Role of Literature In English Language Teaching and The Global Spread of English
ভাষাগত সাম্রাজ্যবাদ আধুনিক ভাষা অধ্যয়নের একটি গুরুত্বপূর্ণ ধারণা। রবার্ট ফিলিপসন তার বই “Linguistic Imperialism” (১৯৯২)-এ এটি স্পষ্টভাবে সংজ্ঞায়িত করেছেন। এই শব্দের অর্থ হলো এক ভাষার অন্য ভাষাগুলোর উপর আধিপত্য, যা প্রায়ই রাজনীতি, শিক্ষা ও সংস্কৃতির মাধ্যমে ঘটে। আজকের বিশ্বে ইংরেজি হলো ভাষাগত সাম্রাজ্যবাদের প্রধান উদাহরণ। ইংরেজি দ্রুত বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়ছে এবং বহু সমাজকে প্রভাবিত করছে। ইংরেজি ভাষা শিক্ষা (ELT) এই প্রক্রিয়ায় কেন্দ্রীয় ভূমিকা পালন করে। এটি বৈশ্বিক প্রবেশাধিকার দিতে পারে, তবে একই সাথে বৈষম্য ও বিভাজনও সৃষ্টি করে।
ভাষাগত সাম্রাজ্যবাদের সংজ্ঞা: ভাষাগত সাম্রাজ্যবাদ মানে হলো ইংরেজির অন্য ভাষাগুলোর উপর অন্যায্য ক্ষমতা। ফিলিপসন বলেন, এটি বর্ণবাদ বা লিঙ্গবৈষম্যের মতো কাজ করে। ইংরেজি জানা ব্যক্তিদের ক্ষমতা, চাকরি ও সম্মান বেশি দেওয়া হয়। এতে ইংরেজি ও স্থানীয় ভাষার মধ্যে বৈষম্য তৈরি হয়। স্থানীয় ভাষাগুলো স্কুল ও কর্মক্ষেত্রে উপেক্ষিত হয়। উদাহরণস্বরূপ, বহু প্রাক্তন উপনিবেশে শিক্ষাব্যবস্থায় ইংরেজি স্থানীয় ভাষাকে প্রতিস্থাপন করেছে। এটি শুধু যোগাযোগের ব্যাপার নয়, বরং সামাজিক ক্ষমতা ও সাংস্কৃতিক নিয়ন্ত্রণের সঙ্গেও জড়িত।
আরো পড়ুনঃ Group Work Vs. Whole Class Activities and Teaching Large Classes
বৈশ্বিক প্রভাব হিসেবে ইংরেজি: ইংরেজি আজ সবচেয়ে শক্তিশালী বৈশ্বিক ভাষা হয়ে উঠেছে। ব্যবসা, বিজ্ঞান, রাজনীতি ও গণমাধ্যমে এটি ব্যবহৃত হয়। ফিলিপসন ইংরেজিকে ব্রিটেনের “বাস্তব কালো সোনা” বলেছেন, কারণ শিক্ষাদান ও প্রকাশনার মাধ্যমে এটি সম্পদ এনে দেয়। এই বৈশ্বিক বিস্তার অন্যান্য দেশগুলোকে ইংরেজিভাষী দেশের উপর নির্ভরশীল করে তোলে। কাচরুর “three circles” মডেল এটি স্পষ্টভাবে দেখায়। Inner circle (যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র) মান নির্ধারণ করে, আর outer ও expanding circle দেশগুলো তাতে নির্ভর করে। সুতরাং, ইংরেজির আধিপত্য স্বাভাবিক নয়, বরং ক্ষমতা ও ইতিহাসের সাথে জড়িত।
বাজার হিসেবে ELT-এর ভূমিকা: ELT একটি বৈশ্বিক শিল্প হিসেবে কাজ করে। ইংরেজিভাষী দেশগুলো বই, কোর্স ও IELTS, TOEFL-এর মতো পরীক্ষা তৈরি করে। এসব ব্যবস্থা মুনাফা আনে এবং বিশ্বজুড়ে ইংরেজি ছড়িয়ে দেয়। উদাহরণস্বরূপ, ব্রিটিশ কাউন্সিল বহু দেশে ইংরেজি প্রচার করে এবং বিপুল আয় করে। বাংলাদেশে ইংরেজি মাধ্যমের স্কুলগুলো পশ্চিমা মডেল অনুসরণ করে। এটি ধনী ও দরিদ্র শিক্ষার্থীর মধ্যে বিভাজন তৈরি করে। ইংরেজি শিক্ষার সুযোগ যাদের আছে তারা ভালো চাকরি ও বৈশ্বিক সুযোগ পায়, অন্যরা পিছিয়ে থাকে।
স্থানীয় প্রেক্ষাপটে ELT: ELT স্থানীয় শিক্ষাব্যবস্থাকেও গড়ে তোলে। বাংলাদেশে তিনটি ধারা আছে: বাংলা মাধ্যম, ইংরেজি মাধ্যম এবং মাদ্রাসা। এটি তিনটি পৃথক নাগরিক গোষ্ঠী তৈরি করে। ইংরেজি মাধ্যমের শিক্ষার্থীরা প্রায়ই উচ্চশিক্ষা ও ভালো চাকরিতে আধিপত্য করে। ব্রিটিশ সহায়তায় চালু হওয়া ELTIP-এর মতো প্রকল্পগুলো যোগাযোগভিত্তিক পদ্ধতি প্রচার করেছে। কিন্তু প্রশিক্ষিত শিক্ষক না থাকায় এটি শহর ও গ্রামের স্কুলের মধ্যে ফাঁক আরও বাড়িয়েছে। ফলে ELT প্রায়ই সমানভাবে সাহায্য না করে শ্রেণিভেদকে আরও শক্তিশালী করে তোলে।
আরো পড়ুনঃ Teaching Vocabulary
সমালোচনা ও বিকল্প দৃষ্টিভঙ্গি: সব পণ্ডিত ফিলিপসনের সাথে একমত নন। বিসং (১৯৯৫) বলেন, আফ্রিকায় ইংরেজি কেবল একটি সংযোজন, হুমকি নয়। শিক্ষার্থীরা এখনও তাদের মাতৃভাষা দৈনন্দিন জীবনে ব্যবহার করতে পারে। পেনিকুক (১৯৯৪) ও কানাগারাজাহ (১৯৯৯) বলেন, ইংরেজি “appropriated” হতে পারে। এর মানে হলো মানুষ তাদের নিজস্ব সংস্কৃতি প্রকাশের জন্য ইংরেজিকে নতুনভাবে ব্যবহার করতে পারে। উদাহরণস্বরূপ, দক্ষিণ এশিয়ার লেখকরা ইংরেজি ব্যবহার করলেও নিজেদের পরিচয় বজায় রাখে। এইভাবে ELT কেবল ক্ষমতার হাতিয়ার নয়, বরং কণ্ঠস্বরও দিতে পারে।
উপসংহার: ভাষাগত সাম্রাজ্যবাদ দেখায় কিভাবে ইংরেজি বিশ্বকে প্রভাবিত করে এবং প্রায়ই স্থানীয় ভাষাকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। ELT স্কুল, বই ও পরীক্ষার মাধ্যমে ইংরেজি ছড়িয়ে দিয়ে কেন্দ্রীয় ভূমিকা পালন করে। বাংলাদেশে এটি শ্রেণিভেদ ও বৈষম্য তৈরি করে, যদিও একই সাথে বৈশ্বিক জ্ঞানের দরজাও খুলে দেয়। ফিলিপসনের তত্ত্ব আমাদের ইংরেজির রাজনৈতিক দিক দেখতে মনে করিয়ে দেয়। প্রকৃত চ্যালেঞ্জ হলো ইংরেজির প্রয়োজনের সাথে স্থানীয় ভাষা ও সংস্কৃতির প্রতি সম্মান বজায় রাখা।
