গোপন ধনবান: তিনি প্রভুর চেয়ে বুদ্ধিমান ও ধূর্ত ছিলেন। প্রভুর জিনিস দিয়েই তাকে উপহার দিতেন, তবুও প্রশংসা ও পুরস্কার পেতেন। নিজের জন্য গোপনে ধন-সম্পদ জমিয়েছিলেন।
  • কারিগর হিসেবে দক্ষ: যুবক বয়সে তিনি কাঠমিস্ত্রির কাজ (carpenter) শিখেছিলেন এবং তাতে ছিলেন পারদর্শী।
  • দলনেতার পেছনে থাকা মানুষ: তিনি চড়েছিলেন “Scot” নামে ধূসর ঘোড়ায়। তিনি পরেছিলেন নীল লম্বা কোট। তার সাথে ছিল মরিচা ধরা তলোয়ার। তিনি সব সময় দলের একদম পেছনে থাকতেন। চসারের দৃষ্টিতে, তিনি ছিলেন চতুর, কঠোর, কিন্তু দক্ষ প্রশাসক। তিনি সততা নয়, বুদ্ধি ও ভয় দেখিয়ে নিজের অবস্থান শক্ত করেছিলেন।

The Summoner (The Corrupt Church Officer)

  • কুরূপ ও ভয়ঙ্কর মানুষ: Summoner মানুষকে চার্চ কোর্টে হাজির করানোর দায়িত্বে ছিলেন। তার মুখ ছিল আগুনের মতো লাল ও দাগে ভর্তি। তার নাকের পাশে বড় বড় ফোঁড়া ও দাগ ছিল। শিশুরা তার মুখ দেখে ভয় পেত।
  • অশুচি অভ্যাসের মানুষ: তিনি রসুন, পেঁয়াজ ও মদ খেতে ভালোবাসতেন। মদ খেয়ে মাতাল হলে চিৎকার করতেন এবং ল্যাটিনে দুই-তিনটি শব্দ আওড়াতেন, যা তিনি মুখস্থ করেছিলেন, কিন্তু অর্থ জানতেন না।
  • দুর্নীতিগ্রস্ত ও কামুক: তিনি ছিলেন অত্যন্ত অসৎ ও লালসাপূর্ণ মানুষ। তিনি টাকা বা মদের বিনিময়ে অপরাধীদের ক্ষমা করে দিতেন।
  • লোক ঠকানোর ও শাসনের ওস্তাদ: তিনি Archdeacon-এর আইনকে নিজের মতো করে চালাতেন। তার কাছে পাপীরা শুধু তখনই মুক্তি পেত যখন তারা তাকে টাকা দিত। তিনি বলতেন, “Purse is the archdeacon’s hell।”
  • চেহারা ও পোশাক: তিনি মাথায় ফুলের মালা (garland) পরতেন, যা ছিল মদের দোকানের চিহ্নের মতো বড়, আর কেক দিয়ে বানানো ঢাল (buckler) রাখতেন সাজসজ্জার জন্য। চসারের দৃষ্টিতে, তিনি ছিলেন চার্চের দুর্নীতির প্রতীক। ধর্মের নামে ভণ্ডতা, লালসাপূর্ণ, এবং অনৈতিক কাজ করতেন।

The Pardoner (The False Seller of Pardons)

  • চতুর কিন্তু ভণ্ড ধর্মযাজক: তিনি ছিলেন একজন Pardoner, যিনি রোম থেকে ক্ষমাপত্র (pardons) ও পবিত্র রেলিকস (relics) বিক্রি করতেন। তিনি Summoner-এর বন্ধু এবং তার সঙ্গে গান গাইতেন। তার কণ্ঠ ছিল ছাগলের মতো পাতলা ও কর্কশ। তার চেহারা নারীর মতো মসৃণ ও দাড়িহীন।
  • অদ্ভুত চেহারা ও পোশাক: তার চুল ছিল মোমের মতো হলুদ ও লম্বা, যা কাঁধের উপর ঝুলে থাকত। মাথায় একটি ক্যাপের সঙ্গে ‘Veronica’ সেলাই করা ছিল। তার থলে ভর্তি ছিল ভুয়া ক্ষমাপত্র, যা সে বলত রোম থেকে এসেছে।
  • ভণ্ডামির প্রতীক: তিনি জাল রেলিক দেখিয়ে মানুষকে ঠকাতেন। তিনি বলতেন, একটি বালিশের খোল Our Lady-এর ওড়না, বা শূকরের হাড় Saint-এর হাড়। এসব মিথ্যা জিনিস দেখিয়ে গরিব মানুষদের কাছ থেকে টাকা আদায় করতেন।
  • চতুর ও মিষ্টভাষী প্রচারক: চার্চে তিনি খুব সুন্দরভাবে গল্প ও ধর্মীয় পাঠ পড়তেন, এবং Offertory গান গাইতেন সবচেয়ে ভালো। কারণ তিনি জানতেন, গান শেষে যদি ভালোভাবে কথা বলেন, তাহলে মানুষ বেশি দান করবে।
  • চসারের দৃষ্টিতে: তিনি ছিলেন চার্চের দুর্নীতি ও ভণ্ডামির জীবন্ত প্রতীক। তার মুখে ধর্ম, কিন্তু মনে লোভ; তাই চসার তাকে এক “সুন্দর কিন্তু পচা আত্মা”র প্রতিরূপ হিসেবে চিত্রিত করেছেন।

