Brave New World Bangla Summary (বাংলায়)

Brave New World

Aldous Huxley | Short Biography

অল্ডাস হাক্সলি ১৮৯৪ সালের ২৬ জুলাই ইংল্যান্ডে জন্মগ্রহণ করেন। তার পরিবারে অনেক বুদ্ধিমান মানুষ ছিলেন। তার দাদু, টি.এইচ. হাক্সলি, একজন বিজ্ঞানী ছিলেন। তার বাবা, লিওনার্ড, একটি বড় ম্যাগাজিনে কাজ করতেন, এবং তার মা বিখ্যাত কবি ম্যাথিউ আর্নল্ডের আত্মীয় ছিলেন। হাক্সলি জীববিজ্ঞান পড়তে এবং ডাক্তার হতে চেয়েছিলেন, কিন্তু কিশোর বয়সে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং প্রায় অন্ধ হয়ে যান। তাই তিনি অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়ে সাহিত্যে পড়াশোনা করেন। কলেজ শেষ করার পর তিনি ইটন কলেজে কিছুদিন ফ্রেঞ্চ ভাষা শেখাতেন, তারপর ম্যাগাজিনের জন্য লেখালেখি করতে শুরু করেন। ১৯২১ সালে তিনি তার প্রথম বই ক্রোম ইয়েলো লেখেন, যেই বইয়ে তিনি তার চেনা বুদ্ধিমান মানুষদের অবস্থা মজার ছলে উপস্থাপন করেন।  কয়েকটি বই লেখার পর, হাক্সলি ১৯৩১ সালে ব্রেভ নিউ ওয়ার্ল্ড নিয়ে কাজ শুরু করেন। তিনি তখনকার দুনিয়ার অবস্থা পছন্দ করতেন না এবং বিজ্ঞানের পরিবর্তনে সমাজ কেমন হয়ে যাচ্ছে তা নিয়ে চিন্তিত ছিলেন। ১৯৩২ সালে ব্রেভ নিউ ওয়ার্ল্ড প্রকাশিত হয়। এটি এমন একটি ভবিষ্যৎ দেখায় যেখানে মানুষকে প্রযুক্তির মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করা হয়। বইটি এমন বিষয় নিয়ে কথা বলে, যেমন ক্লোনিং এবং টেস্টটিউবে বাচ্চা তৈরি করা, যেগুলো তখন বাস্তব ছিল না। এই বইটি ইংল্যান্ডে খুব জনপ্রিয় হয়, কিন্তু আমেরিকায় জনপ্রিয় হতে কিছুটা সময় নেয়।

১৯৩৭ সালে হাক্সলি তার স্ত্রীকে নিয়ে দক্ষিণ ক্যালিফোর্নিয়ায় চলে যান। তিনি লেখালেখি চালিয়ে যান এবং মানুষ কীভাবে চিন্তা করে এবং ভেতরে কেমন অনুভব করে তা নিয়ে ভাবতে পছন্দ করতেন। অল্ডাস হাক্সলি ১৯৬৩ সালের ২২ নভেম্বর ক্যালিফোর্নিয়ায় মারা যান। একই দিনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জন এফ. কেনেডি গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান, তাই হাক্সলির মৃত্যু তেমন কেউ খেয়াল করেনি।

Key Facts:

  • Writer: Aldous Huxley (1894-1963)
  • Original Title: Brave New World
  • Source: William Shakespeare’s “The Tempest”, Act V, Scene I, Miranda’s speech:

“How beauteous mankind is! O brave new world,

That has such people in ‘t.”

  • Written Time: 1931
  • Published Date: 1932
  • Genre: Dystopian Fiction, Science Fiction
  • Tone: Satirical, Pessimistic, Ironic, and Detached
  • Point of View: Third-person Omniscient
  • Words: 63,766 words, 311 (1932 ed.)
  • Total Chapters: 18
  • Setting: 
  • Time Setting: AF 632 (After Ford), which is around the 26th century.
  • Place Setting: The World State and the Savage Reservation in New Mexico

Key Notes

  • ওয়ার্ল্ড স্টেট সম্পর্কে ধারনা: নোভেলটিতে ওয়ার্ল্ড স্টেট নামে কাল্পনিক ও প্রযুক্তি নির্ভর একটি সমাজকে দেখানো হয়েছে, যেখানে টেস্টটিউবের মাধ্যমে বাচ্চা উৎপাদন করা হয়। এদের প্রয়োজন অনুযায়ী পাঁচ শ্রেণীতে উৎপাদন করা হয়। আলফা, বিটা, গামা, ডেল্টা ও এপসিলন। আলফা শাসক শ্রেণী, বিটা মিডিল ক্লাস ও পরের তিনটা লেবার শ্রেণী।
  • হেনরি ফোর্ড এর ভূমিকা: Brave New World নোভেলের প্লট A.F. 632 (After Ford) এর কাল্পনিক বছরে সেট করা হয়েছে। অর্থাৎ এই সাইন্স ফিকশন নোভেলটি ভবিষ্যতের পৃথিবী কেমন হবে তা দেখিয়েছে। হেনরি ফোর্ডের T মডেল মোটরগাড়ি আবিষ্কারের (১৯০৮) পর থেকে যদি ৬৩২ বছর পর্যন্ত হিসাব করা হয়, তাহলে দেখা যায় ২৫৪০ সালের পৃথিবী কেমন হবে তা এই নোভেলে দেখানো হয়েছে। হেনরি ফোর্ড এমন একজন ব্যক্তি ছিলেন, যিনি আমেরিকার মোটর গাড়ি তৈরিতে ব্যাপক রেভোল্যুশন তৈরি করেছিলেন। তার মোটরগাড়ি তৈরির জন্য আমেরিকার মানুষের জীবনযাত্রা খুব সহজ হয়ে গিয়েছিল। আবার একটা যুদ্ধে ঈশ্বরের কোন ভূমিকা ছিল না কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছিলেন হেনরি ফোর্ড।
  • ওয়ার্ল্ড স্টেটে বাচ্চা উৎপাদন প্রক্রিয়া: ওয়ার্ল্ড স্টেট নামে পরিচিত এই কাল্পনিক জগতের মানুষেরা ফোর্ডকে ঈশ্বর মনে করে। এখানে কোন ধর্ম বিশ্বাস, পারিবারিক বন্ধন, মানুষের আবেগ অনুভূতি এগুলো কিছুই নেই। কারণ এখানে বাচ্চা প্রসব করা হয় না বরং প্রযুক্তির সাহায্যে টেস্টটিউবের (Bokanovsky’s Process) মাধ্যমে তৈরি করা হয়। ওয়ার্ল্ড স্টেট এর লোকেরা প্রযুক্তিকে একটি সামাজিক ব্যবস্থা হিসাবে বিশ্বাস করে। 
  • সোমা সম্পর্কে ধারণা: সোমা নামের এক ধরনের ড্রাগ দিয়ে এখানকার সবাইকে নিয়ন্ত্রণ করা হয়। আলফা এবং বিটা এরা চাইলে সোমা খেতে পারে আবার নাও পারে। তবে গামা, ডেল্টা এবং এপসিলন এদের সোমা খাওয়া বাধ্যতামূলক। মূলত তাদেরকে দিয়েই অনেক পরিশ্রম করিয়ে নেওয়া হয়। এতে তাদের অনেক কষ্ট হয়। এই দুঃখ কষ্ট ভুলিয়ে দেয় সোমা।

আরো পড়ুনঃ Lord of the flies Bangla Summary (বাংলায়)

Background

হাক্সলি ১৯৩১ সালে ফ্রান্সে থাকাকালীন চার মাসে ব্রেভ নিউ ওয়ার্ল্ড লিখেছিলেন। শিরোনামটি শেক্সপিয়ারের নাটক দ্যা টেম্পেস্ট থেকে নেওয়া হয়েছে। নাটকে মিরান্ডা বলেন, “O brave new world, That has such people in it.” হাক্সলি এই ধারণা পেয়েছিলেন এইচ.জি. ওয়েলসের বইগুলো থেকে। তিনি ওয়েলসের ভবিষ্যতের ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে মজা করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু পরে হাক্সলি নিজস্ব ভাবনায় উত্তেজিত হয়ে পড়েন। তিনি একটি ভীতিকর ভবিষ্যত দেখাতে চেয়েছিলেন, যা সুখী নয়। তিনি এটিকে “নেগেটিভ ইউটোপিয়া” বা নেতিবাচক স্বপ্নরাজ্য বলেছিলেন। এছাড়াও তিনি এই উপন্যাস লিখতে ওয়েলসের দ্যা স্লিপার এওয়েকস এবং ডি.এইচ. লরেন্সের লেখা থেকে অনুপ্রাণিত হয়েছিলেন।

Plot Summary- বাংলা

নোভেলের শুরুতে ওয়ার্ল্ড স্টেটের ঘটনা: উপন্যাসটি সেন্ট্রাল লন্ডনের হ্যাচারি অ্যান্ড কন্ডিশনিং সেন্টারে শুরু হয়, যেখানে হ্যাচারির পরিচালক (টমাকিন) এবং তার একজন সহকারী, হেনরি ফস্টার, ছেলেদের একটি দল নিয়ে সফর করছেন। ছেলেরা যেন Bokanovsky’s Process (বাচ্চা উৎপাদনের প্রক্রিয়া) সম্পর্কে শিখতে পারে, যা হ্যাচারিগুলিকে প্রায় হাজার হাজার বিভিন্ন মানব ভ্রূণ তৈরি করে দেয়। ভ্রূণগুলি একটি কারখানার মাধ্যমে পরিবাহক বেল্টের মধ্য দিয়ে ভ্রমণ করে এবং পাঁচটি শ্রেণীতে বিভক্ত হয়: আলফা, বিটা, গামা, ডেল্টা এবং এপসিলন।  আলফা ভ্রূণ শাসক শ্রেণী। বিটা মিডিল ক্লাস বা সেবক শ্রেণী। আর গামা, ডেল্টা এবং এপসিলন হচ্ছে লেবার শ্রেণী। 

ডিরেক্টর ভ্রমণকারী ছেলেদের এ সম্পর্কে বলেন যে এসব বিভিন্ন শ্রেণীকে বিভিন্ন মাত্রায় কেমিক্যাল দিয়ে তৈরি করা হয়। আলফা শ্রেণীকে কেমিক্যাল ছাড়া প্রাকৃতিকভাবে তৈরি করা হয়, যাতে এদের ভেতরে নেতৃত্বের গুণ তৈরি হয়। বিটা শ্রেণীটা মূলত সেবক বা নার্স বা মধ্যবিত্ত হিসেবে তৈরি করা হয়, এরাও প্রাকৃতিকভাবে তৈরি হয়। আর পরের তিন শ্রেণী যেহেতু লেবার শ্রেণী, তাই তাদের অনেক পরিমাণে কেমিক্যাল দিয়েই তৈরি করা হয়। আর এই তিন শ্রেণীকে নিয়ন্ত্রণ করতে বেশি পরিমাণে সোমা খাওয়ানো হয়। সোমা খেলে তারা কষ্ট ভুলে যায়।

এরপর সেখানে ওয়ার্ল্ড স্টেট এর অন্যতম প্রভাবশালী একজন কালেক্টর মোস্তফা মন্ড আসেন। তিনিও ছেলেদের বলেন আমাদের এই রিজার্ভেশনে সবাই অনেক খুশি। কারো কোন দুঃখ কষ্ট নেই। এখানে আমরা মানুষের সবচেয়ে দুর্বল তিনটি জিনিস শেষ করে দিয়েছি।

  • ইমোশন
  • ডিজায়ার
  • রিলেশনশীপ

তো শুরুতেই আমরা লেলিনা ক্রাউনকে দেখি, যে এই হ্যাচারি এন্ড কন্ডিশনিং সেন্টারের একজন কর্মী বা নার্স। সে ফ্রি সেক্সুয়াল রিলেশনশিপের প্রতি খুব আগ্রহী। আর ওয়ার্ল্ড স্টেটে যেহেতু লং টাইম কোন রিলেশনশিপ নেই, তাই সে যে কারো সাথে সেক্সুয়াল রিলেশনশিপে আগ্রহী। বারনার্ড মার্কস একজন আলফা ক্লাস হলেও সে খাটো হওয়ার কারণে হীনমন্যতায় ভোগে। সে উৎপাদনকৃত বাচ্চাদের শান্ত রাখার জন্য সোমা দিয়ে থাকে। বারনার্ড খাটো হওয়ায় ডিরেক্টর তাকে নিয়ে মজা করেন। আবার ডিরেক্টর বারনার্ড মার্কসের হীনমন্যতার জন্য একটু বিরক্ত। এজন্য তিনি চান বারনার্ডকে নির্বাসন দিতে। বারনার্ড এর বন্ধু হেলম হোলটজ্ ওয়াটসন একজন কবি। কিন্তু সোমা নেওয়ার কারণে তিনি তার কবিতায় তার কষ্টের অনুভুতিটা প্রকাশ করতে পারছেন না। তাই তিনিও ওয়ার্ল্ড স্টেটের প্রতি কিছুটা বিরক্ত।

ডিরেক্টরের (টমাকিন) সেভেজ রিজার্ভেশন ভ্রমণের অতীত গল্প: লেনিনা যেহেতু একটু সেক্সুয়াল ছিল, তাই সে বারনার্ড মার্কসের সাথে সেক্স করার ইচ্ছা পোষণ করে। বারনার্ড মার্কস এজন্য লেনিনার সাথে ডেটে যেতে চায়। ওয়ার্ল্ড স্টেটের এই সবকিছুতে বিরক্ত হয়ে বারনার্ড মার্কস এবং লেনিনা ক্রাউন সিদ্ধান্ত নেয়, তারা সেভেজ রিজার্ভেশনে যাবে। তারা সেখানে যাওয়ার আগে ওয়ার্ল্ড স্টেট এর ডিরেক্টর টমাকিন, বারনার্ড মার্কসকে তার অতিত জীবনের একটা গল্প বলে। ডিরেক্টর বলেন, তিনিও ২০ বছর আগে ইন্ডিয়ান এক সেভেজ রিজার্ভেশনে গিয়েছিলেন। সেখানে তার সাথে ওয়াল্ড স্টেটের একজন সেবিকা লিন্ডা ছিল। সেখানে গিয়ে হাইকিং ট্রিপের সময় লিন্ডা তার কাছ থেকে আলাদা হয়ে যায়। তো বারনার্ড তার গল্প বিশ্বাস করে না। কারণ সে আগে থেকেই ডিরেক্টরকে পছন্দ করতো না।

বারনার্ড মার্কস এবং লেলিনার সেভেজ রিজার্ভেশনে ভ্রমণ: সেভেজ রিজার্ভেশনে গিয়ে বারনার্ড মার্কস এবং লেনিনা দেখে এখানকার লাইফ স্টাইল একদম আলাদা। কারণ এখানকার লোকজন প্রাকৃতিক ভাবেই বাচ্চা জন্ম দেয়। তাদের খাবার দাবার, আচার-আচরণ সবকিছুই ওয়ার্ল্ড স্টেটের চেয়ে আলাদা। তো এরপর তারা জন নামের একজনকে দেখতে পায়। যে কিনা কথায় কথায় শেক্সপিয়রের বিভিন্ন উদ্ধৃতি দিত। বিষয়টা সত্যিই অবাক করার মতো ছিল বারনার্ড মার্কসের কাছে। তাই সে জনের মা লিন্ডার সাথে দেখা করে। এরপর সে লিন্ডার কাছ থেকে জানতে পারে, ওয়ার্ল্ড স্টেটের ডিরেক্টরের সাথে সে এই সেভেজ রিজার্ভেশনে এসেছিল। এরপর এখানে তাদের ফিজিক্যাল রিলেশন হয়। আর লিন্ডা প্রেগন্যান্ট হয়ে যায়। হাইকিং ট্রিপের সময়ে লিন্ডা ডিরেক্টরের কাছ থেকে হারিয়ে গিয়েছিল। ডিরেক্টর লিন্ডাকে খুঁজে কিন্তু না পেয়ে চলে আসে। 

কিন্তু সেভেজ রিজার্ভেশন এর লোকজনেরা লিন্ডাকে ভালোভাবে মেনে নেয়নি। কারণ লিন্ডা তাদের এখানকার ছিল না। তাই লিন্ডা অনেক কষ্টে জনকে নিয়ে দিন পার করছিল। যেহেতু ওয়ার্ল্ড স্টেটে ফ্যামিলি বন্ডেজ ছিল না, তাই লিন্ডা জনকে সেভাবে পারিবারিক শিক্ষা দেয় নি। জন এজন্য তার মাকে নাম ধরেই ডাকতো। এই রিজার্ভেশনে একটা পোপ, যার নাম ছিল পোপ জন, তিনি লিন্ডাকে সাহায্য করেন। বিনিময়ে তিনি লিন্ডার অনিচ্ছা শর্তেও তার সাথে সেক্স করতেন। এই পোপ লিন্ডাকে শেক্সপিয়ারের কিছু বই দিয়েছিল। আর এই বই পড়েই জন শেক্সপিয়ারের বিভিন্ন উদ্ধৃতি দিতো। তবে শেক্সপিয়রের বইয়ের বাইরে তার নিজস্ব চিন্তাধারা ছিল না। এই সবকিছু জানার পরে বারনার্ড মার্কস ডিরেক্টরকে ছোট করার একটা উপায় পেয়ে যায়। তিনি বুঝতে পারেন যে, ডিরেক্টরের গল্পটা আসলেই সত্যি ছিল। তাই সে জন ও লিন্ডাকে নিয়ে ওয়ার্ল্ড স্টেটে আসতে চায়। 

সেভেজ রিজার্ভেশন থেকে জনের ইংল্যান্ডে আসা এবং তার শেষ পরিণতি: ডিরেক্টরকে ছোট করার একটা বড় হাতিয়ার পেয়ে বারনার্ড মার্কস লিন্ডা এবং জনকে লন্ডনের ওয়ার্ল্ড স্টেটে নিয়ে চলে আসে। সেখানে জন প্রথমে ডিরেক্টরকে দেখে সবার সামনে বাবা বলে ডাকে। এতে ডিরেক্টর একদম লজ্জায় পড়ে যান। কারণ ওয়ার্ল্ড স্টেটে বাচ্চাদের ক্লোন করে তৈরি করা হতো। ডিরেক্টর সেসব শিক্ষাই এতদিন বাচ্চাদের দিচ্ছিলেন। কিন্তু তার নিজের চরিত্রের ঠিক নেই। অবশেষে লজ্জায় তিনি তার পদ থেকে ইস্তফা দেন। এদিকে জন যেহেতু কথায় কথায় শেক্সপিয়ারের উদ্ধৃতি দিত, এবং ডিরেক্টরের ছেলে ছিল, তাই সে খুব অল্প সময়ে সম্পূর্ণ ইংল্যান্ডে খুব জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। আর তাই একসময় লেনিনা জনের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে পড়ে এবং তার সাথে সেক্স করতে চায়। জনও লেলিনাকে পছন্দ করতে শুরু করে। কিন্তু ওয়ার্ল্ড স্টেট এর জীবনধারা অনুযায়ী লেনিনা সেক্সের বিষয়ে উদার ছিল।

বিষয়টা জন মেনে নিতে পারেনি। কারণ শেক্সপিয়ারের বইয়ে অবাধ যৌনাচার দেখানো হয়নি। জন যখন লেনিনার সাথে সেক্স করতে রাজি হচ্ছিল না, তখন লেনিনা একপর্যায়ে জনকে সিডিউস করার চেষ্টা করে। তবে সে ব্যর্থ হয়। এদিকে জন জানতে পারে, তার মা লিন্ডা খুব অসুস্থ। তাই সে হাসপাতালে তার মাকে দেখতে যায়। কিন্তু গিয়ে দেখে তার মা মারা গেছে। কিন্তু সেখানকার নিচু তিন শ্রেণীর ছেলেরা তার মায়ের মৃত্যুতে কোন react করছে না। বিষয়টা জনের কাছে অস্বাভাবিক মনে হয়। এরপর জন বুঝতে পারে এই সোমা ওয়ার্ল্ড স্টেটের নিচু তিন শ্রেণীর উপরে কতটা খারাপ প্রভাব ফেলছে। তাই সে এর বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু করে। আর বারনার্ড ও তার বন্ধু হেল্মহোল্টজ্ এই কাজে জনকে সাহায্য করে। দাঙ্গা এমন পর্যায়ে চলে যায় যে সেখানে পুলিশ এসে সোমা এবং ট্রাঙ্কুলাইজারের পানি স্প্রে করে সবাইকে শান্ত করে। আর বারনার্ড, হেল্মহোল্টজ্ ও জনকে গ্রেফতার করে। 

এরপর মোস্তফা মন্ডের সামনে তাদের আনা হয়। মোস্তফা মন্ড বারনার্ড  ও হেল্মহোল্টজ্ কে একটা দ্বীপে নির্বাসন দেন। এদিকে জনের সাথে মোস্তফা মন্ডের তর্ক বিতর্ক লেগে যায়। মোস্তফা মন্ড বলেন, অনেক বছর ধরে যুদ্ধ চলছিল, তখন গড আমাদের সাহায্য করেননি। শুধুমাত্র এই ওয়ার্ল্ড স্টেটের সাথে যারা সম্পৃক্ত তাদের কারণেই আজ ইংল্যান্ডে শান্তি এসেছে। কেউ কোনরুপ দুঃখ কষ্টে নেই। আর ধর্ম মানুষকে ভুল পথে নিয়ে যায় এবং মানুষের জীবনে দুঃখ বয়ে নিয়ে আসে। কিন্তু তার লজিক জনের পছন্দ হয় না। জন শেক্সপিয়ার থেকে তখন উদ্ধৃতি দিয়ে বলে, মানুষ জন্মগতভাবেই স্বাধীন। 

যেহেতু জন স্বাধীনভাবে বেড়ে উঠেছে এবং বারনার্ড ও হেল্মহোল্টজ্ আলাদাভাবে বেড়ে উঠেছে, তাই জনকে তাদের সাথে পাঠানো হয়নি। বরং জনকে তার নিজের নির্বাসনের জায়গা পছন্দ করতে দেওয়া হয়। পৃথিবীতে বর্তমানে জনের মা নেই, লেনিনা তাকে ভালোবাসে না, শুধুমাত্র তার সাথে সেক্স করতে চায়, তাই জন মনে করে তার জীবনের ভুল ত্রুটি গুলো শুদ্ধ করা উচিত। পোর্টসমাউথের কাছে সমুদ্রের ধারে একটি শান্ত লাইটহাউস বেছে নেয় সে থাকার জন্য। কিন্তু শীঘ্রই সে অদ্ভুত সব আচরণ করতে শুরু করে, নিজেকেই নিজে চাবুক দিয়ে আঘাত করে। সাংবাদিক এবং অনেক মানুষ তার এমন আচরণ দেখতে সেখানে গিয়ে ভিড় করে। তাদের মধ্যে লেনিনাও ছিল। লেনিনাকে দেখেই সে অনেক রেগে যায় এবং তাকে মারতে শুরু করে। আর বাতাসে প্রচুর পরিমাণে সোমা থাকায়, জন তখন অজ্ঞান হয়ে যায়।

পরেরদিন তার জ্ঞান ফিরে। কিন্তু গতদিনের ঘটনা তার মনে পড়ে যায়। লেনিনাকে যেভাবে সে মেরেছে তা আসলেই উচিত হয়নি। তাই সে ভেতরে ভেতরে খুব লজ্জিত অনুভব করে। আর গতকাল সে যেসব ঘটনা ঘটিয়েছে এই সবকিছুর জন্যই সে মানসিক অস্বস্তিতে ভুগতে শুরু করে এবং একপর্যায়ে সুইসাইড করে। এরপর বিভিন্ন পত্রিকা এবং নিউজে জনের সুইসাইডের খবর ছড়িয়ে পড়ে। আর এখানেই নোভেলটি শেষ হয়ে যায়।

Detailed বাংলা সামারি

Chapter 1 – (হ্যাচারি এবং কন্ডিশনিং সেন্টারের ট্যুর)

ব্রেভ নিউ ওয়ার্ল্ড ৬৩২ এ.এফ. (After Ford) সালে শুরু হয়। এই পৃথিবীতে একজন ডিরেক্টর আছেন, যিনি সেন্ট্রাল লন্ডন হ্যাচারি এবং কন্ডিশনিং সেন্টারে কাজ করেন। তিনি একটি পুরুষ শিক্ষার্থীদের দলকে বিল্ডিংটির চারপাশ দেখাচ্ছেন। এই হ্যাচারি এমন একটি জায়গা যেখানে মানুষকে ল্যাবে তৈরি করা হয়, স্বাভাবিক জন্মের মাধ্যমে নয়। তারা অনেক মানুষ তৈরি করে যারা ওয়েস্টার্ন ইউরোপে, যা ওয়ার্ল্ড স্টেট নামে পরিচিত, বসবাস করে। ট্যুরটি ফার্টিলাইজিং রুম নামক একটি ঘর থেকে শুরু হয়। এখানে, তারা মহিলাদের ডিম সংগ্রহ করে এবং এগুলো টেস্ট টিউবে রাখে যতক্ষণ না এগুলো মানুষ হওয়ার জন্য প্রস্তুত হয়। এই ডিমগুলো পাঁচটি দলের একটির অংশ হয়ে যাবে: আলফা, বিটা, গামা, ডেল্টা, এবং এপসিলন।

হেনরি ফস্টার নামে একজন কর্মী বোকানোভস্কি নামক একটি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে কীভাবে একই ব্যক্তির কপি তৈরি করা হয় তা নিয়ে আলোচনা করেন। তিনি আরেকটি প্রক্রিয়া, পডস্ন্যাপের টেকনিকও ব্যাখ্যা করেন। এই বিশেষ পদ্ধতিটি ডিমগুলো দ্রুত বৃদ্ধির সুযোগ দেয়, তাই ৩০ বছর লাগার পরিবর্তে, এগুলো মাত্র ২ বছরে তৈরি হয়ে যায়। এরপর, দলটি বোতলজাতকরণ ঘরে যায়। এই ঘরে, প্রতিটি ডিমকে শুকরের পাকস্থলীর আস্তরণে মোড়ানো হয় এবং একটি বোতলে রাখা হয়। বোতলগুলো একটি চলন্ত বেল্টে রাখা হয়, যা সেগুলোকে সোশ্যাল প্রিডেস্টিনেশন রুমে নিয়ে যায়। এই ঘরে, তারা সিদ্ধান্ত নেয় যে বাচ্চাটি ছেলে হবে, মেয়ে হবে, নাকি ফ্রিমার্টিন (একটি মেয়ে যে সন্তান ধারণ করতে পারে না) হবে।

বোতলগুলো এমব্রিও স্টোর নামে একটি জায়গায় ২৬৭ দিন রাখা হয়। আলফা এবং বিটা বাচ্চাদের স্বাভাবিকভাবে বেড়ে উঠতে দেওয়া হয়, কিন্তু গামা, ডেল্টা এবং এপসিলনদের বুদ্ধি ও শারীরিক সক্ষমতাকে কমিয়ে দেয়া হয় যেন তারা আলফা বা বিটা’দের মত মেধাবী বা শক্তিশালী না হয়। গামাদের সামান্য পরিবর্তন করা হয়, এবং এপসিলনদের বেশিরভাগ পরিবর্তন করা হয়। লেনিনা ক্রাউন নামের একজন মহিলা দেখান কীভাবে তিনি অনাগত বাচ্চাদের ওষুধ দেন যেন তারা টাইফয়েড জ্বরের মতো রোগ থেকে সুরক্ষিত থাকে। অবশেষে, ট্যুরটি ডিক্যান্টিং (এক সাথে মিশ্রণ করা) রুমে শেষ হয়। এখানেই ক্লোন বা কপিগুলো বোতল থেকে বের হয়ে তাদের নতুন জীবন শুরু করে।

Chapter 2 – (শিশুদের কন্ডিশনিং)

দ্বিতীয় অধ্যায়ে, ডিরেক্টর বিভিন্ন উপায়ে মানুষকে শেখানো বা “কন্ডিশনিং” করার পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা করেন। তারা শিশুদের একটি ঘরে নিয়ে যায়, যাকে নিও-পাভলোভিয়ান কন্ডিশনিং রুম বলা হয়। শিশুদের গোলাপের পাপড়ি এবং রঙিন বই দিয়ে খেলার সুযোগ দেয়া হয়। হঠাৎ, একটি অনেক জোরে সাইরেন বাজতে শুরু করে, এবং শিশুরা কান্না শুরু করে। এটি করা হয় যেন শিশুদের প্রকৃতি এবং বই ঘৃণা করতে শেখানো হয়। তারপর, শিশুদের একটি ছোট বৈদ্যুতিক শক দেয়া হয়, যা তাদের আরও বেশি ঘৃণা করতে শেখায়। যখন নার্সরা আবার তাদের বই দেয়, তখন শিশুরা ভয় পায় এবং আরও জোরে কান্না করে।

ডিরেক্টর ব্যাখ্যা করেন যে তারা ডেল্টা শিশুদের প্রকৃতিকে ঘৃণা করতে শেখানো হয়, কারণ প্রকৃতিতে আরাম করাটা কারখানাগুলোর কাজ করতে সাহায্য করে না। ওয়ার্ল্ড স্টেট চায় মানুষ পরিবহন ব্যবহার করুক এবং খেলাধুলা করুক। তাই, শিশুদের শেখানো হয় যেন তারা গ্রামে ভ্রমণ করে, যেখানে অনেক ধরনের সরঞ্জাম সহ খেলাধুলার ব্যবস্থা থাকে। এরপর, ডিরেক্টর হিপ্নোপিডিয়া নামে একটি শেখার পদ্ধতি ব্যাখ্যা করেন, যার মানে ঘুমানোর সময়ে শেখা। অন্য একটি ঘরে, বিটা শিশুরা ঘুমিয়ে থাকে এবং তাদের প্রাথমিক শ্রেণীর চেতনা পাঠ শেখানো হয়। প্রতিটি শিশুর বালিশের নিচে একটি স্পিকার ধীরে ধীরে বারবার তথ্য বলে। কণ্ঠটি বলে যে আলফা শিশু, যারা ধূসর পোশাক পরে, তারা চমৎকার। এটি আরও বলে যে গামা, যারা সবুজ পরে, তারা খুব একটা বুদ্ধিমান নয়। কণ্ঠটি তাদের মনে করিয়ে দেয় যে, তারা ডেল্টাদের সাথে খেলবে না, যারা খাকি পোশাক পরে, এবং এপসিলনরা, যারা কালো পরে, তারা পড়তে পারে না।

Chapter 3 – (সামাজিক নিয়ন্ত্রণ)

হ্যাচারির ট্যুর চলতে থাকে যখন ডিরেক্টর আলফা পুরুষদের নিয়ে এলাকায় ঘুরে বেড়ান। তারা শিশুদের সেন্ট্রিফিউগাল বাম্বল-পাপি নামের একটি খেলা খেলতে এবং যৌন খেলার সাথে জড়িত দেখতে পায়, যা তাদের সমাজে স্বাভাবিক বলে মনে করা হয়। ডিরেক্টর একটি ইতিহাসের পাঠ শুরু করেন, যেখানে ব্যাখ্যা করেন কেন ছোট শিশুদের মধ্যে যৌন খেলা এখন গ্রহণযোগ্য, কিন্তু তিনি বাধাপ্রাপ্ত হন যখন মুস্তাফা মন্ড, যিনি পশ্চিম ইউরোপের কন্ট্রোলার, এসে কথা বলেন। মুস্তাফা মন্ড শেখানো চালিয়ে যান। তিনি ব্যাখ্যা করেন যে তাদের সমাজ তৈরির আগে জীবন কেমন ছিল। তিনি বলেন, আগে জীবন কঠিন ছিল, কিন্তু এখন, ওয়ার্ল্ড স্টেটে জীবন সহজ কারণ এখানে কোনো সংগ্রাম নেই। নয় বছরের যুদ্ধের পর, ওয়ার্ল্ড স্টেটের নেতারা মানুষকে পণ্য ব্যবহার করার সুখ, সোমা নামক ড্রাগ, এবং রাসায়নিক দিয়েছিল যা বার্ধক্য রোধ করে। মানুষ এগুলো গ্রহণ করেছিল কারণ তারা একটি সহজ জীবন চেয়েছিল এবং এই ব্যবস্থা বজায় রাখার জন্য কাজ করেছিল।

একই সময়ে, গল্পটি দুটি আলাদা কথোপকথন দেখায়। একটি লেনিনা ক্রাউন এবং ফ্যানি ক্রাউনের মধ্যে এবং অন্যটি হেনরি ফস্টার এবং সহকারী প্রিডেস্টিনেটরের মধ্যে, যা বার্নার্ড মার্ক্স শুনতে পায়। উভয় কথোপকথনই তাদের সমাজের যৌন নিয়ম সম্পর্কে। মহিলারা এবং পুরুষদের ভিন্ন মতামত আছে, কিন্তু বার্নার্ড বিরক্ত বোধ করেন কারণ তিনি মনে করেন পুরুষরা মহিলাদের বস্তু হিসাবে দেখছে। লেনিনা ফ্যানিকে বলেন যে বার্নার্ড তাকে স্যাভেজ রিজার্ভেশনে যাওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছে, এবং তিনি বার্নার্ডকে আকর্ষণীয় মনে করেন। ফ্যানি বিস্মিত হন কারণ বার্নার্ড বেশিরভাগ আলফা পুরুষদের চেয়ে ছোট, তার মনোভাব খারাপ এবং তিনি সমাজের নিয়মগুলো নিয়ে অসন্তুষ্ট। এদিকে, পুরুষরা Feelies দেখার কথা আলোচনা করছে। এগুলো বিশেষ ধরনের সিনেমা যেখানে মানুষ দেখতে, গন্ধ নিতে এবং অনুভব করতে পারে, ঠিক যেন সবকিছু বাস্তব। এই কথোপকথনের মধ্যে, কিছু প্রচলিত উক্তি বা ক্লিশে আছে, যা মানুষকে নতুন জিনিস কেনার জন্য উৎসাহিত করে, যেমন “মেরামতের চেয়ে শেষ করা ভালো” এবং “আমার নতুন পোশাক ভালো লাগে, আমার নতুন পোশাক ভালো লাগে।”

Chapter 4 – (বার্নার্ড এবং লেনিনার রিজার্ভেশন পরিকল্পনা)

Chapter 4 – Part 1

কাজ শেষ হওয়ার পর, লেনিনা এবং বার্নার্ড লিফটে করে ছাদে যাচ্ছে। লেনিনা বার্নার্ডকে বলেন যে তিনি জুলাই মাসে নিউ মেক্সিকো স্যাভেজ রিজার্ভেশনে তার সাথে ছুটিতে যাবেন। বার্নার্ড অবাক হয়ে যান কারণ লেনিনা সবার সামনে এটি বলছেন। তিনি ভাবছেন কেন লেনিনা এটি প্রকাশ্যে বলছেন। লেনিনা বুঝতে পারছেন না কেন বার্নার্ড এমন আচরণ করছেন এবং তাকে মনে করিয়ে দিতে বলেন যেন তারা যাওয়ার এক সপ্তাহ আগে তাকে জানায়। লিফট অপারেটর ঘোষণা করেন যে তারা ছাদে পৌঁছেছেন এবং দরজা খোলেন। তিনি উত্তেজিতভাবে বলেন, “ছাদ! ছাদ!” যেন তিনি প্রথমবারের মতো সূর্য দেখছেন, কিন্তু তখনই লাউডস্পিকারের নির্দেশে তাকে আবার ফ্লোর ১৮-তে ফিরে যেতে হয়।

বাইরে, লেনিনা হেনরি ফস্টারের সাথে দেখা করার জন্য তাড়াহুড়ো করে চলে যান কারণ তারা অবস্ট্যাকল গলফ নামক একটি খেলা খেলতে যাচ্ছে। বার্নার্ড পেছনে থেকে যান এবং বেনিটো হুভার নামে আরেকজন আলফার দিকে তাকান। বেনিটো লক্ষ্য করেন যে বার্নার্ডকে দুঃখিত দেখাচ্ছে এবং মনে করেন এটি সম্ভবত বার্নার্ডের ছোট আকৃতির জন্য। বেনিটো বিশ্বাস করেন বার্নার্ড ছোট কারণ তার রক্ত ডেভেলপমেন্টের সময় অ্যালকোহল যোগ করা হয়েছিল। বিরক্ত হয়ে বেনিটো কিছু সেক্স-হরমোন গাম চিবাতে থাকেন। হেলিকপ্টার যাত্রার সময়, লেনিনা দেখেন যে তার হিপ্নোপিডিয়া (ঘুমানোর সময় শেখা) কতটা ভালো কাজ করে। তিনি বলেন খাকি রঙ কতটা কুৎসিত এবং তিনি খুশি যে তিনি গামা নন, যারা সবুজ পোশাক পরে।

Chapter 4 – Part 2

বার্নার্ড মার্ক্স তার জীবন নিয়ে, বেনিটো হুভার, লেনিনা এবং সবকিছুতেই অসন্তুষ্ট। লেনিনা তাকে সবার সামনে হ্যালো বলে, কিন্তু তারপর তাড়াতাড়ি হেনরির সাথে দেখা করতে চলে যায়, যা বার্নার্ডকে বিরক্ত করে। বেনিটো বার্নার্ডকে সাহায্য করার চেষ্টা করে এবং বলে সে যেন সোমা (যা খেলে মানুষ খুশি হয়) খায়, কিন্তু বার্নার্ড তার অনুভূতিগুলো ঢাকতে ড্রাগ ব্যবহার করাটা পছন্দ করে না। বার্নার্ড হিপ্নোপিডিয়ার (ঘুমের মধ্যে শেখা) একজন বিশেষজ্ঞ, তাই সে জানে, মানুষকে শেখানো হয় যে লম্বা হওয়া মানে ভালো কিছু হওয়া। যেহেতু বার্নার্ড গামা পুরুষদের মতো ছোট, সে মনে করে সব দল, এমনকি আলফা এবং বিটাদের মধ্যেও, তাকে নিয়ে মজা করে।

বার্নার্ড তার একমাত্র বন্ধু হেলমহোল্টজ ওয়াটসনের সাথে দেখা করতে যায়। হেলমহোল্টজ একজন শক্তিশালী এবং বুদ্ধিমান আলফা পুরুষ, যিনি প্রোপাগান্ডার জন্য লেখেন এবং কলেজ অফ ইমোশনাল ইঞ্জিনিয়ারিং-এ শিক্ষকতা করেন। বার্নার্ড হেলমহোল্টজকে নিয়ে আসতে প্রোপাগান্ডা অফিসে যায়। যখন হেলমহোল্টজ বের হয়, তখন তিনজন আকর্ষণীয় মেয়ে তাকে পিকনিকে যাওয়ার আমন্ত্রণ জানায়, কিন্তু হেলমহোল্টজ বিরক্ত হয়ে না বলে। সে এমনকি হেলিকপ্টারের দরজা তাদের মুখের সামনে বন্ধ করে দেয়।

বার্নার্ড এবং হেলমহোল্টজ বার্নার্ডের রুমে যায় কথা বলতে। হেলমহোল্টজ বার্নার্ডকে বলে যে মাঝে মাঝে তার মনে হয় তার বলার মতো গুরুত্বপূর্ণ কিছু আছে, কিন্তু সে জানে না সেটা কী। যখন তারা কথা বলছে, হঠাৎ বার্নার্ড ভয় পায় কারণ সে ভাবে কেউ দরজায় আছে, কিন্তু কেউ ছিল না। এই অংশের শেষে, হেলমহোল্টজ বার্নার্ডের জন্য দুঃখ অনুভব করে এবং এই ইচ্ছা পোষণ করে যে, তার বন্ধুর যদি আরও আত্মবিশ্বাস থাকত।

Chapter 5 – (লেনিনা এবং বার্নার্ডের আলাদা সন্ধ্যা)

Chapter 5 – Part 1

এই অধ্যায়টি শুরু হয় যখন হেনরি এবং লেনিনা স্টোক পোজেস ক্লাব হাউজ থেকে বেরিয়ে আসে, যেখানে তারা অবস্ট্যাকল গলফ নামক একটি খেলা খেলে। হেনরির ওয়েস্টমিনিস্টার অ্যাপার্টমেন্টে যাওয়ার পথে, তারা ইন্টারনাল এবং এক্সটারনাল সিক্রেশন ট্রাস্ট নামে একটি জায়গার উপর দিয়ে উড়ে যায়। এটি একটি দুগ্ধ খামার, যেখানে গরু থেকে হরমোন সংগ্রহ করা হয় মানুষের ত্বকের যত্ন এবং স্বাস্থ্য পণ্যের জন্য, এবং তারা শিশুদের জন্য দুধও সরবরাহ করে। তারা স্লাফ ক্রেমেটোরিয়াম নামে একটি বিশাল জায়গার উপর দিয়ে উড়ে যায়, যেখানে মৃতদেহ পোড়ানো হয়। ক্রেমেটোরিয়াম মৃতদেহ থেকে ফসফরাস গ্যাস সংগ্রহ করে, যা গাছের সার হিসেবে ব্যবহার করা হয়।

হেনরির অ্যাপার্টমেন্টে পৌঁছে, তারা সাধারণ ডাইনিং হলে রাতের খাবার খায়, যা ওই বিল্ডিংয়ে থাকা সবার জন্য একটি শেয়ার করা খাওয়ার জায়গা। রাতের খাবারের পরে, তারা কফির সাথে কিছু সোমা (যা খেলে মানুষ খুশি হয়) খায়। তারপর তারা রাস্তা পেরিয়ে ওয়েস্টমিনিস্টার অ্যাবে ক্যাবারেট এ যায়, যেখানে সিক্সটিন স্যাক্সোফোনিস্টস নামের একটি ব্যান্ড কৃত্রিম (নকল) সঙ্গীত বাজায়। মজাদার একটি রাত কাটানোর পর, যখন ক্লাব বন্ধ হয়, তারা খুশিমনে ক্লান্ত বোধ করে এবং হেনরির অ্যাপার্টমেন্টে ফিরে রাত কাটায়।

Chapter 5 – Part 2

এই অংশে আমরা ওয়ার্ল্ড স্টেটের “এখন সবাই খুশি” ধারণার অন্য দিকটি দেখতে পাই। বার্নার্ড মার্ক্স তার সলিডারিটি সার্ভিসে যায়, যা সে মাসে দুইবার করে। সে দ্রুত বড় ফোর্ডসন কমিউনিটি সিঙ্গারিতে ঢোকে এবং খুশি হয় যে সে শেষজন হিসেবে আসেনি। সে বসে এবং দলের অন্য লোকদের দেখে। সেখানে মর্গানা রথসচাইল্ড নামে এক মহিলা আছে, যার ঘন কালো ভ্রু তাকে কম আকর্ষণীয় দেখায়, আর ফিফি ব্র্যাডলাফ আছে, যিনি খুব সুন্দরী। এছাড়াও রয়েছে জোয়ানা ডিয়েসেল, ক্লারা ডেটারডিং, এবং শেষ মহিলা, সরোজিনি এঙ্গেলস, যিনি ঠিক সভা শুরু হওয়ার আগেই এসে বসেন। তিনি জিম বোকানোভস্কি এবং হারবার্ট বাকুনিনের মাঝে বসেন। সভার সভাপতি তার পেটে T চিহ্ন এঁকে সভা শুরু করেন।

সঙ্গীত শুরু হয় একটি কৃত্রিম গান সলিডারিটি হাইম দিয়ে। সভাপতি আবার T চিহ্ন আঁকেন। তারপর গ্রুপটি সোমা (খুশির ড্রাগ) এবং সোমা মেশানো স্ট্রবেরি আইসক্রিমের কাপ একে অপরের মধ্যে ভাগ করে নেয়। তারা “আমি আমার ধ্বংসে পান করি” এবং “আমি গ্রেটার বেইংকে পান করি” এর মতো কথা উচ্চারণ করতে থাকে। তারা যখন দ্বিতীয় সলিডারিটি হাইম গায়, তখন সোমা কাজ করতে শুরু করে, এবং তারা সবাই একসাথে বলে “ওহ ফোর্ড, ফোর্ড, ফোর্ড” এবং তারপর “শোনো! গ্রেটার বেইং-এর পায়ের শব্দ।” প্রত্যেকে উঠে চিৎকার করে, “আমি তাকে শুনতে পাচ্ছি,” আর জোরে জোরে সিম্বল এবং হর্ন বাজতে থাকে। তারা অরজি-পর্গি নামক একটি গানের সাথে ঘরের চারপাশে নাচতে থাকে। বার্নার্ড তাদের নাচ এবং চিৎকারে যোগ দেয়ার ভান করে, কিন্তু সে সত্যিই উৎসাহী বোধ করে না। অন্য সবাই যখন একতাবদ্ধ বোধ করে, তখন বার্নার্ড নিজেকে আগের চেয়েও বেশি একা এবং অন্যদের থেকে আলাদা মনে করে।

Chapter 6 – (স্যাভেজ রিজার্ভেশনে যাত্রা)

Chapter 6 – Part 1

এই অধ্যায়টি শুরু হয় লেনিনার দ্বিতীয়বার চিন্তা করা নিয়ে, সে বার্নার্ডের সাথে নিউ মেক্সিকো যেতে চায় কি না। কারণ, সে মনে করে বার্নার্ড একটু অদ্ভুত। বার্নার্ড টোকোয়ে কান্ট্রি ক্লাবে সাঁতার কাটা বা সেন্ট অ্যান্ড্রুজে ইলেকট্রো-ম্যাগনেটিক গলফ খেলার মতো কাজ উপভোগ করে না, কারণ এসব জায়গায় অনেক মানুষের সাথে থাকতে হয়। অন্যদিকে, লেনিনা একা থাকতে এবং শান্ত জায়গায় কথা বলতে পছন্দ করে না। সে জিজ্ঞেস করে, “কথা বলবে? কিন্তু কি নিয়ে?”

শেষে, লেনিনা বার্নার্ডকে রাজি করায় আমস্টারডামে মহিলাদের কুস্তি দেখতে যাওয়ার জন্য। ফেরার পথে, বার্নার্ড হেলিকপ্টার সমুদ্রের উপর ভাসিয়ে রাখে, যা লেনিনাকে ভয় পাইয়ে দেয়। সে সমুদ্রের বিশাল খালি জায়গা এবং অন্ধকার মেঘাচ্ছন্ন আকাশকে ঘৃণা করে। তবে, বার্নার্ড একা থাকার অনুভূতি পছন্দ করে এবং সমাজের শুধুমাত্র একটি ছোট অংশ হওয়ার চিন্তা ঘৃণা করে। লেনিনা স্টেটের নিয়ম অনুযায়ী খুশি বোধ করে, কিন্তু বার্নার্ড মনে করে এই নিয়মগুলি যেন একটি কারাগারে আটকে থাকার মতো।

তারা তাদের ভিন্ন মতামত নিয়ে তর্ক করে। বার্নার্ড বাস্তব পৃথিবী পছন্দ করে, যদিও তা তাকে অসুখী করে তোলে, আর লেনিনা নকল সুখ পছন্দ করে যা সোমা থেকে আসে। বার্নার্ড চায় তারা যেন প্রাপ্তবয়স্কদের মতো আচরণ করে এবং একসাথে ঘুমানোর আগে সত্যিকারের ভালোবাসা আসা পর্যন্ত অপেক্ষা করে, তাৎক্ষণিক আকাঙ্ক্ষার কাছে যেন নতি স্বীকার না করে।

Chapter 6 – Part 2

বার্নার্ড ডিরেক্টরের অফিসে যায় তার নিউ মেক্সিকো রিজার্ভেশন ভ্রমণের অনুমতি স্বাক্ষর করার জন্য। প্রথমে, ডিরেক্টর বার্নার্ডের প্রতি অসন্তুষ্ট ছিলেন। কিন্তু যখন তিনি দেখেন বার্নার্ড কোথায় যাচ্ছে, তখন তিনি নিয়ম ভুলে যান এবং তার নিজের অতীত সম্পর্কে কথা বলতে শুরু করেন। ডিরেক্টর বার্নার্ডকে বলেন যে তিনি ২০ বছর আগে একই জায়গায় গিয়েছিলেন। তিনি তার সাথে একজন বিটা-মাইনাস মহিলাকে নিয়ে গিয়েছিলেন, কিন্তু হাইকিং ট্রিপের সময়, সেই মহিলা হারিয়ে যায়। দুই দিন খোঁজার পরও তাকে পাওয়া যায়নি, আর সবাই ধরে নেয় সে মারা গেছে।

ডিরেক্টর স্বীকার করেন যে তিনি দুঃখ এবং ক্ষতির মতো নিষিদ্ধ অনুভূতি অনুভব করেছিলেন। তিনি আরও বলেন যে তিনি এখনো সেই মহিলাকে নিয়ে স্বপ্ন দেখেন। তিনি বুঝতে পারেন যে অতীত নিয়ে কথা বলা ভুল হয়েছে, তাই তিনি হঠাৎ বার্নার্ডের ওপর রেগে যান। তিনি বার্নার্ডকে বকাঝকা করেন এবং বলেন যদি সে আলফার মতো আচরণ না করে, তবে তাকে আইসল্যান্ডে পাঠানো হবে। ডিরেক্টরের এই কঠোর কথায় ভয় বা দুঃখিত না হয়ে, বার্নার্ড আরও আত্মবিশ্বাসী হয়ে ওঠে। পরে, সে তার বন্ধু হেলমহোল্টজকে মিথ্যা বলে, যে সে নাকি ডিরেক্টরকে “অতীতে ডুবে যাও” বলেছে, এবং তারপর গর্বের সাথে অফিস থেকে বেরিয়ে গেছে।

আরো পড়ুনঃ The Old Man and The Sea Bangla Summary (বাংলায়)

Chapter 6 – Part 3

বার্নার্ড এবং লেনিনা ব্লু প্যাসিফিক রকেট ধরে নিউ মেক্সিকোতে যায় এবং সান্তা ফে-তে একটি দামী হোটেলে রাতে থাকে। লেনিনা খুব খুশি হয় কারণ হোটেলে তার পছন্দের সব কিছু আছে—সৌন্দর্য পণ্য, আরামদায়ক জিনিস, এবং তার প্রিয় গেমস। রুমে কৃত্রিম (নকল) সঙ্গীত বাজছে, যা তাকে আরও উত্তেজিত করে তোলে। পরের সকালে, তারা রিজার্ভেশনের ওয়ার্ডেনের সাথে দেখা করে তাদের পারমিটে স্বাক্ষর করার জন্য। ওয়ার্ডেন রিজার্ভেশন নিয়ে অনেক কথা বলে, আর লেনিনা একটি সোমা ট্যাবলেট খেয়ে তার মস্তিষ্ককে শান্ত করে। অন্যদিকে, বার্নার্ড চিন্তা করে যে সে তার অ্যাপার্টমেন্টে কলোন মেশিনটি বন্ধ করে এসেছে কি না, এবং এতে সে টাকা নষ্ট করছে কিনা।

তাদের মিটিংয়ের পর, বার্নার্ড তার বন্ধু হেলমহোল্টজকে ফোন করে, যিনি তাকে বলেন যে তিনি কলোন মেশিনটি দেখবেন। হেলমহোল্টজ আরও বলে যে ডিরেক্টর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বার্নার্ডকে শাস্তি হিসেবে আইসল্যান্ডে পাঠানো হবে। বার্নার্ড খুব রেগে যায় এবং নিজের উপর এবং ডিরেক্টরের উপর বিরক্ত হয়, তাই সে শান্ত হওয়ার জন্য একসাথে চারটি সোমা খায়। সে রিজার্ভেশনের মালপাইস গ্রামে যাওয়ার পথে প্লেনে ঘুমিয়ে পড়ে। যখন বার্নার্ড ঘুমাচ্ছিল, তখন গামা পাইলট লেনিনাকে বৈদ্যুতিক বেড়া দেখায়, যা “স্যাভেজদের” রিজার্ভেশনের মধ্যে রাখে এবং বন্য প্রাণীদের মেরে ফেলে। যখন তারা পৌঁছায়, পাইলট তাদের মনে করিয়ে দেয় যে বছরের পর বছর গ্যাস বোমা ফেলে রিজার্ভেশনের মানুষদের নিরাপদ রাখা হয়েছে।

Chapter 7 – (জন এবং লিন্ডার সাথে দেখা)

লেনিনা পুয়েবলো গ্রামের পরিবেশ খুব অপছন্দ করে। ধুলা, আবর্জনার গন্ধ, নোংরা পশু-পাখি ও মানুষ, এবং অপরিষ্কার কম্বল দেখে সে ভয়ে আতঙ্কিত হয়। বার্নার্ড শুধু বলে যে, এই ভারতীয় সংস্কৃতি হাজার হাজার বছর ধরে টিকে আছে, তাই এখানকার মানুষ এসবের সাথে অভ্যস্ত। লেনিনা অবাক হয়ে যায় যখন সে দেখতে পায় বয়স্ক, কুঁচকানো মুখ এবং অসুস্থ, দুর্বল মানুষদের। সে চায় যদি সোমা নিতে পারত, যাতে এই জায়গার প্রতি তার ঘৃণা দূর হয়, কিন্তু বার্নার্ড এবং লেনিনা দুজনই ভুলে গেছে সোমা নিয়ে আসতে।

ড্রামের আওয়াজ লেনিনাকে সলিডারিটি সার্ভিস এবং ক্যাবারেটের কৃত্রিম সঙ্গীতের কথা মনে করিয়ে দেয়, যা তাকে আকর্ষণ করে। সে ভারতীয় অনুষ্ঠান দেখে মুগ্ধ হয়, কিন্তু এক যুবককে উৎসর্গ করা দেখে সে কষ্ট পায়। যুবকটি সাপে পূর্ণ পুলের মাঝ দিয়ে হেঁটে যায় এবং চাবুক খেতে খেতে মাটিতে পড়ে যায় এবং মারা যায়। রক্ত দেখে লেনিনা এবং বার্নার্ড অসুস্থ বোধ করে এবং তাদের গাইড তাদের যেখানে রেখেছিল সেই অ্যাডোব বাড়িতে ফিরিয়ে নিয়ে যায়। সেখানে তারা জন দ্যা স্যাভেজের সাথে দেখা করে, একজন সুদর্শন, সোনালী চুলের শ্বেতাঙ্গ পুরুষ, যিনি ভারতীয়দের মতো পোশাক পরেন এবং শেক্সপিয়ারের উক্তি ব্যবহার করে কথা বলেন। লেনিনা জনের চেহারায় আকৃষ্ট হয়, কিন্তু তাকে হতবাক করে দেয় যখন জন মা শব্দটি ব্যবহার করে এবং যখন সে একটি নোংরা, মোটা শ্বেতাঙ্গ মহিলার সাথে দেখা করে।

এই মহিলা জনের মা লিন্ডা, যিনি ডিরেক্টরের প্রেমিকা ছিলেন এবং সবাই মনে করত যে তিনি মারা গেছেন। লিন্ডা ব্যাখ্যা করে যে ডিরেক্টর, যার আসল নাম টমাকিন, জনের বাবা। সে বলে যে ডিরেক্টর তাকে এখানে রেখে যাওয়ার পর তার জীবন কতটা কঠিন হয়ে উঠেছে। লেনিনার মতো লিন্ডাও এই জায়গার সবকিছু ঘৃণা করে, বিশেষ করে উলের এবং হরিণের চামড়ার কাপড় যা কখনও নষ্ট হয় না, এবং ভারতীয়রা এক জনের সাথে সম্পর্ক রাখায় তার প্রতি খারাপ ব্যবহার করে। সে অভিযোগ করে যে তাকে মেসকাল (এক ধরনের স্থানীয় মদ) পান করতে হয় কারণ এখানে সোমা নেই। সবচেয়ে বেশি সে লজ্জা পায় কারণ সে গর্ভনিরোধক ব্যবহার করা সত্ত্বেও, একজন বিটা হিসেবে সে গর্ভবতী হয়ে পড়ে, যদিও সে আগে হ্যাচারিতে কাজ করত।

Chapter 8 – (জনের গল্প)

অষ্টম অধ্যায়ে, জন দ্যা স্যাভেজ বার্নার্ডকে তার জীবনের গল্প বলে। তার সবচেয়ে পুরনো স্মৃতি হল তার মা লিন্ডার সাথে বিছানায় শুয়ে থাকা, যখন লিন্ডা তাকে গান শোনাচ্ছিল। তখন সে খুব ছোট ছিল কারণ পোপ, যে লিন্ডার সাথে অনেক সময় কাটাত, তাকে এক হাতে তুলে অন্য ঘরে নিয়ে গিয়ে দরজা বন্ধ করে দিত। জন মনে করে লিন্ডা প্রায়ই দুঃখিত থাকত কারণ ভারতীয় মহিলারা তার প্রতি খারাপ আচরণ করত। এরপর লিন্ডা বেশিরভাগ সময় পোপের সাথে মেসকাল (স্থানীয় মদ) পান করে সময় কাটাত।

একবার, জন তার মাকে বাঁচানোর চেষ্টা করেছিল যখন মহিলারা লিন্ডাকে মারছিল, কিন্তু তারা তাকেও মারে। যখন সে লিন্ডাকে সান্ত্বনা দেওয়ার চেষ্টা করল, লিন্ডা রেগে চিৎকার করল যে সে তার মা হতে চায় না এবং বলে, “শুধু প্রাণীরা তাদের সন্তান জন্ম দেয়।” কিন্তু পরে লিন্ডা তার কথার জন্য দুঃখিত হয়ে জনকে জড়িয়ে ধরে চুমু খায়। জন সবচেয়ে খুশি থাকত যখন লিন্ডা তাকে অন্য জগৎ এর গল্প বলত, যেখান থেকে সে এসেছে, এবং যখন মিতসিমা নামে একজন ভারতীয় লোক তাকে ভারতীয় মিথ এবং খ্রিস্টান ঈশ্বর সম্পর্কে গল্প বলত।

লিন্ডা জনকে পড়তে শেখানোর চেষ্টা করেছিল, কিন্তু জন তেমন কিছু শেখেনি যতক্ষণ না সে ১২ বছর বয়সী হয়, যখন পোপ তাকে উইলিয়াম শেক্সপিয়ারের সমস্ত রচনা নামে একটি বই দেয়। যখন অন্য ছেলেরা তার দিকে পাথর ছুড়ে মারত, অথবা যখন তাকে ভারতীয় অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করতে দেওয়া হত না, তখন জন শেক্সপিয়ার পড়ত। মিতসিমাও তাকে মাটির হাঁড়ি বানাতে শিখিয়েছিল, যা তাকে আনন্দিত করত। বার্নার্ড জনকে জিজ্ঞেস করে সে কি অন্য জগৎ এ (ওয়ার্ল্ড স্টেট) তার সাথে যেতে চায় কি না এবং প্রতিশ্রুতি দেয় যে লিন্ডাও তাদের সাথে যাবে। জন খুব উত্তেজিত হয় এবং শেক্সপিয়ারের নাটক দ্যা টেম্পেস্ট এর একটি লাইন বলে, “ওহ, সাহসী নতুন জগৎ, যেখানে এমন লোক আছে!” সে যেতে খুব আগ্রহী এবং বলে, “চলো, এখনি যাই।”

Chapter 9 – (বার্নার্ডের পরিকল্পনা জনকে লন্ডনে নিয়ে যাওয়ার জন্য)

বার্নার্ড সকালটি তার চাকরি বাঁচানোর পরিকল্পনা নিয়ে কাটায়। তিনি মুস্তাফা মন্ড, কন্ট্রোলারের সাথে কথা বলেন, লিন্ডা এবং জনকে ওয়ার্ল্ড স্টেটে ফিরিয়ে আনার বৈজ্ঞানিক কারণগুলো ব্যাখ্যা করেন। তিনি সাবধান থাকেন যাতে ডিরেক্টরের হারিয়ে যাওয়া মেয়েটির গল্প না বলেন। মুস্তাফা রাজি হন এবং ওয়ার্ডেনকে কাগজপত্র পাঠান। বার্নার্ড যখন সই করা ফর্মগুলি নিতে ওয়ার্ডেনের অফিসে যায়, তখন সে নিজেকে খুব গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে দেখায় এবং ভান করে যে তার সাথে কন্ট্রোলারের খুব ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক আছে, যদিও তা সত্য নয়।

একই সময়ে, জন গেস্টহাউসে ঢোকার চেষ্টা করে, কিন্তু দরজা বন্ধ থাকে এবং কেউ থাকে না। যখন সে লেনিনার স্যুটকেস দেখে, সে দরজা ভেঙে ঢুকে তার পোশাকগুলো দেখে, কাপড়ের স্পর্শ এবং লেনিনার গন্ধ পছন্দ করে। তারপর, সে লেনিনাকে ঘুমিয়ে থাকতে দেখে। জন তার পাশে হাঁটু গেড়ে বসে রোমিও এবং জুলিয়েট এর লাইনগুলো আবৃত্তি করতে থাকে, যেখানে সে লেনিনার সৌন্দর্য নিয়ে কথা বলে।

Chapter 10 – (ডিরেক্টরের প্রকাশ্য অপমান)

ডিরেক্টর সিদ্ধান্ত নেন যে বার্নার্ডকে আইসল্যান্ডে পাঠানোর ঘোষণা দেয়ার জন্য দিনের সবচেয়ে ব্যস্ত সময় বেছে নেবেন। বিকাল ২:৩০-এ, তিনি হেনরি ফস্টারকে সাথে নিয়ে ফার্টিলাইজিং রুমে যান। ডিরেক্টর হেনরিকে বলেন যে তিনি এই জায়গাটি বেছে নিয়েছেন কারণ এখানে অনেক আলফা এবং বিটা কর্মী থাকে।

যখন বার্নার্ড আসে, ডিরেক্টর তাকে শুভেচ্ছা জানান এবং তারপর সকল কর্মীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। তিনি ঘোষণা করেন যে বার্নার্ডকে নির্বাসিত করা হচ্ছে কারণ সে বুদ্ধিমত্তা এবং দায়িত্বের মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখে না। ডিরেক্টর বলেন যে বার্নার্ডের নিজের পরিচিতিতে বেশি মনোযোগ দেয়া এবং সমাজকে অবহেলা করা তাকে রাষ্ট্রের শত্রু করে তুলেছে। যখন বার্নার্ডকে জিজ্ঞেস করা হয় যে তার কিছু বলার আছে কি না, বার্নার্ড উত্তর দেয়, “হ্যাঁ,” এবং লিন্ডা ও জনকে নিয়ে আসে।

লিন্ডা ডিরেক্টরকে চিনতে পারে এবং সবার সামনে বলে যে ডিরেক্টর জনের বাবা এবং সে জনের মা। কর্মীরা লিন্ডার উপস্থিতি এবং মা শব্দটি শুনে হতবাক হয়ে যায়, কারণ এই শব্দটি তাদের কাছে নোংরা বলে মনে হয়। যখন লিন্ডা ডিরেক্টরকে জনের বাবা বলে ডাকে, কর্মীরা প্রথমে চুপ থাকে, তারপর হাসিতে ফেটে পড়ে। এই অপমানজনক মুহূর্তে ডিরেক্টর লজ্জিত হয়ে দ্রুত কক্ষ ছেড়ে চলে যায়।

Chapter 11 – (জনের খ্যাতি এবং বার্নার্ডের জনপ্রিয়তা)

অধ্যায় ১১-তে, জন দ্যা স্যাভেজ বিখ্যাত হয়ে ওঠে। মানুষ তাকে দেখতে চায় কারণ সে সাধারণ পরীক্ষাগারে জন্মানো মানুষের মতো নয়। তাকে বিভিন্ন জায়গায় আমন্ত্রণ জানানো হয় যাতে সে ওয়ার্ল্ড স্টেটের সংস্কৃতি দেখতে পারে। জন এবং বার্নার্ড একটি আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ ডেক এবং একটি হেলিকপ্টার কারখানা পরিদর্শন করে। কারখানায়, জন অনেক গামা, ডেল্টা, এবং এপসিলন ক্লোনদের দেখে, যারা দেখতে একই রকম। এতগুলো একই ধরনের মানুষ দেখে জনের বমি আসে।

পরের গন্তব্য হলো ইটন, যেখানে আলফা এবং বিটা ছেলে-মেয়েরা পড়াশোনা করে। ভূগোল ক্লাসে, জন তার রিজার্ভেশন নিয়ে করা একটি ভিডিও দেখে বিরক্ত হয়। ভিডিওতে দেখানো হয় কিভাবে ভারতীয়রা তাদের পাপের জন্য যিশুর মূর্তির সামনে শুয়ে পড়ে এবং নিজেদের চাবুক মেরে শাস্তি দেয়। জন জানতে পারে যে ছাত্ররা শুধু ওয়ার্ল্ড স্টেট অনুমোদিত বই পড়তে পারে এবং শেক্সপিয়ার পড়তে পারে না। হিপ্নোপেডিক কন্ট্রোল রুমে, জন দেখে কিভাবে ছাত্রদের ঘুমের মধ্যে শেখানো হয়। এত প্রযুক্তি দেখে জন মুগ্ধ না হয়ে দুঃখ এবং বিভ্রান্ত বোধ করে।

অন্যদিকে, বার্নার্ড জনের অভিভাবক হিসেবে জনপ্রিয়তা উপভোগ করছে। সবাই তার পার্টিতে আমন্ত্রণ পেতে চায়, এবং মেয়েরা তার সাথে সময় কাটাতে চায়। বার্নার্ড কন্ট্রোলারকে রিপোর্ট লেখে, যেখানে জনের প্রতিক্রিয়াগুলো ব্যাখ্যা করে, যেমন জনের সোমা এর প্রতি ঘৃণা এবং ওয়ার্ল্ড স্টেট কিভাবে মানুষকে শিশুদের মতো আচরণ করতে শেখায় তা অপছন্দ করা। সেই সন্ধ্যায়, জন লেনিনার সাথে ফিলিজ (একটি সেন্সরি সিনেমা) দেখতে যায়, কিন্তু জন এই সিনেমা এবং এর প্রভাব পছন্দ করে না।

Chapter 12 – (জনের সমাজকে প্রত্যাখ্যান করা)

জন দ্যা স্যাভেজ যখন আরেকটি সামাজিক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে অস্বীকার করে এবং তার ঘর থেকে বের হয় না, তখন বার্নার্ডের জনপ্রিয়তা হারিয়ে যায়। জন ভারতীয় ভাষায় চিৎকার করে যা বার্নার্ড বুঝতে পারে না, কিন্তু যখন জন মাটিতে থুথু ফেলে, তখন বার্নার্ড তার মানে বুঝতে পারে। ক্যানটারবারির আর্চ-কমিউনিটি-সংস্টার রেগে যায়, কারণ সে মনে করে বার্নার্ড তাকে প্রতারণা করে পার্টিতে নিয়ে এসেছে।

এদিকে, ইটনের হেডমিস্ট্রেস এবং ক্রেমেটোরিয়া ও ফসফরাস রিক্লেমেশনের ডিরেক্টর ফ্যানি ক্রাউনের সাথে আলোচনা করে যে বার্নার্ডের সার উৎপাদনের তরল খারাপ হতে পারে এমন গুজব নিয়ে। হেনরি ফস্টার বার্নার্ড সম্পর্কে তার আসল মতামত প্রকাশ করে এবং বলে যে প্রাক্তন ডিরেক্টর বার্নার্ডকে আইসল্যান্ডে পাঠানোর পরিকল্পনা করেছিলেন।

লেনিনা দুঃখিত এবং বিভ্রান্ত কারণ সে বুঝতে পারে না কেন জন তাকে পছন্দ করার মতো আচরণ করে কিন্তু যখন তারা একা থাকে তখন তাকে এড়িয়ে যায়। সেই রাতে, লেনিনা ঠিক করেছিল জনকে বলবে যে সে জনকে অন্য সব পুরুষের চেয়ে বেশি পছন্দ করে, কিন্তু শেষ পর্যন্ত সে আর্চ-কমিউনিটি-সংস্টারের সাথে চলে যায়, হতাশা অনুভব করে।

প্রত্যাখ্যাত হওয়ার কারণে বার্নার্ড আবার বিরক্ত হয়ে ওঠে এবং তার সমস্যার জন্য জনকে দোষ দেয়। জন উত্তর দেয়, “আমি মিথ্যা খুশি চাই না, তোমাদের এই মিথ্যা খুশির চেয়ে অসুখী থাকাই ভালো।” হেলমহোল্টজ একজন ভালো বন্ধু হিসেবে প্রমাণিত হয়, কারণ সে বার্নার্ডের সাথে সময় কাটায় এবং খোলাখুলি কথা বলে। হেলমহোল্টজ এবং জন শেক্সপিয়ার এবং অন্য কবিতা ভাগ করে পড়ে ভালোভাবে সময় কাটায়, কিন্তু এতে বার্নার্ড ঈর্ষান্বিত হয়।

Chapter 13 – (লেনিনার জনকে আকৃষ্ট করার চেষ্টা)

লেনিনা জন দ্যা স্যাভেজের প্রতি তার অনুভূতি নিয়ে খুবই বিভ্রান্ত এবং সে জন সম্পর্কে ভাবা বন্ধ করতে পারে না। কর্মস্থলে, সে হেনরির প্রশ্নে বিরক্ত হয় এবং তাকে চুপ থাকতে বলে। সে ভুলে যায় যে সে একটি ভ্রূণকে ঠিকমতো ঘুমের অসুখের ওষুধ দিয়েছে কিনা, কিন্তু সেটিকে অ্যাসেম্বলি লাইনে পাঠিয়ে দেয়। গল্পটি ইঙ্গিত দেয় যে এই ভুলটি পরে অনেক সমস্যার সৃষ্টি করবে। কাজ শেষে, লেনিনা তার বন্ধু ফ্যানিকে জানায় যে জনই একমাত্র পুরুষ যাকে সে চায়। ফ্যানি এই ধারণাকে হাস্যকর মনে করে এবং লেনিনাকে অন্য পুরুষদের সাথে সময় কাটানোর পরামর্শ দেয়। লেনিনা স্বীকার করে যে জন ছাড়া অন্য কাউকে সে চিন্তাই করতে পারে না এবং এমনকি সোমা তাকে জনকে ভুলতে সাহায্য করতে পারে না। ফ্যানি তাকে জনকে আকৃষ্ট করার পরামর্শ দেয়।

লেনিনা হঠাৎ জনের কাছে যায় এবং জিজ্ঞেস করে যে সে তার সম্পর্কে কী অনুভব করে। জন উত্তর দেয়, “আমি তোমাকে পৃথিবীর সবকিছুর চেয়ে বেশি ভালোবাসি” এবং বোঝাতে চায় যে সে তার ভালোবাসা প্রমাণ করতে বীরত্বপূর্ণ কিছু করতে চায়। কিন্তু লেনিনা জনের কথা শোনে না এবং তাকে আকৃষ্ট করার চেষ্টা শুরু করে। জন এই আচরণে হতবাক হয়ে তাকে “বেশ্যা! নির্লজ্জ মেয়ে!” বলে ডাকে এবং তাকে থাপ্পড় মারে। লেনিনা যখন বাথরুমে পোশাক পরছে, তখন জন একটি ফোন কল পায় যে তার মা মারা যাচ্ছে। সে তাড়াতাড়ি অ্যাপার্টমেন্ট ছেড়ে চলে যায় মাকে দেখতে।

Chapter 14 – (জনের লিন্ডার কাছে যাওয়া হাসপাতালে)

জন দ্যা স্যাভেজ তার মায়ের মৃত্যুর আগে তার সাথে থাকার জন্য পার্ক লেন হাসপাতাল ফর দ্যা ডায়িং এ পৌঁছায়। যখন সে তার মায়ের বিছানার কাছে যায়, সে চারপাশে সব প্রযুক্তি দেখে—নকল সঙ্গীত, টিভির অবিরাম আওয়াজ এবং ছবি, আর মিষ্টি সুগন্ধি যা রোগীদের শেষ সময়ে খুশি রাখে। কিন্তু লিন্ডার পাশে শোক জানাবার মতো কোনো পরিবার বা বন্ধুবান্ধব নেই।

জন লিন্ডার হাত ধরে থাকে, যখন লিন্ডা মাঝেমধ্যে জ্ঞান হারিয়ে ফেলে, তার শরীরে থাকা সোমা দ্বারা সে অচেতন হয়ে পড়ে। জন তার শৈশবের কথা ভাবে এবং দুঃখ অনুভব করে। হঠাৎ, একদল একই রকম দেখতে ডেল্টা যমজ এসে তাকে বিরক্ত করে। তারা অশ্রদ্ধাভরে লিন্ডার দিকে তাকায়, যেন সে কোনো চিড়িয়াখানার জন্তু। এতে জন খুব রেগে যায় এবং সে এক শিশুকে তার মায়ের বিছানায় ওঠা থেকে থামায়।

এরপর, জন তার মায়ের সাথে সুখের মুহূর্তগুলো মনে করার চেষ্টা করে, কিন্তু পারে না। বরং, সে রাগ অনুভব করে—অবহেলিত হওয়ার জন্য, তার মায়ের জটিল ভালোবাসার জন্য, এবং পোপের প্রতি। সে কষ্ট পায় যে লিন্ডা তাকে চিনতে পারছে না বা তার মৃত্যুর কঠিন বাস্তবতা থেকে তাকে উদ্ধার করতে পারছে না। লিন্ডার মৃত্যু তাকে ভেঙে দেয়, এবং হাসপাতালে কেউ তাকে সান্ত্বনা দেয় না। বরং, তারা তার প্রকাশ্য শোককে অপছন্দ করে। রাগে এবং দুঃখে জন ডেল্টা যমজদের সরিয়ে দ্রুত ঘর থেকে বের হয়ে যায়।

Chapter 15 – (জনের সোমার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ)

তার মায়ের মৃত্যুর পর, জন দ্যা স্যাভেজ হাসপাতালের ওয়ার্ড থেকে বেরিয়ে আসে এবং ডেল্টা মহিলাদের একটি দল এবং ডেল্টা পুরুষদের তার চারপাশে দেখতে পায়, যারা সবাই সোমা (খুশির ড্রাগ) নেওয়ার জন্য লাইনে দাঁড়িয়ে আছে। জন বুঝতে পারে যে তার মায়ের মতো এদেরও কাস্ট সিস্টেম এবং সোমা এর মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করা হয়। এতে সে খুব রেগে যায়। চিৎকার করে জন ঘোষণা করে যে সে তাদের মুক্ত করবে। সে টেবিল থেকে সোমা এর বাক্স তুলে জানালা দিয়ে ছুড়ে ফেলে। সে ডেল্টাদের বকাঝকা করে যে তারা শিশুদের মতো আচরণ করছে এবং তাদের উপর চাপানো জীবনের নিয়ম মেনে নিচ্ছে। ডেল্টারা রেগে জনের চারপাশে ভিড় জমায়, তখন পুলিশ আসে, সঙ্গে বার্নার্ড এবং হেলমহোল্টজও আসে।

জনকে বিপদে দেখে, হেলমহোল্টজ তার বন্ধুকে সাহায্য করতে ছুটে আসে। এদিকে, বার্নার্ড পুলিশের সহায়তা চায় দাঙ্গা থামানোর জন্য। পুলিশ সোমা এবং ট্রাঙ্কুলাইজারের পানি দিয়ে ভিড়কে শান্ত করে। একই সাথে একটি রেকর্ডিং, “সিন্থেটিক অ্যান্টি-রায়ট স্পিচ নাম্বার টু (মিডিয়াম স্ট্রেংথ)” চালায়, যা শান্তির কথা বলে। ডেল্টারা পরিচিত কণ্ঠ শুনে আবার সোমা নেওয়ার লাইনে দাঁড়ায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসার পর, জন, হেলমহোল্টজ, এবং বার্নার্ডকে পুলিশ নিয়ে যায়।

Chapter 16 – (মুস্তাফা মন্ডের ওয়ার্ল্ড স্টেট ব্যাখ্যা)

জন দ্যা স্যাভেজ, বার্নার্ড মার্ক্স, এবং হেলমহোল্টজ ওয়াটসন কন্ট্রোলার মুস্তাফা মন্ডের অফিসে অপেক্ষা করছে তাদের ভাগ্য জানতে। জন রুমে হাঁটছে এবং বইগুলো দেখছে। সে My Life and Works by Our Ford নামে একটি কালো বই পায়, কিন্তু এতে তার কোনো আগ্রহ নেই। হেলমহোল্টজ আরামদায়ক চেয়ারে বসে কফি পান করে। বার্নার্ড ভয়ে সবচেয়ে অস্বস্তিকর চেয়ারটিতে বসে পড়ে।

মুস্তাফা মন্ড রুমে প্রবেশ করে, তিনজনের সাথে করমর্দন করে এবং জনের সাথে কথা বলা শুরু করে। তিনি বলেন, “তুমি সভ্যতা পছন্দ করো না, জন?” জন সৎভাবে উত্তর দেয়, “না।” তারা আলোচনা করে কেন ওয়ার্ল্ড স্টেট সাহিত্য, শিল্প বা ইতিহাসের মতো গভীর চিন্তা উদ্রেককারী জিনিসগুলো নিষিদ্ধ করেছে। মন্ড ব্যাখ্যা করে যে লোকদের জিনগতভাবে তৈরি ও কন্ডিশন করা হয়েছে, তাই তারা অতীতের বিষয়গুলো বুঝতে বা কেয়ার করে না।

জন বলে যে সে অনেকগুলো একই রকম দেখতে ক্লোন ঘৃণা করে, কিন্তু মন্ড ব্যাখ্যা করে যে প্রতিটি কাস্ট ওয়ার্ল্ড স্টেটকে স্থিতিশীল রাখতে গুরুত্বপূর্ণ। মন্ড আরও বলেন যে তিনি একসময় একজন বিজ্ঞানী ছিলেন এবং বিশুদ্ধ বিজ্ঞান নিয়ে গবেষণা করতে চেয়েছিলেন। তবে, নেতারা তার চিন্তাভাবনা পছন্দ করেনি, তাই তিনি গবেষণা চালিয়ে যাওয়ার জন্য একটি দ্বীপে না গিয়ে কন্ট্রোলার পদ বেছে নেন। বার্নার্ড যখন বুঝতে পারে যে তাকে দ্বীপে নির্বাসিত করা হবে, তখন সে আতঙ্কিত হয়ে পড়ে এবং তাকে সোমা দিয়ে শান্ত করা হয়। হেলমহোল্টজ এই সুযোগে খুশি হয়, কারণ সে এমন একটি জায়গায় যেতে চায় যেখানে মানুষ স্বাধীনভাবে নিজেদের প্রকাশ করতে পারে। সে ফকল্যান্ড দ্বীপে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়।

Chapter 17 – (ঈশ্বর এবং স্বাধীনতা নিয়ে আলোচনা)

বার্নার্ড এবং হেলমহোল্টজ চলে যাওয়ার পর, জন দ্যা স্যাভেজ এবং মুস্তাফা মন্ড একা আলোচনা চালিয়ে যায়। তারা ঈশ্বর এবং ধর্ম নিয়ে কথা বলে। মন্ড একটি ক্যাবিনেট খোলে এবং জনকে তিনটি বই দেখায়: দ্যা হলি বাইবেল, দ্যা ইমিটেশন অফ ক্রাইস্ট, এবং দ্যা ভ্যারাইটিস অফ রিলিজিয়াস এক্সপিরিয়েন্স। জন এবং মন্ড তর্ক করে মানুষের কি ঈশ্বর এবং আধ্যাত্মিক জীবন প্রয়োজন কিনা। জন বলে যে মানুষের ঈশ্বরের উপস্থিতি প্রয়োজন, কারণ তিনি সর্বদা সত্য এবং অপরিবর্তনীয়। মন্ড দ্বিমত পোষণ করেন, তিনি বলেন যে ওয়ার্ল্ড স্টেটের মানুষদের ঈশ্বরের প্রয়োজন নেই, কারণ তাদের জীবনে কোনো পরিবর্তন নেই। তাদের জীবন থেকে সমস্ত চাহিদা এবং দুশ্চিন্তা দূর করে দেয়া হয়েছে।

মন্ড ব্যাখ্যা করেন যে, রাষ্ট্র মানুষের জন্য নিয়ম, কাজ এবং কার্যক্রম ঠিক করে দেয় এবং মানুষকে এগুলো মেনে নিতে কন্ডিশন করা হয়, তাই তাদের আর কোনো উচ্চতর শক্তির প্রয়োজন নেই। জন এতে দ্বিমত পোষণ করে এবং বলে যে মানুষের স্বাধীনতা থাকা উচিত, তারা ঈশ্বরে বিশ্বাস করতে চায় কিনা তা নির্ধারণ করার স্বাধীনতা থাকা উচিত। সে বলে যে সে ঈশ্বরে বিশ্বাস করে এবং নিজের জীবনকে সুখ এবং দুঃখ উভয়কেই গ্রহণ করে, তার নিজের পছন্দ অনুযায়ী চালানোর স্বাধীনতা চায়।

Chapter 18 – (জনের একাকীত্ব এবং দুঃখজনক মৃত্যু)

বার্নার্ডের অ্যাপার্টমেন্টে ফিরে, বার্নার্ড এবং হেলমহোল্টজ জনকে দেখতে পায়, যে দেখতে খুবই ক্লান্ত এবং অসুস্থ। সে ওয়ার্ল্ড স্টেটের (অন্য জগৎ) খারাপ অভিজ্ঞতা থেকে নিজেকে শুদ্ধ করার চেষ্টা করছে। হেলমহোল্টজ এবং বার্নার্ড জনকে বলে যে তারা পরের দিন চলে যাবে এবং তারা বিদায় জানায়। তারা তিনজন একে অপরকে জড়িয়ে ধরে, বুঝতে পারে যে তাদের বন্ধুত্ব তাদের সুখী করেছে।

জন একা থাকতে চায়, সবার থেকে দূরে। সে পোর্টসমাউথের কাছে সমুদ্রের ধারে একটি শান্ত লাইটহাউস বেছে নেয় এবং শুধুমাত্র প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র নিয়ে যায় যা তাকে পরের বসন্ত পর্যন্ত বাঁচিয়ে রাখবে। সে শিকার করবে, মাছ ধরবে এবং সত্যিকারের খাবার চাষ করবে, ওয়ার্ল্ড স্টেটের কৃত্রিম খাবার খাওয়ার পরিবর্তে।

প্রথমে জন একা থাকার আনন্দ উপভোগ করে, কিন্তু মানুষ তার ঠিকানা জেনে যায় এবং তাকে দেখতে আসে, যেন সে চিড়িয়াখানার জন্তু। তারা তাকে দেখতে আসে, তাকে বিরক্ত করে এবং চিৎকার করে। প্রথমদিকে সে সাংবাদিকদের দূরে তাড়িয়ে দেয়, কিন্তু কেউ একজন তার নিজের গায়ে চাবুক মারা অবস্থায় ভিডিও করে। ভিডিওটি প্রকাশিত হওয়ার পর, আরও বেশি লোক তাকে দেখতে আসে, তাকে নিয়ে মজা করে এবং তাকে নিজের গায়ে চাবুক মারার জন্য অনুরোধ করে।

যখন লেনিনা এবং হেনরি আসে, জন লেনিনাকে ভয় দেখানোর চেষ্টা করে, কিন্তু তার সৌন্দর্য দেখে অভিভূত হয়ে কাঁদতে শুরু করে। ভিড় কার মানুষজন আরও উত্তেজিত হয়ে ওঠে, তাকে বিরক্ত করতে থাকে, এবং হেলিকপ্টারের আওয়াজ সবকিছুকে আরও খারাপ করে তোলে। এতে একটি বিশৃঙ্খল অবস্থা সৃষ্টি হয়, যেখানে সবাই সোমা নিয়ে উত্তেজনায় ভেসে যায়। পরের দিন সকালে, আরও দর্শক আসে এবং দেখে যে জন লাইটহাউসের কাঠামো থেকে ঝুলে আছে, আত্মহত্যা করেছে।

থিমসমূহ:

  • প্রযুক্তির মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ: সরকার প্রযুক্তি ব্যবহার করে সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করে, যেমন ল্যাবে বাচ্চা তৈরি করা এবং লোকদের সুখী রাখতে সোমা ব্যবহার করা। প্রযুক্তি প্রাকৃতিক জিনিসগুলোর, যেমন অনুভূতি ও জন্ম, পরিবর্তে কাজ করে।
  • কোনও ব্যক্তিত্ব নেই: ওয়ার্ল্ড স্টেটে মানুষকে আলাদা হওয়ার অনুমতি নেই। তাদের দলবদ্ধভাবে তৈরি করা হয়, একভাবে ভাবতে শেখানো হয়, এবং তাদের নিজস্ব মতামত থাকতে পারে না। সবাইকে একই নিয়ম মানতে হয়।
  • সুখ বনাম সত্য: এই সমাজে, সুখী থাকা সত্য জানার চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। মানুষ ড্রাগ নেয় এবং সবসময় ব্যস্ত থাকে যাতে তারা কখনও দুঃখ অনুভব না করে বা জীবনের ব্যাপারে ভাবনা না করে। 
  • মানবিকতা হারানো: ওয়ার্ল্ড স্টেটে মানুষকে বস্তু হিসাবে দেখা হয়। তাদের তৈরি করা হয় এবং নির্দিষ্ট কাজ করার জন্য প্রশিক্ষিত করা হয়, এবং তারা তাদের অনুভূতি হারায়। ভালোবাসা, পরিবার, এবং অনুভূতির মতো জিনিসগুলো গুরুত্বপূর্ণ নয়, যা দুনিয়াকে নিষ্ঠুর করে তুলেছে।

Most Important Quotes:

  • “..there is always soma, delicious soma, half a gramme for a half-holiday.” (Chapter 3, said by Lenina.)

Explanation: Lenina says this to show how people use Soma to avoid any bad feelings or stress.

“সোমা তো সবসময়ই আছে, মজাদার সোমা। মাত্র অর্ধেক গ্রামই যথেষ্ট, কিছুক্ষণের জন্য সবকিছু থেকে বিরতি নিতে।”

ব্যাখ্যা: লেলিনা এই কথা বলে বুঝিয়েছে যে মানুষ সোমা ব্যবহার করে যেকোনো খারাপ অনুভূতি বা চাপ থেকে দূরে থাকে।

  • “But I don’t want comfort. I want God, I want poetry, I want real danger, I want freedom, I want goodness. I want sin”.  (Chapter 17, said by John.)

Explanation: John says this to Mond, showing he wants real emotions and choices, not fake comfort.

আরো পড়ুনঃ The Scarlet Letter Bangla Summary (বাংলায়)

“আমি আরাম চাই না। আমি ঈশ্বর চাই, কবিতা চাই, সত্যিকারের বিপদ চাই, স্বাধীনতা চাই, ভালো চাই। আমি পাপও চাই।”

ব্যাখ্যা: জন মোস্তফা মন্ডকে এই কথা বলে বুঝিয়েছেন যে তিনি আসল অনুভূতি এবং নিজের ইচ্ছার স্বাধীনতা চান, মিথ্যা আরাম নয়।

  • “Happiness is never grand.” (Chapter 16, said by Mond.)

Explanation: Mond says this to explain that true happiness is simple and doesn’t need big things.

“সত্যিকারের সুখ কখনও বিশাল বা অসাধারণ কিছু নয়।”

ব্যাখ্যা: মন্ড বলেন যে সত্যিকারের সুখ সবসময়ই সাধারণ এবং এর জন্য বড় কিছু দরকার নেই।

  • “How beauteous mankind is! O brave new world,

That has such people in ‘t.” (Chapter 8, said by John (quoting Shakespeare)

Explanation: John says this when he first hears about the World State, thinking it will be wonderful.

“মানুষ কত সুন্দর! কি চমৎকার নতুন একটি পৃথিবী, যেখানে এমন অসাধারণ মানুষ আছে!”

ব্যাখ্যা: জন প্রথমবার যখন ওয়ার্ল্ড স্টেটের কথা শোনেন, তখন তিনি এই কথা বলেন, মনে করে এটি চমৎকার হবে।

  • “Bokanovsky’s process is one of the major instruments of social stability.” (Chapter 1, said by the Director.)

Explanation: The Director says this to explain how they control society by making many identical people.

“বোকানোভস্কি প্রক্রিয়া সমাজের স্থিতিশীলতার অন্যতম প্রধান উপায়, যা মানুষকে একরকম রাখে এবং নিয়ন্ত্রণ করে।”

ব্যাখ্যা: ডিরেক্টর এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সমাজকে নিয়ন্ত্রণ করার উপায় সম্পর্কে ব্যাখ্যা দেন, যেখানে একাধিক একরকম মানুষ তৈরি করা হয়।

  • “A gramme is always better than a damn,” (Chapter 6, said by Lenina.)

Explanation: Lenina says this to show how taking Soma is better than feeling upset.

“এক গ্রাম সোমা নেওয়া সবসময় কষ্ট বা হতাশার চেয়ে ভালো।”

ব্যাখ্যা: লেলিনা বলেন যে সোমা খাওয়া কষ্ট বা হতাশার চেয়ে ভালো।

  • ”Hug me till you drug me, Honey.” (Chapter 11, said by Lenina.)

Explanation: Lenina says this when she is feeling affectionate, comparing love to the effects of Soma.

“আমাকে এমনভাবে জড়িয়ে ধরো যেন আমি মাদক খেয়ে মত্ত হয়ে গেছি, প্রিয়।”

ব্যাখ্যা: লেলিনা এই কথা বলে বুঝিয়েছেন যে ভালোবাসা তাকে মাদকগ্রস্ততার মতো অনুভূতি দেয়।

  • “I’ll teach you; 

“I’ll make you be free whether  you want to or not.” (Chapter 8, said by John.)

Explanation: John says this because he wants to help others see the truth, even if they don’t want it.

“আমি তোমাকে শেখাবো, এবং তোমাকে মুক্ত করবো, চাও বা না চাও।”

ব্যাখ্যা: জন এই কথা বলে বোঝাতে চান যে তিনি অন্যদের সত্যি দেখতে সাহায্য করবেন, তারা চাইলে বা না চাইলে।

  • “Community, Identity, Stability.” (Chapter 1, motto of the World State.)

Explanation: This is the society’s motto, showing the values that keep people under control.

“সমাজ, পরিচয়, স্থিতিশীলতা।”

ব্যাখ্যা: এটি সমাজের মটো, যা মানুষের ওপর নিয়ন্ত্রণ এবং শৃঙ্খলার গুরুত্ব বোঝায়।

  • “Ending is better than mending.” (Chapter 3, said during hypnopaedic lessons.)

Explanation: This phrase teaches people to always buy new things instead of fixing old ones.

“কিছু ঠিক করার চেয়ে নতুন কিছু নেওয়া ভালো।”

ব্যাখ্যা: এই বাক্যটি মানুষকে শেখায় পুরোনো কিছু ঠিক করার চেয়ে নতুন কিছু কেনা ভালো।

  • “Everybody’s happy now.” (Chapter 5, said by Lenina.)

Explanation: Lenina says this to show how the World State keeps everyone happy and calm with Soma.

“এখন সবাই সুখী।”

ব্যাখ্যা: লেলিনা এই কথা বলে বুঝিয়েছেন যে সোমা দিয়ে সবাইকে সুখী এবং শান্ত রাখা হয়।

Literary Terms:

  • Dystopia: A dystopia is a fictional world where society is controlled in a harsh or corrupt way. Brave New World shows a future where the government controls people through technology, science, and drugs. It creates a world without individuality or real freedom.
  • Satire: Satire is a way of using humour or exaggeration to criticize something. In Brave New World, Huxley uses satire to make fun of the idea of a “perfect” society and to criticize the over-reliance on technology, consumerism, and the loss of humanity.
  • Irony: The irony is when something happens that is opposite of what is expected. In Brave New World, people think they are living happy and perfect lives, but in reality, they have lost their freedom, emotions, and individuality.

Symbols:

  • Soma: A drug that keeps people happy and controlled.
  • The Hatchery: A place where people are made, showing control over life.
  • The Electric Fence: Separates the controlled world from the free, natural world.
  • Shakespeare’s Works: Show real feelings and individuality, which the World State lacks.
  • Ford and the T-Model: stand for machines, mass production, and no individuality.
  • The Feelies: Movies that keep people busy and stop them from thinking.
  • The Conditioning: Controls people’s thoughts and actions from birth.

Figures of Speech:

  • Imagery: Imagery means using words to create pictures in the reader’s mind. Huxley uses it to show the clean, controlled World State and the wild Savage Reservation.
  • Symbolism: Symbols are things that stand for bigger ideas. In Brave New World, Soma shows control and escape from real life, and conditioning shows how society takes away individuality.

Moral Lesson: 

  • True happiness needs freedom and individuality.
Share your love
Shihabur Rahman
Shihabur Rahman

Hey, This is Shihabur Rahaman, B.A (Hons) & M.A in English from National University.

Articles: 927

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *