Examine the Influence of the French Revolution on Romantic Poetry. (বাংলায়)

Quesstion: Examine the influence of the French Revolution on Romantic poetry.

earn money

1789 সালে সংঘটিত ফরাসি বিপ্লব রোমান্টিক লেখকদের প্রভাবিত করার ক্ষেত্রে একটি বিশাল ভূমিকা পালন করেছিল। ফরাসি বিপ্লবের নীতিগুলি ছিল স্বাধীনতা, সাম্য এবং ভ্রাতৃত্ব যা ১৯ শতকের কবিদের উপর গভীর এবং শক্তিশালী ছাপ তৈরি করেছিল। নব্য-শ্রেণিবাদের দীর্ঘ সময় পরে, ফরাসি বিপ্লবের প্রভাবে রোমান্টিক যুগে কবিতা রচনায় ব্যাপক পরিবর্তন আনা হয়।

রোমান্টিক যুগের প্রধান কবিরা যারা সরাসরি এবং সম্পূর্ণভাবে ফরাসি বিপ্লব দ্বারা প্রভাবিত হয়েছিল, তাদের তালিকা নীচে দেওয়া হলো,

  1. উইলিয়াম ওয়ার্ডসওয়ার্থ (1770-1750)
  2. স্যামুয়েল টেইলর কোলরিডজ (1772-1834)
  3. লর্ড বায়রন (1788-1824)
  4. পার্সি বিসি শেলি (1792-1822)
  5. জন কিটস (1795-1821)

উদার চিন্তা: ফরাসি বিপ্লবের প্রথম এবং প্রধান প্রভাব ছিল উদার চিন্তা। ফরাসি বিপ্লব সমগ্র ইউরোপের দার্শনিক এবং লেখকদের জন্য একটি বড় প্রভাব নিয়ে আসে এবং রোমান্টিক কবিরা সেই পরিধির বাইরে ছিলেন না। উদার চিন্তাধারার কারণে রোমান্টিক কবিরা তাদের চিন্তাধারাকে তুলে ধরার সুযোগ পেয়েছেন। রোমান্টিক কবিরা নিউ ক্লাসিক্যাল লেখকদের নির্ধারিত নিয়মগুলি এড়িয়ে চলেছেন। তাদের কবিতায় পলায়নবাদ, উচ্চ কল্পনাশক্তি, ব্যক্তিগত উপস্থিতি, বিপ্লব, প্রকৃতির প্রতি ভালোবাসা এবং সাধারণ ভাষার ব্যবহার পাওয়া যায়। নিউ ক্লাসিক্যাল যুগের কবিতায় কবিতার এই বৈশিষ্ট্যগুলো অনুপস্থিত ছিল।

আরো পড়ুনঃ Examine the Influence of the French Revolution on Romantic Poetry. (বাংলায়)

ইউটিউবে ভিডিও লেকচার দেখুনঃ


প্রতিক্রিয়াশীল চিন্তাভাবনা: ইংরেজি সাহিত্যে ফরাসি বিপ্লবের প্রভাবে কবিতায় পরিবর্তন সাধিত হয়েছে। অক্সফোর্ড অভিধান অনুসারে, বিপ্লব বলতে বোঝায় নতুন ব্যবস্থার পক্ষে সরকার বা সামাজিক ব্যবস্থার জোরপূর্বক উৎখাত। ইউরোপের সমাজের সমস্ত দিক জুড়ে যেমন পরিবর্তনগুলি লক্ষণীয় ছিল, কবিতাও সেই পরিবর্তনের ধারাকে শক্তিশালী রাখতে ব্যতিক্রম ছিল না। দীর্ঘ ১২৫ বছরের নিও-ক্ল্যাসিকাল যুগে (1660-1785) ব্যঙ্গাত্মক দৃষ্টিকোণ থেকে কবিতা তৈরি হয়েছিল, কিন্তু রোমান্টিক কবিরা তা মেনে নিতে পারেনি এবং ১৭৮৯ সালে প্রকাশিত যৌথভাবে ‘লিরিক্যাল ব্যালাডস’ রচনা করে প্রকাশ করেন। এভাবেই ফ্রেন্স রেভুল্যুশন কবিতা লেখার শক্তিশালী প্রবণতা তৈরি করেছে।

সাধারণ মানুষের প্রতি আগ্রহ: রোমান্টিকরা ফ্রেন্স রেভুল্যুশন থেকে শিখেছে কীভাবে সর্বস্তরের মানুষের স্বার্থ রক্ষা করা যায়। নিও-ক্ল্যাসিকাল কবিতার মৌলিক বৈশিষ্ট্য ছিল-

  1. উচ্চ শ্রেণীর দৃষ্টিকোণ থেকে বস্তুনিষ্ঠতা
  2. কঠোর ব্যঙ্গ
  3. জটিল কাব্যিক দৃষ্টিভঙ্গি
  4. প্রকৃতির অনুপস্থিতি বা সম্পূর্ণরূপে শহুরে জীবন উপস্থাপন
  5. যুক্তিবাদ এবং বাস্তববাদ

নিও-ক্লাসিক্যাল কবিতার উপরোক্ত বৈশিষ্ট্যগুলি আমাদের নির্ণয় করতে সাহায্য করেছে যে দীর্ঘ ১২৫ বছর ধরে কবিতা শুধুমাত্র উচ্চ শ্রেণীর মানুষের জন্য ছিল। এটিকে হাতের আয়নার সাথে তুলনা করা যেতে পারে, যা মানবদেহের একটি নির্দিষ্ট অংশকে প্রতিফলিত করে, সমগ্র মানবদেহের প্রতিফলন নয়। অন্যদিকে রোমান্টিক কবিতা হল সাধারণ মানুষের কবিতা। এই কবিতাটি যেমন সাধারণ মানুষের কথা বলে, এটি সমস্ত মানুষের স্বার্থের চির-নতুন সংরক্ষক যা ছিল ফরাসি বিপ্লবের মূলমন্ত্র। ওয়ার্ডসওয়ার্থ বলেছেন “প্রিফেস টু লিরিক্যাল ব্যালাডস-এ,

“কবিতার ক্ষেত্রে সেই ভাষা ব্যবহার করতে হবে যেই ভাষায় সাধারণ মানুষ কথা বলে; এবং, কবিতায় কল্পনা থাকবে, যার মাধ্যমে সাধারণ জিনিসগুলি অসাধারণভাবে উপস্থাপন করা যাবে;

বিপ্লবী অভিপ্রায়: বিপ্লবের প্রতিশব্দ বিদ্রোহ। ফরাসি বিপ্লব রোমান্টিক কবিদের neo-classical poetry এর বিরুদ্ধে সাহসী এবং বিদ্রোহী হতে শিখিয়েছিল। আমরা জানি, পরিবর্তন হল মহাবিশ্বের নিয়ম এবং পরিবর্তনের জন্য সৃষ্টিশীল চিন্তাভাবনা প্রয়োজন। পরিবর্তন আনার এমন বিপ্লবী মনোভাব শেলির কবিতায় পাওয়া যায়,

“আমার পুরনো চিন্তাভাবনা মহাবিশ্ব থেকে সরিয়ে ফেলো,

যেভাবে গাছ থেকে শুকিয়ে যাওয়া পাতা ঝরে পড়ে নতুন পাতার জন্ম দিতে!”

রোমান্টিক কবিরা সাধারণ ভাষায় প্রকৃতির অসাধারণ সৌন্দর্য তুলে ধরেছিলেন। রোমান্টিক যুগের সর্বশ্রেষ্ঠ কবিরা ভালো করেই বুঝতে পেরেছিলেন যে, কবিতার খ্যাতি রক্ষা করতে নান্দনিক কবিতা তৈরি করতে হবে। ১৮২১ সালে শেলিই সর্বপ্রথম কবিতার প্রতিরক্ষামূলক একটি সমালোচনামূলক তত্ত্ব “A Defense of Poetry” রচনা করেছিলেন। শেলি বলেছেন,

আরো পড়ুনঃ Discuss the Conflict Between Science and Religion of the Victorian Period. (বাংলায়)

“কবিতা আসলে ঐশ্বরিক কিছু। এটি একযোগে জ্ঞানের কেন্দ্র ও পরিধি; এটিই যা সমস্ত বিজ্ঞানকে উপলব্ধি করে।”

উপসংহারে, টেরি ঈগলটনের মতে, রোমান্টিকরা প্রথম সম্পূর্ণ আধুনিকতাবাদী। তিনি দাবি করেন যে, ১৮ শতক ছিল ইংরেজির উত্থানের প্রবেশদ্বার এবং ১৯ শতক ছিল ইংরেজির উত্থানের সম্পূর্ণ সময়কাল। সুতরাং, এটা স্পষ্ট যে, ফরাসি বিপ্লব না থাকলে, অত্যন্ত মেধাবী ও সৃজনশীল প্রতিভার কোন ছাপ থাকতো না।

Shihabur Rahman
Shihabur Rahman
Hey, This is Shihabur Rahaman, B.A (Hons) & M.A in English from National University.

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

ফেসবুক পেইজ

কোর্স টপিক