Arms and the Man Bangla Summary (বাংলায়)

George Bernard Shaw – A Brief Biography: জর্জ বার্নার্ড শ ১৮৫৬ সালে আয়ারল্যান্ডের ডাবলিনে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ছিলেন একজন খ্যাতিমান নাট্যকার, সমালোচক ও চিন্তাবিদ। ১৮৭৬ সালে তিনি কাজ খুঁজতে লন্ডনে যান এবং লেখক হিসেবে নিজের পথ শুরু করেন। শুরুতে তিনি সঙ্গীত ও নাটকের সমালোচনা লিখতেন। পরে তিনি নাটক লেখা শুরু করেন। শ সামাজিক পরিবর্তনে বিশ্বাস করতেন।

earn money

তিনি ধারণা ও শিক্ষার মাধ্যমে মানুষের জীবন উন্নত করতে চাইতেন। তিনি ৬০টিরও বেশি নাটক লিখেছেন। তার রচনাগুলোতে সাধারণত রসিকতা, শক্তিশালী বার্তা এবং বুদ্ধিদীপ্ত চরিত্র দেখা যায়। তার কিছু জনপ্রিয় নাটক হলো: Arms and the Man, Pygmalion, এবং Man and Superman। শ ‘ফ্যাবিয়ান সোসাইটি’র সদস্য ছিলেন—একটি সংগঠন যা সামাজিক ন্যায়বিচার ও সমান অধিকারের জন্য কাজ করত। ১৯২৫ সালে তিনি সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার লাভ করেন। তিনি Pygmalion নাটকের চলচ্চিত্র সংস্করণের জন্য অস্কারও জিতেছিলেন। শ ১৯৫০ সালে ৯৪ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন। আজও বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে তার নাটক পড়া ও মঞ্চস্থ করা হয়।

Key Facts

  • Writer: George Bernard Shaw (1856 – 1950)  
  • Full Title: “Arms and the Man”  
  • Source of the Title: The title comes from the opening words of Virgil’s Aeneid, in Latin: Arma virumque cano (“Of “Arms and the Man” I sing”).  
  • Written Time: 1894  
  • Published Date: 1898 (in book form)  
  • Genre: Anti-Romantic comedy and social satire  
  • Tone: Funny, light, and critical (Shaw makes fun of false heroism)  
  • Point of View: Third-person (The story is told by a narrator who is not a character)  
  • Total Acts & Scenes: 3 Acts (No separate scenes mentioned)  
  • Time Setting: During the Serbo-Bulgarian War in 1885. 
  • Place Setting: Mostly in a wealthy Bulgarian family’s (Petkoff) house and the surrounding areas.  

Key Notes

Serbo-Bulgarian War: The Serbo-Bulgarian War was a short war between Serbia and Bulgaria. It happened in the year 1885. The main reason for the war was a political problem. Bulgaria joined with a region called Eastern Rumelia. Serbia did not like this. So, they attacked Bulgaria. The war did not last long. It started in November 1885 and ended the same month. Bulgaria won the war, even though its army was smaller. The soldiers fought bravely, and their leaders were smart. This war is important in the play “Arms and the Man” by George Bernard Shaw. The story begins during this war. But Shaw does not show war as something glorious. Instead, he shows that war is not always brave or beautiful. He uses humor to tell the truth about war. The Serbo-Bulgarian War is a real event, but the characters in the play are fictional (not real).

ইউটিউবে ভিডিও লেকচার দেখুনঃ


Anti-Romantic Comedy: An anti-romantic comedy is a type of play that makes fun of traditional love stories. In romantic comedies, love is shown as perfect and beautiful. Heroes are brave, and heroines are always sweet. Everything ends happily. But in an anti-romantic comedy, the writer shows that real life is not like that. Love can be foolish, and heroes can be weak or scared. These plays are still funny, but they tell the truth. They break the false ideas of love and war. George Bernard Shaw’s “Arms and the Man” is a good example of anti-romantic comedy. In this play, Shaw shows that soldiers are not always brave, and love is not always magical. He uses humor to show the reality of life. That is why “Arms and the Man” is called an anti-romantic comedy.

সার্বো-বুলগেরিয়ান যুদ্ধ:  সার্বো-বুলগেরিয়ান যুদ্ধ ছিল সার্বিয়া ও বুলগেরিয়ার মধ্যে একটি স্বল্পমেয়াদী যুদ্ধ। এটি ঘটে ১৮৮৫ সালে। যুদ্ধের প্রধান কারণ ছিল একটি রাজনৈতিক সমস্যা। বুলগেরিয়া ‘ইস্টার্ন রুমেলিয়া’ নামে একটি অঞ্চলের সঙ্গে যুক্ত হয়ে যায়। সার্বিয়া এই বিষয়টি পছন্দ করেনি। তাই তারা বুলগেরিয়ার ওপর আক্রমণ করে। এই যুদ্ধ বেশি দিন স্থায়ী হয়নি। এটি ১৮৮৫ সালের নভেম্বর মাসে শুরু হয়ে একই মাসে শেষ হয়। বুলগেরিয়া যুদ্ধটি জিতে যায়, যদিও তাদের সেনাবাহিনী ছোট ছিল। সৈন্যরা সাহসিকতার সঙ্গে লড়াই করে, আর তাদের নেতারা ছিলেন বুদ্ধিমান। এই যুদ্ধটি জর্জ বার্নার্ড শ’র নাটক Arms and the Man-এ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। নাটকটির গল্প শুরু হয় এই যুদ্ধ চলাকালীন। তবে শ যুদ্ধকে গৌরবময় কিছু হিসেবে উপস্থাপন করেন না। বরং তিনি দেখান যে, যুদ্ধ সবসময় সাহসিক বা সুন্দর কিছু নয়। তিনি যুদ্ধ সম্পর্কে সত্য বলার জন্য রসিকতাকে ব্যবহার করেছেন। সার্বো-বুলগেরিয়ান যুদ্ধ একটি বাস্তব ঘটনা, তবে নাটকের চরিত্রগুলো কাল্পনিক (অর্থাৎ বাস্তব নয়)।

অ্যান্টি-রোমান্টিক কমেডি: অ্যান্টি-রোমান্টিক কমেডি হলো এক ধরনের নাটক যা প্রচলিত প্রেমকাহিনিকে ব্যঙ্গ করে। রোমান্টিক কমেডিতে ভালোবাসাকে নিখুঁত ও সুন্দর হিসেবে দেখানো হয়। নায়করা সাহসী হয়, আর নায়িকারা হয় সবসময় মিষ্টভাষী ও কোমল। সবকিছু সুখে-শান্তিতে শেষ হয়। কিন্তু অ্যান্টি-রোমান্টিক কমেডিতে লেখক দেখান যে, বাস্তব জীবন আসলে এরকম নয়। ভালোবাসা কখনো কখনো বোকামির মতো হতে পারে, আর নায়করা দুর্বল বা ভীতু হতে পারে। এসব নাটক মজার হলেও, তারা সত্য কথা বলে। তারা প্রেম ও যুদ্ধ সম্পর্কে প্রচলিত ভুল ধারণাগুলো ভেঙে দেয়। জর্জ বার্নার্ড শ’র Arms and the Man একটি চমৎকার অ্যান্টি-রোমান্টিক কমেডির উদাহরণ। এই নাটকে শ দেখান যে, সৈনিকরা সবসময় সাহসী নয়, আর ভালোবাসাও সবসময় জাদুর মতো নয়। তিনি হাস্যরসের মাধ্যমে জীবনের বাস্তবতা তুলে ধরেন। এ কারণেই Arms and the Man কে অ্যান্টি-রোমান্টিক কমেডি বলা হয়।

Background: “Arms and the Man” was written by George Bernard Shaw in 1894. The play is set during the Serbo-Bulgarian War of 1885. At that time, many people believed that war was full of glory and that soldiers were always brave heroes. Love was also shown as something magical and perfect in many stories. However, Shaw did not agree with these ideas. He wanted to show the truth about war and love. He believed that people often have false ideas about these things. So, he wrote this play to break those false ideas in a funny way. The play shows that war is not always brave, and love is not always dreamy. The hero in this play is not a strong fighter, but a man who runs away from battle. The heroine learns that real love is different from her dreams. The play mixes humor, truth, and social message—that’s why it is so special.

