Long Walk to Freedom Bangla summary
Key Facts
- Title: “Long Walk to Freedom”
- Author: Nelson Mandela (1918-2013)
- Written Date: The book was written during Mandela’s imprisonment between 1974 and 1990, at first on Robben Island and finally after his release from prison.
- Published Date: The book was published in 1994.
- Genre: Autobiography, Political Memoir
- Tone: Reflective, Inspirational, Determined.
Setting
- Time Setting: The book covers various periods in Nelson Mandela’s life, such as his early age, his involvement in the anti-apartheid movement, his 27-year imprisonment, and his release and presidency.
- Place Setting: The book takes place primarily in South Africa, with various settings such as Mandela’s rural hometown of Qunu, Johannesburg (where he became involved in activism), and Robben Island prison.
Symbols
- Prison Cell: Suffering, Struggle, Oppression.
- Robben Island: Resilience, Hope, Learning.
- Apartheid Laws: Racism, Segregation, Injustice.
- ANC Symbol: Spear, Shield, Negotiation.
- Unity and Solidarity: Collaboration, Diversity, Overcoming.
- Racial Harmony: Relationships, Unity, Equality.
- Freedom Charter: Aspirations, Justice, Hope.
- Rolihlahla: Determination, Disruption, Change.
- Elders: Wisdom, Tradition, Progress.
- Release from Prison: Triumph, Change, Liberation.
- Peaceful Transition: Negotiation, Resolution, Tensions.
- Presidential Inauguration: Unity, Equality, Transformation.
- Legacy: Resilience, Sacrifice, Inspiration.
Selected Quotations
“I learned that courage was not the absence of fear, but the triumph over it.”
Here, Mandela means to say that being brave doesn’t mean not feeling scared at all. Rather, the brave should face their fears and overcome them.
“For to be free is not merely to cast off one’s chains, but to live in a way that respects and enhances the freedom of others.”
Mandela believes that true freedom is not just about being personally liberated but also about treating others with respect and helping them achieve their freedom.
“No one is born hating another person because of the color of his skin, or his background, or his religion. People must learn to hate, and if they can learn to hate, they can be taught to love.”
Mandela realized that hate is a thing that is learned. It is not an innate thing. he thinks If people can learn to hate, they can also learn to love and understand one another.
“Education is the most powerful weapon which you can use to change the world.”
Here, Mandela means to say that education can transform society and bring about positive change on a large scale.
“I am fundamentally an optimist. Whether that comes from nature or nurture, I cannot say. Part of being optimistic is keeping one’s head pointed toward the sun, one’s feet moving forward.”
Mandela’s optimistic nature is described here. He believed consistently moving forward is key to progress.
“The greatest glory in living lies not in never falling, but in rising every time we fall.”
Mandela believed that true strength lies in rising, striving, and facing dangers and failures.
“It always seems impossible until it’s done.”
This quote reflects Mandela’s confidence. It means the most challenging tasks will be completed if we do it with determination and effort.
“A good head and a good heart are always a formidable combination.”
Here Mandela emphasizes the importance of combining intelligence and compassion to achieve meaningful and lasting change in the world.
“I have walked that long road to freedom. I have tried not to falter; I have made missteps along the way. But I have discovered the secret that after climbing a great hill, one only finds that there are many more hills to climb.”
Mandela recognizes that the journey toward freedom and progress is a continuous one, with challenges that never truly end.
“Freedom is indivisible; the chains on any one of my people were the chains on all of them, the chains on all of my people were the chains on me.”
Here Mandela means to say that the struggle for freedom is a collective effort where the suffering of one person affects the entire community.
Themes
Freedom and Liberation: It refers to Nelson Mandela’s struggle against apartheid. and his journey to achieve freedom and equal rights for all South Africans.
Injustice and Oppression: Injustice and Oppression highlight the unfair treatment and discrimination of South Africans under the apartheid government.
Courage and Perseverance: Here, Mandela’s determination and courage in the face of adversity are demonstrated because he remained steadfast in his fight for equality despite numerous challenges.
Unity and Solidarity: The importance of unity among different groups of people for freedom and change is emphasized throughout Mandela’s narrative.
Leadership and Sacrifice: Mandela’s leadership qualities are portrayed through his willingness to sacrifice his personal freedom for the betterment of his nation.
Reconciliation and Forgiveness: The very important theme is Reconciliation and Forgiveness. It explores Mandela’s commitment to reconciliation between races. After Mandela’s release from prison, he promoted healing and harmony.
Hope and Resilience: The book illustrates how hope and resilience can sustain individuals and movements even in the darkest of times.
