fbpx

The Importance of Being Earnest Bangla Summary

“The Importance of Being Earnest”

By Oscar Wilde (1854-1900)

Key information:

Full Title: The Importance of Being Earnest: A Trivial Comedy for Serious People.

Genre: Social comedy; comedy of manners; satire; intellectual farce.

ইউটিউবে ভিডিও লেকচার দেখুনঃ


Time of composition: 1894

First performed: 1895

Published date: 1899

Number of acts: Three acts each divided into two parts

Time setting: late nineteenth century or 1890s

Place setting: A stylish flat in London and A country house in Hertfordshire.

google news

Themes

  1. Manner and sincerity 
  2. Nature of marriage
  3. love
  4. Dual identity
  5. Hypocrisy vs Inventiveness
  6. Language
  7. Reversal

Character list

Jack / Ernest Worthing: He is the drama’s protagonist and was adopted as an infant. He is a rich, young bachelor of 28 with no known family. He lives a double life – as Jack Worthing in the country and Ernest in town.

Gwendolen Fairfax: She is the drama’s heroine and Algernon’s first cousin, Lady Bracknell’s daughter, and Jack’s beloved.

Algernon Moncrieff: Algernon Moncrieff is a young, pleasure-seeking bachelor from a good family. He pretends to meet his imaginary friend Bunbury in the country to avoid social responsibility.

Cecily Cardew: She is Jack’s beautiful 18-year-old ward. She loves Jack’s wicked brother Ernest. She learns German from her governess Miss Prism.

Lady Bracknell: Lady Augusta Bracknell is Gwendolen’s mother and Algernon’s aunt.

Miss Prism: She is Cecily’s governess and was Jack’s nurse before she misplaced him when he was a baby.

Dr. Chasuble: He is a well-meaning but bumbling clergyman at the parish near Jack’s country home.

Lane: He is Algernon’s servant.

Merriman: He is the butler at Jack’s country home.

বাংলা ক্রিটিকাল সামারি

তো এই ড্রামার সম্পূর্ণ ক্রিটিকাল সামারি আপনারা মাত্র ২টি পয়েন্টে খুব সহজেই বুঝতে পারবেন। পয়েন্ট ২ টি হলো,

১. শহরের বা লন্ডনের কাহিনী

২. গ্রামের বা হার্টফোর্ডসায়ারের কাহিনী 

১. শহরের বা লন্ডনের কাহিনীঃ

Algernon এর ফ্ল্যাটে চা পার্টির আয়োজন

নাটকটি শুরু হয় ১৮৯৫ সালে। প্রথমেই বিকেল বেলার একটা চা পানের পার্টি দেখানো হয়। এখানে Algernon এর স্টাইলিশ ফ্ল্যাটেই এই নাটকের শুরুটা হয়। শুরুতেই দেখানো হয় Algernon পিয়ানো বাজাচ্ছে। কিন্তু এটা মূলত একটা ক্রিটিসাইজ। কারণ সে খুব একটা ভালো পিয়ানো বাজাতে পারে না। তো Algernon যখন অদক্ষ ভাবে পিয়ানো বাজাচ্ছে, তখন তার চাকর Lane চা পার্টির জন্য প্রস্তুত হচ্ছে। কারণ বিকালের এই চা পার্টিতে তিনজন গেস্ট আসবেন। একজন হচ্ছেন Algernon এর আন্টি Lady Bracknell। আরেকজন হচ্ছেন, Algernon এর কাজিন বা Lady Bracknell এর সুন্দরী মেয়ে Gwendolen এবং Algernon এর বন্ধু Ernest/ আরনেস্ট। Ernest বলতে এখানে Jack কে বোঝানো হয়েছে। আসলে Jack যখন গ্রাম থেকে লন্ডনে আসে, তখন সে আরনেস্ট নাম ধারণ করে। আর এখন যেহেতু সে লন্ডনে আছে, তাই আমরা তাকে আরনেস্ট বলবো।

আরনেস্টের আসল পরিচয় জ্যাক নাম ফাঁস হওয়া

তো Algernon এর ফ্লাটে সর্বপ্রথম আরনেস্ট আসে। Algernon তাকে বলে, বন্ধু তুমি আজ এখানে বেশিক্ষণ থাকতে পারবে না। কারণ আজকের বিকালের চা পার্টিতে আমার আন্টি Lady Bracknell ও তার সুন্দরী মেয়ে Gwendolen আসবে। তুমি এই জন্য থাকতে পারবে না যে, তুমি Gwendolen এর সাথে পূর্বের সাক্ষাতে ফ্লার্ট করেছো। কিন্তু এতে আরনেস্ট কিছু মনে করে না বরং আরো খুশি হয়। কারণ সে তো এবার লন্ডনে এসেছে Gwendolen কে প্রপোজ করার জন্য। আর এটা সে তার বন্ধু Algernon কেও বলে। তখন Algernon তাকে নিয়ে ঠাট্টা করে এবং বলে যে, তুমি আগে Cecily এর বিষয়টা ক্লিয়ার করো। তখন আরনেস্ট বলে আমি তো Cecily কে চিনি না। তখন Algernon আরনেস্টকে বলে, বন্ধু আমি জানি যে তুমি Cecily কে খুব ভালো করেই জানো। তবুও আরনেস্ট অস্বীকার করে। তখন Algernon তার চাকর লেনকে বলে, লেন/Lane তুমি আরনেস্ট এর সিগারেটের প্যাকেটটা নিয়ে আসো। 

লেন এই সিগারেটের প্যাকেট এনে দিলে Algernon তার বন্ধু আরনেস্ট কে বলে, ” বন্ধু তুমি একবার ভুলে এই সিগারেটের প্যাকেট রেখে গিয়েছিলে। আমি এই প্যাকেটে দেখেছিলাম, Cecily নামের কোন একজন মেয়ে তোমাকে এই সিগারেটের প্যাকেট দিয়েছে। সেই মেয়েটি তোমাকে আংকেল বলে ডাকে। এটা শোনার পরে আরনেস্ট বুঝতে পারে Algernon সব জেনে গেছে। Jack/ আরনেস্ট এবার বুঝতে পারে Algernon সব জেনে গেছে। তাই সে বলে, ” বন্ধু আমার জীবনটা খুব ট্রেজিক। ছোটবেলায় থমাস কার্ডিউ/Thomas Cardew নামের একজন ব্যক্তি ভিক্টোরিয়া রেল স্টেশনে একটা হ্যান্ডব্যাগের সাথে আমাকে কুড়িয়ে পেয়েছিল। এরপর থেকে তিনি আমার দেখাশোনা করেন। আর মৃত্যুর পূর্বে তার মেয়ে Cecily এর দায়িত্ব আমার উপরে দিয়ে গেছেন। Cecily/Cecily Cardew খুব ভালো মেয়ে এবং তার বয়স ১৮ বছর।

Lady Bracknell ও Gwendolen এর চা পার্টিতে অংশগ্রহণ

এবার Gwendolen এবং তার মা Lady Bracknell, Algernon এর ফ্ল্যাটে এসে উপস্থিত হয়। Algernon Lady Bracknell কে অজুহাত দিয়ে বলে, “আন্টি, আজ আপনাকে চা এর বেশি কিছু খাওয়াতে পারবো না। অর্থাৎ ডিনার পার্টি রাখতে পারছি না। কারন আমার বন্ধু Bunbury খুব অসুস্থ। তাকে আমার দেখতে যেতে হবে। তবে আমি প্রমিস করছি, আগামী রবিবারে আপনার জন্য একটা ডিনার পার্টির আয়োজন করবো”। এরপর Algernon Lady Bracknell কে মিউজিক রুমে গিয়ে পার্টি এরেঞ্জ করার প্রস্তাব দেয়। আর তারা দুইজন মিউজিক রুমে চলে যায়। 

আরনেস্টের Gwendolenকে প্রপোজ করা 

এদিকে Jack/ আরনেস্ট গল্প করতে থাকে। এখানে তারা দুইজন একে অন্যের অনুভূতি প্রকাশ করে। তবে Gwendolen এখানে বলে যে, সে এমন একজন ব্যক্তিকে বিয়ে করতে চায়, যার নাম হবে আরনেস্ট। তখন Jack/ আরনেস্ট বলে যে, Gwendolen আমার নাম যদি আরনেস্ট না হয়, তাহলে কি তুমি আমাকে ভালোবাসবে না? তখন Gwendolen বলে, তোমার নাম আরনেস্ট না হলেও আমি তোমাকে ভালোবাসবো। তবে Gwendolen এটা জানে যে Jack এর নাম আরনেস্ট। আর সে এটা বিশ্বাস করে যে, সে যাকে ভালোবাসে, তার নাম আরনেস্ট । আসলে সে এটা জানে না যে, আরনেস্ট এর প্রকৃত নাম Jack, আরনেস্ট নয়। এরপর Jack/ আরনেস্ট Gwendolenকে প্রপোজ করে আর Gwendolen তা এক্সেপ্ট করে।

Lady Bracknell এর Jackকে রিজেক্ট করা

এদিকে Lady Bracknell মিউজিক রুম থেকে এখানে আসে এবং Gwendolen তাকে বলে Gwendolen আরনেস্টকে (Jackকে) ভালোবাসে। এরপর Lady Bracknell Gwendolenকে বাইরে গাড়িতে পাঠিয়ে দেয়। এরপর তিনি আরনেস্টকে (Jack) তার সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করেন। এখানে আরনেস্ট তার সম্পর্কে সবকিছু সত্যি সত্যি Lady Bracknell এর কাছে বলে দেয়। সে একজন এতিম। এক ধনী ব্যক্তি তাকে কুড়িয়ে নিয়ে গিয়ে বড় করে তুলেছে। আরনেস্ট একজন এতিম শুনে Lady Bracknell বলেন, “তোমার মতো একজন এতিমের সাথে তো আমাদের মতো আপার ক্লাস মানুষ সম্পর্ক করতে পারে না”।  এই বলে তিনি চলে যান। 

Gwendolen এর দ্বারা Jack এর গ্রামের ঠিকানা নেওয়া

এরপর আরনেস্টের কাছে Algernon আসে এবং তাকে একটু বিমর্ষ দেখতে পায়। ঠিক তখনি সেখানে Gwendolen আবারও আসে এবং আরনেস্টকে বলে, “আরনেস্ট, তুমি আগে আমাকে কেন বলোনি যে তুমি একজন এতিম। তুমি এতিম শোনার পরে আমি তোমাকে আরো বেশি ভালোবাসি। আমার মা যতই অস্বীকার করুক না কেন, আমি তোমাকেই ভালোবাসি। আর তুমি আমাকে তোমার গ্রামের বাড়ির ঠিকানাটা দাও, যাতে আমরা চিঠি আদান প্রদান করতে পারি”।  এরপর আরনেস্ট তাকে হার্টফোর্ডসায়ারে তার গ্রামের বাড়ির ঠিকানা Gwendolenকে দেয়। এদিকে Algernon ও এই ঠিকানা চুপি চুপি লিখে নেয়।

২. গ্রামের অর্থাৎ হার্টফোর্ডসায়ারের কাহিনীঃ

গার্ডেনে Cecily ও মিস প্রিজমের কথোপকথন

এখান থেকে সিন চলে যায় আরনেস্ট এর গ্রামের বাড়িতে হার্টফোর্ডসায়ারে। এখানে Cecily ও মিস প্রিজম গার্ডেনে বসে কথা বলছে। এই জায়গায় ডক্টর সসিবল নামের একটা ক্যারেক্টারের এন্ট্রি হয়। ডক্টর সসিবল আসতেই Cecily মিস প্রিজমকে বলে, ম্যাডাম আপনি ওই ক্লার্জিম্যানের সাথে একটু ওই দিকে গিয়ে ঘোরাফেরা করেন। তো Cecily এর কথা শুনে মিস প্রিজম ডক্টর সসিবল এর সাথে হাঁটতে শুরু করলো এবং তাদের অনুভূতি প্রকাশ করতে শুরু করলো। এই দুইটা চরিত্রের মধ্যে দিয়ে এখানে বৃদ্ধ বয়সের প্রেম দেখানো হয়েছে। 

Algernon এর আরনেস্ট সেজে গ্রামে আগমন

এদিকে Jack ও Cecily দের বাড়ির চাকর Merriman এসে বলে, “ম্যাডাম, Jack এর ভাই আরনেস্ট এসেছে”। আরনেস্ট নাম শুনেই Cecily কিছুটা এক্সাইটেড হয়ে গেল এবং তাকে বললো “তুমি তাড়াতাড়ি তাকে নিয়ে আসো”। আসলে Algernon এখানে আরনেস্ট নাম ধারণ করে এসেছে। তবে একটা প্রশ্ন রয়ে যায় যে, আরনেস্টের নাম শুনে Cecily কেন এতো এক্সাইটেড হয়ে পড়লো? আসলে, Jack যখনি লন্ডনে Gwendolen এর সাথে সাক্ষাৎ করতে যেত, তখন সে Cecilyকে বলতো শহরে আরনেস্ট নামে তার একটা ছোট ভাই রয়েছে। তার সাথেই সাক্ষাৎ করতে সে লন্ডনে যায়। Jack Cecily এর কাছে আরনেস্টের অনেক প্রশংসা করতো। এজন্য মনে মনে Cecily আরনেস্টকে না দেখেই ভালোবেসে ফেলে।

এই জায়গাতেই কিন্তু ডুয়েল আইডেন্টিটি দেখানো হয়েছে। Jack যখন শহরে যায়, তখন সে আরনেস্ট নাম ধারণ করে। আর Algernon যখন শহর থেকে গ্রামে আসে, তখন সে আরনেস্ট নাম ধারণ করে। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে কারো নামই আরনেস্ট নয়। 

Algernon এর Cecily কে প্রপোজ করা

এরপর আরনেস্ট/Algernon গার্ডেন থেকে বাড়ির ভেতরে প্রবেশ করে। বাড়ির ভেতরে ঢুকে Cecily আরনেস্ট/ Algernonকে যে অনেকগুলো চিঠি লিখেছে, সেই চিঠিগুলো দেখায়। এটা দেখেই Algernon সরাসরি Cecilyকে প্রপোজ করে। Cecily তখন বলে, “আমাকে আর প্রপোজ করার দরকার নেই। কারণ আমি অনেক আগে থেকেই তোমাকে ভালোবাসি”। এরপর তারা কথা বলতে থাকে।

Jack এর গ্রামে ফিরে আসা

তখনি Jack বাগানে প্রবেশ করে। সে এসেই মিস প্রিজমকে বলে, “মিস প্রিজম আমি খুবই ব্যথিত। কারণ, আমার ছোট ভাই আরনেস্ট গতরাতে প্যারিসে মারা গেছে”। এই জায়গায় সে ডক্টর সসিবলকে বলে, “ডক্টর সসিবল, আপনি আমার ভাইকে ক্রিস্টানি করার জন্য চার্চে একটা ব্যবস্থা করেন। ক্রিস্টানি দ্বারা মূলত ইসলাম ধর্মে আকিকা দেওয়ার মধ্যে দিয়ে যেভাবে একজনের নাম রাখা হয়, তা বোঝানো হয়েছে। এরপর ডক্টর সসিবল ও মিস প্রিজম সেখান থেকে চলে যায়। 

Cecily ও Jack এর কথোপকথন

আর Cecily বাড়ির ভেতর থেকে গার্ডেনে এসে বলে, ” আঙ্কেল, লন্ডন থেকে আপনার ছোট ভাই Ernest এসেছে”। এটা শুনেই Jack চমকে ওঠে আর বলে,”এটা কিভাবে সম্ভব! আমার ছোট ভাই আরনেস্ট তো গতরাতে প্যারিসে মারা গেছে”। Cecily তখন তাকে বলে, “আঙ্কেল আপনি মিথ্যা বলবেন না”। এরপর Jack সত্যিটা বলে, “আসলে আরনেস্ট নামে আমার কোন ছোট ভাই নেই”। তখন Cecily তখন তাকে আবারও বলে, “আঙ্কেল আপনি মিথ্যা বলবেন না”। 

Jack ও Algernon এর মুখোমুখি সাক্ষাৎ

Cecily এর এমন জোর দিয়ে বলার কারণে Jack মনে করতে থাকে যে, সে যখন লন্ডনে Gwendolenকে তার ঠিকানা দিচ্ছিল, তখন Algernon তার ঠিকানা লিখে নিয়েছিল। Algernon তখন বাড়ির ভেতরে ডাইনিং রুমে ছিল। Jack দৌড়ে ডাইনিং রুমে গেল। Algernonকে দেখে Jack একদম হতাশ হয়ে যায়। আবার Algernon ও Jack কে দেখে হতাশ হয়ে যায়। এর কারণ হচ্ছে Cecily Algernon কে বলেছিল, Jack সোমবারে ফিরে আসবে। কিন্তু Jack সোমবারের আগেই ফিরে এসেছে। পাশাপাশি Jack এটা জানতে পারে যে, Algernon কেন আরনেস্ট নাম ধারণ করে এখানে এসেছে। আসলে Algernon, Cecily কে বিয়ে করতেই এখানে এসেছে।

এখানে Cecily কিন্তু নেই। তো এবার Jack ও Algernon কথা বলতে শুরু করে। Jack একটু রেগে গিয়ে Algernonকে বলে,” তুই কেন এভাবে আমার বাসায় এসে সিনক্রিয়েট করছিস? তুই আমার সাথে চিট করেছিস। এক্ষুনি তুই এখান থেকে চলে যা”‌। তখন Algernon বলে,” ঠিক আছে, ঠিক আছে, আমি চলে যাবো, তবে একটা শর্ত আছে। তুই বলছিস তোর ভাই মারা গেছে। এই বলে যে কাল পোশাক পড়ে নাটক করছিস, তা খুলে ফেল। তাহলে আমি চলে যাবো”। তখন Jack ঘরের ভেতরে ওই কালো পোশাক খুলতে চলে যায়। 

Gwendolen এর গ্রামে আগমন

এর পরের সিন চলে যায় গার্ডেনে। কারণ Gwendolen ইতোমধ্যেই ভালোবাসার টানে লন্ডন থেকে Jack/আরনেস্টের গ্রামের বাড়িতে চলে এসেছে। Cecily এই জায়গায় Gwendolenকে দেখে খুশি হয়। এদের মধ্যে খুব ভালো বন্ধুত্ব হয়ে যায় এবং গল্প করতে থাকে। 

Cecily এর সাথে Gwendolen এর ঝগড়া

Cecily এই জায়গায় Gwendolenকে বলে, ” ম্যাডাম, আপনি খুব ভালো দিনে এসেছেন। কারণ দীর্ঘ প্রতীক্ষার পরে আজ আমি আমার ভালোবাসাকে পেয়েছি। তার নাম হচ্ছে আরনেস্ট এবং আমি তাকে বিয়ে করতে চাচ্ছি। এটা শুনে Gwendolen এর মাথা একদম খারাপ হয়ে যায়। কারণ সেও তো আরনেস্টকে ভালোবাসে। তার জন্যই সে শহর থেকে গ্রামে এসেছে। এবার এই দুইজনের মধ্যে ঝগড়া লেগে যায়। 

আরনেস্ট নামের প্রকৃত রহস্য উন্মোচন

Jack এবার পোশাক পরিবর্তন করে গার্ডেনে আসে। Jackকে দেখেই Gwendolen কোনরূপ ভূমিকা ছাড়াই বলে, ” আরনেস্ট তুমি কি Cecilyকে বিয়ে করতে যাচ্ছো”? এই জায়গায় Cecily বলে, “ম্যাডাম আপনি কোথাও ভুল করছেন। সে আরনেস্ট হবে কেন? সে তো আমার আঙ্কেল, Jack”। এই জায়গায় কমিক সিন সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তুলতে লেখক Algernonকেও গার্ডেনে প্রবেশ করায়। Algernon গার্ডেনে প্রবেশ করার পরে Cecily তাকে দেখে বলে, “আরনেস্ট, তুমি কি Gwendolenকে বিয়ে করতে যাচ্ছো”? এবার Gwendolen Cecilyকে বলে, ” কি বলো এসব? সে তো Algernon। সে তো আরনেস্ট না। সে আমার কাজিন Algernon”। এবার সবার কাছে সবকিছু ক্লিয়ার হয়ে যায়। Jack ও Algernon দুজনেই আরনেস্ট সাজার মিথ্যে অভিনয় করেছে এবং Cecily ও Gwendolen এর কাছে মিথ্যে পরিচয় দিয়েছে। তাই Cecily ও Gwendolen দুজনেই খুব রেগে যায়। আর Jack ও Algernon তাদের দুজনকে বোঝানোর চেষ্টা করতে থাকে।

Lady Bracknell এর গ্রামে আগমন

এদিকে Lady Bracknell তার মেয়ে Gwendolenকে লন্ডনে খুঁজে না পেয়ে হার্টফোর্ডসায়ারে অর্থাৎ গ্রামে চলে আসে। তিনি এসেই Gwendolen ও Algernonকে বলেন,” তোমরা এক্ষুনি আমার সাথে লন্ডনে চলো”। তবে Gwendolen বলে, ” না মা, আমি Jackকে ভালোবাসি, আর তাকেই বিয়ে করবো”। এদিকে Algernonও বলে, ” আমিও Cecilyকে ভালোবাসি, আর তাকেই বিয়ে করবো”। তখন Lady Bracknell Algernonকে বলেন,” যার তার সাথে তো বিয়ে দেওয়া যায় না। তার বংশ পরিচয় জানতে হবে”। তখন Jack Lady Bracknellকে Jack বলে, ” আন্টি আপনি কাকে কি বলছেন? আপনি কি জানেন Cecily কতটা ধনী? সে আপনাকে কিনে নেওয়ার ক্ষমতা রাখে। তার যে পরিমাণে সম্পদ রয়েছে, আমি তার দেখাশোনা করি। বর্তমানে তার বাবার মৃত্যুর পরে আমি তার গার্ডিয়ান”।  Lady Bracknell যখন জানতে পারে Cecily অনেক ধনী, তখন সে Algernon এর বিয়েতে সম্মতি দেয়। কিন্তু এই জায়গায় Jack বলে, “Cecily এর ৩০ বছর হওয়া পর্যন্ত আমি তার গার্ডিয়ান। ৩০ বছরের আগে যদি সে আমার মতের বিরুদ্ধে যায়, তাহলে সে এই সকল সম্পদের ভাগ হারাবে। যদি আপনি Gwendolen এর সাথে আমার বিয়ে না দেন, তাহলে আমি Cecily এর সাথে Algernon এর বিয়েতে সম্মতি দেবো না”।

Jack এর প্রকৃত পরিচয় প্রকাশ হওয়া

এই পর্যায়ে ডক্টর সসিবল এসে Jackকে বলে, “স্যার, আপনার ভাইয়ের ক্রিস্টানি করার সব অ্যারেঞ্জমেন্ট হয়ে গেছে। আপনি আমার সাথে চার্চে চলুন”। তখন Jack বলে, “এসবের কোন প্রয়োজন নেই”। Jack এর এমন উত্তর শুনে ডক্টর সসিবল কিছুটা অবাক হয়ে যান। তিনি আবারও বলেন,” স্যার, মিস প্রিজম আমাদের জন্য চার্চে অপেক্ষা করছেন”। মিস প্রিজমের নাম শুনে Lady Bracknell হতবাক হয়ে যান। তখন ২৮ বছর আগের একটা ইতিহাস তার মনে পড়ে যায়। তিনি ডক্টর সসিবলকে বলেন, ” কে এই মিস প্রিজম? আপনি কি তাকে এখানে ডেকে নিয়ে আসতে পারবেন”? তখন Jack বলে, “কেন নয়”? মিস প্রিজম সেখানে আসলে Lady Bracknell তাকে দেখেই চিনতে পারে। তিনি তাকে বলেন, “তুমি তো সেই গর্ভানেস, যাকে কিনা আমার বোন তার দুই ছেলেকে দেখাশোনা করার জন্য গর্ভানেস হিসেবে চাকরিতে রেখেছিল”। 

তখন মিস প্রিজম বলে,”হ্যাঁ ম্যাডাম, আমি সেই গর্ভানেস। তবে আমার একটা ভুলের কারণে আপনার বোনের বড় ছেলেকে আমি আমার হ্যান্ডব্যাগের সাথে ভিক্টোরিয়া রেল স্টেশনে হারিয়ে ফেলেছিলাম”। এই হ্যান্ডব্যাগের কথা শুনে Jack সরাসরি লাইব্রেরীতে চলে যায়। আর লাইব্রেরী থেকে হ্যান্ডব্যাগটা নিয়ে এসে মিস প্রিজমকে দেখায়। তখন মিস প্রিজম বলে, ” হ্যাঁ, এটাই সেই হ্যান্ড ব্যাগ”। তখন Lady Bracknell বলেন,” Jack তাহলে আমার বোনের বড় ছেলে। আর Algernon হচ্ছে তার আপন ছোট ভাই”।

তখন Jack Lady Bracknellকে জিজ্ঞাসা করে,” আন্টি, তাহলে আমার আসল নাম কি”? তখন Lady Bracknell বলেন, “তোমার আসল নাম আমার মনে নেই। তবে তোমার বাবার নামেই তোমার নাম রাখা হয়েছিল। তোমার বাবার নামটাও আমার মনে নেই। তবে তিনি একজন আর্মি জেনারেল ছিলেন। তার সম্পূর্ণ নামটা দেখতে হলে তোমাকে আর্মিদের লিস্ট দেখতে হবে”। তো এবার সবাই মিলে আর্মি লিস্ট দেখতে থাকে। আর সেখান থেকে জানা যায় যে, Jack ও Algernon এর বাবার নাম ছিল আরনেস্ট জন মনক্রিফ/ Ernest John Moncrieff। অর্থাৎ Jack এর প্রকৃত নাম হচ্ছে আরনেস্ট। এটা শুনে Gwendolen অনেক খুশি হয়। কারণ তার ইচ্ছা পূরণ হয়েছে। আরনেস্ট নামের কাউকেই সে বিয়ে করতে যাচ্ছে। আর Jack এখানে তার আন্টির কাছে নিজের অনুভূতি প্রকাশ করে যে, জীবনে এই প্রথম আরনেস্ট হওয়ার প্রকৃত অনুভূতি সে উপলব্ধি করতে পারছে।

11 COMMENTS

  1. একথায় অসাধারণ লিখছেন।
    অন্য গুলো পড়ছি বাট এত মজা লাগেনি

  2. আপনার গল্পটা শেষ করে মনে হচ্ছে ক্লিয়ার হয়ে গেছে 🥰🥰

  3. আমার খুবই ভালো লেগেছে পড়ে। এতো ভালো করে বুঝেছি। ধন্যবাদ আপনাকে।❤️

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

ফেসবুক পেইজ

কোর্স টপিক