A Doll’s House
সংক্ষিপ্ত জীবনী: হেনরিক ইবসেন (Henrik Ibsen)
হেনরিক ইবসেন ১৮২৮ সালের ২০ মার্চ নরওয়ের স্কিয়েন (Skien) শহরে জন্মগ্রহণ করেন। তার পুরো নাম ছিল Henrik Johan Ibsen। তিনি ছিলেন এক বিশিষ্ট নাট্যকার ও কবি, যাকে আধুনিক নাটকের জনক (Father of Modern Drama) বলা হয়। ছোটবেলা থেকেই তিনি এক মধ্যবিত্ত পরিবারে বড় হন, কিন্তু পরিবার আর্থিক সংকটে পড়লে তার শৈশব কঠিন হয়ে ওঠে। ইবসেন প্রথমে চিকিৎসাশাস্ত্র পড়ার চেষ্টা করেছিলেন, তবে শিগগিরই সাহিত্য ও নাট্যরচনায় মনোনিবেশ করেন। তিনি নরওয়ের Bergen এবং পরে Christiania (বর্তমান Oslo) থিয়েটারের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। জীবনের দীর্ঘ সময় জার্মানি ও ইতালিতে নির্বাসিত অবস্থায় কাটালেও তিনি সেখানেই তার বিখ্যাত নাটকগুলো রচনা করেন। ইবসেনের রচনায় সমাজ, পরিবার, ব্যক্তিস্বাধীনতা, নৈতিক দ্বন্দ্ব ও আধুনিক মানুষের সংকট গভীরভাবে প্রতিফলিত হয়েছে। ইবসেন ছিলেন সংযমী ও আত্মমগ্ন মানুষ। তিনি ১৮৫৮ সালে Suzannah Thoresen-কে বিয়ে করেন। তাদের একমাত্র সন্তান Sigurd Ibsen পরবর্তীতে নরওয়ের একজন গুরুত্বপূর্ণ রাজনীতিবিদ হন। ইবসেন প্রায় তিন দশক নরওয়ের বাইরে কাটিয়েছিলেন, তবে জীবনের শেষ ভাগে দেশে ফিরে আসেন। ইবসেনের নাটকে দেখা যায় বাস্তববাদী ভাষা, মানসিক গভীরতা এবং সামাজিক সত্যের উন্মোচন। তার নাটকগুলোতে চরিত্ররা সমাজ ও পরিবার থেকে আরোপিত নিয়মের বিরুদ্ধে লড়াই করে। এজন্য তাকে “সমাজের নাট্যকার” বলা হয়। তার বিখ্যাত রচনাসমূহ,
- A Doll’s House (১৮৭৯): নোরা নামক এক নারীর আত্মমুক্তি ও স্বাধীনতার সন্ধানকে কেন্দ্র করে লেখা।
- Ghosts (১৮৮১): নৈতিক ভণ্ডামি, উত্তরাধিকারসূত্রে পাওয়া রোগ ও সামাজিক কুসংস্কার নিয়ে লেখা।
- Hedda Gabler (১৮৯০): হেড্ডা নামের এক জটিল নারী চরিত্রের অসন্তোষ, বিদ্রোহ ও মানসিক দ্বন্দ্বকে কেন্দ্র করে।
- Peer Gynt (১৮৬৭): নরওয়েজিয়ান লোককাহিনীভিত্তিক একটি কাব্যনাট্য।
- An Enemy of the People (১৮৮২): সত্য বলা ও সমাজের বিরোধিতার দ্বন্দ্ব নিয়ে রচিত নাটক।
- The Wild Duck (১৮৮৪): পারিবারিক গোপনীয়তা ও বাস্তব বনাম ভ্রান্তির লড়াই।
ইবসেন জীবদ্দশাতেই ইউরোপজুড়ে খ্যাতি অর্জন করেছিলেন। তার নাটকগুলো আজও সারা পৃথিবীতে মঞ্চস্থ হয় এবং সমাজ, নারীস্বাধীনতা ও আধুনিক জীবনের সমস্যাকে আলোচনায় আনে। তিনি ১৯০০ সালের পর থেকে অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং ১৯০৬ সালের ২৩ মে নরওয়ের ক্রিস্টিয়ানিয়া (বর্তমান অসলো)-তে মৃত্যুবরণ করেন। তাকে অসলোতেই সমাহিত করা হয়। হেনরিক ইবসেন আধুনিক নাটকের জনক হিসেবে স্বীকৃত। তাকে বলা হয় “Shakespeare-এর পর সবচেয়ে বেশি অভিনীত নাট্যকার।” তার নাটকগুলোতে তিনি মানুষের আত্মসংগ্রাম ও সত্যের মুখোমুখি হওয়ার শক্তি তুলে ধরেছেন। আজও তিনি বিশ্বসাহিত্যের এক অমর প্রতিভা।
আরো পড়ুনঃ Crime and Punishment Bangla Summary
Key Facts
- Full Title: A Doll’s House
- Original Title: Et Dukkehjem (Norwegian)
- Author: Henrik Ibsen (1828–1906)
- Title of the Author: Father of Modern Drama; Realist and Naturalist Playwright
- Source: Inspired by real-life events, particularly the story of Laura Kieler (a friend of Ibsen), whose desperate act of forging her husband’s signature and the resulting consequences deeply influenced the play.
- Written Time: 1879 (while Ibsen was living in Italy)
- First Published: 1879 (in Copenhagen, Denmark)
- Publisher: Gyldendal (Norwegian publishing house)
- Genre: Realist Drama / Problem Play / Modern Tragedy / Feminist Literature
- Form: Three-act prose play (drama)
- Structure: Well-made play with exposition, rising conflict, climax, and open-ended resolution; focuses on dialogue-driven realism and psychological conflict.
- Tone: Serious, realistic, dramatic, critical, and revolutionary; challenges social norms with emotional intensity.
- Point of View: Stage play (no narrator); audience understands characters through dialogue and stage directions.
- Significance: A landmark of modern drama; it shocked 19th-century audiences with its criticism of marriage, gender roles, and societal expectations. It remains one of the most performed plays worldwide and is a cornerstone of feminist literature.
- Language: Originally written in Norwegian (later translated into many languages).
- Famous Line: “I believe that before all else I am a reasonable human being, just as you are—or, at all events, that I must try and become one.” (Nora Helmer)
- Setting:
- Time Setting: Late 19th century (contemporary to Ibsen’s time).
- Place Setting: The Helmer household (living room of Nora and Torvald Helmer’s house, in Norway).
Key Notes – বাংলা
- মূল নাম (Original Title) – Et Dukkehjem: নাটকটির নরওয়েজিয়ান মূল নাম হলো Et Dukkehjem, যার অর্থ “একটি পুতুলের ঘর” (A Doll’s House)। ইবসেন এটি ১৮৭৯ সালে লেখেন এবং একই বছর কোপেনহেগেনে প্রথম প্রকাশিত হয়।
- A Doll’s House – নামের তাৎপর্য: “A Doll’s House” মানে পুতুলের ঘর। এখানে নোরা হেলমারের জীবনকে প্রতীকীভাবে দেখানো হয়েছে। সে টরভাল্ডের চোখে যেন এক “পুতুল” সাজানো, নিয়ন্ত্রিত, এবং স্বাধীনতাহীন। তাই তাদের সংসার কেবলমাত্র বাহ্যিক সুখের একটি অভিনয়, ভেতরে শূন্যতা।
Key Notes – English
- Original Title – Et Dukkehjem: The original Norwegian title of the play is Et Dukkehjem, which means “A Doll’s House.” Ibsen wrote it in 1879, and it was first published in Copenhagen in the same year.
- A Doll’s House – Significance of the Title: “A Doll’s House” means a doll’s home. Here, the life of Nora Helmer is shown symbolically. In Torvald’s eyes, she is like a doll; decorated, controlled, and without freedom. Thus, their household is nothing more than an outward show of happiness, while inside it is empty.
A Doll’s House – Background (বাংলায়)
হেনরিক ইবসেন ১৮৭৯ সালে A Doll’s House (Et Dukkehjem) নাটকটি লেখেন এবং একই বছর এটি কোপেনহেগেনে প্রথম মঞ্চস্থ হয়। এই নাটকের প্রেরণা আসে বাস্তব জীবনের এক ঘটনার ওপর ভিত্তি করে। ইবসেনের ঘনিষ্ঠ বন্ধু লরা কিয়েলার (Laura Kieler) তার স্বামীর অসুস্থতা সারাতে অর্থের ব্যবস্থা করার জন্য স্বামীর স্বাক্ষর জাল করেন। যখন ঘটনা প্রকাশ পায়, তখন সমাজ ও পরিবার তাকে তীব্রভাবে প্রত্যাখ্যান করে। এই ঘটনা ইবসেনকে নাড়া দেয় এবং তিনি সমাজে নারীর অধিকার, দাম্পত্য সম্পর্কের ভণ্ডামি ও পুরুষতান্ত্রিক প্রথার বিরুদ্ধে A Doll’s House রচনা করেন।
ইবসেন নিজেও নরওয়ের মধ্যবিত্ত সমাজে নারীদের সীমিত স্বাধীনতা ও আরোপিত দায়িত্বের বাস্তবতা লক্ষ্য করেছিলেন। তার নাটকে নোরা হেলমার চরিত্রটি সেই সমাজের প্রতিনিধি। নোরা প্রথমে অনুগত স্ত্রী ও মা হলেও শেষে নিজের স্বতন্ত্র পরিচয় খোঁজার জন্য স্বামী ও সন্তানকে ছেড়ে চলে যায়। এটি ১৯শ শতকের ইউরোপে এক বিপ্লবী চিন্তার প্রতিফলন। নাটকটি মূলত তিন অঙ্কে বিভক্ত:
- নোরার সুখী সংসারের বাহ্যিক ছবি, যেখানে সে “পুতুলের ঘর”–এর ভেতর আটকে আছে।
- টরভাল্ড হেলমারের কর্তৃত্ব ও সমাজের চাপে নোরার গোপন কাজ (ঋণ ও জাল স্বাক্ষর) প্রকাশ পায়।
- নোরার উপলব্ধি, বিদ্রোহ ও আত্মমুক্তির সিদ্ধান্ত, যেখানে সে পরিবারের বন্ধন ছিঁড়ে নিজের স্বাধীন অস্তিত্ব খুঁজে বের করার জন্য ঘর ছাড়ে।
নাটকের মাধ্যমে ইবসেন দেখিয়েছেন, নারী কেবলমাত্র সংসারের সাজসজ্জার অংশ নয়, বরং সে একজন স্বাধীন ব্যক্তি। প্রকাশের পর নাটকটি ইউরোপে ব্যাপক আলোচনার জন্ম দেয় এবং একে নারী স্বাধীনতার মাইলফলক হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়। A Doll’s House আধুনিক নাটকের ইতিহাসে এক নতুন অধ্যায়ের সূচনা করে। এখানে দৈনন্দিন জীবনের বাস্তবতা, সামাজিক ভণ্ডামি ও ব্যক্তিস্বাধীনতার প্রশ্ন একত্রে উঠে এসেছে। নাটকটির সমাপ্তি, নোরার দরজা বন্ধ করে চলে যাওয়া, শুধু নাট্য ইতিহাসেই নয়, বরং বিশ্বসাহিত্যে নারীর আত্মমুক্তির প্রতীক হয়ে আছে।
চরিত্রসমূহ (A Doll’s House)
প্রধান চরিত্রসমূহ (Major Characters)
- Nora Helmer (নোরা হেলমার): নাটকের নায়িকা। টরভাল্ড হেলমারের স্ত্রী এবং তিন সন্তানের মা। শুরুতে তাকে এক খুশি, সরল, শিশুসম ও “পুতুলসদৃশ” স্ত্রী হিসেবে দেখা যায়। কিন্তু নাটকের শেষে নোরা নিজের স্বাধীনতা ও আত্মপরিচয়ের জন্য সংসার ছেড়ে যায়। তার চরিত্র নারীর আত্মমুক্তি, বিদ্রোহ ও আত্ম-সচেতনতার প্রতীক।
- Torvald Helmer (টরভাল্ড হেলমার): নোরার স্বামী। তিনি এক ব্যাংক ম্যানেজার, আত্মকেন্দ্রিক এবং কর্তৃত্বপরায়ণ। তিনি নোরাকে ভালোবাসলেও তাকে সমান মানুষ হিসেবে দেখেন না, বরং “পুতুল” বা “খেলনা” ভেবে থাকেন। তার চরিত্র পুরুষতান্ত্রিক সমাজব্যবস্থা ও দাম্পত্য জীবনের ভণ্ডামির প্রতীক।
- Krogstad (ক্রগস্ট্যাড): টরভাল্ডের ব্যাংকে কর্মরত এক আইনজীবী। একসময় জালিয়াতির কারণে তার সুনাম নষ্ট হয়। সে নোরার গোপন ঋণ এবং জাল স্বাক্ষরের রহস্য ফাঁস করার হুমকি দেয়। তার চরিত্র সমাজের কঠোর আইনব্যবস্থা, প্রতিশোধ এবং পরবর্তীতে পরিবর্তনের প্রতীক।
- Mrs. Linde (ক্রিস্টিন লিন্ডে): নোরার পুরোনো বান্ধবী। ক্রগস্ট্যাডের সাবেক প্রেমিকা। স্বামী মারা যাওয়ার পর কঠিন জীবনযাপন করে। সে টরভাল্ডের ব্যাংকে চাকরির আশায় আসে এবং শেষ পর্যন্ত ক্রগস্ট্যাডের সঙ্গে সম্পর্ক পুনর্গঠন করে। তার চরিত্র আত্মনির্ভরতা, ত্যাগ এবং বাস্তববাদী জীবনের প্রতীক।
- Dr. Rank (ডক্টর র্যাঙ্ক): হেলমার পরিবারের ঘনিষ্ঠ বন্ধু। মরণব্যাধি (যক্ষ্মা)–তে আক্রান্ত। তিনি গোপনে নোরাকে ভালোবাসেন, কিন্তু তার ভালোবাসা কখনোই প্রকাশ্যে স্বীকৃতি পায় না। তার চরিত্র জীবনের দুঃখ, গোপন যন্ত্রণা এবং নীরব আত্মত্যাগের প্রতীক।
গৌণ চরিত্রসমূহ (Minor Characters)
- The Helmer Children (হেলমার পরিবারের সন্তানরা): নোরা ও টরভাল্ডের তিনটি ছোট সন্তান। নাটকে তাদের উপস্থিতি সংক্ষিপ্ত হলেও, তারা নোরার মাতৃত্ব এবং পরিবারকে কেন্দ্র করে নারীর সীমাবদ্ধতাকে ফুটিয়ে তোলে।
- The Nurse (অ্যানি মেরি – দাই মা): নোরার সন্তানদের দেখাশোনা করা পরিচর্যাকারী। একসময় নিজের সন্তানকে ত্যাগ করে চাকরি নিতে বাধ্য হয়েছিল। তার চরিত্র নারীর ত্যাগ ও আর্থিক নির্ভরতার প্রতীক।
- The Maid (দাসী): বাড়ির কাজ করা এক চাকরানি। নাটকে তার ভূমিকা ছোট হলেও, সে হেলমার পরিবারের আরামদায়ক জীবনযাত্রার অংশকে প্রতিফলিত করে।
- The Porter (দরোয়ান): নাটকের শুরুতে ক্রিসমাসের জিনিসপত্র নিয়ে প্রবেশ করে। তার ভূমিকা সংক্ষিপ্ত হলেও, সে নাটকের গৃহস্থালি ও সামাজিক পরিবেশ ফুটিয়ে তোলে।
পরিবার ও সম্পর্ক
- Helmer Family (হেলমার পরিবার): নোরা, টরভাল্ড ও তাদের তিন সন্তানকে ঘিরেই নাটকের কেন্দ্র। তাদের বাহ্যিক সুখী সংসার ভেতরে ছিলো “পুতুলের ঘর”–এর মতো ভঙ্গুর, যেখানে দাম্পত্য সম্পর্কে ভালোবাসার পরিবর্তে কর্তৃত্ব ও সামাজিক ভণ্ডামি কাজ করে।
বাংলা প্লট সামারি
ক্রিসমাসের আগের দিন নোরা ও টরভাল্ড: নাটকের শুরুতে নোরা হেলমার (Nora Helmer) হাতে অনেকগুলো উপহারের প্যাকেট নিয়ে প্রবেশ করে তাদের আরামদায়ক ও রুচিসম্মত লিভিং রুমে। এটি ক্রিসমাসের আগের দিন। নোরা খুব আনন্দিতভাবে ঘরে ঢোকে এবং একটি ক্রিসমাস ট্রি দরোয়ান (Porter)-এর সাহায্যে ভেতরে আনে। দরোয়ানকে সে এক শিলিং দেয় এবং হেলেন (Helen) নামের দাসীকে বলে গাছটি লুকিয়ে রাখতে যাতে বাচ্চারা তা না দেখে। এরপর নোরা কিছু মিষ্টি (macaroons) খেয়ে স্বামীর ঘরের দরজার কাছে গিয়ে শোনে। টরভাল্ড হেলমার (Torvald Helmer) স্টাডি রুম থেকে নোরাকে ডেকে মিষ্টি নামে সম্বোধন করে, যেমন “আমার ছোট্ট লার্ক” এবং “আমার ছোট্ট কাঠবিড়ালি”।
তাদের কথোপকথনে দেখা যায় টরভাল্ড নোরাকে আদর করে, তবে তার খরচ করার অভ্যাস নিয়ে মজা করে এবং কিছুটা বকাও দেয়। ক্রিসমাস উপলক্ষে নোরা উপহার কিনে খুশি হলেও টরভাল্ড তাকে মনে করিয়ে দেয় যে অর্থ অপচয় করা ঠিক নয়। কথোপকথনের মাধ্যমে জানা যায়, হেলমার পরিবার গত কয়েক বছর আর্থিক টানাপোড়েনে ভুগেছে। তবে সম্প্রতি টরভাল্ড ব্যাংকের নতুন ম্যানেজার নিযুক্ত হয়েছেন। তিনি এখনো বড় অঙ্কের বেতন হাতে পাননি, তবে ভবিষ্যতে পরিবারের অর্থনৈতিক অবস্থা অনেক ভালো হবে বলে আশা করা হচ্ছে। এই পরিস্থিতির কারণে নোরা এবার একটু বেশি খরচ করার সাহস দেখাচ্ছে।
মিসেস লিন্ডের আগমন ও নোরার অতীত: হেলেন (Helen), হেলমার পরিবারের গৃহপরিচারিকা, এসে জানায় একজন লেডি এসেছেন। তিনি আসলে নোরা হেলমার (Nora Helmer)-এর পুরোনো স্কুল-বন্ধু মিসেস লিন্ডে (Mrs. Linde)। দীর্ঘ নয়-দশ বছর পর তাদের দেখা হয়। নোরা প্রথমে তাকে চিনতে পারে না, পরে অবাক হয়ে চিনতে পারে এবং আনন্দিত হয়। ডক্টর র্যাঙ্ক (Dr. Rank) তখন আসেন, ঠিক যখন মিসেস লিন্ডে (Mrs. Linde) এবং নোরা হেলমার (Nora Helmer) আলাপ করছিল। ড. র্যাঙ্ক স্টাডি রুমে টরভাল্ড এর কাছে চলে যান।
আলাপচারিতায় নোরা জানতে পারে যে মিসেস লিন্ডের স্বামী বহু বছর আগে মারা গেছেন। মৃত্যুর সময় তিনি কোনো অর্থ সম্পদ রেখে যাননি। তাদের কোনো সন্তানও ছিল না। ফলে মিসেস লিন্ডে একা হয়ে গেছেন এবং জীবনযুদ্ধে তাকে একা লড়াই করতে হয়েছে। এর উত্তরে নোরা নিজের বিয়ের প্রথম দিককার সময়ের কথা শোনায়। সে বলে যে নোরা ও টরভাল্ড হেলমার (Torvald Helmer) তখন আর্থিক কষ্টে ছিল। সংসার চালাতে দুজনকেই পরিশ্রম করতে হতো। কিন্তু বিয়ের পরপরই টরভাল্ড অসুস্থ হয়ে পড়ে। তখন ডাক্তাররা জানায় যে, তার জীবন বাঁচাতে হলে তাকে দক্ষিণ দেশে (Italy) নিয়ে যেতে হবে। ফলে নোরা ও টরভাল্ডকে ইতালি ভ্রমণে যেতে হয়েছিলো, যা তাদের জীবনের বড় এক ঘটনা।
মিসেস লিন্ডের শূন্যতা ও নোরার গোপন ঋণ: এরপর নোরা হেলমার (Nora Helmer) তার পুরোনো বান্ধবী মিসেস লিন্ডে (Mrs. Linde)-এর খোঁজ খবর নেয়। মিসেস লিন্ডে জানায় যে, অনেক বছর ধরে তিনি তার অসুস্থ মায়ের দেখাশোনা করেছেন এবং ছোট দুই ভাইকে মানুষ করেছেন। এখন তার মা মারা গেছেন এবং ভাইয়েরাও বড় হয়ে স্বাবলম্বী হয়েছে। ফলে তার জীবনে আর কারো জন্য কিছু করার নেই। এতে তার জীবন শূন্য ও নিরানন্দ হয়ে পড়েছে। তাই সে নতুনভাবে শুরু করার জন্য শহরে এসেছে। সে আশা করছে যে, টরভাল্ড হেলমার (Torvald Helmer) ব্যাংকের নতুন ম্যানেজার হওয়ায় হয়তো তার জন্য কোনো চাকরির ব্যবস্থা করতে পারবেন। নোরা প্রতিশ্রুতি দেয় যে, সে টরভাল্ডের সঙ্গে কথা বলবে।
আলাপচারিতার এক পর্যায়ে নোরা মিসেস লিন্ডেকে একটি বড় গোপন কথা জানায়, যা টরভাল্ড জানে না। নোরা বলে, যখন টরভাল্ড অসুস্থ হয়ে পড়েছিল তখন ডাক্তাররা তার জীবন বাঁচাতে দক্ষিণ দেশে (Italy) যাওয়ার পরামর্শ দেয়। কিন্তু সেই ভ্রমণের জন্য বিপুল টাকা দরকার ছিল। নোরা আইন ভেঙে টাকার ব্যবস্থা করে। আসলে সে তার বাবার স্বাক্ষর জাল করে (forged signature) ঋণ নেয়। টরভাল্ডকে সে বলেছিলো, টাকা তার বাবাই দিয়েছেন। এরপর থেকে নোরা নিজের হাতে কাজ করে, যেমন সেলাই ও কপি লেখার কাজ, সেই ঋণ শোধ করে আসছে। সে গর্বের সঙ্গে বলে যে খুব তাড়াতাড়িই এই ঋণ শোধ হয়ে যাবে।
ক্রগস্ট্যাডের অতীত ও নোরার গোপন ঋণ: ক্রগস্ট্যাড (Krogstad) টরভাল্ড হেলমার (Torvald Helmer)-এর ব্যাংকে একটি নিচু পদে চাকরি করে। অনেক আগে তিনি জালিয়াতির দায়ে কলঙ্কিত হয়েছিলেন। আসলে ক্রগস্ট্যাড অতীতে একজন আইনজীবী (lawyer) হিসেবে কাজ করতেন। কিন্তু একসময় তিনি একটি জাল স্বাক্ষর (forgery) করেন, যার ফলে তার সামাজিক সুনাম ধ্বংস হয়ে যায়। সমাজে সবাই তাকে অবিশ্বস্ত ও অনৈতিক মানুষ হিসেবে দেখতে শুরু করে। এই কলঙ্ক তার জীবন ভীষণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করে। আর্থিক টানাপোড়েনের কারণে সে টরভাল্ড হেলমার (Torvald Helmer)-এর ব্যাংকে নিচু পদে চাকরি করছিল। ব্যাংকে চাকরি থাকলেও সে বারবার মনে করত, তার এই খারাপ অতীতের কারণে মানুষ তাকে ঘৃণা করে এবং তার পদ যেকোনো সময় চলে যেতে পারে। ব্যাংকে তার অবস্থান ছিল দুর্বল, তাই টরভাল্ড যখন মিসেস লিন্ডেকে চাকরি দিতে চাইলেন, তখন ক্রগস্ট্যাডের চাকরি চলে যাওয়ার ঝুঁকি দেখা দিল।
একদিন তিনি হেলমারদের বাড়িতে আসেন। ক্রগস্ট্যাডকে দেখে নোরা হেলমার (Nora Helmer) কিছুটা অস্বস্তি বোধ করে। নোরা মনে করে ক্রগস্ট্যাড নিচু নৈতিকতার মানুষ। টরভাল্ড হেলমার (Torvald Helmer) তার সঙ্গে আলাদা ঘরে কথা বলেন। পরে টরভাল্ড নোরাকে বলে যে মিসেস লিন্ডে (Mrs. Linde)-কে ব্যাংকে চাকরি দেওয়া হবে। এদিকে ডক্টর র্যাঙ্ক (Dr. Rank) স্টাডি রুমে যান, মিসেস লিন্ডেও সেখান থেকে বের হয়ে যান। তখন নোরা ঘরে একা থাকে। এর কিছুক্ষণ পর নোরার বাচ্চারা তাদের দাই মা অ্যান-মেরি (Anne-Marie)-এর সঙ্গে ঘরে ফিরে আসে। নোরা আনন্দের সঙ্গে সন্তানদের সঙ্গে খেলতে থাকে।
আরো পড়ুনঃ The Metamorphosis Bangla Summary
হঠাৎ ক্রগস্ট্যাড আবার ঘরে প্রবেশ করে। নোরাকে সে বলে যে টরভাল্ড তাকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করতে চলেছেন। সে চায় নোরা যেন টরভাল্ডকে বোঝায় তাকে চাকরিতে রাখার জন্য। কারণ তার চাকরি গেলে তার সুনাম ও ভবিষ্যৎ পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে যাবে। যদি নোরা এতে রাজি না হয়, তবে ক্রগস্ট্যাড তার বড় গোপন তথ্য প্রকাশ করে দেবে। সত্যি হলো, নোরা বাবার স্বাক্ষর জাল করে ক্রগস্ট্যাডের কাছ থেকেই ঋণ নেয়। ক্রগস্ট্যাড (Krogstad) যখন একজন আইনজীবী (lawyer) ছিলেন, তখন তার আর্থিক অবস্থা মোটামুটি স্থিতিশীল ছিল।
সে-সময় তিনি নোরা হেলমার (Nora Helmer)-কে টাকা ধার দিয়েছিলেন। ঋণ দেওয়ার মতো সামর্থ্য তখন তার ছিল। নোরা নিজে তখন আইনগতভাবে ঋণ নেওয়ার যোগ্য ছিল না। নাটকের সময়ে (১৯শ শতকের নরওয়ে সমাজে) একজন নারী স্বামীর অনুমতি বা পিতার নিশ্চয়তা ছাড়া স্বাধীনভাবে বড় অঙ্কের টাকা ধার নিতে পারতেন না। তাই ক্রগস্ট্যাড আইনি নিয়ম মেনে একটি প্রতিশ্রুতিপত্র (bond) তৈরি করে, যাতে নোরার বাবার স্বাক্ষর থাকতে হবে। বাবার স্বাক্ষর থাকলে সেটি আইনি দিক থেকে বৈধ হতো। কিন্তু সমস্যা হলো, নোরা বাবার অনুমতি নেয়নি। সে গোপনে বাবার স্বাক্ষর জাল করে। এটিই তার “বড় গোপন তথ্য” এবং ক্রগস্ট্যাডের ব্ল্যাকমেইলের প্রধান অস্ত্র হয়ে ওঠে। তাই সে হুমকি দেয় যে, নোরা টরভাল্ডের অসুস্থতার সময় যে টাকা ধার নিয়েছিল, সেই ঋণের জন্য সে তার বাবার স্বাক্ষর জাল করেছে, এটা টরভাল্ডকে জানিয়ে দেবে। এই হুমকিতে নোরা ভীষণ ভয় পায়।
নোরার সুপারিশ: তাই নোরা হেলমার (Nora Helmer) টরভাল্ড হেলমার (Torvald Helmer)-এর কাছে ক্রগস্ট্যাড (Krogstad)-এর চাকরি নিয়ে সুপারিশ করে। কিন্তু টরভাল্ড এতে খুব রেগে যায় এবং দৃঢ়ভাবে জানায় যে ক্রগস্ট্যাড একজন নৈতিকতাহীন মানুষ। সে একসময় জালিয়াতি করে নিজের সম্মান নষ্ট করেছে। টরভাল্ড মনে করে, একজন ব্যাংক ম্যানেজার হিসেবে তার দায়িত্ব হলো এমন লোককে বরখাস্ত করা, কারণ তার মতো কর্মচারী ব্যাংকের সুনাম নষ্ট করবে। শুধু তাই নয়, টরভাল্ড ব্যক্তিগতভাবে ক্রগস্ট্যাডকে ঘৃণা করে। সে নোরাকে জানায় যে ক্রগস্ট্যাড যখন তার সঙ্গে কথা বলে, তখন নাম ধরে ডাকে, যেটি টরভাল্ডের কাছে অসম্মানজনক। টরভাল্ড স্পষ্ট জানিয়ে দেয়, নোরা যতই চেষ্টা করুক, সে কখনোই ক্রগস্ট্যাডকে চাকরিতে রাখবে না।
নোরার অস্থিরতা ও ড. র্যাঙ্কের স্বীকারোক্তি: পরের দিন দ্বিতীয় অঙ্ক (Act II) শুরু হয়। দিনটি ক্রিসমাসের দিন। নোরা হেলমার (Nora Helmer) লিভিং রুম গুছাতে থাকে এবং খুবই চিন্তিত দেখা যায়। কিছুক্ষণ পর মিসেস লিন্ডে (Mrs. Linde) আসে। সে নোরার পার্টির কস্টিউম (tarantella dress) ঠিক করতে সাহায্য করে, কারণ আজ সন্ধ্যায় তারা একটি ফ্যান্সি-ড্রেস পার্টিতে যাবে। কথোপকথনের সময় নোরা মিসেস লিন্ডেকে জানায় যে ডক্টর র্যাঙ্ক (Dr. Rank)-এর একটি মরণব্যাধি (spinal disease) হয়েছে, যা সে তার বাবার কাছ থেকে উত্তরাধিকারসূত্রে পেয়েছে।
নোরার আচরণে কিছু অস্বাভাবিকতা দেখে মিসেস লিন্ডে সন্দেহ করে যে, হয়তো নোরা ড. র্যাঙ্কের কাছ থেকেই ঋণ নিয়েছিল। কিন্তু নোরা তা অস্বীকার করে এবং দৃঢ়ভাবে বলে যে, সে কখনোই ড. র্যাঙ্কের কাছ থেকে টাকা নেয়নি। সে জানায়, ঋণের আসল উৎস কার কাছ থেকে এসেছে তা সে কাউকে জানাবে না। এদিকে টরভাল্ড হেলমার (Torvald Helmer) ঘরে প্রবেশ করে। নোরা আবারও টরভাল্ডের কাছে ক্রগস্ট্যাড (Krogstad)-এর চাকরি রাখার জন্য সুপারিশ করে। কিন্তু টরভাল্ড তা প্রত্যাখ্যান করে। সে নোরাকে মনে করিয়ে দেয় ক্রগস্ট্যাডের জালিয়াতি ও অনৈতিক কর্মকাণ্ডের কথা। একই সঙ্গে টরভাল্ড তার ব্যক্তিগত অপছন্দও জানায়। যেমন, ক্রগস্ট্যাড তাকে নাম ধরে সম্বোধন করে, যেটিকে সে অসম্মানজনক মনে করে।
টরভাল্ড হেলমার (Torvald Helmer) স্টাডি রুমে চলে গেলে ডক্টর র্যাঙ্ক (Dr. Rank) লিভিং রুমে প্রবেশ করে। তিনি নোরা হেলমার (Nora Helmer)-কে জানান যে তিনি গুরুতর অসুস্থ এবং আর বেশি দিন বাঁচবেন না। এই দুঃসংবাদ শুনে নোরা তার মন ভালো করার চেষ্টা করে, হাসি-ঠাট্টা করে পরিবেশ হালকা রাখতে চায়। নোরা মনে মনে ভেবেছিল ড. র্যাঙ্ককে অনুরোধ করবে, যাতে তিনি টরভাল্ডকে প্রভাবিত করে ক্রগস্ট্যাড (Krogstad)-এর চাকরি বাঁচিয়ে দেন। কিন্তু ঠিক সেই মুহূর্তে ড. র্যাঙ্ক হঠাৎ নোরার প্রতি তার গভীর ভালোবাসার অনুভূতি প্রকাশ করে বসেন। এতে নোরা ভীষণভাবে বিস্মিত হয় এবং অস্বস্তি বোধ করে। ফলে নোরা আর ড. র্যাঙ্কের কাছে কোনো অনুরোধ করে না এবং ক্রগস্ট্যাডের প্রসঙ্গও তোলে না।
ক্রগস্ট্যাডের চিঠি ও লিন্ডের পুনর্মিলন: ডক্টর র্যাঙ্ক (Dr. Rank) চলে যাওয়ার পর ক্রগস্ট্যাড (Krogstad) আবার হেলমারদের ঘরে আসে। সে নোরা হেলমার (Nora Helmer)-কে নতুন করে ব্ল্যাকমেইল করে। এবার সে শুধু চাকরিতে টিকে থাকার অনুরোধ করে না, বরং ব্যাংকে উচ্চ পদ পাওয়ারও দাবি জানায়। সে স্পষ্ট হুমকি দেয় যে, যদি নোরা তাকে সাহায্য না করে তবে সে টরভাল্ড হেলমার (Torvald Helmer)-এর কাছে নোরার ঋণ এবং বাবার স্বাক্ষর জাল করার সত্যিটা প্রকাশ করে দেবে। এরপর ক্রগস্ট্যাড একটি বিস্তারিত চিঠি লিখে তা হেলমারদের লেটারবক্সে ফেলে যায়। নোরা চিঠি দেখে আতঙ্কে ভেঙে পড়ে। সে মিসেস লিন্ডে (Mrs. Linde)-এর কাছে সব সত্যি স্বীকার করে বলে। মিসেস লিন্ডে তাকে পরামর্শ দেয় যেন নোরা টরভাল্ডকে যতটা সম্ভব চিঠি পড়া থেকে বিরত রাখে, যতক্ষণ না সে ক্রগস্ট্যাডের সঙ্গে কথা বলে। মিসেস লিন্ডে প্রতিশ্রুতি দেয় যে সে নোরার হয়ে ক্রগস্ট্যাডের সঙ্গে দেখা করবে। এদিকে নোরা টরভাল্ডকে বোঝায় যেন তারা পার্টি থেকে ফিরে আসা পর্যন্ত চিঠি না পড়ে। এইভাবে সে কিছু সময়ের জন্য চিঠি পড়া ঠেকাতে সক্ষম হয়।
পার্টি চলাকালীন সময়ে মিসেস লিন্ডে (Mrs. Linde) ক্রগস্ট্যাডের (Krogstad) সঙ্গে কথা বলে। তাদের আলাপ থেকে প্রকাশ পায় যে একসময় তারা গভীর প্রেমে জড়িত ছিল। কিন্তু সে সময় মিসেস লিন্ডে অর্থনৈতিক দিক থেকে নিরাপত্তার জন্য একজন ধনী ব্যক্তিকে বিয়ে করতে বাধ্য হয়েছিল এবং ক্রগস্ট্যাডকে ছেড়ে দিয়েছিল। এখন তার স্বামী মারা গেছেন, মা-ও আর নেই, আর ভাইয়েরাও বড় হয়ে গিয়েছে। ফলে তার কোনো পিছুটান নেই। সে ক্রগস্ট্যাডকে জানায়, চাইলে তারা আবার একসাথে নতুন করে সংসার গড়তে পারে। ক্রগস্ট্যাড এই প্রস্তাবে আনন্দে ভরে ওঠে। তবে মিসেস লিন্ডে জোর দিয়ে বলে, নোরার গোপন সত্য টরভাল্ডের জানা দরকার। তাই সে চিঠি লেটারবক্সেই থাকতে দেবে। এই সিদ্ধান্তে ক্রগস্ট্যাড রাজি হয় এবং প্রতিশ্রুতি দেয় যে নোরা ও টরভাল্ডের পরিস্থিতি যেমনই হোক, সে মিসেস লিন্ডের পাশে থাকবে।
টরভাল্ডের ক্রোধ ও ক্রগস্ট্যাডের ক্ষমাপত্র: নোরা হেলমার (Nora Helmer) এবং টরভাল্ড হেলমার (Torvald Helmer) পার্টি থেকে ফিরে আসে। টরভাল্ড লেটারবক্স খুলে চিঠি বের করে। প্রথমেই সে ডক্টর র্যাঙ্ক (Dr. Rank)-এর ভিজিটিং কার্ড পায়। কার্ডে একটি কালো ক্রস চিহ্ন ছিল, যা স্পষ্ট করে দেয় যে ড. র্যাঙ্ক খুব শিগগিরই মারা যাবে। এরপর টরভাল্ড ক্রগস্ট্যাড (Krogstad)-এর লেখা চিঠি পড়ে। সেখানে নোরার ঋণ নেওয়া এবং তার বাবার স্বাক্ষর জাল করার ঘটনা লেখা ছিল। এটি পড়ে টরভাল্ড ভীষণ রেগে যায়। সে নোরাকে মিথ্যাবাদী ও দায়িত্বহীন স্ত্রী বলে গালি দেয়। সে ঘোষণা করে যে নোরা আর সন্তানদের দেখাশোনা করবে না, কারণ সে মায়ের দায়িত্ব পালনের যোগ্য নয়। এই আঘাতে নোরা ভেঙে পড়ে। ঠিক তখনই হেলেন (Helen) আরেকটি চিঠি নিয়ে আসে। এটি ক্রগস্ট্যাডের লেখা। চিঠিতে সে জানায় যে, সে নোরার বিরুদ্ধে সব অভিযোগ তুলে নিচ্ছে এবং প্রতিশ্রুতিপত্র (Bond) ফেরত দিচ্ছে।
আসলে মিসেস লিন্ডের প্রস্তাব পেয়ে ক্রগস্ট্যাড নতুন আশার আলো দেখতে পায়। জীবনে আর হীনমন্যতা বা প্রতিশোধ নেওয়ার প্রয়োজন অনুভব করে না। সে বুঝতে পারে, প্রতিশোধের চেয়ে ভালোবাসা ও সংসার অনেক বেশি মূল্যবান। আর এই প্রতিশ্রুতিপত্র হলো সেই আইনি কাগজ, যেখানে নোরা হেলমার (Nora Helmer) স্বাক্ষর করে ক্রগস্ট্যাড (Krogstad)-এর কাছ থেকে টাকা ধার নিয়েছিল। টরভাল্ড হেলমার (Torvald Helmer) ক্রগস্ট্যাড (Krogstad)-এর দ্বিতীয় চিঠি পড়ে বুঝতে পারে যে, নোরার (Nora Helmer) বিরুদ্ধে আর কোনো অভিযোগ নেই এবং প্রতিশ্রুতিপত্রও ফেরত এসেছে। এই সংবাদে টরভাল্ড আনন্দে আত্মহারা হয়ে যায়। সে সঙ্গে সঙ্গে নোরাকে বলে সবকিছু আবার আগের মতো হয়ে যাবে। তার চোখে এটাই মুক্তি। সমস্যা মিটে গেছে, তাই দাম্পত্য জীবনও স্বাভাবিক হয়ে যাবে।
নোরার বিদায় ও স্বাধীনতার ঘোষণা: কিন্তু নোরা এবার শান্ত এবং দৃঢ় কণ্ঠে কথা বলে। সে জানায়, টরভাল্ড আসলে তাকে কখনোই ভালোবাসেনি। বরং আট বছরের বিবাহিত জীবনে সে সবসময় তাকে একটি “পুতুল” (doll) হিসেবে ব্যবহার করেছে। নোরা বলে, যেমন ছোটবেলায় তার বাবার ঘরে সে একটি পুতুলের মতো ছিল, তেমনি টরভাল্ডের ঘরেও সে পুতুলের মতোই থেকেছে। টরভাল্ড তাকে একজন স্বতন্ত্র মানুষ হিসেবে কখনোই স্বীকৃতি দেয়নি। তার ইচ্ছা, মতামত বা অনুভূতিকে গুরুত্ব দেওয়া হয়নি। নোরা স্পষ্টভাবে জানায়, তারা স্বামী-স্ত্রী হয়েও একে অপরকে আসলে চিনতেই পারেনি। এই উপলব্ধি তাকে গভীরভাবে নাড়িয়ে দেয়। তাই সে সিদ্ধান্ত নেয়, আর পুতুলের মতো জীবন কাটাবে না। সে নিজের স্বাধীনতা, পরিচয় এবং আত্মমর্যাদা খুঁজে বের করার জন্য সন্তান ও স্বামীকে ছেড়ে ঘর ছেড়ে চলে যাবে। তার এই চলে যাওয়া শুধু টরভাল্ডের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ নয়, বরং নারীর আত্মমর্যাদা ও স্বাধীন অস্তিত্বের এক ঐতিহাসিক ঘোষণা।
টরভাল্ড হেলমার (Torvald Helmer) তাকে থামাতে অনেক চেষ্টা করে। সে বলে, সন্তানদের কথা ভেবে হলেও নোরাকে থাকা উচিত। কিন্তু নোরা দৃঢ়ভাবে জানায়, তার প্রথম দায়িত্ব এখন নিজের প্রতি। তাকে আগে মানুষ হিসেবে নিজের পরিচয়, স্বাধীনতা ও আত্মমর্যাদা খুঁজে বের করতে হবে। নোরা বলে, সে আর “পুতুলঘর”-এ (doll’s house) বেঁচে থাকতে পারবে না। এরপর সে দরজা দিয়ে বেরিয়ে যায়। নাটকের একেবারে শেষ মঞ্চ নির্দেশনায় লেখা আছে, নোরা দরজা বন্ধ করে চলে যায় এবং সেই দরজার শব্দই নাটকের সমাপ্তির প্রতীক হয়ে ওঠে।
থিমসমূহ:
স্বাধীনতা ও আত্মমর্যাদা: নাটকের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ থিম হলো নারীর স্বাধীনতা ও আত্মমর্যাদা। নোরা হেলমার (Nora Helmer) বুঝতে পারে, সে সবসময় টরভাল্ড হেলমার (Torvald Helmer) ও বাবার ঘরে একটি “পুতুল” (doll) হিসেবে থেকেছে। তার কোনো ইচ্ছা, মতামত, কিংবা সিদ্ধান্তের স্বাধীনতা ছিল না। শেষমেশ সে ঘোষণা করে যে, তার প্রথম দায়িত্ব নিজের প্রতি। তাই সে সন্তান ও স্বামীকে ছেড়ে বেরিয়ে যায় নিজের পরিচয় খুঁজে পাওয়ার জন্য। এই থিম নারীর আত্মমর্যাদা ও স্বাধীন অস্তিত্বের এক ঐতিহাসিক ঘোষণা।
বিয়ে এবং লিঙ্গভূমিকা: নাটকটি বিয়ের প্রচলিত ধারণা ও স্বামী-স্ত্রীর ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলে। টরভাল্ড মনে করে, স্ত্রী সবসময় বাধ্য ও অনুগত থাকবে। সে নোরাকে ছোট নামে ডাকে, যেমন “লার্ক” বা “স্কুইরেল”, যা ভালোবাসার আড়ালে নিয়ন্ত্রণের প্রতীক। নোরা বুঝতে পারে, তাদের সম্পর্ক সমান নয়। টরভাল্ড তাকে একজন মানুষ হিসেবে নয়, বরং একটি খেলনা বা প্রদর্শনীর বস্তু হিসেবে দেখে। এই থিম দেখায়, ১৯শ শতকের সমাজে লিঙ্গভূমিকা কীভাবে নারীদের দমিয়ে রাখত।
প্রতারণা ও সত্য গোপন: নাটকের কাহিনি শুরু হয় নোরার গোপন প্রতারণা দিয়ে। স্বামীর জীবন বাঁচাতে সে বাবার স্বাক্ষর জাল করে ক্রগস্ট্যাড (Krogstad)-এর কাছ থেকে টাকা ধার নেয়। যদিও উদ্দেশ্য ছিল ভালো, তবুও সমাজের চোখে এটি অপরাধ। এই গোপন সত্যই নোরাকে সারাক্ষণ ভীত রাখে এবং ক্রগস্ট্যাড তাকে ব্ল্যাকমেইল করে। নাটকটি দেখায়, কখনও কখনও প্রতারণা ভালোবাসা ও দায়িত্ব থেকে জন্মালেও এর ফল ভয়াবহ হতে পারে।
সমাজ ও মর্যাদার গুরুত্ব: টরভাল্ডের কাছে সমাজে সুনাম ও মর্যাদা সবকিছুর চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। যখন ক্রগস্ট্যাডের চিঠি পড়ে সে নোরাকে গালি দেয়, তখন তার ভয় মূলত সমাজে কেলেঙ্কারি হবে এই আশঙ্কা। স্ত্রীকে রক্ষা করার চেয়ে নিজের ইমেজ নিয়ে সে বেশি চিন্তিত থাকে। পরে যখন সব ঠিক হয়ে যায়, তখন সে আবার নোরাকে ভালোবাসা দেখাতে চায়। এই থিম প্রমাণ করে, সমাজের দৃষ্টিভঙ্গি কীভাবে পারিবারিক সম্পর্ককেও নিয়ন্ত্রণ করে।
Quotes
- “My poor innocent spine has to suffer for my father’s youthful amusements.” – (A Doll’s House – Dr. Rank, Act II)
বাংলা: “আমার নির্দোষ মেরুদণ্ডকে বাবার যৌবনের ভোগবিলাসের জন্য ভুগতে হচ্ছে।”
Explanation (English): Dr Rank explains that his spinal disease is inherited from his father’s immoral life. This highlights hereditary disease and its tragic burden.
ব্যাখ্যা (বাংলা): ডক্টর র্যাঙ্ক বলছে তার মেরুদণ্ডের রোগ বাবার অনৈতিক জীবনের কারণে। এটি বংশগত রোগ ও ট্র্যাজেডির বোঝা প্রকাশ করে।
- “You have destroyed all my happiness.” – (A Doll’s House – Torvald Helmer, Act III)
বাংলা: “তুমি আমার সমস্ত সুখ ধ্বংস করেছো।”
Explanation (English): Torvald reacts harshly after reading Krogstad’s letter. He blames Nora, showing his selfishness and hypocrisy.
ব্যাখ্যা (বাংলা): ক্রগস্ট্যাডের চিঠি পড়ে টরভাল্ড নোরাকে দোষ দেয়। এতে তার স্বার্থপরতা ও ভণ্ডামি প্রকাশ পায়।
- “You have never loved me. You have only thought it pleasant to be in love with me.” – (A Doll’s House – Nora Helmer, Act III)
বাংলা: “তুমি আমাকে কখনো ভালোবাসোনি। তুমি শুধু ভেবেছো, আমাকে ভালোবাসা তোমার কাছে সুখকর একটি অনুভূতি।”
Explanation (English): Nora accuses Torvald after his false forgiveness. She realizes their marriage was built on lies, not real love.
ব্যাখ্যা (বাংলা): টরভাল্ডের ভণ্ডামিপূর্ণ ক্ষমার পর নোরা সত্য উপলব্ধি করে। সে বুঝতে পারে তাদের বিবাহ মিথ্যার ওপর দাঁড়ানো।
- “It was I who saved Torvald’s life.” – (A Doll’s House – Nora Helmer, Act I)
বাংলা: “টরভাল্ডের জীবন আমি-ই বাঁচিয়েছিলাম।”
Explanation (English): Nora proudly tells Mrs Linde about her secret loan. It shows her hidden courage and sacrifice for her husband.
ব্যাখ্যা (বাংলা): নোরা গর্ব করে ক্রিস্টিন লিন্ডেকে তার গোপন ঋণের কথা জানায়। এতে তার লুকানো সাহস ও স্বামীর জন্য আত্মত্যাগ বোঝা যায়।
- “Torvald, Torvald, there is no hope for us now!” – (A Doll’s House – Nora Helmer, Act II)
বাংলা: “টরভাল্ড, টরভাল্ড, এখন আর আমাদের কোনো আশা নেই!”
Explanation (English): Nora cries in fear after Krogstad drops the letter in the box. She knows the truth will be revealed. Suspense rises.
ব্যাখ্যা (বাংলা): ক্রগস্ট্যাড চিঠি ফেলার পর নোরা ভয়ে কেঁদে ওঠে। সে জানে সত্য প্রকাশ পাবে। এতে নাটকের উত্তেজনা বাড়ে।
- “I must try and educate myself.” – (A Doll’s House – Nora Helmer, Act III)
বাংলা: “আমাকে নিজেকে শিক্ষিত করতে হবে।”
Explanation (English): Nora realizes that her life has been false. She decides to leave Torvald and learn on her own. This is her awakening.
ব্যাখ্যা (বাংলা): নোরা বুঝতে পারে তার জীবন মিথ্যা ছিল। সে টরভাল্ডকে ছেড়ে নিজে শিক্ষা গ্রহণ করবে ঠিক করে। এটাই তার জাগরণ।
- “A letter drops into the box.” – (A Doll’s House – Stage Direction, Act II)
বাংলা: “একটি চিঠি বাক্সে পড়ে।”
Explanation (English): This stage direction shows Krogstad’s action. The letter-box becomes the symbol of suspense and tragedy in the Helmer home.
ব্যাখ্যা (বাংলা): এই মঞ্চ-নির্দেশ ক্রগস্ট্যাডের কাজ দেখায়। লেটারবক্স হেলমার বাড়িতে উত্তেজনা ও ট্র্যাজেডির প্রতীক হয়।
- “The law cares nothing about motives.” – (A Doll’s House – Krogstad, Act I)
বাংলা: “আইন মানুষের উদ্দেশ্যের কোনো মূল্য দেয় না।”
(অর্থাৎ, তুমি কেন কাজটা করলে সেটি আইন দেখে না, আইন শুধু কাজটা সঠিক না ভুল, সেটাই বিচার করে।)
Explanation (English): Krogstad explains to Nora that even though she borrowed money to save Torvald’s life, the law will still call it forgery. It shows rigid rules of society.
ব্যাখ্যা (বাংলা): ক্রগস্ট্যাড নোরাকে বোঝায় যে সে টরভাল্ডের জীবন বাঁচানোর জন্য টাকা ধার করলেও আইন এটিকে জালিয়াতি বলবে। এতে সমাজের কঠোর নিয়ম প্রকাশ পায়।
ভাষার অলংকার
- বিদ্রূপ (Irony): বিদ্রূপ হলো প্রত্যাশা আর বাস্তবতার অমিল। টরভাল্ড হেলমার (Torvald Helmer) সবসময় নোরা হেলমার (Nora Helmer)-কে বলে, সে তার জন্য জীবন দিতে রাজি। কিন্তু যখন নোরার গোপন ঋণের সত্যি ফাঁস হয়, তখন টরভাল্ড কোনো সাহস দেখায় না। বরং নোরাকে দোষ দেয় এবং সন্তানদের থেকেও দূরে রাখে। প্রভাব: এই বিদ্রূপ দেখায় যে টরভাল্ডের ভালোবাসা আসলে কেবল বাহ্যিক, আর তার মূল চিন্তা সমাজে নিজের সম্মান রক্ষা করা।
- রূপক (Metaphor): “পুতুলঘর” (Doll’s House) হলো পুরো নাটকের প্রধান রূপক। নোরা তার বাবার ঘর থেকে টরভাল্ডের ঘর পর্যন্ত সবসময়ই একটি “পুতুল” হয়ে থেকেছে। তার কোনো ইচ্ছা বা মতামতের জায়গা নেই। প্রভাব: এই রূপক নারীর দমন, স্বাধীনতার অভাব এবং স্বামী–স্ত্রীর অসম সম্পর্ককে তুলে ধরে।
- প্রতীকবাদ (Symbolism):
- টারান্টেলা নাচ (Tarantella Dance): নোরার তারান্টেলা নাচ তার ভেতরের দুশ্চিন্তা, ভয়ের প্রতীক এবং ক্রগস্ট্যাডের চিঠি থেকে টরভাল্ডকে দূরে রাখার মরিয়া চেষ্টার প্রতীক। বাইরে থেকে এটি আনন্দময় মনে হলেও ভেতরে আছে ভাঙনের প্রতীক।
- ক্রিসমাস ট্রি (Christmas Tree): নাটকের শুরুতে সাজানো ক্রিসমাস ট্রি নোরার আনন্দ, আশা আর পরিবারের সুখের প্রতীক। কিন্তু পরে গাছটি নষ্ট হয়ে যায়, যা নোরার ম্লান হয়ে যাওয়া আনন্দ ও দাম্পত্য জীবনের ক্ষয়ের প্রতীক।
- প্রতিশ্রুতিপত্র (Bond): নোরা বাবার স্বাক্ষর জাল করে যে প্রতিশ্রুতিপত্রে সই করে, সেটি তার গোপন শিকল। এটি নোরার দায়ের প্রতীক। অপরাধবোধ এবং পুরুষতান্ত্রিক সমাজে নারীর অসহায়তার প্রতীক।
- দরজা বন্ধ হওয়া (The Closing Door): নাটকের শেষে নোরার দরজা বন্ধ করে চলে যাওয়া তার স্বাধীনতার ঘোষণার প্রতীক। এটি শুধু টরভাল্ড নয়, পুরো সমাজ থেকে তার মুক্তি এবং নারীর আত্মপরিচয়ের নতুন যাত্রার প্রতীক।
আরো পড়ুনঃ Mother Courage and Her Children Bangla Summary
Figures of Speech
- Irony: Irony is the contrast between expectation and reality. Torvald Helmer always says that he is ready to give his life for Nora Helmer. But when Nora’s secret loan is exposed, Torvald shows no courage. Instead, he blames Nora and even keeps her away from the children. Effect: This irony shows that Torvald’s love is only superficial, and his main concern is protecting his own social reputation.
- Metaphor: The “Doll’s House” is the central metaphor of the entire play. From her father’s house to Torvald’s house, Nora has always lived as a “doll.” She has no place for her own will or opinion. Effect: This metaphor highlights the suppression of women, the lack of freedom, and the unequal relationship between husband and wife.
- Symbolism:
- The Tarantella Dance: Nora’s tarantella dance symbolizes her inner anxiety and fear, as well as her desperate attempt to keep Torvald distracted from Krogstad’s letter. Outwardly, it seems joyful, but inside it reflects collapse and despair.
- The Christmas Tree: The decorated Christmas tree at the beginning symbolizes Nora’s joy, hope, and family happiness. But later, when the tree becomes disheveled, it symbolizes Nora’s fading joy and the decay of her married life.
- The Bond: The promissory note that Nora signs with her forged father’s signature becomes her hidden chain. It symbolizes her burden, guilt, and the helplessness of women in a patriarchal society.
- The Closing Door: At the end of the play, Nora’s act of slamming the door symbolizes her declaration of independence. It represents her liberation not only from Torvald but also from the whole society, marking the beginning of her journey toward self-identity.
Moral Lessons from A Doll’s House
- Women deserve freedom and respect.
- Marriage without trust is like a prison.
- Hiding the truth destroys relationships.
- Self–respect is more important than social honor.
