The Nun’s Priest’s Tale Bangla Summary (বাংলায়)

The Nun’s Priest’s Tale

Key Facts:

  • Poet: Geoffrey Chaucer (c. 1340 – 1400)
  • Title of the Poet: Father of English Literature, Father of English Poetry, Father of English Language, Grandfather of the English Novel
  • Written Date: Between 1387 and 1400
  • Published Date: 1476
  • Original Title: “The Canterbury Tales” (“The Nun’s Priest’s Tale” is a part of it.)
  • Genre: Beast Fable, Mock Epic
  • Tone: Humorous, Satirical
  • Style: Narrative verse form
  • Total Lines: 696 lines, including Prologue and Epilogue.
  • Devison: “The Nun’s Priest’s Prologue” (1-54), “The Nun’s Priest’s Tale” (55-680), “The Nun’s Priest’s Epilogue” (681-696)
  • Rhyme Scheme: Rhyming couplets (AABBCC..)
  • Settings
  • Time Setting: 14th Century
  • Place Setting: A farmyard in England

উৎস: “Del cok e del gupil” (“The Cock and the Fox”), Marie de France রচিত একটি গল্প, যা এই কাহিনির মূল উৎস। এটি একটি পশু-গল্প (beast fable) এবং ব্যঙ্গাত্মক মহাকাব্য (mock epic), যা Reynard cycle–এর একটি ঘটনার উপর ভিত্তি করে লেখা। Reynard cycle হলো মধ্যযুগীয় ইউরোপের গল্পসমূহের একটি সংকলন, যেখানে একটি চতুর ও ধূর্ত শিয়াল Reynard–এর কাহিনি বর্ণিত হয়েছে।

Key Notes

Beast-Fable (পশুপাখির গল্প/প্রাণী উপকথা): The Nun’s Priest’s Tale একটি নিখুঁত beast-fable বা পশুপাখির গল্প। Beast-fable এমন এক রূপকথা যেখানে পশুপাখিরা মানুষের মতো কথা বলে, চিন্তা করে, তর্ক করে এবং কাজ করে। চসার এই গল্পে Chaunticleer নামের এক গর্বিত মোরগ, তার স্ত্রী Pertelote এবং Sir Russell নামের এক ধূর্ত শিয়ালের চরিত্র ব্যবহার করেছেন। তারা সবাই মানুষের মতো আচরণ করে। Chaunticleer মানুষের অহংকার ও আত্মগরিমার প্রতীক, Pertelote বাস্তববুদ্ধি ও সৌন্দর্যের প্রতীক, আর শিয়াল Sir Russell মিথ্যা প্রশংসা ও ধূর্ততার প্রতীক। গল্পটি হাস্যরস ও ব্যঙ্গের মাধ্যমে একটি গভীর নৈতিক শিক্ষা দেয়, মিথ্যা প্রশংসায় কখনো বিশ্বাস করা উচিত নয়। চসার পশুপাখির মাধ্যমে মানব জীবনের সত্য, গর্ব, বুদ্ধি ও ভুলের প্রতিচ্ছবি দেখিয়েছেন। তাই এটি শুধুমাত্র পশুদের গল্প নয়; এটি মানুষের স্বভাবের একটি জীবন্ত চিত্র।

Mock Epic (বিদ্রূপাত্মক মহাকাব্য): The Nun’s Priest’s Tale একটি অসাধারণ mock epic বা বিদ্রূপাত্মক মহাকাব্য। Mock epic এমন একটি রচনা যেখানে ছোট ও সাধারণ ঘটনার বিবরণ মহাকাব্যের গাম্ভীর্য ও শৈলীতে করা হয়, যাতে হাস্যরস ও বিদ্রূপ সৃষ্টি হয়। চসার একটি ছোট খামারের ঘটনা, একটি মোরগ ও একটি শিয়ালের ফাঁদে পড়া ও পালানোর কাহিনি, মহাকাব্যের ঢঙে বর্ণনা করেছেন। তিনি যুদ্ধ, স্বপ্ন, ও ভাগ্যের পরিবর্তনকে এমনভাবে লিখেছেন যেন তা কোনো রাজকীয় যুদ্ধের দৃশ্য। উচ্চমানের উপমা, ধর্মীয় ইঙ্গিত, ও গম্ভীর ভাষা গল্পটিকে হাস্যরসাত্মক মহিমা দিয়েছে। উদাহরণস্বরূপ, যখন শিয়াল Chaunticleer-কে ধরে ফেলে, তখন কবি বলেন, “Lo, how Fortune turneth suddenly.” যা মহাকাব্যের নাটকীয় আবহ তৈরি করে। এভাবে চসার একটি সাধারণ barnyard scene-কে mock-heroic আকারে রূপ দিয়েছেন। গল্পটি শেখায় যে মানুষ অনেক সময় ছোট ঘটনাকে বড় করে দেখে, আর অহংকার সবসময় পতনের কারণ হয়।

আরো পড়ুনঃ Troilus and Criseyde Bangla Summary (বাংলা)

বাংলা সামারি

গরিব বিধবার সরল ও শান্ত জীবন: একজন গরিব বিধবা এক ছোট ঘরে থাকতেন। তিনি কিছুটা বয়স্ক ছিলেন। তার ঘরটি একটি বনের পাশে, নিচু উপত্যকায় ছিল। স্বামী মারা যাওয়ার পর তিনি ধৈর্য ধরে খুব সাধারণ জীবন যাপন করতেন। তার ধনসম্পদ খুব অল্প ছিল। তিনি নিজের পরিশ্রমে এবং ঈশ্বরের দেওয়া সামান্য জিনিসে জীবন চালাতেন। তার দুইটি মেয়ে ছিল। তিনি তিনটি বড় শূকর, তিনটি গরু এবং “মালে” নামে একটি ভেড়া পোষতেন। তার ঘর ছিল কালো ধোঁয়ায় ভরা, কারণ সেখানে রান্না হতো চুলায়। তিনি খুব সাধারণ খাবার খেতেন; দুধ, বাদামি রুটি, ভাজা বেকন, আর কখনও এক-দুইটি ডিম। তিনি কখনও মশলাদার বা বিলাসী খাবার খেতেন না। মদ পান করতেন না। তার শরীর সুস্থ ছিল, কারণ তিনি কখনও অতিরিক্ত খেতেন না। তার জীবন ছিল শান্ত ও সুখী। তিনি সামান্য খাবারে তৃপ্ত থাকতেন। তার জন্য সুখ মানে ছিল পরিশ্রম, সংযম, আর মনকে শান্ত রাখা। তার ছোট উঠান ছিল চারপাশে বাঁশের বেড়া ও শুকনো পরিখা দিয়ে ঘেরা।