The Ending of the General Prologue

  • তীর্থযাত্রার কারণ ও স্থান: চসার এখানে বলেন, তিনি এখন পর্যন্ত তীর্থযাত্রীদের পরিচয়, পোশাক, সংখ্যা ও যাত্রার উদ্দেশ্য সবকিছুই বলেছেন। এই যাত্রীরা লন্ডনের সাউথওয়ার্কে অবস্থিত “Tabard Inn”-এ একত্রিত হয়েছিলেন। এখান থেকেই তারা ক্যান্টারবারি উদ্দেশ্যে রওনা হবেন।
  • পরবর্তী বর্ণনার সূচনা: এখন তিনি বলবেন, সেই রাতে তারা কীভাবে সময় কাটালেন এবং তারপর পুরো যাত্রার ঘটনাগুলো।
  • বাস্তবভাষা ব্যবহারের অনুমতি চাওয়া: চসার পাঠকদের অনুরোধ করেন যেন তারা তার কথা অশালীন বা অভদ্র মনে না করেন, কারণ তিনি শুধু যাত্রীদের আসল কথা ও আচরণ যেমন ছিল, তেমনই লিখবেন।
  • সত্যনিষ্ঠ বর্ণনার অঙ্গীকার: তিনি বলেন, যদি কেউ অন্যের গল্প বলে, তবে সত্যি ও হুবহু বলাই কর্তব্য। তাই তিনি কিছুই বদলাবেন না বা মিথ্যা যোগ করবেন না।
  • ধর্মীয় ও দার্শনিক যুক্তি: চসার বলেন, খ্রিস্টও স্পষ্টভাবে কথা বলেছিলেন, আর প্লেটো বলেছেন, ‘শব্দকে কাজের মতোই সত্য হতে হবে’।
  • শেষের বিনয়: চসার শেষে বিনয়ের সঙ্গে বলেন, তিনি সব চরিত্রকে তাদের সামাজিক মর্যাদা অনুযায়ী সাজাননি, কারণ তার বুদ্ধি ও সামর্থ্য সীমিত।

এই অংশটি “The General Prologue”-এর সমাপ্তি। এখানে চসার নিজের ভূমিকা, দৃষ্টিভঙ্গি ও লেখনাশৈলীর ব্যাখ্যা দেন, যা পুরো The Canterbury Tales-এর মূল কাঠামো তৈরি করে।

Chaucer – The Poet Himself (At the End of The General Prologue)

  • The General Prologue-এর শেষে চসার নিজের কথা একটু বলেছেন, তবে খুব নম্র ও রসিকভাবে। তিনি সরাসরি নিজের নাম বলেন না, কিন্তু নিজেকে বর্ণনা করেন একজন সাধারণ পর্যবেক্ষক হিসেবে। তিনি এমন একজন মানুষ, যিনি অন্যদের গল্প লিখে রাখছেন। চসার বলেন,

“আমার বুদ্ধি কম, তোমরা তা বুঝতে পারো।”

(My wit is short, ye may wel understonde. — লাইন 746)

এর মানে, তিনি বলেন না যে তিনি মহান কবি বা শিক্ষিত মানুষ, বরং নিজেকে এক সাধারণ যাত্রী হিসেবে দেখান, যে শুধু অন্যদের গল্প শোনে ও লেখে। 

  • তিনি অহংকারহীন, নিজের সাহিত্য প্রতিভা লুকিয়ে রাখেন। তিনি একজন দর্শক ও লেখক। তিনি সমাজের প্রতিটি শ্রেণির মানুষকে দেখেন ও লিখে রাখেন।

