Question: Study these poems Critically: London, The Chimney Sweeper, Tiger.
বাংলা সামারি
“London” কবিতাটিকে ভালো করে বুঝার জন্য আমরা ৫ ভাগে ভাগ করতে পারি। চলুন আলোচনা করা যাক।
লন্ডন শহরের বর্ণনা: কবি অন্ধকার ও দুর্ভোগে নিমজ্জিত একটি শহর চিত্রিত করেছেন। তিনি লন্ডনের রাস্তায় হাঁটার বর্ণনা দিয়েছেন যেখানে তিনি টেমস নদীকে দেখেছেন। যেটি এখন স্বাভাবিক ফ্লো হারিয়ে মানুষের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে। এটি দ্রুত নগর সম্প্রসারণের অমানবিক প্রভাব এবং প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের ক্ষতিকে প্রকাশ করে।
আরো পড়ুনঃ What are the Features of a Byronic Hero? (বাংলায়)
লন্ডন শহরের মানুষের অবস্থা: তিনি মানুষের মুখে দুর্বলতা এবং হতাশার চিহ্ন দেখেছেন। কবি উল্লেখ করেছেন যে শহরের মানুষের অবস্থা করুণ। সকল বয়সের বয়সের মানুষ বেদনায় জর্জরিত। মানুষেরা ছোট বাচ্চাদের মতো নিরাপত্তাহীনতার ভয়ে কান্না করছে। প্রত্যেকটি মানুষের অভিশাপমূলক আর্তনাদে কবি বুঝতে পারছেন যে শাসক গোষ্ঠী তাদের ক্ষমতা লোভে সাধারণ মানুষের সাথে যেমন খুশি তেমন আচরণ করছে। সাধারণ মানুষেরা মৌলিক সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। মানুষের স্বাভাবিক জীবনকে বিভিন্নভাবে বাধাগ্রস্থ করা হয়েছে।
শাসক গোষ্ঠীর ব্যর্থতা: শাসক গোষ্ঠী তাদের নিজেদের প্রভাব ধরে রাখার জন্য সৈন্যদের ব্যবহার করছে। কবি রাজতন্ত্র এবং গির্জার নিপীড়ক প্রকৃতির উপর আলোকপাত করেছেন। তিনি প্রাসাদের দেয়ালে রক্তের দাগ দিয়ে অসহায় সৈনিকের অনুভব করা যন্ত্রণা ও দুর্দশার উপর জোর দিয়েছেন। তিনি মূলত যুদ্ধের সহিংসতা এবং শাসক শক্তির জটিলতার মধ্যে একটি সংযোগ নির্দেশ করেন। শাসক গোষ্ঠী মানুষের মনকে জয় করতে ব্যর্থ হয়েছে। তাদের দুর্নীতি আর অপশাসনের ফলে সমাজে বিশৃঙ্খলা বৃদ্ধি পেয়েছে।
চার্চের ব্যর্থতা: চার্চ তার দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হয়েছে। ধর্মশালা থেকে নৈতিক শিক্ষার অবনতি হয়েছে। যার কারণে লন্ডন শহরের রাস্তা ঘটে বেশ্যাদের দেখতে পাওয়া যাচ্ছে। নৈতিক শিক্ষার অভাব না হলে বেশ্যাদের দেখা যেতোনা যারা অর্থের জন্য নিজেদের শরীর বিলিয়ে দিচ্ছে। এই অবৈধ মিলনের ফলে যে শিশু জন্ম নিচ্ছে তাকে সমাজ গ্রহণ করেনা। এই পথশিশুরা নিজেদের জীবনের সুখ সাচ্ছন্দ খুঁজে পায়না। চার্চ যদি ধর্মীয় দিক থেকে সমাজে বিয়ের প্রচলন আরো সহজলভ্য করতো তাহলে এধরণের সমস্যা মহামারীর মতো ছড়িয়ে পড়তোনা।
চিমনি সুইপার: চিমনি সুইপার শিল্পোন্নত সমাজে শিশুদের শোষণের প্রতিনিধিত্ব করেন। এখানে শিশুর দুর্ভাগ্যজনক এবং করুণ অবস্থার ইঙ্গিত দেযা হয়েছে। চিমনি সুইপার সম্পর্কে কবি বলেন চিমনি সুইপার যারা আছে তারা বেশিরভাগই পথশিশু। এই শিশুগুলো অসহনীয় ব্যথা নিয়ে তাদের কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। শাসকগোষ্ঠীর এব্যাপারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া উচিত ছিল। পাশাপাশি এখানে চার্চের উচিত ছিল পথ শিশুদেরকে সুন্দরভাবে ধর্মীয় জ্ঞান দিয়ে পরিপূর্ণ মানুষ করে তোলা।
ওভারঅল, “London” হল লন্ডন শহরের অন্ধকার, হতাশা এবং নিপীড়ন সম্পর্কে একটি সমালোচনামূলক কবিতা। ব্লেক সামাজিক ও রাজনৈতিক সমস্যাগুলির উপর জোর দেন যা সমাজকে জর্জরিত করে। কবি জনগণের দুঃখকষ্ট স্থায়ী হওয়ায় চার্চের ভূমিকা এবং ক্ষমতায় থাকা ব্যক্তিদের নিন্দা করে।
Summary of The Chimney Sweeper
বাংলা সামারিঃ
“The Chimney Sweeper” উইলিয়াম ব্লেকের একটি কবিতা। এটি ১৭৮৯ সালে Songs of Innocence কালেকশনে প্রকাশিত হয়। একজন ছোট্ট চিমনি পরিস্কারকারী বালক এই কবিতার বিষয়বস্তু। কবিতায় ছোট্ট ছেলেটির চিমনি সুইপার হিসেবে কাজের অভিজ্ঞতা এবং তার করুণ অবস্থার কথা ফুটে উঠেছে।
কবি প্রথম স্ট্যাঞ্জায় একটি গুরুত্বপূর্ণ চিত্র তুলে ধরেছেন। এখানে একজন একাকী ছোট্ট ছেলের কথা বলা হয়েছে যার মা মারা গিয়েছে। এরপর তার বাবা তাকে শিশু শ্রমিক হিসেবে বিক্রি করে দেয়। স্পীকার চিমনি সুইপারদের দুস্থ ও নিরানন্দ জীবনের কথা সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন। চিমনি সুইপাররা সারাদিন চিমনি পরিস্কারের কাজ করে এবং রাতে কালিমাখা স্থানে ঘুমায়। ছোট ছেলেটির এক বন্ধু, যার নাম টম ড্যাকার, তার চুল কাটানোর সময় সে চিৎকার করে কান্নাকাটি করে। চিমনি পরিস্কারের সময় তার চুলে অনেক বেশি ছাই মেখে যায়, তাই এই পরিস্থিতি এড়াতে তার চুল কেটে দেয়া হয়। কিন্তু ছেলেটি তার চুল রাখতে চায়, তাই সে আর্তনাদ করে কান্না করে।
আরো পড়ুনঃ Romantic Poetry Previous Years Brief Questions
এখন কবিতার এই দূর্দশাময় চিত্র হঠাৎ করে আনন্দময় চিত্রে রূপান্তরিত হয়। একদিন টম একটি স্বপ্ন দেখে। সে দেখে তার অন্যান্য বন্ধুরা সবাই একটা কফিনে বন্দী হয়ে আছে। তারপর একজন এঞ্জেল এসে সবাইকে মুক্ত করে দেয়। সব বাচ্চারা মিলে সবুজ মাঠে মনের আনন্দে খেলাধুলা করে। এঞ্জেল তাকে প্রতিজ্ঞা করে যে সে যদি ভালো বাচ্চা হয়ে চলে তাহলে স্বর্গের মত সুন্দর জায়গায় গড তার বাবা হবেন, যিনি তাকে অনেক ভালোবাসবেন। এরপরে তার ঘুম ভেঙে যায়। ঘুম থেকে উঠে সব বাচ্চারা আবার সেই চিমনি পরিস্কারের কাজে ফিরে যায়। এই স্বপ্ন দেখার মধ্য দিয়ে কবি একটি শিশুর নির্মল মনের পরিশুদ্ধতাকে চিত্রিত করেছেন।
Summary of the poem “Tyger”
বাংলা সামারিঃ
আমরা সামারিটি কিছু পয়েন্টে আলোচনা করেছি যেন সহজেই মনে রাখা যায়।
- কে টাইগার সৃষ্টি করেছেন
- সৃষ্টিকর্তার বড়াই
“The Tyger” উইলিয়াম ব্লেকের একটি উল্লেখযোগ্য কবিতা। একে ইংরেজি সাহিত্যের একটি বিখ্যাত সংকলন হিসেবে গণ্য করা হয়। এটি “Songs of Experience” এর অন্তর্ভুক্ত যা ১৭৯৩ সালে প্রকাশিত হয়। এই কবিতায় কবি গডের প্রকৃতি এবং তার সৃষ্টি নিয়ে আলোচনা করেছেন। বিশেষত যেই গড ল্যাম্বের মত দূর্বল প্রাণী সৃষ্টি করেন সেই গড-ই আবার বাঘের মত হিংস্র প্রাণীও সৃষ্টি করেন। এখন কবির জিজ্ঞাসা হচ্ছে, কেন গড এই হিংস্র প্রাণী সৃষ্টি করেছেন।
কে টাইগার সৃষ্টি করেছেন: কবিতাটি শুরু হয় হিংস্র বাঘকে উদ্দেশ্য করে জিজ্ঞাসাবাদের মধ্য দিয়ে। স্পীকার বাঘকে জিজ্ঞাসা করে কে তাকে সৃষ্টি করেছে, এই ভয়ংকর সৌন্দর্য কোন হাত বানিয়েছে। স্পীকার বাঘের আগুনঝরা চোখ দেখে বিষ্ময়ে অভিভূত হয় আর ভাবে কিভাবে এই চোখগুলোকে বানানো হয়েছে। স্পিকার ভাবতে থাকে, বাঘের সৃষ্টিকর্তার কি পাখা আছে কি না। বাঘের মত এমন ভয়ানক প্রাণী সৃষ্টির সাহস কারই বা থাকতে পারে।
আরো পড়ুনঃ Discuss Keats as a Poet of Sensuousness. (বাংলায়)
সৃষ্টিকর্তার বড়াই: স্পীকার আবারও কল্পনা করে, যিনি এই বাঘকে সৃষ্টি করেছেন তিনি নিশ্চয়ই অনেক দক্ষ কারিগর। সে ভাবে কার হাতের ছোঁয়ায় বাঘের হৃদয় স্পন্দিত হয়। এখন স্পীকার চিন্তা করে, কোন জিনিস দিয়ে আসলে বাঘের মস্তিষ্ককে বানানো হয়েছে। যিনি বাঘের মত ভয়ংকর জীব সৃষ্টি করেছেন, না জানি তিনি কত ভয়ংকর! তারপর সে ভাবে এই প্রাণী সৃষ্টি শেষে এর সৃষ্টিকর্তার কেমন অনুভূতি হয়েছিল। তিনি কি তার সৃষ্টি দেখে হেসেছিলেন কিনা সেটাও স্পীকারকে ভাবিয়ে তোলে। সে এটাও ভাবে, এই একই সৃষ্টিকর্তা ল্যাম্ব সৃষ্টির সময়েও কি একইভাবে হেসেছিলেন কি না। এভাবে আরেকবার বাঘের সৃষ্টিকর্তা নিয়ে প্রশ্ন করার মাধ্যমে কবিতাটি শেষ হয়।