fbpx

Things Fall Apart Bangla Summary

আলোচ্য বিষয়:

এই উপন্যাসটি রচিত হয়েছে ইউরোপিয়ান সাম্রাজ্যবাদের ওপর ভিত্তি করে। অর্থাৎ ইউরোপিয়ান সাম্রাজ্যবাদের কারণে আফ্রিকায় যে পরিবর্তন ও পরিবেশ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছিল মূলত সেটাকে তুলে ধরতেই আচার এই উপন্যাসটি রচনা করেছেন।

উপন্যাসের উল্লেখযোগ্য চরিত্রগুলো হল:

  • অকুনকো তিনি এই উপন্যাসের কেন্দ্রীয় চরিত্র এবং ট্র্যাজিক হিরো। তিনি গরম মেজাজের মানুষ এবং সুন্দরভাবে তার পরিবারকে পরিচালনা করে থাকেন।
  • উনোকা হলেন ওকুনকোর বাবা এবং তিনি একজন ব্যার্থ মানুষ যাকে আফ্রিকান সাংস্কৃতি অনুযায়ী আগ বালা বলে ডাকা হয়। 
  • নোয়ের মা ওকুনকোর প্রথম স্ত্রী
  • একেওফি ওকুনকোর দ্বিতীয় স্ত্রী
  • ওজিউগো ওকুনকোর তৃতীয় স্ত্রী
  • ইকেমেফুনা নয়ের সবচেয়ে ভালো বন্ধু
  • নয়ের ওকুনকোর পুত্র
  • এজিনমা ওকুনকোর কন্যা

এই চরিত্রগুলোর পাশাপাশি আমরা আরও অনেক চরিত্র পাব যেগুলো সামারির মধ্যে বর্ণনা করা হয়েছে। 

Things Fall Apart Bangla Summary

উপন্যাসের সাধারণ বর্ণনা এবং শুরু

ইউটিউবে ভিডিও লেকচার দেখুনঃ


Things Fall Apart হলো Okonkwo এবং ইগবো সংস্কৃতির মর্মান্তিক পতন সম্পর্কে লেখা একটি গল্প। Okonkwo ছিলেন পূর্ব নাইজেরিয়ার উমুওফিয়ার ইগবো সম্প্রদায়ের একজন সম্মানিত এবং প্রভাবশালী নেতা। তিনি ব্যক্তিগত খ্যাতি অর্জনের পাশাপাশি একটি কুস্তি প্রতিযোগিতায় Amalinze the Cat কে পরাজিত করে নিজ গ্রামে সম্মান বয়ে আনেন। Okonkwo এর বাবা Unoka ছিলেন একজন অলস এবং অপব্যয়কারী লোক। তিনি প্রায়ই অন্যদের কাছে টাকা ধার করতেন। তারপর তা দিয়ে পাম-ওয়াইন খেতেন এবং বন্ধুদের সাথে উল্লাসে উড়িয়ে দিতেন। ফলে তার স্ত্রী ও সন্তানেরা প্রায়ই ক্ষুধার্ত থাকত। সম্প্রদায়ের মধ্যে, Unoka কে ব্যর্থ এবং হাসির পাত্র হিসাবে বিবেচনা করা হত। তাকে আগবালা হিসাবে উল্লেখ করা হয়েছিল, যিনি সম্পত্তিহীন ও মহিলার দুর্বলতার সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ। 

আরো পড়ুনঃ God of Small Things Bangla Summary

Unoka এক লজ্জাজনক মৃত্যুবরণ করেন এবং অসংখ্য ঋণ রেখে যান। Okonkwo তার বাবার কাজ কর্মকে অনেক অপছন্দ করতেন। তিনি তার পিতার দুর্বলতার ফলে যে লজ্জা বোধ করতেন তা কাটিয়ে ওঠার সংকল্প করেন এবং শক্তিশালী পুরুষ হিসেবে সমাজে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেন। 

একদিন Okonkwo তার কনিষ্ঠ স্ত্রী Ojiugo কে মারধর করার মাধ্যমে Week of Peace (শান্তির সপ্তাহ) লঙ্ঘন করেন। কারণ তার স্ত্রী পাশের বাড়িতে তার চুল বিনুনি করতে গিয়েছিলেন এবং দুপুরের খাবার তৈরি করতে ও তার বাচ্চাদের খাওয়াতে ভুলে গিয়েছিলেন। পরে, তিনি তার দ্বিতীয় স্ত্রী Ekwefi কে মারাত্মকভাবে মারধর করেন।এর কারণ হচ্ছে Ekwefi নিউ ইয়ামের উৎসবের খাবার মোড়ানোর জন্য Okonkwo এর কলা গাছ থেকে পাতা নিয়েছিলেন। পরে অবশ্য এজন্য অকুনকোকে শাস্তি পেতে হয়েছিল এবং তিনি তা মাথা পেতে নিয়েছিলেন। 

এখানে জেনে রাখা ভালো যে আফ্রিকান সংস্কৃতিতে পিস উইক বা শান্তির সপ্তাহ নামক একটি অনুষ্ঠান এর প্রচলন ছিল যে সময় তারা আনন্দ উল্লাসে মেতে থাকতেন এবং ভালো ভালো খাবার খেতেন। এই আয়োজনের উদ্দেশ্য ছিল তারা যেন তাদের পরিবার পরিজন এবং আশেপাশের মানুষদের সাথে কোন রকম ঝগড়া ছাড়া ভালোভাবে শান্তিতে বসবাস করতে পারেন। 

Ikemefuna এর আগমন

google news

আরো পড়ুনঃ King Lear Bangla Summary (বাংলায়)

 এর কিছুদিন পর ওকুনকোর পাশের গোত্রের একজন লোক তাদের গোত্রের এক মেয়েকে হত্যা করে। সেসময়ের নিয়ম অনুযায়ী যদি কেউ কোন এলাকার কাউকে হত্যা করে তাহলে সেই হত্যাকাণ্ডের পরিবর্তে তাদের নিজ এলাকা থেকে ওই এলাকায় একজনকে পাঠাতে হবে অর্থাৎ এটা এক ধরনের এক্সচেঞ্জ মনে করা যায়। সেই নিয়ম অনুযায়ী পার্শ্ববর্তী ক্ল্যান থেকে Ikemefuna নামের এক বালককে ওকুনকোর ক্ল্যানে পাঠানো হয়েছে । 

যেহেতু Okonkwo তার সম্প্রদায়ের একজন নেতা, তার কাছে Ikemefuna নামে একটি অল্প বয়স্ক ছেলেকে রাখতে বলা হয়। উমুওফিয়ার সাথে যুদ্ধ এড়াতে প্রতিবেশী এলাকা এমবাইনোর দ্বারা শান্তির প্রস্তাব হিসাবে Ikemefuna কে এই গ্রামে পাঠানো হয়। Ikemefuna তার ছেলে Nyowe র সাথে বন্ধুত্ব গড়ে তোলে। Okonkwo ও ছেলেটির প্রতি ভীষণ অনুরাগী হয়ে ওঠে। শুরুর দিকে Ikemefuna ওকুনকোর পরিবারের সাথে ঠিকমতো কথা বলতো না এবং ঠিকমতো খাবার-দাবার খেত না। তবে পরবর্তীতে আস্তে আস্তে সে ওকুনকোর কাজে সহায়তা করতে থাকে এবং তার একেবারে সঙ্গী হয়ে যায়। 

Ikemefuna এর হত্যাকান্ড

প্রথমদিকে অকুনকো এই ছেলেটির কোন কিছু পছন্দ না করলেও ধীরে ধীরে সে ছেলেটির গুণের প্রতি মুগ্ধ হয়ে যায় এবং তার প্রতি একটা মায়া সৃষ্টি হতে থাকে। কয়েকদিন পর প্রিস্টরা তাকে পরামর্শ যে তাদের পার্শ্ববর্তী গোত্রের রক্ত প্রবাহিত করতে হবে এবং গড চাইছেন যে সেটা হোক ওকুনকোর হাতের মাধ্যমে যেহেতু অকুনকো একজন শক্তিশালী সামর্থ্যবান পুরুষ।পরে তারা সরাসরি বলেই দিল যে ওকুনকোর ঘরে পার্শ্ববর্তী ক্লান এর যে ছেলে এসে বসবাস করছে তাকে হত্যা করতে হবে। এটা শুনে অকুনকো একেবারে থমকে গেল এবং মনে মনে ভাবল যে ছেলেটি আমার পরিবারের সকল সদস্যদের সাথে একেবারে মিশে গেছে তাকে আমি কিভাবে হত্যা করব। তাই সে সেদিন কিছু না বলে বাড়ি চলে গেল কিন্তু পরের দিন প্রিস্ট তাকে আবারও আদেশ দিল ছেলেটিকে হত্যা করতে। 

তাই তিনি যখন কোন উপায় পেলেন না তখন বাড়িতে গিয়ে Ikemefuna কে বললেন যে চলো তোমাকে তোমার গোত্রের লোকজনের কাছে ফিরিয়ে দিয়ে আসি। এই বলে অকুনকো তাকে বাড়ি থেকে নিয়ে জঙ্গলের দিকে রওনা দিল। কিছুদূর যাওয়ার পর রাস্তা দেখে Ikemefuna বুঝতে পারল যে তাকে বাড়ির দিকে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে না কারণ এটি তার বাড়ির রাস্তা নয়। পরবর্তীতে সে পিছনে ফিরে তাকিয়ে দেখতে পেল যে দুইজন ব্যক্তি তার দিকে এগিয়ে আসছে এবং হঠাৎ করে তাদের মধ্যে একজন তাকে আঘাত করল। পরবর্তীতে Ikemefuna আঘাত পেয়ে ওকুনকোর কাছে দৌড়ে গেল এবং বলল যে বাবা এরা আমাকে মেরে ফেলছে। কিন্তু অকুনকো তাকে আশ্চর্য করে দিয়ে তার হাতে থাকা ছুরি দিয়ে নিজেও আঘাত করলো এবং তাকে মেরে ফেলল।

মেরে ফেলার পর ওকুনকোর মনে বারবার একটা কথাই বেজে উঠছিল যে ছেলেটি তাকে বাবা বলে তার কাছে আশ্রয় চাইল তাকে সে কিভাবে মেরে ফেলতে পারল। এই চিন্তা তাকে ঘুমোতে দিচ্ছিল না এবং সে বাড়িতে গিয়ে দুই দিন যাবত এই চিন্তা থেকে কোনভাবেই বের হতে পারছিল না। পরে তিনি মনে মনে ভাবলেন যে আমাদের সৃষ্টিকর্তার আদেশ তাই আমি পালন করেছি এবং আমি চাইনা আমার বাবার মত ব্যর্থ একজন মানুষ হিসেবে সমাজের কাছে নিজেকে পরিচয় করিয়ে দিতে।

ওকুনকোর ক্ল্যান ছেড়ে পার্শ্ববর্তী ক্ল্যান এ চলে যাওয়া

কিছুদিন পর ওকুনকোর ক্লানের একজন বয়স্ক বৃদ্ধ লোক মারা যায়। যে লোকটি মারা যায় সেই লোকটি অকুনকোকে অনেক আদর স্নেহ করতেন এবং তাকে বিভিন্নভাবে সহযোগিতা করতেন। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত এই বৃদ্ধ লোকটির ফিন্যারেল অনুষ্ঠানে লোকটির বড় ছেলে দুর্ঘটনাবশত মারা যায়। তখন সে ওই অনুষ্ঠান থেকে বাড়িতে ফিরে এসে তার পরিবারের সকলকে বলে যে এই মুহূর্তে তাদের এই ক্ল্যান ছাড়তে হবে অন্যথায় বড় ধরনের বিপদ হতে পারে। কারণ হিসেবে বলে যে সে একটা অপরাধ করে ফেলেছে। 

ওকুনকোর মোবানটায় গমন

পার্শ্ববর্তী ক্লান মোবানটায় উচেন্দু নামক এক ব্যক্তি ছিল যে ওকুনকোর মামা হিসেবে পরিচিত এবং তার ছত্রছায়ায় অকুনকো ওই ক্লানে গিয়ে বসবাস করা শুরু করলো। কিছুদিন পর ওকুনকোর বন্ধু উবেরিকা তার কাছে এসে বলল যে তাদের ক্ল্যান এ সাদা রংয়ের একটি মানুষ এসেছিল লোহার ঘোড়ায় চড়ে। এখানে লোহার ঘোড়া বলতে বোঝানো হয়েছে সাইকেলকে। কারণ সেই সময় আফ্রিকার মানুষ জন সাইকেল চিনতো না তাই তারা এটিকে আয়রন হর্স নামে অভিহিত করেছে।

আরো পড়ুনঃ The Tempest Bangla Summary (বাংলায়)

ইউরোপিয়ানকে হত্যা

ইউরোপিয়ান সেই লোকটি যখন সাইকেলে করে তাদের এলাকায় এসেছিল তখন তারা সবাই তাকে সেই সাইকেলের সঙ্গে বেঁধে পিটিয়ে মেরে ফেলে। কিন্তু ঘটনা আরো খারাপ পর্যায়ে চলে যায় যখন পরের দিন আরো কয়েকজন ইউরোপিয়ান তাদের এলাকায় আসে এবং আকাশে ফায়ার করতে থাকে তখন। এই ঘটনা ওবেরিকা অকুনকোকে বর্ণনা করছিল। সে আরও বলছিল যে ইউরোপিয়ানরা এসে এখানে থাকার জন্য তাদের কাছে জায়গা চেয়েছে এবং তারা এই গোত্রের লোকজনদেরকে শিক্ষিত করে তুলতে চায়। যেহেতু তাদের কাছে অস্ত্রশস্ত্র রয়েছে এবং তাদেরকে চাইলেও মোবানটা গোত্রের লোকেরা তাড়িয়ে দিতে পারছে না তাই তাদেরকে ইভিল ফরেস্ট নামক একটি জায়গায় থাকতে অনুমতি দেয়া হয়েছে। 

ইভিল ফরেস্ট এমন একটি জায়গা যেখানে মূলত এই গোত্রের লোকেরা মৃত্যু পথযাত্রীদের থাকার জন্য পাঠিয়ে দিত। যেমন কারো যদি চিকেন পক্স বা এরকম দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত হয়ে থাকে তাদেরকে এই জায়গায় পাঠিয়ে দেওয়া হতো এবং মনে করা হতো যে তারা সেখানে গিয়ে খুব বেশিদিন বেঁচে থাকতে পারবে না। তারা মনে করেছিল যে ইউরোপিয়ানরা সেখানে খুব বেশিদিন টিকতে পারবেনা বড়জোর ১ থেকে ২ সপ্তাহ। কিন্তু বাস্তবে দেখা গেল যে এক সপ্তাহ পার হয়ে যাবার পরেও ইউরোপিয়ানরা সেখানে ছোট ছোট ঘর তুলে তাদের জীবন অতিবাহিত করছে। এর কিছুদিন পর ইউরোপিয়ানরা আফ্রিকান অঞ্চলের একজন ট্রান্সলেটর নিয়োগ করলো যাতে এই অঞ্চলের লোকদের সাথে কথোপকথন করতে সুবিধা হয়। সেই ট্রান্সলেটর এর মাধ্যমে তারা এই অঞ্চলের লোকদেরকে জিজ্ঞেস করল যে তারা কোন ভাষায় কথা বলে।

তখন আফ্রিকান লোকেরা উত্তর দিল যে আমাদের নির্দিষ্ট কোন ভাষা নেই এবং আমরা বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ভাষায় কথা বলি। তখন ইউরোপিয়ানরা তাদেরকে বলল যে তোমাদের যেহেতু নির্দিষ্ট কোন ভাষা নেই তাহলে তোমরা ইংরেজি ভাষা কেন শিখছ না? কারণ তোমরা যদি ইংরেজি ভাষা সবাই শিখে নাও তাহলে তোমাদের মধ্যে যোগাযোগের ব্যবস্থা আরও উন্নত হবে। আবার তাদেরকে জিজ্ঞেস করল যে তোমরা চিকিৎসা নাও কিভাবে? তখন আফ্রিকানরা বলল যে আমরা জঙ্গলের বিভিন্ন লতাপাতা অর্থাৎ হারবাল চিকিৎসার মাধ্যমে রোগ ব্যাধি থেকে মুক্তি পাই। এই কথা শুনে ইউরোপিয়ানরা তাদেরকে বলল যে তোমরা এগুলো ছেড়ে আমাদের আধুনিক মেডিসিন গ্রহণ করছ না কেন। তারা আফ্রিকানদের আধুনিক মেডিসিন ব্যবহার করে তাৎক্ষণিক রোগ মুক্তির কিছু প্রমাণ ও দিয়ে দিল যাতে করে আফ্রিকানরা তাদের এই আধুনিক মেডিসিন গ্রহণ করে।

একটা সময় গিয়ে তাদেরকে বলা হলো যে তারা কোন দেবতার উপাসনা করে বা তাদের স্রষ্টা কে? আফ্রিকানরা তখন বলল যে আমাদের নির্দিষ্ট কোন স্রষ্টা নেই আমরা এক এক সময় এক এক দেবতার উপাসনা করে থাকি এবং যদি আমরা আমাদের দেবতার উপাসনা না করি তাহলে আমাদেরকে কঠিন থেকে কঠিনতর শাস্তি দেওয়া হয়। তখন ইউরোপিয়ানরা তাদের বলল যে তাহলে তোমরা আমাদের সাথে আসতে পারো কারণ আমাদের দেবতা কখনো কাউকে শাস্তি দেয় না বরং আমাদের অপকর্মের জন্য সে নিজেকে উৎসর্গ করেছে। আমাদের দেবতার নাম হলো জিসাস ক্রাইস্ট। আমাদের স্রষ্টা কখনো শাস্তি দেয় না বরং সবাইকে শান্তির পথে আহবান করে। জিসাস ক্রাইস্ট ধনী গরিব ছোট বড় কালো ফর্সা শক্তিশালী দুর্বল সকলের দেবতা। সুতরাং তোমরা আমাদের দেবতার ছায়াতলে আসতে পারো।

এখানে আমরা একটা বিষয় লক্ষ্য করলে দেখতে পাবো যে ইউরোপিয়ানরা বিভিন্ন বিষয়ের সাথে সাথে মানুষকে শিক্ষা দেওয়ার নামে এবং সভ্য করে গড়ে তোলার নামে তারা নিজেদের ধর্ম ও নিজেদের সভ্যতা আফ্রিকানদের ওপর চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে। সেই সময়ে ধর্ম এবং স্রষ্টার ধারণা বলতে শুধু বোঝানো হতো শাস্তি এবং শাস্তি। কিন্তু তারা যখন শান্তির কথা শুনতে পেল ধর্মের ছায়াতলে তখন খুব সহজেই ধর্মান্তরিত হওয়ার প্রবণতার ভিতরে পড়ে গেল। 

এভাবে ইউরোপিয়ানরা আফ্রিকানদের মধ্যে তাদের নিজেদের ধর্ম ও সভ্যতা প্রচার করতে লাগলো এবং কিছুদিন পরে দেখা গেল যে ওকুনকোর পুত্র নঈ খ্রিস্টান ধর্মে ধর্মান্তরিত হয়ে গেছে। খ্রিস্টান ধর্মে দীক্ষিত হয়ে সে নিজের নাম পরিবর্তন করে আইজ্যাক রেখেছে। ধর্মান্তরিত হওয়ার পেছনে অবশ্য অকুনকো অনেকাংশে দায়ী। কারণ সে যখন দেখেছিল যে তার বাবা তার ভাই তুল্য বন্ধুকে নিজ হাতে হত্যা করছে তখন সেদিনই সে ভেবে নিয়েছিল যে তার বাবা সঠিক পথে নেই। তার বাবা যখন এই ঘটনা সম্পর্কে জানতে পারলো তখন তাকে আক্রমণ করল কিন্তু কোন রকমে নই তার পরিবার থেকে প্রাণ নিয়ে বেঁচে পালিয়ে গেল এবং সে মনে মনে প্রতিজ্ঞা করল যে তার পরিবারের সকলকে সে এই ধর্মে দীক্ষিত করে তুলবে।

এই এলাকায় যখন ওকুনকোর নির্বাসন শেষ হলো তখন সে তার পূর্বের গোত্রের কাছে ফিরে গেল এবং সেখানে গিয়ে দেখল যে ইউরোপিয়ানরা সেখানে তাদের কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করে ফেলেছে এবং অনেক পরিবর্তন করে ফেলেছে। অনেক বন্ধু-বান্ধবকে সে এখানে রেখে গেছে যারা খ্রিস্টান ধর্মে দীক্ষিত হয়ে ইউরোপিয়ানদের কর্তৃত্ব মেনে নিয়ে জীবন যাপন করছে। ওকুনকোর মেয়ে ছিল যার নাম এজিনমা। এজিন্মা যথেষ্ট সুন্দরী ছিল বলে তাকে বিয়ে করার জন্য অনেকেই রাজি ছিল কিন্তু অকুনকো তার নিজ ধর্মের লোকজন ছাড়া অন্য কাউকে তার কন্যার যোগ্য হিসেবে মেনে নিতে চাইছিলেন না। তিনি ভাবছিলেন যে কিভাবে ইউরোপিয়ানদের কে এখান থেকে বিতারিত করা যায় কিন্তু ততদিন ইউরোপিয়ানরা সেখানে যথেষ্ট শক্তিশালী হয়ে উঠেছে। ইউরোপিয়ানরা সেই সময়ে একটি অর্ডিন্যান্স জারি করল যে যদি কেউ এই এলাকার মধ্যে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করে তাহলে তাদেরকে শাস্তি দেওয়া হবে।

আরো পড়ুনঃ Julius Caesar Bangla Summary (বাংলায়)

একদিন অকুনকো একটি বিচারের সময় একজন ইউরোপিয়ানকে হত্যা করল এবং শাস্তি থেকে বাঁচতে এসে সেখান থেকে পালিয়ে চলে গেল। কিন্তু দেখা গেল যে তার এই পালিয়ে যাওয়ার ব্যাপারটাকে কেন্দ্র করে এলাকার তেমন কোন মানুষই মাথা ঘামাচ্ছে না। পরবর্তীতে তিনি বুঝতে পারলেন যে ইউরোপিয়ান দের হাতে শাস্তি পাওয়া ব্যতীত তার আর কোন পথ নেই কিন্তু তিনি তাতে নারাজ। তাই অনেকটা বাধ্য হয়েই তিনি গলায় দড়ি দিলেন এবং আত্মহত্যা করলেন। আফ্রিকান সংস্কৃতি অনুযায়ী যদি তাদের মধ্যে কেউ আত্মহত্যা করে তবে তাকে কেউ স্পর্শ করে না। এভাবেই এই উপন্যাসের গল্পটি শেষ হলো।

Ruhul Amin Robin
Ruhul Amin Robin
Hey, This is Ruhul Amin, B.A & M.A in English Literature from National University. I am working on English literature and career planning.

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

ফেসবুক পেইজ

কোর্স টপিক