চ্যান্টিক্লিয়ার ও পার্টেলটের গৌরবময় জীবন: বিধবার উঠানে ছিল এক সুন্দর মোরগ, যার নাম ছিল চ্যান্টিক্লিয়ার (Chauntecleer)। সারা দেশে তার মতো ভালো গান গাওয়া মোরগ আর ছিল না। তার ডাক ছিল গির্জার অর্গানের মতো মিষ্টি। সে এমন সময়ে ডাক দিত, যা ঘড়ি বা ঘণ্টার থেকেও বেশি সঠিক ছিল। সে সূর্যের ওঠা-নামা বুঝতে পারত প্রকৃতির নিয়মে। চ্যান্টিক্লিয়ারের চেহারা ছিল রাজাদের মতো সুন্দর। তার ঝুঁটি ছিল লাল প্রবালের মতো, ঠোঁট কালো ও চকচকে, পা নীলচে, নখ লিলির মতো সাদা, আর পালক সোনার মতো ঝলমলে। সে খুব গর্বিত ও শক্তিশালী ছিল।

তার সাতটি স্ত্রী মুরগি ছিল। তাদের মধ্যে সবচেয়ে সুন্দরী ছিল পার্টেলট (Pertelote)। সে ছিল ভদ্র, জ্ঞানী, মিষ্টি ভাষী, এবং চ্যান্টিক্লিয়ারের প্রিয়তমা। জন্মের সাত দিন থেকেই সে এমন সুন্দর ছিল যে, চ্যান্টিক্লিয়ারের হৃদয় পুরোপুরি তার দখলে ছিল। ভোরবেলা যখন সূর্য ওঠে, তখন তারা একসঙ্গে গান গাইত, “My lief is faren in londe!” (আমার প্রিয় দূরে চলে গেছে)। তখন মানুষ যেমন কথা বলত, তেমনি পশু-পাখিরাও গান গাইতে পারত। একদিন ভোরে, যখন চ্যান্টিক্লিয়ার তার স্ত্রীর সঙ্গে ডালে বসেছিল, তখন গল্পের আসল ঘটনা শুরু হয়।

চ্যান্টিক্লিয়ারের ভয়ংকর স্বপ্ন ও পার্টেলটের যুক্তি: এক সকালে চ্যান্টিক্লিয়ার ঘুমের মধ্যে ভয় পেয়ে কেঁপে ওঠে। তার গলা থেকে করুণ শব্দ বের হয়। পাশে থাকা পার্টেলট ভয় পেয়ে জেগে ওঠে এবং দেখে চ্যান্টিক্লিয়ার আতঙ্কে কাঁপছে। সে জানতে চায় কী হয়েছে তার। চ্যান্টিক্লিয়ার জানায় যে সে ভয়ংকর এক স্বপ্ন দেখেছে। সে স্বপ্নে দেখে তাদের উঠোনে এক ভয়ানক জানোয়ার এসেছে। জানোয়ারটি কুকুরের মতো, রঙ হলুদ আর লালচে, চোখ জ্বলছে আগুনের মতো। সেই জানোয়ারটি তাকে ধরতে ও হত্যা করতে চায়। চ্যান্টিক্লিয়ার এখনো ভয়ে কাঁপতে থাকে। পার্টেলট তার কথা শুনে রেগে যায়। সে মনে করে চ্যান্টিক্লিয়ার একজন কাপুরুষ। সে বলে যে সাহসী পুরুষের এমন ভয় পাওয়া ঠিক নয়। নারীরা চায় তাদের স্বামী হোক সাহসী, বুদ্ধিমান ও উদার। ভয় পাওয়া মানে দুর্বলতা। এরপর পার্টেলট ব্যাখ্যা করে যে স্বপ্নের কোনো মানে নেই। তার মতে, স্বপ্ন আসে শরীরের ভেতরের গরম রক্ত, অতিরিক্ত খাওয়া, বা অসুস্থতার কারণে। সে মনে করে এগুলো শরীরের ভাপ থেকে জন্মানো ভ্রম, বাস্তব নয়।

পার্টেলট চ্যান্টিক্লিয়ারের কথা শুনে তাকে আরও বোঝাতে থাকে। সে বলে যে স্বপ্ন আসলে শরীরের ভেতরের গরম ভাব আর অতিরিক্ত রক্তের কারণে হয়। অনেক সময় মানুষ ঘুমের মধ্যে ভয়ানক জিনিস দেখে, কারণ শরীরের ভেতরে নানা রকম গ্যাস ও রস মিশে যায়। কেউ আগুন, কুকুর বা লাল পশুর স্বপ্ন দেখে, আবার কেউ কালো ভালুক বা শয়তান দেখে ভয় পায়। পার্টেলট মনে করে এসবই শরীরের প্রভাব, বাস্তব কিছু নয়। সে জ্ঞানী দার্শনিক ক্যাটোর কথা উল্লেখ করে বলে যে স্বপ্নকে গুরুত্ব দেওয়া উচিত নয়। তারপর সে চ্যান্টিক্লিয়ারকে কিছু ওষুধ খাওয়ার উপদেশ দেয়। তার মতে, শরীর পরিষ্কার রাখলে এমন স্বপ্ন আর আসবে না। সে বলে যে লরেল, সেন্টুরি, ফিউমেটরি, হেলেবোর, আর আইভি গাছের মতো ভেষজ খেলে শরীর ভালো থাকবে। শেষে পার্টেলট আনন্দের সঙ্গে চ্যান্টিক্লিয়ারকে খুশি থাকতে বলে এবং স্বপ্ন নিয়ে চিন্তা না করার পরামর্শ দেয়। 

