The Rime of The Ancient Mariner Bangla Summary

Brief Biography of Samuel Taylor Coleridge: স্যামুয়েল টেইলর কোলরিজ ১৭৭২ সালে ইংল্যান্ডের ডেভনের অটারি সেন্ট মেরিতে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা জন কোলরিজ একজন ধর্মযাজক ও স্কুল শিক্ষক ছিলেন। কোলরিজ ছোটবেলায় তাঁর পিতাকে হারান এবং পরে লন্ডনের ক্রাইস্টস হসপিটাল স্কুলে ভর্তি হন। তিনি পরে ক্যামব্রিজের জেসাস কলেজে পড়াশোনা করেন, তবে ডিগ্রি সম্পূর্ণ করতে পারেননি। ১৭৯৫ সালে তাঁর সঙ্গে উইলিয়াম ওয়ার্ডসওয়ার্থের দেখা হয়, এবং তাঁদের বন্ধুত্ব ১৭৯৮ সালে “লিরিক্যাল ব্যালাডস” প্রকাশের পথ প্রশস্ত করে।

earn money

এই বই ইংরেজি সাহিত্যে রোমান্টিক আন্দোলনের সূচনা করে। কোলরিজের সবচেয়ে বিখ্যাত কবিতাগুলির মধ্যে রয়েছে “The Rime of the Ancient Mariner”, “Kubla Khan”, and “Christabel”। জীবনের অধিকাংশ সময় তিনি স্বাস্থ্য সমস্যা ও আফিমাসক্তিতে ভুগেছিলেন। কোলরিজ একজন দার্শনিক ও সমালোচক হিসেবেও পরিচিত, বিশেষ করে তাঁর রচনা বায়োগ্রাফিয়া লিটারারিয়ার জন্য। তিনি ১৮৩৪ সালে মৃত্যুবরণ করেন। কোলরিজ স্মরণীয় হয়ে আছেন রোমান্টিক কবিতার একজন প্রধান কবি এবং কাব্যে অতিপ্রাকৃত চিত্রায়ণের একজন দক্ষ শিল্পী হিসেবে।

Key Facts: “The Rime of the Ancient Mariner” is a poem by Samuel Taylor Coleridge. The poem was first published in 1798. It is a key piece of Romantic literature. It tells the story of an old sailor who narrates his crucial experience at sea.

  • Full Title: The Rime of the Ancient Mariner
  • Title of the Poet: The poet of Supernaturalism.
  • When Written: 1797-1798
  • Where Written: England
  • When Published: First published in 1798, with revisions in 1817 and 1834
  • Literary Period: Romanticism
  • Genre: Ballad
  • Setting: The poem is set primarily at sea, with a form of narrative at a wedding reception.
  • Antagonist: The Mariner himself, Death, and Life-In-Death.
  • Point of View: The poem is initially told in a third-person account but transitions to a first-person narrative by the Mariner. Other voices, including the Wedding Guest and spirits, occasionally interrupt it.

ব্যাকগ্রাউন্ড: The Rime of the Ancient Mariner কবিতাটি স্যামুয়েল টেইলর কোলরিজের রোমান্টিক কবিতার অন্যতম শ্রেষ্ঠ উদাহরণ। কবিতাটি ১৮শ শতকের শেষের দিকে রচিত হয়। কোলরিজ ছিলেন রোমান্টিক মুভমেন্টের অন্যতম প্রধান কবি। রোমান্টিক যুগের (১৭৯৮-১৮৩২) কবিরা যুক্তিকে উপেক্ষা করে তাদের কবিতায় প্রকৃতি, আবেগ/অনুভূতি, অতিপ্রাকৃত, উচ্চতর কল্পনা ইত্যাদির প্রতি গুরুত্ব দিতেন—এই সব উপাদানই আমরা এই কবিতায় খুঁজে পাই। কোলরিজ যেহেতু শিল্পবিপ্লবের সময়কালে লিখতে শুরু করেছিলেন, তখন প্রযুক্তি ও আধুনিকীকরণের কারণে প্রকৃতির সঙ্গে মানব সম্পর্কের ভারসাম্য হুমকির মুখে পড়েছিল।

কোলরিজের The Rime of the Ancient Mariner কবিতাটি যেভাবে গঠিত হয়েছে, তাতে বহু পাঠক এবং গবেষক মনে করেন যে এটি সম্ভবত আর্কটিক বা অ্যান্টার্কটিক অভিযাত্রী জেমস কুক বা থমাস জেমসের ভ্রমণ কাহিনী থেকে প্রভাবিত। তবে, কোলরিজের বন্ধু উইলিয়াম ওয়ার্ডসওয়ার্থ দাবি করেছিলেন যে কবিতাটি মূলত জর্জ শেলভকের ১৭২৬ সালের বই A Voyage Round the World by Way of the Great South Sea থেকে অনুপ্রাণিত, যেখানে এক নাবিক আলবাট্রস পাখি হত্যা করে। এই হত্যাকাণ্ড কোলরিজের কবিতার কেন্দ্রীয় ঘটনার সঙ্গে মিলে যায়।

ইউটিউবে ভিডিও লেকচার দেখুনঃ


কোলরিজের কবিতার প্রভাব রোমান্টিক যুগের অন্যান্য কবিদের ওপরও পড়েছিল। কোলরিজের কবিতার আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব মেরি শেলির Frankenstein উপন্যাসে দেখা যায়, যেখানে শেলি The Rime of the Ancient Mariner-এর কিছু ধারণা, বিশেষত প্রকৃতির প্রতি শ্রদ্ধা এবং অ্যান্টার্কটিক অঞ্চলের ভাবনা তুলে ধরেছেন। শেলি তাঁর উপন্যাসে এই কবিতার সরাসরি উল্লেখ করেছেন।

Characters:

  • The Ancient Mariner: The protagonist of the poem, an old sailor who tells his story. He is cursed after killing the Albatross. He is also cursed to share his tale with others.
  • The Wedding Guest: A young man on his way to a wedding. He is stopped by the Ancient Mariner and compelled to listen to his story. He is transformed by the experience.
  • The Sailors: The unnamed crew members who accompany the Mariner on his journey. They suffer and die due to the Mariner’s sin, and due to their support of the sin.
  • Death: A supernatural figure who appears aboard the ghost ship and claims the lives of the sailors through a dice game with Life-in-Death.
  • Life-in-Death: A supernatural figure who wins the Mariner’s soul in a dice game, leaving him to live in a state of “life-in-death (বেচে থেকেই মারা যাওয়া) .”
  • First Voice and Second Voice: Two spirits who speak about the Mariner’s sin and the penance he must undergo.
  • The Hermit: A holy man who helps the Mariner at the end of his journey and symbolizes spiritual redemption.
  • The Pilot: The captain of the rescue ship who takes the Mariner aboard when his ship sinks.
  • The Pilot’s Boy: The Pilot’s assistant, who is shocked to see the Mariner alive and accompanies the Pilot on the rescue mission.
  • The Lonesome Spirit from the South Pole: A supernatural being that follows the Mariner’s ship after the killing of the Albatross.

সংক্ষিপ্ত/প্লট সামারি

স্যামুয়েল টেইলর কোলরিজের The Rime of the Ancient Mariner একটি রোমান্টিক কবিতা যেখানে প্রকৃতি, পাপ এবং প্রায়শ্চিত্তের বিষয়গুলো তুলে ধরা হয়েছে। কবিতার মূল চরিত্র হল Ancient Mariner। তিনি তার বাস্তব জীবনের বিচিত্র এক অভিজ্ঞতার গল্প  শোনান, যা থেকে গভীর নৈতিক শিক্ষা পাওয়া যায়। 

কবিতার শুরু: কবিতার শুরুতে, Ancient Mariner তার “Glittering Eye (জ্বলজ্বলে চোখ)” দিয়ে এক Weeding Guest কে থামায় এবং তাকে জোর করে তার কাহিনি শোনাতে শুরু করে। যদিও গেস্ট চলে যেতে চায় তবুও বৃদ্ধ নাবিক/মেরিনার বলতেই থাকে। মেরিনার তার কাহিনির শুরু করে। তার জাহাজ বন্দর ছেড়ে দক্ষিণে যাত্রা করে। এক ভয়াবহ ঝড় তাদের জাহাজকে আরও দক্ষিণে নিয়ে যায়, যেখানে তারা বরফ, তুষার এবং বিশাল গ্লেসিয়ারের মধ্যে আটকা পড়ে। এক রকম হতাশ হয়ে পড়ে।

অলবাট্রস হত্যার ঘটনা: এ সময় একটি আলবাট্রস পাখি তাদের জাহাজে আসে, যা সেইলররা শুভ লক্ষণ হিসেবে দেখে। এ সময় বাতাস বইতে শুরু করে। এর পর কিছু দিন পাখিটি জাহাজের পিছু পিছু আসতে থাকে।  কিন্তু, মেরিনার অকারণেই সেই পাখিটিকে crossbow (তীর ধনুক) দিয়ে হত্যা করে। পাখি হত্যার পর সেইলররা প্রথমে মেরিনারের প্রতি ক্ষুব্ধ হলেও, কিছু সময় পর তারা বিশ্বাস করে যে পাখি হত্যা সঠিক ছিল কারণ এর পরই মেঘ সরে যায় এবং সমুদ্রে হালকা হাওয়া ফিরে আসে। সেই সাথে জাহাজটি উত্তর দিকে যেতে থাকে। 

শাস্তি ও দুঃখ: হঠাৎ করে সমুদ্রে বাতাস থেমে যায় এবং তারা আটকা পড়ে যায় একটি বিশাল শান্ত সমুদ্রে। সেইলররা তৃষ্ণায় মরতে থাকে এবং এক সময় তারা মনে করতে শুরু করে যে একটি “অশুভ আত্মা” তাদেরকে তাড়া করছে। তারা মেরিনারের গলায় আলবাট্রস ঝুলিয়ে দেয়, যাতে তার পাপের বোঝা তাকেই বহন করতে হয়।

অলৌকিক ঘটনার সূচনা: এরপর এক অদ্ভুত ঘটনা ঘটে—মেরিনার দেখতে পায় যে একটি ভূতুড়ে জাহাজ তাদের দিকে আসছে। সে সবাইকে সতর্ক করে দিতে চায়। কিন্তু সে এতটাই তৃষ্ণার্ত ছিল যে মনে হচ্ছিল তার শরীরের রক্ত পান করলে তবেই সে নাবিকদেরকে সতর্ক করে দেওয়ার মত শক্তি অর্জন করতে পারবে। ভূতুড়ে জাহাজের ডেকে “ডেথ” এবং “লাইফ-ইন-ডেথ” নামের দুটি অতিপ্রাকৃত চরিত্র ডাইস/জুয়া খেলায় মেতে ওঠে। শেষ পর্যন্ত “লাইফ-ইন-ডেথ” জিতে যায়। ফলে সেইলররা একে একে মারা যেতে থাকে। মৃত্যুর পর, তারা মেরিনারের দিকে অভিষাপের দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে।

আধ্যাত্মিক উপলব্ধি:  হতাশাময় এই পরিস্থিতিতে মেরিনার এর থেকে মুক্তি পেতে প্রার্থনা করতে চায় কিন্তু সে প্রার্থনা করতে পারে না কোনভাবেই।  সেদিন ছিল ভরা পূর্ণিমার রাত।  সে হঠাৎ করে সমুদ্রের স্বচ্ছ পানিতে সাপ দেখতে পায় এবং তার মধ্যে প্রকৃতির সৌন্দর্য দেখতে পায়। সে উপলব্ধি করে যে, এই জগতে যা কিছু সৃষ্টি হয়েছে সেটা হোক বৃহৎ অথবা ক্ষুদ্র সবকিছুর প্রতি ভালোবাসা এবং আমাদের শ্রদ্ধা দেখানো উচিত। মনে মনে এই চিন্তা করার পরেই সে প্রার্থনা শুরু করতে পারে। তার প্রার্থনা শুরু হতেই, অলবাট্রসটি তার গলা থেকে পড়ে যায় এবং সমুদ্রে ডুবে যায়।

মুক্তি ও পুনঃপ্রতিষ্ঠান: পরে, মেরিনার দেখতে পায় যে মৃত সেইলরদের দেহ উঠে দাঁড়িয়েছে এবং তারা আধ্যাত্মিক শক্তির দ্বারা জাহাজের কাজ করছে। শেষ পর্যন্ত মেরিনার ঈশ্বরের সাহায্যে উপকূলের দিকে আসতে থাকে। শেষ পর্যন্ত, একটি ছোট নৌকা, যার মধ্যে পাইলট, পাইলটের সহকারি এবং এক সাধু ছিলেন, মেরিনারকে উদ্ধার করতে আসে। এদিকে ২০০ জন মৃত সেইলরসহ মেরিনারের জাহাজটি সমুদ্রে ডুবে যায়। পাইলট, পাইলটের সহকারি এবং সাধু মেরিনারকে উদ্ধার করে তীরে নিয়ে যায়। মেরিনার সেই সাধুকে বলে তাকে তার পাপ থেকে মুক্ত করতে।

কবিতার শেষে, মেরিনার তার কাহিনী শেষ করে বলেছিল যে, সে সর্বদা সেই ব্যক্তিদের খুঁজে বেড়ায় ও তার গল্প শোনায় যারা তার গল্প শুনে জীবন পরিবর্তন করবে। সে বলে, প্রকৃত প্রার্থনা হলো সৃষ্টির প্রতি ভালোবাসা এবং শ্রদ্ধা, এবং এই প্রার্থনাই জীবনকে সবচেয়ে আনন্দদায়ক করে তোলে। এই কবিতার শিক্ষা হলো—

“He prayeth best, who loveth best

Both man and bird and beast.”

Plot Summary

Samuel Taylor Coleridge’s The Rime of the Ancient Mariner is a Romantic poem that focuses on nature, sin, and the idea of repentance. The main character is the Ancient Mariner, who shares a strange experience from his life that teaches a deep moral lesson.

Beginning of the Poem: At the start of the poem, the Ancient Mariner stops a Wedding Guest using his “glittering eye” and forces him to listen to his story. Although the guest tries to leave, the Mariner continues speaking. He begins by telling how his ship left the harbor and sailed south. A violent storm pushed the ship further toward the South Pole, where they were surrounded by snow, ice, and large glaciers. The crew started to feel hopeless.

The Albatross Incident: During this time, an albatross came to the ship, and the sailors saw it as a good sign. A gentle wind began to blow, and the bird followed the ship every day. But for no clear reason, the Mariner killed the bird with his crossbow. At first, the sailors were angry, but when the fog cleared and the wind continued, they believed the killing was a good thing. The ship started moving north again.

Punishment and Suffering: Suddenly, the wind stopped, and the ship got stuck in the middle of a calm sea. The sailors began to suffer from extreme thirst. They believed that an evil spirit was following them, and they hung the dead albatross around the Mariner’s neck to make him carry the burden of his sin.

Beginning of Supernatural Events: Then something strange happened—a ghostly ship appeared. The Mariner wanted to warn the others, but was so thirsty as if he had to drink his blood to find the strength to speak. On the ghost ship were two figures: Death and Life-in-Death. They played a dice game and won the souls of the crew. The sailors died one by one, each cursing the Mariner with their eyes.

Spiritual Realization: In deep despair, the Mariner wanted to pray but could not. It was a full moon night. He saw water snakes in the sea and suddenly realized the beauty of nature. He understood that everything in this world—big or small—deserves love and respect. As soon as he felt this, he was able to pray. The albatross fell from his neck and sank into the sea.

Freedom and Return: Later, he saw the dead sailors’ bodies stand up and work as lifeless tools controlled by spiritual forces. They helped sail the ship. In the end, a small boat with a pilot, the pilot’s boy, and a holy hermit came to rescue him. The Mariner’s ship drowns with 200 dead sailors. The pilot’s boat rescues the Mariner and brings him to the land. The Mariner asks the holy hermit to clean him from his sin.

End of the Poem: At the end, the Mariner says he always finds the right person who needs to hear his story. He teaches that real prayer comes from love and respect for all of God’s creations. That kind of prayer brings true joy in life.

Detailed Summary

Part One 

কবিতার শুরুতে দেখা যায় একজন বৃদ্ধ নাবিক এক বিয়ের অতিথির পথ আটকায়। অতিথি ছিল বিয়ের কনের ঘনিষ্ঠ আত্মীয়। সে খুব তাড়াতাড়ি বিয়ের অনুষ্ঠানে পৌঁছাতে চাচ্ছিল। অতিথিরা সবাই চলে এসেছে এবং খাবার পরিবেশন করা হবে। কিন্তু Ancient Mariner বা প্রাচীন/বৃদ্ধ নাবিক তার হাড্ডিসার হাত দিয়ে সেই অতিথিকে ধরে ফেলে। বৃদ্ধ নাবিক জোর করে তাকে তার গল্প শোনাতে চায়। সে তার জীবনের গল্প বলা শুরু করে দেয় যে—“There was a ship.” একটি জাহাজ ছিল। কিন্তু এই বিয়ের অতিথি রেগে যায়। সেই এই পাগল বৃদ্ধের গল্প শুনতে চায় না। এরপর বৃদ্ধ নাবিক তাকে তার “glittering eye” (জ্বলজ্বলে চোখ) দিয়ে আটকে ফেলে। এবার বিয়ের অতিথি মোহিত হয়ে যায় ও স্থির দাঁড়িয়ে যায়। সে একটি পাথরে বসে পড়ে ও তিন বছরের ছোট্ট বাচ্চার মত মুগ্ধ হয়ে মেরিনারের গল্প শুনতে থাকে। আর মেরিনার  তার গল্প বলতে শুরু করে।

মেরিনার বলতে শুরু করে যে তাদের জাহাজ আনন্দের সঙ্গে যাত্রা শুরু করেছিল। জাহাজ ধীরে ধীরে বন্দর ছাড়ছিল, শহরের গির্জা, পাহাড়, ও লাইটহাউস (বাতিঘর) পেছনে ফেলে সামনে এগিয়ে যাচ্ছিল। শহরের লোকজন খুব আনন্দের সাথে তাদের বিদায় দিয়েছিল। প্রতিদিন সূর্য সমুদ্রের বাঁদিক থেকে উঠছিল এবং ডানদিকে অস্ত যাচ্ছিল। অর্থাৎ তারা দক্ষিণ অভিমুখে যাত্রা শুরু করেছিল। এরপর জাহাজ ধীরে ধীরে গভীর সমুদ্রে প্রবেশ করতে থাকে।

এদিকে বিয়ের অনুষ্ঠানে সংগীত বাজছিল ও সেই অতিথির মনে অস্বস্তি হচ্ছিল। কিন্তু গল্প শোনা ছাড়া তার কোনো উপায় ছিল না।

তারপর হঠাৎ করে এক প্রবল ঝড় শুরু হয়। ঝড় ছিল প্রচণ্ড শক্তিশালী এবং তাদের জাহাজকে দক্ষিণ মেরুর দিকে ঠেলে নিয়ে যায়। ঝড়ের পর চারপাশে কুয়াশা ও তুষার জমে যায়। ভয়ানক ঠান্ডা পড়ে। জাহাজের মাস্তুলের সমান উঁচু বিশাল বিশাল বরফের টুকরো পাশ দিয়ে ভেসে যাচ্ছিল। এগুলো ছিল সবুজ পান্নার মতো দেখতে। কোনো মানুষ বা পশুপাখির দেখা মিলছিল না—চারদিকে শুধু বরফ আর বরফ। বরফ ফাটার ভয়ংকর গর্জন শোনা যাচ্ছিল।

এমন সময় হঠাৎ কুয়াশার ভেতর দিয়ে একটি বিশাল আলবাট্রস পাখি উড়ে আসে। পাখিটিকে দেখে সবাই খুব খুশি হয়, মনে হয় যেন এটি কোনো ধর্মীয় শুভ সংকেত। তাই নাবিকেরা ঈশ্বরের নামে পাখিটিকে অভিবাদন জানায়। আলবাট্রসটি তাদের সাথেই থাকে, জাহাজের চারপাশে ঘুরে এবং তাদের দেয়া খাবার খায়। তারপর বরফ ফেটে পথ তৈরি হয়ে যায় ও জাহাজটি নিরাপদে এগিয়ে যেতে থাকে। পেছন দিক থেকে দমকা দক্ষিণা বাতাস বইতে শুরু করে, যা জাহাজের চলা সহজ করে দেয়। প্রতিদিন আলবাট্রসটি নাবিকদের ডাকে সাড়া দিয়ে কাছে আসত। পাখিটি নয়দিন ধরে জাহাজের সাথে সাথে ছিল। কিন্তু হঠাৎ করেই, কোনো কারণ ছাড়াই, মেরিনার তার তীর-ধনুক দিয়ে সেই আলবাট্রসটিকে মেরে ফেলে।

এই কাজটি খুব ভয়ংকর ছিল এবং সবাই হতভম্ব হয়ে যায়। এটি ছিল সেই বৃদ্ধ মেরিনারের এক ভয়ংকর অপরাধ। সে পৃকৃতির এক নিরপরাধ প্রাণিকে এবং ঈশ্বরের সৃষ্টিকে তুচ্ছ মনে করেছে ও অন্যায় ভাবে তাকে হত্যা করেছে। ফলে ঈশ্বরের ক্ষোভ তার উপর পতিত হবে।

Part Two

সূর্য এখন জাহাজের ডান দিক থেকে উঠছিল এবং বাম দিকে সমুদ্রে ডুবে যাচ্ছিল (অর্থাৎ তারা এখন উত্তরে যাচ্ছিল)। পেছন থেকে দক্ষিণের সুন্দর বাতাস এখনও বইছিল। কিন্তু সেই মঙ্গলময় আলবাট্রস পাখি আর ফিরে আসেনি। আর কোনোদিন নাবিকদের ডাকে সাড়া দিয়ে সে আসেনি।

এরপর মেরিনার বুঝতে পারল যে সে ভয়ঙ্কর এক কাজ করে ফেলেছে। জাহাজের সবাই মনে করল যে এই মেরিনার আলবাট্রস পাখিটিকে হত্যা করে দুঃখ আর দুর্ভাগ্য ডেকে এনেছে। কারণ এই পাখিটিই তো তাদের জন্য সৌভাগ্য ডেকে এনেছিল। সবাই তাকে দোষারোপ করল। এরপর মাথার উপরে চমৎকার সূর্য উঠল। তখন নাবিকেরা তাদের মত পাল্টে বলল—আলবাট্রসকে মেরে মেরিনার সঠিক কাজই করেছে। কারণ সেই পাখিই কুয়াশা আর ঠান্ডা এনেছিল। তাই এমন পাখি মারাই উচিত হয়েছে।

শুরুতে জাহাজ সুন্দরভাবে এগোচ্ছিল। সুন্দর বাতাস প্রবাহিত হচ্ছিল। এরপর তারা সুনসান নীরব সুমদ্রে প্রবেশ করে (তারাই প্রথম এত নীরব সমুদ্রে পৌঁছেছিল)। কিন্তু এবার হঠাৎ করে বাতাস থেমে গেল। চারপাশে ভয়াবহ নীরবতা। শুধু তাদের কথার শব্দ ছাড়া চারপাশে আর কোনো শব্দ ছিল না। এক অসহ্য নীরবতা। প্রচন্ড গরম পড়েছিল এবং আকাশ তামাটে বর্ণ ধারণ করেছিল। সূর্য ঠিক মাথার উপরে দাঁড়িয়ে ছিল। দিনের পর দিন, দিনের পর দিন, জাহাজ এক জায়গায় স্থির হয়ে রইল—না কোনো বাতাস, না কোনো গতি। যেন একটা ছবিতে আঁকা জাহাজ ছবিতে আঁকা সমুদ্রে থেমে আছে। চারদিকে শুধু পানি আর পানি—তবুও একফোঁটা পান করার মতো পানি নেই (সমুদ্রের লবণাক্ত পানি পান করা যায় না)—“Water, water, every where,/Nor any drop to drink.” জাহাজের পাটাতন শুকিয়ে উঠেছিল। বিশাল এই গভীর সমুদ্র পচে গিয়েছিল। ভয়ংকর সাপ-বিচ্চুর মত প্রাণীরা কিলবিল করছিল পচে যাওয়া সমুদ্রে।

রাতে চারপাশে ভয়ানক আগুনের মত বর্ণ হয়েছিল। সুমদ্রের পানি বিষাক্ত সবুজ, নীল আর সাদা বিভিন্ন বর্ণের মনে হচ্ছিল। এরপর কিছু নাবিক স্বপ্নে দেখল যে কোনো আত্মা বা ভুতুড়ে শক্তি তাদের পেছন পেছন ধাওয়া করে আসছে সেই তুষার আচ্ছন্ন ও কুয়াশায় ঢাকা এলাকা থেকে। এই আত্মাই তাদের শাস্তি দিচ্ছে। তৃষ্ণায় সবার জিভ এত শুকিয়ে গিয়েছিল যে কেউ কথা বলতেও পারছিল না। সব নাবিকেরা এখন মেরিনারের দিকে ঘৃণাভরে তাকাচ্ছিল। অবশেষে তারা মৃত আলবাট্রসটিকে শাস্তিস্বরুপ তার গলায় ঝুলিয়ে দিল।

Part Three

এই অংশে মেরিনার তার ভয়াবহ অভিজ্ঞতার সবচেয়ে গা-ছমছমে অধ্যায় বর্ণনা করেন। জাহাজটি স্থির হয়ে আছে, বাতাস নেই, পানি পান করার উপায় নেই, এবং সকলেই তৃষ্ণায় কাতর। তাদের গলা শুকিয়ে কাঠ, ঠোঁট পুড়ে গেছে, চোখ কাঁচের মতো নিস্প্রভ—এক প্রকার জীবন্ত মৃত্যু চলছে। 

এই মৃত্যু-নিঃশব্দতায় হঠাৎ বৃদ্ধ মেরিনার পশ্চিমে একটি ছোট বিন্দুর মত কিছু দেখতে পায়। যা ধীরে ধীরে কুয়াশার মতো আকার নেয় এবং শেষে এক অদ্ভুত আকৃতি ধারণ করে। এটি ধীরে ধীরে বড় হচ্ছিল, অর্থাৎ নিকটে আসছিল। বৃদ্ধ মেরিনার চিৎকার করে কথা বলার চেষ্টা করে, কিন্তু পিপাসায় তার গলা দিয়ে কথা বের হয় না। তখন সে তার বাহুতে কামড় দিয়ে তার রক্ত দিয়ে গলা ভেজায়। সে চিৎকার করে সবাইকে ডেকে বলে—“A sail! a sail!”—একটি জাহাজ! একটি জাহাজ! মেরিনার দেখলো যে এই জাহাজটি ঢেউ বা বাতাস ছাড়াই সোজা তাদের দিকে এগিয়ে আসছে।

জাহাজটি যখন আরও কাছে আসে, তখন মেরিনার দেখে যে এটি একটি ভুতুরে কঙ্কালের মত জাহাজ। জাহাজটির কাঠামো ছিল কঙ্কালের মত। সূর্য ডুবতে শুরু করেছিল এবং সূর্যের আলো জাহাজের কাঠামোর ভেতর দিয়ে উঁকি দিচ্ছিল। মেরিনার খুব ভয় পেয়ে গেল। সে লক্ষ্য করল, সেই জাহাজের পালগুলো ছেঁড়া আর মাকড়সার জালের মতো। সেই ভৌতিক জাহাজের যাত্রী ছিল দু’জন—DEATH এবং LIFE-IN-DEATH. অর্থাৎ মৃত্যু এবং জীবন্ত-লাশ (বেঁচে থেকেও যেন মৃতের মত)। LIFE-IN-DEATH ছিল একজন নারী। এই নারীটি ছিল ভয়ংকর। তার ঠোঁট ছিল লাল, সোলালি রঙের চুল ছেড়ে দেয়া ছিল। তার শরীর ছিল কুষ্ঠ রোগীর মত ফ্যাকাশে সাদা। এই নারী পুরুষদের রক্ত হীম করে দিতে পারতো, এমন ভয়ংকর ছিল। এরপর “লাইফ-ইন-ডেথ” ও “ডেথ” পাশা/জুয়া খেলে। এই জুয়া খেলার মাধ্যমে বৃদ্ধ মেরিনারের ভাগ্য নির্ধারণ হয়ে যায়। লাইফ-ইন-ডেথ মেরিনারকে জিতে নেয় এবং তিনবার শিস দেয়।

সুতরাং, বাকি নাবিকদের ভাগ্যে “Death” বা মৃত্যু নির্ধারিত হয়ে যায়। আর মেরিনারের ভাগ্যে থাকে “লাইফ-ইন-ডেথ,” সুতরাং মেরিনার এখন না মরেও মৃত্যুর মত যন্ত্রনা ভোগ করবে।

এরপর সূর্য অস্ত যায়, আকাশে তারা উঠতে থাকে, এবং ভূতুড়ে জাহাজটি এক ফিসফিস শব্দ তুলে অদৃশ্য হয়ে যায়। মেরিনার এবং তার নাবিকেরা স্তব্ধ হয়ে তাকিয়ে থাকে। কিছুক্ষণ পর চাঁদ উঠল, এবং তার নিচের দিকে ছিল একটি উজ্জ্বল তারা। তারপর, একে একে সব নাবিকরা হঠাৎ ডেকের উপর পড়ে মারা যেতে লাগল। তারা শেষবারের মত মেরিনারের দিকে অভিশাপের দৃষ্টিতে তাকলো, তারপর নিস্তব্ধভাবে মাটিতে পড়ে গেল। মোট ২০০ নাবিক মারা গেল। তাদের আত্মা শরীর ছেড়ে বেরিয়ে মেরিনারের পাশ দিয়ে দ্রুত উড়ে যেতে লাগলো।

এই অংশে কবি প্রকৃতির প্রতিশোধ, অতিপ্রাকৃতের ভয়াবহতা, এবং পাপের পরিণাম অত্যন্ত শক্তিশালী ভাষায় ফুটিয়ে তুলেছেন। মেরিনার তার পাপের জন্য ভয়ংকর শাস্তি পাচ্ছে। এখানে “Life-in-Death” চরিত্রটি এক অসামান্য কল্পনার সৃষ্টি, যেটি রোমান্টিক সাহিত্যের গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য।

Part Four

এই অংশে সেই বিয়ের অতিথি বৃদ্ধ মেরিনারকে দেখে ভয় পেয়ে যায়। তার শুকনো কঙ্কালসার চেহারা, বাদামি গায়ের রং এবং জ্বলজ্বলে চোখ দেখে সে আতঙ্কিত হয়ে ওঠে। সে বলে, “I fear thee and thy glittering eye,/And thy skinny hand, so brown.”—এ যেন জীবন্ত কোনো অভিশাপ।

কিন্তু মেরিনার আশ্বস্ত করে বলে—“ভয় পেয়ো না, আমি মরিনি।” —”Fear not, fear not, thou Wedding-Guest!/This body dropt not down.”—এই কথার পর সে বলতে শুরু করে কীভাবে সে একা সমুদ্রে ভেসে ছিল—চারদিকে শুধুই পানি, কিন্তু তার চারপাশের সবাই মৃত। এমনকি কোনো “saint” বা সাধুও তার আত্মার জন্য করুণা করেনি।

তার চারপাশে ছিল অসংখ্য নাবিকের মৃতদেহ, এবং সেইসঙ্গে ছিল হাজার হাজার সাপ-বিচ্চুর মত কিলবলে প্রাণী। মেরিনার জানায় যে, সে মৃত দেহ ও পঁচা সমুদ্রের দিকে তাকায়, ও চোখ ফিরিয়ে নেয়। সে প্রার্থনা করতে চায়, কিন্তু তার মুখে কোনো প্রার্থনা আসে না। বরং তার মুখ দিয়ে খারাপ কিছু ফিসফিস করে বের হয়, এবং তার হৃদয় শুষ্ক হয়ে যায়। এটি বোঝায়, ঈশ্বরের সঙ্গে তার সম্পর্ক ছিন্ন হয়ে গেছে—প্রকৃতির বিরুদ্ধে তার পাপ তার আত্মাকে মৃত করে দিয়েছে।

সে চোখ শক্ত করে বন্ধ করলো, কারণ মৃত আকাশ, মৃত সমুদ্র এবং মৃতদেহগুলোর দৃশ্য সহ্য করা তার পক্ষে অসম্ভব হয়ে পড়েছিল। মৃত নাবিকদের চোখের সেই অভিশাপ-ভরা দৃষ্টি এখনও তার দিকে তাকিয়ে আছে—যেন চোখের ভিতরেই ঘৃণা গেঁথে আছে। সে বলে, “একটি অনাথ শিশুর অভিশাপ কোনো ভাল ব্যাক্তির আত্মাকে নরকে টেনে নিতে পারে, কিন্তু মৃত মানুষের চোখের অভিশাপ তার চেয়েও ভয়ঙ্কর।”

সাত দিন ও সাত রাত ধরে সে সেই অভিশপ্ত দৃষ্টির ভার বহন করেছে। তবুও তার মৃত্যু ঘটেনি। এই সময়, ধীরে ধীরে চাঁদ আকাশে উঠলো, আর তার সাথে দু’একটি তারা জ্বলছিল। চাঁদের আলো সাগরের ওপর ছড়িয়ে পড়েছিল। সমুদ্রকে মনে হচ্ছিল যেন এপ্রিলের শিশিরে ঢাকা মাঠ। কিন্তু যেখানে জাহাজের ছায়া পড়েছিল, সেখানে পানির রঙ ভয়ঙ্কর লাল রয়ে গিয়েছিল। সে পানির মধ্যে সাপের মতো প্রাণীগুলোকে দেখলো—তারা পানির মধ্যে চকচক করছিল। সে এই সাপদের বৈচিত্র্যময় সৌন্দর্য লক্ষ্য করলো। সাপগুলো ছিল উজ্জ্বল নীল, চকচকে সবুজ আর মখমলের মতো কালো রঙের। তারা পানির মধ্যে এঁকেবেঁকে সাঁতার কাটছিল। তাদের চলার পথে যেন সোনালী আগুনের ঝিলিক ছড়িয়ে পড়ছিল।

হঠাৎ, নাবিকের হৃদয় এই জীবন্ত প্রাণীদের জন্য ভালোবাসায় ভরে উঠলো। সে নিজের অজান্তেই তাদের আশীর্বাদ করলো। সে বললো—“O happy living things! no tongue/Their beauty might declare:”—“ও সুখি প্রাণবন্ত প্রাণীরা, কেউই তোমাদের সৌন্দর্য বর্ণনা করে শেষ করতে পারবে না”। ঠিক সেই মুহূর্তে, মনে হলো কোনো দয়ালু সাধু তার ওপর করুণা করেছেন। সে প্রথমবারের মতো প্রার্থনা করতে সক্ষম হলো। আর তখনই তার গলায় ঝুলে থাকা অভিশাপের প্রতীক সেই বিশাল আলবাট্রস পাখিটি খসে পড়ে সমুদ্রের গভীরে ডুবে গেল।

এই অংশে বৃদ্ধ মেরিনারের পাপমুক্তি শুরু হয়। তার “spiritual awakening” বা আত্মার জাগরণ শুরু হয়। প্রকৃতির নিষ্পাপ প্রাণি ও ঈশ্বরের সৃষ্টি আলবাট্রস পাখিকে (তুচ্ছ মনে করা বা) হত্যা করার ফলে তার শাস্তি শুরু হয়েছিল। আবার প্রকৃতির অংশ ও ঈশ্বরের সৃষ্টি সাপগুলোর সৌন্দর্য উপলব্ধি করার পরেই তার পাপমুক্তি শুরু হলো। প্রকৃতিকে ভালোবাসতে শেখার পরেই তার পাপমুক্তি শুরু হলো। Romantic যুগের সাহিত্যধারায় এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়—প্রকৃতির প্রতি ভালোবাসাই আত্মার পরিশুদ্ধি ঘটায়।

Part Five

এই অংশে মেরিনারের পাপমুক্তি শুরু হয়। সে ঘুমিয়ে পড়ে, আর সেই ঘুম যেন স্বর্গ থেকে প্রেরিত এক আশীর্বাদ—সে এই ঘুমের জন্য ধন্যবাদ জানায় মেরি কুইনকে। এই ঘুম তাকে শান্তি দেয়, এবং ঘুমের মধ্যেই সে দেখে জাহাজের পানির বালতিগুলো ভরে উঠেছে শিশিরে। ঘুম থেকে জেগে উঠে দেখে সত্যি সত্যি বৃষ্টি হচ্ছে। তার ঠোঁট ভিজে গেছে, গলা ঠান্ডা, কাপড় স্যাঁতসেঁতে। মনে হচ্ছিল যেন সে স্বপ্নে বৃষ্টির পানি পান করেছে, আর জেগে উঠে এখনো তার দেহ সেই পানি পান করছে।

এরপর এক নতুন ধরনের প্রাকৃতিক দৃশ্যের অবতারণা ঘটে। জাহাজের উপরে ঝড়ো বাতাসের শব্দ শোনা যায়, যদিও তা কাছে আসে না। আকাশের কালো মেঘ চিরে বিজলি নামে, বৃষ্টি ঝরতে থাকে, চাঁদ তার পাশে থাকে—এইসব মিলে সৃষ্টি হয় এক রহস্যময় ও অলৌকিক পরিবেশ।

অদ্ভুতভাবে, যদিও হাওয়া জাহাজের পালে লাগছে না, তবুও জাহাজ চলতে শুরু করল। চাঁদের আলো আর বিদ্যুতের মাঝে মৃত নাবিকেরা গোঙানির শব্দ করল। তারা গোঙাতে গোঙাতে উঠে দাঁড়াল, কিন্তু তাদের চোখে কোনো প্রাণ ছিল না। এমন ভয়ানক দৃশ্য স্বপ্নেও দেখলে গা শিউড়ে উঠত। নাবিকেরা দড়ি টানতে লাগল, ঠিক আগের মতো, কিন্তু তারা ছিল যেন প্রাণহীন মেশিনের মতো।

বিয়ের সেই অতিথি ভয়ে চিৎকার করে ওঠে। কিন্তু মেরিনার তাকে শান্ত করে বলে, এই মৃতদেহগুলোর মধ্যে আসলে পূর্বের আত্মাগুলো ফিরে আসেনি, বরং এরা ছিল “blessed spirits”—আশীর্বাদপ্রাপ্ত আত্মা। এই আত্মাগুলোকে ঈশ্বরের পক্ষ থেকে পাঠানো হয়েছিল তার পাপমোচনে সাহায্য করতে। ভোর হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে এই আত্মারা মাস্তুলের চারপাশে জড়ো হয় এবং তাদের মুখ দিয়ে মধুর সঙ্গীত বের হতে থাকে। এরপর আত্মারা নাবিকদের দেহ ছেড়ে উড়তে উড়তে উপড়ে উঠে যায়। আবার ধীরে ধীরে ফিরে আসে, কখনো মিশ্রিত সুরে, কখনো আলাদা আলাদা সুরে। মেরিনার শুনতে পায়, কখনো মনে হচ্ছিল আকাশের লার্ক পাখির গান, কখনো অনেক ছোট ছোট পাখির মিষ্টি কলরব। কখনো মনে হচ্ছিল সব বাদ্যযন্ত্র একসঙ্গে বাজছে, কখনো মনে হচ্ছিল একটি বাঁশির মতো, আবার কখনো মনে হচ্ছিল যেন স্বর্গদূতের গান, যার সৌন্দর্যে চারদিক নিস্তব্ধ হয়ে যায়।

বাতাস ছাড়াই জাহাজ এগিয়ে চলে। এই শান্ত যাত্রা চলে দুপুর পর্যন্ত। পরে মেরিনার বুঝতে পারে যে, জাহাজ চালাচ্ছে সেই অতিপ্রাকৃত আত্মা। এই আত্মা তাদেরকে সেই তুষার আচ্ছন্ন ও কুয়াশাঘেরা এলাকা থেকে অনুসরণ করছিল। দুপুরে হঠাৎ করে সেই সংগীত থেমে যায় এবং জাহাজ থেমে যায়।

সূর্য একেবারে মাস্তুলের ওপরে ছিল, আর মনে হচ্ছিল জাহাজটা সমুদ্রের সাথে আটকে গেছে। হঠাৎ করে জাহাজ নড়াচড়া শুরু করল, অস্থিরভাবে সামান্য সামনে-পেছনে দুলছিল। তারপর হঠাৎ করে একটি বড় ঝাঁকুনি দিল, ফলে মেরিনার অজ্ঞান হয়ে পড়ে গেল। সে কতক্ষণ অজ্ঞান ছিল তা সে জানে না। তবে তার চেতনা ফেরার আগে সে আকাশ থেকে দুটি কণ্ঠস্বর শুনতে পায়। একটি কণ্ঠস্বর বলছিল, “এ কি সেই লোক, যে নিষ্পাপ আলবাট্রস পাখিটিকে তীর দিয়ে হত্যা করেছিল?” আলবাট্রস পাখিকে তুষার ও কুয়াশার দেশের এক আত্মা ভালোবাসত। অন্য একটি মধুর কণ্ঠস্বর বলল, “এই মানুষটি কিছু পাপের শাস্তি (penance) পেয়েছে, তবে তাকে আরও শাস্তি পেতে হবে।”

Part Six

এই অংশটি শুরু হয় দুইটি অতিপ্রাকৃত আত্মার কথোপকথন দিয়ে—যাদের বলা হয় First Voice এবং Second Voice। তারা আলোচনা করছে, কেন জাহাজ এত দ্রুত চলছে যখন না আছে বাতাস, না ঢেউ। Second Voice ব্যাখ্যা করে, সমুদ্র এখন চাঁদের নির্দেশনায় চলছে। চাঁদের সাহায্য সমুদ্র জাহাজটিকে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। তারা বলে, মেরিনার এখন অবচেতন অবস্থায় আছে, কিন্তু যখন তার ঘোর কেটে যাবে, তখন জাহাজ ধীরে চলবে। তারা দ্রুত চলে যেতে চায়, কারণ সময় ফুরিয়ে আসছে।

এরপর মেরিনার জেগে ওঠে। তখন রাত, আকাশ শান্ত, চাঁদ উঁচুতে জ্বলছে। সমস্ত মৃত নাবিকরা এখনও জাহাজে দাঁড়িয়ে আছে। তাদের চোখে এখনও সেই অভিশাপ—তারা মরে যাওয়ার সময় যে ঘৃণা নিয়ে তাকিয়েছিল, তা মুছে যায়নি। মেরিনার চাইলেও তাদের চোখ থেকে নিজের দৃষ্টি সরাতে পারে না, এমনকি প্রার্থনাও করতে পারে না।

হঠাৎ এই অভিশাপের শক্তি ভেঙে যায়। মেরিনার এখন আবার সমুদ্রের দিকে তাকাতে পারে। কিন্তু এই মুক্তির অনুভূতির সঙ্গে সঙ্গে তার মনে হয়, সে যেন এক নির্জন পথে হাঁটছে আর পেছনে কোনো ভয়ংকর দানব তাকে অনুসরণ করছে—তাই সে আর পেছনে ফিরে তাকায় না।

এরপর এক আশ্চর্য ঘটনা ঘটে—একটি বাতাস তাকে ছুঁয়ে যায়। এই বাতাসের কোনো আওয়াজ নেই, ঢেউও তোলে না, কিন্তু তার গালে অনুভব হয় এক বসন্তের প্রান্তরের হাওয়ার মতো। এটি তার মনে ভয় এবং আনন্দ—দুই মিশ্র অনুভূতি আনে। কিন্তু সে বুঝতে পারে, এটি স্বাগত জানানোর মতো অনুভূতি।

জাহাজ দ্রুত ছুটতে থাকে, কিন্তু খুব শান্তভাবে। এই বাতাস শুধুমাত্র মেরিনারকে ছুঁয়ে যায়। সে দূর থেকে দেখে, পাহাড়, গির্জা আর বাতিঘর—যা তার নিজের দেশ! সে ঈশ্বরকে ডেকে বলে, “আমাকে জাগিয়ে দাও, যদি এটা স্বপ্ন হয়!”—অথবা, যদি এটি স্বপ্নই হয়ে থাকে, তাহলে সে চিরকাল ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে এই স্বপ্নই দেখতে চায়। জাহাজ যখন বন্দরের কাছে পৌঁছায়, তখন সমস্ত কিছু—সমুদ্র, চাঁদের আলো, গির্জা, পাথর, আবহাওয়ার ঘূর্ণায়মান দিকচিহ্ন—সব যেন নিঃশব্দ ও আলোকিত মনে হয়। এই নিস্তব্ধতায় এক অদ্ভুত মায়া তৈরি হয়।

এরপর হঠাৎ মেরিনার জাহাজের ডেকের দিকে তাকিয়ে দেখে, প্রতিটি মৃতদেহের উপরে একটি আলোকোজ্জ্বল মানবসদৃশ সত্তা দাঁড়িয়ে আছে—এরা হলো seraph, স্বর্গীয় আত্মারা। প্রতিটি আলোকজ্জ্বল seraph তাদের হাত নাড়াচ্ছে, মনে হচ্ছে যেন তারা হাত নাড়িয়ে ভূমিতে সংকেত দিচ্ছে।

এই স্বর্গীয় আত্মারা কোনো শব্দ করে না, কিন্তু সেই নীরবতাই মেরিনারের মনে সংগীতের মতো মধুর মনে হয়। হঠাৎ মেরিনার বৈঠার শব্দ শুনতে পায়। আর নৌকার মাঝির আনন্দের শব্দ শুনতে পায়। সে জোর করে তার মুখ ঘুরিয়ে দেখে একটি ছোট নৌকা আসছে। সেই নৌকায় রয়েছে Pilot (মাঝি), Pilot’s Boy (মাঝির সহকারি) এবং আরেকজন—The Hermit, এক সাধু ব্যক্তি। এই সাধু গানের মাধ্যমে ঈশ্বরের প্রশংসা করছেন। মেরিনার বুঝতে পারে, এই Hermit-ই তাকে ক্ষমা করতে পারবেন—তার আত্মার পরিত্রাণ ঘটাতে পারবেন, এবং তার হাত থেকে সেই অলবাট্রসের রক্ত ধুয়ে দিতে পারবেন।

এখন মেরিনার তার আত্মার মুক্তির পথে ধীরে ধীরে অগ্রসর হচ্ছে। আলবাট্রস হত্যার প্রায়শ্চিত্ত তাকে এই পর্যন্ত নিয়ে এসেছে, কিন্তু এখনও সে পুরোপুরি মুক্ত নয়—তবে তার দিক নির্দেশনা এখন স্বর্গ থেকে আসছে, যা তাকে প্রায়শ্চিত্ত ও ক্ষমার দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। এই অংশে কবি প্রকৃতির রহস্য, চাঁদের প্রভাব, অতিপ্রাকৃত শক্তি এবং মুক্তির পথ খুবই আবেগময় ও ভাবগম্ভীরভাবে তুলে ধরেছেন।

Part Seven

এই অংশে মেরিনার তার গল্পের শেষ অধ্যায়ে পৌঁছেছে। সেই Hermit বা সাধু ব্যক্তি সমুদ্রের ধারের জঙ্গলে বাস করেন। তিনি দূরদেশ থেকে আসা নাবিকদের সঙ্গে কথা বলতে ভালোবাসেন। তিনি দিনে তিনবার প্রার্থনা করেন। তিনি প্রকৃতির সঙ্গে গভীর সম্পর্কযুক্ত এক ধর্মভীরু মানুষ।

ছোট  ঠেলা নৌকাটি মেরিনারের জাহাজের কাছে পৌঁছালে, Pilot, তার সহকারি, এবং Hermit তিনজনেই বিস্মিত হন। তারা আগে জাহাজ থেকে যেসব আলো দেখতে পাচ্ছিল, সেগুলো এখন নেই। জাহাজটি এতটাই জীর্ণশীর্ন ও পালগুলো মরা পাতার মতো যে—তা দেখে তারা ভীত হয়ে পড়ে। Hermit জাহাজের জীর্ণশীর্ন অবস্থা দেখতে পেলেও ভয় না পেয়ে এগিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দেন। নৌকাটি জাহাজের নিচে পৌঁছাতেই হঠাৎ একটা ভয়ংকর শব্দ হয়, যেন সমুদ্র আর আকাশ একসাথে কেঁপে ওঠে। মেরিনারের জাহাজ সঙ্গে সঙ্গে ডুবে যায়—লোহার টুকরোর মতো একেবারে তলিয়ে যায়। মেরিনার জ্ঞান হারিয়ে ভেসে ওঠে, যেন সাত দিন ধরে ডুবে থাকা এক মৃতদেহ। কিন্তু হঠাৎ সে নিজেকে Pilot-এর নৌকায় আবিষ্কার করে।

নৌকাটি জাহাজ ডোবার স্থানে ঘূর্ণায়মান হতে থাকে। চারদিক নিঃস্তব্ধ, শুধু পাহাড়ের প্রতিধ্বনি শোনা যায়। মেরিনার যখন কথা বলার চেষ্টা করে, তখন Pilot ভয়ে চিৎকার করে অজ্ঞান হয়ে যায়। Hermit মেরিনারের এই অবস্থা দেখে প্রার্থনা করতে থাকে। এদিকে Pilot’s Boy পাগলের মতো হাসতে থাকে। সে বলে—“চোখের সামনে দেখতে পাচ্ছি, শয়তানও আজকাল জাহাজ চালায়।”

মেরিনার এবার নিজ দেশে পৌঁছায়—স্থলভূমিতে পা রাখে। Hermit নৌকা থেকে নেমে এসে কাঁপতে থাকেন। তখন মেরিনার তাকে অনুনয় করে বলে, “আমার পাপ মুক্ত করো!” Hermit তার কপালে ক্রুশ স্পর্স করায় এবং জিজ্ঞেস করে—“তুমি কী ধরনের মানুষ?” এই প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে মেরিনার এক অসহ্য যন্ত্রনা অনুভব করে। এই যন্ত্রনা তাকে বাধ্য করে তার গল্প শোনাতে। গল্প বলার পরেই সে হালকা ও মুক্ত অনুভব করে।

মেরিনার জানায়, তখন থেকে নির্দিষ্ট কোনো সময়ে তার হৃদয়ে আবার সেই যন্ত্রণা ফিরে আসে—আর যতক্ষণ না সে তার “ভয়ংকর গল্প” কাউকে বলে, ততক্ষণ তার অন্তর আগুনের মতো জ্বলতে থাকে। তখন সে পৃথিবী জুড়ে ঘুরে বেড়ায়, রাতের ছায়ার মতো হয়ে, এবং যার মুখ দেখে বুঝতে পারে, কে এই গল্প শুনবে—সেই মানুষকেই সে গল্প বলে।

এদিকে বিয়ের অনুষ্ঠানের শব্দ ভেসে আসছে। বাইরে অতিথিরা আনন্দ করছে, বিয়ের ঘণ্টা বাজছে, কনে আর তার সাথিরা গান করছে। কিন্তু মেরিনার জানায়, তার জন্য এইসব আনন্দের চেয়ে অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ হলো ঈশ্বরের উদ্দেশে প্রার্থনা করা—যেখানে সবাই একসাথে গির্জায় গিয়ে প্রার্থনা করে। শেষে, মেরিনার সেই বিয়ের অথিকে বিদায় দেয় এই শেষ কথাগুলো বলে—

Farewell, farewell! but this I tell

To thee, thou Wedding-Guest!

He prayeth well, who loveth well

Both man and bird and beast.

He prayeth best, who loveth best

All things both great and small;

For the dear God who loveth us,

He made and loveth all.

এই লাইনগুলো হলো পুরো কবিতার মূল নৈতিক শিক্ষা: প্রকৃত প্রার্থনা আসে সেই হৃদয় থেকে, যেখানে সমস্ত সৃষ্টির প্রতি ভালোবাসা ও শ্রদ্ধা থাকে—মানুষ, পশু-পাখি, ছোট-বড় সবকিছুর প্রতি। ঈশ্বর যেহেতু আমাদের ভালোবাসেন এবং সব সৃষ্টি করেছেন, তাই আমরা যখন তার সৃষ্টি ভালোবাসি, তখনই আমরা ঈশ্বরকে সত্যিকারের সম্মান জানাই।

মেরিনার চলে যায়—তার চোখ এখনো উজ্জ্বল, তার দাড়ি সাদা। বিয়ের অতিথি একা দাঁড়িয়ে থাকে। সে আর বিয়েতে যোগ দেয় না। সে যেন কোনো ভয়ঙ্কর আঘাতে স্তব্ধ হয়ে গেছে আর তার সমস্ত বোধশক্তি হারিয়ে ফেলেছে। এরপর থেকে সে গম্ভীর/দুঃখী ও জ্ঞানী মানুষ হয়ে যায়।

Themes

Crime, Punishment, and Repentance: The Mariner’s story is about sin, punishment, and repentance. When he kills the Albatross, he sins against both nature and God. He did not value the bird’s beauty and killed it for no reason. Because of this, he faces terrible punishments — thirst, hunger, loneliness, and the death of his crew. Only when he learns to love and respect nature does his suffering end. However, he is not fully forgiven. He must keep telling his story to people who need to hear it, or he will feel great pain. It seems he is cursed to live forever. He is cursed to share his story always.

অপরাধ, শাস্তি ও অনুশোচনা: মেরিনারের গল্পটি পাপ, শাস্তি এবং অনুশোচনা সম্পর্কে। যখন সে আলবাট্রস পাখিটিকে হত্যা করে, তখন সে প্রকৃতি ও ঈশ্বর—দুজনের বিরুদ্ধে পাপ করে। সে পাখির সৌন্দর্যকে মূল্য দেয়নি এবং কোনো কারণ ছাড়াই তাকে মেরে ফেলে। এর ফলে মেরিনার ভয়ংকর শাস্তির মুখোমুখি হয় — তীব্র তৃষ্ণা, অনাহার, একাকীত্ব এবং তার নাবিক সঙ্গীদের মৃত্যু।  যখন সে প্রকৃতিকে ভালোবাসতে ও সম্মান করতে শেখে শুধুমাত্র তখনই তার যন্ত্রণা শেষ হয়। তবে, সে পুরোপুরি ক্ষমা পায় না। তাকে বারবার তার এই গল্প বলতে হয় সেইসব মানুষদের, যাদের এই শিক্ষা প্রয়োজন। যদি না বলে, তবে সে আবার ভয়ানক কষ্টে ভোগে। মনে হয়, সে চিরকাল বেঁচে থাকার জন্য অভিশপ্ত হয়েছে, এবং সে চিরকাল তার এই গল্প বলে যেতে বাধ্য।

Natural and Spiritual: Coleridge’s poem shows how nature and the spirit are connected. During the Romantic period, writers like Coleridge believed that emotions and nature were more important than reason and machines. In the poem, the Mariner kills an Albatross, trying to show power over nature. But nature is shown as very powerful, and stronger than humans. Nature is also part of the spiritual world because it is created by God. So, hurting nature is like hurting God. Because of his sin, the Mariner faces supernatural punishments. Only when he starts loving and respecting nature does his suffering end. The poem teaches that we must value nature not only for its beauty but also because it connects us to God.

প্রকৃতি এবং আধ্যাত্মিকতা: কোলরিজের কবিতায় দেখা যায় কীভাবে প্রকৃতি এবং আধ্যাতিক জগৎ একে অপরের সাথে যুক্ত। রোমান্টিক যুগের কবিরা মনে করতেন, অনুভূতি ও প্রকৃতি যুক্তির বা প্রমাণের চেয়ে অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। কবিতায়, মেরিনার আলবাট্রস পাখিটিকে মেরে প্রকৃতির উপর নিজের শক্তি দেখাতে চেয়েছিল। কিন্তু এখানে প্রকৃতিকে দেখানো হয়েছে মানুষের চেয়ে অনেক বেশি শক্তিশালী হিসেবে। প্রকৃতিও আধ্যাত্মিক জগতের একটি অংশ, কারণ এটি ঈশ্বরের সৃষ্টি। তাই প্রকৃতিকে আঘাত করা মানে ঈশ্বরকেই আঘাত করা। এই পাপের জন্য মেরিনারকে অতিপ্রাকৃত (অলৌকিক) শাস্তি ভোগ করতে হয়। শুধুমাত্র যখন সে প্রকৃতিকে ভালোবাসতে ও সম্মান করতে শেখে, তখনই তার কষ্টের অবসান ঘটে। কবিতাটি আমাদের শিক্ষা দেয় যে, শুধুমাত্র প্রকৃতির সৌন্দর্যের জন্যই নয়, বরং ঈশ্বরের সাথে আমাদের সম্পর্কের জন্যও প্রকৃতিকে মূল্য দিতে হবে।

Symbols

Albatross: In the poem, the Albatross is a very important symbol. The Albatross stands for the beauty and power of nature. At first, sailors think it brings good luck, especially when the wind starts blowing after it arrives. The bird seems both real and magical. The bird is a link between nature and the spirit world. When the Mariner kills the bird, it becomes a symbol of sin and also reminds people of Christ, because the innocent bird is killed unfairly.

আলবাট্রস: কবিতায়, আলবাট্রস একটি খুব গুরুত্বপূর্ণ প্রতীক। এটি প্রকৃতির সৌন্দর্য এবং শক্তির প্রতীক। শুরুতে নাবিকরা মনে করেছিল যে আলবাট্রস শুভ লক্ষণ, বিশেষ করে যখন পাখিটি আসার পর বাতাস বইতে শুরু করে। পাখিটি একদিকে বাস্তব, আবার অন্যদিকে জাদুকরী মনে হয়। আলবাট্রস প্রকৃতি এবং আধ্যাত্মিক জগতের মধ্যে এক ধরনের সংযোগ স্থাপন করে। যখন ম্যারিনার পাখিটিকে হত্যা করে, তখন এটি পাপের প্রতীকে পরিণত হয় এবং নির্দোষ আলবাট্রসের মৃত্যুকে যীশু খ্রিস্টের (Jesus Christ) সঙ্গে তুলনা করা হয় — কারণ যীশু খ্রিস্টের মতোই পাখিটিকেও অন্যায়ভাবে হত্যা করা হয়।

The Sun and Moon: The Sun and Moon show how nature, God, and life’s lessons are all connected. In the poem, the Sun and Moon show two different powers that affect the Mariner’s journey. The Sun is linked to heat, thirst, and the hard, painful parts of nature. The Moon stands for magic and God’s power over nature, like controlling the tides.

সূর্য এবং চাঁদ: সূর্য ও চাঁদ দেখায় কীভাবে প্রকৃতি, ঈশ্বর এবং জীবনের শিক্ষাগুলো একে অপরের সাথে যুক্ত। কবিতায়, সূর্য ও চাঁদ দুইটি ভিন্ন শক্তির প্রতীক, যা ম্যারিনারের যাত্রাকে প্রভাবিত করে। সূর্যের সাথে তাপ, তৃষ্ণা এবং প্রকৃতির কঠিন ও যন্ত্রণাদায়ক দিকগুলো যুক্ত। আর চাঁদ হলো জাদু এবং প্রকৃতির উপর ঈশ্বরের শক্তির প্রতীক, যেমন জোয়ার-ভাটার নিয়ন্ত্রণ।

Famous Quote: 

1. “Water, water, every where,

And all the boards did shrink;

Water, water, every where,

Nor any drop to drink.”

Explanation: This line describes the Mariner and his crew’s suffering on a vast ocean. They are surrounded by saltwater that is undrinkable. The repetition of “water” emphasizes the paradox of their situation—surrounded by water, yet unable to drink.

2. He holds him with his glittering eye—

The Wedding-Guest stood still,

And listens like a three years’ child:

The Mariner hath his will.”

Explanation: Here, the Ancient Mariner holds the wedding guest with his glittering eye to tell his story. It hints that there is something supernatural about this ancient-looking man. The wedding guest is angry at first, and he doesn’t want to listen to the mariner. But now, the wedding guest is spellbound. He must hear and learn from the Ancient Mariner’s story.

3. “Instead of the cross, the Albatross / About my neck was hung.”

Explanation: After the Mariner shoots the Albatross, the crew hangs the dead bird around his neck as a symbol of his sin. The comparison to the cross implies (বোঝানো) the Christian concept of sin and repentance (অনুতাপ). The Albatross becomes a burden for the Mariner.

4. “The Night-mare LIFE-IN-DEATH was she,

Who thicks man’s blood with cold.”

Explanation: This line introduces the supernatural character Life-in-Death. She is a terrifying figure. She “thicks man’s blood with cold”—suggests a chilling, unnatural existence where the Mariner is cursed to suffer without relief.

5. “Farewell, farewell! but this I tell

To thee, thou Wedding-Guest!

He prayeth well, who loveth well

Both man and bird and beast.”

Explanation: In the closing moments of the Mariner’s tale, he shares his lesson with the Wedding Guest. These lines capture the central moral of the poem: that true prayer comes from love and respect for all creatures, great and small.

6. “He prayeth best, who loveth best

All things both great and small;

For the dear God who loveth us,

He made and loveth all.”

Explanation: These lines also capture the central message of the poem. A religious/pious person loves all creatures of God, no matter how big or small. And God is the creator of all, and dear God loves all creatures.

7. “A sadder and a wiser man,

He rose the morrow morn.”

Explanation: These lines show that the Ancient Mariner’s story has a profound effect on the wedding guest. The wedding guest has learned from the story. He is now a pious and wise man. These closing lines of the poem also suggest we think about the Ancient Mariner’s story.

Shihabur Rahman
Shihabur Rahman
Hey, This is Shihabur Rahaman, B.A (Hons) & M.A in English from National University.

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

ফেসবুক পেইজ

কোর্স টপিক