ডিলান টমাস ছিলেন একজন বিখ্যাত ওয়েলশ কবি ও লেখক। তিনি ১৯১৪ সালের ২৭ অক্টোবর ওয়েলসের সোয়ানসিতে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৩২ সালে তিনি পড়াশোনা ছেড়ে দেন এবং ‘দ্য সাউথ ওয়েলস ডেইলি পোস্ট’ পত্রিকায় সাংবাদিকতা শুরু করেন। তবে শীগ্রই তিনি তার পুরো সময় কবিতা লেখায় মনোনিবেশ করেন। জীবদ্দশাতেই টমাস ব্যাপক জনপ্রিয়তা অর্জন করেন। তার কিছু বিখ্যাত রচনা হলো “Do Not Go Gentle into That Good Night” (১৯৫১), “And Death Shall Have No Dominion” (১৯৩৩) এবং রেডিও নাটক “Under Milk Wood” (১৯৫৪)। এছাড়া “Fern Hill” এবং “Poem in October” অন্তর্ভুক্ত হয়েছে তার প্রসিদ্ধ ১৯৪৬ সালের সংকলন Deaths and Entrances-এ।
১৯৩৭ সালে টমাস কাইটলিন ম্যাকনামারাকে বিয়ে করেন। তাদের তিনটি সন্তান হয়। টমাসের জীবন বেশিরভাগ সময়েই ছিল অর্থকষ্ট এবং অতিরিক্ত মদ্যপানে জর্জরিত। তাকে প্রায়শই “roistering, drunken, and doomed poet” অর্থাৎ “হৈচৈপূর্ণ, মদ্যপ ও দূর্ভাগা কবি” বলা হয়। যদিও তিনি মাত্র ৩৯ বছর বেঁচেছিলেন, তবুও ডিলান টমাস ২০শ শতাব্দীর অন্যতম জনপ্রিয় কবি হয়ে উঠেছিলেন। তিনি ১৯৫৩ সালের ৯ নভেম্বর নিউইয়র্ক সিটিতে মৃত্যুবরণ করেন। তাকে সমাহিত করা হয়েছিল কারমারদেনশায়ারের লাফার্নের সেন্ট মার্টিনস চার্চইয়ার্ডে। তার সমাধিফলকে খোদাই করা আছে “Fern Hill” কবিতার শেষ দুটি লাইন:
“Time held me green and dying / Though I sang in my chains like the sea.”
(“সময় আমাকে চমৎকার শৈশব উপভোগের (আনন্দের) সুযোগ করে দিয়েছিল, তবে সময় থেমে থাকেনি / তবুও আমি শৃঙ্খলেই গান গেয়েছিলাম সাগরের মতো।”)
আরো পড়ুনঃ Words Bangla summary
Poem in October
Key Facts
- Title: Poem in October
- Poet: Dylan Marlais Thomas
- Written Date: 1944 (on the poet’s 30th birthday)
- Publication Date: 1946, in his collection of poetry “Deaths and Entrances”
- Form: Lyric Poem (personal, full of emotions and imagery)
- Meter and Rhyme Scheme: Thomas wrote the poem in blank/free verse. It means the poem does not have a rhyme scheme or consistent meter.
- Total Lines/Stanza: 7 stanzas, each with 10 lines (total: 70 lines). Each of the poem’s seven 10-line stanzas pulses from longer lines to shorter ones and back again.
- Tone: Joyful, Nostalgic, Serious, Thoughtful
Detailed Bangla Summary
প্রকৃতির মাঝে ভোরবেলায় হাঁটা: কবিতাটি শুরু হয় কবির ত্রিশতম জন্মদিনের সকালে। তিনি বলেন এটি তার “স্বর্গে যাবার ত্রিশতম বছর।” দিনটি বৃষ্টিমুখর অক্টোবরের সকাল। তিনি খুব ভোরে ঘুম থেকে উঠে হাঁটতে বের হন। শহর তখনও ঘুমিয়ে আছে। তিনি শহরের ভেতর দিয়ে এবং বন্দর ঘেঁষে হাঁটেন। তিনি বন্দরের শব্দ এবং নিকটস্থ বনের শব্দ শোনেন। তিনি শোনেন সমুদ্রপাখি সীগাল, কাকজাতীয় রুক্স-এর ডাক, আর জলের শব্দ। তিনি কল্পনা করেন, সেই জলের শব্দ যেন প্রার্থনার মতো, শান্ত ও অবিরাম। সমুদ্রের তীরকে তিনি বলেন “heron priested.” কারণ তিনি কল্পনা করেন বক যেন পুরোহিতের মতো সাগরপারকে আশীর্বাদ করছে। তিনি পালতোলা নৌকাগুলির শব্দও শুনতে পান, যেগুলো বন্দরের প্রাচীরের সাথে ধাক্কা খাচ্ছে। চারপাশের পৃথিবী যেন জীবন্ত হয়ে ওঠে, যেন প্রকৃতি নিজেই তার জন্মদিন উদযাপন করছে। ঘুমন্ত শহর ছেড়ে তিনি গ্রামাঞ্চলের দিকে হাঁটতে শুরু করেন।
শরতের বৃষ্টি আর অতীতের স্মৃতি: হাঁটতে হাঁটতে তিনি বহু পাখি লক্ষ্য করেন। তিনি জলচর পাখি আর গাছের পাখি দেখতে পান। পাখিগুলো খামারের উপর দিয়ে আর সাদা ঘোড়ারগুলোর উপর দিয়ে উড়ে বেড়াচ্ছে। হাঁটতে হাঁটতে শরতের বৃষ্টি নামতে শুরু করে (ইংল্যান্ডে শরৎ মানে সেপ্টেম্বর, অক্টোবর, নভেম্বর)। তার মনে হয়, বৃষ্টির সঙ্গে সঙ্গে তার অতীত জীবনের স্মৃতিগুলো তার ওপর ঝরে পড়ছে। তিনি দেখেন একটি বক শিকার ধরতে পানিতে ঝাঁপ দিচ্ছে। তিনি যতই গ্রামের দিকে এগিয়ে যান, পেছনের শহর ততই তার কাছ থেকে দূরে চলে যায়।
পাহাড়ে ওঠা ও আবহাওয়ার পরিবর্তন: এবার কবি একটি পাহাড়ে ওঠেন। তিনি দেখেন দলে দলে লার্কস পাখি মেঘের দিকে উড়ে যাচ্ছে। ঝোপ থেকে ব্ল্যাকবার্ডের সুর ভেসে আসছে। অক্টোবরের সূর্য হঠাৎ উষ্ণ মনে হয়, যেন গ্রীষ্মকাল। অক্টোবরের সূর্য যেন হঠাৎ-ই “গ্রীষ্মময়” হয়ে ওঠে। সে মুহূর্তে তিনি চারদিকে সৌন্দর্যে ভরপুর অনুভব করেন—পাখি, সঙ্গীত, বৃষ্টি আর ঠান্ডা হাওয়া। যদিও শরৎকাল, তার মনে হয় যেন গ্রীষ্মের মধ্যাহ্ন। নিচের বনের বৃষ্টি আর ঠান্ডা হাওয়া পেরিয়ে তিনি পাহাড়ে উঠে যান। বন্দরের দিকে ফিরে তাকিয়ে তিনি দেখেন সমুদ্রের উপর বৃষ্টি পড়ছে। তিনি গির্জার চারপাশে কুয়াশা দেখতে পান। দূর থেকে শহর খুব ছোট দেখায়। সমুদ্রতীরের গির্জাটি তার চোখে ছোট্ট শামুকের মতো লাগে। দূরের দুর্গগুলো দেখতে বাদামি রঙের পেঁচার মত মনে হয়। কল্পনায় তিনি দেখেন বসন্ত আর গ্রীষ্মের বাগানগুলো ফুলে ভরপুর। তিনি এই সুন্দর প্রকৃতির মাঝে আনন্দে আর আশ্চর্যে তার জন্মদিন কাটাতে পারতেন। কিন্তু হঠাৎ আবহাওয়া বদলে যায়।
গ্রীষ্ম আর শৈশবের স্মৃতি: আবহাওয়া বদলাতেই টমাসের মনে ফিরে আসে শৈশবের গ্রীষ্মের দিনগুলো। তিনি হঠাৎ উজ্জ্বল সূর্যের আলো অনুভব করেন এবং আপেল, নাশপাতি আর লাল কারেন্ট ফল দেখতে পান। তিনি স্মরণ করেন কিভাবে ছোটবেলার সকালে তিনি মায়ের সঙ্গে হাঁটতেন। সেই দিনগুলো ছিল রোদে ভরা, সবুজ মাঠে ঘেরা আর ছেলেবেলার আনন্দে পূর্ণ।
এই স্মৃতিগুলো তাকে গভীরভাবে স্পর্শ করে। তার মনে হয় ছোট্ট ছেলের হৃদয় আর চোখের জল এখনও তার ভেতরে জীবিত আছে। তিনি কল্পনা করেন সেই বন, নদী আর সমুদ্র, যেখানে ছোট্ট ছেলেটি আনন্দ পেয়েছিল। তিনি কল্পনা করেন গাছ, পাথর আর জোয়ারের মাছ, যেখানে তিনি ছেলেবেলায় গভীর আনন্দ খুঁজে পেয়েছিলেন। কবি আজও প্রকৃতির মধ্যে, পানির মধ্যে আর পাখির সঙ্গীতে একই আনন্দ অনুভব করেন।
ভবিষ্যতে একই আনন্দের জন্য প্রার্থনা: কবি পাহাড়ের উপর দাঁড়িয়ে থাকেন। তার মনে হয় এখন গ্রীষ্মকাল। তার ভেতরে এখনও ছেলেবেলার আনন্দ গান গাইছে। আজ তার ত্রিশতম জন্মদিন। তিনি পাহাড়ের চূড়ায় দাঁড়িয়ে আছেন গ্রীষ্মের মতো অনুভূতি নিয়ে। কিন্তু নিচের শহরে তখন শরৎকাল। গাছের পাতা লাল হয়ে যাচ্ছে। কবি এটিকে বলেন “October Blood।” কিন্তু কবি গ্রীষ্ম অনুভব করছেন। অর্থাৎ তিনি শৈশবের তারুণ্যের আনন্দ অনুভব করছেন। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে তখন শরৎ, অর্থাৎ তিনি এখন জীবনের মধ্যবয়সে। যদিও তিনি এখন মধ্যবয়সে পৌঁছে গেছেন, তবু তিনি প্রার্থনা করেন যেন ভবিষ্যতের জন্মদিনগুলোতেও তার হৃদয়ে একই আনন্দ থাকে। তিনি চান প্রতি বছর এই একই পাহাড়ে ফিরে আসতে এবং সেই একই আনন্দ অনুভব করতে, যা তিনি শিশুকালে অনুভব করেছিলেন।
শৈশব ও স্মৃতি: কবিতাটির একটি প্রধান থিম হলো শৈশব স্মৃতির গুরুত্ব। ত্রিশতম জন্মদিনে ডিলান টমাস সকালে হাঁটতে বের হন এবং তিনি যান ওয়েলশ গ্রামের প্রান্তরে, যেখানে তিনি শৈশব কাটিয়ে বড় হয়েছিলেন। তিনি সেখানে দেখেন সুন্দর প্রকৃতি আর সূর্যের আলো। তিনি একটি পাহাড়ে ওঠেন। হঠাৎ তার নিজের শৈশবের কথা মনে পড়ে। তিনি ফল, পাখি, রোদ আর সবুজ মাঠের ছবি দেখেন, যা তাকে মনে করিয়ে দেয় সেই দিনগুলোর কথা যখন তিনি ছোট্ট ছেলে ছিলেন এবং মায়ের সাথে হাঁটতেন। এসব স্মৃতিতে আসে শৈশবের কমলতা, আনন্দ আর বিস্ময়। টমাস অনুভব করেন যে তার ভেতরে সেই ছোট্ট ছেলেটি এখনো বেঁচে আছে। স্মৃতিগুলো এত শক্তিশালী যে তিনি নিজের মধ্যে সেই ছোট্ট ছেলেটির হৃদয় আর চোখের জল অনুভব করেন। এই থিমের মাধ্যমে কবি দেখাতে চেয়েছেন যে শৈশব হলো পবিত্রতা আর সুখের এক বিশেষ সময়। আমরা বড় হলেও, সেই মুহূর্তগুলো আমাদের হৃদয়ে জীবন্ত থেকে যায়।
প্রকৃতি ও সময়ের প্রবাহ: আরেকটি প্রধান থিম হলো কিভাবে প্রকৃতি একই সঙ্গে বর্তমান আর অতীতকে তুলে ধরে। ত্রিশতম জন্মদিনে টমাস শরতের বৃষ্টি, সাগর, পাখি আর মেঘ লক্ষ্য করেন। এই শরতের দৃশ্যগুলো তাকে সময়ের প্রবাহ আর নিজের বয়স বাড়ার কথা মনে করিয়ে দেয়। কিন্তু প্রকৃতির মধ্যে দাঁড়িয়ে তিনি আবার গ্রীষ্ম আর বসন্তের সৌন্দর্যও অনুভব করেন, যেন শৈশবের ঋতুগুলো তার কাছে ফিরে আসে। প্রকৃতি হয়ে ওঠে তার বর্তমান জীবন (প্রাপ্তবয়স্ক) আর অতীত (শৈশব)-এর মধ্যে একটি সেতু। আবহাওয়ার পরিবর্তন—বৃষ্টি থেকে হঠাৎ রৌদ্রজ্বল আবহাওয়া—দেখায় সময় কিভাবে বদলায়। এটি আরও দেখায় যে স্মৃতি পুরোনো আনন্দকে আবার ফিরিয়ে আনতে পারে।
Symbols
কবিতায় গ্রীষ্মকাল হলো শৈশব আর যৌবনের প্রতীক। এটি আনন্দ, শক্তি আর কমলতার প্রতীক। কবি তার শৈশবের “গ্রীষ্মকাল” স্বরণ করেন, যখন সবকিছু উজ্জ্বল, আনন্দের আর ম্যাজিক্যাল মনে হতো। এখানে গ্রীষ্ম মানে জীবনের সুখী ও খেলাধুলাপূর্ণ সময়।
শরৎকাল হলো প্রাপ্তবয়স্ক জীবন আর বয়স বৃদ্ধির প্রতীক। এটি পরিবর্তন, পরিপক্কতা আর সময়ের প্রবাহকে বোঝায়। ত্রিশতম জন্মদিনে কবি মনে করেন তিনি জীবনের “শরৎকালে” এসে পৌঁছেছেন। তবে শরৎকাল আবার গ্রীষ্মের স্মৃতিও জাগিয়ে তোলে। এটি দেখায় যে শৈশবের আনন্দ এখনও তার ভেতরে বেঁচে আছে।
শরতের বৃষ্টি অতীত জীবনের স্মৃতির প্রতীক। যখন বৃষ্টি পড়ে, কবির মনে হয় “আমার জীবনের সব দিন আমার ওপর বৃষ্টির মত ঝরছে।” বৃষ্টির ফোঁটা তাকে শৈশব আর যৌবনের কথা মনে করিয়ে দেয়।
আরো পড়ুনঃ Morning Song Bangla summary
Important Quotes
1. “It was my thirtieth year to heaven”
“দিনটি ছিল আমার জীবনের ত্রিশতম বছর”
Explanation: Thomas writes this poem as a celebration of his thirtieth birthday. He also sees his life as a spiritual journey toward heaven. This is a religious element in this poem.
2. “…the heron
Priested shore”
“তীরের ধারে দাঁড়িয়ে থাকা বকটি যেন পুরোহিতের মতো পবিত্র দেখাচ্ছিল”
Exp: The poet imagines the heron as a priest blessing the land. This is another religious element.
3. “The morning beckon
With water praying and call of seagull and rook”
“সকাল যেন আমাকে ডাকছিল
জল যেন প্রার্থনা করছিল, আর আমি সীগাল (গাঙচিল) আর কাকের ডাক শুনলাম”
Exp: Thomas is describing the early morning nature near the sea shore. He hears the call of seagulls and rook. The sound of water seems like a praying sound to him, calm and continuous. So, nature is alive here, full of sound.
4. “And I rose
In rainy autumn
And walked abroad in a shower of all my days.”
“আমি উঠে দাঁড়ালাম
সেটি ছিল এক বৃষ্টিভেজা শরতের দিন
আমি বাইরে হাঁটতে লাগলাম, আর সেই বৃষ্টি যেন আমার জীবনের সব দিনের স্মৃতির মত আমার উপরে পড়ছিল।”
Exp: It is a rainy Autumn morning. The poet imagines the rain is showering down all his past days on him. It means the rain is brining back his memories.
5. “And I saw in the turning so clearly a child’s
Forgotten mornings when he walked with his mother”
“আর সেই পরিবর্তনের মধ্যে আমি স্পষ্ট দেখতে পেলাম একটি শিশুকে
যে শিশুটি আমার ভুলে যাওয়া সকালগুলোতে তার মায়ের সঙ্গে হাঁটত”
Exp: The poet feels that Autumn has suddenly changed to summer. He goes back to his childhood summer when he walked with his mother. Hence, the beautiful nature on the hill brings back his childhood memories.
6. “O may my heart’s truth
আরো পড়ুনঃ Crossing the Water Bangla Summary
Still be sung
On this high hill in a year’s turning.”
“হে ঈশ্বর, আমার হৃদয়ের সত্য আনন্দ যেন
গান হয়ে বেজে
আবার যেন আগামী বছরে এই উঁচু পাহাড়ে ফিরে আসে।”
Exp: Thomas ends the poem with a prayer. He wishes to return to the same high hill every year and feel the same joy he felt as a child.

Not so good
So so
Thank you 😊