Introduction of the Host – Harry Bailey

  • আতিথেয়তাপূর্ণ শুরু: এই অংশে চসার আমাদের পরিচয় করিয়ে দেন Tabard Inn-এর মালিক ও হোস্ট (Host)-এর সঙ্গে। তিনি তীর্থযাত্রীদের উষ্ণ আতিথেয়তা ও আনন্দময় ভোজ দেন। সবাইকে তিনি সুন্দরভাবে বসান, আর পরিবেশন করেন উত্তম খাবার ও শক্ত মদ, যা সবাইকে খুশি করে তোলে।
  • চেহারা ও চরিত্র: হোস্ট ছিলেন বড় দেহী, তেজস্বী চোখের, সাহসী ও বুদ্ধিমান ব্যক্তি। চসার বলেন, “A fairer burgeys was ther noon in Chepe।” অর্থাৎ, চিপসাইডের বাজারে তার মতো সুন্দর ও সম্মানিত ব্যবসায়ী আর কেউ ছিল না।
  • আনন্দপ্রিয় ও মিশুক: তিনি শুধু বুদ্ধিমান নন, খুবই হাসিখুশি ও রসিক মানুষ। রাতের ভোজ শেষে তিনি আনন্দের পরিবেশ তৈরি করেন এবং সবাইকে গল্পগুজব ও হাসিতে মেতে উঠতে বলেন।
  • ভদ্র ও অতিথিপরায়ণ: তিনি তীর্থযাত্রীদের বলেন, “Ye been to me right welcome, hertely.” অর্থাৎ, তোমরা সবাই আমার কাছে আন্তরিকভাবে স্বাগত। এতে বোঝা যায়, তিনি ছিলেন খোলা মনের ও অতিথিপরায়ণ মানুষ, যিনি তার অতিথিদের আনন্দ দিতে সর্বদা আগ্রহী।
  • পরবর্তী পরিকল্পনার সূচনা: হোস্ট বলেন, তিনি এমন একটি আনন্দের পরিকল্পনা করেছেন যা সকলকে আনন্দ দেবে এবং কোনো খরচ লাগবে না। এই কথাটিই ইঙ্গিত দেয় যে, এরপর তিনি গল্প বলার প্রতিযোগিতার প্রস্তাব দেবেন, যা The Canterbury Tales-এর মূল কাঠামো হয়ে উঠবে। এইভাবে চসার হোস্টকে দেখান একজন রসিক, সামাজিক ও প্রাণবন্ত নেতা হিসেবে, যিনি তীর্থযাত্রীদের মধ্যে আনন্দ ও ঐক্য সৃষ্টি করেন।

The Host’s Proposal Begins – The Birth of the Storytelling Plan

  • আশীর্বাদ ও শুভকামনা: হোস্ট তীর্থযাত্রীদের বলেন,

769 “Ye goon to Caunterbury — God yow speede,

                 “You go to Canterbury — God give you success,

770         The blisful martir quite yow youre meede!

                 May the blessed martyr give you your reward!

তিনি তাদের যাত্রার জন্য আশীর্বাদ করেন এবং বলেন যেন সেন্ট থমাস বেকেট (the holy martyr) তাদের প্রার্থনার প্রতিদান দেন।

  • আনন্দময় যাত্রার ধারণা: হোস্ট জানেন, দীর্ঘ পথে চুপচাপ চলা নিরস ও ক্লান্তিকর। তাই তিনি বলেন, যাত্রা যদি হাসি-আনন্দ ছাড়া হয়, তবে তা পাথরের মতো নীরস।
  • আনন্দের খেলা প্রস্তাব: তিনি বলেন, তিনি এমন এক ‘game’ বা খেলার পরিকল্পনা করেছেন, যা সবাইকে বিনোদন ও সান্ত্বনা দেবে। এই “game”-ই পরবর্তীতে হবে গল্প বলার প্রতিযোগিতা (The Tale-Telling Contest)।
  • নিয়ম মানার শর্ত: হোস্ট বলেন, যদি সবাই একমত হয়, তবে তারা তার বিচার ও সিদ্ধান্ত মেনে চলবে। তিনি রসিকভাবে বলেন, “But ye be myrie, I wol yeve yow myn heed!” অর্থাৎ, তোমরা যদি আনন্দ না করো, তবে আমার মাথাই কাটো!
  • সর্বসম্মতির আহ্বান: শেষে তিনি বলেন, “আর কিছু না বলে, সবাই হাত তোলো!”

এই অংশে হোস্ট যাত্রায় আনন্দ, ঐক্য ও গল্পের ধারণা আনেন। তার প্রস্তাবেই The Canterbury Tales-এর মূল কাহিনি-গঠন শুরু হয়। অর্থাৎ, তীর্থযাত্রীদের গল্প বলার প্রতিযোগিতা শুরু হয়।

The Host’s Game Plan – The Birth of The Canterbury Tales

  • তীর্থযাত্রীদের সম্মতি: চসার বলেন, তীর্থযাত্রীদের সিদ্ধান্ত নিতে বেশি সময় লাগল না। তারা হোস্টের প্রস্তাব খুশিমনে মেনে নিল। সবাই একবাক্যে বলল, হোস্ট যা বলেন, তাই হবে।
  • হোস্টের প্রস্তাবের বিস্তারিত ব্যাখ্যা: হোস্ট তখন বলেন,
    • “That ech of yow… shal telle tales tweye
    • To Caunterbury-ward… and homward othere two.”

অর্থাৎ, প্রত্যেকে ক্যান্টারবারির পথে দুটি গল্প এবং ফেরার পথে আরও দুটি গল্প বলবে। এভাবে মোট চারটি গল্প বলবে প্রতি জন।

  • বিজয়ীর পুরস্কার:
    • “And which of yow that bereth hym best of alle…
    • Shal have a soper at oure aller cost.”

