Teaching Grammar
ব্যাকরণ প্রতিটি ভাষার মেরুদণ্ড। এটি শব্দ ও বাক্যে গঠন এবং অর্থ প্রদান করে। ব্যাকরণ ছাড়া যোগাযোগ দুর্বল ও বিভ্রান্তিকর হয়ে পড়ে। ইংরেজি ভাষা শিক্ষায় ব্যাকরণ সবসময় একটি কেন্দ্রীয় বিষয় ছিল। সময়ের সাথে সাথে শিক্ষক ও ভাষাবিজ্ঞানীরা ব্যাকরণ শিক্ষাকে সহজ, আকর্ষণীয় ও কার্যকর করার জন্য বহু পদ্ধতি তৈরি করেছেন। প্রতিটি পদ্ধতি শেখার ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি প্রতিফলিত করে। কিছু নিয়মভিত্তিক, আবার কিছু ব্যবহার ও অনুশীলনের উপর গুরুত্ব দেয়। নিচে ব্যাকরণ শেখানোর প্রধান উপায়গুলো দেওয়া হলো।
ডিডাকটিভ পদ্ধতি: এই পদ্ধতিতে শিক্ষক প্রথমে নিয়ম ব্যাখ্যা করেন। এরপর শিক্ষার্থীরা উদাহরণ ও অনুশীলনের মাধ্যমে তা প্রয়োগ করে। যেমন, শিক্ষক প্রথমে Present Continuous Tense-এর নিয়ম বোঝান এবং তারপর শিক্ষার্থীদের দিয়ে বাক্য লিখান। এটি সহজ এবং সময় বাঁচায়। তবে শিক্ষার্থীরা নিষ্ক্রিয় শ্রোতা হয়ে যেতে পারে। তবুও, যখন দ্রুত শেখানো প্রয়োজন হয়, তখন এই পদ্ধতি উপযোগী। এটি প্রথাগত শ্রেণিকক্ষ ও পরীক্ষাভিত্তিক শিক্ষায় বেশি ব্যবহৃত হয়।
ইনডাকটিভ পদ্ধতি: এই পদ্ধতি উল্টোভাবে কাজ করে। শিক্ষার্থীরা প্রথমে উদাহরণ দেখে, তারপর নিজেরাই নিয়ম বের করে। যেমন, শিক্ষক কয়েকটি বাক্য দেন— “He is running,” “She is reading”— এবং শিক্ষার্থীরা সাধারণ নিয়ম আবিষ্কার করে। এই প্রক্রিয়ায় শিক্ষার্থীরা সক্রিয় চিন্তাশীল হয়ে ওঠে। তারা বেশি কৌতূহলী ও সৃজনশীল হয়। তবে এটি সময়সাপেক্ষ হতে পারে এবং দুর্বল শিক্ষার্থীদের বিভ্রান্ত করতে পারে। থর্নবেরি-র মতো ভাষাবিজ্ঞানীরা এই পদ্ধতিকে সমর্থন করেন, কারণ এটি গভীর বোঝাপড়া তৈরি করে।
আরো পড়ুনঃ Group Work Vs. Whole Class Activities and Teaching Large Classes
ইনডাকটিভ–ডিডাকটিভ পদ্ধতি: এই পদ্ধতিতে উপরোক্ত উভয়টি মিলিত হয়। প্রথমে শিক্ষার্থীরা উদাহরণ দেখে নিয়ম অনুমান করার চেষ্টা করে। তারপর শিক্ষক স্পষ্টভাবে নিয়ম ব্যাখ্যা করেন। এভাবে শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহণ করে আবার দিকনির্দেশনাও পায়। যেমন, Past Simple শেখাতে শিক্ষক কিছু বাক্য দেন, শিক্ষার্থীদের নিয়ম অনুমান করতে দেন এবং পরে তা নিশ্চিত করেন। এই পদ্ধতি অনুসন্ধান ও স্বচ্ছতার মধ্যে ভারসাম্য রাখে। এটি এখন আধুনিক শ্রেণিকক্ষে ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়।
ইনসিডেন্টাল পদ্ধতি: এই পদ্ধতিতে ব্যাকরণ সরাসরি শেখানো হয় না। শিক্ষার্থীরা পড়া, শোনা বা কথা বলার মাধ্যমে স্বাভাবিকভাবে ব্যাকরণ শিখে। যেমন, শিক্ষার্থীরা একটি গল্প পড়লে সেখানে past tense ফর্ম দেখে এবং প্রেক্ষাপটে তা আত্মস্থ করে। শিক্ষক নিয়মের উপর নয়, বরং অর্থ ও ব্যবহারের উপর গুরুত্ব দেন। এই পদ্ধতি শিশুদের প্রথম ভাষা অর্জনের মতো। তবে এটি ধীর হতে পারে এবং কিছু নিয়ম অস্পষ্ট থেকে যেতে পারে। তবুও এটি ব্যাকরণকে আরও ব্যবহারিক করে তোলে।
প্রসঙ্গভিত্তিক শিক্ষা: এই পদ্ধতিতে ব্যাকরণ বাস্তব জীবনের ব্যবহারের সাথে যুক্ত থাকে। নিয়ম আলাদাভাবে শেখার বদলে শিক্ষার্থীরা দৈনন্দিন পরিস্থিতির মাধ্যমে ব্যাকরণ শেখে। যেমন, “There is/There are” অনুশীলনের সময় শিক্ষার্থীরা নিজেদের শ্রেণিকক্ষের জিনিসপত্র বর্ণনা করে। প্রেক্ষাপট ব্যাকরণকে অর্থবহ ও স্মরণযোগ্য করে তোলে। রিচার্ডস এবং রডজার্সের মতো ভাষাবিজ্ঞানীরা উল্লেখ করেছেন, বাস্তব যোগাযোগের সাথে যুক্ত হলে ব্যাকরণ শিক্ষা আরও কার্যকর হয়। এই পদ্ধতি Communicative Language Teaching (CLT)-এ সাধারণ।
PPP ফ্রেমওয়ার্ক: PPP-এর অর্থ হলো Presentation, Practice, and Production। প্রথমে শিক্ষক নতুন নিয়ম উদাহরণসহ উপস্থাপন করেন। পরে শিক্ষার্থীরা নিয়ন্ত্রিত কার্যক্রমে তা অনুশীলন করে। শেষে তারা নিজেদের বাক্য তৈরি করে স্বাধীনভাবে বলা বা লেখায় তা প্রয়োগ করে। যেমন, “If clauses” শেখাতে শিক্ষক নিয়ম বোঝান, gap-fill কাজ দেন, এবং পরে শিক্ষার্থীরা ভূমিকা খেলার মাধ্যমে নিজেদের শর্তযুক্ত বাক্য তৈরি করে। এই পদ্ধতিতে নিয়ন্ত্রণ থেকে সৃজনশীলতার দিকে অগ্রগতি ঘটে। এটি ESL শ্রেণিকক্ষে ব্যাপকভাবে অনুসৃত হয়।
আরো পড়ুনঃ History of Language Teaching Methodology
উপসংহার: ব্যাকরণ শেখানো কোনো একক পদ্ধতিতে সীমাবদ্ধ নয়। ডিডাকটিভ, ইনডাকটিভ, ইনসিডেন্টাল, প্রসঙ্গভিত্তিক এবং PPP— প্রতিটিরই নিজস্ব শক্তি রয়েছে। শিক্ষার্থীর বয়স, স্তর ও প্রয়োজন অনুযায়ী শিক্ষকদের সঠিক পদ্ধতি বেছে নিতে হবে। ব্যাকরণকে শুধু নিয়ম হিসেবে দেখা উচিত নয়, বরং অর্থবহ যোগাযোগের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা উচিত। ভাষাবিজ্ঞানী স্কট থর্নবেরি তার “How to Teach Grammar” বইতে বলেছেন, লক্ষ্য শুধু নিয়ম জানা নয়, বরং বাস্তব জীবনে তা ব্যবহার করা।