স্বপ্নের সত্যতা- দুই তীর্থযাত্রীর গল্প: চ্যান্টিক্লিয়ার পার্টেলটের কথায় রাজি হয় না। সে বলে যে অনেক জ্ঞানী মানুষ বলেছেন, স্বপ্ন আসলে অর্থবহ। যদিও জ্ঞানী ক্যাটো বলেছিলেন স্বপ্নকে গুরুত্ব দিতে নেই, তবুও অনেক পুরনো বইয়ে লেখা আছে যে স্বপ্নে সত্যি ঘটনার ইঙ্গিত থাকে। কেউ কেউ স্বপ্নে সুখের বার্তা পায়, কেউ বা বিপদের। তাই চ্যান্টিক্লিয়ার মনে করে স্বপ্ন শুধু কল্পনা নয়, বাস্তব সতর্কবার্তাও হতে পারে। তারপর সে এক গল্প বলে। 

এক সময় দুই বন্ধু একসঙ্গে তীর্থযাত্রায় যায়। তারা এক শহরে পৌঁছে দেখে যে থাকার জায়গা খুব কম। বাধ্য হয়ে তারা আলাদা জায়গায় রাত কাটানোর সিদ্ধান্ত নেয়। একজন একটি ঘোড়ার আস্তাবলে ঘুমায়, আর অন্যজন ভালো জায়গায় থাকে। রাতে যে ভালো জায়গায় ছিল, সে স্বপ্নে দেখে তার বন্ধু তাকে ডেকে বলছে যে সে বিপদে আছে। সে বলে, তাকে সেই রাতে ষাঁড় রাখার আস্তাবলে হত্যা করা হবে এবং সে যেন এসে সাহায্য করে। তার পরের অংশে দেখা যায়, স্বপ্ন দেখা মানুষটি ভয় পেয়ে ঘুম থেকে জেগে ওঠে। কিন্তু পরে ভাবে, এটা নিশ্চয়ই মনের কল্পনা, তাই সে স্বপ্নের কথা ভুলে যায়। এরপর সে আবার ঘুমিয়ে পড়ে এবং একই স্বপ্ন দ্বিতীয়বার দেখে। তৃতীয়বার স্বপ্নে তার বন্ধু আসে এবং বলে যে সে এখন খুন হয়েছে। তার শরীরের গভীর ক্ষত দেখিয়ে সে জানায় যে তাকে হত্যা করা হয়েছে এবং তার দেহ শহরের পশ্চিম ফটকের কাছে সারভর্তি একটি গাড়ির মধ্যে লুকিয়ে রাখা হয়েছে।

বন্ধু স্বপ্নে বলে যে তার মৃত্যুর কারণ ছিল সোনা, এবং সে অনুরোধ করে যেন দ্রুত গিয়ে সেই গাড়ি আটকানো হয়। সকালে ঘুম থেকে উঠে মানুষটি মনে করে এবার স্বপ্নটি সত্য হতে পারে। তাই সে তার বন্ধুর থাকার জায়গায় যায় এবং জিজ্ঞাসা করে সে কোথায়। সরাইওয়ালা বলে তার বন্ধু ভোরে শহর ছেড়ে চলে গেছে। তখন স্বপ্ন দেখা মানুষটি সন্দেহ করে এবং স্বপ্নের কথাটি মনে করে পশ্চিম ফটকের দিকে যায়। সেখানে গিয়ে সে সত্যিই একটি সারভর্তি গাড়ি দেখতে পায়, ঠিক যেমনটি তার বন্ধু স্বপ্নে বলেছিল। গাড়ির মধ্যে তার বন্ধুর লাশ লুকানো ছিল। তখন সে সাহস করে জোরে চিৎকার করে ন্যায়বিচার ও শাস্তির দাবি জানায়।

সকালে শহরের লোকেরা জড়ো হয় এবং সারভর্তি গাড়িটি উল্টে দেখে। সেখানে সত্যিই তার বন্ধুর মৃতদেহ পাওয়া যায়। সবাই বিস্মিত হয় এবং ঈশ্বরের বিচারকে প্রশংসা করে। তারা বুঝতে পারে যে খুনের সত্য কখনও লুকিয়ে রাখা যায় না। খুন যত বছরই গোপন থাকুক না কেন, একদিন তা প্রকাশ পায়ই। পরে শহরের কর্মচারীরা গাড়ির চালক এবং সরাইওয়ালাকে ধরে ফেলে। তাদের কঠোরভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। শেষ পর্যন্ত তারা নিজেদের অপরাধ স্বীকার করে এবং শাস্তি হিসেবে ফাঁসিতে ঝুলে মারা যায়। এই ঘটনাটি প্রমাণ করে যে স্বপ্ন অনেক সময় বিপদের সত্য বার্তা দেয়, তাই স্বপ্নকে কখনও অবহেলা করা উচিত নয়।

স্বপ্নের সতর্কবার্তা- সমুদ্রযাত্রীর মৃত্যু: চ্যান্টিক্লিয়ার এরপর আরও একটি গল্পের শুরু করে। সে বলে, একসময় দুই ব্যক্তি দূর দেশে সমুদ্রপথে যাত্রা করার পরিকল্পনা করে। কিন্তু বাতাসের প্রতিকূলতার কারণে তারা এক শহরে কিছুদিন অপেক্ষা করে। একদিন সন্ধ্যায় বাতাস বদলে যায় এবং তারা আনন্দে ঘুমাতে যায়, কারণ পরদিন তারা যাত্রা করবে বলে ঠিক করেছিল। কিন্তু সেই রাতে তাদের একজন এক অদ্ভুত স্বপ্ন দেখে। স্বপ্নে সে দেখে, এক ব্যক্তি এসে তাকে থামিয়ে দেয় এবং যাত্রা না করার নির্দেশ দেয়। সেই মানুষটি বলে, যদি সে পরের দিন যাত্রা করে, তবে সে ডুবে মারা যাবে। সকালে ঘুম থেকে উঠে স্বপ্ন দেখা ব্যক্তি তার বন্ধুকে বলে যাত্রা স্থগিত করতে। কিন্তু তার বন্ধু স্বপ্নকে মিথ্যা ও হাস্যকর বলে হেসে উড়িয়ে দেয়।

