fbpx

Pride and Prejudice Bangla Summary

Key Facts:

  • Full title: “Pride and Prejudice”
  • Author: Jane Austen (1775-1817)
  • Type of work: Novel
  • Genre: Comedy of manners 
  • Language: English
  • Time and place setting: Rural England, between 1796 and 1813.
  • Published Date: 1813
  • Publisher: Thomas Egerton of London
  • Narrator: Third-person omniscient
  • Tense: Past tense
  • Tone: Comic.
  • Total Words: Approximately 708,000 characters, including spaces.
  • Learning outcome: “True love can overcome social conventions and personal faults.” 

দম্পতি সমূহ:

Elizabeth Bennet and Mr. Darcy, Jane Bennet and Mr. Bingley, Charlotte Lucas and Mr. Collins, and Lydia Bennet and Mr. Wickham etc.

চরিত্র সমূহ  

এই উপন্যাসটিতে মোট প্রায় ৩৩ টি চরিত্র রয়েছে। তবে কিছু কিছু চরিত্র কে আমরা গল্পে খুঁজে নাও পেতে পারি। প্রধানতম চরিত্রগুলোর সংক্ষিপ্ত বিবরণী জেনে নেওয়া যাক। তারপূর্বে আরেকটি কথা: এ চরিত্রগুলো মনে রাখা যথেষ্ট কষ্টসাধ্য। তাই  এখানে আমি একটি নতুন কৌশলে চরিত্রগুলো উপস্থাপন করব। উপন্যাসটি মূলত তিনটি পরিবারকে কেন্দ্র করে বর্ণিত হয়েছে। বেনেট পরিবার, ডার্সি পরিবার এবং বিঙ্গলে পরিবার। আমরা যদি এই পরিবারের সাথে সংশ্লিষ্ট চরিত্রগুলোকে আলাদা আলাদা ভাবে মনে রাখি তাহলে মনে রাখতে আমাদের সুবিধা হবে।

ইউটিউবে ভিডিও লেকচার দেখুনঃ


আরও পড়ুন: The love song of J. Alfred Prufrock

বেনেট পরিবারের সাথে সংশ্লিষ্ট চরিত্রসমূহ নিম্নরূপ:

এই পরিবারের স্বামী স্ত্রী ও সন্তান সহ মোট সাতজন মূল সদস্য। তাছাড়া তাদের কিছু আত্মীয়-স্বজন আমরা দেখতে পাই। উল্লেখ্য এই পরিবারের কোন ছেলে সন্তান নেই।

Mr. Bennet: তিনি এই পরিবারের প্রধান কর্তা, একজন স্বামী ও পিতার দায়িত্ব পালন করেন। মধ্যবয়সী ভদ্রলোকটি বিভিন্ন হাস্যরসাত্মক ঘটনা ঘটিয়ে সব সময় তার স্ত্রীকে জ্বালাতে ভালবাসেন।

Mrs. Bennet: এই পরিবারের স্ত্রী এবং মা তিনি। বাচাল প্রকৃতির এই মহিলাটি তার মেয়েদেরকে সম্পদশালী মানুষের সাথে বিয়ে দেয়ার জন্য সব সময় চিন্তিত থাকেন।

Jane Bennet: বেনেট কন্যাদের মধ্যে সবচেয়ে বড় এবং সুন্দরী। তিনি বিঙ্গলের ভালবাসায় আবদ্ধ রয়েছেন।

google news

Elizabeth Bennet: এই উপন্যাসের প্রধান চরিত্র এবং বেনেট কন্যাদের মধ্যে দ্বিতীয়। যিনি সবচেয়ে বুদ্ধিমতী এবং বিচক্ষণ; বেশ সুশিক্ষিতও বটে। উপন্যাসের শেষ পর্যায়ে সকল ভুলভ্রান্তির অবসান ঘটিয়ে ডার্সির সাথে তার বিয়ে হয়।

Mary Bennet: বেনেট কন্নাদের মধ্যে তৃতীয় যিনি বই পড়তে খুবই ভালোবাসেন।

Catherine Bennet: মিনিট কন্যাদের মধ্যে চতুর্থ। যার ডাকনাম Kitty.

Lydia Bennet: আত্মকেন্দ্রিক এই মেয়েটি বেনেট কন্যাদের মধ্যে সবচেয়ে ছোট। উপন্যাসের একপর্যায়ে তিনি উইকহ্যাম নামের এক সেনা সদস্যের সাথে পালিয়ে বিয়ে করেন।

Mr. Gardiner: মিসেস বেনেটের ভাই।

Mrs. Gardiner: মিস্টার গার্ডীনারের স্ত্রী।

Mrs. Phillips: মিসেস বেনেটের ছোট বোন। তিনি তার স্বামীর সাথে দূরে অবস্থান করেন। যেখানে বেনেট কন্যারা সময় পেলে মাঝে মাঝে ঘুরতে যায়।

Mr. Collins: বেনেট বোনদের দূর সম্পর্কের কাজিন।

Charlotte Lucas: এলিজাবেথের ঘনিষ্ঠ বন্ধু যার সাথে মিঃ কলিন্সের বিয়ে হয়।

Maria Lucas: শার্লট লুকাসের ছোট বোন।

Sir William Lucas: শার্লট ও মারিয়া Lucas এর পিতা। মূলত এই লুকাস পরিবার বেনেট পরিবারের প্রতিবেশী এবং তাদের মধ্যে একটি ভালো সম্পর্ক রয়েছে।

Mrs. Lucas: Sir William Lucas এর স্ত্রী।

Mr. Wickham: একজন সেনা সদস্য যার সাথে লিডিয়ার বিয়ে হয়।

Mr. Denny: একজন সেনা সদস্য যিনি বেনেট কন্যাদেরকে  Wickham এর সাথে পরিচয় করিয়ে দেন।

Miss King: মেরিটনে বাসকৃত এই মহিলার কিছু সম্পত্তি ছিল। যার লোভে পরে Wickham তার প্রতি দুর্বল হয় এবং এলিজাবেথ থেকে এই আকাঙ্ক্ষা Wickham কে দূরে রাখে।

Colonel Forster: একজন সেনা অফিসার। লিডিয়াকে পালিয়ে বিয়ে করতে তিনি সহযোগিতা করেছিলেন এবং পরবর্তীতে লিডিয়াকে খুঁজে পেতে Mr. Gardiner and Mr. Bennet কে তিনি সহযোগিতা করেন।

Mrs. Forster: তিনি কর্নেল ফস্টারের স্ত্রী যিনি লিডিয়াকে ব্রাইটনে নিয়ে যেতে সহযোগিতা করেছিলেন।

 ডার্সির পরিবারের সাথে সংশ্লিষ্ট চরিত্রসমূহ:

Fitzwilliam Darcy (Mr. Darcy): অত্যন্ত ধনী এই যুবকটি Pemberley Estate এর মালিক। অত্যন্ত বুদ্ধিমান এবং বিচক্ষণ হওয়া সত্ত্বেও শুধুমাত্র তার অহংবোধের কারণে সমাজে সে সঠিক মর্যাদা পায় না। এই উপন্যাসের অন্যতম প্রধান দুই চরিত্রের একজন যিনি প্রাইডকে রিপ্রেজেন্ট করেন।

Lady Catherine de Bourgh: সম্পর্কে তিনি ডার্সির খালা। এই মহিলাটি অত্যন্ত ধনী এবং অহংকারী। তিনি এলিজাবেথকে মধ্যবিত্ত হওয়ার কারণে ডার্সি থেকে দূরে সরে থাকতে বলেন। 

Miss de Bourgh: তিনি লেডি ক্যাথরিন এর কন্যা। তার মা এই স্বল্পভাষী মেয়েটিকে ডার্সির সাথে বিয়ে দেওয়ার চেষ্টা চালান।

Colonel Fitzwilliam: তিনি ডার্সির কাজিন যিনি ডারসিকে, তার খালা লেডি Lady Catherine এর বাড়িতে বেড়াতে নিয়ে যেতে সহযোগিতা করেন।

Georgiana Darcy: তিনি ডার্সির বোন। এলিজাবেথের সাথে প্রথম দেখা থেকেই তার খুব ভালো সম্পর্ক। বিঙ্গলের বোন মনে করতেন তার সাথে বিঙ্গলের বিয়ে দিয়ে তাদের সম্পত্তি রক্ষা করবেন।

Miss Younge: Georgiana Darcy এর তিনি গৃহশিক্ষিকা ছিলেন। ডারসি যখন Wickham and Lydia এর বিয়ে দেন তখন তিনি ভালো ভূমিকা রেখেছিলেন।

Mrs. Jenkinson: তিনি ক্যাথারিনের কন্যা Miss de Bourgh এর সহযোগী ছিলেন।

Mrs. Annesley: তিনি পেম্বার্লিতে জর্জিয়ানা ডারসির সঙ্গী ছিলেন।

Mrs. Reynolds: তিনি Pemberly Estate এর  গৃহ পরিচালিকা ছিলেন।

Bingley এর পরিবারের সাথে সম্পর্কিত চরিত্রগুলো:

Mr. Bingley: Darcy এর খুবই নিকটতম বন্ধু মিস্টার Bingley একজন অত্যন্ত ধনী ব্যাক্তি ছিলেন। তিনি বেনেট পরিবারের গ্রাম Longbourn এর কাছে নেদার ফিল্ড পার্ক নামে একটি সম্পত্তি ক্রয় করেছেন। উপন্যাসের শুরু থেকেই তিনি জেনকে ভালবাসেন এবং শেষ পর্যন্ত বিয়েও করেন।

Caroline Bingley: তিনি মিস্টার Bingley এর ছোট বোন। খুবই অহংকারী এই মহিলা এলিজাবেথকে তার সামাজিক অবস্থানের জন্য গালমন্দ করতেন। তিনি ডারসিকে মনে মনে বিয়ে করতে চাইতেন।

Mrs. Hurst: তিনি Bingley এর বড় বোন। ক্যারোলিনের মত তিনিও খুব অহংকারী। কিন্তু তিনি বেনেট বোনদেরকে ততটা গালমন্দ করতেন না। স্বামীর প্রতি তার খুব সামান্যই নজর রয়েছে।

Mr. Hurst: Mrs. Hurst এর স্বামী। খুবই অলস প্রকৃতির ব্যক্তি। উপন্যাসটিতে তাকে খুব একটা দেখা যায় না। তিনি সবসময় খাওয়া-দাওয়া এবং তাস খেলায় ব্যস্ত থাকেন।

Themes of the Novel:

Love: এই নভেলের সবচেয়ে আলোচিত থিমটি হলো প্রেম। মূলত ডারসি এবং এলিজাবেথের প্রেমকে ঘিরেই উপন্যাসটির রচিত। তবে উপন্যাসের গল্প বর্ণনা করতে গিয়ে লেখক আরো কিছু প্রেম কাহিনী তুলে ধরেছেন।

Social Class: শ্রেণী বৈষম্য এই উপন্যাসের আরও একটি উল্লেখযোগ্য থিম। আমরা দেখি বিঙ্গলের বোন কিভাবে এলিজাবেথকে তার নিচু সামাজিক অবস্থানের জন্য গালমন্দ করেন।

Marriage: বিয়ে মানব জীবনের একটি অত্যাবশকীয় অধ্যায়। পৃথিবীর সৃষ্টি থেকে আজ পর্যন্ত এর প্রয়োজনীয়তা সর্বোচ্চ। এই উপন্যাসটিতেও বিয়ের বিষয়টিকে অতীব প্রাধান্য দিয়ে লেখক ফুটিয়ে তুলেছেন।

Women Power: নারীর ক্ষমতায়ন শুরু থেকে আজ পর্যন্ত একটি আলোচিত বিষয়। এই উপন্যাসে আমরা দেখতে পাই মিসেস বেনেটে কিভাবে তার স্বামীকে ডমিনেট করেন। তাছাড়া ডার্সির কর্তৃত্ব প্রিয় খালা এবং বিঙ্গলের বোনেরা তাদের উঁচু সামাজিক অবস্থানের ক্ষমতার জোরে নিচু সামাজিক অবস্থানের এলিজাবেথকে কিভাবে গালমন্দ করেন।

To read more: Click Here

Symbols in the Novel: Dancing, Outdoor Settings, Pemberley.

Pride and Prejudice Bangla Summary

কিছু ঘটনা প্রবাহ ও বর্ণনা করার মাধ্যমে এই উপন্যাসটিকে আমরা সহজে আয়ত্ত করব।

মেয়েদের জন্য মায়ের চিন্তা:

উপন্যাসের শুরুতেই আমরা দেখতে পাই মিসেস বেনেট তার মেয়েদের বিয়ে নিয়ে খুবই চিন্তিত। তার স্বামী মিস্টার বেনেট অর্থনৈতিকভাবে তাদের ভরণপোষণের জন্য উপযুক্ত নয়। তাই তিনি তার মেয়েদেরকে সবসময়ই ধনী পুরুষদের সাথে বিয়ে দিবেন এই চিন্তায় মগ্ন থাকেন। হঠাৎ একদিন তিনি জানতে পারেন তাদের Longbourn গ্রামের পাশে মিস্টার Bingley নামের একজন সম্ভ্রান্ত যুবক আসবেন যিনি Pemberly স্টেট কিনে নিয়েছে। তখন থেকেই তিনি ভাবতে শুরু করেন তার ৫ মেয়ের কেউ একজন হলেও যেন ওই ছেলেটিকে আকৃষ্ট করতে পারে। তাই তিনি তার মেয়েদেরকে সাজুগুজু করিয়ে সেখানে নিয়ে যান।

বল নাচের আসর:

মেরিটন নামের একটি শহরে একটি জমকালো সামাজিক অনুষ্ঠান “বল নাচ” অনুষ্ঠিত হচ্ছিল। সেখানে Bennet, Bingley and Darcy পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। এই অনুষ্ঠানে সুন্দরী জেনকে প্রথম দেখাতেই Bingley প্রেমে পড়ে যান। তারা খুবই অন্তরঙ্গ হয়ে নাচতে শুরু করেন। অপরদিকে ডার্সি খুবই বিষন্ন মনে একাকী বসে ছিলেন। তাই তাকে উদ্দোলিত করতে বিঙ্গলে জেনের বোন এলিজাবেথের সাথে নাচ করতে বলেন। কিন্তু ডার্সি প্রতিউত্তরে জানায় এলিজাবেথ তেমন কোন সুন্দর মেয়ে নয় যার দ্বারা তিনি আকৃষ্ট হবেন। ঘটনাচক্রে এলিজাবেথ এই কথাগুলো শুনতে পায়। আর এখান থেকেই ডার্সি সম্পর্কে তার বদ্ধমূল ধারণার শুরু হয়। যাইহোক বিঙ্গলের দুই বোন, বিঙ্গলে এবং জেনকে, স্বতঃস্ফূর্তভাবে নাচানাচি করতে দেখে খুবই আনন্দিত বোধ করেন। তারা জেন কে বিঙ্গলের সাথে বিয়ে দেওয়ার জন্য মনে মনে কল্পনা করেন। তাই জেনের সম্পর্কে বিস্তারিত জানার সুবিধার্থে জেনকে তাদের নেদার ফিল্ড পার্কের একটি নৈশভোজে আমন্ত্রণ জানান। যেখানে বিংলের বন্ধু ডার্সিও উপস্থিত থাকবেন।

মিসেস বেনেটের কৌশল এবং এলিজাবেথের প্রতি ডার্সির ভালো লাগার শুরু

মিসেস বেনেট নৈশভোজে অংশগ্রহণের জন্য জেনকে সম্মতি দিলেও একটি শর্ত জুড়ে দেন। তিনি মনে মনে চিন্তা করেন জেনকে যদি নেদারফিল্ড পার্কে কিছুদিন অবস্থান করানোর ব্যবস্থা করা যায় তাহলে বিঙ্গলের পরিবার তার সৌন্দর্যের মুগ্ধ হয়ে তার সাথে বিঙ্গলের বিয়ে দিতে বাধ্য হবে। তখন আবহাওয়া খারাপ ছিল এবং বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা প্রকট ছিল। সবকিছু বিবেচনা করে মিসেস বেনেট মনে করলেন যদি গাড়ির পরিবর্তে ঘোরার গাড়িতে করে জেন ওই অনুষ্ঠানে যায় আর যদি বৃষ্টি আসে তাহলে তিনি নেদারফিল্ড পার্কে অবস্থান করতে বাধ্য হবে। তাই তিনি বিঙ্গলে পরিবারকে জানান তার মেয়ে তাদের গাড়ির পরিবর্তে ঘোরার গাড়িতে করে সেখানে যাবে। যাত্রা পথে সত্যি সত্যি বৃষ্টি নামলো। জেন বৃষ্টিতে ভিজে অসুস্থ হয়ে পড়ল। তার অসুস্থতার কথা শুনে এলিজাবেথ তার সেবা করার জন্য সেখানে ছুটে গেলেন। সেখানে এলিজাবেথের সুন্দরতম আচার-আচরণে মুগ্ধ হয়ে ডার্সি তার সম্বন্ধে যে কটু মন্তব্য পোষণ করেছিলেন তার জন্য নিজেই নিজের কাছে অনুতপ্ত হন। সেখানে কিছুদিন অবস্থান করার পর জেন সুস্থ হয়ে গেলে এলিজাবেথ এবং জেন তাদের বাড়িতে ফিরে আসে।

গল্পে নতুন দুটি চরিত্র Mr. Collins এবং Wickham এর আগমন::

জেন এবং এলিজাবেথ বাড়ি ফিরে দেখে তাদের দূর সম্পর্কের কাজিন মিস্টার কলিন্স তাদের বাড়িতে এসেছেন। মূলত তিনি বিয়ের জন্য পাত্রীর খোঁজে বেনেট বাড়িতে এসেছেন। এই মিস্টার কলিন্স বেনেট পরিবারের সকল সম্পদের একমাত্র উত্তরাধিকারী। কেননা বেনেট পরিবারের কোন ছেলে সন্তান নেই। আর তৎকালীন ইংল্যান্ডের আইন অনুযায়ী কোন পরিবারের মেয়ে সন্তানেরা সম্পত্তির অংশ পেতো না। একদিন জেন, এলিজাবেথ এবং মিস্টার কলিন্স মেরিটনের পথ ধরে হাঁটছিলেন। পথিমধ্যে তাদের সাথে Wickham এর দেখা হয়। Wickham এর সুন্দর চেহারায় এলিজাবেথ প্রথমেই দুর্বল হয়ে পরে। তারা যখন গল্প করছিল সেই সময় সেই দিক দিয়ে ডার্সি এবং বিঙ্গলে যাচ্ছিল। ডার্সি উইকহ্যামের দিকে একটু বাঁকা দৃষ্টিতে তাকায়। এটা দেখে এলিজাবেথ উইকহ্যামের নিকটে ডার্সি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চায়। তখন উইকহ্যাম বলেন ডার্সি একজন প্রতারক। তিনি বলেন তার পিতা এবং ডার্সির পিতা খুবই ঘনিষ্ঠ ছিলেন।  ডার্সির পিতা মারা যাওয়ার সময় তাকে  প্রতিষ্ঠিত করে দিতে বলে যান। কিন্তু ডার্সি সম্পদের লোভে পরে উইকহ্যামকে   প্রতিষ্ঠিত না করে তাদের বাড়ি থেকে গলা ধাক্কা দিয়ে বের করে দেন। এ কথা শুনে এলিজাবেথ ডার্সির উপর আরো ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন।

আরও পড়ুন: The Waste Land Bangla Summery

বিংলের আয়োজিত অনুষ্ঠানে সবাই

বিংলে তার নেদারফিল্ড পার্কে একটি অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন। এখানে প্রায় সকলেই অংশগ্রহণ করেন। সেখানে বিংলে এবং জেনকে খুব পাশাপাশি দেখা যায়।  মিসেস বেনেট, জেন এবং বিংলে দ্রুতই বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হচ্ছেন এমনটি জানান। এবার ডার্সি নিজে থেকেই এলিজাবেথ কে তার সাথে নাচার জন্য আমন্ত্রণ জানান। এলিজাবেথ রাজি হলেও মূলত তিনি নাচার সময় গুলো উপভোগ করেন না ডার্সি সম্পর্কে তার বদ্ধমূল ধারণার জন্য। তাদের এই দৃশ্য দেখে মিঃ কলিন্সের মধ্যে উদ্বেগের সৃষ্টি হয়। তিনি পরদিন এলিজাবেথকে বিয়ের প্রস্তাব দেওয়ার পরিকল্পনা করেন। পরদিন তিনি তা করলে এলিজাবেথ তার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে দেন। অতপর কলিন্স এলিজাবেথের ২৭ বছর বয়সী নিকটস্থ বান্ধবী শার্লট লুকাস কে বিয়ে করে সেখান থেকে চলে যান। তিনি মূলত প্রথমে বিয়ে করতে চেয়েছিলেন জেনকে, তারপর এলিজাবেথের কাছে প্রত্যাখ্যিত হয়ে তার বান্ধবীকে বিয়ে করেন। এর মধ্যে ডার্সি এবং বিংলে  লন্ডনে তাদের ব্যবসার উদ্দেশ্যে ফিরে যেতে চান। ফিরে যাওয়ার সময় ক্যারোলিন বিংলে জেনকে একটি মিথ্যা চিঠি দিয়ে যান। চিঠিতে তিনি বলেন তার ভাই মূলত জেনকে ভালোবাসে না এবং তার সাথে তার বিয়েও সম্ভব নয়। আর এখানে তারা কখনো ফিরে আসবেন না। আসলেও কমপক্ষে ৬ মাসের আগে নয়। বিংলে তার বন্ধু ডার্সির বোন জর্জিয়ানাকে বিয়ে করতে চায়। এগুলো দেখে জেন হতাশায় নিমজ্জিত হয়ে পরে। অপরদিকে এলিজাবেথ পুনরায় ডার্সিকে দোষারোপ শুরু করেছে। তার ধারণা ডার্সি তার বোনের ভালো দেখতে চায় না। 

মি: ও মিসেস গার্ডিনারের আগমন এবং এলিজাবেথ ও জেনের ঘুরতে যাওয়া 

জেনের ভারাক্রান্ত মানসিক পরিস্থিতির মধ্যেই তাদের খালা ও খালু মিস্টার এবং মিসেস গার্ডিনার তাদের বাড়িতে এসে উপস্থিত হন। তারা জেনের এ ধরনের বেগতিক অবস্থা দেকে জেনকে লন্ডনে বেড়াতে নিয়ে যেতে চান। এলিজাবেথও সমর্থন করেন। তিনি মনে করেন জেন লন্ডনে গেলে বিংলের সাথে দেখা হবে এবং তাদের মধ্যে একটি ভালো সম্পর্ক গড়ে উঠবে। অপরদিকে এলিজাবেথের যে বান্ধবীকে মি. কলিন্স বিয়ে করে নিয়ে গেছেন তার বাবা স্যার উইলিয়াম লুকাস এলিজাবেথকে নিতে এসেছেন মি. কলিন্সের বাসায় বেড়াতে যাওয়ার জন্য।  মি. কলিন্স ডার্সির আন্টি লেডি ক্যাথেরিন ডি বর্গের বাসার পাশেই থাকেন।তারা সেখানে গেলে ডার্সির আন্টি তাদেরকে ডিনারের আমন্ত্রণ জানান। তাই ইউলিয়াম লুকাস ও এলিজাবেথ সেখানে গিয়ে ডার্সিকে খুঁজে পায়। ডিনারের সময় ডার্সি এলিজাবেথ কে বিয়ের প্রস্তাব দেন। কিন্তু তার প্রস্তাবের ভাষা রুঢ় হওয়ায় এলিজাবেথ রাজি হওয়ার বদলে আরও ক্ষিপ্ত হন। ডার্সি এলিজাবেথ কে বলেন তুমি নিচু জাতের হওয়া স্বত্তেও আমি তোমাকে বিয়ে করতে চাই তুমি রাজি হয়ে যাও। তখন এলিজাবেথ ডার্সিকে তার প্রতি বিরক্তির কারণ গুলো খোলাসা করেন। ডার্সি সেগুলো শুনে রাতে ঘুমাতে পারেন না। তাই এলিজাবেথ কে একটি চিঠি লেখেন। চিঠিতে তিনি বলেন ইউকহ্যাম একজন ভন্ড ব্যক্তি। তার বাসায় থাকার সময় আইন পড়ার জন্য ৩০০০ পাউন্ড নিয়ে মদ-জুয়ার আসরে ফুর্তি করে ফুরিয়ে দেন। তাছাড়া তার ছোট বোনকে পালিয়ে বিয়ে করার পরিকল্পনা করেন। তাই তিনি তাকে বাড়ি থেকে বের করে দেন। ইউকহ্যামের চরিত্রের উপর আলোকপাত করে এলিজাবেথের কাছে কথাগুলো সত্যি মনে হয়। এলিজাবেথ এবার পেম্বারলি এস্টেটে বেড়াতে যায়। সেখানে ডার্সি তাকে তার বোনের সাথে পরিচয় করিয়ে দেয়। তাদের মধ্যে একটি ভালো সখ্যতা গড়ে ওঠে। হঠাৎ এক চিঠির মাধ্যমে এলিজাবেথ  জানতে পারেন  ইউকহ্যাম তার ছোট বোন লিডিয়াকে নিয়ে পালিয়েছেন।

উইকহ্যামের আসল চরিত্র প্রকাশ এবং দুটি হ্যাপি ইউনিয়নের মাধ্যমে উপন্যাসের পরিসমাপ্তি 

এলিজাবেথ দ্রুত বাড়ি ফিরে আসে। মি. বেনেট এবং মি. গার্ডিনার লিডিয়ার খোঁজে বের হয়। মি. বেনেট শূন্য হাতে ফেরত আসলেও মি. গার্ডিনার চিঠি মারফত জানিয়ে দেন তাদেরকে পাওয়া গেছে। এবং কিছু যৌতুকের বিনিময়ে ইউকহ্যাম লিডিয়াকে বিয়ে করেছেন। এলিজাবেথ জানতে পারে ডার্সিই যৌতুকের সকল দেনাপাওনা মিটিয়েছেন। এগুলো শুনে ডার্সি সম্পর্কে এলিজাবেথের সুধারণা শুরু হয়। কিছুদিন পর লিডিয়া ও তার স্বামী লংবর্নে ফিরে আসেন। কিছুদিন পরে ডার্সি এবং বিংলে লংবার্নে পুনরায় ফিরে আসেন। বিংলে জেন কে বিয়ের কথা বললেও ডার্সি এলিজাবেথ কে কিছুই বলেন না। বিংলে এবং জেনের মধ্যে বিয়ে হয়। এই অনুষ্ঠানে ডার্সির আন্টি এসে এলিজাবেথ কে হুমকি দিয়ে ডার্সিকে বিয়ে করতে নিষেধ করে, যেহেতু তার মতে এলিজাবেথ নিচুস্তরের মানুষ। এলিজাবেথ বলে তার আর ডার্সির মধ্যে কোন সম্পর্ক নেই; কিন্তু তিনি ডার্সিকে বিয়ে করতে নিষেধ করতে পারবেন না। কিছুদিন পর ডার্সি এবং এলিজাবেথ হাটতে বের হয়। এখন ডার্সি এলিজাবেথকে বিয়ের প্রস্তাব দেয় এবং এলিজাবেথও রাজি হয়ে যায়। আর এভাবেই জেন এবং এলিজাবেথের বিয়ের মধ্যে দিয়ে উপন্যাসের পরিসমাপ্তি ঘটে। 

[বিশেষ দ্রষ্টব্য: সংক্ষেপে সম্পূর্ণ ঘটনাটি সাজাতে গিয়ে কিছুসময় বেশকিছু কাহিনি একত্রিত করে একটি কাহিনি আকারে বর্ননা করা হয়েছে। আশাকরছি আপনার বোধগম্যতা আনয়নে এরুপ বর্ননা বাধার সৃষ্টি হবে না ইনশাআল্লাহ।]

আরও পড়ুন: The Poem in October Bangla Summery

Mottaleb Hossain
Mottaleb Hossain
This is Mottaleb Hossain, a researcher of theology and English literature and language. One of the seven members of literatureXpres, a worldwide online educational institution. Educational Qualification: BTIS(Bachelor of Theology and Islamic Studies)

11 COMMENTS

  1. আপনি খুবি ভালো একজন শিক্ষক ।
    খুব সুন্দর করে কাহিনীটির প্রেক্ষাপট করেছেন একদম সহজ সাবলীল ভাষায় ।
    সরাজীবণ আর এই কাহিনী মনে হয়না মাথা থেকে যাবে ।ধন্যবাদ

  2. আপনি খুবি ভালো একজন শিক্ষক ।
    খুব সুন্দর করে কাহিনীটির প্রেক্ষাপট বর্ণনা করেছেন একদম সহজ সাবলীল ভাষায় ।
    সরাজীবণ আর এই কাহিনী মনে হয়না মাথা থেকে যাবে ।ধন্যবাদ

  3. অসংখ্য ধন্যবাদ স্যার আপনাকে, সুন্দর করে লেখা এবং সহজে আয়ত্ত করা যায়

  4. আমি অনেক ব্লগ পরেছি কিন্তু সবসময় ভাবছি কখন শেষ হবে খুব বিরক্ত হতাম কিন্তু আজ আমি পড়ছি আর পড়ছি কখন যে সমাপ্তি এসে পড়লো, মনে হচ্ছিল আমি এলিজাবেথ, মানতে হবে আপনি খুবই ভালো শিক্ষক, এতটা সাবলীল ভাবে লিখার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

ফেসবুক পেইজ

কোর্স টপিক