Question: Sketch the character of Maurya in Riders to the Sea./ Maurya as a tragic character.
মারিয়া “Riders to the Sea” ট্রাজেডি নাটকের কেন্দ্রীয় চরিত্র। তিনি একজন গরীব বিধবা, আয়ারল্যান্ডের অ্যরান আইল্যান্ডসে বসবাস করেন। এই নাটকে মারিয়া এবং তার পরিবারের ট্রাজেডি, এবং প্রতিকূল সমুদ্রের সাথে তাদের লড়াই ও দুঃখ কষ্ট তুলে ধরা হয়েছে।
ট্রাজিক চরিত্র: মারিয়াকে একজন গরিব এবং দুঃখ-কষ্টে জর্জরিত মহিলা হিসেবে দেখানো হয়েছে। তার স্বামী এবং চার পুত্র সমুদ্রে হারিয়ে গেছে, অর্থাৎ মারা গেছে। এখন তার শুধুমাত্র দুজন ছেলে, মাইকেল এবং বার্টলি জীবিত আছে এবং মাইকেলও নিখোঁজ আর পরবর্তীতে তিনি বার্টলিকেও হারান। তিনি বলেন:
“তারা সবাই এখন চলে গেছে এবং সমুদ্র আমার আর কিছুই করতে পারবেনা।”
ইমোশনাল ক্যাথারসিস: Maurya চরিত্রটি দর্শকদের সহানুভূতি এবং ক্যাথারসিসকে উস্কে দিয়ে একটি গভীর মানসিক অভিজ্ঞতা প্রদান করে। ভাগ্যের প্রতি তার দৃঢ় গ্রহণযোগ্যতা এবং প্রতিটি ক্ষতির মুখোমুখি তিনি যে নির্বিঘ্নে সমর্পণ করেছেন তা গভীর করুণা এবং ভয়ের অনুভূতি জাগায়। করুণা এবং ভয় দর্শকদের মধ্যে শক্তিশালী আবেগ জাগিয়ে তোলে। Maurya-এর মাধ্যমে দর্শকরা জীবন ও মৃত্যুর কঠিন বাস্তবতার মুখোমুখি হন। এটি আবেগের ক্যাথার্টিক মুক্তির দিকে পরিচালিত করে। তিনি বার্টলির সমুদ্রে যাত্রা সম্পর্কে এভাবে কথা বলেছেন:
আরো পড়ুনঃ How Does Oedipus Finally Discover the Real Identity of the Killer of Laius? (বাংলায়)
“সে এখন চলে গেছে এবং আমরা তাকে আর দেখতে পাব না, ঈশ্বর আমাদের রক্ষা করুন।”
পরিচয়ের জন্য সংগ্রাম: একটি পুরুষ-শাসিত সমাজে, Maurya চরিত্রটি ট্রাডিশনাল লিঙ্গ (পুরুষ বা মহিলা) ভূমিকাকে চ্যালেঞ্জ করে। পুরুষ মানুষের অনুপস্থিতির কারণে তিনি তার পরিবারের মা এবং বাবা হয়ে ওঠেন। এই ভূমিকাগুলি পূরণ করার তার ক্ষমতা তার অভিযোজনযোগ্যতা এবং সংকল্প প্রদর্শন করে। তিনি প্রমাণ করেছেন যে শক্তি কোন লিঙ্গ জানে না। এটি পাঠকদের সামাজিক নিয়ম এবং প্রত্যাশা পুনর্বিবেচনা করতে অনুপ্রাণিত করে।
সৃষ্টিকর্তার ওপর বিশ্বাস: মারিয়া একজন ধার্মিক মহিলা। তার ধর্মীয় বিশ্বাস-ই তার একমাত্র সান্তনা, যা তাকে জীবনের চরম দুর্দশা সহ্য করতে সাহায্য করে। পরিবারের আটজন সদস্য হারানোর পরেও তিনি সৃষ্টিকর্তার ওপর বিশ্বাস হারান নি।
বাস্তববাদী মহিলা: মারিয়া একজন বাস্তববাদী মহিলা যিনি জীবনের চরম দুর্দশাকে মেনে নিয়েছেন। তিনি মৃত্যুকে জীবনের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে মেনে নিয়েছেন। আর এ বিষয়টি আমরা মাইকেল ও বার্টলির মারা যাওয়ার পরে তাদের মা মারিয়ার নীরব প্রতিক্রিয়া দেখে বুঝতে পারি। তিনি মৃত্যুর নয় দিন পর মাইকেলের মৃতদেহ শনাক্ত করার বিষয়ে কথা বলেন। এটা তার প্রাকটিক্যাল প্রবণতা দেখায়। তিনি বলেন-
আরো পড়ুনঃ Consider As You Like It as a Romantic Comedy. (বাংলায়)
“(নয়দিন লাশ সমুদ্রে থাকার পর) নিজের মা-এরও এটা বলা কঠিন যে এটা কার লাশ।”
স্নেহময়ী মা: পরিবারের প্রতি মারিয়ার ভালবাসা আমরা সমস্ত নাটক জুড়েই দেখতে পাই। যখন বার্টলি সমুদ্র পাড়ি দিয়ে মেইনল্যান্ডে যেতে চায়, তখন তিনি তার ছেলের জন্য বেশ চিন্তিত হয়ে পড়েন। তিনি ভয় পান যে বার্টলিও সমুদ্রে হারিয়ে যাবে। মাইকেলের মৃত্যুর সংবাদ পেয়ে তিনি অনেক কষ্ট পান। তার কাছে তার পুত্রদের থেকে মূল্যবান কিছুই নেই। তিনি বলেন-
“আমার যেখানে একজন ছেলে মাত্র জীবিত আছে তার বিনিময়ে হাজার ঘোড়ার মূল্য কি সমান?”
সহনশীল: এই নাটকে মারিয়া চরিত্রটি সহনশীলতার প্রতীক। তিনি হাজারো বিপদের মধ্যেও পরিবারকে একত্রে রাখার চেষ্টা করেন। মারিয়া চরিত্রের মাধ্যমে সংগ্রামী আইরিশ মহিলাদের ত্যাগের চিত্র ফুটে ওঠে।
আরো পড়ুনঃ Sketch the Character of Rosalind. (বাংলায়)
ভাগ্যের ওপর বিশ্বাস: মারিয়া একজন দুর্ভাগ্যগ্রস্থ এবং ভাগ্যের হাতের পুতুল। তিনি বিশ্বাস করেন যে তার পরিবারের ভাগ্য সৃষ্টিকর্তার দ্বারা পূর্ব নির্ধারিত, এবং কেউই ভাগ্যের লিখন খন্ডাতে পারেনা। তিনি বলেন-
আরো পড়ুনঃ
“কোনও মানুষ চিরকাল বেঁচে থাকতে পারে না, এবং আমাদের অবশ্যই এটাতেই সন্তুষ্ট হতে হবে।”
পরিশেষে, মারিয়া চরিত্রটি একটি ট্র্যাজিক ক্যারেক্টার, যার মাধ্যমে অ্যরান আইল্যান্ডসের মানুষের প্রতিকূল জীবন ব্যবস্থা প্রকাশ পায়। মারিয়া চরিত্রটি বাস্তবধর্মী, যা সমাজের মহিলাদের দুঃখ, কষ্ট, দুর্দশা, ও পরিবার ও সমাজের জন্য তাদের অবদানকে ফুটিয়া তুলে। তার গল্পের মাধ্যমে, Synge ভাগ্যের অনিবার্যতা, মানুষের আত্মার স্থিতিস্থাপকতা এবং প্রকৃতির অপ্রতিরোধ্য শক্তির সন্ধান করেন।