অর্থাৎ, যে তীর্থযাত্রী সবচেয়ে ভালো গল্প বলবে, যার গল্পে থাকবে “best sentence and moost solaas” (অর্থাৎ, সবচেয়ে ভালো শিক্ষা ও আনন্দ), সে ফিরে এসে সবার খরচে এক বিশাল ভোজ (supper) পাবে।

  • হোস্টের ভূমিকা: তিনি বলেন,
    • “I wol myselven goodly with yow ryde,
    • Right at myn owene cost, and be youre gyde.” অর্থাৎ, তিনি নিজেই এই যাত্রায় যোগ দেবেন, গাইড ও বিচারক হিসেবে।
  • খেলার নিয়ম: যে তার সিদ্ধান্ত বা রায় মানবে না, তাকে শাস্তি হিসেবে,
    • “Shal paye al that we spenden by the weye.” অর্থাৎ, পুরো যাত্রার খরচ একাই বহন করতে হবে!

শেষে হোস্ট বলেন, যদি সবাই রাজি থাকে, তবে এখনই তাদের সম্মত হতে বলেন! তিনি সকালবেলা সব প্রস্তুত করবেন। এই অংশে হোস্টের প্রস্তাবেই The Canterbury Tales-এর মূল কাঠামো গড়ে ওঠে। গল্প বলা, আনন্দ, প্রতিযোগিতা এবং শিক্ষা; এই চারটি বিষয়ই চসারের মহাকাব্যিক গল্পযাত্রার প্রাণ।

The Pilgrims Agree to the Host’s Plan – Unity Before the Journey

  • আনন্দময় সম্মতি: চসার বলেন, তীর্থযাত্রীরা হোস্টের প্রস্তাব একবাক্যে মেনে নিল এবং আনন্দভরে শপথ করল যে তারা নিয়ম মানবে।
  • হোস্টের নেতৃত্বে আস্থা: তারা হোস্টকে অনুরোধ করলো, হোস্ট যেন তাদের গাইড, বিচারক ও রেকর্ড রাখার দায়িত্বে থাকেন। তিনি-ই ঠিক করবেন কে সেরা গল্প বলবে।
  • পুরস্কার নির্ধারণ: তীর্থযাত্রীরা অনুরোধ করল যে হোস্ট যেন একটি নির্দিষ্ট মূল্যের ভোজ (supper) ঠিক করেন। সবাই বললো, তারা বড় ছোট সব বিষয়ে হোস্টের সিদ্ধান্ত মেনে চলবে।
  • উৎসবমুখর রাত: সবাই একমত হলো, তারা একসাথে ঐক্যবদ্ধভাবে সম্মতি দিল। তারপর, তারা সঙ্গে সঙ্গে মদ আনল, সবাই মিলে পান করল, আর তারপর আনন্দে ঘুমাতে গেল।
  • এইভাবে, চসার দেখান যে তীর্থযাত্রীদের দল আনন্দ, সৌহার্দ্য ও ঐক্যের বন্ধনে আবদ্ধ হলো। এখান থেকেই শুরু হবে তাদের মহান গল্পযাত্রা, “The Canterbury Tales”.

The Journey Begins and the First Tale Is Chosen – The Opening of The Canterbury Tales

  • সকালের সূচনা: চসার বলেন, ভোরে যখন সূর্য উঠল, হোস্ট মোরগের মতো সবার আগে জেগে উঠল। তিনি সবার ঘুম ভাঙালেন এবং তীর্থযাত্রীদের একত্র করলেন, যেন একটি আনন্দময় যাত্রা শুরু হয়।
  • যাত্রার শুরু: তারা ধীরে ধীরে ঘোড়ায় চড়ে রওনা দিল। তারা সেন্ট থমাসের ওয়াটারিং স্থানে পৌঁছাল, যেখানে তারা গল্প বলার প্রতিযোগিতা শুরু করবে।
  • হোস্টের ঘোষণা: হোস্ট সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করলেন। তিনি তীর্থযাত্রীদের মনে করিয়ে দিলেন তাদের গতরাতের চুক্তির কথা। সবাই গল্প বলবে, এবং প্রথম জনকে লটারিতে (drawing of lots) বেছে নেওয়া হবে।
  • লটারির আয়োজন: সবাইকে ছোট কাঠি (straw) টানতে হবে, আর যার কাঠি সবচেয়ে ছোট হবে, সে-ই প্রথম গল্প শুরু করবে।
  • নাইটের জয়: লটারির ফল নাইটের পক্ষে গেল। সবাই এতে খুশি ও সন্তুষ্ট, কারণ নাইট ছিল দলের সবচেয়ে সম্মানিত ও জ্ঞানী ব্যক্তি।
  • নাইটের নম্রতা ও প্রস্তুতি: নাইট নম্রভাবে স্বীকার করলেন, যেহেতু লটারি ঈশ্বরের ইচ্ছা, তাই তিনি আনন্দের সঙ্গে শুরু করবেন।
  • গল্প বলার সূচনা: নাইট সবাইকে মনোযোগ দিতে বললেন। তিনি হাস্যোজ্জ্বল মুখে নাইট তার গল্প শুরু করলেন। এভাবেই শুরু হলো The Canterbury Tales-এর প্রথম গল্প, “The Knight’s Tale.” এটি শুধু এক গল্প নয়, বরং সাহিত্য ইতিহাসের এক মহাযাত্রার সূচনা।