Legacy and Inspiration: The theme of Legacy and Inspiration is a very prominent theme. It means that Mandela’s life story will be an inspiration to future generations. It will show how much impact a person can have on the world.
Change and Progress: It highlights the progress made through Mandela’s efforts and the struggle for change.
Human Rights and Equality: Mandela’s fight for human rights and equality serves as a reminder of the importance of a society where justice is established.
Background
“Long walk to freedom” ১৯৯৪ সালে প্রকাশিত নেলসন ম্যান্ডেলার একটি আত্মজীবনী মূলক গ্রন্থ । এখানে তার প্রাথমিক গ্রামীণ জীবন এবং 1994 সালে দক্ষিণ আফ্রিকার রাষ্ট্রপতি হওয়ার গল্প লিপি বদ্ধ রয়েছে। তিনি প্রথম দক্ষিণ আফ্রিকায় গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত রাষ্ট্রপতি হওয়ার গৌরব অর্জন করেন। বইটি দুটি খন্ডে বিভক্ত। প্রথম অংশে ম্যান্ডেলা তার শৈশব, যৌবন এবং আফ্রিকান ন্যাশনাল কংগ্রেসের সদস্য হিসেবে রাজনীতিতে পদার্পণের গল্প বর্ণনার পাশাপাশি তার আইনি পেশা এবং Evelyn এর সাথে বিবাহের ঘটনা উল্লেখ করেছেন।
দ্বিতীয় অংশে, তিনি বর্ণবাদের বিরুদ্ধে তার দীর্ঘ সংগ্রাম এবং রবেন দ্বীপে দীর্ঘ 27 বছর কারাবাসের বিবরণ তুলে ধরেন । এ অংশে তিনি কারাগারের নির্মম জীবন, বন্দীদের সাথে তার বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের কথা বলেন। তার উপর যে শারীরিক ও মানুষিক নির্যাতন করা হয়েছিল তাও তিনি এখানে লিপিবদ্ধ করেন । এছাড়া যেসকল ঘটনা তাকে বর্ণবাদের অবসান ঘটিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকায় একটি গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠা করতে সাহায্য করেছে সেগুলি বর্ণনা করেন।
আরো পড়ুন: Araby Bangla Summary
এখানে ম্যান্ডেলা মূলত তিনটি বিষয় যেমন ক্ষমা, বন্ধুত্ব এবং ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টার মাধ্যমে একটি নতুন দক্ষিণ আফ্রিকা গড়ার উপর জোর প্রদান করেন। সময়ের সাথে সাথে জীবনের পরিবর্তন এবং বিভিন্ন অভিজ্ঞতা অর্জন,নেতৃত্ব, ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টা এবং শিক্ষা সম্পর্কে তিনি এখানে তার দৃষ্টিভঙ্গি ব্যক্ত করেন।
“Long Walk to Freedom” এমন একজন ব্যক্তির অনু প্রেরণাদায়ক গল্প যিনি স্বাধীনতা ও সাম্যের সংগ্রামে তাঁর জীবন উৎসর্গ করেন। নী এখানে তি ও আদর্শের ব্যাপারে যিনি ছিলেন অত্যন্ত নির্ভীক লড়াকু সৈনিক। একটি জাতিকে নবরুপে রূপান্তরিত করতে তার দৃঢ়চেতা মনোভাব তাকে অনেকাংশে সাহায্য করেছিল।
সম্পূর্ণ ঘটনা প্রবাহ মনে রাখতে আমরা পুরো পাঠটিকে 4 টি ক্ষুদ্রতম অংশে ভাগ করতে পারি:
দক্ষিণ আফ্রিকার গ্রাম্য অঞ্চলে মেন্ডেলার শৈশব কাল: নেলসন মেন্ডেলা দক্ষিণ আফ্রিকার মেজো (Mvezo) গ্রামে ১৯১৮ সালের ১৮ ই জুলাই জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা ছিলেন একজন উপজাতীয় নেতা। এক ঔপনিবেশিক ম্যাজিস্ট্রেটের সাথে কলহের কারণে তিনি তাঁর উপাধি এবং সহায় সম্পত্তি হারান। মেন্ডেলার মাতা মেন্ডেলাকে নিয়ে ক্ষুদ্র পাল্ল কুনুতে চলে যান। মেন্ডেলা সেখানে প্রচলিত ভুট্টা, সরগম, লাউ-কুমড়া, শিম খাদ্যাদি খেয়ে গ্রাম্য ছেলেদের সাথে খেলাধুলা করে প্রাকৃতিক পরিবেশে বেড়ে উঠেন । পরে এক পিতৃবন্ধুর পরামর্শে খ্রিষ্টধর্মে দীক্ষিত হন এবং তাঁর নামের সাথে যোগ হয় নেলসন।
নয় বৎসর বয়সে মেন্ডেলার পিতা পরলোক গমন করলে তার পিতার বন্ধু রিজেন্ট (রাজপ্রতিভুর) তাঁকে দত্তক নেন এবং তার দুই সন্তানের সাথে একই মর্যাদায় লালন পালন করেন । স্কুলে অধ্যয়নকালে তিনি আফ্রিকার ইতিহাসে আকৃষ্ট হন। তিনি জানতে পারেন কৃষ্ণাঙ্গ এবং শ্বেতাঙ্গদের কতটা বৈষম্য বিদ্যমান। এই বৈষম্য দূরীকরণে জন্য তার মনের মাঝে একটি ইচ্ছা বাসা বাধে এবং তিনি সুযোগ খুঁজতে থাকেন। তিনি মনে মনে সংকল্প করেন তিনি একদিন এই বৈষম্যের দেয়াল ভেঙ্গে দিবেন।
এএনসিতে যোগদানের মাধ্যমে তার সংগ্রামময় জীবনের শুরু: তো এমনি ভাবে মেন্ডেলার জীবন চলতে থাকে এবং ১৯৪২ সালে তিনি আফ্রিকান ন্যাশনাল কংগ্রেসে(ANC ) যোগদান করেন। তিনি দীর্ঘ দিন যাবৎ সক্রিয়ভাবে বর্ণবাদ-বিরোধী আন্দোল করেন। সে গ্রাম্য কৃষক এবং শ্রমিকগণ হতে শক্তি সঞ্চয় করতে থাকেন। এবং কতিপয় বেক্তির সমন্বয়ে সেখানে একটি সংগঠন তৈরী করে । আন্দোলনের এক পর্যায়ে সংগঠনের নেত্রী বৃন্দ বুঝতে পারেন শান্তিপূর্ণভাবে সমস্যার সমাধান সম্ভব নয় তাই তারা বয়কট, ধর্মঘট, আইন অমান্য করে দাবি আদায়করার সিদ্ধান্ত নেয় । তারা অসহযোগিতার নীতি অবলম্বন করে এবং স্বাধীনতা, জমির পুনর্বণ্টন, ট্রেড ইউনিয়ন অধিকারসহ সকল শিশুর অবৈতনিক বাধ্যতামূলক শিক্ষার দাবিতে আন্দোলন শরু করে। এমনি ভাবে মেন্ডেলা দীর্ঘ প্রায় বিশ বছর ধরে তিনি দক্ষিণ আফ্রিকান সরকারের বিরুদ্ধে শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করেন।
গ্রেপ্তার এবং তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলা: মেন্ডেলার বিরতিহীন আন্দোলনের কারণে ১৯৫৬ সালে মেন্ডেলা সহ ১৫০ জনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগ আনা হয় । ইতোমধ্যে মেন্ডেলা আফ্রিকানবাদীদের নিয়ে ১৯৬১ সালে মেন্ডেলা ‘এম. কে’ নামে একটি শাখা সংগঠন স্থাপন করেন বিশ্বাস করা শুরু করেন যে সশস্ত্র সংগ্রাম ছাড়া কোনো পরিবর্তন সম্ভব নয়। তাই তিনি অন্তর্ঘাত এবং গেরিলা যুদ্ধের সাহায্যে বর্ণবাদ দূর করার সিদ্ধান্ত নেন। যাইহোক ১৯৬১ সালে মেন্ডেলা তিন দিন বব্যাপী জাতীয় শ্রমিক ধর্মঘটের আয়োজন করেন। ধর্মঘটে নেতৃত্বদানের জন্য তাকে কে গ্রেপ্তার করা হয় এবং পাঁচ বৎসরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এর দুই বছর পর ১৯৬৩ সালে পুনরায় তাঁর বিচার করা হয় এবং তার সাথে আরো দশজন নেতাসহ তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়।
কারাগার থেকে মুক্তি এবং বর্ণবাদের অবসান : দীর্ঘ ২৭ বৎসর কারা ভোগের পর ক্রমবর্ধমান স্থানীয় এবং আন্তর্জাতিক চাপের মুখে ১৯৯০ সালে মেন্ডেলাকে মুক্তি দেয়া হয় । ২৭ বৎসরের কারাজীবনের ১৮ বৎসরই তিনি রোবেন দ্বীপে কারারুদ্ধ থাকেন। বাকি সময় বিভিন্ন সেলে নিদারুন কষ্টের মাঝে কাটান। মুক্তির পর থেকে তিনি কৃষ্ণাঙ্গদের ভোটাধিকার আদায়, সার্বজনীন শান্তি ও সমতা প্রতিষ্ঠা জন্য সশস্ত্র সংগ্রাম চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন। শেষ পর্যন্ত ১৯৯১ সালে মেন্ডেলা আফ্রিকান ন্যাশনাল কংগ্রেসের সভাপতি নির্বাচিত হন এবং বর্ণবাদ দূরীকরণে নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে যান।
১৯৯৩ সালে মেন্ডেলা এবং প্রেসিডেন্ট ডি ক্লার্ক বর্ণ বৈষম্য দূরীকরণের জন্য কাজ করার ফলে একত্রে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন। ১৯৯৪ সালে আফ্রিকায় প্রথম গণতান্ত্রিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ৭৭ বছর বয়সে নেলসন মেন্ডেলা দেশের প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন।
Long Walk to Freedom Bangla summary
প্রেসিডেন্ট হিসেবে নেলসন ম্যান্ডেলা ভাষণ : নেলসন ম্যান্ডেলা প্রেসিডেন্ট হিসেবে সংবিধানকে সমুন্নত রেখে প্রজাতন্ত্র এবং জনগণের কল্যাণে নিজেকে আত্মনিয়োগ করার অঙ্গীকার করে। তিনি বলেন,দীর্ঘ বিপর্যয়,পরাধীনতায় আবদ্ধ থেকে আমরা যে অভিজ্ঞতা অর্জন করেছি তা থেকে আমরা এমন এক সমাজ গড়ে তুলবো যা সমগ্র মানবজাতির জন্য একটি দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। আমরা কেবল রাজনৈতিক মুক্তি লাভ করেছি এখন আমাদের জনগণকে দারিদ্রতা, বৈষম্য , বঞ্চনা, নির্যাতন হতে মুক্তি দিতে হবে।
সমতার ঘোষণা: নেলসন ম্যান্ডেলা ভাষণ তার ভাষণে উল্লেখ করেন এদেশে আর কোনো নাগরিক একে অন্যের দ্বারা নির্যাতিত হবে না। দেশের সকল জনগণ সাদা কালো নির্বিশেষে একে অন্যের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে চলাফেরা করবে তাদের মধ্যে কোন ভেদাভেদ থাকবে না। ম্যান্ডেলা বলেন বর্ণ বৈষম্য ফলে আমাদের জাতির মধ্যে একটি দীর্ঘ স্থায়ী ক্ষতোর সৃষ্টি হয়েছে যা থেকে মুক্তি লাভ করতে হবে। আর তাতে হয়তো আমাদের বেশ কয়েক বছর সময় লাগবে।
আত্মত্যাগী ও সংগ্রামী বীরদের স্মরণ: তিনি বলেন অসংখ্য মানুষের আত্মত্যাগ ও সংগ্রামের মধ্য দিয়ে আমরা আমাদের কাঙ্খিত স্বাধীনতা লাভ করেছি। এই স্বাধীনতাকে যথার্থভাবে মূল্যায়নের মাধ্যমে আমরা তার সম্মান রক্ষা করবো।
তিনি বলেন।, কিছু প্রজ্ঞাবান ,সাহসি, কর্তব্য নিষ্ঠ দেশপ্রেমিক দীর্ঘ দিন যাবৎ স্বাধীনতার দাবীতে অত্যাচার এবং বর্বরতার সঙ্গে লড়াই করে গেছে । যাঁরা দক্ষিণ আফ্রিকার মাটির নীচের দুর্লভ রত্নরাজি অপেক্ষা অধিক মূল্যবান ও খাটি। তিনি বলেন অনেক নারী পুরুষ প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে প্রাণ বিসর্জন দিয়ে অন্যায় আক্রমণ এবং অত্যাচারের বিরুদ্ধে সাহসের সাথে সংগ্রাম করেছে। আর তিনি নিজেও বহুবার সাহসের সাথে সংগ্রাম করে বহু বাধা পারি দিয়েছেন ।
আরো পড়ুন: I Have a Dream Bangla Summary
সোনালী দিনের পূর্বাভাস: নেলসন ম্যান্ডেলা সব সময় আশা করতেন যে অদূর ভবিষতে একটি বড়ো পরিবর্তন আসবে । যে পরিবর্তন শুধু মাত্র বড়ো বড়ো বীরদের কারণেই আসবেনা বরং সাধারণ নারী পুরুষদের সাহসিকতা ও তাদের অন্তরের করুণা এবং উদারতার কারণে আসবে । মেন্ডেলা আরো বলেন শুধু মাত্র ধর্ম বর্ণের জন্য কোনো মানুষ কারো প্রতি ঘৃণা প্রদর্শন করতে পারে না। তিনি বলেন মানুষকে ঘৃণা করা শিখতে হবে কারণ যে ঘৃণা করা শিখবে তাকে খুব সহজে অন্যকে ভালোবাসতেও শিখানো যাবে। মেন্ডেলা মনে করেন, জীবনে প্রতিটি মানুষের দুটি বিষয়ে বাধ্যবাধকতা আছে এর প্রথমটি হলো পরিবারের প্রতি এবং দ্বিতীয়টি হলো দেশের প্রতি। কিন্তু অপ্রিয় হলেও সত্য যে দক্ষিণ আফ্রিকার প্রতিটি মানুষের জন্য একই সাথে দুটি দায়িত্ব পালন করা প্রায় অসম্ভব ছিল। কারণ দেশবাসীর প্রতি কর্তব্য পালন করতে করতে গেলে তাদের কে পরিবার হতে বিছিন্ন হয়ে একান্তে জীবনযাপন করতে হতো। মেন্ডেলা নিজেও দেশবাসীর প্রতি কর্তব্য পালন করতে গিয়ে নিজেকে পরিবার হতে বিচ্ছিন্ন হতে বাধ্য হয়ে ছিল যা ছিল অত্যান্ত মর্মান্তিক। মেন্ডেলা বলেন তিনি স্বাধীন হওয়ার ক্ষুধা নিয়ে জন্মাননি, স্বাধীন হয়েই জন্মেছেন।মেন্ডেলা পরিণত বয়সে বুঝতে পারেন যে বাল্যকালের স্বাধীনতা আসলে একটা ভ্রান্তি। তাই তিনি মৌলিক এবং প্রকৃত স্বাধীনতা লাভের জন্য ব্যাকুল হয়ে পড়েন । তিনি অনুধাপন করেন মেন্ডেলাই যে শুধু স্বাধীনতা হারিয়েছে তা নয় তার সাথে তার দেশপ্ৰেমী ভাই বোন সকলেই তাদের নিজ নিজ স্বাধীনতা হারিয়েছে।
আফ্রিকান ন্যাশনাল কংগ্রেসে যোগদান: দেশের মানুষের সাধীনতা রক্ষা করতে তিনি আফ্রিকান ন্যাশনাল কংগ্রেসে যোগদান করেন । একটা সময়ে তার নিজস্ব স্বাধীনতার আকাক্ষা দেশবাসীর স্বাধীনতার আকাক্ষার সাথে মিলে তা একটি বৃহত্তর আকাঙ্ক্ষায় পরিণত হয় । তিনি অনুভব করলেন, স্বাধীনতা হরণকারীগণ নিজেরাও স্বাধীন নন, তারা ঘৃণার কারাগারে বন্দি।
প্রকৃত স্বাধীনতার স্বপ্নদ্রষ্টা: দীর্ঘ ২৭ বছর জীবন থেকে মুক্ত হয়ে মেন্ডেলা অত্যাচারিত এবং অত্যাচারী উভয়কে মুক্ত করার মিশিনে নামেন । ম্যান্ডেলার প্রচেষ্টায় ফলে ব্ল্যাক পিপলরা যখন ভোটাধিকার লাভ করে তখন রাষ্টের কতিপয় ব্যক্তিবর্গ মনে করে ম্যান্ডেলার উদেশ্য সফল হয়েছে। কিন্তু মেন্ডেলা মনে করেন তার উদেশ্য এখনো সফল হয়নি। তার মতে, তাঁরা শুধুমাত্র স্বাধীন হওয়ার স্বাধীনতা, অত্যাচারিত না হওয়ার অধিকার অর্জন করেছে কিন্তু প্রকৃত স্বাধীনতার যাত্রাপথে কেবল যাত্রা শুরু করেছে । স্বাধীনতার জন্য তাদের প্রকৃত পরীক্ষা কেবল মাত্র শুরু হয়েছে। তাদের প্রকৃত স্বাধীনতায় পৌছাতে হলে দীর্ঘ পথ পাড়ি দিতে হবে। তিনি মনে করেন তার কর্তব্য শেষ হয়ে যায়নি। কারণ স্বাধীনতা লাভের সাথে সাথে দায়িত্ব আসে। তিনি সেই দায়িত্ব কর্তব্য নিষ্ঠার সাথে পালন করার অঙ্গীকার করেন।
আরো পড়ুন:Gettysburg Address Bangla Summary