প্রশ্নঃ মানুষের আর্থসামাজিক জীবনে শিল্প বিপ্লবের প্রভাব আলোচনা কর।
ভূমিকাঃ শিল্প বিপ্লব মানব ইতিহাসের একটি যুগান্তকারী ঘটনা যা ১৮ শতকের শেষের দিকে আরনল্ড টয়েনবি (Arnold Toynbee) ১৮৮৪ সালে তাঁর প্রকাশিত ‘Lectures on the Industrial Revolution’ গ্রন্থে পরিপূর্ণভাবে তুলে ধরেন। এটি ইউরোপ থেকে শুরু হয়ে বিশ্বের অন্যান্য দেশে ছড়িয়ে পড়ে। মানব সভ্যতার সকল ক্ষেত্রেই এর সুদুরপ্রসারী প্রভাব রয়েছে। জ্ঞান-বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির প্রয়োগের ফলে উৎপাদন ব্যবস্থা ও আর্থ সামাজিক জীবনের আমুল পরিবর্তনই হল শিল্প বিপ্লব।
শিল্প বিপ্লবের উৎপত্তিগত অর্থঃ উৎপত্তিগত অর্থে ল্যাটিন শব্দ Industria থেকে Industry-এর উদ্ভব। যার অর্থ দক্ষতা, যোগ্যতা ও সমৃদ্ধশালী হওয়া। আবার Revolution বা বিপ্লব । অর্থাৎ কোন প্রচলিত ব্যবস্থার আকস্মিক আমুল ও দ্রুত পরিবর্তন । যে পরিবর্তন দীর্ঘকাল ব্যাপী স্থায়ী হয় । এবং এ ধরনের পরিবর্তনের প্রভাবে আর্থ-সামাজিক জীবনে ব্যাপক পরিবর্তন সূচিত হয়।
শিল্প বিপ্লবের সংজ্ঞাঃ অধ্যাপক উইলিয়াম এর মতে “অষ্টাদশ শতাব্দীর শেষাংশ থেকে উনবিংশ শতাব্দীর প্রথমার্ধ পর্যন্ত ইংল্যান্ডে প্রযুক্তি, জ্ঞান- বিজ্ঞান ও প্রয়োগ পদ্ধতিতে যে বৈপ্লবিক পরিবর্তন দেখা দেয় তাকেই শিল্প বিপ্লব বলা হয়। পৃথিবীর ইতিহাসে এ ধরণের পরিবর্তন মূলত পূর্বে মানব সমাজে কখনো দেখা যায়নি বলেই একে শিল্প বিপ্লব আখ্যা দেয়া হয়।”
আরো পড়ুনঃ বেকারত্ব কি? বাংলাদেশের বেকারত্ব দূরীকরণের উপায় সমূহ বর্ণনা কর।
অমিত সেন বলেন, “ধণতান্ত্রিক ব্যবস্থা পুরোপুরি গড়ে উঠেছিল উৎপাদনের যে অবস্থার মধ্যে ইতিহাসে তার নাম দেয়া হয়েছে শিল্প বিপ্লব। আঠারো শতকে ইংল্যান্ডে যার প্রকাশ, উনিশ শতকে তার পরিণতি। ইংলান্ড থেকে অন্যত্র ক্রমে পৃথিবীর সর্বত্র তা ছড়িয়ে পড়ে।”
আবেদীন কাদের এর মতে “১৭৮০ থেকে ১৮৫০ সালের মধ্যবর্তী একটি সুদূর প্রসারী ও দীর্ঘ সময় ব্যাপী সামাজিক বিপ্লব বিশ্বের আমুল পরিবর্তন বয়ে আনে তা হাই শিল্প বিপ্লব।”
সুতরাং, শিল্প বিপ্লব হচ্ছে প্রযুক্তির আবিষ্কার জনিত এমন এক পরিবর্তিত জীবন ব্যবস্থা যার প্রভাবে
উৎপাদনের যন্ত্রের ব্যবহারের কারণে অর্থনৈতিক, সামাজিক, মানসিক, সাংস্কৃতিক প্রীতি-নীতির সার্বিক পরিবর্তন সুচিত হয়।
মানুষের আর্থসামাজিক জীবনে শিল্প বিপ্লবের প্রভাবঃ
আর্থ-সামাজিক জীবনে শিল্পবিপ্লবের ইতিবাচক প্রভাব শিল্পবিপ্লবের সুদূরপ্রসারী ও দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব মানবজীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে বিদ্যমান। শিল্পবিপ্লবের ফলে মানুষের জীবন সহজতর, আরামপ্রদ, হয়েছে। মানুষের আর্থসামাজিক জীবনে এনেছে ভিন্নতা, জীবনকে করেছে সমৃদ্ধ। যদিও শিল্পবিপ্লব অবিমিশ্র আশীর্বাদ নয়। এটি ইতিবাচক ধারায় সমাজস্থ মানুষের জীবনকে প্রভাবিত করে মানবকল্যাণের নব দিগন্ত হিসেবে উন্মোচিত হয়েছে। নিম্নে মানবজীবনে শিল্পবিপ্লবের ইতিবাচক প্রভাব বর্ণনা করা হলোঃ
১। শিল্পের সম্প্রসারণঃ প্রাক-শিল্প যুগে অর্থনীতি ছিল গৃহকেন্দ্রিক, হস্তশিল্প নির্ভরশীল। এ যুগে উৎপাদন ছিল মূলত নিজেদের চাহিদাকেন্দ্রিক, অর্থনীতি ছিল বদ্ধ। আর শিল্পবিপ্লব বদ্ধ অর্থনীতিকে উন্মুক্ত বাণিজ্যিক রূপে রূপান্তর করার পাশাপাশি উৎপাদন বাণিজ্য প্রতিনিয়ত বৃদ্ধি পেয়েছে।
২। নারীদের অবস্থানে পরিবর্তনঃ শিল্প বিপ্লবের ফলে নতুন নতুন শিল্পের সৃষ্টি হয়। যার ফলশ্রুতিতে কর্ম ক্ষেত্রে অনেক কর্মীর প্রয়োজন হয়।এক্ষেত্রে নারীরা অগ্রণী ভূমিকা পালন করে । নারীরা তাদের শ্রমের বিনিময়ে এবং নিজেদেরকে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী করে সমাজে তাদের অবস্থান পরিবর্তন করতে সক্ষম হয়।
৩। অর্থনীতির বিশ্বায়নঃ প্রাক-শিল্প যুগে বিনিময় প্রথা বিদ্যমান ছিল। অর্থনীতি ছিল গতিহীন। বৈদেশিক বাণিজ্যের ধারণাসুস্পষ্ট ধারণা ছিল না। শিল্পবিপ্লবের ফলে অর্থনীতির বিশ্বায়ন ঘটেছে। এর ফলে এক দেশের সাথে অন্য দেশের বাণিজ্য পর্যায়ক্রমে সম্প্রসারিত হয়েছে।
৪। দ্রব্যের গুণগত মান বৃদ্ধিঃ শিল্প ক্ষেত্রে বিপ্লবের ফলে নতুন নতুন আবিষ্কার বৃদ্ধি পায়। পাশাপাশি, উৎপাদন বৃদ্ধি ও দ্রব্যের গুণগত মানের উৎকর্ষতা বৃদ্ধি পেয়েছে।
আরো পড়ুনঃ বেকারত্ব কি? বাংলাদেশের বেকারত্ব দূরীকরণের উপায় সমূহ বর্ণনা কর।
কর্মক্ষেত্রে গতিশীলতা বৃদ্ধিঃ শিল্পবিপ্লবের ফলে শ্রমের বিশেষায়ন, কর্মসংস্থানের সুযোগ বৃদ্ধি পায়। কর্মসংস্থানে সুযোগ সৃষ্টির পাশাপাশি শ্রমিকদের মাঝে শ্রমের গতিশীলতা বৃদ্ধি পায়।
৫। ট্রেড ইউনিয়নের সৃষ্টিঃ শিল্প বিপ্লবের ফলে কর্মক্ষেত্রে শ্রমিকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে ও বিভিন্ন দাবি পূরণের লক্ষ্যে দেশে দেশে বিভিন্ন ধরনের ট্রেড ইউনিয়ন গড়ে ওঠে। এসব ট্রেড ইউনিয়নের মাধ্যমে শ্রমিকদের কল্যাণ নিশ্চিত হয়।
৬। ফ্যাক্টরি স্থাপনঃ বিভিন্ন শিল্প স্থাপনের ফলে শিল্পে বিভিন্ন ধরনের আধুনিক যন্ত্রপাতির ব্যবহার শুরু হয়।এতে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের জন্য আধুনিক যন্ত্রপাতি ক্রয় করা কঠিন হয়ে পরে। বিষয়টি অনুধাবন করে অনেক সম্পদশালী ব্যক্তিবর্গ আধুনিক যন্ত্রপাতি উৎপাদনের জন্য ফ্যাক্টরি স্থাপন করার পরিকল্পনা করে যার ফলে শিল্প উৎপাদন বহুবনে বৃদ্ধি পায়।
৭। জ্ঞানের সম্প্রসারণঃ শিল্পক্ষেত্রে শ্রমিকগণ একে অন্যের সঙ্গে পাশাপাশি কাজ করতে গিয়ে তারা বিভিন্ন ধরনের অভিজ্ঞতা অর্জন করার মাধ্যমে নিজেদের জ্ঞানের পরিধি ও জ্ঞানের বিকাশ সাধন করতে সক্ষম হয়।
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিরঃ নতুন নতুন শিল্প স্থাপনের জন্য শিল্প ক্ষেত্রে বিভিন্ন ধরনের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ব্যবহার প্রদক্ষিত হয় । এতে করে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির উৎকর্ষতা বৃদ্ধি পায়।
৮। সামাজিক মূল্যবোধের বিকাশঃশিল্প ক্ষেত্রে শ্রমিকগন একে অন্যের পাশাপাশি কাজ করতে গিয়ে, এবং শিল্পের মালিকগণ তাদের শিল্পের সম্প্রসারণের লক্ষ্যে বিভিন্ন দেশে দেশের বাইরে মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ করার ফলে মানুষের সম্পর্কে নতুন চিন্তা চেতনার উদ্ভব ঘটেছে। এর ফলে সকলের মাঝে মানবতাবাদ, গণতন্ত্র, সাম্য, ধর্মনিরেপক্ষতা ইত্যাদি ইতিবাচক সামাজিক মূল্যবোধের সৃষ্টি হয়।
৯। সাংস্কৃতিক সম্প্রসারণঃ আর্থ-সামাজিক ও সাংস্কৃতিক বিশ্বায়ন শিল্প বিপ্লবের অন্যতম প্রভাব।শিল্প বিপ্লবের ফলে গোটা বিশ্বের সাংস্কৃতির সম্প্রসারণ ঘটে। কারণ এতে এক দেশের সংস্কৃতির মধ্যে অন্য দেশের সংস্কৃতির মিশ্রণ ঘটে তাই সাংস্কৃতিক সম্প্রসারণ সূচিত হয়।
১০। দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তনঃ মানুষের আর্থসামাজিক জীবনে শিল্প বিপ্লবের অন্যতম প্রভাব হলো দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন। এক্ষেত্রে সামাজিক, রাজনৈতি্ এবং অর্থনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন পরিলক্ষিত হয়।
১১। নগরায়নঃ শিল্পায়ন ও নগরায়ন যেন একই মুদ্রার এপিঠ ওপিঠ। শিল্পবিপ্লবের প্রত্যক্ষ ফল হল শিল্পায়ন। আর শিল্পকে কেন্দ্র করে শহর গড়ে উঠে।
আরো পড়ুনঃ কল্যাণ রাষ্ট্র কি? কল্যাণ রাষ্ট্রের কার্যাবলী আলোচনা কর।
১২। নিরাপত্তার ধারণাঃ শিল্প বিপ্লবের প্রভাবে সামাজিক নিরাপত্তা ধারণার উদ্ভব ও বিকাশ ঘটে।
আর্থ-সামাজিক জীবনে শিল্পবিপ্লবের নেতিবাচক প্রভাবঃ
শিল্পবিপ্লবের ফলে আর্থ-সামাজিক জীবনে আমূল ইতিবাচক পরিবর্তনের পাশাপাশি সামাজিক, মনস্তাত্তিক, নৈতিক এবং রাজনৈতিক জীবনে মারাত্মক নেতিবাচক প্রভাবও পরিলক্ষিত
হয়। তাই বলা হয়, শিল্পবিপ্লব শুধু আশীর্বাদই নয়, অভিশাপও বটে। নিম্নে এর নেতিবাচক প্রভাবসমূহ তুলে ধরা হলো:
১। শ্রেণি বৈষম্য সৃষ্টিঃ শিল্পবিপ্লবের ফলে পুঁজিপতি ও শিল্পপতিগণ সমাজের সকল সম্মানিও স্থানসমুহ দখল করে । ফলে মালিকশ্রমিক সম্পর্কের সৃষ্টি হয় এতে শ্রেণি বৈষম্যের পাশাপাশি
এবং নানামুখী সমস্যার সৃষ্টি হয় ।
২। কুটির শিল্পের বিলুপ্তিঃ শিল্পায়ন ও শহরায়নের ফলে বৃহদায়ন শিল্পের সৃষ্টির ফলে দেশিও কুটির শিল্পের বিলুপ্তি ঘটে।
৩। বেকারত্ব সৃষ্টিঃ যন্ত্রের আবিষ্কার হস্তনির্ভর কর্মীকে সম্পূর্ণভাবে বেকার করে ফেলে। দীর্ঘসময় ধরে কয়েকজন শ্রমিক যে কাজ করত সেটি যন্ত্রের সাহায্যে স্বল্প সময়ে একজন শ্রমিক করতে পারে। ফলে ব্যাপক সংখ্যক শ্রমিক বেকারত্ব বরণ করে নিরাপত্তাহীন হয়ে পড়ছে।
৪। বস্তির উদ্ভবঃ শিল্পবিপ্লবের অন্যতম ফল হলো শহরায়ন বা নগরায়ন। যার ফলে বিভিন্ন বস্তির সৃষ্টি হয় যা নগর জীবনকে অতিষ্ঠ করে তোলে।
৫। পরিবেশ দূষণঃ শিল্প কলকারখানার বর্জ্য, কালো ধোঁয়া ও ময়লা-আবর্জনা অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ সৃষ্টি করে ওব্যাপকভাবে পরিবেশ দূষণ থাকে।
আরো পড়ুনঃ মাদকাসক্তি কি? এ সমস্যার সমাধানে একজন সমাজকর্মীর ভূমিকা আলোচনা কর।
৬। পারিবারিক বিশৃঙ্খলাঃ শিল্প বিপ্লবী এর ফলে যৌথ পরিবার ভেঙ্গে একক পরিবার গড়ে ওঠে এতে, চিন্তা-চেতনার পরিবর্তন দেখা দেয় এবং পারিবারিক বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি হয়।
৭। সাংস্কৃতিক শূন্যতাঃ শিল্প কেন্দ্রিক সমাজ ব্যবস্থায় বস্তুগত সংস্কৃতির উৎকর্ষ সাধন হলেও শিল্পবিপ্লবে সংশ্লিষ্ট অবস্তুগত সংস্কৃতি অবহেলিত হয়ে পড়ে। ফলে সাংস্কৃতিক শূন্যতা দেখা দেয়, যা সমাজজীবনে দ্বন্দ ও সংঘাত সৃষ্টি করে থাকে।
৮। পেশাগত দুর্ঘটনাঃ শিল্প কলকারখানায় যন্ত্র ও শক্তির প্রয়োগ হওয়ায় ফলে বিভিন্ন সমস্যা যেমন মনস্তাত্তিক সমস্যা, শিল্প দুর্ঘটনা, বেকারত্ব ও নিরাপত্তাহীনতা ঘটে। বেকারত্বের ফলে মনস্তাত্তি¡ক সমস্যা প্রকট আকার ধারণ করে।বিভিন্ন সামাজিক চাপ এবং সমস্যার সৃষ্টি হওয়ার ফলে মানুসষ অসহায়ত্ব ও একাকীত্বের যন্ত্রনা ভুগতে থাকে।
৯। সামাজিকীকরণের অভাবঃ শিল্প সমাজব্যবস্থায় পরিবারের প্রাপ্তবয়স্ক সকল সদস্য ঘরের বাইরে কাজে নিয়োজিত হয়। এতে শিশু-সন্তানরাপিতা মাতার স্নেহ, মায়া, মমতা থেকে বঞ্চিত হয়। এর ফলে তাদের সামাজিকীকরণ ব্যাহত হয়।
১০। নৈতিক অধঃপতনঃ শিল্প ক্ষেত্রে সম্পর্কের চেয়ে সম্পত্তি গুরুত্বপূর্ণ। তাই এখানে মূল্যবোধের অবক্ষয়জনিত কারণে শিল্পসমাজের প্রায় সব শ্রেণির মানুষের মধ্যে আত্মকেন্দ্রিকতা তথা নৈতিক অধঃপতন পরিলক্ষিত হয়।
উপসংহারঃ পরিশেষে আমরা বলতে পারি যে শিল্প বিপ্লব মানব সভ্যতার অগ্রগতির জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক। এর সুদূরপ্রসারিত প্রভাব মানবজীবনে প্রতিটি ক্ষেত্রে ব্যাপকভাবে সমাদৃত । শিল্পবিপ্লব যেমন মানুষকে উন্নত জীবন ব্যবস্থার দিকে ধাবিত করে তেমনি সামাজিক ব্যবস্থা ভেঙ্গে আধুনিক রূপ দান করে ।এটি মানুষের আর্থসামাজিক জীবনকে গভীরভাবে প্রভাবিত করার পাশাপাশি বিশ্বকে একটি নতুন রূপ উপহার দিয়েছে। শিল্প বিপ্লব উৎপাদন, পরিবহন এবং যোগাযোগের ক্ষেত্রে ব্যাপক পরিবর্তনআনয়ন করে। এর ফলে মানুষের আর্থসামাজিক জীবনে গভীর প্রভাব পড়ে।