The Frogs- বাংলা সামারি

The Frogs

সংক্ষিপ্ত জীবনী: অ্যারিস্টোফেনস (Aristophanes)

অ্যারিস্টোফেনসকে (c. 446 BCE – c. 386 BCE) প্রাচীন গ্রিসের Comedy-এর জনক বা “Father of Comedy” বলা হয়। তিনি ছিলেন এথেন্সের শ্রেষ্ঠ কৌতুকনাট্যকার (comic dramatist)। তার রচনাকে বিশেষভাবে “Old Comedy” ধারা বলা হয়। কারণ তার নাটকে রাজনৈতিক ব্যঙ্গ, সামাজিক বিদ্রূপ, এবং কল্পনাপ্রবণ হাস্যরস একত্রিত ছিল। অ্যারিস্টোফেনস এথেন্সে জন্মগ্রহণ করেন এবং জীবন কাটান পেলোপনেশিয়ান যুদ্ধের (Peloponnesian War) সময়। এই যুদ্ধ এথেন্স ও স্পার্টার মধ্যে হয়েছিল। তার নাটকগুলোতে সমসাময়িক রাজনীতি, সমাজ এবং দর্শনের নানা অসঙ্গতি ও ভণ্ডামিকে ব্যঙ্গ করা হয়েছে। বিশেষ করে তিনি দার্শনিক সক্রেটিস, রাজনীতিক ক্লিওন এবং এথেন্সের যুদ্ধনীতি নিয়ে তীক্ষ্ণ ব্যঙ্গ করেছেন। অ্যারিস্টোফেনস কল্পনার সাথে সমাজ-রাজনীতির সত্য ঘটনাকে মিশিয়ে হাস্যকর কাহিনি তৈরি করতেন। তার নাটকে কোরাসের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল। অশ্লীল কৌতুক, তীক্ষ্ণ ব্যঙ্গ, রাজনৈতিক বিদ্রূপ এবং কল্পনার অভিনব ব্যবহার তার নাটকের প্রধান বৈশিষ্ট্য। তিনি বিশ্বাস করতেন, নাটকের মাধ্যমে মানুষকে শিক্ষা দেওয়া যায় এবং সমাজকে সংস্কার করা যায়। অ্যারিস্টোফেনস প্রায় ৪০টির মতো নাটক রচনা করেছিলেন। এর মধ্যে প্রায় ১১টি পূর্ণাঙ্গ আকারে টিকে আছে। তার বিখ্যাত নাটকগুলোর মধ্যে রয়েছে,

  • The Clouds (মেঘ) – সক্রেটিসকে ব্যঙ্গ করে লেখা, দর্শন ও শিক্ষার ভণ্ডামি তুলে ধরা হয়েছে।
  • The Frogs (ব্যাঙ) – এখানে নাট্যকারদের মূল্যায়ন করা হয়েছে, বিশেষ করে এস্কাইলাস ও ইউরিপিডিসের মধ্যে তুলনা।
  • Lysistrata – নারীরা যুদ্ধ বন্ধ করার জন্য স্বামীদের সঙ্গে সম্পর্ক ত্যাগ করে আন্দোলন করে।
  • The Birds (পাখি) – কল্পনায় নির্মিত এক নতুন আদর্শ নগরীর কাহিনি।
  • The Acharnians – যুদ্ধবিরোধী মনোভাব প্রকাশ করা হয়েছে।
  • The Wasps (বোলতা) – এথেন্সের আইনব্যবস্থা ও আদালতের ভণ্ডামি নিয়ে ব্যঙ্গ।

অ্যারিস্টোফেনস গ্রিক কমেডির প্রথম মহান শিক্ষক। তিনি নাটকের মাধ্যমে শুধু বিনোদন দেননি, বরং সমসাময়িক সমাজ, রাজনীতি ও সংস্কৃতির অসঙ্গতিগুলো স্পষ্ট করে তুলেছিলেন। এজন্য তাকে পাশ্চাত্য কমেডির ভিত্তি নির্মাতা বলা হয়। তাই, এস্কাইলাস যেমন গ্রিক ট্র্যাজেডির জনক, তেমনি অ্যারিস্টোফেনস গ্রিক কৌতুকনাট্যের জনক হিসেবে আজও অমর।

আরো পড়ুনঃ Phaedra- বাংলা সামারি 

Key Facts

  • Full Title: The Frogs (Βάτραχοι in Greek)
  • Author: Aristophanes (c. 446 – c. 386 BCE)
  • Title of the Author: Father of Comedy / Father of Old Comedy / The greatest comic playwright of ancient Athens
  • Source: Based on Greek mythology, Athenian politics, and cultural life; it mixes a mythological journey to the Underworld with satire on literature, drama, and contemporary Athenian society.
  • Written Time: First performed in 405 BCE, during the City Dionysia festival in Athens.
  • First Performed: 405 BCE at the City Dionysia festival, where it won first prize.
  • First Published: 405 BCE
  • Genre: Old Comedy / Satirical Drama / Literary Criticism Play
  • Form: Verse drama written in Ancient Greek; it combines comic dialogue in iambic trimeter with choral odes (the “frog chorus” is especially famous).
  • Structure: Divided into two major halves: 1. The journey of Dionysus to the Underworld to bring back a great tragedian. 2. The debate (Agon) between Aeschylus and Euripides in Hades to decide who is the greater poet.
  • Tone: Comic, satirical, witty, playful, exaggerated, but also serious in its cultural criticism.
  • Point of View: Primarily dramatic dialogue; perspectives shift between Dionysus, Xanthias (his slave), the Chorus of Frogs, Euripides, Aeschylus, and other characters in the Underworld.
  • Significance: One of Aristophanes’ most famous plays; it is unique as both a comedy and a work of literary criticism. It provides valuable insight into how Athenians viewed tragedy, especially the contrast between Aeschylus and Euripides. It also reflects the cultural anxiety of Athens during the Peloponnesian War. It seeks moral and political guidance from poets.
  • Language: Ancient Greek.
  • Famous Line: “We are the chorus of the frogs, brekekekex koax koax!” (imitating frog sounds; one of the most quoted comic refrains in literature).
  • Setting:
  • Time Setting: During the Peloponnesian War, late 5th century BCE.
  • Place Setting: Starts in Athens, then moves to the mythological Underworld (Hades).

Key Notes

Literary Criticism (সাহিত্য সমালোচনা): এই নাটকটি শুধু হাস্যরস নয়, বরং প্রাচীন বিশ্বের প্রথম সাহিত্য সমালোচনামূলক নাটক। পাতাললোকে Dionysus দুই ট্র্যাজেডি কবি, Aeschylus ও Euripides-এর মধ্যে প্রতিযোগিতা আয়োজন করেন। দুজনেই নিজেদের শ্রেষ্ঠ প্রমাণ করার চেষ্টা করে। এখানে কবিদের শৈলী, কাব্যের উদ্দেশ্য, এবং নাটকের শক্তি নিয়ে বিতর্ক হয়। Aristophanes দেখাতে চেয়েছেন, কবি শুধু শিল্পী নন; তিনি সমাজের পথপ্রদর্শক।

Chorus of Frogs (ব্যাঙদের কোরাস): নাটকের সবচেয়ে বিখ্যাত অংশ হলো “Brekekekex koax koax” ধ্বনি তোলা ব্যাঙদের কোরাস। Dionysus পাতাললোকে যাওয়ার পথে এই কোরাস তার সঙ্গে গান গায়। ব্যাঙদের এই অদ্ভুত আওয়াজ আজও গ্রিক কমেডির প্রতীক। এটি শুধু হাসির জন্য নয়, বরং নাটকের মধ্যে একধরনের ছন্দ, আনন্দ ও অদ্ভুত পরিবেশ তৈরি করে।

Politics of Athens (এথেন্সের রাজনীতি): The Frogs লেখা হয়েছিল পেলোপনেশিয়ান যুদ্ধের (Peloponnesian War) সময়ে, যখন এথেন্স পরাজয় ও বিশৃঙ্খলার মুখে। Aristophanes এই নাটকে সরাসরি বলেন, সমাজকে ভালো কবি ও নাট্যকার দরকার, কারণ তারা নৈতিকতা শেখায় এবং জাতিকে পথ দেখায়। এথেন্সের রাজনৈতিক দুরবস্থা নিয়ে তার ব্যঙ্গ স্পষ্ট।

Aeschylus vs Euripides (এস্কাইলাস বনাম ইউরিপিদিস): নাটকের মূল নাটকীয় অংশ হলো Aeschylus ও Euripides-এর মধ্যে তর্ক (Agon)। Euripides নিজেকে আধুনিক ও যৌক্তিক কবি হিসেবে প্রমাণ করতে চান, আর Aeschylus প্রাচীন বীরত্ব, ধর্মবিশ্বাস ও মহাকাব্যিক শক্তির পক্ষে দাঁড়ান। Dionysus শেষ পর্যন্ত Aeschylus-কে ফিরিয়ে আনেন, কারণ তিনি মনে করেন, সংকটকালে এথেন্সের জন্য তার শক্তিশালী কণ্ঠ প্রয়োজন।

Background: The Frogs

Aristophanes রচিত The Frogs প্রাচীন গ্রিক “Old Comedy”-এর একটি শ্রেষ্ঠ উদাহরণ। নাটকটি রচিত হয় খ্রিস্টপূর্ব পঞ্চম শতকের শেষ ভাগে, যখন এথেন্স পেলোপনেশিয়ান যুদ্ধের (Peloponnesian War) কারণে গভীর সংকটে পড়েছিল। সেই সময়ে এথেন্স শুধু রাজনৈতিক অস্থিরতায় নয়, সাংস্কৃতিক ও নৈতিক সংকটেও জর্জরিত ছিল। Aristophanes তার ব্যঙ্গাত্মক রচনার মাধ্যমে সমাজ ও রাজনীতির সমালোচনা করতেন, এবং The Frogs হলো সেই সমালোচনার এক গুরুত্বপূর্ণ নিদর্শন। The Frogs প্রথম মঞ্চস্থ হয় খ্রিস্টপূর্ব ৪০৫ সালে, এথেন্সের City Dionysia উৎসবে। এই উৎসব দেবতা Dionysus-এর উদ্দেশ্যে আয়োজিত বিশাল নাট্য প্রতিযোগিতা ছিল, যেখানে কমেডি ও ট্র্যাজেডি উভয় ধরণের নাটক মঞ্চস্থ হতো। আশ্চর্যের বিষয়, The Frogs সেই বছর প্রতিযোগিতায় প্রথম পুরস্কার অর্জন করেছিল, যা এর জনপ্রিয়তা ও প্রভাবের প্রমাণ।