দ্বিতীয় ব্যক্তি বলে, স্বপ্ন কোনো সত্য নয়, এগুলো কেবল কল্পনা। সে যাত্রা থামাতে অস্বীকার করে এবং আনন্দে জাহাজে উঠে। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত, কিছুদূর যাওয়ার পরেই জাহাজের নিচের অংশ ফেটে যায়, আর জাহাজসহ সে সমুদ্রে ডুবে মারা যায়। চ্যান্টিক্লিয়ার এই গল্প থেকে শিক্ষা দেয় যে স্বপ্নকে কখনও হালকাভাবে নেওয়া উচিত নয়। অনেক স্বপ্ন বিপদের পূর্বাভাস দেয়। 

স্বপ্নের সত্যতা ও জ্ঞানীদের উদাহরণ: সে আরও উদাহরণ দেয়। সেন্ট কেনেল্ম নামে এক ছোট রাজপুত্র তার মৃত্যুর আগে স্বপ্নে নিজের হত্যার দৃশ্য দেখেছিল, কিন্তু সে তখন শিশু ছিল বলে গুরুত্ব দেয়নি। পরে ঠিকই তার স্বপ্নের মতোই তাকে হত্যা করা হয়। চ্যান্টিক্লিয়ার আরও বলে যে বহু জ্ঞানী যেমন ম্যাক্রোবিয়াস (Macrobius) তার বইয়ে বলেছেন, স্বপ্নের গভীর মানে থাকে। তাই পার্টেলটের উচিত স্বপ্নকে উপহাস না করা, বরং সতর্ক থাকা।

চ্যান্টিক্লিয়ার তার বক্তব্য চালিয়ে যায় এবং আরও উদাহরণ দেয়। সে বলে যে অনেক মহান চিন্তাবিদ ও ধর্মীয় ব্যক্তি স্বপ্নকে সত্য বলে বিশ্বাস করতেন। ম্যাক্রোবিয়াস নামের এক দার্শনিক আফ্রিকার সিপিয়নের (Scipio) স্বপ্ন নিয়ে লিখেছিলেন, যেখানে তিনি বলেছেন স্বপ্ন ভবিষ্যতের ঘটনার সতর্কবার্তা হতে পারে। চ্যান্টিক্লিয়ার বাইবেলের উদাহরণও দেয়। সে বলে, পুরাতন নিয়মে ড্যানিয়েল এবং যোসেফ স্বপ্নের মাধ্যমে ভবিষ্যৎ ঘটনা ব্যাখ্যা করেছিলেন। এমনকি মিসরের রাজা ফেরাউনের স্বপ্নও সত্য হয়েছিল, যেখানে তার বেকার ও পানীয় পরিবেশকের ভাগ্যের কথা জানানো হয়েছিল।

সে আরও ইতিহাসের উদাহরণ আনে। লিডিয়ার রাজা ক্রিসাস স্বপ্নে দেখেছিল যে সে একটি গাছে বসে আছে, যা আসলে তার মৃত্যুর প্রতীক ছিল। আবার ট্রয়ের বীর হেক্টরের স্ত্রী অ্যান্ড্রোম্যাকিও স্বপ্নে দেখেছিল যে যুদ্ধের দিন হেক্টর মারা যাবে। সে হেক্টরকে সাবধান করেছিল, কিন্তু সে শোনেনি, এবং শেষ পর্যন্ত অ্যাকিলিসের হাতে নিহত হয়। চ্যান্টিক্লিয়ার বলে যে এইসব গল্প প্রমাণ করে, স্বপ্ন কখনও কখনও সত্য হয় এবং বিপদের ইঙ্গিত দেয়। তাই স্বপ্নকে উপহাস করা উচিত নয়। সে আরও বলে, পার্টেলটের বলা ওষুধ ও জোলাপের কোনো দরকার নেই, কারণ সেগুলো বিষের মতো ক্ষতিকর। সে বলে সে এসবকে ঘৃণা করে। শেষে সে হাসতে হাসতে বিষয় পরিবর্তন করে এবং পার্টেলটকে আনন্দের কথায় ফিরিয়ে আনে।

ভয় ভুলে চ্যান্টিক্লিয়ারের আনন্দে ফেরা: চ্যান্টিক্লিয়ার পার্টেলটের মুখের দিকে তাকিয়ে হাসে। তার চোখের চারপাশের লাল আভা আর সৌন্দর্য দেখে সে সমস্ত ভয় ভুলে যায়। সে মনে করে ঈশ্বর তাকে বড় আশীর্বাদ দিয়েছেন, কারণ এমন সুন্দর স্ত্রী তার জীবনে আছে। সে ল্যাটিন ভাষায় একটি কথা বলে, কিন্তু তার মানে মজারভাবে পাল্টে দেয়। যেখানে কথাটির মানে “নারী হলো পুরুষের ধ্বংসের কারণ”, সেখানে সে হাসতে হাসতে বলে, “নারী হলো পুরুষের আনন্দ ও আশীর্বাদ।” চ্যান্টিক্লিয়ার বলে, পার্টেলটের পাশে থাকলে তার সব ভয় দূর হয়ে যায়। সে আবার আগের মতো আনন্দে ভরে ওঠে। সকালে সূর্য ওঠার পর সে গাছ থেকে নিচে নামে এবং ডেকে ডেকে তার মুরগিদের আহ্বান করে, কারণ উঠোনে একটি শস্যদানা পেয়েছে।

সে এখন ভয়হীন, গর্বিত এবং রাজাদের মতো আচরণ করে। পার্টেলটকে সে ভালোবাসায় জড়িয়ে ধরে, বারবার আদর করে। তাকে দেখে মনে হয় যেন সে এক সাহসী সিংহ, উঠোনে গর্বভরে হেঁটে বেড়াচ্ছে। তার ডাক শুনে সব স্ত্রী মুরগিরা তার চারপাশে জড়ো হয়। সে রাজপ্রাসাদের রাজপুত্রের মতো গৌরবে ভরে ওঠে। এইভাবে গল্পের এক শান্ত মুহূর্তে চসার দেখান, চ্যান্টিক্লিয়ার আবার তার পুরোনো গর্ব, ভালোবাসা, ও আনন্দে ফিরে এসেছে। কিন্তু এরপরই তার জীবনে আসতে যাচ্ছে এক নতুন বিপদ, তার “adventure” শুরু হবে শিয়ালের আগমনের মাধ্যমে।

শিয়ালের আগমন ও বিপদের পূর্বাভাস: চ্যান্টিক্লিয়ার আনন্দে ভরে ওঠে। সে পার্টেলটকে বলে তার হৃদয় সুখে পূর্ণ, কারণ ফুল ফুটেছে, পাখিরা গান গাইছে, আর পৃথিবী সুন্দর। কিন্তু হঠাৎই সেই সুখের মুহূর্তের পরেই দুঃখ আসে, কারণ পৃথিবীর আনন্দ খুব অল্প সময়ের জন্যই টিকে থাকে। ঠিক সেই সময় এক চালাক ও ধূর্ত শিয়াল, নাম রাসেল (Russel), যিনি তিন বছর ধরে কাছের বনে বাস করছিলেন, তাদের উঠোনে ঢুকে পড়ে। রাতে গাছপালার আড়াল দিয়ে সে চুপিচুপি বেড়ার ভেতর দিয়ে ঢোকে। সকালে সূর্য ওঠার পর, যখন চারপাশ শান্ত, তখন সে বাঁধাকপির গাছের ভেতরে লুকিয়ে থাকে এবং চ্যান্টিক্লিয়ারকে আক্রমণের সুযোগের অপেক্ষা করে। চসার এখানে শিয়ালকে এক দুষ্ট হত্যাকারীর সঙ্গে তুলনা করেন। তিনি তাকে বলেন নতুন “জুডাস ইসকারিয়ট” বা “গ্রীক সাইনন”, যারা বিশ্বাসঘাতকতার প্রতীক। কবি আগাম সতর্ক করেন যে চ্যান্টিক্লিয়ারের জীবনে এখন বিপদ আসছে।

চ্যান্টিক্লিয়ারের আনন্দের দিনটি অভিশপ্ত হয়ে ওঠে। সে গাছের ডাল থেকে উঠোনে নেমে আসে, যদিও সে আগেই স্বপ্নে বিপদের সংকেত পেয়েছিল। তার সেই স্বপ্নের সতর্কতা সত্যি হতে চলেছে, কিন্তু সে তা উপেক্ষা করে। কবি বলেন, ঈশ্বর যা আগে থেকে জানেন, তা কখনও এড়ানো যায় না। তবে মানুষ স্বাধীন ইচ্ছায় কাজ করে নাকি ঈশ্বরের ইচ্ছায় বাধ্য, এই নিয়ে পণ্ডিতদের মধ্যে অনেক তর্ক আছে। চসার এখানে মজা করে বলেন যে তিনি এসব গভীর তর্কে যাবেন না, কারণ তার গল্পটি শুধুই একটি মোরগের কাহিনি। এই মোরগ তার স্ত্রীর পরামর্শ মেনে ভোরে উঠোনে হাঁটতে আসে, যেখানে তার জন্য অপেক্ষা করছে বিপদ। কবি রসিকভাবে বলেন, নারীর পরামর্শ অনেক সময় বিপদ ডেকে আনে, যেমন ইভের পরামর্শে আদম স্বর্গ থেকে বেরিয়ে গিয়েছিল। তবে চসার সঙ্গে সঙ্গে বলেন, এটি কেবল গল্পের অংশ এবং মজার ছলে বলা হয়েছে, নারীদের দোষারোপ করার জন্য নয়। এই কথাগুলো চ্যান্টিক্লিয়ারের, কবির নয়। চসার শেষে যোগ করেন যে তিনি নারীদের বিরুদ্ধে কিছু বলেন না, কারণ তিনি তাদের প্রতি শ্রদ্ধাশীল।

শিয়ালের মিষ্টি কথা ও চ্যান্টিক্লিয়ারের অহংকার: এক উজ্জ্বল সকালে পার্টেলট ও তার বাকি স্ত্রী মুরগিরা রোদে বসে আনন্দে বালিতে গা ঘষে স্নান করছিল। চ্যান্টিক্লিয়ারও তাদের সঙ্গে উঠোনে হাঁটছিল এবং সাগরের মৎসকন্যার মতো সুন্দর সুরে গান গাইছিল। তার গলা ছিল সুরেলা ও আনন্দে ভরা। ঠিক তখনই সে বাঁধাকপির পাতায় বসে থাকা এক প্রজাপতিকে দেখতে যায়। কিন্তু সেই মুহূর্তে সে এক শিয়ালকে লক্ষ্য করে, যে চুপিচুপি গাছের আড়াল থেকে তাকিয়ে আছে। চ্যান্টিক্লিয়ার ভয়ে চমকে ওঠে এবং পালাতে চায়, কারণ স্বভাবতই প্রাণীরা তাদের শত্রুকে দেখলে পালিয়ে যায়।

কিন্তু ধূর্ত শিয়াল রাসেল (Russel) দ্রুত কথা বলে তাকে থামিয়ে দেয়। সে মিষ্টি কথায় বলে যে সে কোনো শত্রু নয়, বরং বন্ধু। সে চ্যান্টিক্লিয়ারের প্রশংসা করতে শুরু করে। বলে যে সে এসেছে শুধু তার গান শুনতে, কারণ তার কণ্ঠস্বর স্বর্গদূতের মতো মিষ্টি। রাসেল আরও চাটুকারিতা করে বলে যে চ্যান্টিক্লিয়ারের বাবা-মাও খুব মহৎ ছিলেন এবং তারা একসময় তার বাড়িতে এসেছিলেন। সে বলে তার বাবার গান ছিল এত সুন্দর যে তিনি গাইতে গিয়ে চোখ বন্ধ করে দিতেন, গলাটি টেনে উঁচু করে দিতেন, আর তখন তার সুর পুরো বন ভরিয়ে তুলত। এইসব প্রশংসা শুনে চ্যান্টিক্লিয়ার মুগ্ধ হয়ে যায়। তার অহংকার বাড়ে এবং সে সাবধানতা ভুলে ফেলে। শিয়াল রাসেল তার মিষ্টি কথায় চ্যান্টিক্লিয়ারকে পুরোপুরি ফাঁদে ফেলে। সে তার আরও প্রশংসা করে বলে যে চ্যান্টিক্লিয়ারের গলা তার বাবার চেয়েও ভালো, এবং অনুরোধ করে যেন সে এখনই একবার গান গায়। চ্যান্টিক্লিয়ার শিয়ালের ধোঁকা বুঝতে পারে না। 