Themes

  • সমাজের প্রতিচ্ছবি (Picture of Society): ‘The General Prologue’ মধ্যযুগের ইংরেজ সমাজের একটি সম্পূর্ণ ছবি। এখানে ধনী, গরিব, ধর্মযাজক, সৈনিক, ব্যবসায়ী; সব শ্রেণির মানুষকে দেখা যায়। চসার দেখিয়েছেন কে ভালো, কে মন্দ, কে ভণ্ড। কেউ পরিশ্রমী, কেউ অলস। কেউ ধর্মভীরু, কেউ দুর্নীতিগ্রস্ত। এই তীর্থযাত্রার মাধ্যমে তিনি সমাজের বাস্তব জীবন, তাদের স্বভাব, পেশা, নৈতিকতা এবং মানবতার বিভিন্ন দিক তুলে ধরেছেন।
  • ধর্মের ভণ্ডামি (Hypocrisy in Religion): চসার ধর্মীয় ভণ্ডামি ও দুর্নীতিকে বিদ্রূপ করেছেন। ফ্রায়ার, পার্ডনার, সামনার; এরা ধর্মের নামে মানুষকে ঠকায়। তারা টাকা উপার্জনকেই ধর্মকাজ ভেবে বসে। অথচ পারসন-এর মতো কিছু মানুষ সত্যিকারের ধর্মভীরু ও সৎ। চসার দেখিয়েছেন, ধর্মগুরুরাও মানুষ; তাদের মধ্যেও লোভ, পাপ, মিথ্যা থাকে। এভাবে তিনি চার্চের দুর্নীতি ও সমাজে তার প্রভাব প্রকাশ করেছেন।
  • মানব প্রকৃতি (Human Nature): চসার মানুষের মনের নানা দিক দেখিয়েছেন; ভালোবাসা, লোভ, ভণ্ডামি, আনন্দ, দয়া, গর্ব, বুদ্ধি ও হাস্যরস। নাইট সাহসী, পারসন সৎ, কিন্তু ফ্রায়ার ও পার্ডনার প্রতারক। নান কোমল হৃদয়ের, Wife of Bath আত্মবিশ্বাসী ও প্রাণবন্ত। প্রত্যেক চরিত্র বাস্তব জীবনের মানুষ। তাদের দুর্বলতা ও গুণ একসঙ্গে মিশে মানব প্রকৃতির একটি সম্পূর্ণ ছবি তৈরি করেছে।
  • ব্যঙ্গ ও হাস্যরস (Satire and Humour): চসারের রচনায় ব্যঙ্গ ও হাস্যরস একসঙ্গে চলে। তিনি কখনও কঠোরভাবে নয়, বরং কোমল হাসির মাধ্যমে সমাজের ভুলগুলো দেখিয়েছেন। ফ্রায়ার, সামনার, পার্ডনারদের চরিত্রে তার সূক্ষ্ম ব্যঙ্গ দেখা যায়। আবার নাইট, পারসন, প্লাওম্যানের মাধ্যমে তিনি শ্রদ্ধা প্রকাশ করেছেন। তার হাস্যরস কোমল, মানবিক এবং শিক্ষামূলক। এ কারণেই ‘The General Prologue’ শুধু মজার নয়, চিন্তারও খোরাক।

Quotes

  1. “A Knyght ther was, and that a worthy man, 

That fro the tyme that he first bigan

To riden out, he loved chivalrie.”

Modern English: (A Knyght there was, and that (one was) a worthy man, / Who from the time that he first began / To ride out, he loved chivalry.)

Explanation: The Knight is a man of courage, honor, and devotion. He is a soldier of the Crusades who has lived up to the ideals of chivalry.

“একজন নাইট ছিলেন, এবং তিনি ছিলেন একজন যোগ্য মানুষ।

যে সময় থেকে তিনি প্রথম যুদ্ধযাত্রা শুরু করেন,

তিনি বীরত্ব, সম্মান ও সৌজন্য ভালোবেসে এসেছেন।”

ব্যাখ্যা: এই নাইট সাহস, সম্মান ও দায়িত্ববোধের মানুষ। তিনি ক্রুসেডের যোদ্ধা, যিনি নাইটদের আদর্শ অনুযায়ী জীবন যাপন করেছেন।

  1. “He was as fressh as is the month of May”

Modern English: He was as fresh as the month of May.

Explanation: The Young Squire is the son of the Knight. He is 20 years old. He can sing, dance, draw, write, and compose songs.

“তিনি ছিলেন মে মাসের মতোই তরতাজা ও প্রাণবন্ত।”

ব্যাখ্যা: এই তরুণ স্কুইয়ার নাইটের ছেলে। তার বয়স ছিল বিশ বছর। সে গান গাইতে, নাচতে, আঁকতে, লিখতে এবং গান রচনা করতে পারত।

  1. “A manly man, to been an abbot able.

Ful many a deyntee hors hadde he in stable,

And whan he rood, men myghte his brydel heere.”

Modern English: (A virile man, qualified to be an abbot. / He had very many fine horses in his stable, / And when he rode, one could hear his bridle)

Explanation: The monk enjoys a life of luxury. He enjoys hunting and owns many excellent horses. Chaucer satirizes him for his untraditional activities.

“তিনি ছিলেন এক বলিষ্ঠ মানুষ, যিনি অ্যাবট হওয়ার যোগ্য ছিলেন।

তার আস্তাবলে অনেক দামী ও উৎকৃষ্ট ঘোড়া ছিল।

যখন তিনি ঘোড়ায় চড়তেন, তার লাগাম ঝনঝন শব্দ করত।”

ব্যাখ্যা: এই সন্ন্যাসী বিলাসী জীবন উপভোগ করতেন। তিনি শিকার ভালোবাসতেন এবং অনেক উন্নতমানের ঘোড়ার মালিক ছিলেন। চসার তাঁকে উপহাস করেছেন কারণ তাঁর জীবনধারা ছিল ধর্মীয় নিয়মের বিপরীত।

  1. “Amor Vincit Omnia.”

Modern English: (Love conquers all/everything.)

Explanation: The Prioress wears a fashionable dress with a golden broach engraved with the words.

“ভালোবাসা সবকিছু জয় করে।”

ব্যাখ্যা: এই প্রায়োরেস (নান) পরতেন একটি আকর্ষণীয় পোশাক এবং তাঁর হাতে ঝুলত সোনার একটি ব্রোচ, যার ওপর খোদাই করা ছিল এই কথাটি, “Amor vincit omnia” অর্থাৎ “ভালোবাসা সবকিছু জয় করে।”

5. “She leet no morsel from hir lippes falle,

Ne wette hir fyngres in hir sauce depe.

Wel koude she carie a morsel and wel kepe

Thát no drope ne fille upon hire brist.”

Modern English: (She let no morsel fall from her lips, / Nor wet her fingers deep in her sauce; / She well knew how to carry a morsel (to her mouth) and take good care / That no drop fell upon her breast.)

Explanation: The Prioress displays flawless table manners. She always ensures no food or sauce falls from her lips. 

“তিনি কখনও খাবারের কণা ঠোঁট থেকে ফেলতেন না,

না আঙুল ডুবিয়ে সস খেতেন।

খাবার মুখে নেওয়ার সময় খুব সাবধানে নিতেন,

যাতে কোনো কণা বা সস তার পোশাকে না পড়ে।”

ব্যাখ্যা: এই প্রায়োরেস (নান) খাওয়ার সময় অত্যন্ত ভদ্র ও পরিশীলিত আচরণ করতেন। তিনি নিখুঁত টেবিল ম্যানারের উদাহরণ ছিলেন এবং সব সময় নিজের পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখতেন।

6. “His studie was but litel on the Bible.”

Modern English: (His study was but little on the Bible.)

আরো পড়ুনঃ The Nun’s Priest’s Tale Bangla Summary (বাংলায়)

Explanation: The Doctor of Physic practices herbal remedies. Here, his knowledge of astronomy and astrology is also traceable. He was so busy in his profession that he had no time to read the Bible.

“তার অধ্যয়ন বাইবেলের ওপর খুবই অল্প ছিল।”

ব্যাখ্যা: এই চিকিৎসক ভেষজ ও জ্যোতির্বিদ্যার জ্ঞান ব্যবহার করে রোগ সারাতেন। তিনি জ্যোতিষ ও ঔষধবিদ্যায় দক্ষ ছিলেন, কিন্তু ধর্মীয় জ্ঞানের প্রতি আগ্রহী ছিলেন না। তিনি নিজের পেশায় এতটাই ব্যস্ত ছিলেন যে বাইবেল পড়ার সময় পেতেন না।

7. “Housbondes at chirche dore she hadde fyve, 

 Withouten oother compaignye in youthe.”

Modern English: (She had (married) five husbands at the church door, / Not counting other company in youth-)

Explanation: The Wife of Bath married five times.

“তিনি গির্জার দরজায় পাঁচজন স্বামীকে বিয়ে করেছিলেন,

তাঁর তরুণ বয়সের অন্য সম্পর্কগুলো ধরা হয়নি।”

ব্যাখ্যা: বাথের স্ত্রী (Wife of Bath- বাথ একটি জায়গার নাম) জীবনে পাঁচবার বিবাহ করেছেন। তিনি ছিলেন অভিজ্ঞ ও আত্মবিশ্বাসী নারী, যিনি প্রেম ও বিবাহ বিষয়ে অনেক অভিজ্ঞতা অর্জন করেছিলেন।

8. “Of remedies of love she knew per chauncé,

For she koude of that art.”

Modern English: (She knew, as it happened, about remedies for love / For she knew the old dance (tricks of the trade) of that art.)

Explanation: The Wife of Bath is well-known for her experience in love and marriage.

“তিনি প্রেমের রোগের ওষুধ ভালোভাবেই জানতেন,

কারণ তিনি এই কলার পুরনো কৌশলগুলো ভালোভাবেই জানতেন।”

ব্যাখ্যা: বাথের স্ত্রী (Wife of Bath) প্রেম ও বিবাহের ব্যাপারে অভিজ্ঞ এবং জ্ঞানী ছিলেন। তিনি ভালোবাসার নানা কৌশল ও সম্পর্কের বাস্তব দিকগুলো খুব ভালোভাবে বুঝতেন।

9. “Wel koude he in eschaunge sheeldes selle.

This worthy man ful wel his wit bisette:”

Modern English: (He well knew how to deal in foreign currencies. / This worthy man employed his wit very well:)

Explanation: The Marchant is very familiar with his management power and the business in his area.

“তিনি বিদেশি মুদ্রা লেনদেনে দক্ষ ছিলেন।
এই যোগ্য মানুষটি তার বুদ্ধি খুব ভালোভাবে ব্যবহার করতেন।”

ব্যাখ্যা: ব্যবসায়ী (Merchant) ছিলেন চতুর ও অভিজ্ঞ বণিক। তিনি নিজের ব্যবসা পরিচালনা ও অর্থ ব্যবস্থাপনায় পারদর্শী ছিলেন। নিজ অঞ্চলের ব্যবসা-বাণিজ্য ও বিদেশি লেনদেনে তার গভীর জ্ঞান ছিল।

10. “Of studie took he moost cure and moost heede.

Noght o word spak he moore than was neede.”

Modern English: (He took most care and paid most heed to study. / He spoke not one word more than was needed,)

Explanation: The Clerk is very busy with studying and does not talk more than necessary. Though he is a clerk, he is described as a religious figure. We can address him as a student of religion.

“তিনি অধ্যয়নের প্রতি সর্বাধিক যত্ন ও মনোযোগ দিতেন।
তিনি প্রয়োজনের অতিরিক্ত একটি শব্দও বলতেন না।”

ব্যাখ্যা: ক্লার্ক (Clerk) ছিলেন একজন জ্ঞানপিপাসু ছাত্র, যিনি সারাক্ষণ পড়াশোনায় ব্যস্ত থাকতেন। তিনি অপ্রয়োজনীয় কথা বলতেন না এবং নিজের পড়াশোনাকেই জীবনের মূল লক্ষ্য মনে করতেন। যদিও তিনি ধর্মযাজক নন, তবুও তাকে ধর্মভিত্তিক শিক্ষার্থী বা ধর্মনিষ্ঠ পণ্ডিত বলা যায়।

11. “A good man was ther of religioun,

And was a povre Person of a Toun.”

Modern English: (A good man was there of religion, / And (he) was a poor Parson of a Town.)

Explanation: The Parson leads a very simple and virtuous life. He is devoted to his service. He preaches sincerely and tries to practice what he preaches.

“সেখানে ছিলেন একজন ধর্মভীরু মানুষ,
তিনি ছিলেন একটি গ্রামের দরিদ্র পুরোহিত।”

ব্যাখ্যা: পারসন (Parson) একজন সৎ, সাধু ও নিঃস্বার্থ ধর্মযাজক। তিনি খুবই সরল জীবন যাপন করতেন এবং নিজের ধর্মকর্মে নিবেদিত ছিলেন। তিনি আন্তরিকভাবে মানুষকে শিক্ষা দিতেন এবং যা প্রচার করতেন, তা নিজেও পালন করতেন।

12. “Ful wel biloved and famulier was he

With frankeleyns over al in his contree,

And eek with worthy wommen of the toun;

For he hadde power of confessioun.”

Modern English: (Very well beloved and familiar was he / With landowners every where in his country, / And also with worthy women of the town; / For he had power of confession,)

Explanation: The Friar is a corrupted person. He misuses his religious power and becomes familiar to wealthy sinners.

“তিনি ছিলেন ধনী জমিদারদের এবং শহরের প্রভাবশালী নারীদের ঘনিষ্ঠ বন্ধু,

কারণ তার ছিল স্বীকারোক্তি শোনার ক্ষমতা।”

ব্যাখ্যা: ফ্রায়ার (Friar) ছিলেন এক দুর্নীতিগ্রস্ত ধর্মযাজক। তিনি নিজের ধর্মীয় ক্ষমতার অপব্যবহার করতেন। তিনি দরিদ্রদের বদলে ধনী ও পাপী ব্যক্তিদের সঙ্গেই ঘনিষ্ঠতা গড়ে তুলতেন, যাতে লাভবান হতে পারেন।

13. “He knew the tavernes wel in every toun.”

Modern English: (He knew the taverns well in every town)

Explanation: He is a clergyman but knows all the inns in the cities. He is nothing but a hypocritical man.

“তিনি প্রতিটি শহরের মদের দোকান (ট্যাভার্ন) ভালোভাবেই চিনতেন।”

ব্যাখ্যা: ফ্রায়ার (Friar) একজন ধর্মযাজক হয়েও শহরের সব পানশালা ও সরাইখানার সঙ্গে পরিচিত ছিলেন। তিনি ধর্মীয় জীবনের আদর্শ থেকে অনেক দূরে সরে গিয়েছিলেন। চসার তাকে ভণ্ড, লোভী ও ভোগবিলাসী মানুষ হিসেবে উপস্থাপন করেছেন।

14. “A semely man OURE HOOSTE was withalle

For to been a marchal in an halle.

A large man he was with eyen stepe —

A fairer burgeys was ther noon in Chepe —

Boold of his speche, and wys, and wel ytaught,

And of manhod hym lakkede right naught.

Eek therto he was right a myrie man.”

Modern English: (Our Host was an impressive man indeed

(Qualified) to be a master of ceremonies in a hall.

He was a large man with prominent eyes —

There was no better business man in Cheapside —

Bold of his speech, and wise, and well mannered,

And he lacked nothing at all of the qualities proper to a man.

Also moreover he was a right merry man;)

Explanation: The Host is an impressive man,  a good speaker, and a large figure with influential eyes. He has everything as a businessman.

“আমাদের হোস্ট ছিলেন সত্যিই এক চমৎকার মানুষ।

তিনি যেন কোনো বড়ো হলের অনুষ্ঠান পরিচালনার যোগ্য ছিলেন।

তিনি ছিলেন বিশালদেহী এবং চোখ দুটি ছিল প্রভাবশালী ও তীক্ষ্ণ।

চিপসাইড অঞ্চলে (লন্ডনের বাণিজ্যকেন্দ্র) তার মতো দক্ষ ব্যবসায়ী আর কেউ ছিল না।

তিনি সাহসীভাবে কথা বলতেন, জ্ঞানী ও ভদ্র ছিলেন।

একজন আদর্শ পুরুষের যে গুণাবলি থাকা উচিত, তার সবই ছিল তার মধ্যে।

তাছাড়া তিনি ছিলেন হাসিখুশি ও মজার মানুষও।”

ব্যাখ্যা: হোস্ট (Host) ছিলেন একজন প্রভাবশালী, হাসিখুশি এবং বুদ্ধিমান ব্যবসায়ী। তার চেহারা, আচরণ ও কথাবার্তায় নেতৃত্বের গুণ প্রকাশ পায়। চসার তাকে সম্মানের সঙ্গে ও প্রশংসার ভঙ্গিতে উপস্থাপন করেছেন।

15. “Now draweth cut, er that we ferrer twynne;

He which that hath the shorteste shal bigynne.”

Modern English: (Now draw straws, before we depart further (from London); / He who has the shortest shall begin.)

Explanation: The Host mentions the process of selecting the first storyteller.

“এখন সবাই কাঠি টানো, আমরা লন্ডন থেকে আরও দূরে যাওয়ার আগে,

যার কাঠি সবচেয়ে ছোট হবে, সে-ই প্রথম গল্প শুরু করবে।”

ব্যাখ্যা: হোস্ট গল্প বলার ক্রম ঠিক করার জন্য একটি লটারির আয়োজন করেন। সবাইকে ছোট কাঠি (straw) টানতে বলা হয়। যার কাঠি সবচেয়ে ছোট হয়, সে-ই প্রথম গল্প শুরু করে। এইভাবে গল্প বলার খেলা শুরু হয়।

Share your love
Ruhul Amin
Ruhul Amin

Hey, This is Ruhul Amin, B.A & M.A in English Literature from National University. I am working on English literature and career planning.

Articles: 84

10 Comments

  1. পরীক্ষার জন্য অনেক কষ্ট করে বা*ডা পারলাম।।।তো এখন অধীর আগ্রহে জানতে চাচ্ছি এই বা*ডা পড়ার মধ্যে শিক্ষার কি আছে??

    লাইফের সব চেয়ে বাজে একটা টপিক পড়লাম।

  2. কি পরিমাণ আজাইরা একটা কাহিনী হতে পারে

  3. পাড়ার কাকিমা male ভার্সন এই Chaucer.. মানুষের সমালোচনা করে কি শিখায়?
    কাম নাই কু*ত্তার আইলে আইলে দৌড়। Chaucer কতটা ব্যক্তিত্বহীন আর আকাইম্মা হলে মানুষের সমালোচনা করে আর আহাম্মক গুলো এসব বা*ল ছা*ল আমাদের সিলেবাসে দেয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *