In My Craft or Sullen Art Bangla Summary (বাংলায়)
কবিতাটি প্রথম প্রকাশিত হয় ১৯৪৬ সালে থমাস পোয়েট্রি ভলিউম ডেথস এন্ড এন্ট্রান্স গ্রন্থে। এই কবিতাটি পৃথিবীর অন্যান্য সকল কবিতার কবিদের জন্য একটি মোটিভেশন বলা যেতে পারে। কারণ তিনি এটার কবিতায় বলেছেন যে আমি অর্থের জন্য কবিতা লিখিনা।
এই কবিতাটি কবি উৎসর্গ করেছেন সেই সকল প্রেমিক যুগলদের যারা উষ্ণ রাতে একে অপরের সাথে প্রেম নিবেদনে ব্যস্ত তাদেরকে। কবিতার শুরুতে তিনি মূলত এমন একটি অবস্থার কথা বর্ণনা করেছেন যখন প্রেমিক-প্রেমিকারা চাঁদের আলোয় রাতের বেলায় একে অপরের সাথে প্রেমের খেলাতে ব্যস্ত। সেই অবস্থাতে কবি কেমন কবিতা লিখতে পারেন সেটাই তিনি শুরুতে উল্লেখ করেছেন। এখানে তিনি কিছু ব্যবহার করেছেন যেখানে দেখা যাচ্ছে যে প্রেমিক তার প্রেমিকার কোলে মাথা রেখে শুয়ে আছে আবার কখনো তিনি দেখিয়েছেন যে প্রেমিকা তার প্রেমিকের বাহুতে মাথা রেখে ভালোবাসার গল্প করছেন এবং একে অপরের সাথে সুখ-দুঃখ বিনিময় করছেন। এমন একটা দৃশ্য যদিও নেতিবাচক ধারণা দেয় তারপরেও চাঁদের আলো তাদের সেই দৃশ্যকে যেন একেবারে ভাসিয়ে দিচ্ছে।
আরো পড়ুন: After The Funeral Bangla Summary (বাংলায়)
এরপরে কবি বলেছেন যে কেন তিনি কবিতা লিখেন সে সম্পর্কে। তার মতে তিনি মূলত কবিতা লিখেন কোন টাকা পয়সা অর্থ সম্পদ কিংবা পার্থিব কোন চাহিদার জন্য নয় বরং তিনি কবিতা লিখেন নিজের মনের ভেতরের চাওয়াটাকে বাহিরে প্রকাশ করার জন্য। তার লেখা কবিতাগুলো কেউ পছন্দ করুক বা না করুক, তার লেখা কবিতাগুলোর প্রশংসা কেউ করুক বা না করুক অথবা তার লেখা কবিতাগুলো সেই প্রেমিক প্রেমিকা যুগল গ্রহন করুক বা না করুক তিনি কবিতা লিখেই যাবেন।
তিনি কবিতা লিখেন তার পাঠকদের জন্য এবং সেই পাঠকদের গুরুত্ব কবির কাছে অনেক বেশি। কারণ পৃথিবীতে তার পাঠক রাই একমাত্র ব্যক্তি যারা তার লেখা শব্দগুলোকে সাদরে গ্রহণ করবে এবং তার ভেতরে লুকিয়ে থাকা তাৎপর্যগুলো বুঝতে পারবে।
তিনি বলেছেন যে একজন কবি হিসেবে তিনি কখনো গর্ববোধ করেন না কারণ তার মূল উদ্দেশ্য কবিতা গুলো যেন মানুষের কাজে আসে মানুষের মনুষত্ব বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। আর গর্ববোধ কখনো মনুষত্বের অংশ হতে পারে না। তিনি বলেছেন যে যারা এই পৃথিবী থেকে চির বিদায় নিয়ে চলে গেছে তাদের কোন কবিতার প্রয়োজন নেই এবং কবিতা থেকে তাদের শেখার কিছু নেই। কারণ তারা অতীতে যে জীবন পার করেছেন তা থেকে অনেক কিছু শিখেছেন এবং অনেক কিছু জেনেছেন।