Troilus and Criseyde Bangla
Key Facts:
- Writer: Geoffrey Chaucer (c. 1340-1400)
- Written Time: Mid-1380s
- Source: “Il Filostrato,” a narrative poem by the Italian poet Giovanni Boccaccio.
- Tone: Tragic
- Date of Publication: 1386
- Genre: Medieval romance, Epic poem, Tragedy, and Courtly Love literature.
- Lines: 8239
- Parts/ Books: 5
- Narrator: Pandarus (Maternal Uncle of Criseyde)
- Point of View: An omniscient third-person narrator
- Written style: The poem is written in rhyme royal, a seven-line stanza with a rhyme scheme of ABABBCC.
- Setting:
- Place Setting: Troy
- Time Setting: During the Trojan War
পটভূমি: জিওফ্রে চসার ১৩৮০ সালের দিকে লিখেছিলেন “ট্রয়লাস এবং ক্রিসেইড” গল্পটি। এটি বকাচ্চিওর (১৩১৩-৭৫) “ইল ফিলোস্ট্রাটো” নামের একটি পুরানো ইতালিয়ান কবিতার উপর ভিত্তি করে লেখা। গল্পটি গ্রীক পুরাণের বিখ্যাত ঘটনা, ট্রয় যুদ্ধের সময়ে ঘটে। ট্রয়লাস, ট্রয়ের একজন রাজপুত্র, ক্রিসাইডের প্রেমে পড়েন, যে একজন তরুণ বিধবা। তারা গভীর প্রেমে আবদ্ধ হয়, কিন্তু তাদের সুখ দীর্ঘস্থায়ী হয় না কারণ ক্রিসাইডকে গ্রিক শিবিরে পাঠানো হয়। সেখানে গিয়ে সে অন্য একজন পুরুষ, ডায়োমেডের প্রেমে পড়ে এবং ট্রয়লাসের সাথে প্রতারণা করে।
আরো পড়ুনঃ The Nun’s Priest’s Tale Bangla Summary (বাংলায়)
Plot Summary
Troilus এবং Criseyde পাঁচটি পৃথক বইতে বিভক্ত। প্রথম দুটিতে, লেখক ট্রয়লাসকে আবিষ্কার করেন এবং ট্রয়লাসকে ভালবাসার জন্য ক্রিসিডিকে প্ররোচিত করেন। তৃতীয় বইটিতে এই দম্পতি তাদের প্রেম উদযাপন করে। চতুর্থ বইতে, তাদের আলাদা করা হয়েছে। পঞ্চমটি আলাদা থাকাকালীন তাদের উভয়ের ভাগ্যের রূপরেখা দেয়।
ট্রোজান এবং ট্রয়লাস সম্পর্কে ধারনা: ঘটনাটি ঘটেছিল ট্রয় অবরোধের সময়ে। ক্যালচাস নামে একজন ট্রোজান soothsayer ভবিষ্যদ্বাণী করেন যে, ট্রয়ের শীঘ্রই পতন ঘটবে। তাই তিনি ভয়ে শহর ছেড়ে পালিয়ে যান। তার মেয়ে ক্রিসাইডকে ফেলেই তিনি গ্রিক ক্যাম্পে চলে যান এবং গ্রীকদের প্রতি তার আনুগত্য প্রকাশ করেন। ক্রিসাইডের বাবার এই পলায়নকে ট্রোজানরা ভালোভাবে দেখেনি এবং তার বাবার কাজের জন্য তাকে খুব ঘৃণা করা হয়েছিল। ট্রোজানরা ছিল দেবতা পূজারী। তাই যুদ্ধকালীন সময়েও তারা বিভিন্ন উৎসবের প্রতি কোনো উদাসীনতা দেখায়নি। এপ্রিল মাসে, যখন তৃণভূমি ফুলে পূর্ণ ছিল, তারা প্যালাডিয়াম বা প্যালাস এথেনার মন্দিরে একটি ভোজের আয়োজন করা হয়েছিল। এই কবিতার নায়ক ট্রয়লাস ছিলেন একজন তরুণ যোদ্ধা। কিন্তু প্রেমের ব্যাপারে তিনি ছিলেন উদাসীন। তিনি সবসময় প্রেমিকদের নিয়ে মজা করতেন। তাদের কষ্ট দেখে তার মজা লাগতো। প্রেমের দেবতা কিউপিড এটা পছন্দ করলেন না। তাই তিনি রেগে গেলেন।
ট্রয়লাসের সাথে ক্রিসাইড এর সাক্ষাৎ এবং প্রেম: উৎসবের দিনে সবার মতো প্যালেডিয়ামে গিয়েছিল ট্রয়লাস। সেখানে সে ক্যালচাসের সুন্দরী কন্যা ক্রিসাইডকে দেখতে পায়। সে তাকে প্রথম দর্শনেই পছন্দ করে ফেলে এবং তার প্রেমে পড়ে যায়। তার মনে হতে থাকে সে ক্রিসাইডকে ছাড়া বাঁচবে না। ক্রিসাইডের মামা পান্ডারাস ট্রয়লাসকে তার আগের প্রেম বিরোধী অবস্থানের জন্য অনুতপ্ত হতে বলে এবং প্রেমের দেবতার প্রতি অনুগত থাকার পরামর্শ দেয়। এবং তাকে ক্রিসাইডের কাছে চিঠি লিখতে সাহায্য করে। এদিকে, প্যান্ডারাস তার ভাগ্নির সাথে দেখা করে এবং তাকে ট্রয়লাসের ভালবাসার কথা জানায়। এবং ট্রয়লাসের মতো একজন নাইট তার প্রেমে পড়েছে বলে তাকে খুশি হতে বলে। সে আরও বলে যে, যদি সে ট্রয়লাসকে ভালো না বাসে, তবে সে এবং ট্রয়লাস উভয়েই আত্মহত্যা করবে। ট্রয়লাস যুদ্ধ থেকে ফিরে আসার সময়ে ক্রিসাইড তাকে জানালা দিয়ে দেখে এবং তার দুর্বল অবস্থার কথা ভাবে যে, তার এখন সামাজিক নিরাপত্তা দরকার।
মন ফ্রেশ করার জন্য, ক্রিসাইড তার ভাতিজিরা ফ্লেক্সিপ্পে (Flexippe), থার্বে (Tharbe) এবং অ্যান্টিগনকে (Antigone) নিয়ে বাগানে যায় এবং অ্যান্টিগনের প্রেমের গান শোনে। রাতে বিছানায় ঘুমিয়ে, সে স্বপ্নে দেখে যে, একটি সাদা ঈগল তার বুক থেকে তার হৃদয় কেড়ে নিয়ে তার নিজের হৃদয় দিয়ে প্রতিস্থাপন করছে। তারপর তারা চিঠি লিখতে শুরু করে। প্যান্ডারাস তাদের এই কাজে সাহায্য করতে থাকে। এমনকি চিঠিতে কী লিখতে হবে, তাও সে বলে দিত। ক্রিসাইড চিঠি লেখার ব্যাপারে কিছুটা উদাসীন ছিল, কিন্তু তার মামা তাকে চিঠি লিখতে অনুরোধ করেছিল।
প্যান্ডারাস একসময় ডেইফেবাসের বাড়িতে এই দুজনের দেখা করানোর পরিকল্পনা করে। প্যান্ডারাস তখন ট্রয়লাসকে ডেইফেবাসের বাড়িতে নিয়ে আসে এবং তাকে এই এই পরামর্শ দেয় যে, সে যেন অসুস্থ হওয়ার ভান করে। ট্রয়লাস তার প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী এটাই করে এবং প্রথমবারের মতো ক্রিসাইডের সাথে তার দেখা হয়। প্যান্ডারাস তাকে ক্রিসাইডের সাথে সম্মানের সাথে কথা বলার পরামর্শ দেয়। ট্রয়লাস তাকে প্রতিশ্রুতি দেয় যে, সে তাই করবে। এরপর আবার তাদের মধ্যে চিঠিপত্র বিনিময় শুরু হয়। এক বিকেলে ক্রিসাইড প্যান্ডারাসের বাড়িতে এলো, এবং বৃষ্টি শুরু হলে প্যান্ডারাস তাকে তার বাড়িতেই থাকতে বলে। আর ট্রয়লাস গোপনে এটা দেখছিল। প্যান্ডারাস ক্রিসাইডকে তার বাড়ির একটি গোপন ঘরে নিয়ে যায়। তারপর ট্রয়লাস সেখানে তার সাথে দেখা করে। এই প্রথমবার তারা শারীরিকভাবে মিলিত হয়।
ক্রিসাইড এর গ্রিক শিবিরে যাওয়া: এদিকে, একবার ট্রোজানরা গ্রীকদের সাথে বন্দী বিনিময় করে। কারণ তাদের বিখ্যাত যোদ্ধা Antenor গ্রিকদের হাতে বন্দী হয়েছিল। ক্যালচাস গ্রীক শিবিরে তার ভবিষ্যৎ বাণীর জন্য খুব জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। সে তার মেয়ের ব্যাপারে রাজা আগামেমননের সাথে যোগাযোগ করে এবং অ্যান্টিনরের বিনিময়ে তার মেয়েকে গ্রীক ক্যাম্পে আনার ব্যবস্থা করে। যদিও ট্রয়লাস প্রথমে এই বিনিময়ে ভেটো দিয়েছিল, তবে অ্যান্টিনরের কথা ভেবে, সে সম্মত হয়। সে প্যান্ডারাসের সাথে পরামর্শ করলো। প্যান্ডারাস তাকে নতুন কাউকে খোঁজার পরামর্শ দেয়। কিন্তু ট্রয়লাস এই ধারণা প্রত্যাখ্যান করেন। তারপর সে তাকে ক্রিসাইড এর সাথে পালিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেয়। তবে ট্রয়লাস তাকে বলেছিল, যেহেতু সে একজন সাহসী যোদ্ধা ছিল, তাই তার সম্মান ক্ষুন্ন করে এমন কিছু করা তার পক্ষে উপযুক্ত হবে না। ট্রয়লাস এবং ক্রিসাইড আবার দেখা হয়।
ক্রিসাইড তাকে আশ্বস্ত করে যে, সে তার ভালোবাসার সম্মান নষ্ট করতে চায় না। সে বরং তার বাবার সাথে প্রতারণা করবে। সে ১০ দিনের মধ্যে পালিয়ে ফিরে আসবে। ক্রিসাইডের গ্রিক ক্যাম্পে যাওয়া তিন বছর হয়ে যায়। সে গ্রীক ক্যাম্পে যাওয়ার পর, ডায়োমেড তার নিরাপত্তার দায়িত্ব নেয়। এদিকে, প্যান্ডারাস ট্রয়লাসকে সার্পেডনের ভিলায় নিয়ে আসে। সবাই সেখানে মজা করতে আসে। ট্রয়লাস তখন একা ছিল। ট্রয়লাস অতীতের সুখের কথা মনে করে দিন পার করছিল।
ক্রিসাইডের নতুন করে ডায়োমেডের প্রেমে পড়া: এদিকে ক্রিসাইড গ্রিক ক্যাম্পে নিরাপত্তা খুঁজছিল, তাই সে Diomedes এর প্রেমের প্রস্তাব গ্রহণ করে।
- ট্রয়লাসের বন্য শুকরের স্বপ্ন: এদিকে যখন তার প্রেমিকা ফিরে আসেনি, তখন ট্রয়লাস স্বপ্নে দেখে যে, একটি বন্য শূকর তার প্রেমিকাকে নিয়ে যাচ্ছে। সকালেই সে ক্রিসাইডকে একটি হৃদয়গ্রাহী চিঠি লেখে। ক্রিসাইড এতদিনেও কেন আসেনি জানতে চায়। এরপর ট্রয়লাস তার স্বপ্নের অর্থ জানতে ক্যাসান্দ্রার কাছে যান। ক্যাসান্দ্রা বলে, এই বুনো শূকর ক্রিসাইড এর নতুন প্রেমিক। ট্রয়লাস বিশ্বাস করতে পারছিল না যে, ক্রিসাইডের নতুন কোন প্রেমিক থাকতে পারে। এরপর ট্রয়লাস তাকে আরও চিঠি লেখে। তবে চিঠির উত্তরটি খুব সংক্ষিপ্ত আকারে আসে। তবে সে বলেছিল যে, সে ফিরে আসবে।
- ট্রয়লাসের দ্বারা ব্রোচ আবিষ্কার: একবার ডায়োমেডের একটি পোশাক ট্রোজানদের হাতে পড়ে। সেখানে ট্রয়লাস একটি ব্রোচ খুঁজে পায়, যা ট্রয়লাস ক্রিসাইডকে দিয়েছিল। ট্রয়লাস তখন বিলাপ করতে লাগলো। কারণ সে এখনও তাকে ভালবাসে। আর ক্রিসাইড যে তার সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে, এটাও সে বুঝতে পারে।
৫. ট্রয়লাসের শেষ পরিণতি: এই প্রথমবারের মতো, প্যান্ডারাস তাকে কোন উপদেশ দিতে পারেনি। সেও মনে মনে অনেক কষ্ট অনুভব করে। ট্রয়লাস যুদ্ধে ডায়োমেডসকে হত্যা করতে চেয়েছিল। তারা এমনকি যুদ্ধক্ষেত্রেও মুখোমুখি হয়েছিল, কিন্তু ট্রয়লাস তাকে হত্যা করতে পারে না। আর ট্রয়লাস অবশেষে অ্যাকিলিসের হাতে নিহত হয়েছিল। তার মৃত্যুর পর, ট্রয়লাসের আত্মা স্বর্গে উঠে যায়। স্বর্গ থেকে সে সেই প্রেমিকদের দেখে হাসে, যারা এখনো রোমান্টিক সম্পর্কে জড়িয়ে আছে। বর্ণনাকারী তারপর খুব সংক্ষিপ্তভাবে ট্রয়লাসের সম্পর্কে শেষ করেন এবং আমাদের মনে করিয়ে দেন যে, মানুষের জীবন খুবই ক্ষণস্থায়ী।
বাংলা সামারি:
Book-I: ট্রয়লাস (Troilus) এর দ্বারা ক্রিসাইডের (Criseyde) প্রেমে পড়ে
Book-1-এর শুরুতে, আমরা দেখি যে চসার (Chaucer), বর্ণানাকারী হিসেবে, গ্রিক দেবী/ফিউরি টিসিফোনের (Tisiphone) সাহায্য চান। ফিউরিরা এমন শক্তিশালী দেবী যারা অন্যায়কারীদের শাস্তি দেন। টিসিফোন নামের অর্থ “প্রতিশোধের কণ্ঠস্বর”। গ্রিক কাহিনীগুলোতে, মানুষ অনেক সময় টিসিফোনের প্রতি প্রার্থনা করে প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য অনুরোধ করতেন। বর্ণানাকারী টিসিফোনকে বলেন যেন তিনি ট্রয়লাস (Troilus) ও ক্রিসাইডের (Criseyde) দুঃখের কাহিনী বর্ণানা করতে তাকে সাহায্য করেন।
গল্পটি ট্রয় যুদ্ধের সময় প্রাচীন ট্রয় শহরে ঘটে। গ্রিকরা ট্রয়বাসীর সাথে যুদ্ধে লিপ্ত। তারা শহরের বাইরে শিবির স্থাপন করেছে এবং আক্রমণের প্রস্তুতি নিচ্ছে। শহরের ভিতরে, একজন ট্রোজান পুরোহিত ক্যালচাস (Calchas) ভবিষ্যদ্বাণী করেন যে ট্রয় শহর ধ্বংস হবে। তাই তিনি ট্রয় ছেড়ে গ্রিকদের ক্যাম্পে চলে যান। এভাবে তিনি তার নিজের জাতির সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করেন। ক্যালচাস তার মেয়ে ক্রিসাইডকে একা ফেলে রেখে যান। এখন ক্রিসাইড একা এবং বিপদের মধ্যে পড়ে যায়। যখন ক্রিসাইড শোনেন যে, তার বাবা ট্রয়ের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন, তিনি ভীত হয়ে পড়েন। তিনি হেক্টরের (Hector) কাছ থেকে সাহায্য চান। হেক্টর একজন সাহসী যোদ্ধা এবং ট্রয়ের রাজা প্রিয়ামের (Priam) পুত্র। হেক্টর আবার ট্রয়লাসের ভাই। হেক্টর ক্রিসাইডকে রক্ষা করবেন বলে কথা দেন।
সময় চলে যায় এবং গ্রিক ও ট্রোজানদের মধ্যে যুদ্ধ চলতে থাকে। যুদ্ধের মধ্যেও ট্রয়ের ভিতরে মানুষের জীবন স্বাভাবিকভাবে চলতে থাকে। ট্রয়ের লোকেরা দেবতাদের সম্মান জানাতে এপ্রিল মাসে প্যালাডিয়াম (Palladium- Temple of Athena) মন্দিরে প্রার্থনা করেন। ক্রিসাইড একদিন প্রার্থনা অনুষ্ঠানে যোগ দেন। তিনি কালো পোশাক পরেন, কারণ তিনি তার বাবার বিশ্বাসঘাতকতার জন্য শোক প্রকাশ করছেন। ট্রয়লাস তার কিছু বন্ধুদের সাথে মন্দিরে উপস্থিত ছিলেন। তিনি তার বন্ধুদের বলেন তারা যেন প্রেমকে তাদের জীবন নিয়ন্ত্রণ করতে না দেয়। তিনি তাদের নিয়ে হাসেন, যারা প্রেমে পড়েছে আবার দেবতাদের আশীর্বাদও প্রার্থনা করতে এসেছে।
প্রেমের দেবতা কিউপিড (Cupid) ট্রয়লাসকে প্রেম নিয়ে মজা করতে দেখে রেগে যান। তিনি ট্রয়লাসকে একটি শিক্ষা দিতে চান। যখন ট্রয়লাস ক্রিসাইডকে দেখেন, তখন কিউপিড তাকে একটি জাদুকরী তীর দিয়ে আঘাত করেন। ট্রয়লাস সঙ্গে সঙ্গে ক্রিসাইডের প্রেমে পড়ে যান। প্রেমিকদের নিয়ে হাসার জন্য তিনি লজ্জিত অনুভব করেন এবং মন্দির থেকে চলে যান। এখন তার হৃদয় ক্রিসাইডের প্রতি ভালোবাসায় পূর্ণ। এই প্রেম ট্রয়লাসকে যুদ্ধে অস্থির করে তোলে। কিছুদিনের মধ্যেই, ক্রিসাইডের প্রতি ট্রয়লাস এত বেশি আসক্ত হয়ে পড়েন যে তিনি আর ঘুমাতে বা খেতে পারেন না। তিনি গভীর দুঃখে নিমজ্জিত হয়ে পড়েন।
ট্রয়লাসের বন্ধু প্যান্ডারাস (Pandarus), যিনি ক্রিসাইডের মামা (Maternal Uncle), লক্ষ্য করেন যে কিছু একটা সমস্যা চলছে। তিনি ট্রয়লাসকে দেখতে আসেন এবং তাকে জিজ্ঞেস করেন কেন তিনি এত দুঃখিত। প্রথমে, ট্রয়লাস কথা বলতে চান না, কিন্তু পরে তিনি প্যান্ডারাসকে জানান যে, তিনি প্রেমে পড়েছেন এবং এটি তাকে অনেক কষ্ট দিচ্ছে। প্যান্ডারাস তাকে প্রেমের বিষয়ে উপদেশ দেন। প্যান্ডারাস আগেও অনেক কঠিন সময় পার করেছেন, তাই ট্রয়লাস তাকে বিশ্বাস করেন। প্যান্ডারাস তাকে সাহায্য করার প্রতিশ্রুতি দেন, কারণ তিনি বন্ধুত্ব এবং সততার গুরুত্ব বোঝেন। তিনি বিশ্বাস করেন যে তিনি ট্রয়লাসকে আবারও ভালো বোধ করাতে সক্ষম হবেন।
প্যান্ডারাস ট্রয়লাসকে জিজ্ঞেস করেন, তিনি কাকে ভালোবাসেন। ট্রয়লাস বলেন, তিনি ক্রিসাইডকে ভালোবাসেন। প্যান্ডারাস খুশি হন, কারণ ক্রিসাইড তার ভাগ্নি এবং সে ভালো হৃদয়ের অধিকারী। তিনি এতেও খুশি হন যে, ট্রয়লাস অবশেষে প্রেমে পড়েছেন। প্যান্ডারাস ট্রয়লাসকে ক্রিসাইডের মন জয় করতে সাহায্য করতে রাজী হন। ট্রয়লাস এতে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং কিছুটা ভালো অনুভব করতে শুরু করেন।
Book-II: প্যান্ডারাস ট্রয়লাস এবং ক্রিসাইডকে কাছাকাছি আনে
বর্ণানাকারী Book-2 শুরু করেন গ্রিক মিউজ ক্লিওর (Clio) কাছ থেকে অনুপ্রেরণা চেয়ে। প্যান্ডারাস সিদ্ধান্ত নেন যে তিনি ট্রয়লাস এবং ক্রিসাইডকে একত্রিত করবেন। তিনি ক্রিসাইড এর বাড়িতে যান এবং তাকে ভালো অনুভব করানোর চেষ্টা করেন। পরিকল্পনার অংশ হিসেবে, তিনি ক্রিসাইডকে হেক্টর এবং তার ভাই ট্রয়লাসের সাম্প্রতিক যুদ্ধে সফলতার কথা বলেন। এরপর প্যান্ডারাস ট্রয়লাসের প্রশংসা শুরু করেন। তিনি ট্রয়লাসের সাহস, উদারতা, এবং শক্তির কথা বলেন।
যখন প্যান্ডারাস মনে করেন যে ক্রিসাইড আরও শোনার জন্য প্রস্তুত, তখন তিনি তাকে বলেন যে ট্রয়লাস তার প্রেমে পড়েছেন। তিনি ক্রিসাইডকে অনুরোধ করেন ট্রয়লাসকে তার সঙ্গী হিসেবে গ্রহণ করার জন্য। ক্রিসাইড সন্দেহপ্রবণ এবং দ্বিধাগ্রস্ত ছিলেন, কিন্তু প্যান্ডারাস তাকে চাপ দিয়ে বলেন যে, এটি তার জন্য একটি ভালো সুযোগ। তিনি ক্রিসাইডকে বলেন যে ট্রয়লাস তাকে সত্যিকারের ভালোবাসে এবং এমন একজন শক্তিশালী পুরুষের ভালোবাসা পাওয়া তার জন্য ভাগ্যের ব্যাপার। ক্রিসাইড স্বীকার করেন যে তিনি একা এবং দুঃখীত অনুভব করেন, কিন্তু তিনি এখনো কোনো রোমান্টিক সম্পর্কে জড়ানোর জন্য প্রস্তুত নন। প্যান্ডারাস হতাশ হয়ে তাকে বলেন, যদি ক্রিসাইড ট্রয়লাসকে প্রত্যাখ্যান করেন, তবে তার এবং ট্রয়লাসের মৃত্যুর জন্য তিনিই দায়ী হবেন। চাপে পড়ে ক্রিসাইড ট্রয়লাসের প্রতি সদয় হওয়ার জন্য সম্মত হন।
প্যান্ডারাস চলে যাওয়ার পর, ক্রিসাইড তার কথাগুলি নিয়ে ভাবেন। তিনি এটাকে অদ্ভুত মনে করেন যে, ট্রয়লাস তাকে এত গভীরভাবে ভালোবাসতে পারে, যখন তিনি এখনও সেই অনুভূতি অনুভব করছেন না। ক্রিসাইড ভাবতে শুরু করেন, ট্রয়লাসকে তার সঙ্গী হিসেবে গ্রহণ করা মানে কী হতে পারে। বিধবা হিসেবে, তার কিছু স্বাধীনতা রয়েছে যা তিনি এখন উপভোগ করেন এবং তা তিনি হারাতে চান না। তবে একই সময়ে, তিনি স্বীকার করেন যে ট্রয়লাস একজন ভালো মানুষ এবং তিনি তাকে সুরক্ষা দিতে পারবেন, হয়তো হেক্টরের থেকেও বেশি। তিনি সিদ্ধান্ত নেন যে, পরিস্থিতি যেখানে যাচ্ছে তা দেখতে তো আর ক্ষতি নেই। ঠিক তখনই, বাইরে শোরগোল শুনে জানালা দিয়ে দেখেন ট্রয়লাস এবং তার সৈন্যরা রাস্তা দিয়ে হেঁটে যাচ্ছে। তার কাছে ট্রয়লাসকে যুদ্ধের দেবতা মার্স (Mars) এর মতো দেখায়। ক্রিসাইড তার প্রতি আকৃষ্ট হন।
মন ফ্রেশ করার জন্য, ক্রিসাইড তার ভাতিজিরা ফ্লেক্সিপ্পে (Flexippe), থার্বে (Tharbe) এবং অ্যান্টিগনকে (Antigone) নিয়ে বাগানে যান। বাগানে থাকাকালীন, অ্যান্টিগন প্রেমের একটি গান গেয়ে শোনান। সেদিন রাতে, ক্রিসাইড একটি স্বপ্ন দেখেন, যেখানে একটি বিশাল সাদা ঈগল তার পীড়িত হৃদয় নিয়ে সেটিকে নিজের হৃদয় দিয়ে প্রতিস্থাপন করে এবং তার দুঃখ দূর করে দেয়। ক্রিসাইড বিশ্বাস করেন যে স্বপ্নের ঈগলটি ট্রয়লাসকে প্রতিনিধিত্ব করছে।
এরপর, ট্রয়লাস এবং ক্রিসাইড চিঠি লেখা শুরু করেন, যার ওপর প্যান্ডারাস সব সময় নজর রাখেন। ট্রয়লাস প্রথম চিঠি লেখেন, যেখানে তিনি ক্রিসাইডকে তার প্রকৃত অনুভূতি, তার ভয় এবং আশা সম্পর্কে বলেন। প্যান্ডারাস তাকে তার অশ্রু দিয়ে চিঠি সিল করতে বলেন, যাতে তার আন্তরিকতা বোঝানো যায়। পরের দিন, প্যান্ডারাস চিঠিটি ক্রিসাইডকে পৌঁছে দেন। ক্রিসাইড চিঠিটি তার ঘরে একান্তে পড়েন, তারপরে প্যান্ডারাসের সাথে রাতের খাবার খান। ট্রয়লাসের চিঠির কথাগুলি তাকে আবেগপ্রবণ করে তোলে। প্যান্ডারাস ক্রিসাইডকে ট্রয়লাসকে চিঠির উত্তর দেওয়ার জন্য অনুরোধ করেন। প্রথমে, ক্রিসাইড সংকোচ করেন, কিন্তু শেষ পর্যন্ত তিনি ট্রয়লাসকে তার সুন্দর কথার জন্য ধন্যবাদ জানিয়ে একটি চিঠি লেখেন। তবে, তিনি কোনো প্রতিশ্রুতি দেন না। বরং, তিনি বলেন যে তিনি তাকে বোনের মতোই ভালো রাখতে পারেন।
চিঠি লেখার পর, ক্রিসাইড সেটি প্যান্ডারাসকে দেন। কিছুক্ষণ পর, তারা ট্রয়লাসকে রাস্তায় হাঁটতে দেখেন। যখন ট্রয়লাস হাত নাড়েন, ক্রিসাইড তার প্রতি শক্তিশালী আকর্ষণ অনুভব করেন। প্যান্ডারাস আবারও ক্রিসাইডকে ট্রয়লাসকে তার সঙ্গী হিসেবে গ্রহণ করার জন্য উৎসাহিত করেন। এরপর, তিনি চিঠিটি ট্রয়লাসের কাছে পৌঁছে দেন। ক্রিসাইডের দ্বিধায় ট্রয়লাস নিরুৎসাহিত হন না। বরং, তার ভালোবাসা আরও বেড়ে যায়।
যখন তাদের সম্পর্ক আরও গম্ভীর হতে শুরু করে, প্যান্ডারাস ট্রয়লাস এবং ক্রিসাইডকে গোপনে দেখা করানোর পরিকল্পনা করেন। তিনি ট্রয়লাসের ভাই ডেইফেবাসের (Deiphebus) বাড়িতে যান এবং সবকিছু ঠিক করেন। প্যান্ডারাস ট্রয়লাসকে অসুস্থ হওয়ার ভান করতে এবং বিছানায় শুয়ে থাকতে বলেন। তারপর, তিনি ক্রিসাইড এবং তার বোনদের আমন্ত্রণ জানান যেন তারা অসুস্থ ট্রয়লাসকে দেখতে আসেন এবং সান্ত্বনা দেন। যখন ক্রিসাইড পৌঁছান, তখন প্যান্ডারাস তাকে ট্রয়লাসের ঘরে নিয়ে যান, যেখানে তারা প্রথমবারের মতো সামনাসামনি দেখা করে।
Book-III: ট্রয়লাস এবং ক্রিসাইডের প্রেমের বৃদ্ধি
বর্ণানাকারী Book-3 শুরু করেন প্রেমের দেবী ভেনাসের (Venus) সাহায্য চেয়ে। তিনি ট্রয়লাসের সুখের গল্প বলতে চান। এই মুহূর্তে, ট্রয়লাস, ক্রিসাইড, এবং প্যান্ডারাস সবাই ট্রয়লাসের ঘরে রয়েছেন। ট্রয়লাস গভীর আবেগে ক্রিসাইডকে বলেন যে তার জীবনের সবচেয়ে বড় ইচ্ছা হলো তাকে সেবা করা এবং তার প্রতি বিশ্বস্ত থাকা। ক্রিসাইড ট্রয়লাসের মতো এতটা আবেগপ্রবণ না হলেও, তার সঙ্গে থাকার সম্মতি দেন। তবে, তিনি ট্রয়লাসকে সতর্ক করেন যে তিনি কোনো খারাপ আচরণ সহ্য করবেন না। তারপর তিনি তাকে জড়িয়ে ধরেন এবং চুম্বন করেন। প্যান্ডারাস তাদের একসঙ্গে দেখে এতটাই খুশি হন যে তিনি হাঁটু গেড়ে বসে পড়েন এবং সৌন্দর্যের দেবী ভেনাস এবং প্রেমের দেবতা কিউপিডের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
ট্রয়লাস এবং ক্রিসাইড একসঙ্গে থাকার সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর, ক্রিসাইড চলে যান। ট্রয়লাস প্যান্ডারাসের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং তাকে সর্বদা বিশ্বস্ত থাকার প্রতিশ্রুতি দেন। ট্রয়লাস এবং ক্রিসাইড একটি গোপন সম্পর্ক শুরু করেন। তারা প্রেমিক হিসেবে আরও কাছাকাছি আসেন। ট্রয়লাস দিনে যুদ্ধ করেন, কিন্তু রাতের বেলায় ক্রিসাইডকে দেখার উপায় খুঁজতে থাকেন। ক্রিসাইড খুশি হন যে ট্রয়লাস সবসময় তার জন্য সময় বের করেন এবং তার যত্ন নেন।
এক সন্ধ্যায় বৃষ্টি পড়ার সময়, প্যান্ডারাস ক্রিসাইডকে তার বাড়িতে ডিনারে আমন্ত্রণ জানান। ক্রিসাইড রাজি হন এবং তার ভাতিজি অ্যান্টিগনসহ কয়েকজন অতিথিকে নিয়ে আসেন। ট্রয়লাস ইতিমধ্যেই প্যান্ডারাসের বাড়িতে ছিলেন, কিন্তু তিনি একটি ছোট জানালা থেকে সবকিছু দেখার জন্য একটি কক্ষে লুকিয়ে ছিলেন। বাইরে বৃষ্টি আরও বাড়তে থাকে, এবং প্যান্ডারাস ক্রিসাইডকে বোঝান যে বাড়ি ফেরাটা এখন খুবই বিপজ্জনক। তিনি বলেন যে তার বাড়িতে রাত কাটানোই সবচেয়ে নিরাপদ হবে। রাতের খাবার শেষে, প্যান্ডারাস ক্রিসাইডকে একটি একান্ত কক্ষে নিয়ে যান।
সবাই ঘুমিয়ে গেলে, প্যান্ডারাস ক্রিসাইডকে জাগিয়ে তোলেন এবং একটি গল্প বানিয়ে বলেন। তিনি বলেন যে ট্রয়লাস মাত্রই এসেছেন এবং তিনি খুবই দুঃখিত কারণ তিনি শুনেছেন যে ক্রিসাইড ওরেস্টেস (Orestes) নামের এক ব্যক্তির প্রেমে পড়েছেন। ক্রিসাইড এতে হতবাক হয়ে যান এবং গুজবটি অস্বীকার করেন। তিনি রাগ প্রকাশ করেন এবং কষ্ট পান যে ট্রয়লাস তাকে বিশ্বাস করেনি। তখন প্যান্ডারাস তাকে পরামর্শ দেন যে, সে যেন সরাসরি ট্রয়লাসের সঙ্গে কথা বলে। ক্রিসাইড এতে সম্মত হন।
তখন ট্রয়লাস ঘরে প্রবেশ করেন এবং ক্রিসাইডের সামনে হাঁটু গেড়ে তার প্রতি সম্মান ও ভালোবাসা প্রকাশ করেন। ক্রিসাইড তাকে আশ্বস্ত করেন যে, তিনি তার “সত্যিকারের প্রেয়সী” এবং তার প্রতি সর্বদা বিশ্বস্ত থাকার প্রতিশ্রুতি দেন। তবে, তিনি ট্রয়লাসকে প্রশ্ন করেন, কেন তিনি এত ঈর্ষান্বিত ছিলেন। আবেগপ্রবণ হয়ে ক্রিসাইড বিছানায় পড়ে যান এবং কাঁদতে শুরু করেন। ট্রয়লাস তার পাশে শুয়ে পড়েন তাকে সান্ত্বনা দেওয়ার জন্য। ক্রিসাইড তার যত্ন দেখে অভিভূত হন এবং তাকে চুম্বন করেন। প্যান্ডারাস তাদের শান্তি স্থাপনে এবং তাদের সমস্যাগুলি সমাধান করতে উত্সাহিত করেন। দুই প্রেমিক তাদের সম্পর্ক এগিয়ে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। এরপর প্যান্ডারাস তাদের একা রেখে চলে যান।
ট্রয়লাস এবং ক্রিসাইড রাতটি একসঙ্গে রোমান্টিক ঘনিষ্ঠতায় কাটান। তারা খুব খুশি অনুভব করেন এবং ভালোবাসার প্রতীক হিসেবে আংটি বিনিময় করেন। ক্রিসাইড কে একটি রুবি খচিত ব্রোচ দেন, যা তাদের অঙ্গীকারের আরও একটি প্রতীক। তাদের একসঙ্গে কাটানো রাতের পর, ট্রয়লাস খুশি হলেও ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তিত থাকেন। ক্রিসাইড তাকে আশ্বস্ত করেন এবং তাকে স্মরণ করিয়ে দেন যে, ঈর্ষায় বশবর্তী না হতে। তারপর তারা তাদের নিজ নিজ বাড়িতে ফিরে যান।
পরে, প্যান্ডারাস ট্রয়লাসের কাছে যান এবং তাকে সতর্ক করেন যে জীবন অনিশ্চিত হতে পারে। তবে, এই সময়ে, ট্রয়লাস এবং ক্রিসাইড কোনো বড় সমস্যার সম্মুখীন হন না। ট্রয়লাস ভালোবাসার প্রতি তার গভীর অনুভূতি প্রকাশ করেন এবং বলেন যে, ভালোবাসা হলো জীবনের সকল শান্তি এবং সম্প্রীতির উৎস। এই যুগল আরও কয়েক রাত একসঙ্গে কাটায়। শক্তিশালী এবং সুখী অনুভব করে, ট্রয়লাস আরও নিবেদিত হন সাহসী নাইট এবং সৈনিক হিসেবে।
Book-IV: ক্রিসাইডের (Criseyde) বিশ্বাসঘাতকতা এবং তাদের দুঃখজনক বিদায়
বর্ণানাকারী Book-4 শুরু করেন যুদ্ধের দেবতা মার্স (Mars) এবং তিনটি ফিউরি/দেবী (Furies)-কে স্মরণ করে। ফিউরিরা শক্তিশালী সত্তা যারা ভয় এবং লজ্জার প্রতীক। তাদের নাম হলো অ্যালেক্টো (Alecto), টিসিফোন (Tisiphone), এবং মেগায়েরা (Megaera)। বর্ণানাকারী বলেন, ভালোবাসার সুখ বেশিদিন স্থায়ী হয় না। তিনি ইঙ্গিত দেন যে ক্রিসাইড শীঘ্রই ট্রয়লাসের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করবে, তবে পাঠকদের অনুরোধ করেন তাকে খুব কঠোরভাবে বিচার না করতে।
গ্রিক এবং ট্রোজানদের মধ্যে যুদ্ধ চলতেই থাকে। গ্রিকরা ধীরে ধীরে ট্রয় নগরীকে ধ্বংস করে ফেলছে। ট্রয়লাসের ভাই হেক্টর একটি ট্রোজান যোদ্ধাদের দল নিয়ে যুদ্ধের নেতৃত্ব দেন। লড়াইয়ের সময়, অ্যান্টেনর (Antenor) নামে একজন ট্রোজান যোদ্ধাকে গ্রিকরা বন্দী করে। গ্রিক শিবিরে ক্রিসাইডের পিতা ক্যালচাস তার কন্যার জন্য উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন, যে এখনও ট্রয় নগরীতে রয়েছে। তিনি গ্রিকদের কাছে অনুরোধ করেন তার সাহায্যের প্রতিদানে তার কন্যাকে উদ্ধার করতে। তিনি প্রস্তাব দেন যে ক্রিসাইডকে অ্যান্টেনরের বিনিময়ে তার কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হোক। গ্রিকরা এতে সম্মতি জানায় এবং এই প্রস্তাব ট্রয়ের রাজা প্রিয়ামের সামনে তুলে ধরে। প্রিয়াম এই বিনিময়ের জন্য সম্মতি দেন।
যখন ট্রয়লাস এই ভয়ানক সংবাদটি শোনেন, তিনি ভেঙে পড়েন। তার মনে হয় ভাগ্য সবসময় তার বিরুদ্ধে কাজ করে। তিনি জিজ্ঞেস করেন কেন দেবতারা তাকে এত কঠোরভাবে শাস্তি দিচ্ছেন। ট্রয়লাস সম্পূর্ণভাবে হতাশায় ডুবে যান এবং এমনকি নিজের জীবন নেওয়ার/আত্মহত্যার কথাও ভাবেন। তার বন্ধু প্যান্ডারাস তাকে সান্ত্বনা দেওয়ার চেষ্টা করেন। তিনি ট্রয়লাসকে মনে করিয়ে দেন যে, অনেক সৈনিক ট্রয়লাসের সাহসের ওপর নির্ভর করে এবং ট্রয়লাসের তাদের সামনে নিজের দুর্বলতা প্রকাশ করা ঠিক হবে না। প্যান্ডারাস আরও বলেন যে পৃথিবীতে অনেক নারী রয়েছে এবং ক্রিসাইডকে হারানোর পরও জীবন চলতে থাকবে। কিন্তু ট্রয়লাস এই পরামর্শ শুনে রেগে যান। তিনি অন্য কাউকে ভালোবাসার কল্পনা করতে পারেন না এবং ক্রিসাইডকে ছাড়তে অস্বীকার করেন।
বন্দী বিনিময়ের খবর পুরো শহরে ছড়িয়ে পড়ে। ক্রিসাইড একদিকে রাগান্বিত এবং অন্যদিকে দুঃখিত। তিনি জানেন যে তার দুঃখ প্রকাশ করা যাবে না কারণ তার এবং ট্রয়লাসের প্রেমের সম্পর্ক গোপন রাখতে হবে। তাদের সম্মান এবং মর্যাদার জন্য, কেউ তাদের সম্পর্ক সম্পর্কে জানতে পারবে না। তিনি অন্য নারীদের পরামর্শ শোনেন, কিন্তু তারা তার প্রকৃত অনুভূতি বুঝতে পারে না। প্যান্ডারাস ক্রিসাইডের কাছে যান এবং তাকে আশ্বস্ত করেন যে তারা এই সমস্যার সমাধান খুঁজে বের করবে।
এদিকে, ট্রয়লাস মন্দিরে যান প্রার্থনা করতে। তিনি দেবতাদের জিজ্ঞাসা করেন তার ভাগ্য কি আগেই নির্ধারিত হয়েছে, নাকি তিনি এখনও কোনো পরিবর্তন আনতে পারবেন। এরপর তিনি ক্রিসাইডের কাছে যান, কিন্তু তারা এতটাই দুঃখ ভারাক্রান্ত থাকেন যে, একে অপরকে খুব একটা সান্ত্বনা দিতে পারেন না। তারা ভবিষ্যৎ নিয়ে এতটাই উদ্বিগ্ন যে তারা একে অপরের পাশে দাঁড়াতে পারেন না। প্যান্ডারাস আবারও সাহায্য করার চেষ্টা করেন। তিনি প্রস্তাব দেন যে ট্রয়লাস অন্যদের কথা ভুলে ক্রিসাইডকে গ্রিকদের কাছ থেকে জোর করে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করুন। তবে, ট্রয়লাস এই পরিকল্পনা প্রত্যাখ্যান করেন। তিনি মনে করেন এটি খুবই বিপজ্জনক এবং এর ফলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে।
যখন ক্রিসাইডের বিদায়ের সময় ঘনিয়ে আসে, তখন তারা একসঙ্গে সময় কাটায়, তাদের দুঃখজনক বিচ্ছেদের জন্য প্রস্তুতি নিতে থাকে। ট্রয়লাস প্রস্তাব দেন যে তারা একসঙ্গে পালিয়ে যেতে পারে, কিন্তু ক্রিসাইড তা প্রত্যাখ্যান করেন। তিনি বিশ্বাস করেন, তারা পরে এই সিদ্ধান্তের জন্য অনুশোচনা করবেন। এর পরিবর্তে, ক্রিসাইড একটি ভিন্ন পরিকল্পনা করেন। তিনি ট্রয়লাসকে বলেন যে, তিনি বন্দী বিনিময়ের সঙ্গে সম্মতি জানাবেন, কিন্তু ১০ দিন পরে তিনি গ্রিক শিবির থেকে পালিয়ে ফিরে আসবেন ট্রয়ে। ক্রিসাইড ট্রয়লাসকে আশ্বস্ত করেন যে, তিনি তার প্রতিশ্রুতি রাখবেন এবং ফিরে আসবেন।
যদিও ট্রয়লাস সন্দেহে ভুগছিলেন, তবুও তিনি শেষ পর্যন্ত এই পরিকল্পনায় সম্মতি দেন। তারা তাদের শেষ মুহূর্তগুলো দুঃখ এবং ভবিষ্যতের ভয়ে ভরিয়ে কাটায়। সূর্য ওঠার সাথে সাথে, ট্রয়লাস এবং ক্রিসাইড তাদের বেদনাদায়ক বিদায় জানান, উভয়েই ভবিষ্যৎ নিয়ে গভীর আশঙ্কায় পূর্ণ। তবে ট্রয়লাস ক্রিসাইডের দেওয়া সেই রুবি খচিত ব্রোচটি আবার ফিরিয়ে দেন তার ভালোবাসা এবং বিশ্বাসের নিদর্শন হিসেবে, আশা করেন যে ক্রিসাইড তার প্রতি বিশ্বস্ত থাকবে।
Book-5: ক্রিসাইডের বিশ্বাসঘাতকতা এবং ট্রয়লাসের ভাগ্য
বর্ণানাকারী জোভের (Jove) প্রতি আহ্বান জানান, যিনি প্রাচীন দেবতাদের মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী, এবং লাচেসিস (Lachesis)-এর প্রতি, যিনি তিন ফেটস (Fates)-এর একজন এবং মানবজীবনের ভাগ্য নির্ধারণ করেন। ফেটসরা প্রতিটি মানুষের ভাগ্য এবং সৌভাগ্য নিয়ন্ত্রণ করেন। ক্রিসাইডকে ট্রোজান বন্দী অ্যান্টেনরের বিনিময়ে গ্রিক শিবিরে পাঠানো হয়। গ্রিক যোদ্ধা ডায়োমেড (Diomede) ক্রিসাইডকে গ্রিক শিবিরে নিয়ে যান। ডায়োমেড ক্রিসাইডের দুঃখ লক্ষ্য করেন এবং বুঝতে পারেন যে সে ট্রয়ে কাউকে রেখে এসেছে। তিনি ক্রিসাইডকে রক্ষা করার প্রস্তাব দেন।
এদিকে, ট্রয়ে ট্রয়লাস খুবই দুঃখিত এবং ভেঙে পড়েন। তার বন্ধু প্যান্ডারাস তাকে পরামর্শ দেন যেন সে অন্য লোকদের সঙ্গে সময় কাটায়, যাতে সে দুর্বল মনে না হয়। তারা এক সপ্তাহ রাজা সার্পেডনের (Sarpedon) প্রাসাদে কাটায়, যেখানে অনেক আনন্দের অনুষ্ঠান হয়। কিন্তু ট্রয়লাস কিছুতেই আনন্দ উপভোগ করতে পারেন না। তার শুধু ক্রিসাইডের ফিরে আসার অপেক্ষায় বাড়ি ফেরার কথা মনে পড়ে। দশম দিনে, ট্রয়লাস এবং প্যান্ডারাস শহরের দরজায় গিয়ে দাঁড়ান, আশা করেন ক্রিসাইড ফিরে আসবে। কিন্তু সে আর ফেরে না। ট্রয়লাস আশাবাদী থাকার চেষ্টা করেন, ভাবেন হয়তো কোনো সাধারণ কারণে সে দেরি করছে। কিন্তু সময় গড়ানোর সাথে সাথে ক্রিসাইডের ফিরে আসার আশা ক্রমশ কমে আসে।
এদিকে গ্রিক শিবিরে ক্রিসাইড দুঃখে ডুবে থাকে। সে বুঝতে পারে যে, সে তার বাবার কাছ থেকে পালাতে পারবে না এবং ট্রয়ে ফিরে যেতে পারবে না। সে ভাবতে থাকে, ট্রয়লাস হয়তো মনে করবে সে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে। ডায়োমেড ক্রিসাইডের প্রতি মনোযোগ দেখাতে শুরু করে এবং তার মন জয় করার চেষ্টা করে। ট্রয়লাস এবং ক্রিসাইড একে অপরকে চিঠি লেখে, এবং ক্রিসাইড তাকে জানায় যে, তার পিতার নজরদারির কারণে তার পক্ষে ট্রয়ে ফেরা কঠিন। দু’মাস কেটে যায়, কিন্তু ক্রিসাইড এখনও গ্রিক শিবিরে থাকে। ডায়োমেড ক্রমাগত তার প্রতি আকর্ষণ দেখাতে থাকে, এবং ধীরে ধীরে ক্রিসাইড তার মনোযোগ গ্রহণ করতে শুরু করে। যদিও ক্রিসাইড ডায়োমেডের প্রতি নরম হতে শুরু করে, তবুও সে ট্রয়লাসের কাছে চিঠি লিখে প্রতিশ্রুতি দেয় যে, সে ফিরে আসবে। কিন্তু সে ডায়োমেডকে সেই রুবি খচিত ব্রোচটি দেয়, যা ট্রয়লাস তাকে তাদের ভালোবাসার প্রতীক হিসেবে দিয়েছিল। এটা ছিল বিশ্বাসঘাতকতা, কিন্তু ক্রিসাইড নিজেকে বোঝানোর চেষ্টা করে যে, সে সঠিক কাজ করছে।
আরো পড়ুনঃ Troilus and Criseyde Bangla Summary (বাংলা)
অবশেষে, ট্রয়লাস বুঝতে পারেন যে, ক্রিসাইডের প্রতিশ্রুতিগুলো মিথ্যা। এক রাতে তিনি স্বপ্ন দেখেন, তিনি দেখেন ক্রিসাইড একটি ধারালো দাঁতযুক্ত শূকরকে জড়িয়ে ধরেছে। তিনি আবারও ক্রিসাইডের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেন। কিন্তু ক্রিসাইডের কোন উত্তর আসে না। ট্রয়লাস তার বোন ক্যাসান্দ্রাকে (Cassandra) স্বপ্নের কথা বলেন, এবং ক্যাসান্দ্রা তাকে ব্যাখ্যা করেন যে, শূকরটি ক্রিসাইডের নতুন প্রেমিকের প্রতীক। ট্রয়লাস ক্যাসান্দ্রার ওপর রাগান্বিত হন এবং সত্য মেনে নিতে অস্বীকার করেন।
ট্রোজানরা গ্রিকদের সঙ্গে যুদ্ধে লিপ্ত হয়, এবং তারা ডায়োমেডের কিছু জিনিস বাজেয়াপ্ত করে। তাদের মধ্যে ট্রয়লাস সেই রুবি খচিত ব্রোচটি খুঁজে পান, যা তিনি ক্রিসাইডকে দিয়েছিলেন। এখন তিনি নিশ্চিত হয়ে যান যে ক্রিসাইড তার সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে। ট্রয়লাস দুঃখভরে প্যান্ডারাসকে ক্রিসাইডের বিশ্বাসঘাতকতার কথা জানান, কিন্তু প্যান্ডারাস আর কোনো পরামর্শ দিতে পারেন না। তিনি কেবল ক্রিসাইডের কাজের জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন।
ক্রোধের ভরে ট্রয়লাস অনেক গ্রিক যোদ্ধাকে হত্যা করেন। তিনি ডায়োমেডের সঙ্গে যুদ্ধ করলেও তাকে হত্যা করতে পারেন না। অবশেষে, বিখ্যাত গ্রিক যোদ্ধা অ্যাকিলিস (Achilles) যুদ্ধে ট্রয়লাসকে হত্যা করেন। তার মৃত্যুর পর, ট্রয়লাসের আত্মা স্বর্গে উঠে যায়। স্বর্গ থেকে তিনি সেই প্রেমিকদের দেখে হাসেন যারা এখনো রোমান্টিক সম্পর্কে জড়িয়ে আছে। সেখান থেকে তিনি দেখতে পান যে, সমস্ত মানবিক কার্যক্রম, যেমন প্রেম এবং যুদ্ধ, শেষ পর্যন্ত শূন্য এবং অর্থহীন। বর্ণানাকারী গল্পটি শেষ করেন যিশু খ্রিস্ট এবং পবিত্র ত্রয়ীর (Father/ঈশ্বর, Son/যীশু and Holy Spirit/পবিত্র আত্মা) সুরক্ষা কামনা করে।
থিমসমূহ:
- প্রেম এবং কামনা: কবিতার কেন্দ্রীয় থিম হল প্রেম, বিশেষ করে রোমান্টিক কামনার আবেগপূর্ণ এবং প্রায়শই নিয়ন্ত্রণহীন প্রকৃতি। ট্রয়লাস ক্রিসাইডের আশাহীনভাবে প্রেমে পড়েন। এটি গল্পের প্লটকে চালিত করে।
- ভাগ্য: গল্পের একটি প্রধান থিম হল ভাগ্য, যেখানে চরিত্রগুলি প্রায়শই তাদের সাফল্য এবং ব্যর্থতাগুলিকে ভাগ্যের সাথে জড়িত মনে করে। ট্রয়লাস মনে করেন যে তার ভাগ্য বাহ্যিক শক্তি দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়। এটি একটি অসহায়তার অনুভূতি সৃষ্টি করে।
- প্রতারণা: গল্পে প্রতারণার থিম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে, বিশেষ করে ক্রিসাইডের ট্রয়লাসকে প্রতারণা করা যখন তিনি ডায়োমেডকে ব্রোচটি দেন। এই থিমটি মানব আবেগ এবং সম্পর্কের জটিলতাগুলি, এবং ভাঙা আস্থার কারণে সৃষ্ট ব্যথা প্রতিফলিত করে।
- যুদ্ধ এবং সংঘাত: ট্রয় যুদ্ধের পটভূমিতে স্থাপিত, সংঘাতের থিমটি চরিত্রগুলির মধ্যে আবেগিক যুদ্ধগুলিকে প্রতিফলিত করে। যুদ্ধটি চরিত্রগুলির ভাগ্যকে প্রভাবিত করে এবং তাদের জীবনের অস্থিরতাকে উজ্জ্বল করে তোলে।
- আনুগত্য এবং আস্থা: আনুগত্য বারবার আসা একটি থিম, বিশেষ করে ট্রয়লাস এবং ক্রিসাইডের সম্পর্কের ক্ষেত্রে। ট্রয়লাসের ক্রিসাইডের প্রতি আস্থা তার প্রেমের কেন্দ্রস্থলে এবং তার পরবর্তী বিশ্বাসঘাতকতার প্রধান মোড় হিসেবে কাজ করে।
Quotes:
- “The double sorwe of Troilus to tellen,
That was the king Priamus sone of Troye,”
Explanation: The narrator, Geoffrey Chaucer, at the very beginning of Troilus and Criseyde, in Book I. The narrator introduces the story by forecasting the “double sorrow” of Troilus, the son of King Priam of Troy. The “double sorrow” refers to the twofold suffering Troilus will endure: first, his passionate love for Criseyde, and second, the heartbreak and betrayal he experiences when she is sent to the Greek camp and later betrays him.
“ট্রয়লাসের ডাবল দুঃখের কথা জানাতে,
যিনি ছিলেন ট্রয়ের রাজা প্রিয়ামের পুত্র”
(ডাবল দুঃখ হচ্ছে ১. ভালোবাসা অর্জনের জন্য কষ্ট ২. ভালোবাসা হারানোর জন্য কষ্ট)
ব্যাখ্যা: “Troilus and Criseyde” এর শুরুতেই, Book I এ, বর্ণনাকারী জিওফ্রে চসার গল্পটি উপস্থাপন করেন। তিনি ট্রয়ের রাজা প্রিয়ামের পুত্র ট্রয়লাসের “দ্বৈত দুঃখের” কথা আগাম বলে দেন। “দ্বৈত দুঃখ” বলতে বোঝানো হয়েছে ট্রয়লাসের দুটি কষ্ট: প্রথমত, তার ক্রিসাইডের প্রতি গভীর প্রেম এবং দ্বিতীয়ত, যখন ক্রিসাইডকে গ্রিক শিবিরে পাঠানো হয় এবং পরে তার সাথে সে বিশ্বাসঘাতকতা করে।
- “For bothe a widowe was she, and allone.”
Explanation: Pandarus speaks the line in Book II of Troilus and Criseyde. Pandarus says this line while speaking with Troilus after learning about his love for Criseyde. This is part of Pandarus’s strategy to encourage Troilus and begin the process of bringing the two lovers closer.
“কারণ তিনি একজন বিধবা ছিলেন এবং একা ছিলেন।”
ব্যাখ্যা: প্যান্ডারাস এই লাইনটি “Troilus and Criseyde” এর Book II তে বলে। যখন প্যান্ডারাস ট্রয়লাসের ক্রিসাইডের প্রতি ভালোবাসা সম্পর্কে জানতে পারে, তখন সে ট্রয়লাসের সাথে কথা বলার সময় এই কথাটি বলে। এটি প্যান্ডারাসের কৌশলের একটি অংশ, যা ট্রয়লাসকে উৎসাহিত করার এবং দুই প্রেমিককে একসাথে আনার প্রক্রিয়া শুরু করার উদ্দেশ্যে বলা হয়।
- “For sodeynly he hit him at the fulle;”
Explanation: The narrator says this line in Book I. It describes how Cupid suddenly struck Troilus. This happens when Troilus falls in love with Criseyde at first sight.
“কারণ হঠাৎ করেই ভালোবাসা তাকে সম্পূর্ণভাবে আঘাত করল।”
ব্যাখ্যা: বর্ণনাকারী এই লাইনটি Book I এ বলেন। এতে কিউপিড কীভাবে হঠাৎ করে ট্রয়লাসকে আঘাত করে তা বর্ণনা করা হয়েছে। এটি ঘটে যখন ট্রয়লাস প্রথম দেখাতেই ক্রিসাইডের প্রেমে পড়ে।
- “So goodly was, and gat him so in grace,
That ech him lovede that loked on his face.”
Explanation: The narrator says this line in Book I. It describes Troilus’s handsome appearance. Everyone who looked at him admired and loved him for his charm.
“সে ছিল এতই মহৎ এবং এতটাই সম্মান অর্জন করেছিল যে,
যারা তার মুখের দিকে তাকিয়েছিল, সবাই তাকে ভালোবেসেছিল।”
ব্যাখ্যা: বর্ণনাকারী এই লাইনটি Book I এ বলেন। এতে ট্রয়লাসের সুদর্শন চেহারার বর্ণনা করা হয়েছে। যারা তাকে দেখত, তার আকর্ষণ ও মাধুর্যের জন্য তাকে প্রশংসা করত এবং ভালোবাসত।
- “And eek a broche (and that was litel nede)
That Troilus was, she yaf this Diomedes.”
Explanation: The narrator says this line in Book V. It describes Criseyde’s betrayal of Troilus. She gives Troilus’s brooch to Diomedes, marking her unfaithfulness.
“এবং একটি ব্রোচ (যদিও এটি সামান্য প্রয়োজন ছিল)
যেটি ট্রয়লাসের ছিল (ক্রিসাইডকে দিয়েছিল) কিন্তু সে এটি ডায়োমেডসকে দিয়েছে।”
ব্যাখ্যা: বর্ণনাকারী এই লাইনটি Book V-এ বলেন। এতে ক্রিসাইডের ট্রয়লাসের প্রতি বিশ্বাসঘাতকতার বর্ণনা করা হয়েছে। ক্রিসাইডি ট্রয়লাসের দেওয়া ব্রোচটি ডায়োমিডসকে দিয়ে তার অবিশ্বাসের প্রমাণ দেয়।
- “O lady myn Criseyde,
Wher is your feyth, and wher is your biheste?
Wher is your love, wher is your trouthe,”
Explanation: Troilus says this line in Book V. He is expressing his sorrow and betrayal. He feels heartbroken after Criseyde breaks her promise to him.
“ও আমার প্রিয়তমা ক্রিসাইড,
কোথায় তোমার বিশ্বাস আর কোথায় তোমার প্রতিশ্রুতি?
কোথায় তোমার ভালোবাসা আর কোথায় তোমার সত্য?”
ব্যাখ্যা: ট্রয়লাস এই লাইনটি Book V-এ বলেন। তিনি তার দুঃখ ও বিশ্বাসঘাতকতার অনুভূতি প্রকাশ করছেন। ক্রিসাইড তার প্রতি করা প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করার পর, তিনি হৃদয়ে দুঃখ অনুভব করছেন।
- “So aungellyk was hir natyf beautee,
That lyk a thing immortal semed she,
As doth an hevenish parfit creature,”
Explanation: The narrator says this line in Book I. He is describing Criseyde’s beauty. He compares her appearance to an angel or heavenly being, emphasizing her perfection.
“তার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এত পরীসুলভ ছিল
যে তাকে অমর সত্তা বলে মনে হয়েছিল,
(তাকে) একটি নিখুঁত স্বর্গীয় সৃষ্টির মতো (মনে হয়েছিল)।”
ব্যাখ্যা: বর্ণনাকারী এই লাইনটি Book I-এ বলেছেন। তিনি ক্রিসাইডের সৌন্দর্য বর্ণনা করছেন। তিনি তার চেহারাকে একজন ফেরেশতা বা স্বর্গীয় সত্তার সঙ্গে তুলনা করছেন, তার নিখুঁততার ওপর জোর দিয়ে।
- “… Achilles through the mayle
And through the body gan him for to ryve;
And thus this worthy knight was brought of lyve.”
Explanation: The narrator says this line in Book V. He is describing how Achilles killed Troilus in battle. It shows Troilus’s tragic end at the hands of Achilles.
“… অ্যাকিলিস তাকে বিদ্ধ করে
বর্ম-আবরণ এবং শরীরের মধ্য দিয়ে,
এইভাবে এই যোগ্য নাইটের জীবনের অবসান ঘটেছে।”
ব্যাখ্যা: বর্ণনাকারী এই লাইনটি Book V-এ বলেছেন। তিনি বর্ণনা করছেন কিভাবে অ্যাকিলিস যুদ্ধে ট্রয়লাসকে হত্যা করেছিল। এটি ট্রয়লাসের করুণ পরিণতি অ্যাকিলিসের হাতে তুলে ধরে।
- “Allas! what is this wonder maladye?
For hete of cold, for cold of hete, I deye.'”
Explanation: Troilus says this line in Book I. He expresses his deep emotional confusion and suffering. He speaks these words because of his overwhelming love for Criseyde, which brings him both joy and pain.
“এই ব্যাধি, হায়! কি অদ্ভুত কষ্ট এটা?
ঠান্ডা থেকে তাপপের জন্য আবার তাপ থেকে ঠান্ডার জন্য, আমি শেষ।”
ব্যাখ্যা: ট্রয়লাস এই লাইনটি Book I-এ বলেছেন। তিনি তার গভীর আবেগময় বিভ্রান্তি এবং কষ্ট প্রকাশ করছেন। ক্রিসাইডের প্রতি তার অত্যন্ত গভীর ভালোবাসা, যা তাকে আনন্দ এবং বেদনা দুই-ই দেয়, সেই কারণেই তিনি এই কথাগুলি বলেন।
- “`How hastow thus unkindely and longe
Hid this fro me, thou fool?”
Explanation: Pandarus says this line in Book I. He speaks these words to Troilus. Pandarus is frustrated that Troilus hid his love for Criseyde for so long.
“তুমি এতদিন আমার থেকে এটা কেন লুকিয়ে রেখেছ, বোকা?”
ব্যাখ্যা: প্যান্ডারাস এই লাইনটি Book I-এ বলেছেন। তিনি ট্রয়লাসকে এই কথাগুলো বলছেন। ক্রিসাইডের প্রতি ট্রয়লাসের ভালোবাসা এতদিন লুকিয়ে রাখায় পান্ডারাস বিরক্ত হয়েছিলেন।
- “That Love is he that alle thing may binde;
For may no man for-do the lawe of kinde.”
Explanation: The narrator says this line in Book I. He expresses this during a reflection on the power of love. It highlights how love controls everything and cannot be escaped.
“সেই প্রেম যে সব কিছুকে বাঁধতে পারে;
কারণ কোনো মানুষই প্রকৃতির নিয়মকে বাতিল করতে পারে না।”
ব্যাখ্যা: বর্ণনাকারী এই লাইনটি Book I-এ বলেছেন। তিনি ভালোবাসার শক্তির ওপর চিন্তা করার সময় এটি প্রকাশ করেন। এটি বোঝায় যে ভালোবাসা সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করে এবং এর থেকে পালানো যায় না।
Literary Terms:
- Symbolism/Symbols: The brooch that Criseyde gives to Troilus symbolizes their love and commitment. Later, when Criseyde gives the brooch to Diomede, it symbolizes her betrayal.
- Dramatic Irony: The audience knows that Criseyde will eventually betray Troilus, even while the characters hope for a different outcome.
আরো পড়ুনঃ The Nun’s Priest’s Tale Bangla Summary (বাংলায়)
Symbols:
- The Temple of Palladium: The temple stands for fate and irony. Troilus mocks lovers here but later falls deeply in love.
- Black Clothing: Criseyde wears black clothes to show sadness for her father’s betrayal. It also hints at future sorrow.
- The Brooch: Symbol of Love. Later, it shows the betrayal
- The Chivalrous Knight: Brave soldiers of that time
- The Eagle: Troilus
- The Boar: Diomedes
- The Letter: The Courtly Love
- The Greek Camp: Danger and Separation
Figures of Speech:
- Allusion: Chaucer frequently alludes to Greek and Roman mythology, such as the reference to Cupid, Venus, and the Furies, to deepen the thematic layers of the story.
- Irony: Troilus mocks other lovers in the temple. But he falls deeply in love with Criseyde shortly. This is an example of situational irony, where the outcome is opposite to what was expected.
- Imagery: Chaucer uses rich visual imagery to describe Criseyde’s beauty and Troilus’s longing. For instance, Criseyde’s appearance is described in great detail, focusing on her black mourning dress, which reflects her inner sorrow.
- Personification: Fortune is personified throughout the poem as a controlling force and as the Antagonist.
- Simile: Troilus is compared to Mars, the god of war, when Criseyde sees him riding through the city, emphasizing his strength and heroism.
Moral lesson:
- Love is fragile and uncertain.
- Fate controls all beyond our will.

অনেক ধন্যবাদ,
welcome
Just a copy paste 😺😺😺 that is called working on English literature……….
LX is Very helpful for the students of English Department
Thanks a lot.