A Tale of Two Cities

চার্লস ডিকেন্স ভিক্টোরিয়ান যুগের একজন বিখ্যাত ইংরেজ ঔপন্যাসিক ছিলেন। তিনি ১৮১২ সালের ৭ই ফেব্রুয়ারি ইংল্যান্ডের পোর্টসিয়ায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান ছিলেন। তার পরিবার ঋণের কারণে আর্থিকভাবে কষ্টের মাঝে জীবন যাপন করতেন। তার বয়স যখন মাত্র বারো তখন তার বাবাকে ঋণগ্রস্ত হয়ে জেলে যেতে হয়। এরফলে ডিকেন্সকে স্কুল ছাড়তে হয় এবং জুতা পালিশ তৈরির কারখানায় কাজ করতে হয়। পরে উত্তরাধিকারসূত্রে তার পরিবার কিছু অর্থ পায় এবং ডিকেন্স আবার পড়াশোনায় ফিরে যান। যৌবনে তিনি আইন সহকারী এবং সাংবাদিক হিসেবে কাজ করেন। Sketches by Boz প্রকাশের মাধ্যমে তার সাহিত্যজীবনের শুরু হয়। ১৮৩৬ সালে The Pickwick Papers প্রকাশিত হলে তিনি ব্যাপক জনপ্রিয়তা পান।
ওই বছরই তিনি ক্যাথারিন হগার্থকে বিয়ে করেন। তাদের দশটি সন্তান হয়। তবে পরবর্তীতে ডিকেন্স তরুণ অভিনেত্রী এলেন টারনানের প্রেমে পড়েন এবং দাম্পত্য জীবন থেকে আলাদা হয়ে যান। ডিকেন্সের বিখ্যাত উপন্যাসগুলোর মধ্যে রয়েছে Oliver Twist, A Christmas Carol, David Copperfield, Bleak House, A Tale of Two Cities, এবং Great Expectations। তার রচনাগুলোতে সমাজের অবিচার ও গরিব মানুষের সংগ্রামকে চিত্রিত করা হয়েছে। তিনি ১৮৭০ সালে স্ট্রোক করে মারা যান এবং তার শেষ উপন্যাস The Mystery of Edwin Drood অসমাপ্ত থেকে যায়। ডিকেন্স ইংরেজি সাহিত্যের অন্যতম শ্রেষ্ঠ গল্পকার হিসেবে আজও স্মরণীয়। তার রচনাগুলো এখনো ব্যাপকভাবে পড়া হয় এবং রূপান্তরিত হয়।
আরো পড়ুনঃ Jane Eyre Bangla Summary
Key Facts:
- Full Title: A Tale of Two Cities
- Author: Charles Dickens
- Type of Work: Novel
- Genre: Historical fiction
- Language: English
- Time and Place Written: In 1859, in London
- Date of First Publication: From April 20 to November 26, 1859 (in parts)
- Publisher: Chapman and Hall
- Narrator: The narrator is not a character. It is like Dickens is telling the story himself, but in an unknown voice.
- Point of View: Third-person point of view. The narrator tells what all the characters feel and do.
- Tone: The tone is serious, emotional, and full of sympathy. It also sounds historical.
- Setting:
- Time Setting: Between 1775 and 1793 — the time of the French Revolution
- Place Setting: The story happens in two main cities — London in England and Paris in France
১৭৭৫ সালের জীবন ও সময়: উপন্যাসটি শুরু হয় ১৭৭৫ সালে। চার্লস ডিকেন্স এই সময়কালকে ব্যাখ্যা করতে একটি বিখ্যাত বাক্য: “এটি ছিল সর্বশ্রেষ্ঠ সময়, এটি ছিল সর্বনিকৃষ্ট সময়” ব্যবহার করেন। এই কথাগুলোর মাধ্যমে তিনি ইংল্যান্ড ও ফ্রান্সের বিপরীত অবস্থান তুলে ধরেন। ইংল্যান্ডে তখন রাজতন্ত্র শাসন করছে, কিন্তু সরকার পরিবর্তনের আশঙ্কায় সন্ত্রস্ত। অপরাধ বাড়ছে, আর বিচারব্যবস্থা প্রায়ই অন্যায্য। অন্যদিকে, ফ্রান্সে দিনে দিনে দারিদ্র্য ও ক্ষোভ বাড়ছে। ধনীরা বিলাসে জীবন কাটাচ্ছে, আর গরিবরা চরম দুঃখে কষ্ট পাচ্ছে। সাধারণ মানুষ ধীরে ধীরে বিদ্রোহের জন্য প্রস্তুত হয়ে উঠছে। ডিকেন্স লন্ডন ও প্যারিস দুটি শহরের চিত্র আঁকেন। দুটি শহরই উদ্বেগে ভরপুর। লন্ডনে প্রহরীরা আতঙ্কে থাকে, আর রাজপথে ডাকাতেরা গাড়িতে আক্রমণ চালায়। প্যারিসে ক্ষোভ জমে উঠছে, মানুষ ক্ষুধার্ত ও অস্থির। এই অধ্যায়ের মাধ্যমে লেখক পুরো উপন্যাসের আবহ তৈরি করেন যেন একটি ঝড় এগিয়ে আসছে।
ডা. ম্যানেটের বন্দিত্ব ও মুক্তি: Dr. Alexandre Manette-এর বন্দিত্ব ও মুক্তির রহস্য অত্যন্ত করুণ। ১৭৫৭ সালে তিনি প্যারিসে বসবাস করতেন। তিনি একজন সদয় ও সৎ চিকিৎসক ছিলেন। একদিন তিনি একটি ভয়ানক অপরাধ প্রত্যক্ষ করেন। নিষ্ঠুর Evremonde পরিবারের দুই অভিজাত ভাই দরিদ্র মানুষের ওপর নিপীড়ন চালায়। তারা ডা. ম্যানেটকে সত্য গোপন করতে বলে। কিন্তু তিনি সত্য আড়াল করতে অস্বীকার করেন। শাস্তিস্বরূপ তাকে বাস্তিল দুর্গে বন্দি করে রাখা হয়। তিনি সেখানে দীর্ঘ আঠারো বছর অতিবাহিত করেন। মানুষ ধরে নেয় যে তিনি মারা গেছেন। তার কন্যা Lucie Manette ইংল্যান্ডে বড় হয়। তবে সে জানেনা যে তার বাবা জীবিত রয়েছে।
মূল কাহিনির শুরু: ১৭৭৫ সালেই মূল কাহিনি শুরু হয়। Tellson’s Bank-এর একজন ব্যাংকার Jarvis Lorry লন্ডন থেকে ডোভার রওনা দেন। তিনি তরুণী Lucie Manette-এর সঙ্গে দেখা করতে যাচ্ছিলেন। পথে Jerry Cruncher নামে এক ব্যক্তি তাদের কোচ থামায়। সে ব্যাংকের একটি চিঠি Lorry-এর হাতে দেয়। তাতে লেখা: “Mam’selle-এর জন্য ডোভারেই অপেক্ষা করুন।” এর জবাবে Lorry একটি রহস্যময় বার্তা প্রেরণ করেন: সেটি হল “জীবনে ফিরিয়ে আনা হয়েছে।” Jerry এতে বিভ্রান্ত হলেও বার্তাটি ফিরে নিয়ে যায়।
বাবার বেঁচে থাকার খবর: ডোভারে Lorry, Lucie-এর সঙ্গে দেখা করেন এবং তাকে এক চমকপ্রদ খবর দেন যে তার বাবা জীবিত এবং সম্প্রতি কারাগার থেকে মুক্তি পেয়েছেন। তিনি এখন প্যারিসে রয়েছেন। Lucie বিস্ময়ে এবং আবেগে আপ্লুত হয়। এতদিন ধরে সে মনে করেছিল তার বাবা বহু আগেই মারা গেছেন। এরপর তাকে খুঁজে বের করতে Lucie ও Lorry একসঙ্গে প্যারিস যাত্রা করে। তারা প্যারিসে একটি ছোট মদের দোকানে যায়, যার মালিক Ernest এবং Thérèse Defarge। পূর্বে এই Defarge দম্পতি Dr. Manette-এর সেবক ছিল। এখন তারা গোপনে তাকে দোকানের উপরের একটি ছোট কক্ষে রেখে দিয়েছে।