শিয়ালের আক্রমণ ও চ্যান্টিক্লিয়ারকে অপহরণ: সে আনন্দে তার ডানা ঝাপটায়, চোখ বন্ধ করে, গলা টান করে জোরে গান গায়। ঠিক সেই মুহূর্তে রাসেল হঠাৎ লাফিয়ে উঠে তার গলা চেপে ধরে এবং পিঠে তুলে নিয়ে বনের দিকে দৌড়ায়। উঠোনে কেউই তখনও কিছু বুঝে উঠতে পারেনি। চসার এখানে বলেন, ভাগ্য কখনও এড়ানো যায় না। চ্যান্টিক্লিয়ার তার স্বপ্নে সতর্ক হয়েছিল, কিন্তু সে স্ত্রীর কথায় সেই সতর্কতা ভুলে যায়। ফলস্বরূপ, শুক্রবারের দিন তার ওপর এই বিপদ নেমে আসে। চসার নাটকীয়ভাবে বর্ণনা করেন কিভাবে পার্টেলট ও অন্যান্য মুরগিরা চিৎকারে ভরে ওঠে। তারা কাঁদতে ও চেঁচাতে থাকে ঠিক যেমন ট্রয় নগর ধ্বংসের সময় নারীরা কেঁদেছিল। পার্টেলট এত কষ্ট পায় যে তার কান্না ও শোক যেন যুদ্ধবিধ্বস্ত কার্থেজের নারীদের আর্তনাদের মতো তীব্র হয়ে ওঠে।

চ্যান্টিক্লিয়ারকে নিয়ে শিয়াল যখন দৌড়াচ্ছিল, তখন উঠোনে কান্না আর চিৎকারে চারদিক কেঁপে ওঠে। পার্টেলট ও বাকি মুরগিরা ভয় ও শোকে পাগল হয়ে চিৎকার করে। বিধবা মহিলা ও তার দুই মেয়ে দরজা থেকে ছুটে বেরিয়ে আসে। তারা দেখে শিয়াল চ্যান্টিক্লিয়ারকে পিঠে তুলে বনের দিকে দৌড়াচ্ছে। তারা জোরে চেঁচিয়ে বলে, “শিয়াল! শিয়াল!” সঙ্গে সঙ্গে গ্রামের অন্য লোকেরাও লাঠি নিয়ে দৌড়ে আসে। বাড়ির কুকুরগুলো ঘেউ ঘেউ করতে শুরু করে। কলে, ট্যালবট, জারল্যান্ড সবাই চিৎকারে মেতে ওঠে (এরা আসলে বিধবা মহিলার বাড়ির কুকুরগুলোর নাম)। ভয়ে গরু, বাছুর, শূকর, হাঁস এমনকি মৌমাছিরাও ছুটে পালায়। চারদিকের শব্দ এত জোরে হয় যে মনে হয় আকাশ ফেটে যাবে।

চ্যান্টিক্লিয়ারের বুদ্ধি ও গল্পের নৈতিক শিক্ষা: এত হৈচৈয়ের মাঝেও শিয়াল গর্ব করে দৌড়াতে থাকে। কিন্তু চ্যান্টিক্লিয়ার হঠাৎ বুদ্ধি খাটায়। সে বলে, “যদি আমি তোমার জায়গায় থাকতাম, তবে আমি সবাইকে গালি দিয়ে বলতাম ফিরে যাও, আমি এখন জয়ী!” শিয়াল অহংকারে চ্যান্টিক্লিয়ারের কথায় ভুল করে মুখ খোলে, আর সেই সুযোগে চ্যান্টিক্লিয়ার তার পিঠ থেকে উড়ে গিয়ে গাছে বসে পড়ে। শিয়াল তখন অনুতপ্ত হওয়ার ভান করে। সে নিচ থেকে বলে যে, সে কোনো খারাপ উদ্দেশ্যে চ্যান্টিক্লিয়ারকে ধরেনি, শুধু আনন্দের জন্য করেছে। সে চ্যান্টিক্লিয়ারকে অনুরোধ করে নিচে নামতে, যেন সে নিজের ভুল ব্যাখ্যা করতে পারে। কিন্তু চ্যান্টিক্লিয়ার এবার আর তার কথায় বিশ্বাস করে না। সে বলে যে, একবার ভুল হয়েছে, আর নয়। যে চোখ বন্ধ করে বিশ্বাস করে, সে সর্বনাশ ডেকে আনে।

শিয়াল তখন বলে যে, যে মানুষ নিজের মুখ বন্ধ রাখতে পারে না, তার জন্যই দুর্ভাগ্য অপেক্ষা করে। এই কথার মধ্যে দিয়েই গল্পের নৈতিক শিক্ষা ফুটে ওঠে। পুরো কাহিনির শেষে লেখক বলেন, যারা গল্পটিকে শুধু মোরগ-শিয়ালের কৌতুক বলে মনে করে, তারা যেন এর অন্তরের শিক্ষা গ্রহণ করে। যেমন সেন্ট পল বলেছেন, সব লেখা মানুষের শিক্ষা ও উপদেশের জন্য। তাই পাঠকের উচিত গল্পের ফল গ্রহণ করা আর ফাঁপা কথাগুলো ছেড়ে দেওয়া। কবি শেষে প্রার্থনা করেন যেন ঈশ্বর সবাইকে সৎ, জ্ঞানী এবং ন্যায়বান মানুষ হিসেবে গড়ে তোলেন।

থিমসমূহ:

  • স্বপ্ন (Dream): চ্যান্টিক্লিয়ার স্বপ্নে দেখে এক ভয়ঙ্কর পশুর মতো প্রাণী তাকে আক্রমণ করছে, যা তাকে ভীষণভাবে ভয় পাইয়ে দেয়। সে বিশ্বাস করে যে স্বপ্ন বিপদের পূর্বাভাস দিতে পারে। তার স্ত্রী পার্টেলট তাকে উপহাস করে বলে স্বপ্নের কোনো মানে নেই। তার মতে, খারাপ স্বপ্ন আসে পেট খারাপ বা হজমজনিত কারণে। কিন্তু চ্যান্টিক্লিয়ার এতে একমত নয় এবং নানা গল্পের মাধ্যমে প্রমাণ করে যে স্বপ্ন কখনও কখনও সত্য হতে পারে। শেষ পর্যন্ত তার স্বপ্ন সত্যি হয়, যখন শিয়াল তাকে ধরার চেষ্টা করে। গল্পটি দেখায়, স্বপ্ন অনেক সময় বাস্তব ঘটনার ইঙ্গিত দেয়।
  • চাটুকারিতা (Flattery): শিয়াল মিষ্টি কথার ফাঁদে ফেলে চ্যান্টিক্লিয়ারকে প্রতারিত করে। সে তার সুমধুর গানের প্রশংসা করে তাকে বিভ্রান্ত করে। চ্যান্টিক্লিয়ার অহংকারে অন্ধ হয়ে সাবধানতা হারায় এবং ধরা পড়ে যায়। পরে, চ্যান্টিক্লিয়ারও চালাকি করে শিয়ালকে চাটুকারিতা করে বলে, সে যেন তার জয়ের কথা সবাইকে জানায়। অহংকারে শিয়াল মুখ খোলে, আর সেই সুযোগে চ্যান্টিক্লিয়ার পালিয়ে যায়। গল্পটি শেখায় যে চাটুকারিতা বা মিষ্টি কথা প্রতারণার অস্ত্র হতে পারে। এটি এক বিপজ্জনক শক্তি, যা মানুষকে ধ্বংসের পথে নিয়ে যেতে পারে।

আরো পড়ুনঃ The General Prologue To The Canterbury Tales Bangla Summary (বাংলায়)

Quotes:

  1. “Me mette how that I romed up and doun 

Within our yeerd, where as I saugh a beest 

Was lyk an hound, and wolde han maad areest 

Upon my body, and wolde han had me deed.”- Chaunticleer

Modern English: (I dreamed how I roamed up and down / Within our yard, where I saw a beast / Was like a hound, and would have seized / Upon my body, and would have had me dead.)

Explanation: Chaunticleer describes a terrifying dream where he sees a beast resembling a dog that wants to kill him.

“আমি স্বপ্নে দেখলাম, আমি আমাদের উঠোনে হাঁটছিলাম এদিক-ওদিক।

হঠাৎ সেখানে এক জানোয়ার দেখলাম, যা দেখতে ছিল কুকুরের মতো।

সে আমার শরীরের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়তে চেয়েছিল

এবং আমাকে মেরে ফেলতে চেয়েছিল।”

ব্যাখ্যা: চ্যান্টিক্লিয়ার এক ভয়ংকর স্বপ্নের বর্ণনা দেয়, যেখানে সে দেখে এক জন্তু কুকুরের মতো দেখতে, যে তাকে হত্যা করতে চায়।

  1. “This nyght I shal be mordred ther I lye!” – Chaunticleer (quoting the pilgrim’s dream story)

Modern English: (This night I shall be murdered where I lie!)

Explanation: He narrates a story of two pilgrims, where one friend’s dream predicts the other’s murder. The dream warns of impending doom, which later proves true.

“আজ রাতে, আমি যেখানে শুয়ে আছি, সেখানেই আমাকে হত্যা করা হবে!”

ব্যাখ্যা: সে দুই তীর্থযাত্রীর একটি গল্প বলে, যেখানে এক বন্ধুর স্বপ্নে অন্য বন্ধুর হত্যার পূর্বাভাস পাওয়া যায়। স্বপ্নটি আগত বিপদের ইঙ্গিত দেয়, এবং পরে তা সত্য প্রমাণিত হয়।

  1. “Mordre wol out, that se we day by day.” – Chaunticleer (commenting on the story’s moral)

Modern English: (Murder will out; we see that day by day.)

Explanation: Chaunticleer believes dreams often reveal hidden truths, referencing real-life instances of dreams foretelling murder.

“খুন গোপন থাকে না, আমরা প্রতিদিনই তা দেখি।”

ব্যাখ্যা: চ্যান্টিক্লিয়ার বিশ্বাস করে যে স্বপ্ন প্রায়ই গোপন সত্য প্রকাশ করে এবং অনেক সময় খুন বা বিপদের পূর্বাভাসও দিতে পারে।

  1. “Avoy!” quod she, “fy on yow, hertelees! / Allas! What eyleth yow to grone in this manere?” – Pertelote

Modern English: (“Shame!” said she, “fie on you, coward! / Alas,” said she, “for, by that God above,)

Explanation: Pertelote mocks Chaunticleer, calling him heartless for worrying about the dream.

“লজ্জা!” সে বলল, “হায়, তোমার মতো ভীতু মানুষ!

আহা, কী হয়েছে তোমার, এমন করে কাঁদছ কেন?”

ব্যাখ্যা: পার্টেলট চ্যান্টিক্লিয়ারকে উপহাস করে, তাকে হৃদয়হীন ও কাপুরুষ বলে, কারণ সে একটি স্বপ্ন নিয়ে ভয় পাচ্ছে।

  1. “Lo Catoun, which that was so wys a man, / Seyde he nat thus, `Ne do no fors of dremes’?” – Pertelote

Modern English:  (“Lo Cato, who was so wise a man, / Said he not thus, `Attach no importance to dreams’?)

Explanation: Pertelote uses Cato’s wisdom to argue that dreams are meaningless and should be ignored.

“দেখো ক্যাটোকে, যিনি ছিলেন জ্ঞানী মানুষ,

তিনি কি বলেননি, ‘স্বপ্ন নিয়ে মাথা ঘামিও না’?”

ব্যাখ্যা: পার্টেলট জ্ঞানী ক্যাটো-র মত ব্যবহার করে যুক্তি দেয় যে স্বপ্নের কোনো মানে নেই এবং সেগুলো উপেক্ষা করা উচিত।

  1. “Nothyng, God woot, but vanitee in swevene is.

 Swevenes engendren of replecciouns,

And ofte of fume and of complecciouns,” – Pertelote

Modern English: (Nothing, God knows, but foolishness is in dreams. /  Dreams are produced by overeating, / And often by stomach vapors and by the mixture of bodily humors,)

Explanation: She insists that dreams are nothing but vanity and foolishness. Dreams come from overeating.

“ঈশ্বর জানেন, স্বপ্নের কোনো সত্যতা নেই, কেবলই অর্থহীন কল্পনা।

স্বপ্ন আসে অতিরিক্ত খাওয়া থেকে,

এবং প্রায়ই শরীরের ভেতরের গরম বাষ্প ও রসের মিশ্রণ থেকে।”

ব্যাখ্যা: সে জোর দিয়ে বলে যে স্বপ্ন কেবল অহংকার ও মূর্খতার ফল। এগুলো অতিরিক্ত খাওয়া-দাওয়া থেকে জন্ম নেয়।

  1. “Gentil sire, allas, wher wol ye gon? / Be ye affrayed of me that am your freend?” – The Fox (Russel)

Modern English: (Said, “Gentle sir, alas, where will you go? / Are you afraid of me, who is your friend?)

Explanation: The fox pretends to be friendly, attempting to calm Chaunticleer with kind words.

“ভদ্র মহাশয়, আহা, কোথায় যাচ্ছেন আপনি?

আপনি কি আমাকে ভয় পাচ্ছেন, আমি তো আপনার বন্ধু?”

ব্যাখ্যা: শিয়াল বন্ধুর ভান করে চ্যান্টিক্লিয়ারকে শান্ত করার জন্য মিষ্টি কথা বলে, যেন সে বিপদ বুঝতে না পারে।

  1. “For trewely, ye have as myrie a stevene / As any aungel hath that is in hevene.” – The Fox (Russel)

Modern English: (For truly, you have as merry a voice / As has any angel that is in heaven.)

Explanation: The fox compares Chaunticleer’s voice to that of an angel and lures him to sing and ignore the danger. Chaunticleer goes to sing; meanwhile, the fox captures his throat and runs.

“সত্যি বলছি, তোমার কণ্ঠ এত মধুর,

যেন স্বর্গের কোনো ফেরেশতা গান গাইছে।”

ব্যাখ্যা: শিয়াল চ্যান্টিক্লিয়ারের কণ্ঠস্বরকে স্বর্গদূতের কণ্ঠের সঙ্গে তুলনা করে তাকে গাইতে প্রলুব্ধ করে। চ্যান্টিক্লিয়ার গান গাইতে গিয়ে সাবধানতা হারায়, আর তখনই শিয়াল তার গলা চেপে ধরে এবং দৌড়ে পালায়।

  1. “And as he spak that word, al sodeynly / This cok brak from his mouth delyverly, / This cok brak from his mouth delyverly, / And heighe upon a tree he fleigh anon.” – Narrator / Chaucer (describing the scene)

Modern English: (And as he spoke that word, all suddenly /  This cock nimbly broke from his mouth, / And high upon a tree he quickly flew.)

Explanation: Chaunticleer lures Russell by saying he would have mocked the chasers if he were in his position. Being flattered, the fox opens his mouth to mock the chasers. Meanwhile, the rooster flies from the fox’s mouth.

আরো পড়ুনঃ Troilus and Criseyde Bangla Summary (বাংলা)

“আর সে কথা বলার সঙ্গে সঙ্গে, হঠাৎই

মোরগটি তার মুখ থেকে ফসকে বেরিয়ে গেল,

এবং দ্রুত উড়ে গিয়ে এক গাছের ডালে বসল।”

ব্যাখ্যা: চ্যান্টিক্লিয়ার বুদ্ধি করে রাসেলকে বলে, “যদি আমি তোমার জায়গায় থাকতাম, তবে ধাওয়াদের উপহাস করতাম।” শিয়াল অহংকারে তার মুখ খোলে উপহাস করতে, আর সেই মুহূর্তে মোরগটি তার মুখ থেকে উড়ে পালিয়ে যায়।

  1. “But, sire, I dide it in no wikke entente. / Com doun, and I shal telle yow what I mente;” – The Fox (Russel)

Modern English: (But, sir, I did it with no wicked intention. / Come down, and I shall tell you what I meant;)

Explanation: The fox takes the second chance and lures again.

“কিন্তু মহাশয়, আমি খারাপ উদ্দেশ্যে কিছু করিনি।

আপনি নিচে নামুন, আমি আপনাকে সব ব্যাখ্যা করব।”

ব্যাখ্যা: শিয়াল দ্বিতীয়বারের মতো সুযোগ নিতে চায় এবং আবার মিষ্টি কথায় চ্যান্টিক্লিয়ারকে নামাতে চেষ্টা করে।

  1. “Nay thanne,” quod he, “I shrewe us bothe two.” – Chaunticleer

Modern English: (Nay then,” said he, “I curse both of us two.)

Explanation: Chaunticleer, now aware of the fox’s deceit, vows never to be fooled by flattery again.

“না, তাহলে,” সে বলল, “আমি আমাদের দু’জনকেই অভিশাপ দিচ্ছি।”

ব্যাখ্যা: চ্যান্টিক্লিয়ার এখন শিয়ালের প্রতারণা বুঝে গেছে এবং শপথ করে যে, আর কখনও প্রশংসার ফাঁদে পড়বে না।

Noticeable Literary Devices:

  • Digression: In “The Nun’s Priest’s Tale,” digressions pause the main story to explore ideas like dreams, fortune, and classical stories. Chaunticleer’s discussion about the meaning of dreams is an example. These digressions develop the theme of fate and chance. While they distract from the plot, they add humor, philosophy, and warnings to enrich the tale.
  • Irony: The tale uses irony, particularly in how Chaunticleer, despite being proud and wise, is easily fooled by the fox’s flattery. Again, despite being proud and wise, the fox is easily fooled by the flattery of Chaunticleer.

The Moral: The story teaches us to beware of flattery and to be cautious.

Share your love
Ruhul Amin
Ruhul Amin

Hey, This is Ruhul Amin, B.A & M.A in English Literature from National University. I am working on English literature and career planning.

Articles: 84

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *