“The Merchant of Venice” is a Comedy or Romantic Comedy, or Tragicomedy by William Shakespeare. This article contains The Merchant of Venice Bangla Summary, key information, themes, symbols, and characters.
উইলিয়াম শেক্সপিয়ার (1564-1616) একজন বিখ্যাত ইংরেজ নাট্যকার, কবি এবং অভিনেতা ছিলেন । তিনি ইংরেজি সাহিত্যের সর্বশ্রেষ্ঠ লেখক এবং বিশ্বের প্রাক-প্রখ্যাত নাট্যকার হিসেবে বিবেচিত হন। তাকে ইংল্যান্ডের জাতীয় কবি এবং “বার্ড অফ অ্যাভন” বলা হয়। তিনি ৩৭ টি নাটক এবং ১৫৪ টি সনেট লিখেছিলেন। সেগুলো আজও তাকে বিশ্বের মানুষের কাছে চির অমর করে রেখেছে।
Key Information
- Genre: Comedy or Romantic Comedy or Tragicomedy
- Time of Composition: Between 1596 and 1597
- First Perform: 1605.
- Published: Published in 1623 in the First Folio.
- Time Setting: 16th century Europe.
- Place Setting: Venice, which is a commercial city in Italy. Belmont is a fictional city in Italy near Venice.
Themes
Friendship: “বন্ধুত্ব” হলো এই নাটকের একটি প্রধান থিম। এই নাটকের সকল চরিত্রগুলো বন্ধুত্বের বন্ধনে আবদ্ধ। অ্যান্টনিও ও বসানিও অনেক ভালো বন্ধু। বোসানিও তার প্রয়োজনে অ্যান্টনিওর কাছে টাকা ধার চায়। অ্যান্টোনিও সুদে ব্যবসায়ী শায়লকের কাছ থেকে বড় অঙ্কের টাকা ধার নিয়ে বসানিওকে দেয়। এখানে, অ্যান্টোনিও এই টাকার জামিনদার ছিল। শর্ত ছিলো, তিন মাসের মধ্যে টাকা ফেরত দিতে ব্যর্থ হলে শায়লক অ্যান্টনিওর শরীর থেকে এক পাউন্ড মাংস কেটে নিবে। সাগরে অ্যান্টনিওর বানিজ্য জাহাজ ডুবে যাওয়ায় অ্যান্টনিও টাকা ফেরত দিতে ব্যর্থ হয়। তখন অনেক কৌশলে পোর্শিয়ার সাহায্য নিয়ে বোসানিও তাকে এই বিপদ থেকে উদ্ধার করে।
Prejudice: এই নাটকে Prejudice একটি প্রধান থিম। কারণ আমরা দেখতে পাই, বর বাছাইয়ের ক্ষেত্রে পোর্শিয়া তার বাবার বাতলে দেয়া পন্থা পুঙ্খানুপুঙ্খ ভাবে পালন করে। এছাড়া ক্রিস্টানিটির উপর শায়লকের যে প্রতিশোধ মুলক মনোভাব দেখা যায় তার মাধ্যমেও এই থিমটি প্রকাশ পায়।
Lack of Control: এই নাটকটিতে আমরা প্রধান চরিত্র গুলোর মাধ্যমে “Lack of Control” থিমটাকে খুঁজে পাই। এই নাটকের নায়িকা পোর্শিয়া বিয়ে নিয়ে দুশ্চিন্তাগ্রস্থ হয়ে পড়ে। কারণ তার বাবার দেয়া ক্যাসকেটের ধাঁধাটি কেউ সমাধান করতে পারে না। অপরদিকে শায়লকও অ্যান্টোনিওর উপর প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য খুবই ব্যস্ত হয়ে পড়ে ।
এই নাটকের আরো বেশ কিছু থিম হচ্ছে:
- Mercy
- Riddles
- Justice
Symbols
Caskets: The Caskets are the symbol of a father’s far-reaching concern for his daughter.
Gold: Gold is the symbol of status, wealth, and power in this materialistic world. But only wealth, power, and status cannot bring about happiness in conjugal life at all.
Rings: Rings symbolize love and commitment between partners.
Disguise: Disguise is always symbolic and allegorical in Shakespeare’s plays. It focuses on the gender role, worth of women, and side-by-side empowerment of women. Women are not at all the weaker gender.
Characters
Shylock: He is a Venetian usurer who takes a sign in a bond from Antonio as collateral so that he can cut a pound of flesh from any part of Antonio’s body.
Antonio: He is one of the central characters of the play and an exceptional Shakespearean hero without any heroin.
Portia: She is the creative genius of Shakespeare and the heroine of the play. She takes a camouflage of a scholar to defend Antonio from the thumb of the Venetian usurer Shylock like many other Shakespearean heroines. Portia gets married to Bassanio.
Bassanio: He is also one of the central characters of the play. He solves the casket puzzle left by Portia’s father.
Gratiano: He is a friend of Bassanio and Antonio. He marries Portia’s servant Nerissa.
Nerissa: She is the intelligent servant and friend of Portia. She also takes a disguise as the assistant of Portia who disguises herself in the name of Doctor Balthazar.
Jessica: She is the beautiful daughter of Shylock who loves a Christian namely Lorenzo. Jessica has wisdom, fairness, and loyalty.
Suitors of Portia
- The Prince of Morocco chooses the gold casket and remarks “All that glitters is not gold”.
- The Prince of Aragon chooses the silver casket which signifies egoism and entitlement.
- The scholar and soldier of Venice, Bassanio chooses the lead casket and he wins Portia.
Bangla Summary
সম্পূর্ণ সামারিটা কিছু পয়েন্টে আলোচনা করা হয়েছে। পয়েন্টগুলো মনে রাখতে পারলে পুরো গল্পটা মনে রাখা সহজ হবে।
এক, ভেনিসে অ্যান্টনিওর সাথে বসানিওর সাক্ষাৎ
এই নাটকটি শুরু হয়েছে ইতালির ভেনিস শহরে। অ্যান্টনিও একজন বড় ব্যবসায়ী। সে তার সকল টাকা সমুদ্রের জাহাজের পিছনে বিনিয়োগ করেছে। তার জাহাজগুলো কখন কিনারায় ফিরবে এই নিয়ে সে বেশ দুশ্চিন্তায়। বসানিও এবং গ্র্যাটিয়ানো অ্যান্টনিওর দুইজন খুবই ঘনিষ্ঠ বন্ধু। তারা অ্যান্টনিওর সাথে সাক্ষাৎ করতে এসেছে। বসানিও খেয়াল করে, অ্যান্টনিওর মন খুবই খারাপ। অ্যান্টনিও জানায় যে তার সকল জাহাজ সমুদ্রে আটকা পড়েছে।
বসানিও অ্যান্টনিওর মন ভালো করার অনেক চেষ্টা করে। এরপরে বসানিও অ্যান্টনিওকে বলে তার বেশ কিছু টাকা লাগবে। সে যদি বসানিওকে টাকাগুলো দিতো তাহলে সে বেলমন্টের প্রিন্সেস পোর্শিয়ার সুইটর হিসেবে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে পারতো। অ্যান্টনিও বলে তার সকল টাকা সে ব্যবসায়ের কাজে লাগিয়েছে। তার কাছে আপাতত কোন টাকা নেই। তবে অ্যান্টনিও বসানিওকে জানায় যে বসানিও চাইলে তার নামে অন্য কারো কাছ থেকে টাকা ধার নিতে পারে এবং সেই টাকার জামিনদার অ্যান্টনিও নিজেই থাকবে।
দুই, ধাঁধার সমাধান না হওয়ায় পোর্শিয়ার দুশ্চিন্তা
এখন নাটকের দৃশ্যটি বেলমন্টে দেখানো হয়। পোর্শিয়া তার বিয়ে নিয়ে খুবই হতাশ। সে তার সেবিকা এবং বান্ধবী নেরিসার কাছে আক্ষেপ প্রকাশ করে। কেউ কি তার বাবার দেওয়া সেই ক্যাস্কেটের ধাঁধার সমাধান করতে পারবেনা! এদিকে ধাঁধার সমাধান করার জন্য অনেক দেশের প্রিন্সরা চেষ্টা করেছে। কিন্তু কেউ সমাধান করতে পারেনি। তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ইংলিশ লর্ড, স্কটিশ লর্ড, ডেনমার্ক, এবং জার্মানি সব জায়গার প্রিন্সরা ধাঁধাটি সমাধান করার চেষ্টায় ব্যর্থ হয়েছে।
এই সবকিছু দেখে পোর্শিয়া খুবই হতাশগ্রস্থ হয়ে পড়েছে। এরপরে পোর্শিয়া তার বান্ধবী নেরিসাকে বলে যে তার বিশ্বাস আছে কেউ না কেউ তো আসবেই এবং এই ধাঁধাটির সমাধান করবে। এরপর সে বসানিওর কথা ভাবতে থাকে। বসানিও বীরের বেশে এসে পোর্শিয়াকে এই গোলকধাঁধা থেকে মুক্ত করবে। এই সময়ে একজন চাকর পোর্শিয়াকে জানায় মরক্কোর প্রিন্স তার ক্যাস্কেটের ধাঁধা একসেপ্ট করেছে। সে এই ধাঁধাটি সমাধান করাতে চায়।
তিন, শায়লকের থেকে বসানিওর টাকা ধার নেয়া
এরপর নাটকের দৃশ্যটি ভেনিসে দেখানো হয়। বসানিও শায়লক নামক একজন বড় সুদে ব্যবসায়ীর কাছে যায়। শায়লক ভেনিস শহরে সুদের বিনিময়ে মানুষকে টাকা দিয়ে থাকে। বসানিও শায়লকের কাছে 3000 ডুকেট ধার চায়। শায়লক প্রথমে টাকা ধার দিতে চায় না। কিন্তু বসানিও তখন জানায় এই টাকার জামিনদার হবে এই শহরের সবচেয়ে বড় ব্যবসায়ী অ্যান্টোনিও। অ্যান্টোনিওর নাম শুনতেই শায়লক প্রতিশোধের আগুনে জ্বলে ওঠে।
কারণ অ্যান্টোনিও শায়লকের সুদে কারবার কখনোই পছন্দ করতো না এবং শায়লকের কর্মকান্ডকে নানাভাবে হেয় করতো; শায়লক মানুষকে সুদের বিনিময়ে টাকা ধার দিত এবং যথাসময়ে সুদ পরিশোধ করতে না পারলে তাকে নানাভাবে অত্যাচার করতো। এবার শায়লক একটি বড় সুযোগ পেয়েছে অ্যান্টনিওকে শায়েস্তা করার।
শায়লক এই টাকা ধার দেওয়ার সময় বেশ কিছু শর্ত প্রদান করে। চুক্তি অনুসারে, শায়লক বসানিওকে তিন হাজার ডুকেটস ধার দিবে এবং এর বিনিময়ে সে কোন প্রকারের সুদ নিবে না। কিন্তু শর্ত হচ্ছে, তিন মাসের মধ্যে সমস্ত টাকা ফিরিয়ে দিতে হবে। কোনোভাবে টাকা ফেরত দিতে ব্যর্থ হলে শায়লক অ্যান্টোনিওর শরীরের যে কোন অংশ থেকে এক পাউন্ড মাংস কেটে নেবে।
বসানিও অ্যান্টোনিওকে বলছিল এই শর্তর জন্য রাজি না হতে। কিন্তু অ্যান্টোনিওর বিশ্বাস ছিলো নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে তার জাহাজ গুলো কিনারায় এসে পৌঁছাবে। তখন তার আর টাকার কোন সমস্যা থাকবে না এবং সে শায়লকের টাকাগুলো পরিশোধ করে দিতে পারবে। এই বিশ্বাসের ওপর ভিত্তি করে অ্যান্টোনিও এই চুক্তিপত্রে রাজি হয় এবং শায়লক বসানিওকে তিন হাজার ডুকেটস ধার দেয়।
চার, শায়লকের মেয়ে জেসিকার লরেঞ্জের সাথে পালিয়ে যাওয়া
এবার নাটকের দৃশ্যটি আবার ভেনিসে দেখানো হয়। বসানিও শায়লকের কাছ থেকে টাকা পাওয়ার পর বেলমন্ট যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়।
এদিকে শায়লকের মেয়ে জেসিকা লরেঞ্জের প্রেমে হাবুডুবু খাচ্ছে। তাদের এই সম্পর্ক শায়লক কোনোভাবেই মেনে নিবে না। কারণ শায়লক জিউস (ইহুদি) আর লরেঞ্জ হচ্ছে খ্রিস্টান। একজন খ্রিস্টান ছেলের সাথে মেয়ের বিয়ে দিতে সে একদমই রাজি না। এজন্য জেসিকা লরেঞ্জের সাথে পালিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করে। লরেঞ্জ বসানিওর বন্ধু গ্র্যাটিয়ানোর কাছে এ ব্যাপারে সাহায্য চায়।
এদিকে বসানিও শায়লককে রাতের খাবারের জন্য দাওয়াত করেছে। শায়লক যখন বসানিওর বাড়িতে রাতের খাবার খেতে যায় তখন শায়লকের মেয়ে জেসিকা তার বাবার অনেক টাকা পয়সা নিয়ে লরেঞ্জের সাথে পালিয়ে যায়। এরপর জেসিকা ও লরেঞ্জ বসানিওর কাছে আসে এবং তাকে অনুরোধ করে তাদেরকেও তার সাথে বেলমন্টে নিয়ে যেতে।
পাঁচ, মরক্কোর প্রিন্সের ধাঁধা সমাধানের চেষ্টা
এবার নাটকের দৃশ্যটি পোর্শিয়ার বাড়িতে দেখানো হয়। মরক্কোর প্রিন্স ধাঁধার সমাধান করতে আসে। ধাঁধাটি হচ্ছে পোর্শিয়ার বাবা তিনটি বাক্স রেখে গিয়েছেন। তিনটি বাক্সতে আলাদা আলাদা ইনস্ট্রাকশন লিখা আছে। প্রথম বাক্সটি হচ্ছে সোনার যেখানে লিখা আছে “Who chooses me shall gain what many men desire”; এবং দ্বিতীয় বাক্সটি হচ্ছে সিলভারের এবং এর ওপরে লিখা আছে “Who chooses me shall get as much as he deserves”; আর তৃতীয় বাক্সটি হচ্ছে শিশার এবং এই বাক্সটির ওপরে লিখা আছে “Who chooses me must give and hazard all he has.”
এই তিনটি বাক্সের মধ্যে যেকোনো একটিতে পোর্শিয়ার ছবি আছে। যে সঠিক বাক্সটি নির্বাচন করতে পারবে উইল অনুযায়ী পোর্শিয়া তাকে বিয়ে করবে।
মরক্কোর প্রিন্স হাসতে হাসতে নির্দ্বিধায় প্রথম বাক্সটি অর্থাৎ সোনার বাক্সটি নির্বাচন করলেন। বাক্সটি খোলার পরে সেখানে সে ছবি পেল না। বরং সেখানে একটি বাক্য লিখা ছিলো “All that glitters is not gold” অর্থাৎ চকচক করলেই সোনা হয় না। পোর্শিয়া এবারও হতাশ হয়ে পড়লো। কারণ এ যাবত অনেক প্রিন্স এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছে। কিন্তু কেউই সফল হতে পারেনি।
Read Also: Macbeth Bangla Summary
ছয়, মেয়ে একজন খ্রিস্টান ছেলের সাথে পালিয়ে যাওয়ায় শায়লকের বিলাপ
এবার নাটকের দৃশ্যটি ভেনিসে দেখানো হয়। শায়লক তার মেয়ের জন্য বিলাপ করছে। কারণ সে একজন খ্রিস্টানের সাথে পালিয়েছে । আর এটা শায়লক কোনভাবেই মেনে নিতে পারছে না। তার মেয়ে পালানোর সময় তার মৃত স্ত্রীর দেওয়া আংটিটাও সাথে নিয়ে গেছে। এ কারণে শায়লক অনেক রাগান্বিত হয়।
এদিকে পোর্শিয়ার ধাঁধাটি সমাধান করার জন্য এরাগনের প্রিন্স আসে। সে সিলভারের বাক্সটি নির্বাচন করে। এটিও ভুল বাক্স ছিলো।
সাত, বসানিওর সঠিক বাক্সটি নির্বাচন
যখন সঠিক বাক্স নির্বাচনে সবাই ব্যর্থ হচ্ছিল ঠিক সেই সময় বসানিও এসে হাজির হয়। বসানিও প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে। এদিকে বসানিওর আসা দেখে পোর্শিয়াও বেশ খুশি হয়। সে ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করতে থাকে যেন বসানিও সঠিক বাক্সটি বাছাই করতে পারে এবং তাকে বিয়ে করতে পারে। বসানিও আসার পর খুবই তাড়াহুড়ো করতে থাকে। কিন্তু পোর্শিয়া তাকে ধৈর্য্য রাখতে বলে ও ভেবেচিন্তে কাজ করতে বলে। বসানিও পোর্শিয়ার কথা শুনে বেশ কিছুদিন অপেক্ষা করে। এর মধ্যে বসানিও পোর্শিয়ার প্রতি তার সত্য ভালবাসার কথা প্রকাশ করে।
বসানিও খুব ভাবনা চিন্তা করে শিশার বাক্সটি পছন্দ করে। এই শিশার বাক্সটির মধ্যেই ছিল পোর্শিয়ার ছবি। বসানিও প্রতিযোগিতায় জয়লাভ করে। পোর্শিয়ার বাবার উইল অনুযায়ী পোর্শিয়া এখন বসানিওকে বিয়ে করতে পারবে। পোর্শিয়া অত্যন্ত আনন্দের সাথে বসানিওকে গ্রহণ করে। সে বসানিওকে ভালোবাসার প্রতীক হিসেবে একটি আংটি পরিয়ে দেয় এবং সেটি কাউকে না দিতে সাবধান করে।
ঠিক এই সময়ে জেসিকা এবং লরেঞ্জ ভেনিস থেকে পালিয়ে এখানে (বেলমন্টে) চলে আসে। তারা একটি খবর নিয়ে আসে যে অ্যান্টোনিওর বিরুদ্ধে শায়লক ডিউকের কাছে একটি মামলা করেছে। কারণ অ্যান্টোনিও যথাসময়ে শায়লকের টাকা পরিশোধ করতে পারেনি। এখন শর্তানুযায়ী শায়লক অ্যান্টোনিওর শরীরের যে কোন অংশ থেকে এক পাউন্ড মাংস কেটে নিবে। এই খবরটা শোনার পর বসানিওর মন খুবই খারাপ হয়। সে খুবই চিন্তার মধ্যে পড়ে যায়।
এতগুলো টাকা বসানিও কিভাবে পরিশোধ করবে তা নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়ে যায়। তার কাছে এখন কোন টাকাও নেই। এই বিষয়টি পোর্শিয়া লক্ষ্য করে। লরেঞ্জ এবং জেসিকা যখন বসানিওকে সবকিছু বলছিল তখন পোর্শিয়া সব কিছু শুনে ফেলে। পোর্শিয়া বসানিওকে দ্বিগুণ টাকা অর্থাৎ 6000 ডুকেট দিয়ে ভেনিসের উদ্দেশ্যে রওনা দিতে বলে। বসানিও এক মুহূর্ত দেরি না করে টাকা নিয়ে রওনা দেয়।
এদিকে পোর্শিয়া তার স্বামীর বন্ধুকে সাহায্য করার সিদ্ধান্ত নেয়। তাই সে একজন উকিলের (ডক্টর বালথাযার) ছদ্মবেশ ধারণ করে এবং নেরিসা তার অ্যাসিস্ট্যান্ট এর ছদ্মবেশ ধারণ করে, এবং ভেনিসের উদ্দেশ্যে রওনা করে।
আট, ডিউকের কোর্টে অ্যান্টোনিওর বিচার
নাটকের দৃশ্যটিকে এখন দেখানো হচ্ছে ভেনিসের ডিউকের রাজপ্রাসাদে। ডিউক তার কোর্টরুমে অ্যান্টোনিও এবং শায়লকের বিচার কার্যক্রম শুরু করে। এই বিচারে অ্যান্টোনিওর পক্ষের উকিল ডক্টর বালথাযার (ছদ্মবেশি পোর্শিয়া)। শায়লক আদালতকে বলে, অ্যান্টোনিও তার ঋণ পরিশোধ করতে ব্যর্থ হয়েছে। তাই শর্তানুযায়ী শায়লক অ্যান্টনিওর শরীরের যে কোন অংশ থেকে এক পাউন্ড মাংস কেটে নেবে।
শায়লক যে পরিমাণ টাকা ধার দিয়েছে তার দ্বিগুণ পরিমাণ টাকা তাকে অফার করা হয়। কিন্তু সে কোনোভাবেই টাকা নিবে না। সে অ্যান্টোনিওর শরীর থেকে মাংস কেটে নিতে চায়।
চুক্তি অনুযায়ি শায়কল এক পাউন্ড মাংশ কেটে নিতে পারবে, কিন্তু চুক্তিতে রক্তের কথা উল্লেখ নেই। বিধায় শায়লককে রক্ত না ঝরিয়ে মাংশ কেটে নেয়ার আদেশ দেয়া হয়। যদি রক্ত বের হয় তবে তার সকল সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হবে। তার সকল সম্পত্তির অর্ধেক পাবে ডিউক এবং বাকি অর্ধেক পাবে অ্যান্টোনিও।
এটা শোনা পর শায়লক বলে যে রক্তবিহীন মাংস কাটা কোন ভাবেই সম্ভব না। এইবার শায়লক তার নিজের ভুল বুঝতে পেরে ডিউকের কাছে তার অপরাধের জন্য ক্ষমা চায়। ডিউক শায়লকের সকল সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করে। এই সম্পত্তির অর্ধেকভাগ ডিউক পায় এবং বাকি অর্ধেক পায় অ্যান্টোনিও। এখানে অ্যান্টোনিও আবারও তার মহানুভাবতা দেখায়। সে ডিউককে অনুরোধ করে নিজের অংশটুকু শায়লকের মেয়ে জেসিকাকে দিয়ে দেয়, যেন শায়লক মারা যাওয়ার পর জেসিকা এই সম্পত্তির মালিক হবে। শায়লক এই ফয়সালা মেনে নিতে বাধ্য হয় এবং শাস্তি স্বরূপ ধর্ম পরিবর্তন করে সে খ্রিস্টান ধর্ম গ্রহণ করে।
মুক্তি পাওয়ার পর অ্যান্টনিও ও বসানিও সেই উকিলের সাথে কোর্টের বাহিরে সাক্ষাৎ করে। তারা উকিলকে টাকা দিতে চায়। কিন্তু সেই উকিলটি টাকা না নিয়ে অন্য একটি জিনিস চায়। উকিল এবার বসানিওর হাতে থাকা সেই আংটিটা চেয়ে বসে যেটি তাকে পোর্শিয়া দিয়েছিলো। বসানিও একটু ইতস্তত করলেও পরে সেটি উকিলকে দিয়ে দেয়।
এরপর যাবতীয় কার্যক্রম শেষ করে উকিল অর্থাৎ পোর্শিয়া এবং তার সহকারী বেলমন্টে ফিরে আসে। এদিকে বসানিও এবং তার বন্ধু বেলমন্টে পৌঁছায়।
পোর্শিয়া বসানিওকে দেওয়া সেই রিংয়ের কথা জিজ্ঞাসা করলে বসানিও বিভিন্নভাবে পোর্শিয়াকে বোঝাতে চেষ্টা করে। কিন্তু সে ব্যর্থ হয়। তখন অ্যান্টোনিও পোর্শিয়াকে পুরো বিষয় খুলে বলে এবং পোর্শিয়া শান্ত হয়। এরপর পোর্শিয়া বসানিওকে অবাক করে দিয়ে সেই আংটিটি তার হাতে দেয়। বসানিও জানতে চাইলে পোর্শিয়া তাদের ছদ্মবেশ ধারণের বিষয়টি পরিষ্কার করে।
পোর্শিয়া অ্যান্টনিওকে বাঁচিয়েছে জেনে বসানিও এবং অ্যান্টনিও অনেক খুশি হয়। পোর্শিয়া জেসিকাকে তার বাবার অর্ধেক সম্পত্তির চুক্তিনামাটি দেয়। সবশেষে, অ্যান্টোনিও জানতে পারে যে তার তিনটি জাহাজ কিনারায় এসে পৌঁছেছে। এভাবেই নাটকটি শেষ হয়।
Read Also: The Duchess of Malfi Bangla Summary
এখানে ভুল আছে কিছু। বাসানিওর বাসায় খাবার খেতে যায় না, শাইলক। বরং শাইলকের বাসায় খাবার খেতে যায়।
ঠিক বলেছেন আপনি।
Tnx