God of Small Things Bangla Summary

Key Information:

earn money
  • দা গড অফ স্মল থিংস নোভেলটি লিখেছেন অরুন্ধতী রায়। তিনি মূলত একজন ইন্ডিয়ান নোভেলিস্ট।
  • প্রকাশিত হয়েছে ১৯৯৭ সালে।
  • বুকার পুরস্কার লাভ করে ১৯৯৭ সালে।
  • মূল থিম: উপন্যাসটিতে আলোচনা করা হয়েছে পারিবারিক দ্বন্দ্ব এবং পিতা-মাতার সম্পর্কের দ্বারা সন্তান-সন্ততিরা কিভাবে প্রভাবিত হয় এবং কিভাবে জীবনের ছোটখাটো বিষয়গুলো জীবনে বড় বড় পরিবর্তন নিয়ে আসে সেই সম্পর্কে। এখানে মূলত ফেমিনিজ থিমটাকে ডেভেলপ করা হয়েছে এবং পারিবারিক সম্পর্কের ওপরেই আলোচনা করা হয়েছে।
  • সেটিংসঃ এখানে ভারতের কেরালা স্টেট এর আই অ্যামনেম নামক একটি গ্রামের মানুষের জীবনযাপন সংস্কৃতি ও বৃষ্টির মাধ্যমে উপন্যাসটির থিম ডেভেলপ করা হয়েছে।

চলুন এবার দেখে নেই উপন্যাসটির চরিত্রগুলোকে এক পলকে:

  • পাপাচি হল এস্থা এবং রাহেলের গ্র্যান্ডফাদার। 
  • তার স্ত্রীর নাম হলো মামাচি। 
  • বেবি কচামা – পাপাচির বোন তিনি একজন খ্রিস্টান ফাদারকে পছন্দ করতেন যার নাম হলো ফাদার মালিগান। ফাদার মালিগানকে পাওয়ার জন্য তিনি নিজের ধর্ম পরিবর্তন করে খ্রিস্টান হয়েছিলেন কিন্তু শেষ পর্যন্ত যখন দেখলেন যে এটা সম্ভব নয় তখন তিনি সারা জীবন অবিবাহিত থেকে গেলেন।
  • Chako এই পরিবারের একজন সন্তান যে পড়ালেখার জন্য লন্ডনে গিয়েছিলেন এবং সেখানে বিয়ে করেন মার্গারেটকে। 
  • এদের বিয়ের কিছুদিন পর একটি বাচ্চা জন্ম নেয় যার নাম হল ছফি মল। বাচ্চা জন্ম দেওয়ার পর মার্গারেট Joe নামক এক ব্যক্তির সাথে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয় এবং chako আই এম নামে ফিরে আসে। 
  • Joe যখন মারা যায় তখন Chako এর আমন্ত্রণে মার্গারেট গ্রামে তার সন্তান সফি মলকে নিয়ে ফিরে আসে। 
  • Ammu হল Chako এর একমাত্র বোন যে বাবা নামক এক মাদকাসক্ত ব্যক্তিকে বিবাহ করে এবং তাদের সংসারে ইস্থা ও রাহেল নামে দুই জন সন্তানের জন্ম হয়।
  • Velutha এই উপন্যাসের অন্যতম একটি চরিত্র যার মৃত্যুর মাধ্যমে আমরা ভারতের বর্ণবাদ সম্পর্কে ধারণা পাবো।

God of Small Things Bangla Summary

পাপাচির পোকা আবিষ্কার এবং উপন্যাসের শুরু

উপন্যাসটির শুরু হয় পাপাচির পোকা আবিষ্কারের মাধ্যমে। একদিন পাপাচি তার বারান্দায় দাঁড়িয়ে চা পান করছিলেন এবং হঠাৎ করে একটি পোকা এসে তার চায়ের ভেতরে পড়ে। পোকাটি হাতে নিয়ে তিনি অনুমান করলেন যে এই পোকা সাধারণ কোন পোকা নয়। তাই তিনি এই পোকাটি নিয়ে সরকারি দপ্তরে জমা দিলেন এবং দাবী করলেন যে তিনি এই পোকা আবিষ্কার করেছেন। কিন্তু তার চাকরির মেয়াদ খুব দ্রুত শেষ হয়ে যাওয়ার কারণে এই ক্রেডিট আর নেওয়া সম্ভব হয়নি।

পরবর্তীতে তার চাকরি শেষ হয়ে যাওয়ার পর সেই অফিসের একজন কর্মকর্তা মিডিয়ার কাছে এসে দাবি করেন যে তিনি বিশেষ ধরনের এই পোকা আবিষ্কার করেছেন এবং বিশিষ্ট একজন পতঙ্গ বিদ হিসেবে খ্যাতি অর্জন করেন। এখানে যে ব্যাক্তি পতঙ্গ বিদ হিসেবে খ্যাতি অর্জন করল সে পাপাচির একজন অধীনস্থ কর্মচারী ছিল এবং পাপাচি তাকে একদম পছন্দ করত না।

ইউটিউবে ভিডিও লেকচার দেখুনঃ


আরো পড়ুনঃ Julius Caesar Bangla Summary (বাংলায়)

কিন্তু পতঙ্গ আবিষ্কারের এই ক্রেডিট শেষ পর্যন্ত সেই অপছন্দনীয় ব্যক্তি পাওয়াতে পাপাচি মানসিকভাবে চরম ভেঙে পড়েছিলেন এবং বিরক্ত বোধ করছিলেন। আর তার এই সকল বিরক্ত তিনি তার স্ত্রী মামাচির ওপর গিয়ে ঝাড়তেন।

পাপাচি ও মামাচির সন্তান

এর পরিপ্রেক্ষিতে প্রতিদিন তাদের ঝগড়াঝাটি গিয়ে শেষ হতো মারামারি এবং হাতাহাতিতে। এদিকে মামাচি এলাকায় অনেক সুস্বাদু আচার বিক্রি করতেন যার ফলে এলাকার লোকজনের কাছে তার গ্রহণযোগ্যতা ও জনপ্রিয়তা ছিল অনেক বেশি। কিন্তু এই বিষয়টি পাপাচি কোনভাবেই মেনে নিতে পারতেন না। তিনি ভাবতেন যে আমি মানুষের মাঝে জনপ্রিয়তা অর্জন করতে পারিনি কিন্তু আমার স্ত্রী কেন এত জনপ্রিয় হয়ে যাচ্ছে।

এদের দুই সন্তানের নাম হল চ্যাকো এবং আম্মু। চ্যাকো লন্ডনে গিয়েছে পড়াশোনা করতে কিন্তু আম্মুকে পাপাচি তেমন একটা পড়াশুনা করায় নি। কারণ পাপাচি মনে করত যে মেয়েদেরকে শুধু শুধু বেশি পড়াশোনা করি এ কোন কাজ নেই। এমনকি তার মেয়ের বয়স হয়ে যাচ্ছে বিয়ে দিতে হবে এসব নিয়ে তার মাথায় কোন চিন্তা ভাবনা বলতে কিছুই নেই। 

আরো পড়ুনঃ The Tempest Bangla Summary (বাংলায়)

এছাড়াও পাপাচি আমাকে বিভিন্নভাবে মানসিক চাপে রাখতেন যার কারণে আম্মু ভেবে নিয়েছেন যে তিনি শহরে তার আন্টির বাসায় বেড়াতে যাবেন আর সেখানে গিয়ে যে কারো সাথে প্রেম করে বিয়ে করে ফেলবেন। সে আর তার বাবার বাড়িতে ফেরত আসতে চায় না।

আম্মুর প্রেম করে বিয়ে

যেমন চিন্তা তেমন কাজ। সে বাড়িতে বলে তার আন্টির বাসায় বেড়াতে গেল এবং সেখানে বাবা নামক একজন ব্যক্তির সাথে প্রেম করে বিয়ে করে ফেলল। কিন্তু বিয়ের পর আম্মু বুঝতে পারল যে বাবা আসলে একজন মাদকাসক্ত ব্যক্তি। বাবা একটি চা কারখানায় কাজ করত কিন্তু মাদকাসক্তের কারণে তাকে সেখান থেকে বের করে দেয়া হয়েছে। চাকরি হারানোর পর বাবা আম্মুকে চাপ দিতে থাকে যে সে যেন তার অফিসের ম্যানেজারকে গিয়ে ম্যানেজ করে এবং বাবা বিশ্বাস করে যে আম্মু যদি তার ম্যানেজারের সাথে শারীরিক সম্পর্ক করে তাহলে তার ম্যানেজার খুশি হয়ে বাবার চাকরি পুনরায় ফিরিয়ে দিবে।

আম্মুর আবারও আয়েমনামে ফিরে আসা

যখন আম্মু দেখল যে তার স্বামী তাকে এ ধরনের অনৈতিক কাজে যুক্ত হওয়ার জন্য চাপ দিচ্ছে তখন সে মনে মনে ভেবে নিল যে সে আবারও তার বাবার বাড়িতে ফিরে আসবে। তখন সে তার দুই সন্তান রাহেল এবং এসথা কে সাথে নিয়ে তার বাবার বাড়িতে ফিরে আসলো। কিন্তু তার পরিবারের লোকজন আম্মুর ফিরে আসা ভালোভাবে নিল না কারণ চেকো আগে থেকেই এরকমটা ভাবত যে তার বাবার সমস্ত সম্পত্তি শুধুমাত্র সে একা ভোগ করবে। এখানে আম্মু এসে উঠকো ঝামেলা হয়ে বেধে থাকলো।

কমিউনিস্ট রেলি ও রেড ফ্লাগ

একদিন তাদের পরিবারের সকলে মিলে সিনেমা দেখতে গিয়েছিলেন এবং সিনেমা দেখে ফিরে আসার সময় তাদের গাড়ি একটি কমিউনিস্ট মিছিলের সামনে পড়ল। তখন মিছিলের মধ্য থেকে একজন লোক এসে বেবি কচমা কে গাড়ি থেকে টেনে বের করে বুকে রেড ফ্লাগ লাগিয়ে দিয়ে চলে গেল। এই কারণে বেবি কুচামা কমিউনিস্টদের প্রতি প্রচণ্ড রেগে গিয়েছিলেন এবং তিনি মনে মনে ভাবলেন যে এই মিছিলের ভেতরে ভ্যালুথা নামক এক ব্যাক্তি ছিল। সে নিম্ন শ্রেণীর একজন ব্যক্তি এবং সে কমিউনিস্ট ও বটে। তাই ভেলুথার প্রতি তার ঘৃণা আগের থেকে আরো বেড়ে গেল। 

Chako এবং মার্গারেট এর গ্রামে ফিরে আসা

এরই মধ্যে Chako তার স্ত্রী মার্গারেটকে আমন্ত্রণ জানালো তাদের সন্তান সফি মল কে নিয়ে গ্রামে এসে একসাথে থাকার জন্য। আমন্ত্রণ জানানোর একটি কারণ হলো তাদের বিবাহ বিচ্ছেদের পরে মার্গারেট যে লোকটির সাথে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছিল সে সম্প্রতি একটি গাড়ি দুর্ঘটনায় মারা গেছে। এই আমন্ত্রণ পেয়ে মার্গারেট তার সন্তানকে সাথে নিয়ে গ্রামে ফিরে আসলো এবং একই সাথে বসবাস করা শুরু করলো। 

আরো পড়ুনঃ Hamlet Bangla Summary (বাংলায়)

ভালুথা এবং আম্মুর সম্পর্ক

এদিকে আরেকটি ঘটনা ঘটে গেল। ভ্যালু্থা নিচু শ্রেণীর একজন ব্যক্তি হলেও এই পরিবারে তার মোটামুটি একটা ভালো নাম রাখছিল কারণ পরিবারের সদস্যদের সকলের ফরমায়েশ শুনতেন তিনি। পাশাপাশি একই পরিবারে আম্মু তার দুই সন্তানকে নিয়ে নিঃসঙ্গ জীবন যাপন করছিলেন। ভ্যালুথা আম্মুর দুই সন্তানকে খুব একটা পছন্দ করতেন না কিন্তু সময়ের পরিক্রমায় আম্মু ভ্যালুথার প্রেমে পড়ে গেল এবং তারা একে অপরের সাথে সম্পর্কে লিপ্ত হলো। 

এই ঘটনা যখন পরিবারের অন্যান্য সদস্যের মধ্যে জানাজানি হলো তখন সবাই আম্মুকে অনেক বকাঝকা করলো। কারণ ভ্যালু্থা এমন একজন ব্যক্তি যাকে স্পর্শ করায় নিষেধ সেখানে আম্মু তার সাথে সম্পর্কে লিপ্ত হয়েছে। এই সুযোগে বেবি কচামা মনে মনে ভাবলেন যে এইবার তিনি একজন কমিউনিস্টকে উচিত শিক্ষা দিয়ে ছাড়বেন।

সফি মলের মৃত্যু

একদিন এস্থাঁ রাহেল এবং সফি মল তিনজন নৌকায় করে বেড়াতে গেল এবং ঘটনা ক্রমে সফি মল নৌকা ডুবে মারা গেল।  এই ঘটনায় সবাই আম্মু এবং তার দুই সন্তানকে দায়ী করল এই বলে যে এস্থআ এবং রাহেল যদি সফিকে নৌকায় করে নিয়ে না যেত তাহলে সে মারা যেত না। এবং যেহেতু আম্মু তাদের মা এই কারণে আম্মু নিজেও এই মৃত্যুর জন্য দায়ী।

এমনকি শেষ পর্যন্ত সফি মলের ফিউনারেল এ তাদের তিনজনকে যেতে দেয়া হয়নি।

ভালুথার মৃত্যু

পরবর্তীতে বেবি কচামা থানায় গিয়ে কমপ্লেন করে যে ভ্যালুথা তাদের পরিবারের তিন সন্তানকে অপহরণ করে এবং এর মধ্যে একজন নৌকা ডুবে মারা যায়। পুলিশ কমপ্লেইন গ্রহণ করে ভ্যালুথাকে এরেস্ট করে এবং প্রচন্ড মারধর করে।। বেদম প্রহরের ফলে ভ্যালুথা মৃত মুখে পতিত হয়। 

এই ঘটনার পর আম্মু তার দুই সন্তানকে নিয়ে গিয়ে পুলিশকে সঠিক তথ্য দেয় এবং বলে যে ভ্যালু্থা সম্পূর্ণ নির্দোষ ছিল। এটি শোনার পর পুলিশ এর কর্মকর্তারা একটু ভীত হয়ে পড়ে কারণ তারা যেহেতু একজন নির্দোষ কমিউনিস্টকে প্রহার করে মেরে ফেলেছে সে ক্ষেত্রে একটা দাঙ্গা ফ্যাসাদের সম্ভাবনা থেকেই যায়। সুতরাং তারা বেবি কচামাকে চাপ প্রয়োগ করতে থাকে যাতে আম্মু তাদের স্টেটমেন্ট বদলে দেয়। কিন্তু আম্মু তার সিদ্ধান্তে অনর এবং সে স্টেটমেন্ট বদলাবে না।

আম্মুকে বাড়ি থেকে বের করে দেয় Chako

যখন কোনোভাবেই আম্মুকে চাপ দিয়ে কাজ হচ্ছিল না তখন বেবি কচামা chako কে গিয়ে বলতে লাগলো যে যদি আম্মু ভেলুথার সাথে সম্পর্কে না জড়াতো বা সে যদি এই গ্রামে না আসতো কিংবা তার সন্তানেরা যদি সফি মলকে নৌকায় করে বেড়াতে না নিয়ে যেত তাহলে এরকম দুর্ঘটনা কোনভাবেই ঘটতো না। অর্থাৎ সব দিক দিয়ে সে আম্মুকে দায়ী করলো এবং এই কথায় প্রভাবিত হয়ে chako আম্মুকে বাড়ি থেকে বের করে দিল। 

বাড়ি থেকে বের করে দেওয়ার পর আম্মু বিভিন্ন জায়গায় কাজকর্ম করে তার জীবিকা নির্বাহ করতে থাকে এবং সবশেষে 31 বছর বয়সে মারা যায়। অন্যদিকে এস্খা কে পাঠিয়ে দেওয়া হয় তার বাবার কাছে। 

১৯৯৩ সালে যখন ফিউশনাল অনুষ্ঠানে আম্মুর দুই সন্তান একত্রিত হল ততদিনে রাহেল বিবাহিত। কিন্তু সমস্যা হল রাহেল যাকে বিয়ে করেছিল তার সাথে সে জীবনে কখনো সুখী ছিল না এবং এখন পর্যন্ত সুখী নই। এস্থা তার ভাইয়ের সাথে দেখা হওয়ার পর যখন বুঝতে পারল যে পৃথিবীর কোন মানুষ তার ভাইয়ের সাথে সুখী হতে পারবে না তখন সে রাহেলের সাথে একত্রিত হল এবং সংসার শুরু করল।

এখানে কারণ হিসেবে দেখানো হয়েছে যে রাহেল যখন ছোট থেকে বড় হচ্ছিল তখন সে পারিবারিক দ্বন্দ্ব এবং ঝগড়া ফ্যাসাদের মধ্য দিয়ে দিন পার করেছে। যে কারণে সে তার পরবর্তী জীবনে কোনদিনও সুখী হতে পারেনি। এভাবেই আমাদের এই উপন্যাসটির গল্প শেষ হল।

এখানে অরুন্ধতী রায় কয়েকটি বিষয় খুব সুন্দর ভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন যেগুলোর মধ্যে পারিবারিক দ্বন্দ্ব এবং তার প্রভাব, ভালোবাসা, তৎকালীন মহিলাদের অবস্থান, ধর্মীয় দাঙ্গা এবং কমিউনিজম এর প্রভাব, বর্ণবাদ অন্যতম।

Mottaleb Hossain
Mottaleb Hossain
This is Mottaleb Hossain, a researcher of theology and English literature and language. One of the seven members of literatureXpres, a worldwide online educational institution. Educational Qualification: BTIS(Bachelor of Theology and Islamic Studies)

6 COMMENTS

  1. Kindly pay attention to the name spellings. Here is a mistake of the name ‘Chacko’, you’ve written ‘Chako’.
    Anyway, thanks for the summary. I’m gonna attend my exam tomorrow. Hope it’ll help me. Thanks once again.😊

  2. You should be concerned about use of spelling in in future. However, this is good job. Carry on huge traffics are coming …..

  3. summary er moddhe jokhon character gulo asche tokhon punoray tader bisoy e aktu introduce kore tarpor continue korle valo hoy…nahole guliye jay..

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

ফেসবুক পেইজ

কোর্স টপিক