“Arms and the Man” নাটকটি জর্জ বার্নার্ড শ ১৮৯৪ সালে লিখেছিলেন। নাটকের পটভূমি ১৮৮৫ সালের সার্বো-বুলগেরিয়ান যুদ্ধের সময়কাল। সেই সময়ে অনেক মানুষ বিশ্বাস করত যে, যুদ্ধ গৌরবময় এবং সৈনিকেরা সবসময় সাহসী বীর হয়। প্রেমকাহিনিগুলোতেও ভালোবাসাকে জাদুকরী ও নিখুঁত কিছু হিসেবে উপস্থাপন করা হতো। কিন্তু শ এই ধারণাগুলোর সঙ্গে একমত ছিলেন না। তিনি যুদ্ধ ও ভালোবাসা সম্পর্কে সত্য তুলে ধরতে চেয়েছিলেন। তিনি বিশ্বাস করতেন, মানুষ এই বিষয়গুলো নিয়ে অনেক সময় ভুল ধারণা পোষণ করে। তাই, তিনি এই নাটকটি লিখেছিলেন সেই মিথ্যা ধারণাগুলোকে ভাঙার জন্য—একটি হাস্যরসাত্মক উপায়ে। নাটকটি দেখায়, যুদ্ধ সবসময় সাহসিকতার নয়, আর ভালোবাসা সবসময় স্বপ্নের মতো নয়। এই নাটকের নায়ক একজন শক্তিশালী যোদ্ধা নয়, বরং একজন যে যুদ্ধের ময়দান থেকে পালিয়ে আসে। আর নায়িকা বুঝতে পারে, বাস্তব ভালোবাসা তার কল্পনার চেয়ে আলাদা। এই নাটকে হাস্যরস, বাস্তবতা এবং সামাজিক বার্তা মিলিয়ে এক বিশেষ ধরণ তৈরি হয়েছে—এ কারণেই এটি এতটা অনন্য।

Character List

Major Characters: 

Captain Bluntschli: Captain Bluntschli is a Swiss mercenary soldier. He fights in the war but does not have the usual soldier’s courage. He is practical and smart and prefers to save his life instead of being a hero. He runs away from the battlefield with a suitcase full of chocolates. 

Raina Petkoff: Raina is the young and beautiful heroine of the play. At first, she believes in the romantic ideas of love and heroism. She is in love with a soldier, but later she learns the truth about love and war. Raina’s character changes from an innocent girl to a more realistic and understanding woman.

Sergius Saranoff: Sergius is Raina’s fiancé. He is a brave but somewhat foolish officer in the Bulgarian army. At first, he seems like a true hero, but he also shows weaknesses. He falls in love with Louka, and his character is shown to be a bit dramatic and full of pride. He struggles with his own feelings about love and honor.

Louka: Louka is a maid in the Petkoff household. She is smart and confident and knows how to get what she wants. She has big dreams and does not want to stay in a low position. Louka falls in love with Sergius and works hard to make him notice her. Her character is strong-willed, and she represents the desire for social mobility.

Minor Characters: 

Catherine Petkoff: Catherine is Raina’s mother. She is a practical woman who loves her daughter but also cares deeply about social status. Catherine is concerned with keeping up appearances. She often behaves in a proper, conservative manner. 

Nicola: Nicola is Louka’s fiancé and works as a servant. He is practical and serious. While Louka dreams of rising in society, Nicola is content with his role. He believes in steady and hardworking progress. He is calm and a realist, providing a contrast to Louka’s ambition.

Major Paul Petkoff: Major Paul Petkoff is Raina’s father. He is a high-ranking officer in the Bulgarian army. Major Petkoff is a typical soldier who values honor and military status. However, he is also somewhat naïve and unaware of the true nature of war.

চরিত্র তালিকা

প্রধান চরিত্রসমূহ:

ক্যাপ্টেন ব্লান্টশলি: ক্যাপ্টেন ব্লান্টশলি একজন সুইস ভাড়াটে সৈনিক। তিনি যুদ্ধে অংশ নেন, কিন্তু সাধারণ সৈনিকদের মতো সাহস দেখান না। তিনি বাস্তববাদী ও বুদ্ধিমান, এবং বীর হতে চেয়ে নিজের জীবন বাঁচানোকে বেশি গুরুত্ব দেন। তিনি যুদ্ধক্ষেত্র থেকে পালিয়ে আসেন—চকলেট ভর্তি একটি স্যুটকেস নিয়ে।

রায়না পেটকফ: রায়না এই নাটকের তরুণী ও সুন্দরী নায়িকা। শুরুতে সে প্রেম ও নায়কত্ব নিয়ে রোমান্টিক ধারণায় বিশ্বাসী। সে একজন সৈনিককে ভালোবাসে, কিন্তু পরে ভালোবাসা ও যুদ্ধ সম্পর্কে সত্য উপলব্ধি করে। রায়নার চরিত্রের পরিবর্তন ঘটে—সে এক নিষ্পাপ মেয়ে থেকে বাস্তববাদী ও বোঝদার নারী হয়ে ওঠে।

সারজিয়াস সারানফ: সারজিয়াস রায়নার বাগদত্তা। তিনি বুলগেরিয়ান সেনাবাহিনীর একজন সাহসী কিন্তু কিছুটা বোকাসোকা অফিসার। প্রথমে তিনি একজন সত্যিকারের বীর বলে মনে হয়, কিন্তু পরে তার দুর্বলতাও প্রকাশ পায়। তিনি লৌকাকে ভালোবেসে ফেলেন, এবং তার চরিত্র নাটকীয় ও গর্বে পরিপূর্ণ হিসেবে চিত্রিত হয়। তিনি ভালোবাসা ও সম্মান নিয়ে নিজের ভেতরের দ্বন্দ্বে ভোগেন।

লৌকা: লৌকা পেটকফ পরিবারের গৃহপরিচারিকা। তিনি বুদ্ধিমতী, আত্মবিশ্বাসী এবং জানেন কীভাবে নিজের লক্ষ্য অর্জন করতে হয়। তার বড় স্বপ্ন আছে এবং সে নিচু অবস্থানে থাকতে চায় না। লৌকা সারজিয়াসকে ভালোবাসতে শুরু করে এবং তাকে আকৃষ্ট করতে কঠোর পরিশ্রম করে। তার চরিত্র দৃঢ় মনোভাবের, এবং সে সামাজিক অবস্থান পরিবর্তনের আকাঙ্ক্ষাকে প্রতিনিধিত্ব করে।

গৌণ চরিত্রসমূহ:

ক্যাথরিন পেটকফ: ক্যাথরিন রায়নার মা। তিনি একজন বাস্তববাদী নারী, যিনি তার মেয়েকে ভালোবাসেন, তবে সামাজিক মর্যাদা নিয়েও গভীরভাবে চিন্তিত থাকেন। ক্যাথরিন বাহ্যিক শোভা-ব্যবস্থা বজায় রাখতে সচেষ্ট। তিনি প্রায়ই প্রথাগত ও রক্ষণশীল আচরণ করেন।

নিকোলা: নিকোলা লৌকার বাগদত্তা এবং একজন গৃহপরিচারক হিসেবে কাজ করেন। তিনি বাস্তববাদী ও দায়িত্বশীল। যখন লৌকা সমাজে উচ্চস্থানে উঠার স্বপ্ন দেখে, তখন নিকোলা নিজের ভূমিকা নিয়ে সন্তুষ্ট। তিনি ধৈর্যশীল এবং কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে অগ্রগতিতে বিশ্বাস করেন। তার শান্ত ও বাস্তববাদী মনোভাব লৌকার উচ্চাকাঙ্ক্ষার বিপরীতে দাঁড়ায়।

মেজর পল পেটকফ: মেজর পল পেটকফ রায়নার পিতা। তিনি বুলগেরিয়ান সেনাবাহিনীর একজন উচ্চপদস্থ অফিসার। মেজর পেটকফ একজন সাধারণ সৈনিক, যিনি সম্মান ও সামরিক মর্যাদাকে গুরুত্ব দেন। তবে, তিনি কিছুটা সরল এবং যুদ্ধের প্রকৃত স্বভাব সম্পর্কে অবহিত নন।

Arms and the Man Bangla Summary (Plot Summary)

গল্পের সূচনা: নাটকের শুরুতে, রায়না রাতের বেলায় তার বারান্দায় বসে তারার সৌন্দর্যে মুগ্ধ হয়ে তাকিয়ে থাকে। তার মা ক্যাথরিন ঘরে প্রবেশ করে এবং রায়নার কী করছে তা জানতে চায়। রায়না জবাবে ব্যাখ্যা করে যে, সে চাঁদের আলোয় ভেজা রাতটি উপভোগ করছে এবং আকাশের তারা দেখে বিস্মিত হচ্ছে। ক্যাথরিন তাকে এত রাতে জেগে থাকার জন্য বকুনি দেয়, তবে পরে একটি সুসংবাদ দেয়: তাদের সেনাবাহিনী সার্বিয়ায় যুদ্ধে জয় লাভ করেছে। ক্যাথরিন রায়নাকে জানায় যে, তার বাগদত্তা সারজিয়াস এই বিজয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। সারজিয়াস এবং রায়নার পিতা ১৮৮৫ সালের সার্বিয়ান যুদ্ধে অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। ঠিক তখনই পরিবারের গৃহপরিচারিকা লৌকা ঘরে প্রবেশ করে এবং রায়নাকে বাইরে চলমান গোলাগুলির কারণে জানালা বন্ধ করার পরামর্শ দেয়। তবে রায়না লৌকাকে জানায় যে, সে নিজেই বিষয়টি সামলাবে, এবং লৌকা চলে যায়। রায়না, তার বাগদত্তার সাফল্যের খবরে আনন্দিত হয়ে, সারজিয়াসের একটি ছবি হাতে নেয় এবং নিজের সঙ্গে কথা বলতে থাকে। এইভাবে কথা বলতে বলতে, সে অবশেষে ঘুমিয়ে পড়ে, জানালা ও দরজা বন্ধ করতে ভুলে যায়।

ব্লান্টশলির আগমন এবং রায়নার সহায়তা: রাতের মধ্যভাগে, রায়না হঠাৎ করে একটি শব্দে জেগে ওঠে। সে দেখে, একটি মলিন পোশাক পরা সৈনিক—ব্লান্টশলি—তার ঘরে দাঁড়িয়ে আছে। ব্লান্টশলি একটি বন্দুক দিয়ে তাকে ভয় দেখায় এবং জিজ্ঞেস করে, সে কি ভয় পেয়েছে। রায়না শান্তভাবে উত্তর দেয় যে, সে ভয় পায়নি। ঠিক তখনই লৌকা দরজায় কড়া নাড়ে। সে জানায় যে, প্রতিবেশীরা ঘরে একজন সার্বিয়ান সৈনিকের উপস্থিতির কথা জানিয়েছে এবং সৈন্যরা তল্লাশির জন্য কাছাকাছি রয়েছে। ব্লান্টশলি ভয়ে কাঁপতে থাকে, কিন্তু রায়না তাকে আশ্বস্ত করে এবং ঘরের মধ্যে লুকিয়ে ফেলে। সৈন্যরা ঘর তল্লাশি করে, কিন্তু তাকে খুঁজে পায় না। তবে, লৌকা একটি বন্দুক দেখতে পায় এবং সন্দেহ করে যে, সেখানে কেউ ছিল। সৈন্যরা চলে যাওয়ার পর, ব্লান্টশলি জানায় যে, সে একজন সুইস সৈনিক। সে ব্যাখ্যা করে যে, যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী অধিকাংশ মানুষই জানে না তারা কেন যুদ্ধ করছে। সে আরও জানায়, সে গুলির পরিবর্তে চকলেট নিয়ে চলে এবং তার বন্দুক খালি। রায়না তার প্রতি সহানুভূতি অনুভব করতে শুরু করে এবং তাকে রক্ষা করার সিদ্ধান্ত নেয়। সে তার মাকে সব কিছু জানাতে যায়, এবং যখন তারা ফিরে আসে, দেখে ব্লান্টশলি রায়নার বিছানায় ঘুমিয়ে আছে। রায়নার মা তাকে রায়নার বাবার একটি কোট দিয়ে দেয়, এই আশায় যে এটি তাকে চিনতে না পেরে পালাতে সাহায্য করবে। ব্লান্টশলি যাওয়ার আগে, রায়না তার নিজের একটি ছবি কোটের পকেটে রেখে দেয়।

সারজিয়াসের লৌকার প্রতি আকর্ষণ: কয়েক মাস পর, যুদ্ধশেষে রায়নার বাবা ও তার বাগদত্তা সারজিয়াস বাড়ি ফিরে আসে। রায়না সারজিয়াসকে দেখে খুশি হয়। তারা সৌহার্দ্যপূর্ণভাবে কথোপকথন করে, যদিও তাদের সম্পর্ক মূলত এক ধরনের অভিনয় মাত্র। সারজিয়াস লৌকার প্রতি আকৃষ্ট হয়ে পড়ে। রায়না চলে গেলে, সারজিয়াস লৌকার হাত ধরে এবং তাকে চুমু খাওয়ার চেষ্টা করে। লৌকা আবেগে অভিভূত হয়ে সারজিয়াসকে জিজ্ঞেস করে, সে কি তাকে বিয়ে করার কথা ভাবছে। সারজিয়াস স্বীকার করে যে, সে তা চায়, কিন্তু রায়নার সঙ্গে তার বিয়ের বিষয়টি তাকে চিন্তিত করে তোলে। ঠিক তখনই রায়না ফিরে আসে, এবং সারজিয়াস ও লৌকা এমনভাবে আচরণ করে যেন কিছুই ঘটেনি। তবে, রায়না বুঝতে শুরু করে যে, তাদের মধ্যে কিছু অস্বাভাবিক ঘটনা ঘটেছে।

ব্লান্টশলির দ্বিতীয় আগমন: একদিন, এক ব্যক্তি তাদের বাড়িতে আসে, এবং রায়না ও তার মা তাকে সেই সৈনিক হিসেবে চিনে ফেলে, যাকে তারা একসময় সাহায্য করেছিল। সে কিছু যুদ্ধ-সংক্রান্ত কাগজপত্র মেটাতে এসেছে এবং সঙ্গে সেই কোটটিও এনেছে। রায়নার বাবা তাকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানায়। তিনি তাকে “ক্যাপ্টেন ব্লান্টশলি” বলে সম্বোধন করেন এবং সস্নেহে তাকে ভেতরে আসার আমন্ত্রণ জানান। ব্লান্টশলির আন্তরিকতা এবং যুক্তিবোধ দ্রুতই স্পষ্ট হয়ে ওঠে। ব্লান্টশলিকে আবার দেখে, রায়না গভীরভাবে আকৃষ্ট হয় এবং বুঝতে পারে, সে তাকে ভালোবেসে ফেলেছে। তারা বসে রায়নার সেই ছবিটি নিয়ে আলোচনা করে, যা কোটের পকেটে ছিল। তবে ব্লান্টশলি তা দেখেছে বলে অস্বীকার করে, যা রায়নার মনকে আঘাত করে। ঠিক তখনই সারজিয়াস ঘরে প্রবেশ করে এবং রায়নার মুখোমুখি হয়। সে জিজ্ঞেস করে, রায়না কি যুদ্ধের সময় ব্লান্টশলিকে পালাতে সাহায্য করেছিল। রায়না পাল্টা অভিযোগ করে, সারজিয়াসের লৌকার প্রতি গোপন আকর্ষণ রয়েছে। এই অবস্থায়, রায়না ও ব্লান্টশলি দুজনেই একে অপরের প্রতি গভীর টান অনুভব করে। তারা সিদ্ধান্ত নেয়, পরিস্থিতি যেমনই হোক না কেন, তারা নিজেদের ভালোবাসার মানুষকেই বিয়ে করবে।

প্রথমে কিছু উদ্বেগ থাকলেও, রায়নার পরিবার তার ব্লান্টশলিকে বিয়ে করার সিদ্ধান্তে আপত্তি করে না। কারণ ব্লান্টশলি শুধু একজন সৈনিকই নয়, সে একজন সফল ব্যবসায়ী এবং একটি ভালো হোটেলের মালিক। নাটকটি শেষ হয় রায়নার ব্লান্টশলিকে বিয়ে করার সিদ্ধান্তের মধ্য দিয়ে। এই সিদ্ধান্ত তার ভালোবাসা, যুদ্ধ ও ব্যক্তিস্বাধীনতা সম্পর্কে ধারণার পরিবর্তনকে প্রতিফলিত করে।

Arms and the Man Bangla Summary (Detailed)

অঙ্ক ১: নায়কের বিভ্রম

নাটক “আর্মস অ্যান্ড দ্য ম্যান” শুরু হয় ১৮৮৫ সালের সার্বো-বুলগেরিয়ান যুদ্ধ চলাকালীন, বুলগেরিয়ার এক মহিলার শোবার ঘরে। ঘরটি সস্তা ভিয়েনিজ ও ধনী বুলগেরিয়ান জিনিসপত্রের মিশ্র সাজে সজ্জিত। দেয়ালে একটি সুদর্শন বুলগেরিয়ান অফিসারের বড় একটি ছবি ঝুলছে। রায়না পেটকফ, এক তরুণী, রাতের পোশাকে বারান্দায় দাঁড়িয়ে আছে। সে চাঁদের আলোয় রাত উপভোগ করছে এবং তার বাগদত্তা, যুদ্ধনায়ক সারজিয়াস সারানফকে নিয়ে ভাবছে। সে তার জন্য গর্বিত অনুভব করে, তবে তার সাহসিকতা নিয়ে কিছুটা সংশয়ও রাখে। তার মা ক্যাথরিন ঘরে এসে রায়নাকে জানায় যে সারজিয়াস একটি বড় যুদ্ধে বীরত্ব দেখিয়েছে এবং ঘোড়সওয়ার বাহিনীকে নেতৃত্ব দিয়েছে। রায়না এই খবরে খুশি ও স্বস্তি বোধ করে।

তবে রায়না তার মাকে স্বীকার করে যে, এক সময় সে ভেবেছিল সারজিয়াস হয়তো রাশিয়ান অফিসারদের তুলনায় মলিন দেখাবে। সে চিন্তিত ছিল যে, তার সারজিয়াস সম্পর্কে ধারণাগুলো হয়তো কবিতা ও অপেরার রোমান্টিক কল্পনা থেকে এসেছে। তারা কথা বলার সময়, রায়নার দাসী লৌকা ঘরে প্রবেশ করে এবং যুদ্ধের কারণে রাস্তায় গুলির শব্দ সম্পর্কে সতর্ক করে। লৌকা জানায়, সার্বিয়ান সৈন্যরা পশ্চাদপসরণ করছে এবং শহরের দিকে এগিয়ে আসতে পারে। ক্যাথরিন রায়নাকে জানালার শাটার বন্ধ করতে বলে, কিন্তু রায়না জানালে জানায়, সে নিজেই সেটা করবে, এবং লৌকা ঘর থেকে বেরিয়ে যায়।

লৌকা চলে যাওয়ার পর, রায়না সারজিয়াসের ছবি দেখে মুগ্ধ হয়ে তাকে তার সাহসী নায়ক হিসেবে কল্পনা করে। হঠাৎ বাইরে গুলির শব্দ শোনা যায়। রায়না সব মোমবাতি নিভিয়ে ফেলে। ঠিক তখনই, জানালার শাটার খুলে যায়, এবং এক সৈনিক বারান্দা দিয়ে ঘরে ঢুকে পড়ে। সৈনিকের পোশাক ছেঁড়া-ফাটা, এবং রায়না তাকে দেখে হতভম্ব হয়ে যায়। সৈনিক তাকে হুমকি দিয়ে বলে, যদি সে চিৎকার করে, তাহলে সে তাকে মেরে ফেলবে। কিন্তু রায়না ভয় পায় না এবং জানায়, সে ভীত নয়। তখন সৈনিক জানায় যে, সে একজন সার্বিয়ান সৈনিক এবং পালানোর চেষ্টা করছে।

লৌকা দরজায় কড়া নাড়লে, সৈনিক ভীত হয়ে পড়ে। কিন্তু রায়না তাকে পর্দার আড়ালে লুকিয়ে রাখে এবং তাকে আশ্বস্ত করে। লৌকা ক্যাথরিন এবং এক বুলগেরিয়ান অফিসারকে নিয়ে ঘরে প্রবেশ করে, যারা বারান্দা পরীক্ষা করতে চায়। কারণ তারা শুনেছে, এক সৈনিক রায়নার ঘরে ঢুকেছে। অফিসার বারান্দা পরীক্ষা করে কিছু খুঁজে না পেয়ে ধরে নেয়, এটি একটি ভুল ছিল।

সবাই চলে যাওয়ার পর, সৈনিক রায়নাকে জানায় যে, সে সার্বিয়ান নয় বরং একজন সুইস ভাড়াটে সৈনিক। সে জানায়, সে টাকার জন্য যুদ্ধ করে, কোনো আদর্শের জন্য নয়। সে আরও ব্যাখ্যা করে যে, সে গুলির বদলে চকলেট বহন করে। সে স্বীকার করে, সে অন্য সৈন্যদের মতো সাহসী নয়। বরং সে শুধু যুদ্ধ থেকে বেঁচে থাকতে চায়। রায়না এতে বিস্মিত হয়, কারণ সে সারজিয়াসের মতো যুদ্ধবীরদের ভাবমূর্তি মনে মনে ধারণ করেছিল। সৈনিক ব্যাখ্যা করে, সৈন্যরাও ভয় পায়, এবং যুদ্ধ বাস্তবে ততটা গৌরবময় নয় যতটা মানুষ ভাবে। রায়না তার সততায় মুগ্ধ হয় এবং তার প্রতি সহানুভূতিশীল হয়ে ওঠে।

সৈনিক রায়নাকে বলে, সে খুব ক্লান্ত এবং নিরাপদে পালানোর আগে কিছুক্ষণ তার ঘরে থাকতে চায়। রায়না তার প্রতি সহানুভূতি দেখায় এবং তাকে সাহায্য করার সিদ্ধান্ত নেয়। সে জানায়, তার পরিবার ধনী ও প্রভাবশালী, তাই সে আপাতত নিরাপদ থাকবে। রায়না তাকে কিছু চকলেট দেয়। সৈনিক তা খেয়ে নেয় এবং স্বীকার করে, সে যতটা সাহসী ভাবত, ততটা নয়। সে নিজেকে “চকলেট ক্রিম সৈনিক” বলে ঠাট্টা করে, নিজের কাপুরুষতার প্রতি ইঙ্গিত দিয়ে।

রায়না জানায়, সে দেখে আসবে বাইরে বেরোনো নিরাপদ কি না। সৈনিক তখন তার বিছানায় উঠে ঘুমিয়ে পড়ে। ক্যাথরিন ঘরে ঢুকে তাকে বিছানায় দেখে বিস্মিত হয়। রায়না ব্যাখ্যা করে, সে খুব ক্লান্ত এবং বিশ্রাম প্রয়োজন। ক্যাথরিন রায়নার ব্যাখ্যায় বিশ্বাস করে এবং কোনো আপত্তি করে না।

অঙ্ক ২: মিথ্যা ও বাস্তবতা

অঙ্ক ২ শুরু হয় মার্চ ১৮৮৬ সালে, পেটকফ পরিবারের বাগানে। লৌকা ও নিকোলা, দুই গৃহপরিচারক, কথা বলছে। নিকোলা লৌকাকে বিয়ে করতে চায় এবং একটি দোকান খুলতে চায়। এ জন্য সে পেটকফ পরিবারের সম্মতির প্রয়োজন মনে করে। লৌকা পেটকফ পরিবারের অনেক গোপন তথ্য জানে, এবং সে বিশ্বাস করে, পরিবারটি তাকে প্রয়োজন করে। নিকোলা তাকে সতর্ক করে যে, যদি সে অসৎ হয়, তারা তাকে বরখাস্ত করতে পারে, এবং তখন কেউই তার কথা বিশ্বাস করবে না।

মেজর পেটকফ যুদ্ধ থেকে বাড়ি ফিরে আসে। ক্যাথরিন তাকে স্বাগত জানায়, তবে অস্ট্রিয়ানরা বুলগেরিয়াকে সার্বিয়ার সঙ্গে শান্তিচুক্তি করতে বাধ্য করেছে বলে তিনি বিরক্ত। মেজর পেটকফ বিষয়টিকে গুরুত্ব না দিয়ে বলে, সার্বিয়ানদের বন্ধু হওয়া জরুরি ছিল না। তিনি ক্যাথরিনের গলার ব্যথার জন্য অতিরিক্ত কাপড় ধোয়ার অভ্যাসকে দায়ী করেন। ক্যাথরিন জানান, তারা একটি বৈদ্যুতিক ঘন্টা লাগিয়েছেন, যেন আর চিৎকার করে দাসদের ডাকতে না হয়।

সারজিয়াস এসে যুদ্ধ নিয়ে কথা বলে। সে জানায়, সে যুদ্ধ জিতেছে “ভুলভাবে”। অর্থাৎ, সে প্রচলিত ধারণায় একজন বীর ছিল না। ক্যাথরিন মনে করে, সারজিয়াসের পদোন্নতি হওয়া উচিত, কিন্তু সারজিয়াস ঘোষণা করে, সে সেনাবাহিনী থেকে পদত্যাগ করছে।

সারজিয়াস ব্যাখ্যা করে, সৈনিকের কাজ কাপুরুষের কাজ। সে বলে, সৈন্যরা তখনই আক্রমণ করে যখন তারা শক্তিশালী থাকে এবং দুর্বল থাকলে ঝুঁকি নেয় না। সে এমন একজনের গল্প বলে, যাকে দুইজন মহিলা লুকিয়ে রেখেছিল। রায়না বুঝতে পারে, এই গল্পটি তখনকার ঘটনা, যখন সে ও তার মা ব্লান্টশলিকে লুকিয়ে রেখেছিল। সে ও তার মা ক্ষুব্ধ ভান করে, কিন্তু সারজিয়াস কিছুই টের পায় না।

পরে, রায়না ও সারজিয়াস তাদের ভালোবাসা নিয়ে কথা বলে। তারা উভয়ে অতিমাত্রায় নাটকীয়ভাবে কথা বলে। সারজিয়াস বলে, রায়নার অনুপ্রেরণায় সে যুদ্ধে লড়েছে। রায়না বলে, সে সারজিয়াসের উপযুক্ত নয়। তারা উভয়ে অনুভব করে যে, তারা একে অপরের জন্য যথেষ্ট নয়। তারা তাদের নিখুঁত ভালোবাসা নিয়ে কথা বলতে থাকে, তবে তা এক ধরনের অভিনয় মনে হয়। লৌকা ঘরে প্রবেশ করলে, রায়না জানায়, তাকে পোশাক পাল্টাতে হবে এবং চলে যায়।

সারজিয়াস লৌকার সঙ্গে কথা বলে, এবং বলে, হয়তো লৌকা “উচ্চতর ভালোবাসা” বুঝবে না। সে স্বীকার করে, প্রতিটি মানুষের সঙ্গে তার ভিন্ন রূপ দেখা দেয়। লৌকা তাকে সতর্ক করে যে, রায়না তাদের লক্ষ্য রাখছে। সারজিয়াস রেগে গিয়ে লৌকার বাহু ধরে। সে বলে, লৌকা তার মালকিনের প্রতি বিশ্বাসঘাতকতা করছে। লৌকা জবাব দেয়, সে রায়নার চেয়ে শক্তিশালী। সে বলে, রায়না মিথ্যাবাদী এবং যতটা যোগ্য দেখায়, ততটা নয়। সারজিয়াস নিজেকে দোষী মনে করে এবং ক্ষমা চেয়ে লৌকাকে টাকা দিতে চায়, কিন্তু লৌকা তা প্রত্যাখ্যান করে। সে দাবি করে, সারজিয়াস তার বাহুতে চুমু খেয়ে ভুলের ক্ষতিপূরণ দিক। সারজিয়াস রাজি হয় না এবং চলে যায়।

রায়না ফিরে আসে, এবং লৌকা তাকে ঘটে যাওয়া ঘটনা জানায়। ক্যাথরিন প্রবেশ করে সারজিয়াসকে জানায়, মেজর পেটকফ তার সামরিক মতামত শুনতে চায় না। রায়না বলে, সারজিয়াসের সঙ্গে কথা বলা উচিত। ক্যাথরিন আরও বলে, ব্লান্টশলিকে লৌকানোর ঘটনা তাকে চিন্তিত করছে। সে রায়নাকে সতর্ক করে যে, সারজিয়াস এ কথা জানতে পারলে, তাদের বিয়ে ভেঙে দিতে পারে। রায়না বলে, সে চায় সারজিয়াস এতটা ‘সুশৃঙ্খল’ না হোক, কারণ সে মাঝে মাঝে সারজিয়াসকে চমকে দিতে ভালোবাসে।

লৌকা ব্লান্টশলিকে নিয়ে আসে, যে তার দেওয়া কোটটি ফিরিয়ে দিতে এসেছে। ক্যাথরিন বিচলিত হয়ে পড়ে। সে চায় না তার স্বামী জানুক যে, তারা ব্লান্টশলিকে সাহায্য করেছিল। ক্যাথরিন লৌকাকে লাইব্রেরির দরজা বন্ধ করতে বলে এবং ব্লান্টশলির ব্যাগ এনে দিতে বলে। ব্লান্টশলি প্রবেশ করে ক্যাথরিনকে তার ঠিকানা লিখে দেয়। ঠিক তখনই, মেজর পেটকফ ও সারজিয়াস ঘরে প্রবেশ করে। তারা সঙ্গে সঙ্গে ব্লান্টশলিকে চিনে ফেলে। ক্যাথরিনের লৌকানোর চেষ্টা ব্যর্থ হয়ে গেলেও, তারা তাকে আন্তরিকভাবে স্বাগত জানায়। মেজর পেটকফ জোর দিয়ে বলে, ব্লান্টশলি তার শহরে অবস্থানকালে তাদের বাড়িতেই থাকবে।

রায়না, এখনো ব্লান্টশলিকে দেখে অবাক, তাকে “চকলেট ক্রিম সৈনিক” বলে ডাকে। সে নিজের ভুল ঢাকতে বলে, সে এক ধরনের মিষ্টান্ন বানিয়েছিল, তার নাম ছিল “চকলেট ক্রিম”। পেটকফ জোর দিয়ে বলে, ব্লান্টশলি তাদের সঙ্গে থাকবে। ব্লান্টশলি প্রথমে অনিচ্ছুক থাকলেও, মেজর পেটকফ তাকে রাজি করান। রায়না এই পরিস্থিতিতে লজ্জিত ও অস্বস্তিকর বোধ করে, কিন্তু সবকিছুর সঙ্গে মানিয়ে নেয়। অঙ্কটি শেষ হয় ক্যাথরিনের অসহায় মনোভাবে, কারণ সে জানে, এই পরিস্থিতি ভবিষ্যতে সমস্যার কারণ হতে পারে।

অঙ্ক ৩: ভালোবাসা, সত্য এবং নির্বাচন

অঙ্ক ৩ একই দিনে পেটকফ পরিবারের লাইব্রেরিতে ঘটে। এটি সেই ঘর, যেটি রায়না একসময় গর্ব করে বর্ণনা করেছিল। কিন্তু ঘরটি আসলে জীর্ণ ও অযত্নে রাখা। দৃশ্যের শুরুতে ব্লান্টশলি দক্ষতার সঙ্গে সামরিক আদেশ লিখছে, আর সারজিয়াস তা দেখে ঈর্ষান্বিত হয়ে পড়ে।

মেজর পেটকফ ঘরে ঢুকে তার কোট খোঁজে, যা সে খুঁজে পাচ্ছে না। ক্যাথরিন বলে, কোটটি আলমারিতে আছে, কিন্তু পেটকফ জোর দিয়ে বলে, সেখানে নেই। সে ক্যাথরিনের সঙ্গে একটি গয়নার বাজি ধরে যে কোটটি আলমারিতে নেই, এবং অন্যরাও—সারজিয়াসসহ—বাজিতে যোগ দেয়। ঠিক তখনই নিকোলা কোটটি নিয়ে আসে। সে বলে, কোটটি পুরো সময়ই আলমারিতে ছিল। পেটকফ হতভম্ব হয়ে সারজিয়াসকে মনে করিয়ে দেয় যে, সে বাজি ধরেনি।

ব্লান্টশলি তার কাজ শেষ করে পেটকফ ও সারজিয়াসকে সামরিক আদেশ পৌঁছে দিতে বলে। রায়না ও ব্লান্টশলি একা থাকে। রায়না জানতে চায়, ব্লান্টশলি কি যুদ্ধের সময় তাদের বাড়িতে লুকিয়ে থাকার কথা কাউকে বলেছে। ব্লান্টশলি বলে, সে শুধু একজনকে বলেছে, কিন্তু সেই ব্যক্তি আবার সারজিয়াস ও পেটকফকে জানিয়েছে। রায়না উদ্বিগ্ন হয়, কারণ সে জানে, সারজিয়াস জানলে ব্লান্টশলিকে দ্বন্দ্বে ডাকবে। ব্লান্টশলি বিষয়টিকে হালকাভাবে নেয়, যা রায়নাকে ক্ষিপ্ত করে। রায়না জোর দিয়ে বলে, সে চায় সারজিয়াসের জন্য নিখুঁত হতে। সে যে মিথ্যাগুলো বলেছে, বিশেষ করে ব্লান্টশলিকে রক্ষার জন্য, তা নিয়ে সে দুঃখ প্রকাশ করে।

ব্লান্টশলি ব্যাখ্যা করে যে, একজন সৈনিক হিসেবে সে অনেক মিথ্যা শুনেছে। সে বলে, মহৎ মনোভাব ও আদর্শ তাকে প্রভাবিত করে না। সে রায়নার কথিত “উচ্চতর” আদর্শে বিশ্বাস করে না। সে আরও জানায়, তার মুগ্ধতা রায়নার কাজে, তার কথায় নয়। রায়না বিস্মিত হয় যে, ব্লান্টশলি তার ভান বুঝে ফেলেছে। সে বলে, ব্লান্টশলি-ই প্রথম মানুষ যে তাকে তার আসল রূপে দেখেছে, এবং এই সত্য তাকে অসহায় মনে করায়।

এরপর রায়নার মনে পড়ে, সে যে ছবি কোটের পকেটে রেখেছিল তা নিয়ে ব্লান্টশলিকে কিছু বলেনি। ব্লান্টশলি স্বীকার করে, সে বিষয়টি জানত না এবং সেটা হয়তো এখনো কোটে আছে। তবে সে স্বীকার করে, টিকে থাকার জন্য সে কোটটি বন্ধক দিয়েছিল। ছবিটি হয়তো বন্ধকদাতা নিয়ে নিয়েছে। রায়না তীব্র প্রতিক্রিয়া জানায় এবং বলে, ব্লান্টশলি একজন ভদ্রলোক নয়। সে অনুশোচনা করে যে, ব্লান্টশলির সঙ্গে কখনো দেখা হয়েছিল।

ঠিক তখনই, লৌকা চিঠিপত্র নিয়ে আসে ব্লান্টশলির জন্য। সে জানায়, ব্লান্টশলির পিতা মারা গেছেন। এখনই তাকে ফিরে যেতে হবে পারিবারিক হোটেল ব্যবসা দেখাশোনা করতে। লৌকা মন্তব্য করে, ব্লান্টশলি তার পিতার মৃত্যুতে অবিচলিত দেখায়। রায়না ব্যাখ্যা করে, সে একজন সৈনিক এবং কঠিন পরিস্থিতির সঙ্গে অভ্যস্ত। লৌকা দ্বিমত পোষণ করে এবং বলে, সারজিয়াস এখনো মানবিক। রায়না কক্ষে থেকে বেরিয়ে যায়, বিভ্রান্ত ও দ্বিধাগ্রস্ত হয়ে। এদিকে, নিকোলা ও লৌকা তাদের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করে। নিকোলা লৌকাকে বিয়ে করতে চায়, তবে সে উদ্বিগ্ন, তাদের বিয়ে তার সামাজিক মর্যাদায় প্রভাব ফেলবে কি না। লৌকা ভিন্ন মত পোষণ করে এবং জীবনে আরও কিছু চায়।

পরে, সারজিয়াস ও লৌকা একান্তে থাকে এবং সাহস নিয়ে কথা বলে। সারজিয়াস বলে, সে যুদ্ধে সাহসী ছিল। লৌকা তার ধারণা চ্যালেঞ্জ করে। সে বলে, সত্যিকারের সাহস হলো এমন একজনকে বিয়ে করা, যাকে তুমি ভালোবাসো—সামাজিক অবস্থান যাই হোক না কেন। সে সারজিয়াসকে অভিযুক্ত করে যে, সে লৌকাকে বিয়ে করার সাহস রাখে না। সারজিয়াস, লজ্জিত হয়ে, তার কথাকে অগ্রাহ্য করে, তবে মনে হয়, কথাগুলো তাকে নাড়িয়ে দিয়েছে। সে স্বীকার করে, লৌকার প্রতি তার অনুভূতি আছে।

সারজিয়াস রেগে গিয়ে ব্লান্টশলিকে দ্বন্দ্বের জন্য আহ্বান জানায়। রায়না এসে জানতে চায়, এই দ্বন্দ্বের কারণ কী। ব্লান্টশলি, সর্বদা শান্ত, রায়নাকে আশ্বস্ত করে যে, সে একসময় তলোয়ার শিক্ষকের কাজ করত এবং সারজিয়াস তার ক্ষতি করতে পারবে না। সে চলে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়, যেন রায়না সারজিয়াসকে বিয়ে করতে পারে। সারজিয়াস বুঝতে পারে, রায়নার ব্লান্টশলির প্রতি অনুভূতি আছে এবং রেগে যায়। সে রায়নাকে অভিযুক্ত করে, সে সুইস সৈনিককে ভালোবাসে।

ব্লান্টশলি বলে, রায়না শুধু তাকে সাহায্য করেছিল কারণ সে তাকে বন্দুক দেখিয়ে ভয় দেখিয়েছিল। রায়না স্বীকার করে, লৌকা সারজিয়াসকে সব বলেছে। সারজিয়াস ক্ষুব্ধ হয়ে দ্বন্দ্ব বাতিল করে। সে বুঝতে পারে, লৌকা তাকে প্রতারিত করেছে।

রায়না, সারজিয়াসকে মনে করিয়ে দেয়, লৌকা ইতোমধ্যে নিকোলার সঙ্গে বাগদান করেছে। তারা দেখতে পায়, লৌকা দরজার বাইরে দাঁড়িয়ে শুনছে।

ঠিক তখনই, পেটকফ ঘরে ঢোকে। সে বলে, কোটটি এখন খুব ঢিলেঢালা লাগছে। সে ভাবে, কেউ কি বড় কাঁধবিশিষ্ট ব্যক্তি সেটি পরেছিল? ক্যাথরিন কোটটি ঠিক করছে, আর পেটকফ লৌকাকে সেটি আনতে বলে। নিকোলা কোট নিয়ে আসে। রায়না সুযোগ বুঝে পকেট থেকে ছবিটি সরিয়ে ব্লান্টশলিকে দিয়ে দেয়। তবে পেটকফ খেয়াল করে ছবিটি নেই এবং ধরে নেয়, এটি সারজিয়াসের জন্য ছিল, কারণ এটি রায়নার পক্ষ থেকে তার “চকলেট ক্রিম সৈনিক”-এর নামে।

ব্লান্টশলি অবশেষে পুরো ঘটনাটি ব্যাখ্যা করে। পেটকফ রায়নাকে জিজ্ঞেস করে, সে কাকে বিয়ে করতে চায়। রায়না উত্তর দেয়, সারজিয়াস লৌকাকে ভালোবাসে। নিকোলা কথা বলে ওঠে, বলে লৌকা তার সঙ্গে বাগদত্তা। কিন্তু লৌকা স্বীকার করে, সে সারজিয়াসকে ভালোবাসে। সারজিয়াস লৌকার কাছে ক্ষমা চায় এবং তার হাত চুম্বন করে। লৌকা তা গ্রহণ করে, এবং তারা এখন বাগদত্ত।

ক্যাথরিন লৌকার ওপর রাগান্বিত হয়। কিন্তু লৌকা বলে, তার অনুভূতি লুকিয়ে রাখার কোনো কারণ ছিল না। সে স্বীকার করে, সারজিয়াসের প্রতি তার ভালোবাসা রায়নার ব্লান্টশলির প্রতি ভালোবাসার চেয়েও গভীর। অন্যদিকে, ব্লান্টশলি এখনও নিশ্চিত নয়, রায়না তাকে সত্যিই ভালোবাসে কি না। সে সন্দেহ প্রকাশ করে, কারণ রায়না তার চেয়ে অনেক ছোট। কিন্তু যখন সে জানতে পারে, রায়নার বয়স ২৩, তখন সে তাকে কাছে পেতে চায়।

ক্যাথরিন আপত্তি জানায়, বলে রায়নার এমন একজনকে প্রয়োজন, যে সারজিয়াসের মতো অভিজাত। ব্লান্টশলি প্রকাশ করে, সে সারজিয়াসের চেয়েও ধনী। সে জানায়, তার শত শত ঘোড়া রয়েছে এবং একটি সফল হোটেল ব্যবসা চালায়। রায়না তার ধন-সম্পদে প্রভাবিত হয় না, তবে পেটকফ ও ক্যাথরিন সন্তুষ্ট হয়। রায়না জানায়, সে শুধু ধনী বলেই কাউকে বিয়ে করতে পারে না। ব্লান্টশলি ঘোষণা করে, সে দুই সপ্তাহের মধ্যে ফিরে আসবে সবকিছু ঠিক করতে। রায়না স্বীকার করে, সে তার হৃদয় দিয়েছে শুধুমাত্র “চকলেট ক্রিম সৈনিক”-কেই—অন্য কাউকে নয়।

Themes

নায়কত্ব ও যুদ্ধের বাস্তবতা: এই নাটকটি প্রচলিত নায়কত্বের ধারণাকে চ্যালেঞ্জ করে। প্রথম অঙ্কে, রায়না তার বাগদত্তা সারজিয়াসকে একজন নায়ক হিসেবে প্রশংসা করে। কিন্তু শীঘ্রই সে বুঝতে পারে, সত্যিকারের সাহস কোনো আদর্শিক যুদ্ধগাথার মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। দ্বিতীয় অঙ্কে ব্লান্টশলি প্রকাশ করে যে, যুদ্ধ গৌরবময় নয়। সে আরও জানায়, সৈনিকরা প্রায়ই মৃত্যুভয়ে কাঁপে। নাটকটি যুদ্ধকে এক প্রহসন হিসেবে তুলে ধরে। এটি দেখায়, প্রকৃত বীরত্ব রোমান্টিক কল্পনার মধ্যে নয়, বরং বাস্তব কর্মে নিহিত।

ভালোবাসা ও আদর্শ বনাম বাস্তবতা: নাটকে ভালোবাসাকে প্রায়ই বিভ্রমের ওপর ভিত্তি করে উপস্থাপন করা হয়েছে। রায়নার সারজিয়াসের প্রতি ভালোবাসা আদর্শিক, যা তার নায়কসুলভ ভাবমূর্তির ওপর ভিত্তি করে গড়ে উঠেছিল। তবে, নাটক এগোতে থাকলে—বিশেষত তৃতীয় অঙ্কে—রায়না বুঝতে পারে, সারজিয়াস আদর্শ পুরুষ নয় যাকে সে ভেবেছিল। তার প্রকৃত অনুভূতি ব্লান্টশলির প্রতি প্রকাশ পায়। নাটকটি দেখায়, বাস্তবতার ওপর ভিত্তি করে গড়ে ওঠা ভালোবাসা আদর্শিক ভালোবাসার চেয়ে অনেক বেশি অর্থবহ।

শ্রেণি ও সামাজিক প্রত্যাশা: নাটকটি শ্রেণিবিভেদ ও সামাজিক নিয়ম মানার চাপ নিয়েও ভাবনা তুলে ধরে। রায়না ও সারজিয়াস উভয়েই নিজেদের সামাজিক ভূমিকার ফাঁদে আটকে পড়ে। একজন অভিজাত হিসেবে সারজিয়াস প্রকৃত অনুভূতি প্রকাশে সংকুচিত বোধ করে। অপরদিকে, রায়না ‘নিখুঁত’ হওয়ার এক মুখোশ ধরে রাখে। এর বিপরীতে, নিম্নশ্রেণি থেকে আগত ব্লান্টশলি ও লৌকা অনেক বেশি খোলামেলা ও সত্‍। নাটকটি দেখায়, শ্রেণিই মানুষের মূল্য বা আন্তরিক সম্পর্ক গড়ে তোলার ক্ষমতা নির্ধারণ করে না। তৃতীয় অঙ্কে স্পষ্ট হয় যে, ভালোবাসা শ্রেণির সীমা অতিক্রম করতে পারে।

প্রবঞ্চনা ও সত্য: পুরো নাটক জুড়ে চরিত্ররা প্রবঞ্চনা ও সত্যের মধ্যে লড়াই করে। প্রথম অঙ্কে, রায়না ব্লান্টশলিকে রক্ষা করতে মিথ্যা বলে, আর সারজিয়াস নিজের সাহসিকতা সম্পর্কে মিথ্যা প্রকাশ করে। দ্বিতীয় অঙ্কে, রায়না স্বীকার করে, সে এক মিথ্যার মধ্যে বসবাস করছে। শেষ অঙ্কে স্পষ্ট হয়ে ওঠে, প্রকৃত সম্পর্ক গড়ে তুলতে সততা অত্যাবশ্যক। নাটকটি মিথ্যা চেহারা ও সত্যর মধ্যে পার্থক্য তুলে ধরে। এটি দর্শকদেরকে বাহ্যিক আদর্শের বাইরে গিয়ে সত্যকে খোঁজার আহ্বান জানায়।

Important Quotes

Idealism of Love

“I think we two have found the higher love. When I think of you, I feel that I could never do a base deed, or think an ignoble thought.”

Explanation: Raina believes that her love for Sergius is pure and perfect. She thinks of him as someone who makes her better. However, this is ironic because she secretly helped Bluntschli, and Sergius is secretly involved with Louka. Their relationship is not as perfect as Raina thinks.

ব্যাখ্যা: রায়না বিশ্বাস করে, সারজিয়াসের প্রতি তার ভালোবাসা বিশুদ্ধ এবং নিখুঁত। সে মনে করে, সারজিয়াস এমন একজন, যার কারণে সে নিজে আরও ভালো মানুষ হয়ে উঠছে। তবে এটি একটি বিদ্রূপপূর্ণ বিষয়, কারণ সে গোপনে ব্লান্টশলিকে সাহায্য করেছিল, এবং সারজিয়াস গোপনে লৌকার সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে আছে। তাদের সম্পর্ক রায়নার ভাবনার মতো নিখুঁত নয়।

“Oh, I shall never be unworthy of you any more, my hero—never, never, never.”

Explanation: Raina says this line while looking at Sergius’s portrait at the beginning of the play. She admires him greatly and believes he is a hero. At this point, she sees their love as perfect and ideal. However, later in the play, this idealism is broken as she discovers the truth about Sergius.

ব্যাখ্যা: নাটকের শুরুতে, রায়না সারজিয়াসের প্রতিকৃতির দিকে তাকিয়ে এই কথাটি বলে। সে সারজিয়াসকে গভীরভাবে শ্রদ্ধা করে এবং তাকে একজন নায়ক মনে করে। এই মুহূর্তে, সে তাদের ভালোবাসাকে নিখুঁত ও আদর্শ বলে মনে করে। তবে, নাটক যত এগোয়, সে সারজিয়াস সম্পর্কে সত্য জানতে পারে, এবং তার এই আদর্শবাদ ভেঙে পড়ে।

Disillusionment of Love

“The world is not such an innocent place as we used to think.”

Explanation: Sergius says this after Major Petkoff reveals that he found Raina’s photograph in the coat pocket in Act 3. Everyone had been hiding their secrets, pretending things were normal. Sergius’s words show that he realizes the idealized world he and Raina created is fake. They were both living in fantasies, and now they must face the truth.

ব্যাখ্যা: তৃতীয় অঙ্কে, মেজর পেটকফ যখন জানায় যে সে রায়নার ছবি কোটের পকেটে পেয়েছে, তখন সারজিয়াস এই কথা বলে। সবাই তাদের গোপন তথ্য লুকিয়ে রাখছিল এবং স্বাভাবিক আচরণ করার ভান করছিল। সারজিয়াসের এই কথা বোঝায় যে, সে বুঝতে পেরেছে, যে আদর্শিক জগত সে ও রায়না তৈরি করেছিল তা মিথ্যা। তারা দুজনেই এক ধরনের কল্পনার জগতে বাস করছিল, আর এখন তাদের বাস্তবতার মুখোমুখি হতে হবে।

Idealism of War

“The world is really a glorious world for women who can see its glory and men who can act its romance!”

Explanation: Raina says this after hearing of Sergius’s victory in battle. She believes her romantic ideas about war are true. This view makes Raina seem naïve, as she is sheltered from the realities of war and life. Her point of view shows traditional gender roles. Women are expected to watch and admire, while men take action and live out exciting things like going to war.

ব্যাখ্যা: রায়না এই কথা বলে যখন সে সারজিয়াসের যুদ্ধজয়ের খবর শুনে। সে মনে করে, যুদ্ধ নিয়ে তার রোমান্টিক ধারণাগুলো সত্য। এই দৃষ্টিভঙ্গি রায়নাকে একধরনের শিশুতোষ ও অভিজ্ঞতাহীন করে তোলে, কারণ সে যুদ্ধ ও জীবনের বাস্তবতা থেকে দূরে বড় হয়েছে। তার এই মনোভাব প্রচলিত লিঙ্গভূমিকার প্রতিফলন—যেখানে নারীরা কেবল বাহ্যিক প্রশংসা করে, আর পুরুষেরা কাজ করে এবং যুদ্ধের মতো উত্তেজনাপূর্ণ অভিজ্ঞতায় অংশ নেয়।

Disillusionment of War

“Remember: nine soldiers out of ten are born fools.”

Explanation: Bluntschli says this in Act 1 when he is hiding in Raina’s room. He means that most soldiers are not very smart and just follow orders without thinking. Bluntschli, however, is different. He is practical and only cares about surviving, not about acting like a hero. This shows his realistic view of soldiers and war.

ব্যাখ্যা: প্রথম অঙ্কে, রায়নার ঘরে লুকিয়ে থাকা অবস্থায় ব্লান্টশলি এই কথা বলে। তার মানে, বেশিরভাগ সৈনিক খুব একটা বুদ্ধিমান নয় এবং তারা না ভেবে শুধু আদেশ অনুসরণ করে। কিন্তু ব্লান্টশলি আলাদা। সে বাস্তববাদী এবং কেবল টিকে থাকার দিকেই মনোযোগ দেয়, বীরত্ব দেখানোর প্রতি নয়। এটি সৈনিক ও যুদ্ধ সম্পর্কে তার বাস্তবচেতা দৃষ্টিভঙ্গি প্রকাশ করে।

“I am a Swiss, fighting merely as a professional soldier. I joined Servia because it came first on the road from Switzerland.”

Explanation: Bluntschli says this line in Act 1 after climbing into Raina’s bedroom to hide. He reveals that he is a Swiss mercenary. He is not a patriotic soldier fighting for his country. He joined the Serbian army simply because it was the first army he came across on his way. His view of war is practical and economic, not romantic or heroic.

ব্যাখ্যা: প্রথম অঙ্কে, রায়নার ঘরে লুকিয়ে যাওয়ার পর ব্লান্টশলি এই কথাটি বলে। সে জানায়, সে একজন সুইস ভাড়াটে সৈনিক। সে কোনো দেশপ্রেমিক সেনা নয়, যে নিজের দেশের জন্য যুদ্ধ করছে। সে সার্বিয়ান সেনাবাহিনীতে যোগ দিয়েছিল শুধু কারণ এটি তার পথে পড়া প্রথম বাহিনী ছিল। যুদ্ধ সম্পর্কে তার দৃষ্টিভঙ্গি বাস্তবমুখী ও আর্থিক, রোমান্টিক বা বীরত্বপূর্ণ নয়।

“Soldiering … is the coward’s art of attacking mercilessly when you are strong, and keeping out of harm’s way when you are weak.”

Explanation: Sergius says this line in Act 2 when he talks about why he is quitting the army. He wanted to be brave and noble. However, he realized that soldiering is not about fairness or honor. Instead, it’s about attacking when you’re strong and avoiding danger when you’re not. This line opposes the idealism of war.

ব্যাখ্যা: দ্বিতীয় অঙ্কে, সারজিয়াস সেনাবাহিনী ছাড়ার কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে এই কথাটি বলে। সে চেয়েছিল সাহসী ও মহৎ হতে। কিন্তু পরে বুঝতে পারে, সৈনিকের কাজ ন্যায় বা সম্মানের নয়। বরং শক্তি থাকলে আক্রমণ করা, আর দুর্বল হলে নিরাপদে থাকা—এই হলো বাস্তবতা। এই উক্তি যুদ্ধের আদর্শিক দৃষ্টিভঙ্গির বিরোধিতা করে।

“Oh, war! war! The dream of patriots and heroes! A fraud, Bluntschli, a hollow sham, like love.”

Explanation: Sergius says this in Act 3. He realizes that war is not as heroic as it seems. Soldiers believe in the glory of war, but it’s just a fraud. Love, too, is a sham. People don’t always marry who they truly love. Instead, they follow society’s rules and act like they are happy.

ব্যাখ্যা: তৃতীয় অঙ্কে সারজিয়াস এই কথাটি বলে। সে বুঝতে পারে, যুদ্ধ আসলে ততটা বীরত্বপূর্ণ নয় যতটা দেখানো হয়। সৈন্যরা যুদ্ধের গৌরবময় ধারণায় বিশ্বাস করে, কিন্তু তা এক ধরনের প্রতারণা। ভালোবাসাও তাই। মানুষ সবসময় যাকে সত্যিকারে ভালোবাসে তাকে বিয়ে করে না। বরং তারা সমাজের নিয়ম মেনে চলে এবং সুখী হওয়ার ভান করে।

Manipulation of Women and Class Division

“I would marry the man I loved, which no other queen in Europe has the courage to do.”

Explanation: Louka says this in Act 3. She challenges Sergius by saying that she would marry the man she loves, no matter his social status. She believes that this makes her braver than any queen because queens follow society’s rules and marry for status. Louka sees true bravery in defying class boundaries for love, something society would never allow.

ব্যাখ্যা: তৃতীয় অঙ্কে লৌকা এই কথাটি বলে। সে সারজিয়াসকে চ্যালেঞ্জ করে বলে, সে নিজের ভালোবাসার মানুষকে বিয়ে করত, তার সামাজিক অবস্থান যাই হোক না কেন। লৌকা মনে করে, এই সাহস তাকে যে কোনো রাণীর চেয়েও সাহসী করে তোলে, কারণ রাণীরা সমাজের নিয়ম মেনে চলে এবং মর্যাদা অনুযায়ী বিয়ে করে। লৌকার দৃষ্টিতে, সত্যিকারের সাহস হলো শ্রেণিভেদ উপেক্ষা করে ভালোবাসার জন্য লড়াই করা—যা সমাজ সহজে মেনে নেয় না।

Class Division

“You have the soul of a servant, Nicola. Yes: that’s the secret of success in service.”

Explanation: Louka says this to Nicola in Act 2. Nicola has warned Louka to be careful with her behavior toward Catherine, but Louka doesn’t care. She thinks Nicola is too loyal to the family and too much of a servant. Louka’s words show her resentment of her position in life. She believes that despite being a servant, she is equal to the family she works for. She hates the idea of being defined by her class.

ব্যাখ্যা: দ্বিতীয় অঙ্কে, লৌকা নিকোলাকে এই কথাটি বলে। নিকোলা তাকে সতর্ক করে ক্যাথরিনের প্রতি আচরণে সাবধান হতে, কিন্তু লৌকা তাতে পাত্তা দেয় না। সে মনে করে, নিকোলা পরিবারটির প্রতি অতিরিক্ত অনুগত এবং নিজেকে খুব বেশিই একজন চাকর হিসেবে ভাবছে। লৌকার কথাগুলো তার জীবনের অবস্থান নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে। সে বিশ্বাস করে, সে একজন গৃহপরিচারিকা হলেও, পরিবারের সদস্যদের সমান মর্যাদার অধিকারী। সে তার শ্রেণি দিয়ে পরিচিত হওয়াকে ঘৃণা করে।

Main Message: The main message of Arms and the Man is that romantic ideals about love and war are often false. The play shows how people, especially soldiers, can be fooled by these illusions. It emphasizes the importance of truth and reality. The characters Bluntschli and Raina show an important lesson. Real love comes from being honest and practical, not from chasing dreams or fantasies.

মূল বার্তা: Arms and the Man নাটকের মূল বার্তা হলো—ভালোবাসা ও যুদ্ধ সম্পর্কে রোমান্টিক ধারণাগুলো প্রায়ই মিথ্যা। নাটকটি দেখায়, কীভাবে মানুষ—বিশেষ করে সৈন্যরা—এই বিভ্রমে প্রতারিত হতে পারে। এটি সত্য ও বাস্তবতার গুরুত্বকে জোর দিয়ে তুলে ধরে। ব্লান্টশলি ও রায়নার চরিত্রের মাধ্যমে একটি গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা পাওয়া যায়: প্রকৃত ভালোবাসা আসে সততা ও বাস্তবতার মধ্য দিয়ে—স্বপ্ন বা কল্পনার পেছনে দৌড়ে নয়।

Shihabur Rahman
Shihabur Rahman
Hey, This is Shihabur Rahaman, B.A (Hons) & M.A in English from National University.

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

ফেসবুক পেইজ

কোর্স টপিক