এক করুণ দৃশ্য ও মমতার জাগরণ: Lucie ও Lorry কে সেই কক্ষে নিয়ে যাওয়া হয়। Dr. Manette সেখানে একা বসে জুতা তৈরি করছিলেন। তিনি খুবই ফ্যাকাশে, রোগা এবং মানসিকভাবে বিভ্রান্ত। তাকে দেখে মনে হয় তিনি যেন একেবারে ভেঙে পড়েছেন এবং জীবনের পথ হারিয়ে ফেলেছেন। কারাবাস তার জীবন পুরোপুরি বদলে দিয়েছে। তিনি নিজের মেয়েকেও চিনতে পারেন না। তিনি ছোট ছোট বিভ্রান্ত বাক্যে কথা বলেন এবং চুপচাপ কাজ করতে থাকেন। Lucie এই দৃশ্য দেখে আতঙ্কিত ও মর্মাহত হয়। কিন্তু সে ধীরে ধীরে কোমলভাবে বাবার সঙ্গে কথা বলে। তার মৃদু কণ্ঠ Dr. Manette-এর হৃদয়ে দোলা দেয়। Lucie তাকে জড়িয়ে ধরে এবং ভালোবাসা দিয়ে শান্তনা দেয়।
ধীরে ধীরে Dr. Manette শারীরিকভাবে সুস্থ হতে থাকে এবং স্মৃতিশক্তিও ফিরে পেতে শুরু করেন। তবে তিনি এখনও অতীতের ভয়াবহ অভিজ্ঞতা থেকে মুক্ত হতে পারেন না। দীর্ঘ কারাবাসের যন্ত্রণা তাকে তাড়া করে ফেরে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে Dr. Manette জীবনের প্রতি সাড়া দিতে থাকেন। Lucie-এর ভালোবাসা তাকে শক্তি ও শান্তি দেয়। তারা নীরবে প্যারিস ত্যাগ করে এবং ইংল্যান্ডে ফিরে আসে। Dr. Manette ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে ওঠেন। তার স্মৃতি ও স্বাস্থ্য পুনরায় ফিরে আসে। যদিও তিনি এখনও অতীতের ছায়া থেকে পুরোপুরি বের হতে পারেননি, Lucie-এর সাহচর্যে তার মধ্যে আশার আলো দেখা দেয়। একসময় যিনি কারাগারে “জীবন্ত সমাধিস্থ”, ছিলেন এখন Lucie-এর ভালোবাসায় তিনি “জীবনে ফিরে আসার সুযোগ পেয়েছেন”।
Charles Darnay-র বিচার ও সিডনি কার্টনের আবির্ভাব: পাঁচ বছর পর, ১৭৮০ সালে, লন্ডনে Charles Darnay-র বিচার শুরু হয়। তিনি একজন তরুণ ফরাসি নাগরিক, যাকে গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়। সাক্ষীরা বলে যে, তিনি প্রায়ই ইংল্যান্ড ও ফ্রান্সের মধ্যে যাতায়াত করতেন। তাদের ধারণা, তিনি ফ্রান্সের সঙ্গে ইংল্যান্ডের গোপন তথ্য আদান প্রদান করতেন। তবে ডার্নে দাবি করেন, তিনি কেবল ব্যবসার কাজে যাতায়াত করতেন।
বিচারটি খুবই উত্তেজনাপূর্ণ ছিল। Roger Cly ও John Barsad ডার্নের বিরুদ্ধে সাক্ষ্য দেয়। কিন্তু দুজনেই মূলত গুপ্তচর ও মিথ্যাবাদী। ডিফেন্স আইনজীবী Stryver একটি চমকপ্রদ কৌশল গ্রহণ করেন। তিনি আদালতে এমন একজন ব্যক্তিকে হাজির করেন যার চেহারা ডার্নের সঙ্গে প্রায় হুবহু মিলে যায়—তার নাম Sydney Carton। এই অদ্ভুত মিলের কারণে আদালতে সন্দেহ তৈরি হয়। বিচারকরা ভাবে হয়তো সাক্ষীরা বিভ্রান্ত হয়েছিল। ফলে তারা ডার্নেকে মুক্তি দেয়।
এই ঘটনায় আইনজীবী Stryver নিজেকে Darnay-কে রক্ষা করার নায়ক হিসেবে তুলে ধরেন। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে, Sydney Carton-ই ডার্নেকে বাঁচায়। Carton অত্যন্ত মেধাবী, তবে জীবনে দায়িত্বহীন। সে অতিরিক্ত মদ পান করে এবং নিজের জীবন নষ্ট করে ফেলছে। সে Stryver-এর সহযোগী হয়ে কাজ করে, Stryver তাকে “জ্যাকাল” বা শিকার টেনে আনার জন্তু হিসেবে দেখেন। আর নিজেকে তিনি “সিংহ” বলে মনে করেন, যিনি সমস্ত প্রশংসা কুড়ান। Carton-কে বাইরে থেকে নিরাসক্ত মনে হলেও, ভিতরে ভিতরে সে প্রচণ্ড নিঃসঙ্গ এবং আত্মঘৃণায় ভোগে।
বিচার শেষ হওয়ার পর Carton ও Darnay একসঙ্গে রাতের খাবার খায়। Carton ডার্নেকে জিজ্ঞেস করে, সে কি মনে করে Carton একজন ভালো মানুষ? Carton নিজেকে “হারিয়ে যাওয়া আত্মা” বলে উল্লেখ করে। সে বলে, “আমি কাউকে ভালোবাসি না, আর কেউ আমাকে ভালোবাসে না।” তবে যখন সে Lucie-কে দেখে, তার মধ্যে কিছু একটার পরিবর্তন ঘটে। Lucie-এর কোমলতা তার হৃদয়ে আলোড়ন তোলে।
লুসি ম্যানেট: পিতার আরোগ্যে লুসির ভূমিকা: Lucie Manette এই কাহিনির প্রাণ। Charles Dickens তাকে “সোনালী সুতোর মতো এক বন্ধন”, বলেন যে সবার হৃদয়কে একত্র করে। Lucie তার বাবার জীবনে আলো নিয়ে আসে। সে Darnay-এর প্রতি দয়া প্রদর্শন করে, এমনকি Sydney Carton-ও তার মাধ্যমে আশার আলোর স্পর্শ পায়। Lucie তার বাবার সঙ্গে লন্ডনের সোহো-তে এক নিরিবিলি বাড়িতে বসবাস করে। তার উপস্থিতি চারপাশে শান্তি এনে দেয়।
সময় গড়ালে Charles Darnay, Lucie-কে ভালোবাসতে শুরু করে। Carton-ও তাকে ভালোবাসে। যদিও উভয়েই সমানভাবে Lucie-কে ভালোবাসে, Lucie দায়িত্ববান স্বভাবের কারণে Darnay-এর প্রতি বেশি আকৃষ্ট হয়। রাষ্ট্রদ্রোহ মামলার নিষ্পত্তির এক বছর পর, Darnay ডা. Manette-কে জানান যে তিনি Lucie-কে বিয়ে করতে চান। অন্যদিকে, Carton Lucie-কে বলে, সে তার ভালোবাসার যোগ্য নয়। তবে সে প্রতিশ্রুতি দেয় যে Lucie এবং যাদের Lucie ভালোবাসে, তাদের জন্য সে সব কিছু করতে প্রস্তুত এমনকি নিজের জীবন দিতেও প্রস্তুত। তখন তার এই কথা অদ্ভুত শোনায়, কিন্তু ভবিষ্যতে এর গভীর তাৎপর্য প্রকাশ পায়। ডা. Manette ধীরে ধীরে মানসিকভাবে সুস্থ হয়ে ওঠেন। কিন্তু মাঝে মাঝে তিনি আবার জুতা বানানোর কাজে ফিরে যান। চাপে পড়লে তিনি পুরনো বন্দিত্বের অভ্যাসে ফিরে যান। Lucie ধৈর্য ধরে এই সময়গুলোতে তাকে সাহায্য করে, তাকে ভালোবাসা দিয়ে পাশে থাকে।
মার্কুইস Evremonde-র নিষ্ঠুরতা – একটি শিশুকে পিষে মারা: এবার গল্পের দৃশ্যপট ফ্রান্সে স্থানান্তরিত হয়। এক ধনাঢ্য অভিজাত ব্যক্তি, Marquis St. Evrémonde, প্যারিসের রাস্তায় দ্রুতগতিতে তার গাড়ি চালিয়ে যায়। হঠাৎ তার গাড়ির নিচে পড়ে এক দরিদ্র শিশু পিষে মারা যায়। এ ঘটনায় Marquis-এর মধ্যে কোনো অনুতাপ নেই। বরং সে শিশুটির বাবাকে একটি কয়েন ছুঁড়ে দেয়। আশেপাশের মানুষরা খুব রাগান্বিত হলেও কিছু বলতে সাহস পায় না, কারণ সত্য বললে তাদের মৃত্যুর শঙ্কা রয়েছে। শিশুটির বাবা Gaspard শোক ও ঘৃণায় ভেঙে পড়ে। সে এই নির্মমতা সহ্য করতে পারে না। পরে এক রাতে Gaspard চুপিচুপি Marquis-এর বাড়িতে ঢুকে পড়ে এবং প্রতিশোধ নিতে Marquis-কে হত্যা করে। কিন্তু পরে Gaspard ধরা পড়ে এবং তাকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়।
প্রাসাদে আগুন– মার্কুইসের খুনের ফলফল: Marquis-এর হত্যার পর, তার প্রাসাদে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। গ্রামের সাধারণ মানুষ জেগে উঠছে। তারা ধনী শ্রেণির প্রতি ক্ষুব্ধ। তারা বছরের পর বছর বঞ্চনার প্রতিশোধ নিতে চায়। বিপ্লব এগিয়ে আসছে। এ সময় Defarge দম্পতি, যারা প্যারিসে ওয়াইন দোকান চালায়, সব কিছু গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করে। Madame Defarge তার নিটিং-এর কাজে শত্রুদের নাম গোপনে লিখে রাখে—এই মানুষগুলোর নাম তার হত্যার তালিকায় রয়েছে, বিপ্লব শুরু হলে যাদেরকে সে মেরে ফেলতে চায়। গল্প ধীরে ধীরে এক ভয়ংকর উত্তেজনার দিকে এগিয়ে যাচ্ছে—বিপ্লব, প্রতিশোধ ও আত্মত্যাগের এক বিস্ফোরণ অপেক্ষা করছে সামনে।
বাস্তিল দুর্গ আক্রমণ: বছর গড়ায়, ফ্রান্সে দিন দিন উত্তেজনা বাড়তে থাকে। ১৭৮৯ সালে প্যারিসের বিদ্রোহীরা বাস্তিল দুর্গে আক্রমণ চালায়। সাধারণ মানুষ অবশেষে জেগে ওঠে। তারা ঝাঁপিয়ে পড়ে বাস্তিলের দিকে। Defarge দম্পতি এই আক্রমণের নেতৃত্ব দেয়। Ernest Defarge দুর্গে ঢুকে Dr. Manette-এর পুরোনো কারাকক্ষ খুঁজে বের করেন। সেখানে তিনি একটি গোপন কাগজ আবিষ্কার করেন, যা ভবিষ্যতে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে। এভাবেই বিপ্লব ছড়িয়ে পড়ে। দরিদ্ররা ক্ষমতায় আসে। অনেক ধনী মানুষকে গ্রেপ্তার করা হয়, অনেককে হত্যা করা হয়। গিলোটিনে একের পর এক মাথা কাটা পড়ে। প্যারিসে ছড়িয়ে পড়ে ভয় ও আতঙ্ক।
“Madame Defarge-এর নিটিং”– মৃত্যুর রেজিস্টার: Madame Defarge তার নিটিং-এর কাজ চালিয়ে যায়। প্রতিটি নামের অর্থ মৃত্যুদণ্ড। তার মুখচ্ছবি কঠোর ও শান্ত। প্রতিশোধই তার একমাত্র লক্ষ্য। তার হৃদয়ে জমে আছে গভীর ঘৃণা। বিশেষ করে সে Evrémonde পরিবারকে ঘৃণা করে। সে জানে না যে Charles Darnay-ই হল নতুন Marquis, যদিও Darnay নিজেই সেই উপাধি প্রত্যাখ্যান করেছেন।
ডার্নের ফ্রান্সে ফেরা ও গ্রেপ্তার: লন্ডনে Charles Darnay এক শান্তিপূর্ণ জীবন কাটাচ্ছিলেন। তিনি Lucie-কে বিয়ে করেন তাদের Little Lucie নামে একটি কন্যাসন্তান রয়েছে। Dr. Manette আবার সুস্থ ও দৃঢ়। কিন্তু একদিন Darnay একটি চিঠি পান। তার পুরোনো সেবক Gabelle ফ্রান্সে কারাবন্দি। Darnay নিজেকে দায়ী মনে করেন। তিনি সাহায্য করতে চান। গোপনে তিনি প্যারিসে রওনা দেন। কিন্তু প্যারিসে পৌঁছানো মাত্রই বিপ্লবীরা তাকে গ্রেপ্তার করে। তাকে “জনগণের শত্রু” বলা হয়। যদিও তিনি সাহায্য করতে এসেছিলেন, তার অভিজাত পরিচয়ই তার বিরুদ্ধে অস্ত্র হয়ে দাঁড়ায়।
এই খবর শুনে Lucie ও Dr. Manette ফ্রান্সে ছুটে যান। Dr. Manette আশা করেন, অতীতে যে তিনি নিজেই একটি নিপীড়িত প্রাণ ছিলেন, সেই অভিজ্ঞতা হয়তো বিপ্লবীদের সহানুভূতি জাগাবে। তারা কারাগারের কাছাকাছি অবস্থান করে এবং কোনো ভালো খবরের প্রতীক্ষায় থাকে ।
“ডা. ম্যানেটের চিঠি”– দোষী সাব্যস্ত করার প্রমাণ: Charles Darnay-কে প্যারিসে আদালতে হাজির করা হয়। Dr. Manette তার পক্ষ নিয়ে আদালতে কথা বলেন। তিনি বলেন Darnay একজন সদাচারী মানুষ। আদালত তার কথা শোনে এবং Darnay-কে মুক্তি দেয়। Lucie ও Dr. Manette আনন্দে অভিভূত হয়ে পড়েন। কিন্তু সেই আনন্দ স্থায়ী হয় না। সেদিনই আবার Darnay-কে নতুন অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়। Defarge দম্পতি একটি লুকানো চিঠি খুঁজে পান। এটি Dr. Manette বহু বছর আগে বন্দিদশায় লিখেছিলেন এবং কারাকক্ষে লুকিয়ে রেখেছিলেন।
Madame Defarge এটি খুঁজে পেলে, তার স্বামী Monsieur Defarge আদালতে সেই চিঠি পড়ে শোনান। এটি ছিল Evrémonde ভাইদের অপরাধের কাহিনি। এতে Dr. Manette তার বন্দিত্বের ইতিহাস বর্ণনা করেন। বহু বছর আগে তিনি এক দরিদ্র, আহত গ্রামীণ তরুণীকে চিকিৎসা দিয়েছিলেন, যাকে ফরাসি অভিজাতরা অত্যাচার করেছিল। সেই মেয়েটির ওপর Evrémonde ভাইয়েরা পাশবিক নির্যাতন চালায়—যাদের একজন ছিল Darnay-এর বাবা এবং অন্যজন তার চাচা। এক ভাই মেয়েটিকে অপহরণ করে ধর্ষণ করে। মেয়েটির ভাই প্রতিবাদ করতে গেলে, Marquis তাকে তরবারি দিয়ে হত্যা করে এবং পরে তার গাড়ি দিয়ে পিষে ফেলে। Dr. Manette এই নির্মম অপরাধ প্রকাশ করতে গেলে, ভাইয়েরা তাকে জেলখানায় পাঠিয়ে দেয়।
চিঠিতে Dr. Manette এই পুরো কাহিনি লিখেছিলেন এবং Evrémonde পরিবারকে অভিশাপ দিয়েছিলেন। বিপ্লবীরা এখন এই চিঠিকে অপরিহার্য প্রমাণ হিসেবে ব্যবহার করে। তারা বলে, Darnay অপরাধে জড়িত না হলেও রক্তের মাধ্যমে তিনি দোষী। Dr. Manette আদালতে অনুরোধ করেন, যেন Darnay-কে ক্ষমা করা হয়। তিনি বলেন, এই ঘটনা বহু বছর আগের, এবং এখন Darnay তার নিজের ছেলের মতো হয়ে উঠেছে। কিন্তু জুরি কাউকেই শোনে না। তারা এই চিঠিকে চূড়ান্ত প্রমাণ হিসেবে দেখে। Darnay-কে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। পরদিন গিলোটিনে তার শিরচ্ছেদ হবে। তার পূর্বপুরুষদের পাপই যেন তার ভাগ্য নির্ধারণ করে দেয়।
গিলোটিনের ছায়া:”কারম্যানিওল” এবং মৃত্যুর উৎসব: প্যারিসের রাস্তাগুলো শোরগোলে ভরে উঠেছে। মানুষজন “কারম্যানিওল” গান গেয়ে বুনো নৃত্যে মেতে উঠেছে। তারা মৃত্যুকে উদযাপন করছে। গিলোটিন যেন এক জনসমক্ষে প্রদর্শনীতে পরিণত হয়েছে। প্রতিদিন কয়েদিদের মৃত্যুর জন্য গাড়িতে করে নিয়ে যাওয়া হয়। জনতা জড়ো হয়। মাথা কাটার দৃশ্য দেখে তারা উল্লাস করে। এমনকি শিশুরাও হত্যাকে হাসি-তামাশা করে দেখে। শহর যেন তার আত্মা হারিয়ে ফেলেছে।
Lucie প্রতিদিন জেলের পাশে অপেক্ষা করে। সে আশা করে, তার স্বামী Charles জানালার ফাঁক দিয়ে তাকে এক ঝলক দেখবে। সে কখনো আশা হারায় না। Dr. Manette আবারও চেষ্টা করেন Darnay-কে বাঁচাতে। কিন্তু এবার আর কেউ শুনতে চায় না। আদালতের একমাত্র চাওয়া রক্ত। Darnay-এর আর কোনো আশাই নেই। প্যারিসে আদালতে Charles Darnay-কে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয় যেখানে Dr. Manette-এর পুরোনো চিঠি তার বিরুদ্ধে প্রমাণ হিসেবে ব্যবহৃত হয়। প্রথমে তাকে La Force কারাগারে রাখা হয়েছিল। পরে প্যারিসের সবচেয়ে ভয়ংকর কারাগার Conciergerie-তে তাকে স্থানান্তর করা হয়। Darnay, Lucie, Dr. Manette ও Mr. Lorry কে উদ্দেশ্যে করে বিদায়বার্তা লেখেন। তিনি নিজেকে শান্ত রাখার চেষ্টা করেন, কিন্তু ভয় তার হৃদয়ে বাসা বাঁধে। সে জানে না, সহায়তা ইতিমধ্যে রওনা দিয়েছে।
Sydney Carton তখন প্যারিসে। সে এক গোপন পরিকল্পনা তৈরি করেছে। সে Darnay-কে বাঁচাতে চায়, যদিও কেউ জানে না তা কীভাবে। Carton সেই জায়গাগুলো ঘুরে দেখে, যেখানে একসময় Darnay হেঁটেছিলেন। সে কারাগারে ঢোকার পথ সম্পর্কে জেনে নেয়। সে গুপ্তচর John Barsad-কে অনুসরণ করে এবং তাকে মুখোমুখি চ্যালেঞ্জ করে। Carton, Barsad-কে হুমকি দেয়, যদি সে সাহায্য না করে, তবে তার আসল পরিচয় প্রকাশ করে দেবে। Barsad রাজি হয়। Carton এখনো Lucie-কে ভালোবাসে। সে মনে করে, একদিন সে বলেছিল—Lucie বা যাকে Lucie ভালোবাসে, তাদের জন্য সে জীবন দিতেও রাজি। এখন সে সেই প্রতিশ্রুতি পূরণে প্রস্তুত।
কার্টনের আত্মবলিদান ও পরিবারের পালানো: Sydney Carton রাতের প্যারিস শহরে হাঁটে। চারপাশে “কারম্যানিওল” নাচ আর মৃত্যু উদযাপন চলেছে। কিন্তু Carton স্থির চিত্তে হাঁটছে। সে মনস্থির করেছে সে Charles Darnay-কে বাঁচাবে এবং নিজের জীবন উৎসর্গ করবে। সে তার পরিকল্পনার চূড়ান্ত প্রস্তুতি নেয়। একজন ক্যামিস্টের নিকট থেকে কিছু চেতনানাশক ঔষধ ক্রয় করে এবং কারাগারের ভেতরের গঠন মুখস্থ করে ফেলে। এরপর শেষবারের মতো Lucie-র বাড়ি যায় এবং তার ঘুমন্ত কন্যাকে মৃদু চুমু দিয়ে বিদায় জানায়। Carton এরপর Mr. Lorry-র সঙ্গে দেখা করে তার গোপন পরিকল্পনার কথা শেয়ার করে। সে বলে, Lucie ও তার পরিবারকে পরদিন সকালেই শহর ছাড়তে হবে। Mr. Lorry-কে সে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিশ্রুতি দিতে বলে যে ঠিক দুপুর ২টায় গাড়িতে প্রস্তুত থাকতে হবে। Carton ফিরে এলেই পরিবারটি যেন সঙ্গে সঙ্গে শহর ছেড়ে যায়।
শেষ পর্যন্ত Carton-এর সুযোগ আসে। গুপ্তচর John Barsad-এর সাহায্যে সে Darnay-এর কক্ষে প্রবেশ করে। Carton ও Darnay দেখতে প্রায় একরকম। Carton, Darnay-কে Lucie-র দেওয়া একটি চিঠি প্রদান করে । Darnay চিঠিটি পড়তে পড়তেই Carton তাকে কেমিক্যাল/ওষুধ খাওয়ায়, যা ধীরে ধীরে তাকে অচেতন করে তোলে। এরপর Carton দ্রুত তাদের পোশাক অদলবদল করে। পাহারার লোকেরা ফিরে এসে কক্ষে একজন ব্যক্তিকেই দেখতে পায় যে হল Carton, কিন্তু সে তখন Darnay-এর পোশাকে ছিল। অচেতন Darnay-কে গার্ডরা বাইরে নিয়ে যায়। তারা ভাবে, সে-ই হল Sydney Carton। Carton কক্ষে থেকে যায়। সে শান্ত ও সংযত থাকে। সে জানে তার জীবন শেষের পথে, তবুও তার হৃদয়ে এক গভীর প্রশান্তি বিরাজ করে। সে Lucie-র কথা ভাবে এবং সেই সুন্দর জীবনের কথা যা Lucie এখন থেকে কাটাতে পারবে।
এই সময়, Mr. Lorry পরিবারকে নিয়ে প্যারিস থেকে চুপিচুপি পালানোর প্রস্তুতি নিচ্ছেন। তিনি Lucie, Dr. Manette এবং শিশুকে নিয়ে পালানোর পরিকল্পনা সাজিয়েছেন। তাদের ভ্রমণের কাগজপত্র ইতোমধ্যেই তৈরি। সব কিছু Carton আগেই ঠিক করে রেখেছিল। Dr. Manette, যিনি একসময় দৃঢ় ছিলেন, এখন আবার ভেঙে পড়েছেন। তিনি বিশ্বাস করতে পারছেন না যে, Charles আর বেঁচে নেই। তিনি জানেন না যে, Carton নিজেই তার জায়গা নিয়েছে। পরিবারটি Carton-এর শেষ সংকেতের জন্য অপেক্ষা করে। এরপর তারা নিঃশব্দে, ভারী হৃদয়ে শহর ছেড়ে যায়।
অন্যদিকে, Lucie-র অ্যাপার্টমেন্টে, Madame Defarge তার চূড়ান্ত পদক্ষেপ নিতে আসে। সে সেই দরিদ্র গ্রামীণ পরিবারের একমাত্র জীবিত বোন, যাদের Evrémonde ভাইয়েরা ধ্বংস করেছিল। সে Lucie এবং তার কন্যাকে হত্যা করতে চায়, তার পরিবারের ওপর ঘটে যাওয়া নিপীড়নের প্রতিশোধ নিতে চায়। সে Dr. Manette-কেও দোষী মনে করে। সে বিশ্বাস করে পুরো পরিবারই শাস্তিযোগ্য। তাই সে তার সহযোগী “The Vengeance”-কে সঙ্গে নিয়ে Lucie-র বাড়িতে আসে। কিন্তু Lucie ইতিমধ্যেই পলায়ন করেছে। শুধু Miss Pross বাড়িতে আছে।
Madame Defarge জোর করে ঘরে ঢুকতে চায়। Miss Pross বাধা দেয়। দু’জনের মধ্যে তীব্র বাকবিতণ্ডা হয়। শেষে Madame Defarge পিস্তল বের করে। ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে বন্দুক ব্লাস্ট হয় এবং গুলিতে Madame Defarge মারা যায়। Miss Pross বেঁচে যায়, কিন্তু বন্দুকের শব্দে সে স্থায়ীভাবে শ্রবণশক্তি হারিয়ে ফেলে। তার শ্রবণশক্তির বিনিময়ে সে পরিবারের রক্ষাকবচ হয়ে ওঠে।
সিডনি কার্টনের শেষ প্রহর: কারাগারে Sydney Carton শান্তভাবে অপেক্ষা করে। তার পাশে বসে আছে এক তরুণ সেলাই করা মেয়ে। সে খুব ভয় পেয়ে, কাঁপতে থাকে। মৃদু স্বরে সে Carton-এর কাছে জিজ্ঞেস করে—সে কি তার হাত ধরে রাখতে পারে? Carton সম্মতি জানায় এবং চুপচাপ তাকে সান্ত্বনা দেয়। তারা নরম কণ্ঠে কথা বলে। মেয়েটি তার প্রতি দয়া ও সাহসের জন্য Carton-কে ধন্যবাদ জানায়। সে বলে, স্বর্গ থেকে যেন Carton কে তার নিকট পাঠানো হয়েছে। Carton তাকে বলে, সময় এলে যেন সে তার চোখের দিকেই তাকিয়ে থাকে।
পরদিন সকালে, প্যারিসের রাস্তাগুলো জনতায় ভরে ওঠে। সেদিন ৫২ জন বন্দির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হবে। ছয়টি গাড়িতে করে তাদের গিলোটিনের দিকে নিয়ে যাওয়া হয়। Carton সেই মেয়েটির সঙ্গে তৃতীয় গাড়িতে ওঠে। এখনো মেয়েটি তার হাত শক্ত করে ধরে আছে। সে Carton-কে তার এক চাচাতো ভাইয়ের কথা বলে, যে দরিদ্র। সে আশা করে, এই নতুন প্রজাতন্ত্র দরিদ্রদের জন্য ভালো কিছু আনবে। সে স্বপ্ন দেখে, তার ভাই/বোন অনেকদিন বাঁচবে ও ভালো জীবন পাবে। সে ভাবে, স্বর্গে Carton-এর জন্য অপেক্ষা করাটা কি অনেক দীর্ঘ মনে হবে? Carton কোমলভাবে উত্তর দেয়, “সেখানে সময়ের কোন বেড়াজাল নেই, আর দুঃখও নেই।” তারপর মেয়েটি ধীরে জিজ্ঞেস করে, “এখন কি সময় হয়ে গেছে?” Carton বলেন, হ্যাঁ। তারা এক স্নিগ্ধ বিদায় এবং একটি চুম্বনে তাদের শেষ মুহূর্ত ভাগ করে নেয়।
তারা সেই চত্বরে পৌঁছে যায়, যেখানে গিলোটিন দাঁড়িয়ে আছে। চারপাশে জনতা ভিড় করে আছে। কেউ কেউ চুপ করে বসে বুননের কাজ করছে, রক্তপাত দেখার জন্য অপেক্ষা করছে। Madame Defarge-এর জন্য বরাদ্দকৃত একটি চেয়ার খালি পড়ে আছে যিনি এখন মৃত। সেলাই করা মেয়েটি ও Carton ছিল শেষ দুইজন। প্রথমেমেয়েটিকে আগে ডাকা হয় সে ছিল বাইশ নম্বর। তার পর Carton তেইশ নম্বর কয়েদী। এইভাবে Carton নিজের জীবনকে উৎসর্গ করে।
Carton কিছু বলে না, কিন্তু Charles Dickens তার হৃদয়ের শেষ ভাবনার ছবি তুলে ধরেন। Carton তার অন্তরে এক নতুন পৃথিবী দেখতে পায়। সে Lucie-কে Charles Darnay-এর সঙ্গে নিরাপদ/ সুরক্ষিত দেখে। সে তাদের সন্তানকে বড় হতে দেখে, তার নামের সম্মান রক্ষা করতে করতে দেখে। সে দেখে, ইংল্যান্ডে আবার শান্তি ফিরে এসেছে। সে কল্পনা করে, ধ্বংসের মাঝখান থেকে এক নতুন ফ্রান্স জেগে উঠছে। সে বিশ্বাস করে, এই সময়ের অশুভতা একদিন কেটে যাবে। Carton তার জীবন দিয়ে ভালোবাসা, অর্থ, আর শান্তি খুঁজে পায়। সে শান্ত মনে মৃত্যুকে আলিঙ্গন করে। তার আত্মত্যাগ তার ভালোবাসার মানুষদের জন্য জীবন, ভালোবাসা ও মুক্তি নিয়ে আসে। সে যুদ্ধ কিংবা খ্যাতির মধ্য দিয়ে নয়, বরং নিঃস্বার্থ ভালোবাসা ও নীরব সাহসের মাধ্যমে একজন সত্যিকারের নায়ক হয়ে ওঠে।
সংক্ষেপে, A Tale of Two Cities উপন্যাসটি গভীর দুঃখের ভেতর থেকে শেষ জন্ম নেওয়া এক আশার আলোর মাধ্যমে শেষ হয়। বিপ্লব বহু জীবন কেড়ে নেয়, কিন্তু পরিবর্তনও আনে। একসময় যে Sydney Carton ছিল এক পরাজিত ও নষ্টপ্রায় মানুষ, সে হয়ে ওঠে নিঃস্বার্থ ভালোবাসার প্রতীক। সে Lucie-কে দেওয়া প্রতিশ্রুতি রক্ষা করে। তার শেষ কাজ একটি পরিবারকে রক্ষা করে এবং তার নিজের জীবনকে নতুন অর্থ প্রদান করা। এই গল্প আমাদের দেখায়, সবচেয়ে অন্ধকার সময়েও এক সাহসী সিদ্ধান্ত পথ দেখাতে পারে। Dickens আমাদের মনে করিয়ে দেন যে অত্যাচার শেষ পর্যন্ত শাস্তি পায়, কিন্তু দয়া, ভালোবাসা ও মুক্তি চিরকাল বেঁচে থাকে।
Themes
১. পুনর্জন্ম ও নতুন জীবন: এই উপন্যাসের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল পুনর্জন্ম। ডাঃ ম্যানেট ১৮ বছর জেলে থাকার পর পুনরায় স্বাভাবিক “জীবনে ফিরে আসার” সুযোগ পায়। লুসির ভালোবাসা তাকে সুস্থ হতে সাহায্য করে। সিডনি কার্টনও তার আত্মত্যাগের মাধ্যমে নতুন জীবন খুঁজে পায়। সে চার্লস ডার্নেকে বাঁচাতে নিজের জীবন দিয়ে দেয়। তার মৃত্যু তার ব্যর্থ জীবনকে অর্থবহ করে তোলে। কার্টন এক খ্রিস্ট-সদৃশ চরিত্র হয়ে ওঠে। সে এক উজ্জ্বল ভবিষ্যতের উপর বিশ্বাস রাখে। ভালোবাসা ও আত্মত্যাগের মাধ্যমে মানুষ আবার আশার আলো পেতে পারে। এই বিষয়টি দেখায়, কষ্টের মধ্যেও নতুন জীবনের সুযোগ থাকে।
২. আত্মত্যাগের প্রয়োজনীয়তা: সিডনি কার্টনের আত্মত্যাগ উপন্যাসের সবচেয়ে শক্তিশালী অংশ। সে লুসির পরিবারকে রক্ষা করতে নিজের জীবন উৎসর্গ করে। অন্যরা সুখে থাকবে ভেবে চার্লস ডার্নের জায়গায় সে মৃত্যু বরণ করে। এই কাজটি তাকে স্থায়ীভাবে বদলে দেয়। বিপ্লবের মাঝেও আত্মত্যাগ রয়েছে। অনেক মানুষ নিরাপত্তা ও পরিবার ছেড়ে আদর্শের জন্য লড়াই করে। ডাঃ ম্যানেটও অন্যদের জন্য কষ্ট সহ্য করেন। এই উপন্যাস শেখায়, প্রায়ই বড় ক্ষতির পরই সত্যিকারের সুখের আগমন ঘটে। আত্মত্যাগ ন্যায় ও শান্তি বয়ে আনে। এটি একটি ভাঙা জীবনের নতুন অর্থ খুঁজে দেয়।
৩. সহিংসতা ও প্রতিশোধ: ডিকেন্স ফরাসি বিপ্লবের দুটি দিকই দেখিয়েছেন। ধনীদের দ্বারা দরিদ্ররা অত্যাচারিত হয়েছিল। কিন্তু পরে তাদের প্রতিশোধও ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠে। ম্যাডাম ডিফার্জ শান্তি নয়, রক্ত চায়। জনতা মৃত্যুর আনন্দ উপভোগ করে। গিলোটিন হয়ে ওঠে এক ভয়ের অস্ত্র। ডিকেন্স অন্ধ প্রতিশোধের বিরুদ্ধে সতর্ক করেছেন। তিনি দেখিয়েছেন ঘৃণা আরও ঘৃণার জন্ম দেয়। যখন মানুষ অন্যায়ের বিরুদ্ধে অন্যায় করে, তখন ন্যায়বিচার হারিয়ে যায়। এই বিষয়টি আমাদের শেখায়—সত্যিকারের পরিবর্তন আনতে কেবল রাগ নয়, ভালোবাসাও দরকার।
আরো পড়ুনঃ Tess of the d’Urbervilles Bangla Summary
৪. শ্রেণি সংঘাত ও সামাজিক অবিচার: ধনী শ্রেণি আরামে বাঁচে, দরিদ্ররা কষ্টে থাকে। মার্কুইস দরিদ্র মানুষদের পশুর মতো ব্যবহার করে। সে বলে, সুযোগ পেলে সে গাড়ি চালিয়ে তাদের পিষে ফেলত। এই নিষ্ঠুরতা ফরাসি বিপ্লবের জন্ম দেয়। ডিকেন্স দেখিয়েছেন অসমতা সহিংসতার জন্ম দেয়। তবে প্রতিশোধ দিয়ে ন্যায় প্রতিষ্ঠা হয় না। উপন্যাসটি শ্রেণি বিভাজনের বিপদ সম্পর্কে সতর্ক করে। এটি সকল মানুষের জন্য ন্যায় ও সম্মানের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে।
৫. ভালোবাসা ও পরিবার—একটি নিরাময়ের শক্তি: লুসি ম্যানেট তার পরিবারের হৃদয়। তার ভালোবাসা অন্যদের শান্তি দেয়। সে তার বাবাকে কারাগারের কষ্ট থেকে পুনরুদ্ধার করতে সাহায্য করে। সে তার স্বামীকে বিচার চলাকালে সাহস দেয়। এমনকি সিডনি কার্টনও তার মাধ্যমে আশার আলো খুঁজে পায়। ভালোবাসা কঠিন সময়ে শক্তি দেয়। পরিবার সান্ত্বনা ও উদ্দেশ্য দেয়। ডিকেন্স দেখিয়েছেন—মমতা গভীর আঘাতও সারাতে পারে। লুসির ভালোবাসার সোনালি সুতো সবার মধ্যে বন্ধন তৈরি করে।
অন্যান্য বিষয়বস্তু: “ভাগ্য” একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। চার্লস ডার্নে ও ডাঃ ম্যানেটের জীবনে যেন অদৃশ্য শক্তি কাজ করে। প্রতিশোধে এবং বিচারের মধ্য দিয়ে”ন্যায়বিচার”-এর বিষয়টি ফুটে ওঠে। আইন যখন ব্যর্থ হয়, মানুষ তখন নিজের হাতে বিচার করতে চায়। নির্যাতন ও বিপ্লব উপন্যাসের কেন্দ্রীয় বিষয়। সহিংসতার মাধ্যমে প্রকৃত স্বাধীনতা অর্জন করা যায় না। “বিপরীতমুখীতার বিষয়টি শোষকরা কিভাবে শিকারে পরিণত হয় এবং, আর শিকারীরা কিভাবে শোষকে পরিণত হয় তা তুলে ধরে। মিস প্রসের বিশ্বস্ততা, জার্ভিস লরির সদয়তা, আর লুসির শক্তি—সবই নিষ্ঠুর পৃথিবীতে মানবীয় গুণাবলীর শক্তিকে তুলে ধরে।
Quotes:
Major Quotes:
1.
“It was the best of times and it was the worst of times;
It was the age of wisdom and it was the age of foolishness;…” Book one, Chapter I
( “এটি ছিল সর্বোত্তম সময়, আবার সবচেয়ে খারাপ সময়; এটি ছিল প্রজ্ঞার যুগ, আবার মূর্খতার যুগ;…”)
Explanation: This is the opening line of the novel. It highlights the contradictions of 1775. Dickens sets the historical context of the French Revolution. It shows how extreme poverty and oppression lived beside hope and renewal. It sets the tone for a historical novel full of chaos and change.
2. About Lucie Manette Narrator say:
“She was the golden thread that united him to a Past beyond his misery…” (Book Two, Chapter IV– Narrator )
“সে ছিল সোনালি সুতো, যা তাকে তার দুঃখের অতীতের সঙ্গে যুক্ত করেছিল…”
Explanation: This line describes Lucie’s deep influence on her father. Her love brings Dr. Manette back to life emotionally. She represents selfless love, healing, and peace in a time of violence.
3. Lucie says to darney.
“I can bear it, dear Charles; I am supported from above. Don’t suffer for me.” (Book Three, Chapter XI)
“আমি সহ্য করতে পারি, প্রিয় চার্লস; উপরের শক্তি আমাকে সাহস দিচ্ছে। আমার জন্য কষ্ট পেও না।”
Explanation: This line shows that Lucie is strong, brave, and full of faith. She is A Patient and Realistic Woman.
4. Sydney Carton says to Lucie,
“For you, and for any dear to you, I would do anything.” (Book two, Chapter XIII )
“তোমার জন্য, আর তোমার যেকোনো প্রিয় জনের জন্য, আমি যেকোনো কিছু করতে পারি।”
Explanation: Carton confesses his love to Lucie and promises to sacrifice anything for her or her family. This is the emotional foundation for his final heroic act. It reveals his deep, selfless love.
5. Docoe manatte curse the Evrémonde family:
“And them and their descendants, to the last of their race,” (Book three, chapter X)
“ (অভিশাপ) তাদের ও তাদের বংশধরদের, তাদের জাতির শেষ পর্যন্ত।”
Explanation: Dr. Manette cursed the Evrémonde family and all their future generations. This curse was used in court as proof to punish Darnay.
6. About Madame Defarge:
“She was absolutely without pity.”– Book Three, Chapter XIV
“সে ছিল একেবারেই নির্দয়।”
Explanation: This line describes Madame Defarge’s heartless pursuit of revenge. Dickens criticizes the bloodlust of the revolutionaries who lose their humanity in the name of justice.
7. About Revolution & guillotine:
“Liberty, equality, fraternity, or death;—the last, much the easiest to bestow, O Guillotine!” Book Third, Chapter V – Narrator
“স্বাধীনতা, সাম্য, ভ্রাতৃত্ব, অথবা মৃত্যু;—তাদের মধ্যে শেষটিকেই সবচেয়ে সহজে দেয়া যায়, হে গিলোটিন!”
Explanation: This bitter line criticizes the French Revolution. It shows how slogans of freedom became excuses for mass execution. Dickens sees the guillotine as a false symbol of justice and freedom.
8. About Bastil:
“The Bastille is taken, and the prisoners are free.”
Book Two, Chapter XXI – Narrator
“বাস্তিল দখল করা হয়েছে, আর বন্দিরা এখন মুক্ত।”
Explanation: This marks the beginning of the French Revolution. The storming of the Bastille represents rebellion and the people’s fight to reclaim justice and dignity.
9. Carton’s final thought:
“It is a far, far better thing that I do, than I have ever done…”
Book Three, Chapter XV
“এটি অনেক, অনেক উত্তম কাজ যা আমি করছি, যা আমি আগে কখনও করিনি…”
Explanation: This famous closing line expresses Carton’s peace and purpose in dying for others. It is the ultimate statement of love, sacrifice, and spiritual rebirth.
10. Sydney Carton thoughts before death:
“I see a beautiful city and brilliant people rising from this abyss…” Book Three, Chapter XV – Sydney Carton
“আমি এক সুন্দর শহর এবং উজ্জ্বল মানুষদের এই অতল গহ্বর থেকে উঠে আসতে দেখছি…”
Explanation: Carton imagines a hopeful future as he dies. His sacrifice gives meaning to his life and brings peace to others. Dickens uses this to show resurrection, redemption, and lasting love.
11. About the guillotine:
“It was the sign of the regeneration of the human race. It superseded the Cross.”
(Book three, Chapter IV)
আরো পড়ুনঃ Pride and Prejudice Bangla Summary
“এটি ছিল মানবজাতির পুনর্জন্মের প্রতীক। এটি ক্রুশকে প্রতিস্থাপন করেছিল।”v
Explanation: It expresses that during the French Revolution, people saw the guillotine as more important than the Christian Cross. They believed killing enemies would create a better society. They replaced faith and peace with violence and bloodshed.
12. Theme of resurrection:
“I am the resurrection and the life, saith the Lord…” Book Three, Chapter XV – Narrator quotes from the Bible
“আমি পুনরুত্থান এবং জীবন, প্রভু বলেন…”
Explanation: This passage echoes Carton’s inner peace before death. He sees his sacrifice as a spiritual rebirth, reflecting the novel’s major theme of resurrection.
Minor quotes:
1. Madame Defarge to lucie,
“Judge you! Is it likely that the trouble of one wife and mother would be much to us now?” (Book Three, Chapter III) “
“তোমার বিচার করব! এখন একজন স্ত্রী এবং মায়ের দুঃখ কি আমাদের কাছে খুব বেশি গুরুত্ব পাবে?”
2.“The wine was red wine, and had stained the ground of the narrow street…”
Book One, Chapter – V
” সেই মদ ছিল লাল রঙের, আর সেটা সরু রাস্তার মাটিকে রঞ্জিত করেছিল…”
Explanation: This scene shows poor people scrambling for spilled wine. The red wine symbolizes blood, foreshadowing the coming violence of the Revolution.
3. Marquis St. Evrémonde:
“Repression is the only lasting philosophy. (Book two, Chapter IX )
(“দমনই একমাত্র চিরস্থায়ী দর্শন।”)
Explanation: This statement shows the cruelty of the French aristocracy. The Marquis believes that ruling by fear is the only way. Dickens uses him to criticize the corrupt upper class, which helped trigger the Revolution.
4. About contemporary people:
“A multitude of people and yet a solitude.” Book One, Chapter VI – Narrator
“অগণিত মানুষের ভিড়, তবুও একাকিত্ব।”
Explanation: This describes London and Paris. Despite the busy crowds, people are isolated and lonely. Dickens reflects the emotional distance and hidden pain of individuals in a troubled society.
5. Written note left on the dead Marquis:
“Drive him fast to his tomb. This, from Jacques.”
Book Two, Chapter IX – Narrator
“তাকে দ্রুত তার কবরে নিয়ে চলো। — জ্যাকের পক্ষ থেকে।”
Explanation: This note reveals the start of organized revolutionary violence. The use of “Jacques” shows how peasants were uniting in secret against aristocrats like the cruel Marquis.
6. Darnays Birth:
I am a Frenchman born, (Book two, chapter XXIV)
“ আমি জন্মসূত্রে একজন ফরাসি…”
Explanation: Here, Charles Darnay expresses his actions or decisions are influenced by the fact that France is his birthplace. He feels a natural sense of responsibility toward it.
7. Sydney Carton:
“I care for no man on earth, and no man on earth cares for me.” Book two , Chapter IV –
“আমি পৃথিবীর কোনো মানুষের জন্য চিন্তা করি না, আর পৃথিবীর কোনো মানুষ আমার জন্য চিন্তা করে না।”
Explanation: This quote shows Carton’s loneliness and lack of self-worth early in the novel. It makes his later sacrifice more powerful. It shows how much he changes out of love for Lucie.
8. Sydney Carton says to Lucie Manette:
“You have been the last dream of my soul.”- Book Two, Chapter XIII
“তুমি আমার আত্মার শেষ স্বপ্ন।”
Explanation: Carton confesses his unspoken love to Lucie. This emotional quote shows his inner goodness and desire for meaning, even though he expects no return.
9. Carton’s imagined vision:
“I see Her with a child upon her bosom, who bears my name..”
Book Three, Chapter XV – Narrator
“আমি তাকে দেখছি, তার বুকে একটি শিশু, যে আমার নাম বহন করছে…”
Explanation: Before dying, Carton imagines Lucie happy with her child. This shows the peace he feels in giving his life for her future.
10. Carton’s imagination:
“There is a man who would give his life to keep a life you love beside you.”
Book Three, Chapter XIII – Sydney Carton (to Lucie)
“একজন মানুষ আছে, যে নিজের জীবন দিতেও প্রস্তুত, যেন তুমি যাকে ভালোবাসো, সে তোমার পাশে বেঁচে থাকতে পারে।”
Explanation: Carton says this to assure Lucie of his devotion. It foreshadows his final act of sacrifice and underlines the theme of selfless love.
11. Mr. Lorry to D. Manatte:
“You know that you are recalled to life?” –Book One, Chapter III –
“তুমি জানো যে তোমাকে আবার জীবনে ফিরিয়ে আনা হয়েছে?”
Explanation: This refers to Dr. Manette’s return from prison. “Recalled to life” is a key theme, symbolizing spiritual resurrection and hope after suffering.
12. Carton say about himself in prison:
“I am not afraid to die, Citizen Evrémonde, but I have done nothing. (Book three, Chapter XIII)
“আমি মৃত্যুকে ভয় পাই না, সিটিজেন এভ্রেমোন্ড, কিন্তু আমি কিছুই (কোন অপরাধ) করিনি।”
13 Jackle and Lion:
“At length, the jackal had got together a compact repast for the lion, and proceeded to offer it to him.” (Book Two, Chapter V)
“অবশেষে, শেয়াল সিংহের জন্য একটি সুনিপুণ ভোজ প্রস্তুত করেছিল এবং তা তাকে পরিবেশন করল।”
Explanatio: The lion symbolizes visible power, authority, and ambition. The qualities Stryver likes to display.
14. “Although Sydney Carton would never be a lion, he was an amazingly good jackal.” Book Two, Chapter V
“যদিও Sydney Carton কখনো সিংহ হতে পারত না, সে ছিল আশ্চর্যজনকভাবে দক্ষ এক শেয়াল।”
Explanation: The lines expresses The Jackal (Carton) stands for quiet hard work, support, and sacrifice.
আরো পড়ুনঃ Jane Eyre Bangla Summary
বিবিধ আলোচনা – A Tale of Two Cities:
ফরাসি বিপ্লব: ফরাসি বিপ্লব এই উপন্যাসের পটভূমি তৈরি করেছে। Dickens অন্যায় কীভাবে সহিংস পরিবর্তনের জন্ম দেয় তা তুলে ধরেন। অভিজাতরা বিলাসিতায় থাকে আর গরিবরা অনাহারে কষ্ট পায়। Marquis Evrémonde নির্মম অভিজাতদের প্রতিনিধিত্ব করে। সে কোন অনুতাপ ছাড়াই একটি শিশুকে গাড়ি চাপা দিয়ে মেরে ফেলে। মানুষ ক্রোধে ফেটে পড়ে। ভয়ে তারা কিছুই বলতে পারেনা। এরপর তারা বাস্তিল দুর্গ আক্রমণ করে এবং ধনীদের হত্যা করে। Dickens পরিবর্তনের প্রয়োজনীয়তাকে সমর্থন করলেও সহিংসতার বিরুদ্ধে সবাইকে সতর্ক করেন। জনতা অভিজাতদের মতোই নিষ্ঠুর হয়ে ওঠে। বিপ্লব Madame Defarge-এর মতো মানুষের হাতে ক্ষমতা অর্পণ করে। কিন্তু সে ন্যায়ের জন্য নয় বরং প্রতিশোধের জন্য এই ক্ষমতা ব্যবহার করে। উপন্যাসটি, প্রতিশোধ যে আরও ভোগান্তি বয়ে আনে তা শেখায়। রক্তপাতের মাধ্যমে নয় বরং ভালোবাসা ও প্রজ্ঞার মাধ্যমে সত্যিকার পরিবর্তন আনায়ন করা সম্ভব।
নিঃস্বার্থ ভালোবাসা: Sydney Carton চরিত্রের মাধ্যমে নিঃস্বার্থ ভালোবাসা সবচেয়ে উজ্জ্বল হয়ে ওঠে। সে Lucie-কে গভীরভাবে ভালোবাসে, কিন্তু কখনও এর বিনিময়ে কিছু চায় না। যখন Charles Darnay মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত হয় Carton তার স্থানে মৃত্যুবরণ করার সিদ্ধান্ত নেয়। সে বলে, “এটি অনেক অনেক উত্তম কাজ যা আমি করছি, যা আমি আগে কখনও করিনি…”। তার এই আত্মত্যাগ Lucie ও তার পরিবারকে নতুন জীবন দেয়। Lucie-ও নিঃস্বার্থ ভালোবাসার পরিচয় দেয়। সে বাবার প্রতি অনুগত থাকে এবং তাঁকে সুস্থ করে তুলতে সাহায্য করে। Dr. Manette Lucie-কে এত ভালোবাসেন যে তাঁর স্বামীকে বাঁচানোর জন্য নিজের সবকিছু ঝুঁকিতে ফেলেন। উপন্যাসে ভালোবাসা শুধু অনুভূতি নয় বরং এটি একটি কর্ম যা নিজের কষ্টের বিনিময়ে হলেও অন্যকে অগ্রাধিকার প্রদান করে।
টেলসনের ব্যাংক: উপন্যাসে Tellson’s Bank বারবার আসে। এটি পুরনো ঐতিহ্যর প্রতীক। ব্যাংকটি ছোট, অন্ধকার ও সেকেলে ধাঁচের। Mr. Lorry সারাজীবন সেখানে কাজ করেন। তিনি অনুগত, শান্ত ও বাস্তববাদী।এটি ইংল্যান্ডের প্রতীক যা স্থিতিশীল কিন্তু পরিবর্তনে খুবই ধীরগতি সম্পন্ন। বিপ্লবের সময় এটি নিরাপদ আশ্রয়স্থলে পরিণত হয়। Lucie, তাঁর বাবা এবং অন্যরা বিপদের সময় এখানে অবস্থান করেন। এই ব্যাংক লন্ডন ও প্যারিসকে যুক্ত করে। Tellson’s Bank এর মাধ্যমে Dickens দেখিয়েছেন কঠিন সময়েও ব্যবসা, কর্তব্য ও বিশ্বাস টিকে থাকতে পারে। চারপাশের পৃথিবী বদলেও Tellson’s Bank শিলার মতো অটল থাকে।
বাস্তিল দুর্গে আক্রমণ: বাস্তিল দুর্গ দখল একটি মোড় ঘোরানো মুহূর্ত। এই কারাগার ছিল অত্যাচারের প্রতীক। Dr. Manette এখানে ১৮ বছর কষ্ট ভোগ করেছেন। যখন জনতা এখানে হামলা করে, তারা প্রতিশোধ নিতে চায়। Defarge আক্রমণের নেতৃত্ব দেন। Madame Defarge ক্রোধে পূর্ণ। সে Evrémonde পরিবারকে ধ্বংস করার প্রমাণ খুঁজতে Dr. Manette-এর পুরনো কক্ষে খুঁজে বেড়ায়। বাস্তিল পতন জনগণের শক্তিকে তুলে ধরে। এছাড়াও স্বাধীনতা কীভাবে সহিংস রূপ নিতে পারে তা প্রদর্শন করে। Dickens এই দৃশ্য দিয়ে ইতিহাসের গৌরব ও বিপদের মিশ্র রূপ ফুটিয়ে তুলেছেন। এটি ন্যায়বিচার ও উন্মাদনার সংমিশ্রিত মুহূর্ত।
ভাঙা মদের পাত্র: উপন্যাসের শুরুর দিকে এক দৃশ্যে, একটি মদের পিপে (পানি বা মদ রাখা যায় এরকম চুঙ্গা আকৃতির পাত্র) রাস্তায় ভেঙে যায়। গরিব মানুষ মাটি থেকে মদ পান করার জন্য ছুটে আসে। তাদের হাত ও মুখ লাল হয়ে যায়। Dickens লিখেছেন, “সময় আসবে, যখন সেই মদও রাস্তাঘাটের পাথরের উপর ঢলে পড়বে।” এটি রক্তের প্রতীক। লাল মদ বিপ্লবের সহিংসতার পূর্বাভাস দেয়। এটি মানুষের ক্ষুধা ও দুঃখের ছবি তুলে ধরে। ছড়িয়ে পড়া মদ কেবল পানীয় নয় বরং এটি আসন্ন বিপদের প্রতীক। পাঠককে আগাম সতর্ক করার জন্য Dickens এই চিত্রটি ব্যবহার করেছেন ।
ম্যাডাম ডিফার্জের বুনন/সেলাই: Madame Defarge নীরব কিন্তু বিপজ্জনক চরিত্র। সে সবসময় বুনন/সেলাই করে। কিন্তু সে কোনো আনন্দের জন্য এই সেলাই করে। সে মৃত্যুদণ্ডের জন্য চিহ্নিত মানুষের নাম বুনে/সেলাই করে রাখে। তার বোনা কাজই তার অস্ত্র যা শীতল, নীরব এবং প্রাণঘাতী। সে কখনও অতীতকে ভোলে না। Evrémonde পরিবারের হাতে তার পরিবার কষ্ট সহ্য করেছে। এখন সে তার প্রতিশোধ চায়। অন্যরা পরিবর্তিত হলেও সে থামে না। তার এই বুননের কাজ নীরবে বেড়ে ওঠা ঘৃণার প্রতিচ্ছবি এবং যা উপযুক্ত সময়ে নিষ্ঠুরভাবে আঘাত করে। Dickens এই প্রতীকের মাধ্যমে ব্যক্তিগত যন্ত্রণা কীভাবে চরম নিষ্ঠুরতায় রূপ নেয় তা তুলে ধরেন।