নাটকের কাহিনি মূলত দেবতা Dionysus-কে ঘিরে। তিনি এথেন্সে ভালো ট্র্যাজেডি লেখকের অভাব অনুভব করেন এবং মৃত কবি Euripides-কে ফিরিয়ে আনতে পাতাললোকে যান। পথে তার হাস্যকর অভিযান ঘটে, যেখানে বিখ্যাত “Frog Chorus” দর্শকদের মুগ্ধ করে। পাতাললোকে Dionysus দুই মহৎ ট্র্যাজেডি কবি—Aeschylus ও Euripides-এর মধ্যে প্রতিযোগিতা আয়োজন করেন, যেখানে তাদের নাট্যকৌশল ও সাহিত্যিক দর্শনের তুলনা হয়। শেষ পর্যন্ত Dionysus মনে করেন এথেন্সের জন্য শক্তিশালী কণ্ঠ দরকার, তাই তিনি Aeschylus-কে ফিরিয়ে আনেন। The Frogs কেবল একটি হাস্যরসাত্মক নাটক নয়, বরং প্রাচীন সাহিত্য সমালোচনার একটি গুরুত্বপূর্ণ দলিল। এটি দেখায় যে গ্রিক সমাজে কবি ও নাট্যকারদের ভূমিকা ছিল জাতির নৈতিক দিশারি হিসেবে। একই সঙ্গে Aristophanes রাজনৈতিক সংকটকালে শিল্প ও সাহিত্যের গুরুত্বকে ব্যঙ্গের মাধ্যমে গভীরভাবে প্রকাশ করেছেন।

Characters: The Frogs by Aristophanes

প্রধান চরিত্র (Major Characters)

  • Dionysus (ডায়োনিসাস – নাটকের দেবতা ও হাস্যরসাত্মক নায়ক): গ্রিক নাটকের দেবতা ও The Frogs-এর মূল চরিত্র। তিনি এথেন্সে ভালো ট্র্যাজেডি কবির অভাব দেখে মৃত Euripides-কে ফিরিয়ে আনতে পাতাললোকে যান। তবে তিনি সাহসী না, বরং ভীরু, অলস এবং কৌতুকপূর্ণ। তার ভীরুতা ও হাস্যকর আচরণ নাটকে অসাধারণ কৌতুক যোগ করে।
  • Xanthias (জানথিয়াস – দাস): Dionysus-এর দাস। তার বুদ্ধি ও কৌতুক Dionysus-এর ভীরুতার বিপরীতে দাঁড়ায়। প্রায়শই সে মালিককে বিদ্রূপ করে এবং তার চেয়ে বেশি সাহসী প্রমাণিত হয়। সে নাটকের ব্যঙ্গাত্মক রসকে দ্বিগুণ করে তোলে।
  • Aeschylus (এস্কাইলাস – ট্র্যাজেডির কবি): Dionysus পাতাললোকে গিয়ে তাকে খুঁজে পান। তিনি প্রাচীন, মহাকাব্যিক শৈলীর ট্র্যাজেডি লেখক। Euripides-এর সঙ্গে তর্কে (Agon) তিনি বীরত্ব, ধর্মবিশ্বাস ও মহাকাব্যিক উচ্চতা রক্ষা করেন। শেষে Dionysus মনে করেন, সংকটময় সময়ে এথেন্সের জন্য Aeschylus-ই প্রয়োজন।
  • Euripides (ইউরিপিডিস – ট্র্যাজেডির কবি): Aristophanes-এর সমসাময়িক নাট্যকার। তিনি আধুনিক, যৌক্তিক এবং বাস্তবমুখী নাটক লিখতেন। The Frogs-এ তিনি Aeschylus-এর বিপরীতে দাঁড়িয়ে নিজের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণ করতে চান। তবে শেষ পর্যন্ত তিনি নির্বাচিত হন না। Euripides নাটকে বুদ্ধিবৃত্তিক চ্যালেঞ্জ ও যুক্তিবাদী শৈলীর প্রতীক।
  • Chorus of Frogs (ব্যাঙদের কোরাস): নাটকের সবচেয়ে বিখ্যাত অংশ। তারা “Brekekekex koax koax” ধ্বনি তোলে। Dionysus পাতাললোকে যাওয়ার পথে এই কোরাস তার সঙ্গে গান গায়। তারা কৌতুক, ছন্দ ও ব্যঙ্গাত্মক আবহ তৈরি করে।

গৌণ চরিত্র (Minor Characters)

  • Heracles (হেরাক্লিস): Dionysus পাতাললোকে যাওয়ার আগে তার কাছ থেকে উপদেশ নেন। হেরাক্লিসের বীরত্ব ও Dionysus-এর ভীরুতা মিলে একধরনের হাস্যকর তুলনা তৈরি হয়।
  • Charon (ক্যারন): পাতালের নৌকাচালক। Dionysus ও Xanthias-কে পাতাললোকে পার করে দেন।
  • Pluto (প্লুটো/হেডিস): পাতালপুরীর রাজা। তিনি শেষ পর্যন্ত সিদ্ধান্ত নেন যে Dionysus কাকে এথেন্সে ফিরিয়ে নেবেন।
  • Aeacus (ইয়াকাস): পাতালের প্রহরী। তিনি Dionysus ও Xanthias-এর সঙ্গে তর্কে জড়িয়ে কৌতুক তৈরি করেন।
  • Slaves/Attendants (ভৃত্য): পাতালের বিভিন্ন চরিত্র ও দাসেরা Dionysus ও Xanthias-এর সঙ্গে কৌতুকপূর্ণ সংলাপ করে।

দম্পতি ও সম্পর্ক (Couples and Connections)

  • Dionysus ও Xanthias: মালিক-দাস সম্পর্ক হলেও অনেক সময় দাস বেশি বুদ্ধিমান ও সাহসী। এতে ব্যঙ্গাত্মক পরিস্থিতি তৈরি হয়।
  • Aeschylus ও Euripides: নাটকের কেন্দ্রীয় সাহিত্যিক দ্বন্দ্ব। প্রাচীন বনাম আধুনিক শৈলীর প্রতীক।

প্রতীকী দিক (Symbolism of Characters)

  • Dionysus: নাটকের দেবতা হলেও ভীরুতা ও হাস্যরসের মাধ্যমে সাধারণ মানুষের দুর্বলতা প্রতিফলিত করে।
  • Aeschylus: প্রাচীন মহাকাব্যিক গৌরব ও শক্তিশালী কণ্ঠের প্রতীক।
  • Euripides: যুক্তি, আধুনিকতা ও বাস্তব জীবনের জটিলতার প্রতীক।
  • Frogs Chorus: হাস্যরস, ব্যঙ্গ ও নাটকের আনন্দময় সুরের প্রতীক।

আরো পড়ুনঃ Medea – বাংলা সামারি

বাংলা সামারি

ডায়োনিসাসের হারকিউলিসের কাছে যাওয়া: কমেডির শুরুতে দেবতা Dionysus মঞ্চে প্রবেশ করেন তার দাস Xanthias-কে সঙ্গে নিয়ে। Dionysus হচ্ছেন নাটক, মদ, উর্বরতা ও আনন্দের দেবতা, তবে Aristophanes তাকে এখানে এক ভীরু, মজাদার ও অদ্ভুত চরিত্রে রূপ দিয়েছেন। Xanthias গাধার পিঠে বোঝা বহন করছিল, আর Dionysus-এর হাতে ছিল Heracles-এর গদা এবং গায়ে Heracles-এর সিংহচর্ম। আসলে Dionysus সাহসী হওয়ার ভান করতে চান, তাই নিজেকে Heracles-এর মতো সাজিয়েছিলেন। কিন্তু তার ভীরুতা বারবার প্রকাশ হয়ে যায়, যা পুরো নাটকে কৌতুকের প্রধান উৎস হয়ে দাঁড়ায়। দু’জনে যাত্রাপথে নানা মজার ছলে একে অপরকে ধাঁধা জিজ্ঞাসা করে, ফলে পরিবেশ হালকা ও কৌতুকপূর্ণ হয়ে ওঠে। অবশেষে তারা পৌঁছায় Heracles-এর বাড়ির সামনে। Dionysus-কে নিজের পোশাকে সাজানো দেখে Heracles প্রথমে বিস্মিত হয়, তারপর জোরে হেসে ওঠে। এই হাস্যকর দৃশ্য দর্শকদের মন জয় করে এবং নাটকের কৌতুকময় আবহকে আরও মজবুত করে।

এরপর Dionysus তার আসার আসল উদ্দেশ্য প্রকাশ করেন। তিনি জানান যে, সম্প্রতি মৃত নাট্যকার Euripides-কে ফিরিয়ে আনতে তিনি পাতালে যেতে চান। Dionysus মনে করেন, এথেন্সে এখন ভালো নাট্যকারের অভাব, আর Euripides-এর মতো একজন কবি এথেন্সকে সাংস্কৃতিকভাবে রক্ষা করতে পারবেন। এজন্য তিনি পাতালে যাওয়ার সঠিক পথ জানতে চান। যেহেতু Heracles-ই একমাত্র নায়ক যিনি জীবিত অবস্থায় পাতালে গিয়েছিলেন এবং আবার ফিরে এসেছিলেন (Cerberus-কে নিয়ে আসার অভিযানে), তাই Dionysus তাঁর কাছে দিকনির্দেশনা চান। এইভাবেই নাটক শুরু হয়, যেখানে Dionysus-এর ভীরুতা ও হাস্যকর আচরণ এবং Heracles-এর সঙ্গে সংলাপ পুরো নাটকের হাস্যরসাত্মক আবহ তৈরি করে। একই সঙ্গে এখানে নাটকের মূল কাহিনির ভিত্তি স্থাপিত হয়, পাতালে যাত্রা এবং কবিদের প্রতিযোগিতার উদ্দেশ্যে Euripides-কে ফিরিয়ে আনা।

ডায়োনিসাসের পাতালে যাওয়ার যাত্রা: Heracles-এর দেওয়া নির্দেশনা মেনে দেবতা Dionysus তার বিশ্বস্ত দাস Xanthias-কে সঙ্গে নিয়ে পাতালের পথে যাত্রা শুরু করে। দু’জনের যাত্রাপথ ভিন্ন হয়, কারণ পাতালের নদী Styx পার হওয়ার বিশেষ নিয়ম ছিল। নৌকাচালক Charon, যিনি মৃত আত্মাদের পার করিয়ে দেন, স্পষ্ট নিয়ম করেছিলেন, কোনো দাসকে নৌকায় তোলা হবে না। ফলে Dionysus নৌকায় উঠে পার হতে থাকেন, আর Xanthias বাধ্য হয় নদীর ধার ধরে হেঁটে অপর প্রান্তে পৌঁছাতে। Dionysus নৌকায় বসে থাকতে থাকতে হঠাৎ শোনেন এক অদ্ভুত শব্দ, “Brekekekex koax koax!” এটি ছিল বিখ্যাত ব্যাঙদের Chorus। ব্যাঙেরা একসাথে ডাকতে থাকে, গান গাইতে থাকে, আর সেই গানে নদী ভরে ওঠে। Dionysus প্রথমে বিরক্ত হন, পরে নিজেও গলা মেলাতে থাকেন, যা পুরো দৃশ্যকে অত্যন্ত হাস্যকর ও কৌতুকপূর্ণ করে তোলে। এটি The Frogs নাটকের সবচেয়ে বিখ্যাত অংশগুলোর একটি, যা Aristophanes-এর অসাধারণ কৌতুকশক্তির নিদর্শন।

অবশেষে Dionysus অপর পারে পৌঁছান এবং আবার Xanthias-এর সঙ্গে মিলিত হন। কিন্তু তাদের জন্য অপেক্ষা করছিল আরও ভীতিকর এক অভিজ্ঞতা। হঠাৎ তারা দেখতে পান ভীষণ ভয়ঙ্কর দানব Empusa। এই দানবটির ছিল নানা রূপ বদলানোর ক্ষমতা, মুহূর্তে কখনও সে গরু, কখনও গাধা, কখনও আবার আগুনের জ্বলন্ত শিখা হয়ে ওঠে। Dionysus ভয়ে কাঁপতে থাকে, আতঙ্কিত হয়ে ওঠে, আর এই ভীরুতাকে কেন্দ্র করে Xanthias মজা করে তাকে নিয়ে হাসাহাসি করে। এই দৃশ্যটি শুধু নাটকের কৌতুককে তীব্র করে তোলে না, বরং Dionysus-এর চরিত্রের দুর্বলতা ও কাপুরুষতাকে স্পষ্ট করে তুলে ধরে, যা পুরো নাটক জুড়ে Aristophanes-এর ব্যঙ্গের মূল লক্ষ্য।

পাতালের দরজার কাহিনী: অবশেষে Dionysus ও তার দাস Xanthias পাতালের রাজা Pluto-র প্রাসাদের দরজায় এসে পৌঁছায়। সেখানে প্রহরী Aeacus তাদের দেখে প্রচণ্ড ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে। কারণ Dionysus তখনো Heracles-এর পোশাক পরে ছিল। Aeacus ভাবে, এ-ই সেই Heracles, যে একসময় পাতাল থেকে তিন মাথাওয়ালা ভয়ঙ্কর কুকুর Cerberus-কে ধরে নিয়ে গিয়েছিল। সেই পুরনো ঘটনার জন্য Aeacus আজও ক্ষিপ্ত, আর এখন সে প্রতিশোধ নেওয়ার সুযোগ দেখছে। Dionysus ভয়ে কাঁপতে থাকে। নিজের বিপদ এড়াতে সে দ্রুত তার পোশাক খুলে Xanthias-এর হাতে তুলে দেয়। এবার Xanthias-কে Heracles ভেবে পাতালের দাসীরা এগিয়ে আসে। তারা ফুলের তোড়া, আনন্দ ও সৌন্দর্যের পরিবেশ দিয়ে তাকে অভ্যর্থনা জানায়। Xanthias গর্বিত আচরণ করতে থাকে। কিন্তু Dionysus, ঈর্ষায় জ্বলে, আবার পোশাক অদলবদল করে নেয়, যেন সেও দাসীদের স্নেহ ও আনন্দ উপভোগ করতে পারে।

কিছুক্ষণ পরই আবার Aeacus ও অন্যান্য প্রহরীরা এসে তাদের ধরে ফেলে। এবার তারা ভাবে, Heracles আবার পাতালে এসেছে এবং নতুন করে সমস্যা তৈরি করছে। Dionysus তখন ভয়ে আবারও পোশাক খুলে Xanthias-এর হাতে দেয়। ফলে এক হাস্যকর অদলবদল বারবার ঘটতে থাকে। অবশেষে Aeacus রেগে গিয়ে প্রশ্ন তোলে, “তোমাদের মধ্যে কে দেবতা আর কে দাস?” Dionysus ও Xanthias তখন নিজেদের বাঁচাতে একসাথে দাবি করে, “আমি দেবতা!” প্রহরীরা বিভ্রান্ত হয়ে যায়। সমাধান হিসেবে তারা আর কোনো ঝামেলায় না গিয়ে দুজনকেই সমানভাবে চাবুক মারতে থাকে। দর্শকরা হেসে গড়িয়ে পড়ে, কারণ এখানে Dionysus-এর কাপুরুষতা ও ভীরুতা স্পষ্ট, আর Xanthias-এর বুদ্ধি ও সাহস তার বিপরীতে আরও উজ্জ্বল হয়ে ওঠে। এই দৃশ্য The Frogs নাটকের অন্যতম সেরা কৌতুকপূর্ণ মুহূর্ত, যা Aristophanes-এর ব্যঙ্গ ও হাস্যরস সৃষ্টির অসাধারণ ক্ষমতা প্রকাশ করে।

সাহিত্যিকদের মধ্যে প্রতিযোগিতা: অবশেষে Dionysus ও তার দাস Xanthias পাতালের গভীরে প্রবেশ করে এবং দেখতে পায়, দুই মহান ট্র্যাজেডির কবি, Euripides ও Aeschylus এর মাঝে প্রবল বিতর্ক চলছে। উভয়েই জোর দিয়ে দাবি করছে যে, সে-ই এথেন্সের শ্রেষ্ঠ নাট্যকার এবং প্রকৃত কবি। এই বিরোধ মেটানোর দায়িত্ব পড়ে পাতালের রাজা Pluto-র উপর। তিনি ঘোষণা করেন, এ দ্বন্দ্বের বিচারক হবেন Dionysus। প্রতিযোগিতা শুরু হয়। Euripides ও Aeschylus একে অপরের সাহিত্যকর্ম থেকে পংক্তি উদ্ধৃত করে সমালোচনা করে। তারা একে অপরকে বিদ্রূপ করতে থাকে, 

  • ভাষার সরলতা বনাম মহাকাব্যিক গাম্ভীর্য,
  • মিটার ও ছন্দের জটিলতা,
  • কাহিনির গঠনের দৃঢ়তা বনাম দুর্বলতা,
  • চরিত্রচিত্রণের শক্তি,
  • আর সবচেয়ে বড় কথা, নৈতিক মূল্যবোধ।

Euripides যুক্তি, বাস্তবতা ও আধুনিক চিন্তাধারার পক্ষে দাঁড়ান; আর Aeschylus রক্ষা করেন প্রাচীন বীরত্ব, ধর্মবিশ্বাস ও মহাকাব্যিক মর্যাদা। Dionysus একটি অভিনব পরীক্ষা প্রস্তাব করেন, যে কবির চরণ ওজনে ভারী হবে, সেই হবে প্রকৃত বিজয়ী। এক পাল্লায় রাখা হয় Euripides-এর পংক্তি, অন্য পাল্লায় Aeschylus-এর। দেখা যায়, Aeschylus-এর চরণগুলোই ভারী ও গভীর, আর Euripides-এর পংক্তি হালকা ও সহজ। দর্শকদের সামনে এ এক অসাধারণ নাটকীয় দৃশ্য, যেখানে কবিতার রূপক অর্থে ওজনকে সত্যি সত্যি মাপা হচ্ছে।

তবুও Dionysus কিছুক্ষণ সিদ্ধান্তহীন থাকেন, কারণ তাঁর ব্যক্তিগত পছন্দ ছিল Euripides। তিনি Euripides-এর বুদ্ধিমত্তা ও তীক্ষ্ণ কৌতুক ভালোবাসতেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত যখন প্রশ্ন আসে, “কে এথেন্সকে Peloponnesian যুদ্ধের সংকট থেকে রক্ষা করতে পারবে?” তখন দুই কবিই উত্তর দেন। Euripides কৌশল, পরিকল্পনা ও বাস্তবতার দিক থেকে সমাধান দেন; কিন্তু Aeschylus জোর দেন নৈতিক শক্তি, শৃঙ্খলা, ঐতিহ্য ও প্রাচীন মূল্যবোধের উপর। Dionysus তখন উপলব্ধি করেন, এথেন্সকে রক্ষার জন্য আধুনিক যুক্তি নয়, বরং Aeschylus-এর দৃঢ়তা ও প্রজ্ঞা বেশি প্রয়োজন।

অতএব Dionysus ঘোষণা করেন, বিজয়ী হলেন Aeschylus। Pluto এই রায় মেনে নেন এবং Aeschylus-কে Dionysus-এর সঙ্গে পৃথিবীতে ফিরে যাওয়ার অনুমতি দেন। বিদায়ের আগে Aeschylus Pluto-কে অনুরোধ করেন, “আমার অনুপস্থিতিতে যদি আরেকজন কবিকে পাতালের আসনে বসতে হয়, তবে সে হোক Sophocles। Euripides নয়।” এর মাধ্যমে তিনি Sophocles-এর মর্যাদা স্বীকার করেন, আর Euripides-কে একধরনের ব্যঙ্গের মাধ্যমে ছোট করেন।

থিমসমূহ

Literary Criticism (সাহিত্য সমালোচনা): The Frogs নাটকের কেন্দ্রে রয়েছে সাহিত্য সমালোচনার অভিনব রূপ। Dionysus পাতালে গিয়ে দেখে, দুই মহৎ ট্র্যাজেডির কবি Aeschylus ও Euripides নিজেদের শ্রেষ্ঠ প্রমাণ করতে প্রবল বিতর্কে লিপ্ত। তারা একে অপরের কাব্যভাষা, মিটার, চরিত্রচিত্রণ, নৈতিকতা ও নাট্যকৌশল নিয়ে বিদ্রূপ করে। এই প্রতিযোগিতা শুধু হাস্যরস নয়, বরং দর্শকদের শেখায়, ভালো সাহিত্য সমাজকে পথ দেখাতে পারে, নৈতিক শক্তি দিতে পারে। Aristophanes এখানে প্রমাণ করেন, কবি কেবল শিল্পী নন; তিনি জাতির শিক্ষক ও নৈতিক দিশারি। এই দিক থেকেই The Frogs প্রাচীন বিশ্বের প্রথম মহান সাহিত্য সমালোচনামূলক নাটক।

Old vs. New (পুরনো বনাম নতুন): নাটকের আরেকটি কেন্দ্রীয় ভাবনা হলো পুরনো ও নতুন কাব্যধারার সংঘাত। Euripides নিজেকে আধুনিক কবি হিসেবে দেখান, যিনি যুক্তি, বাস্তবতা ও মানুষের দৈনন্দিন দুর্বলতাকে নাটকে তুলে ধরেন। অন্যদিকে Aeschylus প্রাচীন গৌরব, বীরত্ব, ধর্মবিশ্বাস ও মহাকাব্যিক ভাষার পক্ষ নেন। এই দ্বন্দ্ব আসলে সমাজের মানসিকতা প্রকাশ করে, আধুনিক পরিবর্তনের প্রতি আকর্ষণ বনাম ঐতিহ্যের প্রতি আস্থা। Dionysus শেষ পর্যন্ত সিদ্ধান্ত নেন যে, সংকটকালে এথেন্সের জন্য প্রাচীন ঐতিহ্যের শক্তি বেশি প্রয়োজন। এইভাবে Aristophanes দেখান, সংস্কৃতির টিকে থাকার জন্য নতুনত্ব দরকার হলেও, সমাজকে রক্ষার জন্য পুরনো মূল্যবোধের ভিত্তিও সমান গুরুত্বপূর্ণ।

Comedy and Satire (কৌতুক ও ব্যঙ্গ): The Frogs হলো Aristophanes-এর অন্যতম সেরা Comedy, যেখানে হাস্যরস, অদ্ভুত কল্পনা ও ব্যঙ্গ একত্রিত হয়েছে। Dionysus-এর ভীরুতা, Xanthias-এর বুদ্ধি, পোশাক অদলবদল, চাবুক মারার দৃশ্য, এসব দর্শকদের হাসায়। আবার Chorus of Frogs-এর গান “Brekekekex koax koax!” নাটককে চিরস্মরণীয় করে তোলে। তবে Aristophanes শুধু হাসাননি, বরং ব্যঙ্গের মাধ্যমে সমাজ ও সাহিত্যের সমস্যাগুলোও তুলে ধরেছেন। তিনি দেখিয়েছেন, কৌতুক নাটক শুধু বিনোদনের জন্য নয়, বরং সমাজকে শিক্ষা দেওয়ারও একটি শক্তিশালী মাধ্যম।

Politics of Athens (এথেন্সের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট): নাটকটি রচিত হয়েছিল Peloponnesian যুদ্ধের সংকটময় সময়ে, যখন এথেন্স পরাজয় ও রাজনৈতিক বিশৃঙ্খলার মধ্যে ছিল। Aristophanes দেখাতে চেয়েছেন, দুর্নীতিগ্রস্ত রাজনীতিবিদরা এথেন্সকে ধ্বংসের পথে ঠেলে দিচ্ছে। এমন অবস্থায় প্রয়োজন শক্তিশালী কবি ও নাট্যকার, যারা জাতিকে নৈতিকতা, শৃঙ্খলা ও ঐতিহ্যের পথে ফেরাতে পারে। তাই নাটকের শেষ অংশে Dionysus Euripides নয়, বরং Aeschylus-কে বেছে নেন, কারণ তার কণ্ঠে আছে দৃঢ়তা ও নৈতিক শক্তি। এভাবে Aristophanes ইঙ্গিত দেন, রাজনীতির অন্ধকার কাটাতে প্রয়োজন সাহিত্যের নৈতিক আলোকশক্তি।

Quotes

  1. “Forget my courage. Show me the highway … to Hades.” – (Dionysus, The Frogs)

“আমার সাহস ভুলে যাও। আমাকে হেডিসের পথে … পথ দেখাও।”

Explanation: Dionysus admits his fear. Though he is a god, he shows cowardice on the way to the Underworld.

ব্যাখ্যা: Dionysus এখানে নিজের ভয় প্রকাশ করছে। দেবতা হয়েও পাতালের পথে সে ভীরু আচরণ করছে।

  1. “My poetry did not die with me, but his did once he died.” – (Aeschylus, The Frogs)

“আমার কবিতা আমার সঙ্গে মরে যায়নি, কিন্তু তার কবিতা তার মৃত্যুর সঙ্গে সঙ্গেই শেষ।”

Explanation: Aeschylus claims his poetry has eternal power, while Euripides’ works lost value after his death.

ব্যাখ্যা: Aeschylus বলছে, তার রচনা মৃত্যুর পরও অমর, কিন্তু Euripides-এর কবিতা তার মৃত্যুর সঙ্গে সঙ্গেই শেষ হয়ে গেছে।

  1. “Use worthy people once again.” – (Dionysus, The Frogs)

“আবার যোগ্য মানুষদের কাজে লাগাও।”

Explanation: Dionysus advises Athens to choose capable and honest citizens for the city’s survival.

ব্যাখ্যা: Dionysus বলছে, এথেন্সকে বাঁচাতে হলে আবার যোগ্য ও সৎ নাগরিকদের কাজে লাগাতে হবে।

  1. “When I … took this art of plays from you, / crammed with bombast to the gills. / … I … reduced its weight.” – (Euripides, The Frogs)

“যখন আমি তোমার কাছ থেকে নাটকের এই শিল্পটি নিলাম, / যা অতিরিক্ত ফুলানো কথায় ভরা ছিল। / … আমি … তার ওজন কমিয়ে দিয়েছিলাম।”

Explanation: Euripides claims he simplified tragedy. He criticizes Aeschylus for being too heavy and pompous, and presents himself as a reformer.

ব্যাখ্যা: Euripides বলছে, সে ট্র্যাজেডিকে সহজ করেছে। সে Aeschylus-কে অতিরিক্ত গম্ভীরতার জন্য সমালোচনা করছে এবং নিজেকে সংস্কারক হিসেবে তুলে ধরছে।

  1. “I taught them to think, / … to understand, to love new twists / and double dealing.” – (Euripides, The Frogs)

“আমি তাদের চিন্তা করতে শিখিয়েছি, / … বুঝতে শিখিয়েছি, নতুন মোড় ও দ্বিচারিতা ভালোবাসতে শিখিয়েছি।”

Explanation: Euripides defends his style, saying he made Athenians sharper and more realistic by showing human tricks and double nature.

আরো পড়ুনঃ Agamemnon বাংলা সামারি 

ব্যাখ্যা: Euripides নিজেকে রক্ষা করছে, বলছে সে এথেনীয়দের চিন্তাশীল করেছে, বাস্তবধর্মী করেছে, এবং মানুষের দ্বিমুখী স্বভাব দেখিয়েছে।

  1. “But now, you silly fools, it’s time to change your ways. Use worthy people once again.” – (Dionysus, The Frogs)

“কিন্তু এখন, হে বোকা মানুষ, তোমাদের আচরণ বদলানোর সময় এসেছে। আবার যোগ্য মানুষদের কাজে লাগাও।”

Explanation: Dionysus criticizes Athenian politics. He urges the city to restore honest and capable leaders instead of corrupt ones.

ব্যাখ্যা: Dionysus এথেন্সের রাজনীতি নিয়ে ব্যঙ্গ করছে। সে বলছে, দুর্নীতিগ্রস্তদের বাদ দিয়ে সৎ ও যোগ্য নাগরিকদের আবার কাজে লাগাতে হবে।

  1. “Brekekekex koax koax Brekekekex koax koax.” – (Chorus of Frogs, The Frogs)

“ব্রেকেকেক্স কোয়াক্স কোয়াক্স, ব্রেকেকেক্স কোয়াক্স কোয়াক্স।”

Explanation: The Frog chorus sings this comic refrain as Dionysus crosses the river. It adds rhythm, humor, and musical delight to the play.

ব্যাখ্যা: ব্যাঙদের কোরাস এই অদ্ভুত গান গায় যখন Dionysus নদী পার হয়। এটি নাটকে ছন্দ, হাস্যরস ও সঙ্গীতের আনন্দ যোগ করে।

  1. “It’s just and proper in this city our sacred chorus give advice and teach.” – (Chorus, The Frogs)

“এই শহরে পবিত্র কোরাসের উপদেশ ও শিক্ষা দেওয়া ন্যায়সঙ্গত এবং যথাযথ।”

Explanation: The Chorus explains comedy’s purpose. It is not only entertainment but also a guide to teach and advise citizens.

ব্যাখ্যা: Chorus বলছে, কৌতুক শুধু বিনোদনের জন্য নয়, বরং নাগরিকদের উপদেশ ও শিক্ষা দেওয়াই এর আসল উদ্দেশ্য।

  1. “So now farewell, Aeschylus—go, Save our city with your noble thoughts.” – (Pluto, The Frogs)

“তাহলে বিদায়, Aeschylus—যাও, তোমার মহৎ চিন্তায় আমাদের নগরীকে রক্ষা করো।”

Explanation: Pluto allows Aeschylus to return with Dionysus. The line shows respect for Aeschylus’s wisdom as a moral savior of Athens.

ব্যাখ্যা: Pluto Aeschylus-কে Dionysus-এর সঙ্গে ফিরে যেতে অনুমতি দিচ্ছে। এতে বোঝানো হয়েছে, এথেন্সের নৈতিক রক্ষক হিসেবে Aeschylus-ই শ্রেষ্ঠ।

ভাষার অলংকার – The Frogs

  • Metaphor (রূপক): সংজ্ঞা: যখন একটি জিনিসকে অন্য কিছুর সঙ্গে সরাসরি তুলনা করা হয়, কিন্তু like বা as ব্যবহার করা হয় না। উদাহরণ: “Weighing verses” (চরণের ওজন মাপা)। ব্যাখ্যা: Dionysus কবিদের পংক্তি পাল্লায় তুলে ওজন করেন। এটি আসলে রূপক, যেখানে কাব্যের “গভীরতা ও মূল্য”কে শারীরিক ওজন হিসেবে দেখানো হয়েছে। এতে বোঝানো হয়েছে, সাহিত্য শুধু শব্দ নয়, তার ভেতরে নৈতিকতা ও শক্তি লুকিয়ে থাকে।
  • Irony (বিদ্রূপ): সংজ্ঞা: প্রত্যাশিত ঘটনার উল্টো কিছু ঘটলে বিদ্রূপ তৈরি হয়। উদাহরণ: Dionysus পাতালে গিয়ে সাহসী নায়ক হতে চেয়েছিলেন, কিন্তু সর্বত্র কাপুরুষের মতো আচরণ করেন। ব্যাখ্যা: Dionysus নাটকের দেবতা হয়েও ভীরুতা ও দুর্বলতা প্রকাশ করেন। দর্শকরা আশা করেছিল সে বীরত্ব দেখাবে, কিন্তু তার ভীরুতাই হাসির খোরাক হয়। এটি গ্রিক Old Comedy–র বিদ্রূপাত্মক স্বভাবকে ফুটিয়ে তোলে।
  • Symbolism (প্রতীকবাদ): সংজ্ঞা: কোনো বস্তু, চরিত্র বা স্থান যখন গভীর অর্থ বা ধারণা প্রকাশ করে।
  • Frogs Chorus (ব্যাঙের কোরাস): কৌতুক, বিশৃঙ্খলা ও হাসির প্রতীক। তাদের “Brekekekex koax koax” গান জীবনধারার অদ্ভুত ছন্দ প্রকাশ করে।
  • Weighing of Verses (চরণের পাল্লা): সাহিত্য ও নৈতিকতার ভারসাম্যের প্রতীক। Aeschylus-এর পংক্তি ভারী হওয়া মানে তার কবিতা নৈতিকভাবে শক্তিশালী।
  • Dionysus: নাটক ও কৌতুকের দেবতা হলেও এখানে মানুষের দুর্বলতা, ভীরুতা ও খামখেয়ালির প্রতীক।
  • Euripides: আধুনিকতা, যুক্তি, মানুষের দৈনন্দিন দুর্বলতা ও জটিলতার প্রতীক।
  • Aeschylus: প্রাচীন গৌরব, ধর্মবিশ্বাস ও নৈতিকতার প্রতীক।
  • Empusa (দানব): ভয় ও ভ্রান্তির প্রতীক। Dionysus-এর মানসিক ভীরুতা এখানে প্রতিফলিত।
  • Pluto: পাতালের রাজা, ন্যায়বিচার ও সিদ্ধান্তগ্রহণের প্রতীক।
  • Chorus (Initiates): সমাজকে শিক্ষা দেওয়ার কণ্ঠস্বর ও নৈতিক পথপ্রদর্শক।
Share your love
Mottaleb Hossain
Mottaleb Hossain

This is Mottaleb Hossain, a researcher in English Language and Literature as well as Theology. I serve as an instructor at Literature Xpres, a global online educational institution.
Educational Qualifications:
B.A. (Honours) and M.A. in English from National University
BTIS under IAU (Islamic Arabic University)
Kamil in Tafsir and Hadith from IAU.

Articles: 48

3 Comments

  1. Thanks ever so much, sir for translating this classic in Bangla for us. You are great sir.

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *